%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
শেরপুরে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর
‘নিজের নামে জমি, নিজের ঘর। এ আনন্দ বলে বুঝানো যাবে না। আমরা আর ভিক্ষা করতে চাই না। কর্ম করে বাঁচতে চাই। ঘরতো হলো, মাথাগুজার ঠাঁই হলো। এখন আমরা যাতে আয়-উপার্জন করতে পারি, নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারি, সেই সুযোগ চাই।’ জমি সহ ঘর পেয়ে খুশিতে কথাগুলো বললেন তানিয়া হিজড়া।
শেরপুরে ৭ জুন সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের কবিরপুর মৌজার আন্ধারিয়া সুতিরপাড় এলাকায় ২ একর ওপর ওপর নির্মিত তৃতীয় লিঙ্গ হিজড়া জনগোষ্ঠীর ৪০ জনের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব প্রধান অতিথি হিসেবে এসব ঘর হস্তান্তর করেন। এসব হিজড়াদের জন্য ঘরের আসবাবপত্র, রান্নাবান্নার থালা-বাসন, খাদ্যসমাগ্রী সহ প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান করা হয়।
এছাড়া আবাসন প্রকল্পে সবজি আবাদের জন্য সবজি বীজ, পুকুরে মৎস্য অবমুক্ত করণ করা হয় এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার পক্ষ থেকে প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ঋণ প্রদান করা হয়।
ভিক্ষাবৃত্তি ও চাঁদাবাজি ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনের স্বপ্ন এখন শেরপুরে বসবাসরত তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মানুষের। কম্পিউটার, শেলাই, পার্লারের কাজসহ নানা প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে জীবিকা উপার্জন করতে চান তারা।
মূল জনশক্তিতে এগিয়ে আসার জন্য তাদের আগ্রহকে প্রাধান্য দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহায়তায় জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ‘স্বপ্নের ঠিাকানা’ আবাসন প্রকল্প। এই আবাসন প্রকল্পে ৪০ জনের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে নতুন ঘরের চাবি। সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের কবিরপুর মৌজাধীন আন্ধারিয়া সুতিরপাড় এলাকায় ২ একর সরকারি খাসজমিতে নির্মিত হয়েছে এই স্বপ্নের ঠিকানা।
শেরপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, দুই একর জায়গায় ৬৯ লাখ ৪ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই আবাসন প্রকল্পে বসবাসকারি হিজড়াদের আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য থাকছে প্রায় ৪০ শতক জমির ওপর একটি পুকুর, শাক-সবজি, ফসল আবাদের জন্য রাখা হয়েছে খোলা জায়গা, আত্মকর্ম প্রশিক্ষণের জন্য নির্মিত হয়েছে একটি মাল্টিপারপাস কক্ষ। গুচ্ছগ্রামের সাথেই রয়েছে ৮ একরের বড় একটি সরকারি খাস বিল। সেই বিলটিও খনন করে মৎস্য চাষের জন্য হিজড়াদের দেয়ার প্রক্রিয়া চলেছে। গুচ্ছগ্রামে নির্মিত প্রতিটি ঘরের সাথেই রয়েছে রান্নাঘর ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা।
শেরপুর জেলা হিজড়া কল্যাণ সংস্থার সভাপতি নিশি সরকার গুচ্ছগ্রামের মাধ্যমে তাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করায় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। একইসাথে তারা হিজড়াদের বিষয়গুলো জনসম্মুখে তুলে ধরার জন্য জনউদ্যোগ শেরপুর কমিটির প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মাঝে যুবলীগের ঈদ উপহার
এসময় তিনি বলেন, গুচ্ছগ্রামের মাধ্যমে আমাদের বাসস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এখন আমাদের কর্মসংস্থানের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভিক্ষাবৃত্তি চাই না, চাঁদাবাজি করে জীবন চালাতে চাই না। আমরা মানুষের মতো বাঁচতে চাই। কর্ম করে খেতে চাই।
দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
দুর্নীতির অভিযোগে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ৫নং ঝিনাইগাতি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বরখাস্তের বিষয়টি জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার শেরপুর কালেক্টরেটের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম: আ’লীগ নেতা আটক
তিনি জানান, এ সংক্রান্ত ১ জুন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্থানীয় তদন্তে ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জাল হোসেন চাঁনের দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয়। তাই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁনকে কেন চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হবে না-সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে শোকজ করা হবে। তার জবাব সন্তোষজনক না হলে তাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হবে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ৫নং ঝিনাইগাতী সদরইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হোসেন চাঁন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এসব অর্থ বিধি বহির্ভূতভাবে উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৪ (১) অনুযায়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁনকে তাঁর স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য নয়। ঊর্ধ্বতন একটি মহলের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার মতবিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জেরেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের দিয়ে তদন্ত কমিটি করে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুুন: তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছেন ইউপি চেয়ারম্যান!
