বৈদেশিক-সম্পর্ক
কাজ ও ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিসা স্টিকার অপসারণ করে ই-ভিসা চালু সৌদি আরবের
কাজ, ভ্রমণ ও ট্রানজিটের জন্য ভিসা স্টিকার অপসারণ করে ই-ভিসা চালু করেছে সৌদি আরব।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আলদুহাইলান সোমবার বিকালে ঢাকাস্থ দূতাবাসে এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, সৌদি সরকারের কয়েকটি দেশে একই ধরনের ই-ভিসা ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে অবৈধ ভিসা ব্যবসার অভিযোগে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আটক
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রশংসা লুক্সেমবার্গের মন্ত্রীর
লুক্সেমবার্গের উন্নয়ন সহযোগিতা ও মানবিক বিষয়ক মন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া ফায়োট বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেছেন।
তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে লুক্সেমবার্গের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন এবং পারস্পরিক স্বার্থে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম রবিবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ফ্রাঁসোয়া ফায়োটের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন।
এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার স্বাগত বক্তব্যে ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে লুক্সেমবার্গের বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং গত বছর দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেলের মধ্যে বিনিময়সমূহের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: শাহরিয়ার আলম ১-৫ মে ব্রাসেলসে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন
তিনি বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর চরাঞ্চলে সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য লুক্সেমবার্গ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ ও লুক্সেমবার্গ জাতিসংঘ ও আসেমসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিবিড়ভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লুক্সেমবার্গের মানবিক ও রাজনৈতিক সহায়তার প্রশংসা করেন।
মধ্যাহ্নভোজে আরও উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক; রিয়ার এডমিরাল (অব.) মোঃ খুরশেদ আলম, ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব; বাংলাদেশে নিযুক্ত লুক্সেমবার্গের রাষ্ট্রদূত পেগি ফ্রান্টজেন; কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব/সচিব; ইউএনডিপি ও ডব্লিউএফপি, সিডিএ'র আবাসিক প্রতিনিধি, বাংলাদেশে ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রতিনিধি, ইউএনএইচসিআরের উপ-প্রতিনিধি; ফ্রেন্ডশিপ ইন্টারন্যাশনালের কো-চেয়ার মার্ক এলভিঙ্গার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের ব্যাপক সহযোগিতা আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমি: সারা কুক
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন ফ্রাঁসোয়া ফায়োট।
তিনি জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাশুরা হোসেন জাদুঘরে ফ্রাঁসোয়া ফায়োটকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ
শাহরিয়ার আলম ১-৫ মে ব্রাসেলসে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন
বাংলাদেশ-ইউরোপীয়ন ইউনিয়নের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য আগামী ১ - ৫ মে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সদর দপ্তর বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে সরকারি সফর করবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
সেখানে তিনি ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের মন্ত্রী পর্যায়ের-স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনার উলভা জোহানসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিশনার জানেজ লেনারকিক, আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব বিষয়ক কমিশনার জুটটা ইউপিলাইনেন, অর্থ ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-নির্বাহী কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এছাড়াও তিনি ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের প্রতিমন্ত্রী/ উপমন্ত্রী পর্যায়ের – পররাষ্ট্র বিষয়ক ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের সভাপতি ডেভিড ম্যাকএ্যলিস্টার, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের সভাপতি বারনড ল্যাঙ্গে, মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোর, ইউরোপীয়ান বিনিয়োগ ব্যংকের সহ-সভাপতি ক্রিস পিটারস সহ উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এছাড়াও, তিনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ এবং বাংলাদেশ-ইউরোপীয়ন ইউনিয়নের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।
পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ারের সফরসঙ্গী হবেন।
প্রতিমন্ত্রী বেলজিয়াম সফর শেষে ৫ মে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং যুক্তরাজ্যের রাজার অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে যোগদান করবেন।
সুদান থেকে বাংলাদেশিদের স্থানান্তরে সৌদি আরব ও ইন্দোনেশিয়ার সহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ: শাহরিয়ার
ইন্দোনেশিয়া ও সৌদি আরবের সহায়তায় কয়েক দিনের মধ্যে স্থানান্তর শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। এসময় তিনি বাংলাদেশি নাগরিকদের সুদানস্থ দূতাবাসে এসে দ্রুত নিবন্ধন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ধারণা সুদানে ১৫০০ বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছে এবং এ পর্যন্ত তাদের মধ্যে ৭০০ জন নিবন্ধিত হয়েছে।’
তিনি বাংলাদেশি বাকি নাগরিকদেরও শিগগিরই নিবন্ধিত হওয়ার আহ্বান জানান।
শাহরিয়ার বলেন, প্রথমে বাংলাদেশিদের ২ মে বাসে করে খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখান থেকে জাহাজে করে জেদ্দায় নিয়ে যাওয়া হবে।
তিনি উল্লেখ করেন যে পোর্ট সুদান থেকে জেদ্দা বন্দর পর্যন্ত লোহিত সাগর পাড়ি দিতে ১২ ঘণ্টার সমুদ্রযাত্রা এবং পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মূলত জেদ্দা হয়ে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
প্রতিমন্ত্রী তাদের সমর্থনের জন্য ইন্দোনেশিয়া ও সৌদি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘যাদের পাসপোর্ট আছে তাদের অবিলম্বে জাহাজে তোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাদের পাসপোর্ট নেই তাদের ভ্রমণের নথি দেওয়া হবে এবং তারা পরবর্তী জাহাজগুলোতে উঠবেন, কেননা সেখানে বেশ কয়েকটি সৌদি জাহাজ থাকবে।’
সুদানের বর্তমান পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ জন বাংলাদেশি নিরাপদে সুদান ছেড়েছেন।
আরও পড়ুন: সুদানে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশিকে নিবন্ধন করার আহ্বান শাহরিয়ারের
বৈঠকের আগে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করেন।
শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা আশা করি আমরা তাদের দ্রুত ফিরিয়ে আনতে পারব যারা ইতোমধ্যেই নিবন্ধিত রয়েছে।’ বৈঠকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা নিয়মিত ফ্লাইটের মাধ্যমে প্রয়োজনে জেদ্দা ও অন্যান্য শহর থেকে বাংলাদেশিদের আনার প্রস্তুতি নিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজনে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার জন্যও তাদের প্রস্তুতি রয়েছে।’
খার্তুমে বাংলাদেশ দূতাবাস ইতোমধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকদের খার্তুম এবং পার্শ্ববর্তী শহরগুলো থেকে পোর্ট সুদানে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৯টি বাসের ব্যবস্থা করেছে এবং তাদের সহায়তার জন্য জেদ্দায় বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেলের একটি দল সেখানে পৌঁছাবে।
সুদানে আটকে পড়া সব বাংলাদেশিকে ২ মে বন্দর সুদানে নিয়ে যাওয়া হবে।
এর আগে, ২৫ এপ্রিল প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছিলেন যে সুদান থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের অন্যান্য দেশের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘খার্তুমে বাংলাদেশ দূতাবাস ইতোমধ্যে সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে এই বার্তাটি প্রচার শুরু করেছে।
প্রতিমন্ত্রী সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের দূতাবাসের দেওয়া নির্দেশনা মেনে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সুদানের পরিস্থিতিকে একটি ‘বিপর্যয়কর দাবানল’ বলে অভিহিত করেছেন, যা পুরো অঞ্চলকে গ্রাস করতে পারে।
আরও পড়ুন: সুদানে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের জেদ্দা হয়ে ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চলতি মাস বা আগামী মাসের প্রথম দিকে সুদানে বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা মিশন প্রধানের
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের ব্যাপক সহযোগিতা আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমি: সারা কুক
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন যে তিনি দীর্ঘ ও বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ‘দৃঢ় করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ‘ব্যাপক সহযোগিতা’ আরও গভীর করতে আগ্রহী।
রবিবার ঢাকায় এসে তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ হাইকমিশনার হিসেবে বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি আনন্দিত এবং গভীরভাবে সম্মানিত। তিনি রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসনের স্থলাভিষিক্ত হন।
বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে কুক বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের দৃঢ় সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন ও নিরাপত্তাসহ অনেক পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে।
কুক এর আগে ২০১২-২০১৬ পর্যন্ত ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি)-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অতি সম্প্রতি, তিনি ফরেন, কমনওয়েলথ এবং ডেভেলপমেন্ট অফিসে (২০২০-২০২৩) দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বিভাগের প্রধান এবং তানজানিয়ায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার (২০১৬-২০২০) ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের বিষয়ে বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবেন: ডিকসন
কুক ২০০৫ সালে ডিএফআইডি -এ যোগদান করেন যেখানে তার ভূমিকায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ, দুর্নীতি বিরোধী এবং সহায়তার কার্যকারিতা সম্পর্কিত যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন নীতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তিনি আফ্রিকা সচিবালয়ের কমিশনের উপ-প্রধান এবং মন্ত্রিপরিষদ অফিসে প্রধানমন্ত্রীর কৌশল ইউনিটের উপ-পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন।
ইউকে সিভিল সার্ভিসে যোগদানের আগে কুক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গায়ানায় কাজ করেছিলেন; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসাবে সলোমন দ্বীপপুঞ্জে; এবং প্রাইসওয়াটারহাউসকুপারস-এর একজন অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবেও কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: স্কলার ও তাদের দেশের জন্য স্কলারশিপ রূপান্তরমূলক অভিজ্ঞতা হতে পারে: রবার্ট ডিকসন
জাপানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জাপানি চিত্রকলা বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান
বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সংগ্রামী জীবন নিয়ে জাপানের টোকিওতে জাপানি চিত্রকলা 'মাঙ্গা' ফর্মের কমিক বই 'ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু' এর দ্বিতীয় প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে এ প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, 'ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু' বইটিতে ছবি ও বর্ণনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর অবদান সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। শিশু ও কিশোররা বইটি পড়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে যেমন জানতে পারবেন তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
বিশেষ অতিথি লেখক ও সাংবাদিক মনজুরুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন কমিক বই আর হয়নি। এই কমিক বই তিন ভাষায় প্রকাশিত হওয়ায় বাংলাদেশের তরুণদের পাশাপাশি জাপানি তরুণদের আকৃষ্ট করবে। এছাড়া ইংরেজি পাঠকদেরও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে। এই বই থেকে অ্যানিমেশন মুভি হলে তা আরেকটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জাপানি চিত্রকলা 'মাঙ্গা' ফর্মে কমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এই মাঙ্গা কমিক বই প্রকাশ করা একটি দারুণ ব্যাপার। এর ফলে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আরও একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ হলো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জাপান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের বাংলা রেডিও বিভাগের প্রধান শিখা মুরাকামি, বইটির লেখক ও প্রকাশক স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা এম ই চৌধুরী শামীম, বইটির সহ-লেখক শাইন পার্টনারস করপোরেশন জাপানের প্রধান নির্বাহী ইয়েমতো কিয়েতা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপা।
শুক্রবার জাপানের রাজধানী টোকিও'র আকাসাকা প্যালেসে জাপান সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোনের হাতে বইটি তুলে দেন বইটির লেখক ও প্রকাশক স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা এম ই চৌধুরী শামীম ও বইটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক স্কলার্স বাংলাদেশের সোসাইটির উপদেষ্টা, ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান, বুয়েট গ্র্যাজুয়েটস ক্লাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর। এ সময় পাঁচ পর্বে প্রকাশিতব্য বইটির বাকি চার পর্বের প্রকাশ ও প্রকাশনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী তার মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
