বৈদেশিক-সম্পর্ক
নিউইয়র্কে বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্তোরাঁয় এক কর্মচারীকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলি
নিউইয়র্কের কুইন্সে একটি বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্তোরাঁয় প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মচারী শনিবার এক অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে আহত হন। সিবিএস নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
‘বৈশাখী রেস্তোরাঁ’র ভেতর থেকে নজরদারি করা ভিডিওতে কুইন্সের অ্যাস্টোরিয়া পাড়ায় অবস্থিত রেস্তোরাঁটিতে শিশুসহ লোকজনকে দেখা যায়, যারা খাবারের জন্য বসে অপেক্ষা করছিলেন। একজন বন্দুকধারী গুলি চালানোর পর তারা রেস্তোরাঁ থেকে ছুটে পালিয়ে যান।
রেস্তোরাঁর মালিক আবু তাহের সিবিএস নিউজকে বলেন, ‘আমাদের রেস্তোরাঁর ভেতরে অনেক গ্রাহক ছিল। প্রথমবার গুলি ছোঁড়ার পর সে কিছুটা সরে যায়, তারপর সে আমার কাউন্টারের পেছনে গিয়ে আমার একজন কর্মচারীকে গুলি করে।’
তাহেরের মতে, মাস্ক ও লাল হুডযুক্ত সোয়েটশার্ট পরা বন্দুকধারী তিনটি গুলি ছুঁড়েছে।
তিনি বলেন, ‘ওই ব্যক্তি (হামলাকারী) কিছু বলেননি, এসে শুধু গুলি করে পালিয়ে যান।’
তার ছোঁড়া তিনটি গুলির মধ্যে একটি রেস্তোরাঁর এক কর্মচারীর উরুর উপরের অংশে লাগে।
পুলিশ বলছে, বন্দুকধারী দৌঁড়ে পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে সুপারমার্কেটে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ১০
যদিও হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে এখনও তদন্ত করা হচ্ছে, তবে সূত্র জানায়, এই সপ্তাহের শুরুতে ওই বন্দুকধারী দোকানের একজন কর্মচারীর সঙ্গে তর্ক করেছিল।
অন্যদিকে, ভাঙা কাঁচ, বুলেটের ছিদ্র এবং অর্ধ-খাওয়া খাবার ফেলে পালিয়ে যাওয়া পরিবারগুলোর জন্য একটি ভয়াবহ স্মৃতি হয়ে থাকবে। এটি ওই রেস্তোরাঁর মালিকের ব্যবসাতেও প্রভাব ফেলবে।
তাহের সিবিএসকে বলেন, ‘অবশ্যই আমি ভীত। আপনারা জানেন, আমার ব্যবসাটি খুব ছোট।’
তিনি আরও বলেন, নিউইয়র্ক সিটিতে একটি ছোট ব্যবসা চালাতে আমি সত্যিই ভয় পাই। আসলে এটি (নিউইয়র্ক সিটি) নিরাপদ নয়। আমরা নিরাপদ নই। আমাদের জীবন নিরাপদ নয়।’
বৈশাখী রেস্তোরাঁ ৩৬নং এভিনিউ ও ২৯নং স্ট্রিটের পাশের অ্যাস্টোরিয়া পাড়ায় অবস্থিত। এর আগে সুস্বাদু বাংলাদেশি খাবারের জন্য দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ এটির সম্পর্কে ফিচার প্রকাশিত হয়। ২০২১ সালে কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সময়ে সেবামূলক পরিষেবার জন্য রেস্তোরাঁটি ‘স্পেশাল কংগ্রেসনাল রিকগনিশন’ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে রেলস্টেশনে ৫ জন গুলিবিদ্ধ
কলাম্বাইন থেকে ন্যাশভিল: যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে গণবন্দুক হামলায় নিহত ১৭৫
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: ২ বাংলাদেশি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন
ভারতে শুক্রবারের ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত দুই বাংলাদেশিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘মৃত কোনো বাংলাদেশির বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। আমরা এখন পর্যন্ত যা জানতে পেরেছি তা হলো- দুই আহত বাংলাদেশি যাত্রী বর্তমানে ওড়িশার দুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া বাংলাদেশ থেকে ট্রেনের চার যাত্রীর পরিবার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানায়, তারা (চার বাংলাদেশি) এখনও নিখোঁজ রয়েছে। আমরা তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি এবং ইতোমধ্যে কলকাতা ডেপুটি হাইকমিশনের একটি দল আজ সকালে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছে। আশা করি সেখানে পৌঁছানোর পর তারা আহত বাংলাদেশিদের সঙ্গে সমন্বয় করবেন।’
মিশনটি আরও সহায়তার জন্য একটি জরুরি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর সরবরাহ করেছে, সেটি হলো: +৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩।
আরও পড়ুন: ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮০ জনের বেশি নিহত, আহত ৯০০
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: বাংলাদেশিদের সম্পর্কে অনুসন্ধানের জন্য হটলাইন
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ
ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে ত্রাণ সামগ্রী প্রেরণ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এসব ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্য আবারও কমলো, বাংলাদেশে জরুরি অর্থায়নে জাতিসংঘের আহ্বান
এতে আরও বলা হয়,ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে শুকনো খাদ্য, তাঁবু, ঔষধ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ মোট ১২০ টন ত্রাণ সামগ্রী।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজে শুক্রবার (০২ জুন ২০২৩) চট্টগ্রাম থেকে ইয়াংগুনের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। জাহাজটি আগামী ০৫ জুন ২০২৩ তারিখে ইয়াংগুন বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের জন্য এই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অতীতে ২০১৫ সালে বন্যা এবং ২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘নার্গিস’ পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশ মিয়ানমারের জনগণের জন্য জীবন রক্ষাকারী ত্রাণসামগ্রী প্রেরণ করেছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা প্রদান করে আসছে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী কোভিড অতিমারী এবং সিরিয়া, তুরস্ক ও আফগানিস্তানে সংঘটিত ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বাংলাদেশ ত্রাণ সামগ্রী এবং চিকিৎসক দল প্রেরণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষ হতে এসব মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে এবং বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুন: কৌশলগত অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের সঙ্গে বৃহত্তর সম্পর্ক গড়তে চায় জাপান: রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি
কৌশলগত অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের সঙ্গে বৃহত্তর সম্পর্ক গড়তে চায় জাপান: রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি
বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উভয় দেশের জনগণের মধ্যে আদান-প্রদান এবং নিরাপত্তা সহযোগিতাকে কেন্দ্র করে তাদের ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বের’ সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আগামী ৫০ বছরে ঢাকার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়াতে তার দেশের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
তিনি প্রতিশ্রুতিশীল খাতে বিভিন্ন ধরনের বাস্তব সহযোগিতা বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন এবং জাপান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় প্ল্যাটফর্মের সম্ভাবনা অনুসন্ধান করেন।
রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে সহযোগিতার তিনটি প্রধান ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছেন।
এগুলো হলো- এই অঞ্চলে এবং এর বাইরে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সহযোগিতা, পারস্পরিক সুবিধা এবং আঞ্চলিক সমৃদ্ধির জন্য অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে আরও গভীর করা এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতার প্রসার এবং জনগণের মধ্যে তা বিনিময়।
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: বাংলাদেশিদের সম্পর্কে অনুসন্ধানের জন্য হটলাইন
ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশিদের সম্পর্কে কোনো তথ্য বা অনুসন্ধানের জন্য একটি হটলাইন খোলা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপরই কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন এ বিষয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।
আরও তথ্য জানার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে +৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ (হোয়াটসঅ্যাপ) নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ওড়িশার ফায়ার ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর সুধাংশু সারঙ্গি দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানিয়েছেন, শনিবার সকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২৮০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকজন বাংলাদেশি সামান্য আহত হয়েছে: ডেপুটি হাইকমিশন
তিনি বলেন, আহত ৮০০ জনেরও বেশি যাত্রীকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কলকাতার প্রায় ২২০ কিলোমিটার (১৩৭ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ থেকে আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ একদিকে উদ্ধারকারীরা আটকা পড়া জীবিত যাত্রীদের এবং অন্যদিকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করছে।
এর আগে শনিবার ভোরে ওড়িশার মুখ্য সচিব পি.কে জেনা একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৯০০ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮০ জনের বেশি নিহত, আহত ৯০০
এক নজরে ভারতের সাম্প্রতিক কয়েকটি প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকজন বাংলাদেশি সামান্য আহত হয়েছে: ডেপুটি হাইকমিশন
ভারতের কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন দেশটিতে শনিবারের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকজন বাংলাদেশি যাত্রীর সামান্য আহত হওয়ার খবর পেয়েছে। একজন কূটনীতিক ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আহত বাংলাদেশিদের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, হাইকমিশনের একটি দল দুর্ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।
