���������������������-���������������������
রিয়াদে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত
সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এরপর রাষ্ট্রদূত দূতাবাসে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া রিয়াদে বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
পরে, দূতাবাসের অডিটরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সাহসী, নির্ভীক, মানবদরদী ও অধিকার আদায়ে আপসহীন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত দেশের প্রতিটি স্বাধীকার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার অবিস্মরণীয় নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে যেন শিশুরা বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা লাভ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে পারে।
দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রিয়াদে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা জাতির পিতার জীবন ও আদর্শ তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র ও প্রদর্শন করা হয়।
জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর আয়োজিত রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। এছাড়া দেশ ও জাতির অগ্রগতির জন্যও দোয়া করা হয়।
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বেঁচে থাকবে: হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দিকী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিযোগিতায় সেদেশের রাজধানী ক্যানবেরাসহ বিভিন্ন রাজ্যের শিশু-কিশোররা অংশগ্রহণ করে। এছাড়া আজ রবিবার বাংলাদেশ হাইকমিশনে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় শিশু-কিশোরদের নিয়ে কেক কাটেন এবং তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শনের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও সংগ্রামের পরিণতি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি তার সাহস ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে সমগ্র জাতিকে সংগঠিত ও স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেন। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বেঁচে থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু কখনো আপোষ করেননি। দেশে-বিদেশে শিশু-কিশোরদের মাঝে দেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে হবে।’
বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত এবং প্রার্থনা করা হয়।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীও পাঠ করা হয়। এর আগে হাইকমিশনার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশি, বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বাঙালি জাতিসত্তাকে পূর্ণতা দেন বঙ্গবন্ধু: হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দিকী
৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির শত শত বছরের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ: আল্লামা সিদ্দিকী
'জিম্মি নাবিক ও জাহাজ বিষয়ে সংবাদ প্রচারে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সোমালিয়ায় জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিকের বিষয়ে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের টেলিভিশনে কী দেখাচ্ছে, কী হচ্ছে সেটা কিন্তু যারা জিম্মি করেছে তারা দেখে, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশের সব টেলিভিশন দেখার সুযোগ আছে। যখন এই বিষয়টাকে অতি গুরুত্ব দেওয়া হয়, জিম্মিদের পরিবারের প্রতিক্রিয়া যখন ওরা দেখে, তখন অপহরণকারীদের অবস্থান আরও অনমনীয় হয় ও হচ্ছে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।'
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে মত বিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিষয়ে সবারই আরও সতর্ক হওয়া দরকার উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য তো নাবিকদের ও জাহাজটাকে মুক্ত করা। সুতরাং আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে যদি দায়িত্বশীল আচরণ করি তাহলে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সহজ হবে।’
ড. হাছান বলেন, এটি নিয়ে সরকার কাজ করছে, অতীতেও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ১০০ দিনের মাথায় একই কোম্পানির জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। এখনো আমরা আশা করছি আমাদের যে সমন্বিত প্রচেষ্টা আছে, সুস্থভাবে নাবিকদের ও জাহাজটাকে মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব।
আরও পড়ুন: নাবিক ও জিম্মি জাহাজ মুক্ত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের নাগরিকত্ব আইন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বিষয়টি দেখছে।
তিনি বলেন, ‘ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন সিটিজেনশিপ এমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট (সিএএ) তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যেহেতু বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশ, সেই হিসেবে আমরা বিষয়টির দিকে নজর রাখছি।’
