ময়মনসিংহ
আ.লীগ সরকারের অধীনে ১৪ বছরের উন্নয়নে ময়মনসিংহ যেভাবে বদলেছে
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৪ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হওয়ায় ময়মনসিংহের আমূল পরিবর্তন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামোসহ সব ক্ষেত্রেই উন্নয়ন দৃশ্যমান।
পাঁচ বছর পর শনিবার ময়মনসিংহ সফরে সার্কিট হাউজ মাঠে এক জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ১০৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর মধ্যে ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত নতুন করে সমাপ্ত উন্নয়ন কাজ ৭৩টি।
এছাড়া তিনি আরও দুই হাজার ৭৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুক্রবার সন্ধ্যায় জনসভাস্থল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ময়মনসিংহে যে উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে তা অতুলনীয়। ময়মনসিংহের সর্বত্রই আপনি উন্নয়ন দেখতে পারবেন। দেখতে পারবেন আলোকিত ময়মনসিংহ।’
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী ২৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন শনিবার
জনসভা সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি হবে ময়মনসিংহের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জনসভা।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ময়মনসিংহ শহর উৎসবমুখর পরিবেশে মুখরিত হয়ে ওঠে। পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন এবং শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিতে ঢেকে গেছে পুরো ময়মনসিংহ।
ময়মনসিংহের সাধারণ মানুষ এখন অভূতপূর্ব সব উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, অতীতে কোনো সরকারের আমলে ময়মনসিংহে এত বড় উন্নয়ন হয়নি।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ময়মনসিংহ সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫০০ শয্যা থেকে এক হাজার শয্যায় উন্নীত করার জন্য ময়মনসিংহবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শয্যা ৫০০ শয্যা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার শয্যায় উন্নীত করেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সাহায্য বাড়ানোর কথা বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গ, সুনামগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুরসহ শেরপুর, জামালপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহের মানুষ এখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, স্থানীয়রা একটি শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খনন, ময়মনসিংহকে একটি বিভাগ ও সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার দাবি জানালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব দাবি পূরণ করেন।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনা ময়মনসিংহবাসীর সব দাবি পূরণ করেছেন।
পাঁচ বছর পর ময়মনসিংহে আসছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বিকালে সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ২১টি স্কুল ও কলেজের চারতলা একাডেমিক ভবন, ৩২টি পৌরসভায় স্যানিটেশন প্রকল্প, শেখ কামাল ইনডোর স্টেডিয়াম ও পাঁচটি সেতু।
যেসব উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে তার মধ্যে রয়েছে ময়মনসিংহের সড়ক ও ড্রেনেজ নেটওয়ার্কের উন্নয়ন এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের জন্য সাতটি আঞ্চলিক কার্যালয় নির্মাণ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর ময়মনসিংহ সফর করেন।
আরও পড়ুন: দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখুন, বিদেশের আইনকে সম্মান করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল দুই সবজি ব্যবসায়ীর
ময়মনসিংহের ভালুকায় সবজিবাহী পিকআপ ও ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকালে উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভরাডোবা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে আব্দুস সাত্তার (৩০) এবং নেত্রকোনার চানগাঁও এলাকার আলাল উদ্দিনের ছেলে সাজ্জাত হোসেন (৩২)। তারা দুজনই সবজি ব্যবসায়ী ছিলেন বলে জানায় পুলিশ।
ভালুকা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ জানান, শুক্রবার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকার ভরাডোবা এলাকায় ময়মনসিংহগামী সবজিবোঝাই দ্রুত গতির একটি মিনি ট্রাক অপর একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকটি দুমড়েমুচড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এ সময় সামনের অংশে বসে থাকা চালকসহ তিনজনের দুইজন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তবে মিনি ট্রাকের চালক কৌশলে পালিয়ে যায়। পুলিশ ভালুকা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতায় লাশ দুটি উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তাসহ নিহত ২
ফেনীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ময়মনসিংহে ধানখেত থেকে পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