ভারতে গত রাতে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ২৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
কয়েক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনায় এক ডজনেরও বগির ভেতরে আটকা পড়েছিলেন আরও শতাধিক মানুষ।
কলকাতার প্রায় ২২০ কিলোমিটার (১৩৭ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ থেকে আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ একদিকে উদ্ধারকারীরা আটকা পড়া জীবিত যাত্রীদের এবং অন্যদিকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করছে।
এর আগে শনিবার ভোরে ওড়িশার মুখ্য সচিব পি.কে জেনা একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৯০০ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: এক নজরে ভারতের সাম্প্রতিক কয়েকটি প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা
ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮০ জনের বেশি নিহত, আহত ৯০০
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে চালু হলো ই-পাসপোর্ট
অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে চালু হলো ই-পাসপোর্ট। শনিবার সকালে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন ও ভালো কাজের মাঝে বঙ্গবন্ধুর হাতের ছাপ আছে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ই-পাসপোর্টে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হওয়ায় এর বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতার পাশাপাশি বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি পাসপোর্টের মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের পাসপোর্টকে পৃথিবীর প্রথম সারির পাসপোর্টের মানে উন্নীত করায় প্রধনমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেন এম আল্লামা সিদ্দিকী।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের নিহত সদস্যদের স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, এ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত প্রক্রিয়াগুলো আরও সহজ ও নিরাপদ করা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ইতোপূর্বে আরও ২৩টি মিশনে ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে এবং ২৩টি মিশনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আবু তাহের মল্লিক বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে আমরা উদ্বেলিত হই। ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমের বহিঃপ্রকাশ।
তিনি সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলদেশি, ই-পাসপোর্ট চালু উপলক্ষে সফররত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তা এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইতোপূর্বে এ হাইকমিশনে মেশিন রিডএবল পাসপোর্ট চালু ছিল। ই-পাসপোর্ট আবেদন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য শিগগিরই বাংলাদেশ হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
আরএমজি শিল্পের উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের নীতিগত সহায়তা চান বিজিএমইএ সভাপতি
ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমানের সঙ্গে গত ৩১ মে সাক্ষাৎ করেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
সাক্ষাতের সময় তারা আরএমজি শিল্পের বর্তমান ব্যবসায়িক পরিস্থিতি এবং আরএমজি শিল্পের চ্যালেঞ্জগুলো; বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার কারণে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টাকে আরএমজি সেক্টরের টেকসই প্রবৃদ্ধি ধরে রেখে ২০৩০ সালের মধ্যে আরএমজি রপ্তানি থেকে ১০০ বিলিয়ন অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: ঈদের আগেই বিজিএমইএ আওতাধীন কারখানার মার্চ মাসের মজুরি পরিশোধ: বিজিএমইএ
এছাড়া বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান আরএমজি শিল্পের জন্য সরকারের কৌশলগত সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
যাতে আগামী দিনে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং শিল্পের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়িত করতে এই খাতকে সহায়তা করা যায়।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, শিল্পটি প্রবৃদ্ধির দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের জন্য নন-কটন টেক্সটাইল এবং উচ্চ মূল্য সংযোজিত পোশাকের দিকে ঝুঁকতে গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি বিশেষ করে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ, মানবসৃষ্ট ফাইবারভিত্তিক সুতা এবং প্রযুক্তিগত টেক্সটাইল খাতে আরও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়া তিনি ব্যবসা করার শর্তাবলী আরও উন্নত করতে এবং ব্যবসা করার সময় ব্যয়-হ্রাস করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিজিএমইএর পরিচালক আহসানুল হক, বাণিজ্যমেলা সংক্রান্ত বিজিএমইএ স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, তফসিল ব্যাংক সংক্রান্ত বিজিএমইএর স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. ইসরাফিল আতিক এবং বিজিএমইএর চ্যালেঞ্জড ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আনিসুর রহমান।