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে মত বিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নাবিক ও জিম্মি জাহাজ মুক্ত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের একটি দপ্তর আবারও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছে – এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো দপ্তর তাদের মতামত দিতেই পারে। তারা বলেছে, বিরোধী দল অংশ নেয়নি। বাংলাদেশে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের অংশ নেওয়া বা না নেওয়ার দায় সরকারের ওপর বর্তায় না, সেটি সেই দলের দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, 'সেই দল বরং নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়েছিল, সেই লক্ষ্যে দেশে সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছিল এবং সেই সহিংসতার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল, তাদেরই শুধু গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'
হাছান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব এবং সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তারা কাজ করছে। আমরাও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে এবং আমাদের যে বহুমাত্রিক সম্পর্ক, সেটিকে আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একসঙ্গে কাজ করার লক্ষ্যে এগোচ্ছি।’
যেকোনো দেশের ভিন্নমতকে বাংলাদেশ সম্মান করে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশিরভাগ রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। পৃথিবীর প্রায় ৮০টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে সম্পর্ক দ্বিতীয় পর্যায়ে উন্নিত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। সুতরাং আমাদের বিবেচনায় এই অঞ্চলের নিরিখে অত্যন্ত সুন্দর, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে রবিবার ঢাকায় আসছেন আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী সাইমন কোভেনি
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ জোরদারের লক্ষ্যে সরকারি সফরে রবিবার ঢাকায় আসছেন আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী সাইমন কোভেনি।
তিনি তার সরকারের ‘সেন্ট প্যাট্রিক ডে’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশে ৭ দিনের সরকারি সফর করছেন।
আইরিশ সরকার জানিয়েছে, বাংলাদেশ সফরের সময় মন্ত্রী কোভেনি আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের প্রথম অনারারি কনস্যুলেট উদ্বোধন করবেন এবং রাজনৈতিক, বাণিজ্য ও আয়ারল্যান্ড-বাংলাদেশ কমিউনিটির বেশ কয়েকটি বৈঠকে অংশ নেবেন।
ভারতে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি বলেন, ‘সেন্ট প্যাট্রিক ডে-২০২৪ উপলক্ষে ভারত ও বাংলাদেশে মন্ত্রী কোভেনিকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি আনন্দিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আরও আনন্দিত যে মন্ত্রী কোভেনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের প্রথম অনারারি কনস্যুলেট উদ্বোধন করবেন, যা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’
ঢাকার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আয়ারল্যান্ড সম্প্রতি বাংলাদেশে কসমস গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ জামিল খানকে অনারারি কনসাল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মাসুদ জামিল খান আয়ারল্যান্ডের অনারারি কনসাল নিযুক্ত
মন্ত্রীর সফর সম্পর্কে খান বলেন, ‘বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে একসঙ্গে কাজ করার এবং বিস্তৃত ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনা কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।’
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘বাংলাদেশ দ্রুত বর্ধনশীল দেশ এবং আয়ারল্যান্ড উন্নত ও শিক্ষিত দেশ। উভয় পক্ষ একসঙ্গে বেশ ভালো কাজ করতে পারে।’
মাসুদ বলেন, ‘মন্ত্রী সাইমন বাংলাদেশে আসছেন বলে আমরা সম্মানিত। দিল্লিতে আমার রাষ্ট্রদূত (ভারতে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি) এই বিষয়কে সমর্থন করেছেন। আমি মনে করি, এটি একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সফর।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে বৈঠক করবেন কোভেনি।
সফরকালে সেন্ট প্যাট্রিক দিবস, আয়ারল্যান্ডের জাতীয় দিবস এবং 'বাংলাদেশে আয়ারল্যান্ডের অনারারি কনস্যুলেট'র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: গ্যালারি অন হুইলস: ইউনেস্কোর ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় রিকশা পেইন্টারদের কসমস ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা
ঢাকায় অবস্থানকালে আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সম্পর্ক নিয়ে একটি সংলাপে অংশ নেবেন।
১৯৭২ সালের প্রথম দিকে বাংলাদেশকে আয়ারল্যান্ডের স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিরাজ করছে।
গত ২৭ বছরে আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশের রপ্তানি বার্ষিক ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ হারে বেড়েছে। রপ্তানির এ পরিমাণ ১৯৯৫ সালে ৬.৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০২১ সালে ৩৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ‘সুতরাং, এটি বিশাল আকারের রপ্তানি বৃদ্ধি।’
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৭ বছরে আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশের রপ্তানি বার্ষিক ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ১৯৯৫ সালের ৭ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার থেকে ২০২২ সালে ৪৬৬ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: তুর্কি দূতাবাস-গ্যালারি কসমস আয়োজিত 'স্মাইলস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড: অ্যান আর্টিস্টিক সেলিব্রেশন’
এমভি আবদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা ভারতীয় নৌবাহিনীর
মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ওপর জলদস্যুতার হামলার ঘটনায় ভারতীয় নৌবাহিনী মিশন যুদ্ধজাহাজ ও একটি দূরবর্তী টহল জাহাজ (এলআরএমপি) মোতায়েন করেছে।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মোতায়েন করা হয় এলআরএমপিটি এবং ১২ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় এমভির অবস্থান নির্ধারণের পর জাহাজের ক্রুদের অবস্থা জানার জন্য যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হয়।
তবে জাহাজটি থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী।
আরও পড়ুন: নাবিক ও জিম্মি জাহাজ মুক্ত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২৩ নাবিকসহ জাহাজ ফেরত আনার লক্ষ্যে আমরা অবিচল: এমএইউ সচিব খুরশেদ
সৌদি ক্রাউন প্রিন্স এ বছর বাংলাদেশ সফরে আসছেন: রাষ্ট্রদূত
সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশে সরকারি সফরে আসছেন।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিহাসে যা যুগান্তকারী ঘটনা হবে এবং সম্পর্ক বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় করবে বলে উভয় পক্ষ মনে করে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেন, ‘সৌদি যুবরাজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। তবে তারিখ এখনো ঠিক হয়নি।’
চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে এই সফর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি ভ্যান চালকের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিলেন সৌদি বাদশাহ
১৯৮৫ সালের পর তৎকালীন সৌদি যুবরাজ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজের ঢাকা সফরের পর এটিই হবে কোনো সৌদি যুবরাজের প্রথম বাংলাদেশ সফর।
সৌদি নেতার সফরকালে বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে, যা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে জোরদার করবে- উভয় পক্ষ এমনটাই আশা করছে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, সফরকালে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় এবং সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।
বৃহস্পতিবার ফুড বাস্কেট বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সৌদি রাষ্ট্রদূত।
সুবিধাজনক সময়ে শিগগিরই যুবরাজের প্রস্তাবিত সফর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: সৌদি প্রবাসীদেরকে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে এবং সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল আগামী মাসে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বে টার্মিনাল পরিচালনা শুরু করবে।
ফুড বাস্কেট বিতরণ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, সারা দেশের ৩২টি স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের মধ্যে ২৪ কেজি করে মোট ১৫ হাজার ৫০০ ঝুড়ি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গারা এই গ্রহীতাদের মধ্যে থাকবে।
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশনায় সংহতির প্রতীক হিসেবে অসহায় মানুষদের মাঝে এসব খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরবে কর্মরত প্রায় ২৮ লাখ বাংলাদেশি সৌদি ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
আরও পড়ুন: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
ড. ইউনূসকে ‘হয়রানির’ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
মার্কিন সিনেটর ডিক ডারবিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
সিনেটর ডারবিন বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্য দেয় যুক্তরাষ্ট্র এবং আমি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় বাংলাদেশের প্রশংসা করি।’
তিনি বলেন, কিন্তু আপাতদৃষ্টে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা অবসানের ব্যর্থতা দুই দেশের অংশীদারত্বে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেন, ‘রাষ্ট্রদূত ইমরানের সঙ্গে বৈঠকে আমি প্রফেসর ইউনূসের বিরুদ্ধে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছি।’
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে ড. ইউনূস ও অপরচুনিটি ইন্টারন্যাশনাল অফিসারের আলোচনা
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে একীভূত করার প্রস্তাব ঢাকার প্রত্যাখ্যান
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে বসবাসে সব ধরনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ইউএনএইচসিআর ও আইওএমসহ সব মানবিক সহায়তা সংস্থাকে অনুরোধ করেছেন।
তিনি দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