ময়মনসিংহ সদরের একটি ধানখেত থেকে এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার সকালে উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের গোষ্ঠা পশ্চিমপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের ধানখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মৌসুমী আক্তার (২৫) মুক্তাগাছা উপজেলার সৈয়দ গ্রামের পুলিশ সদস্য সুজন হাসানের স্ত্রী। সুজন নারায়নগঞ্জে কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় হোটেল থেকে ভারতীয় নাগরিকের লাশ উদ্ধার, ৫ সঙ্গীকে জিজ্ঞাসাবাদ
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ফারুক হোসেন জানান, বুধবার সকালে শফিকুল ইসলামের ধানখেতে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ফারুক হোসেন আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে তালাবদ্ধ ঘর থেকে লাশ উদ্ধার
নেত্রকোণায় ট্রেনের ধাক্কায় সংবাদকর্মীর মৃত্যু
নেত্রকোণায় বারহাট্টায় ট্রেনের ধাক্কায় সংবাদকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিকালে ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ রেলপথের উপজেলার ইস্পিঞ্জাপুর নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত পাপ্পু মজুমদার (৩৫) একই জেলা শহরের অজহর রোডের স্বপন মজুমদারের ছেলে। তিনি ৭১’ বাংলা টিভি অনলাইনের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সংবাদকর্মী পাপ্পু মজুমদার বুধবার বিকালে মোটরসাইকেলে করে শিশু সন্তানকে নিয়ে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে স্ত্রীর কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাক্টর চূর্ণবিচূর্ণ
তারা আরও বলেন, বিকাল সাড়ে চারটার দিকে ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ রেলপথের ইস্পিঞ্জাপুর নাম স্থানে মোটরসাইকেল থামিয়ে সন্তানকে একটি দোকানে বসিয়ে রেখে রেলাইনের পাশে যান। পরে মোবাইলে কথা বলতে বলতে রেল লাইনের পাশ দিয়ে সন্তানের কাছে ফিরছিলেন। এ সময় মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মহুয়া কমিউটার ট্রেন তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পাপ্পু মজুমদারের মৃত্যু হয়েছে।
রেলওয়ে পুলিশ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: খুলনায় ট্রেনের ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ময়মনসিংহের ত্রিশালে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ২
ময়মনসিংহের ত্রিশালে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বৈলর বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের একজন ট্রাকের হেলপার (অজ্ঞাত) এবং অপরজন ওই উপজেলার ধানীখোলা গ্রামের জিন্না মিয়ার ছেলে ভ্যানচালক মিলন মিয়া (২৫)। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ত্রিশাল উপজেলার বৈলর বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি ট্রাক রাস্তার পাশে দাঁড়ানো ছিল। ঠিক একই পাশে ঢাকাগামী অপর একটি ট্রাক পেছন থেকে দাঁড়ানো ট্রাকটিকে ধাক্কা দিয়ে আরেকটি ভ্যানের উপর আছড়ে পড়ে। এসময় ঘটনাস্থলেই চলন্ত ট্রাকের হেলপার (অজ্ঞাত) ও ভ্যানচালক মিলন মিয়ার মৃত্যু হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২৪
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন জানান, রাস্তায় দাঁড়ানো ট্রাককে আরেকটি চলন্ত ট্রাক ধাক্কা দিলে সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত একজন ট্রাকের হেলপার এবং একই ঘটনায় আরেকজন ভ্যানচালক মিলন মিয়া ভ্যান নিয়ে পাশ দিয়ে যাবার সময় ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হন।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ১৩
ময়মনসিংহে আগুনে দগ্ধ হয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
ময়মনসিংহের নান্দাইলে আগুনে দগ্ধ হয়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার রাতে উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের বেপারীপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত খোদেজা খাতুন (৭০) ঐ গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রবিউলের পরিবারটি দরিদ্র পরিবার। বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় কুপিবাতির আলোতে চলতো তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম। সোমবার রাতে খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়লেও বিছানার কাছে কুপিবাতির আলো জ্বালানো ছিল। রাতের কোনো এক সময় কুপির আগুন মশারিতে ধরে যায়। পরে সেই আগুন বিছানায় ছড়িয়ে পড়লে শুয়ে থাকা খোদেজা মারাত্নক দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বৃদ্ধা অনেকদিন ধরেই শয্যাশায়ী ছিলেন। পরিবারের কারও অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে বলেও জানায় ওসি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, একটিতে আগুন লেগে হেলপারের মৃত্যু
রাজধানীর গেন্ডারিয়ার আগুন নিয়ন্ত্রণে
শেরপুরে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩
শেরপুরে ট্রাক-সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ তিনজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে শেরপুর- বনগাঁও সড়কের সদর উপজেলার তাতালপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে নালিতাবাড়ী উপজেলার দোহালিয়া গ্রামের দোকান কর্মচারী রফিক মিয়া ও তার ছেলে রাব্বি মিয়ার পরিচয় জানা গেলেও অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি।