আরও পড়ুন: শিল্পের প্রবৃদ্ধি ছাড়া ৭.৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন অসম্ভব: বিজিএমইএ সভাপতি
এলডিসি উত্তোরণে বাংলাদেশকে সহায়তায় ইইউ’র প্রতি বিজিএমইএ প্রধানের আহ্বান
রাশিয়া থেকে ১.৮০ লাখ টন সার আমদানির চুক্তি সই
২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাশিয়া থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার আমদানি করার জন্য সরকার এবং একটি রাশিয়ান কোম্পানির মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) এবং পডিনটর্গের মহাপরিচালক আন্দ্রে সের্গেইভিচ চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএডিসির সদস্য পরিচালক আবদুস সামাদ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান বদিউল আলম।
আরও পড়ুন: ৯০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভার ক্রয় কমিটি
৮০ হাজার মে. টন ইউরিয়া সার আমদানিসহ ৭ প্রস্তাবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্য আবারও কমলো, বাংলাদেশে জরুরি অর্থায়নে জাতিসংঘের আহ্বান
জাতিসংঘ অবিলম্বে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তায় নতুন করে ঘাটতির সম্মুখীন হওয়ায় অবিলম্বে তহবিল বিষয়ে আন্তর্জাতিক সমর্থনের জন্য আবেদন করেছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাসিক খাদ্য ভাউচার তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার কমানো হচ্ছে, যা হবে দৈনিক রেশনের ৩৩ শতাংশ হ্রাস।
শরণার্থীদের প্রত্যেককে মাত্র ৮ মার্কিন ডলার (৮৪০ টাকা) সমমূল্যের ফুড ভাউচার দেওয়া হবে প্রতি মাসে। এটুকুই শরণার্থীদের জীবনধারণের উপায়, অন্য কোনো বিকল্প তাদের নেই।
মা-বাবারা ইতোমধ্যে কম খাচ্ছেন, যাতে তাদের সন্তানেরা খেতে পায়। রেশনের কাটছাঁট যারা খাদ্য সাহায্যের ওপরেই নির্ভরশীল, যাদের জীবনধারণের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ-সম্ভাবনা নেই এমন প্রায় ১০ লাখ শরণার্থীর জীবনে প্রভাব ফেলবে।
চলতি বছরের শুরুতে শরণার্থীরা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) থেকে মাথাপিছু মাসিক ১২ মার্কিন ডলার মূল্যমানের রেশন পাচ্ছিলেন, যা দিয়ে কেবল তাদের দৈনিক চাহিদাটুকু মিটত। কিন্তু অর্থায়নের অভাবে ১ মার্চ থেকে তাদের মাথাপিছু মাসিক রেশন কমিয়ে ১০ মার্কিন ডলার করা হয়। এখন থেকে তা হবে মাত্র ৮ মার্কিন ডলার মূল্যমানের।
আরও পড়ুন: আইসিজেতে রোহিঙ্গা মামলায় অপর্যাপ্ত তহবিল নিয়ে ওআইসি মহাসচিবের উদ্বেগ
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্য হ্রাস করা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্য কমাতে বাধ্য হচ্ছে। শরণার্থীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে এর ফল হবে ভয়াবহ। নারী, শিশু ও সবচেয়ে নাজুক মানুষেরা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আবেদন জানাচ্ছি। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তায়, তাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, খাদ্য ও শিক্ষার জন্য মোট যে পরিমাণ অর্থ দরকার তার মাত্র ২৪ দশমিক ৬ শতাংশের অর্থায়ন মিলেছে । এই শরণার্থীদের সাহায্য-সহযোগিতার আর কোনো উৎস নেই। রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে বসবাসরত মানুষের কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। তারা সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থায়নের ওপর।’
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন-রক্ষাকারী সহায়তায় এই নতুন কাটছাঁটের উদ্যোগ নেওয়া হলো এমন এক সময় যখন তারা বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডব আর সেই সঙ্গে তাদের শিবিরগুলোতে এই বছরের বিরাট এক অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন; যার ফলে হাজার হাজার শরণার্থীর সাহায্য ভীষণ প্রয়োজন।
চলতি বছরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা বিশেষভাবে নাজুক, কারণ ৮৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্যের যে আবেদন ২০২৩ সালে করা হয়েছে, ১ জুন নাগাদ তার মাত্র ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ অর্থায়ন মিলেছে; এর ফলে অন্যান্য জরুরি কর্মসূচি ও কর্মকাণ্ডেও কাটছাঁট করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা মামলা: সদস্য দেশগুলোর সমর্থন চেয়েছেন ওআইসি মহাসচিব