গত ১৩ মার্চ জেনেভায় রোহিঙ্গাদের জন্য ২০২৪ জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের (জেআরপি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাসুদ এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র সচিব মোমেন সতর্ক করে বলেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে মৌলবাদ ও চরমপন্থার ঝুঁকি থেকে উদ্ভূত হুমকি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপস্থিতি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ন্যায্যতার ভিত্তিতে বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দায়িত্ব নিয়ে নীতি বাস্তবায়ন না করলে, শুধু বাংলাদেশ, ইউএনএইচসিআর, আইওএম ও ডব্লিউএফপির পক্ষে রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য কার্যক্রম চালানো এবং সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। ক্রমবর্ধমান তহবিল সংকট কাটিয়ে ঊঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের প্রতিশ্রুত অনুদান আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র সচিব উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, নিরাপত্তা ও সামাজিক-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর এর গুরুতর প্রভাব থাকা সত্ত্বেও দেশটি গত ছয় বছর ধরে ১.১ মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ এই মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সর্ববৃহৎ দাতা দেশ এবং ২০২২ সালেই ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের চাপ কমাতে বিকল্প পথ অনুসন্ধানে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কঠিন করে তুলেছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে প্রতি বছর ৩০ হাজার নবজাতক জন্ম নিচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে একীভূত করার সম্ভাবনা নাকচ করে, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে ইউএনএইচসিআর এবং আইওএমসহ সমস্ত মানবিক প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করেন মাসুদ।
এই বছর জেআরপিতে ১৯৫টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১.৩৫ মিলিয়ন রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য ৮৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল চাওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে জেআরপি-২০১৪ এর প্রথম কৌশলগত উদ্দেশ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনই হবে এই সংকটের টেকসই সমাধান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারীদের জন্য জাতিসংঘ ও সহযোগী সংস্থাগুলোর ৮৫২.৪ মিলিয়ন ডলার আহ্বান
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। এছাড়াও, তিনি রোহিঙ্গা ও নিজ দেশের ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের কল্যাণ নিশ্চিতে বিশ্বব্যাংকের আইডিএ ক্রেডিট তহবিল থেকে অনুদান ও ঋণ গ্রহণে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
হাই কমিশনার আরও বলেন, সরকারের এই উদ্যোগ জেআরপির সম্পূরক তহবিল স্ফীত করবে।
মানবিক সহায়তা তহবিলের ক্রমবর্ধমান তহবিল ঘাটতির বিষয়ে উদ্বেগ জানান আইওএম মহাপরিচালক এমি পোপ। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগণের মধ্যে অনেক ইতিবাচক সম্ভাবনা রয়েছে। মিয়ানমারে নিজ ভূমিতে তাদের চূড়ান্ত প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে এই জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়াও কক্সবাজারের বাস্তুসংস্থান ও জীব-বৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে উপস্থিত প্রতিনিধিগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তিনি বিশেষ করে উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থল কক্সবাজারেই ছয় হাজার হেক্টর সংরক্ষিত বনভূমির অস্তিত্ব এখন বিলুপ্তির মুখে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অধিকতর গুরুত্ব আরোপ করতে বলেন।
১২-১৩ মে ঢাকায় বিমসটেকের বৈঠক
বিমসটেকের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে এমিনেন্ট পারসনস গ্রুপের (ইপিজি) তৃতীয় বৈঠক আগামী ১২-১৩ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
বিমসটেক নেতাদের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে ইপিজি।
এর আগে গত ১১-১২ মার্চ ঢাকার বিমসটেক সচিবালয়ে ইপিজির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিমসটেকের বর্তমান চেয়ারম্যান থাইল্যান্ডের ইপিজি সদস্য ডক্টর সুনথর্ন চাইনদিপম।
বৈঠকে ৬টি বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রের ইপিজি সদস্যরা অংশ নেন।
বিমসটেকের মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডের নেতৃত্বে ইপিজির আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে: প্রধানমন্ত্রী
বিমসটেক-২০৩০ এজেন্ডা অনুযায়ী একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত বঙ্গোপসাগর অঞ্চল গড়তে বিমসটেকের সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুপারিশ করার লক্ষ্যে সংস্থাটির প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়াসহ কাঠামো নিয়ে কাজ করছে ইপিজি।
দুই দিনের বৈঠকে বিমসটেকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনার সময় প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ কাঠামোর পাশাপাশি বিমসটেকের বাহ্যিক সম্পর্ক এবং সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করে ইপিজি।
এর আগে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি ঢাকায় প্রথম বৈঠক হয়।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা জোরদারে পরিকল্পনা বাস্তবে রূপান্তরিত করার অঙ্গীকার বিমসটেক প্রধানের