আহত তিনজনকে শেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। হতাহতরা সবাই সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রী ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় রাব্বিকে ডাক্তার দেখিয়ে শেরপুর থেকে নালিতাবাড়ীগামী একটি সিএনজি অটোরিক্সায় নালিতাবাড়ীর দোহালিয়া এলাকায় যাচ্ছিলেন রফিক মিয়া। সেই সিএনজিতে চালকসহ ছয়জন ছিলেন। সদর উপজেলার তাতালপুর এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘষে সিএনজি যাত্রী ছয়জনই গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আনার পথে তিনজনের মৃত্যু হয়। অপর তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. খাইরুল কবির সুমন জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তিনজনের মৃত্যু ঘটেছে। গুরুতর অবস্থায় আরও তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল দুর্ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকের সহকারী নিহত, আহত ৩
টাঙ্গাইলে ট্রেনে কাটা পড়ে শিশুসহ নিহত ৩
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে শিশুসহ অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত ও পাঁচজন যাত্রী আহত হয়েছেন।
বুধবার দুপুরে উপজেলার তারাকান্দি রেললাইনের ড্যাপাকান্দি অরক্ষিত রেলকক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিক নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, নিহতদের মধ্যে একজন শিশু ও দুইজন মহিলা রয়েছে। গুরুত্বর আহত পাঁচজনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
লাইনে বসে মোবাইল দেখতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ল যুবক
ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ২ বাকপ্রতিবন্ধী
শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে যুবক নিহত
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বন্য হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে এক যুবক নিহত হয়েছে।
শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার কাটাবাড়ি-দাওধারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শফিকুল আলম (৩০) নয়াবিল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাটাবাড়ি গ্রামের মো. আব্দুল করিমের ছেলে বলে জানা যায়।
বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বন্ধুদের সঙ্গে কাটাবাড়ি পাহাড়ে অবস্থানরত বন্য হাতির দল দেখতে যান শফিকুল আলম। সেসময় তারা হাতির কাছাকাছি চলে গেলে দলের একটি হাতি তাদের তাড়া করে। একপর্যায়ে শফিকুলকে শুড় দিয়ে পেঁচিয়ে হাতিটি আছাড় দিয়ে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে পিষ্ট করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। পরে বন্যহাতির দল ঘটনাস্থল থেকে সরে গেলে স্থানীয়রা লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
বন কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত কয়েকদিন থেকে বন্য হাতির একটি দল নালিতাবাড়ীর কাটাবাড়ি পাহাড়ি টিলায় অবস্থান করছিল।
উল্লেখ্য, গত আট মাসে শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্ত জনপদে বন্যহাতির আক্রমণে চারজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে নালিতাবাড়ী সীমান্তেই মারা গেছেন তিনজন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় কাদায় আটকে বন্য হাতির মৃত্যু
ময়মনসিংহে ৭ দিনের ব্যবধানে ফের একই ট্রেন লাইনচ্যুত
সাত দিনের ব্যবধানে একই ট্রেনের একই বগি লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার সকাল সোয়া ৮টায় নগরীর কেওয়াটখালিতে চট্টগ্রামগামী ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হলে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা-ভৈরব-চট্রগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে উদ্ধার কাজ শেষ হলে ময়মনসিংহের সঙ্গে তিনটি রেলপথে তিন ঘন্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। দুর্ঘটনার ফলে এই তিনটি রেলপথের বিভিন্ন স্টেশনে আন্ত নগর, মেইল ও লোকাল ট্রেন আটকা পড়ায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ ঘটনায় রেলওয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শাহীনুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত
ময়মনসিংহ জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন আহম্মেদ জানান, শনিবার সকাল সোয়া ৮টায় ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা চট্রগ্রামগামী ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস ট্রেনের মালবাহী বগির চাকা লাইনচ্যুত হয়। এতে ময়মনসিংহের সঙ্গে নেত্রকোনা-ভৈরব-চট্রগ্রাম এই তিনটি রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কেওয়াটখালী লোকশেড থেকে একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় তিন ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে লাইনচ্যুত বগিটি উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার একই সময়ে এই ট্রেনের একই বগি কয়েকশ’ মিটারের ব্যবধানে লাইনচ্যুত হয়েছিল। এতেও সাড়ে ৩ ঘন্টা ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা-ভৈরব-চট্রগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
ট্রেন লাইনচ্যুত: খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক