বৈদেশিক-সম্পর্ক
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে ১১.৬০ কোটি ডলারের মানবিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও এ অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য আরও ১১ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি মানবিক সহায়তা প্রদান করবে।
এই সহায়তার মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দানকারী সম্প্রদায়ের জন্য ৭৪ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
এই নতুন অর্থায়নের মধ্য দিয়ে ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলের সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মোট সহায়তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় মাত্র কয়েক দশকের মধ্যে দ. কোরিয়া উন্নত হয়েছে: রাষ্ট্রদূত পার্ক
মার্কিন সেক্রেটারি অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এই তহবিল বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে জীবনরক্ষাকারী সহায়তা প্রদান করে; যাদের অনেকে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং জাতিগত নির্মূল অভিযান থেকে বেঁচে গেছেন।’
তিনি বলেন, এই সহায়তার মধ্যে রয়েছে নিরাপদ পানীয়, স্বাস্থ্যসেবা, সুরক্ষা, শিক্ষা, আশ্রয় ও মনোসামাজিক সহায়তা।
ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য রোহিঙ্গা-আশ্রয়কারী দেশের সরকার ও জনগণের উদারতার স্বীকৃতি দেয় এবং অন্যান্য দাতাদের বাংলাদেশে মানবিক প্রতিক্রিয়ায় অবদান রাখতে, মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে বিতাড়িত ও ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা বৃদ্ধি করতে এবং শরণার্থী সংকটের স্থায়ী সমাধানে কাজ করার আহ্বান জানায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের জন্য ৩ মিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা দেবে দ.কোরিয়া
অস্ট্রেলিয়ায় কর্মসংস্থানের জন্য গমনেচ্ছুদের প্রতি বাংলাদেশ হাইকমিশনের সতর্কবার্তা
কর্মসংস্থানের জন্য ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় গমনেচ্ছুদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
বাংলাদেশ হাইকমিশন বলেছে, কতিপয় অসাধু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কাজের প্রলোভন দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় কাজের সুযোগ পেতে আগ্রহীদের নিকট হতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
দেশেটিতে চাকরি পেতে আগ্রহীদের কাজের ভিসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ হাইকমিশন, ক্যানবেরার সহায়তা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছে হাইকমিশনটি।
একইসঙ্গে দেশটির ভিসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে সকলকে অবগত থাকার জন্যও অনুরোধ করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অংশগ্রহণ জি-২০ আলোচনা সমৃদ্ধ করবে: ভারতীয় হাইকমিশনার
হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ায় অস্থায়ী ও স্থায়ী ভিসায় কর্মী নেওয়ার জন্য ‘টেম্পোরারি স্কিল শর্টেজ সাবক্লাস ৪৮২’ নামে একটি ভিসা চালু রয়েছে। এই ভিসার ক্ষেত্রে বয়সের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও পেশাদার কর্মীদের অস্ট্রেলিয়ায় কাজের জন্য গমনের সুযোগ রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, এই ভিসা পাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকার অনুমোদিত একজন স্পন্সর (নিয়োগকারী) প্রয়োজন হয়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পেশার শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিশেষ করে ‘ট্রেড’ পেশার জন্য অস্ট্রেলিয়ান কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী সার্টিফিকেট-৩/৪ অথবা ডিপ্লোমা প্রয়োজন হয়। স্কিল লেভেল-১ পেশার জন্য ব্যাচেলর বা মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন।
হাইকমিশন জানিয়েছে, যে কোনো পেশার ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩-৪ বছরের পূর্ণকালীন কাজের অভিজ্ঞতা দরকার হয়। অভিজ্ঞতা প্রমাণের জন্য চাকরির নিয়োগপত্র, বিগত ২ বছরের বেতন বিবরণী, ব্যাংকের হিসাব বিবরণী প্রয়োজন হয়। সংশ্লিষ্ট পেশায় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে ৫-৬ বছরের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। তবে সংশ্লিষ্ট পেশায় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে ‘রিকগনিশন অব প্রায়োর লারনিং’ এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় নিদিষ্ট সংখ্যক কলেজ হতে পেশা সংক্রান্ত শিক্ষাগত সনদ অর্জন করা যায়।
আরও পড়ুন: তথ্যপ্রযুক্তি বাণিজ্যে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা: হাইকমিশনার
এছাড়া, পেশা বিবেচনায় আইইএলটিএসের স্কোর প্রয়োজন হয় ৫ থেকে ৬। আইইএলটিএস ছাড়াও অন্যান্য স্বীকৃত পরীক্ষা যেমন টোফেল, পিটিই গ্রহণযোগ্য।
বিদেশি কর্মীদের কাজের দক্ষতা অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যাচাই করাতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশি পাসর্পোটধারীদের কয়েকটি পেশার জন্য দক্ষতা যাচাই করানোর প্রয়োজন হয় না। সেগুলো হলো- অটোমোটিভ ইলেকট্রিশিয়ান, ক্যাবিনেট মেকার, কারপেন্টার, কারপেন্টার ও জয়েনার, ডিজেল মোটর মেকানিক, ইলেকট্রিশিয়ান (জেনারেল), ইলেকট্রিশিয়ান (স্পেশাল ক্লাস), ফিটার (জেনারেল), ফিটার এবং টারনার, ফিটার-ওয়েল্ডার, জয়েনার, মেটাল ফেবরিকেটার, মেটাল মেকানিস্ট (ফার্স্ট ক্লাস), মোটর মেকানিক (জেনারেল), প্যানেল বিটার, পেস্ট্রি কুক, সিটমেটাল ট্রেড ওয়ার্কার, টুল মেকার, ওয়েল্ডার (ফার্স্ট ক্লাস)। টেম্পোরারি স্কিল শর্টেজ ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া কর্মীদের বার্ষিক বেতন কমপক্ষে ৭০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার।
এ ভিসার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে অস্ট্রেলিয়ার হোম অফিসের এই ওয়েব ঠিকানায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার কনস্যুলেটকে ১ অক্টোবর থেকে হাইকমিশনে উন্নীত করবে সিঙ্গাপুর
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহায়তা দিন: ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের গণহত্যার অভিযোগে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় সহায়তা দিতে ওআইসি’র সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার(২১ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ ভবনে অনুষ্ঠিত ওআইসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বার্ষিক সমন্বয় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
গণহত্যা কনভেনশনের আওতায় রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের মুখোমুখি করতে ওআইসির ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রোহিঙ্গা ইস্যু বাংলাদেশ, ওআইসি তথা সারাবিশ্বের জন্য একটি ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ বলে উল্লেখ করেন ড. মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তির নিদর্শন স্থাপন করেছে।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে সিয়েরা লিওনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীরে আগ্রহ প্রকাশ
ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ড এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অপব্যবহারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতিকে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন।
ড. মোমেন সম্প্রতি মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্প এবং লিবিয়ার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি বাংলাদেশের গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেন।
মৌরিতানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ উইল মারজুগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ওআইসির মহাসচিব হুসেইন ব্রাহিম তাহা এবং ওআইসির সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রীর বৈঠক
সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে বাংলাদেশ-চীন একসঙ্গে কাজ করবে: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নীতি, অবকাঠামো, বাণিজ্য, আর্থিক এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও চীন আরও শক্তিশালী সহযোগিতা করতে পারে।
বৃহস্পতিবার(২১ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ইআরডির অতিরিক্ত সচিব ও উইং চিফ মো. আনোয়ার হোসেন, বিডা’র নির্বাহী সদস্য ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, বিসিসিআই’র মহাসচিব আল মামুন মৃধা, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ আজিম এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. রেফায়েত উল্লাহ মৃধা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ যারা বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ এ যোগ দিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, বিগত সাত বছরে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গতি সঞ্চার করেছে এবং বাংলাদেশিদের জীবনযাত্রার উন্নতিতে ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, আগামীতে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ শক্তিশালী জীবনীশক্তি উন্মোচন করতে থাকবে এবং চীন ও বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ ও সমৃদ্ধির রাস্তা হয়ে উঠবে।
নীতি সংযোগের বিষয়ে দুই দেশের নেতারা চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য শক্তিশালী রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
অবকাঠামোগত যোগাযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশে ১২টি সড়ক, ২১টি সেতু এবং ২৭টি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকল্প নির্মাণ করেছে এবং চীনা কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে সাড়ে পাঁচ লাখেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল এবং পদ্মা সেতু রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পের প্রথম অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।
আরও পড়ুন: ইইউ’র পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর ওপর নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে না: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য সংযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টানা ১২ বছর ধরে চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার।
বাংলাদেশ ২০১৬ সালে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে যোগদানের পর থেকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০২২ সালে দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের টেকসই ও ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়নের প্রচার চালিয়ে যাবে, চীনে আম এবং অন্যান্য উচ্চ মানের কৃষি পণ্য রপ্তানি ত্বরান্বিত করবে।’
তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা এগিয়ে নেবে। সিআইআইই-এর মতো প্ল্যাটফর্মের ভালো ব্যবহার করবে, বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার বৈচিত্র্য আনতে সাহায্য করবে এবং বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণে সহায়তা করবে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ চীনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে যাতে মানবজাতির জন্য একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ নিয়ে সম্প্রদায় গঠন করা যায়।
তিনি বলেন, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আধিপত্য খোঁজার কোনো কারণে নেই, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনো ঐতিহ্য নেই এবং সম্প্রসারণ ও লুণ্ঠনের কোনো উপাদান নেই।’ তিনি বলেন, এটা বলা যায় যে বাংলাদেশের আধুনিকায়নের যাত্রায় বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ‘ভিশন-২০৪১’ এবং ‘সোনার বাংলার’স্বপ্নের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং বাংলাদেশের বাস্তবতার জন্য উপযুক্ত।