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ জানান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন সাময়িক বরখাস্ত হওয়ায় প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে।
এক ট্রাক মাধ্যমিকের বইসহ শেরপুরে আটক ২
শেরপুরে ঝিনাইগাতীতে কালোবাজারে পাচারকালে মাধ্যমিক পর্যায়ের এক ট্রাক সরকারি পাঠ্যবইসহ দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল ১০টায় ঝিনাইগাতী বাজার থেকে ট্রাকসহ তাদের আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলেন- ঝিনাইগাতী বাজারের ব্যবসায়ী অমিত্র মোদক (৪৫) ও মো. সেলিম মিয়া (৩৮)।
আরও পড়ুন: গাঁজা উদ্ধার: সিরাজগঞ্জে নারীসহ আটক ৩
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফায়েজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝিনাইগাতী বাজার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের এক ট্রাক সরকারি পাঠ্যবইসহ দু’জনকে আটক করা হয়েছে। জব্দকৃত বইয়ের পরিমাণ ৩ হাজার ৭০০ কেজি এবং বইয়ের সিজার লিস্ট করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে জালনোটসহ আটক ৪
ওসি জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর তেজগাঁওয়ে র্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ১
শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে গারো অধিবাসী নিহত
শেরপুরে নালিতাবাড়ীর পানিহাতা মিশন এলাকায় বন্যহাতির আক্রমণে অপু মারাক (৪৮) এক গারো অধিবাসী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার প্রথম প্রহরে মধ্যরাত সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যহাতির আক্রমণে বৃদ্ধা নিহত
তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বৈদুতিক ফাঁদে পড়ে বন্য হাতির মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয়ের পাহাড় থেকে খাদ্যের সন্ধানে নেমে আসা ২০/২৫টির একদল বন্যহাতি নালিতাবাড়ীর সীমান্তবর্তী এলাকার লোকালয়ে হানা দিচ্ছিলো। কৃষকরা সীমান্ত সংলগ্ন ক্ষেতের আবাদ করা ধান কেটে ঘরে তোলায় বন্যহাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করে গাছের কাঁঠাল খেয়ে সাবাড় করেছে। হানা দিয়েছে বাড়ী ঘরে, কৃষকের গোলায়।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ে বন্য হাতির আক্রমণে পর্যটকের মৃত্যু
স্থানীয়রা আরও জানান, স্থানীয় অধিবাসীরা বন্যহাতি তাড়াতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতেও লোকালয়ে নেমে আসা বন্যহাতির দল তাড়াতে গিয়ে গারো অধিবাসী অপু মারাক হাতির আক্রমণে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
কিশোরগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
কিশোরগঞ্জ, ১৪ মে (ইউএনবি) করোনার কারণে গত বছরের মত এবছরও কিশোরগঞ্জে মসজিদে মসজিদে ঈদুল-ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার জেলায় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনা করে ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাত আয়োজনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে এ বছর জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি।
আরও পড়ুন: খুলনায় কর্মজীবী নারীদের ঘরে নেই ঈদ আনন্দ!
জেলা শহরে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ও ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
পাগলা মসজিদের খতিব মাওলানা আশরাফ আলী ও শহীদী মসজিদের খতিব মাওলানা ইমদাদুল হক ঈদ জামাতে ইমামতি করেন।
জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়রসহ বিপুল সংখ্যক মুসুল্লি সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ করেন।
জেলা শহরের প্রাচীনতম বিখ্যাত পাগলা মসজিদে অনুষ্ঠিত তিনটি ঈদ জামাতের একটি সকাল সাড়ে ৮টায়, দ্বিতীয়টি সোয়া ৯টায় এবং তৃতীয়টি ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়াও জেলার সকল মসজিদে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
জমি নিয়ে বিরোধ: শেরপুরে লাঠির আঘাতে গৃহবধূ নিহত, আটক ৩
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শেরপুরের নকলায় এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নকলা উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের বারারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শারমিন আক্তার (৪০) ওই গ্রামের জহিদুল ইসলাম স্ত্রী।
আরও পড়ুন: মাগুরায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে আহত ১২
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, একখণ্ড জমি নিয়ে নকলার বাবারচর গ্রামের জাহিদুল ইসলামের সাথে প্রতিপক্ষ বজলু, মিজান ও শোভা মিয়ার সাথে বিবাদ ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। প্রতিপক্ষরা জাহিদুলকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিল। এর সূত্র ধরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজনের মধ্যে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে লাঠির আঘাতে জাহিদুলের স্ত্রী শারমিন আক্তার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন তাকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে জমি সংক্রান্ত বিরোধে নিহত ১
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুশফিকুর রহমান জানান, গৃহবধূ শারমিন আক্তার নিহতের ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সুমনের মেডিকেলে ভর্তির দায়িত্ব নিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তাড়িয়াপাড়া গ্রামের মো. সুমনের মেডিকেলে ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। এখন আর তার মেডিকেল ভর্তি নিয়ে শঙ্কা নেই।
মো. সুমন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তবে অভাবের সংসারে তার মেডিকেলে পড়া হবে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল।
অভাব-অনটনের সংসারে মো. সুমন বন্ধুদের কাছ থেকে বই ধার নিয়ে ও প্রাইভেট পড়িয়ে নিজের পড়াশোনার খরচ জুগিয়েছেন। বাবা মো. মিন্টু দিনমজুর হিসেবে কাজ করে সংসার চালান।
আরও পড়ুন: ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সুমন পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছিল। ২০১৮ সালে সুমন এসএসসি পরীক্ষায় সরিষাবাড়ী আরডিএম মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান শাখায় জিপিএ-৫ পায়। পরে ধার দেনা করে ময়মনসিংহের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজে এইচএসসিতে বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হন। ২০২০ সালে তিনি এইচএসসিতে বিজ্ঞান শাখা থেকে জিপিএ-৫ পান।
প্রতিমন্ত্রী এ সংবাদ শুনে শনিবার রাতে সরিষাবাড়ী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাখায়াতুল আলমের মাধ্যমে সুমন ও তার পরিবারের হাতে মেডিকেলে ভর্তির ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। এরপরও সুমনের মেডিকেলে পড়াশোনায় আর্থিক সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমানও সুমনের মেডিকেলে পড়াশোনার যাবতীয় সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ দিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সরিষাবাড়ীর ফাহিমা আক্তার নামের এক গৃহিণী সুমনের মেডিকেলে পড়াশোনা বাবদ প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দিবেন বলে জানিয়েছেন।
সুমন বলেন, ‘আমি মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। এখন আমার ভর্তির চিন্তা কেটে গেছে। আল্লাহর দুনিয়ায় ভালো মানুষের অভাব নেই। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান স্যার আমার মেডিকেলে ভর্তির ২০ হাজার টাকা বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন আমার পড়াশোনায় আর্থিক সহযোগিতা করার।’
প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, ‘আমি সুমনের মেডিকেলে ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছি। সুমনের পরিবারের হাতে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। সুমনের পড়াশোনায় আর্থিক সহায়তা করব।’
নেত্রকোণায় বিয়ের আশ্বাসে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ, ইমাম গ্রেপ্তার
নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় এক মাদরাসাছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই ইমামকে বৃহস্পতিবার নেত্রকোণা আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত মঞ্জুরুল হক (২৫) দিগলী ফকির বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি একই উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের নোয়াদিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
