বৈদেশিক-সম্পর্ক
সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস
'মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন'-এর সদস্যদের এবং একটি মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রতি সমর্থন জানাতে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশের প্রধান প্রধান সংবাদ মাধ্যমের জ্যেষ্ঠ সম্পাদকদের স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
অনুষ্ঠান শেষে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানায়, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মাধ্যমে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র সুরক্ষিত থাকে।
দূতাবাস বলেছে, সাংবাদিকতা শুধু পেশাই নয়, বরং নির্বাচিত নেতাদের কাছ থেকে জবাবদিহিতা চাওয়া গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড উল্লেখযোগ্য কমেছে: পিটার হাস
বৈঠক সূত্র জানায়, এতে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়েও সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম এবং যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচনে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণের দ্বিতীয় ধাপে ৬৮১ মিলিয়ন ডলার পাওয়ার আশা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আইএমএফের বেশ কিছু শর্ত ছিল এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এসব শর্ত নিয়ে কাজ করেছে, কিছু শর্ত ইতোমধ্যে পূরণ করা হয়েছে। গত বৈঠকে বেশ কিছু বিষয়ে দুই পক্ষই একমত হয়েছে। তাই বাংলাদেশ ৬৮১ মিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় অংশ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে আইএমএফ ডিসেম্বরে তার বোর্ড সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: পলিসি রেট ৭৫ পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭.২৫ শতাংশ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘ঋণ অনুমোদনের সময় আইএমএফ আমাদের কিছু শর্ত দিয়েছিল। এর মধ্যে কয়েকটি শর্ত পূরণ করা হয়েছে। দুটি ক্ষেত্রে ব্যর্থতা রয়েছে। এগুলো হলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কম থাকা এবং রাজস্ব সংগ্রহের ঘাটতি।’
মেজবাউল বলেন, ‘তবে আইএমএফের অনেকগুলো শর্ত পূরণ হয়েছে। ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতিবেদন প্রকাশের কথা থাকলেও তা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা করা হচ্ছে।’
এছাড়া মুদ্রার বাজার-নির্ধারিত বিনিময় হার চালু করা হয়। সুদের নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফ বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। ঋণের প্রথম অংশে গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪৭৬ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: ১৪-১৮ বছর বয়সী নাগরিকরা এনআইডি ছাড়াই এমএফএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
শিগগিরই এসক্রো বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য আইএমএফের সঙ্গে চুক্তি সই
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির পর্যালোচনা করতে প্রয়োজনীয় নীতিগুলোর বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কর্মকর্তা পর্যায়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে সংস্থাটির প্রতিনিধি দল ও বাংলাদেশ। দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮১ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা রযেছে।
বাংলাদেশের অংশীজনদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের মাধ্যমে প্রথম পর্যালোচনা শেষ করে আইএমএফ এই বিবৃতি জারি করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কর্মকর্তা পর্যায়ের সমঝোতাটি আইএমএফ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন এবং নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে। এটি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশি অংশীজন এবং আইএমএফের প্রতিনিধি দল ২০২৩ সালের আর্টিকেল ৪ বিষয়ে আলোচনা করেছে। একই সঙ্গে ইসিএফ/ইএফএফ/আরএসএফ ব্যবস্থার অধীনে প্রথম পর্যালোচনা সম্পূর্ণ করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিগুলোর বিষয়ে কমৃকর্তা পর্যায়ের সমঝোতায় পৌঁছেছেন তারা।
অবশেষে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি বলেছে, আইএমএফ-সমর্থিত কর্মসূচির অধীনে কাঠামোগত সংস্কারে যথেষ্ট অগ্রগতি করেছে বাংলাদেশ। তবে সংকটগুলো রয়ে গেছে। অব্যাহত বৈশ্বিক আর্থিক কঠোরতা এবং বিদ্যমান দুর্বলতা সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। এটি টাকা ও বৈদেশিক রিজার্ভের উপর চাপ সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
এতে বলা হয়েছে, শিগগিরিই সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য নিরপেক্ষ রাজস্ব নীতি দ্বারা সমর্থিত আরও আর্থিক কঠোরতা এবং বৃহত্তর বিনিময় হারের নমনীয়তা প্রয়োজন।
সামাজিক ও উন্নয়নমূলক ব্যয়ের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক খাত তৈরি করতে বিদ্যমান নীতি সংস্কার; নীতি কাঠামো আধুনিকীকরণ; নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা জোরদারের উপর আলোকপাত করে আর্টিকেল ৪।
বাংলাদেশ সরকার এবং অন্যান্য অংশীজনদের আতিথেয়তা ও খোলামেলা আলোচনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে আই্মএফের প্রতিনিধি দল।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ সরকারি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে দলটি।
দলটি বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, দ্বিপক্ষীয় দাতা এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ ৪.৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করেছে
আইএমএফকে ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য প্রয়োজনীয় রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনার আহ্বান বাংলাদেশের
বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত: আইকাও সেক্রেটারি
আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন সংস্থার (আইকাও) সেক্রেটারি জেনারেল হুয়ান কার্লোস সালাজার বলেছেন, বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, এভিয়েশন খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও আইকাওয়ের বিভিন্ন আইনগত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর আওতায় আমরা একটি ফ্রেমওয়ার্ক সিগনেচার করেছি।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ৫৮তম ডিজিসিএ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় হুয়ান কার্লোস সালাজার বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে সিভিল এভিয়েশন খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যেসব পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সেগুলো আসলেই অভিভূত হওয়ার মতো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনের সক্ষমতার ভিত্তিতে ট্রেনিং, গাইড ও মাস্টারপ্ল্যান জাতীয় বিষয়গুলোতে আমরা পরামর্শে সহযোগিতা করব।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এই খাত সঠিক পথেই যাচ্ছে। এভিয়েশন খাতে সক্ষমতার পাশাপাশি সঠিক শিক্ষা প্রয়োজন। এর সব দিকেই বাংলাদেশ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা আশা করছি বাংলাদেশ এই খাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারবে। আমরা চাই স্থায়ী, দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যা যা মেনে চলার দরকার তার সবগুলোই বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন খাত পরিপূর্ণভাবে মেনে চলবে, তবেই আরও এগিয়ে যেতে পারবে সিভিল এভিয়েশন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
এর আগে ঢাকায় বিশ্বের ৪৭ দেশের ৫০০ এভিয়েশন কর্তার মিলনমেলা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) থেকে পাঁচ দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রায় ৪৭টি দেশ এবং ১৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিসহ মোট ৫০০ জন বিদেশি ডেলিগেট এতে অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে স্মার্ট এভিয়েশন: বিমান প্রতিমন্ত্রী
এ বছরে সম্মেলনটির মূল প্রতিপাদ্য ‘প্রোমোটিং আইকাও: জেন্ডার ইকুয়ালিটি প্রোগ্রাম ইন কনজাংশন উইং নেক্সট জেনারেশন অব এভিয়েশন প্রফেশনালস ইনিশিয়েটিভ।’ প্রতিপাদ্যের প্রথম উদ্দেশ্য হলো- জেন্ডার সমতা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করা এবং এভিয়েশন সেক্টরে আগামী দিনের জন্য দক্ষ ও প্রতিশ্রুতিশীল কর্মী গড়ে তোলা।
বেবিচক চেয়ারম্যান মো. মফিদুর রহমান বলেন, সিভিল এভিয়েশন খাতে কীভাবে আন্তঃসহযোগিতা বাড়ানো যায়, কীভাবে দীর্ঘস্থায়ী পদক্ষেপগুলো বাড়ানো যায়, কীভাবে এই খাতকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া যায়, এমন বিভিন্ন আলোচনা, পরামর্শ এই সম্মেলনের মাধ্যমে উঠে এসেছে।
তিনি বলেন, অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে আমরা এই সম্মেলন শেষ করলাম। ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) সংশ্লিষ্টরা আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ঢাকায় একটা বড় আয়োজন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সবার প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, এ সম্মেলনটি ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম আয়োজন করা হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিক নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আইকাও’র সদস্যপদ লাভ করে।
এদিকে, এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে প্রশিক্ষণ সহযোগিতা প্রসারিত করার আশ্বাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন সংস্থা (আইকাও)।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতায় বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য যৌথ বিবৃতি সই
এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন
ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে জাপানি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে জাপানি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ৩টায় রাজধানীর গুলশান- ২ এর নগরভবনের ষষ্ঠ তলার সেমিনার কক্ষে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা (অ.দা) পিয়াল হাসানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাস্তা বাড়াতে জায়গা ছাড়ার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাক্ষাতকালে তারা জলাবদ্ধতা, বায়ু দূষণ, শব্দদূষণ, মশক নিধন, স্বাস্থ্যখাত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন এবং সার্বিক বিষয়ের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এতে বলা হয়েছে, ডিএনসিসি মেয়র তার অফিসে এসে সাক্ষাতের জন্য প্রতিনিধি দলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আরও জানানো হয়েছে, সাক্ষাৎ শেষে প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত ৭৭ জন শিল্পীর আঁকা প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখেন এবং উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়র জাতিসংঘের স্থানীয়-আঞ্চলিক সরকারের উপদেষ্টা মনোনীত
মশার লার্ভা ধ্বংসে সিঙ্গাপুর থেকে কীটনাশক আনছে ডিএনসিসি: মেয়র আতিক
থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রীর কাছে জ্বালানি খাতে সহযোগিতা চাইলেন নসরুল হামিদ
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড সফরকালে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও জ্বালানিমন্ত্রী পিরাপান সালিরাথাভিভাগার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ, জ্বালানি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক যানবাহনে নিরাপদ লিথিয়াম ব্যাটারির ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, জ্বালানি নিরাপত্তায় পারস্পরিক সহযোগিতা এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ব্যবহার অদূর ভবিষ্যতে উভয় দেশের জ্বালানি খাতের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি খাতের জন্য আগামী ২ বছর ঝুঁকিপূর্ণ: নসরুল হামিদ
থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী জ্বালানি সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে পারলে উভয় দেশ লাভবান হতে পারে।
থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুল হাই, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরী এবং থাইল্যান্ডের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও অর্থায়ন প্রয়োজন: নসরুল হামিদ
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপন
নিউ ইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার (১৮ অক্টোবর) ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’ উদযাপন করা হয়।
স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পূষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। এরপর শেখ রাসেলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় অনুষ্ঠানটিতে। এরপর শেখ রাসেলের জীবন বিষয়ক একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস
অনুষ্ঠানটিতে মূল বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে সপরিবারে জাতির পিতার বর্বরোচিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, ‘শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপনের এই মুহূর্তে দু’টি অনুভূতি আমাকে তাড়িত করছে। প্রথমত, সেদিন মাত্র ১০ বছর বয়সের শেখ রাসেল, জাতির পিতা, বঙ্গমাতা ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, এমন নৃশংসতা সারা পৃথিবীতে বিরল। দ্বিতীয়ত, যে শিশুর বাবার নেতৃত্বে একটি স্বাধীন দেশ জন্মলাভ করেছে, সেখানে আজ সেই শিশুটি নেই, কিন্তু আমরা আছি। এটা আমার মাঝে এক গভীর দুঃখবোধ ও গ্লানির জন্ম দিয়েছে।’
স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, ১৫ আগস্টের খুনিদের কেউ কেউ এখনও যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পালিয়ে আছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা এ সকল নৃশংস খুনিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের আওতায় আনতে সকলকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে একযোগে কাজ করতে হবে।
চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিকের ঢাকা বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি
চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক বুধবার রাতে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাকে বহনকারী উড়োজাহাজ।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, রিফুয়েলিংয়ের জন্যই মূলত এই যাত্রাবিরতি।
এদিকে চিলির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বিমানবন্দরে যান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
চিলির প্রেসিডেন্ট বেইজিংয়ে তৃতীয় বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরাম ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনে যোগ দেন।
চিলি দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধ দেশ।
আরও পড়ুন: চিলির প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
১০ বছর মেয়াদি সোলার রোডম্যাপ প্রণয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে আইএসএ
ফিলিস্তিন সংকট সমাধান নির্ভর করছে মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান নির্ভর করছে মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর।
তিনি বলেন, মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান সম্ভব।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ঢাকায় নিযুক্ত ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধ করুন, নারী ও শিশুদের বাঁচান: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলান, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবি, মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মজিদ হালিম, কাতারের রাষ্ট্রদূত আলী এম এস আল-কাহতানি, লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদুল মুতালেব এস এম সুলাইমান, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন, ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশি, ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন ওসমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হামিদ আল তামিমি, ইরাকের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোহানাদ আল দাররাজি, ওমানের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ফাথিয়া আল-বুলুশি, ইন্দোনেশিয়ার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাদেন উসমান এফেন্দি এবং মিশরের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিনা মাকারি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত
আমরা রোহিঙ্গাদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে মনোনিবেশ করছি: আফরিন আখতার
রোহিঙ্গাদের সহায়তা করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে তাদের আশ্রয়দানকারী বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার।
মঙ্গলবার(১৭ অক্টোবর) কক্সবাজার সফর করেন তিনি।
আফরিন আখতার বলেন, ‘এই অঞ্চলকে প্রভাবিত করে এমন একটি মানবিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের অংশীদারদের প্রচেষ্টায় অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমরা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের দিকে মনোনিবেশ করছি।’
মঙ্গলবার আরআরআরসি’র মিজানুর রহমানের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা উল্লেখ করে আখতার বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন 'স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ' হতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ওয়াশ প্রকল্প পরিদর্শন করলেন সুইডিশ স্টেট সেক্রেটারি
তিনি বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল না হওয়ায় প্রত্যাবাসনে জোরপূর্বক কোনো প্রচেষ্টা চালানো উচিত নয়।
আখতার বলেন, ‘তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনসহ একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে আমরা বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাব।’
তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা এবং 'অবিশ্বাস্য উদারতার' প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সত্যিই উদারতার প্রশংসা করি।’
২০১৭ সালে দমন পীড়ন থেকে বাঁচতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: মাসুদ-আফরিন বৈঠক: বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচন চায়
১৬-১৭ অক্টোবর সফরকালে তিনি ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের সদস্য, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও মানবিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বাংলাদেশে অবস্থানকালে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও ফলপ্রসূ বৈঠক করেন আফরিন আখতার।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় সুশীল সমাজের সদস্য ও এনজিও প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সরাসরি তাদের বক্তব্য শুনেছেন তিনি।
প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী, বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা ও মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন। এ ছাড়াও, প্রতিনিধিদল শরণার্থীদের জীবন এবং আশ্রয় শিবিরের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান তারা।
আরও পড়ুন: অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: আফরিন আখতার