বইটি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপা, সহ-লেখক শাইন পার্টনারস করপোরেশন জাপানের প্রধান নির্বাহী ইয়েমতো কিয়েতা, শাইন পার্টনারস করপোরেশনের সিএফও ইয়েমতো এআই, লেখক ও অভিনেতা আল মনসুর বেলাল, তথ্যচিত্র নির্মাতা কায়সার কাদের সেলিম।
গত ৫ এপ্রিল ঢাকায় বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি। বইটি প্রকাশ করেছে স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহপ্রতিষ্ঠান এনএস পাবলিশার্স।
প্রকাশনা সহযোগী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস ও ম্যাক্স গ্রুপ।
জাপানিদের কমিক ও কার্টুন ধাঁচের চিত্রকলার একটি সৃজনশীল এবং সুপরিচিত ধরন হচ্ছে মাঙ্গা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস মাঙ্গা ফর্মে তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। বইটিতে বর্ণনা এবং ব্যতিক্রমী ছবির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবন তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবদানের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।
জাপানি আর্ট ফর্ম 'মাঙ্গা' চিত্রকলার একটি ব্যতিক্রমী ধারা, যা নিজ বৈশিষ্ট্যে স্বতন্ত্র। এর সঙ্গে পাশ্চাত্য ধারা বা অন্য কোনো ফর্মের সম্পৃক্ততাও নেই। জাপানি কমিকের অত্যন্ত জনপ্রিয় এই ফর্মটি জাপানি চিত্র ও প্রকাশনা শিল্পে স্থায়ী আসন করে নিয়েছে। অভিযান কাহিনি থেকে ফ্যান্টাসি, শিশুপাঠ থেকে বরণীয় ব্যক্তিত্বের জীবনী, লোককথা থেকে শুরু করে আধুনিক বাস্তব ও পরাবাস্তববাদী উপন্যাস, ইতিহাস থেকে শুরু করে রোমাঞ্চ, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী থেকে শুরু করে রহস্যভেদী কাহিনি সবই অল্পকথায় এবং অসনাতন ছবিতে মাঙ্গায় মূর্ত হয়ে থাকে।
‘ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু' বইটি মাঙ্গা ফর্মে বাংলা, ইংরেজী এবং জাপানি ভাষায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে চিত্রশিল্পের এই ফর্মটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত হওয়ার প্রয়াস পাবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সংগ্রামী জীবন সুপাঠ্য আকারে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হলো ৭টি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘে শিশু-কিশোর আনন্দমেলা
সুদানে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশিকে নিবন্ধন করার আহ্বান শাহরিয়ারের
বর্তমান পরিস্থিতিতে আফ্রিকার দেশ সুদানে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের সুদানস্থ দূতাবাসে গিয়ে নিবন্ধন করার আহ্বান জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের সুদান থেকে স্থানান্তরের বিষয়ে জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।
তিনি জানান, সুদানে ১৫০০ বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছে এবং এখন পর্যন্ত তাদের মধ্যে ৭০০ জন সুদানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে নিবন্ধিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী ২ মে আমরা ইতোমধ্যে নিবন্ধিত ৭০০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
ব্রিফিংয়ের আগে তিনি মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করেন।
জানা যায়, বন্দর সুদান থেকে ৭০০ বাংলাদেশিকে প্রথমে সৌদি আরবের জেদ্দা বন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বাকি বাংলাদেশি নাগরিকদের নিবন্ধন করার আহ্বান জানান কারণ কয়েকদিনের মধ্যেই স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ জন বাংলাদেশি নিরাপদে সুদান ছেড়েছেন।
আরও পড়ুন: সুদানে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের জেদ্দা হয়ে ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চলতি মাস বা আগামী মাসের প্রথম দিকে সুদানে বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা মিশন প্রধানের
সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের অন্য দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে: শাহরিয়ার
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে অর্জিত অগ্রগতিকে স্বাগত জানাল জাতিসংঘ
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়েছে আদিবাসী সংক্রান্ত জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরাম।
নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ১৭ থেকে ২৮ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ২২তম অধিবেশনের প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণ করেছে ফোরামটি।
অধিবেশন চলাকালে ফোরামের বিভিন্ন সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল তাদের বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের অর্জনগুলোকে তুলে ধরে।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী সুশীল সমাজের সদস্য এবং অন্যন্য ব্যক্তিবর্গও এ ফোরামের বিভিন্ন সভায় অংশগ্রহণ করেন।