পুলিশ ও মামলার অভিযোগ সূত্র জানায়, ইমাম মঞ্জুরুল ওই মসজিদে ইমামতি করার পাশাপাশি ভোরে স্থানীয় শিশুদের আরবী পড়াতেন। এর সুবাদে ওই মাদরাসা ছাত্রীর সাথে পরিচয় ঘটে মঞ্জুরুলের। পরিচয়ের এক পর্যায়ে ওই মাদরাসা ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে শিশু ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
ঘটনার দিন বুধবার রাতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়ির পেছনে জঙ্গলে ডেকে নিয়ে বাঁশঝাড়ের নিচে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির বাবা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে টর্চের আলোতে তিনি ধর্ষণের ঘটনাটি দেখতে পান। পরে তার চিৎকারে দৌড়ে পালিয়ে যায় মঞ্জুরুল।
এদিকে ঘটনার সংবাদ পেয়ে বুধবারই ইমাম মঞ্জুরুল হককে দিগলী গ্রাম থেকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় বুধবার রাতে মাদরাসা ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ওই ইমামকে আসামি করে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
কেন্দুয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ খান জানান, গ্রেফতারকৃত মঞ্জুরুল হককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ওই মাদরাসা ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শেরপুরে মামা-ভাগ্নে নিখোঁজের একদিন পর ভাগ্নের লাশ উদ্ধার
শেরপুর সদর উপজেলায় মামা-ভাগ্নে দুই শিশু নিখোঁজের একদিন পর এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার চরপক্ষীমারী এলাকায় শেরপুর-জামালপুর সড়কের ব্রহ্মপুত্র সেতুর নিচ থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আরাফাত (৮) নন্দীরজোত পোড়ার দোকান এলাকার আব্দুল মোতালেবের ছেলে ও স্থানীয় একটি মাদরাসার ছাত্র। তবে নিখোঁজ তার মামা সিয়াম মিয়ার (১০) কোনো খোঁজ মেলেনি। সিয়াম পার্শ্ববর্তী রামেরচর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে। তার সন্ধানে দমকল বিভাগের ডুবুরিরা পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে অনুসন্ধান শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শিশু আরাফাত নিজবাড়ী নন্দির জোত থেকে তার মামা সিয়ামের সাথে পার্শ্ববর্তী রামেরচর গ্রামের নানাবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। কিন্তু রাতেও সে নানাবাড়ি না পৌঁছালে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন। পরে শনিবার দুপুর ২টার দিকে চরপক্ষীমারী এলাকায় ব্রহ্মপুত্র সেতুর নিচে এক শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে ৯৯৯-এ ফোন দেয় স্থানীয়রা। বিকাল ৩টার দিকে সদর থানা পুলিশ আরাফাতের লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে, আরাফাতের স্বজনরাও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করে। শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: কানাইঘাটে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শিশু আরাফাতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ভাবির গলাকাটা লাশ উদ্ধার, দেবর রক্তাক্ত
নেত্রকোণায় অস্ত্র মামলায় দুজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
নেত্রকোণায় অস্ত্র মামলায় দুজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অপর একজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
নেত্রকোণার যুগ্ম দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম বুধবার বিকাল ৫টার দিকে এই রায় ঘোষণা করেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জেলার দুর্গাপুর উপজেলা বাগিচাপাড়া গ্রামের মৃত আজিজুল ইসলামের ছেলে মো. তাজুল ইসলাম তাজু ও একই উপজেলার বায়রাউড়া গ্রামের মৃত রাজ মাহমুদের ছেলে মো. মজিম। এর মধ্যে আসামি তাজু পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৭ জেলের কারাদণ্ড
নারায়ণগঞ্জে চার খুন মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন
অপর আসামি মো. আনোয়ার হোসেন আনুকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. রফিকুল ইসলাম (এপিপি) এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম খান।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুর্গাপুর উপজেলা সদরের সুসং বাজারে কতিপয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদল অস্ত্র বিক্রয় করার সংবাদ পায় র্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওইদিন সন্ধ্যায় র্যাবের সদস্যরা ক্রেতা সেজে অস্ত্র কিনতে যায়। পরে ঘটনার সত্যতা পেয়ে র্যাবের টিম অভিযান পরিচালনা করে দুইজনকে আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি রিভলবার ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে র্যাব। এ সময় মো. আনোয়ার হোসেন আনু পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে স্কুলছাত্র রাকিব হত্যা মামলায় সহপাঠীর মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল
এরপর আটকদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালত বুধবার এই রায় দেন। ।