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের দিকনির্দেশনা নিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক অবশ্যই নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার নতুন যুগের সূচনা করবে।
২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগের মজুদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
বাংলাদেশে ৬৭০টিরও বেশি চীনা কোম্পানি কাজ করছে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘এইমাত্র, আমি ১৬টি চীনা কোম্পানিকে লাইসেন্স দিয়েছি যাদের দক্ষিণ এশিয়ার সদর দপ্তর বাংলাদেশে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবেন না: বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবেন না: বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের সৃষ্ট সংকট সমাধানে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা ও তাদের প্রত্যাবাসন বিষয় এজেন্ডার শীর্ষে রাখতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে 'হ্যাভ দে ফরগটেন আস?' এবং মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বৈশ্বিক সংহতি অব্যাহত রাখার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, ‘এই দুর্দশাগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের জীবনধারণের জন্য আমাদের মানবিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন।’
তিনি আরও বলুন, ‘এই জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত, নিয়মে পরিণত করা ও ঘৃণ্য নৃশংসতাকারী অপরাধীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য চলমান ও প্রচলিত আইনি এবং বহুপক্ষীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।’
তিনি স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনকে সবচেয়ে কার্যকর করে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে সমন্বিত প্রচেষ্টা বহুগুণ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: 'উষ্ণ আতিথেয়তার' জন্য জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কন্যা পুতুল
বাংলাদেশসহ কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ পৃষ্ঠপোষকতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু এখন স্থবিরতার পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত ৬ বছরে বাস্তুচ্যুত একজন রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে তাদের বাড়িতে ফিরতে পারেননি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে তাদের দীর্ঘদিনের উপস্থিতি শুধু তাদেরকে হতাশার দিকে ঠেলে দিচ্ছে না; এটি কক্সবাজারের পরিস্থিতিকেও অনিশ্চিত করে তুলছে। আশ্রয়দাতা সম্প্রদায় আজ তাদের উদারতার শিকারে পরিণত হয়েছে।’
সর্বোপরি, তিনি বলেন, তাদের চাহিদার প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। এটি মানবিক সহায়তা পরিকল্পনায় ক্রমবর্ধমান অর্থায়নের অভাব স্পষ্ট।
শেখ হাসিনা বলেন, সমগ্র বিশ্ব অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য অনেক কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা যে রেকর্ড পরিমাণ উচ্চতায় পৌঁছেছে, সে বিষয়ে তারা অবগত আছেন।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব রোহিঙ্গাদের ভুলে যেতে পারে না কেননা ২০১৭ সালে তাদের দেশত্যাগ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না এবং তারা কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে নিপীড়ন ও বিতাড়িত হওয়ার শিকার হয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, তাদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিকারে এগিয়ে আসতে সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে। তাদের ভরণপোষণের জন্য মানবিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটিই সব কিছু নয়।
আরও পড়ুন: শুক্রবার ইউএনজিএ-তে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
'উষ্ণ আতিথেয়তার' জন্য জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কন্যা পুতুল
প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে তোলা একটি ছবি এক্সে (সাবেক টুইট) শেয়ার করেছেন।
পুতুল এক্সে লেখেন, ‘ধন্যবাদ। আপনার আতিথেয়তা সর্বদা উষ্ণ এবং স্বাগত জানায়। আমরা একটি সুন্দর সময় কাটিয়েছি।’
আরও পড়ুন: শুক্রবার ইউএনজিএ-তে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৫টি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
ইইউ’র পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর ওপর নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে না: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাক বা না পাঠাক নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এটাকে অতি সরলীকরণ করে কোনো উপসংহারে আসার সুযোগ নেই।
শাহরিয়ার বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের খুব গভীর সম্পর্ক রয়েছে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইইউ'র পক্ষ থেকে কোনো চিঠি পায়নি।
আরও পড়ুন: ‘বাজেট স্বল্পতা’র কারণে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ: ইসি সচিব
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের কাছ থেকে যে তথ্য পেয়েছে সে বিষয়ে মন্তব্য করবে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, এটি পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ইইউর একটি শর্ত ছিল বলে আমরা আগে থেকে জানি।
এর আগে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাজেট স্বল্পতার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশে পাঠাবে না।
তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে একটি ইমেল পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ইইউ জানিয়েছে, তারা ইসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। তারা আমাদের দেশে এসে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছে। নির্বাচনের সময় তাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ কারণে তারা একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না। কিন্তু দেশে এখন একটি ছোট দল রয়েছে। আমাদের দেশে ইইউ’র যারা আছে তারা এটি করবে কি না সে সম্পর্কে কিছু বলেনি।’
আলম আরও বলেন, ইইউ নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। তারা সিইসির সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রীর বৈঠক
বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচন অনুসন্ধান মিশনের (এক্সএম) সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের ফলোআপ হিসেবে একটি চিঠি পেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
চলতি বছরের জুলাই মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মিশন নির্বাচন কমিশন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে।
ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল।
ঢাকায় ইইউ মিশনের মতে, নির্বাচন অনুসন্ধান মিশনের মূল উদ্দেশ্য ছিল আসন্ন সংসদ নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের ‘পরামর্শ, উপযোগিতা ও সম্ভাব্যতা’ মূল্যায়ন করা।
এই মিশনের কাজ ছিল প্রধান নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের পরিধি, পরিকল্পনা, বরাদ্দ, রসদ ও নিরাপত্তা মূল্যায়ন করা।
ইইউ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে অবস্থানকালে সরকারি প্রতিনিধি, নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার ভিসা অব্যাহতি সমঝোতা স্মারক পুনর্বহাল
৪৫.৮০০ টন ইলিশের প্রথম চালান ভারতে পৌঁছেছে
বৃহস্পতিবার যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৪৫ দশমিক ৮০০ টন ইলিশের প্রথম চালান ভারতে প্রবেশ করেছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ইলিশ বহনকারী মোট ১২টি ট্রাক ভারতের পেট্রোপল ল্যান্ডপোর্টে পৌঁছেছে।
রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মহিমা এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, সেভেন স্টার ফিশ প্রসেসিং রিপা এন্টারপ্রাইজ এবং প্যাসিফিক সিফুড।
আরও পড়ুন: ৫০৭ টাকা কেজি দরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু
ভারতীয় আমদানিকারক হলো- এসআর ইন্টারন্যাশনাল নাজ ইমপ্লেক্স প্রাইভেট লিমিটেড, বিমল রায় ও বরখা বিকাশ ফিশ এজেন্সি।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এমি এন্টারপ্রাইজ ও গনি অ্যান্ড সন্স চালানটি মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়েছে। প্রতি কেজি ইলিশের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ ডলার।
বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, রপ্তানিকারকদের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রপ্তানি করতে হবে।
এর আগে বুধবার হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭৯ রপ্তানিকারককে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। তারা ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ৫০ টন ইলিশ রপ্তানি করতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
গত বছর সরকার ২ হাজার ৯০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিলেও রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৩০০ টন।
২০১২ সাল থেকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করে আসছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার ভিসা অব্যাহতি সমঝোতা স্মারক পুনর্বহাল
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টে ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের অনুচ্ছেদ ২ পুনরায় কার্যকর করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন সমঝোতা স্মারকটি পুনরায় চালুর বিষয়ে মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অবশেষে ১৪ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার সরকার এ বিষয়ে সম্মতি দেয়।
দুদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমঝোতা স্মারকটি পুনরায় চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে। বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াংগুন বাংলাদেশ সরকারের এ সিদ্ধান্ত কূটনৈতিক মাধ্যমে মিয়ানমার সরকারকে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘মিয়ানমারে আমাদের নিজের ঘরে ফিরতে সাহায্য করুন’
এর আগে ২০০৪ সালে সই হওয়া এই সমঝোতা স্মারকের ২ নম্বর অনুচ্ছেদটি মিয়ানমার সরকার ২০২০ সালের ২৮ মার্চ কোভিড-১৯ অতিমারির পরিপ্রেক্ষিতে স্বপ্রণোদিতভাবে স্থগিত ঘোষণা করে।
এ সমঝোতার আলোকে দু’দেশের কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা অনধিক ৯০ দিন পরস্পরের দেশে ভিসা ব্যতীত অবস্থান করতে পারবে। সমঝোতা স্মারকটি পুনরায় চালু হওয়ায় শুধু সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগই বৃদ্ধি পাবে না, বরং দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কেরও উন্নতি ঘটবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও মিয়ানমার হয়ে চীনের বুলেট ট্রেন ভারত যাবে
সরকারি সফরে ইউএই’র উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিমান বাহিনী প্রধান
সরকারি সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান।
বৃহস্পতিবার আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সফরকালে এয়ার চিফ শারজাহতে অবস্থিত এএএল গ্রুপ, এমআরও ফ্যাসিলিটির হেলিকপ্টার মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও ওভারহল প্ল্যান্ট পরিদর্শন করবেন।
তিনি একটি দলের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ২৪ দেশের সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করবে: আইএসপিআর
এয়ার মার্শালের র্যাংক ব্যাজে সজ্জিত বিমান বাহিনী প্রধান