অধিবেশন শেষে ফোরামটি এ চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের উপস্থাপিত বিভিন্ন তথ্যকে স্বাগত জানায়।
একইসঙ্গে তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশকে আরও জোর প্রচেষ্টা চালানোর অনুরোধ করে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের নারীর মর্যাদাবিষয়ক কমিশনে সর্বসম্মতিক্রমে সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
সুদানে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের জেদ্দা হয়ে ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সৌদি আরবের জেদ্দা হয়ে সুদানে আটকা পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন বলেন, প্রথমে খার্তুম থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের পোর্ট সুদানে এবং সেখান থেকে জেদ্দায় নিয়ে যাওয়া হবে।
পরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কয়েকটি ফ্লাইটে তাদের বাংলাদেশে আনা হবে।
খার্তুমে বাংলাদেশ দূতাবাস ইতোমধ্যে খার্তুম ও পার্শ্ববর্তী শহরগুলো থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের পোর্ট সুদানে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৯টি বাসের ব্যবস্থা করেছে এবং জেদ্দায় বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেলের একটি দল তাদের সহায়তার জন্য সেখানে পৌঁছাবে।
সুদানে আটকা পড়া সব বাংলাদেশিকে আগামী ২ মে'র মধ্যে পোর্ট সুদানে নিয়ে যাওয়া হবে। আগামী ৩ বা ৪ মে জেদ্দায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে বাংলাদেশি নাগরিকদের।
সুদান থেকে আনা বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য জেদ্দার দুটি বাংলাদেশি স্কুল খাবার, পানীয়, ওষুধ ও অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করছে।
আরও পড়ুন: কেন সুদানের সংঘাত বাকি বিশ্বের কাছে গুরুত্বপূর্ণ?
সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের অন্য দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে: শাহরিয়ার
মেক্সিকোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ
মেক্সিকো সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠানটি ২৬ মার্চের জন্য নির্ধারিত হলেও পবিত্র রমজান মাসের কারণে অনুষ্ঠানটি ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়।
ঊক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, শিক্ষাবিদ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যম কর্মীসহ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের মহাপরিচালক ফার্নান্দো গঞ্জালেজ সাইফে।
অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক সাইফে তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরে এই সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে মেক্সিকোর অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মেক্সিকোর সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
২০২২ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ফরেন অফিস কন্সাল্টেশনে অংশগ্রহণের সুবাদে তিনি বাংলাদেশের যে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
দুই দেশের মধ্যের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককের ‘উজ্জ্বল সম্ভাবনা’ এর কথা উল্লেখ করে তিনি এই সম্পর্ককে আরও গতিশীল, শক্তিশালী ও বাস্তবমুখী করে গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান।
উল্লেখ্য, এ বছর ঢাকায় মেক্সিকোর দূতাবাস স্থাপনের প্রেক্ষাপটে তার এই অঙ্গীকার বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, যা দুই দেশের মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা, যোগাযোগ ও অংশীদারিত্বের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং দুই লাখ বীরাঙ্গণার অপরিসীম অবদানের জন্য তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোতে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও অভিন্ন মূল্যবোধের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যকার স্থায়ী বন্ধনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ বছর ঢাকায় মেক্সিকোর দূতাবাস স্থাপনের মধ্য দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এবং সহযোগিতার নতুন সুযোগ উন্মোচিত হবে।
পরে অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়, যা তাদের বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বাদ দেয়।
উল্লেখ্য, মেক্সিকো সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতার জন্য নতুন পথ অনুসন্ধানে কাজ করে চলেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মেক্সিকোর ফরেন সার্ভিস একাডেমির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর