ময়মনসিংহ
পাহাড়ী ঢলের পানির নিচে হাওরের বোরো ফসল
নেত্রকোণার খালিয়াজুরী উপজেলা সদরের কয়েকটি হাওরের অধিকতর নিচু জমির প্রায় ৫শ’ একর পরিমাণ বোরো ফসল উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ী ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে।
এভাবে ঢলের পানি আসলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ উপজেলার ২১ হাজার হেক্টর জমির ফসলই তলিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে, খালিয়াজুরী উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, এখানে ইতোমধ্যে ক্ষতি হয়েছে মাত্র ১১৩ হেক্টর জমির ফসল।
৩০ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল সন্ধ্যা সময়ের মাঝে এসব জমি তলিয়েছে। খালিয়াজুরী সদর ইউনিয়নের কীর্তনখোলা হাওর, চুনাই হাওর, বাদিয়ারচর হাওর, টাকটারের হাওর, মনিজান হাওর, লেবরিয়া হাওর, হেমনগর হাওর চাকুয়া ইউনিয়নের গঙ্গবদও হাওর, নয়াখাল হাওর, গাজীপুর ইউনিয়নের বাগানী হাওর ও ডাকাতখালি হাওরের অধিকতর নিম্নস্থানের ও ফসল রক্ষা বাঁধের বাইরে আবাদ করা ওই সব তলিয়ে যাওয়া জমির ফসল ছিল দুধ ও দানা পর্যায়ে।
আরও পড়ুন: হাওর রক্ষা বাঁধের দুর্নীতির অভিযোগে শাল্লার ইউএনও প্রত্যাহার
খালিয়াজুরী সদরের কৃষক মনির হোসেন জানান, খালিয়াজুরীতে কমপক্ষে ৫শ’ একর জমির ফসল তলিযেছে। এরমধ্যে তার নিজের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২০ একর জমির ধান। খালিয়াজুরীর লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক, আনোয়ার হোসেন, আব্দুর রউফ ও ফুল মিয়া জানান, ঢলের পানিতে তলিয়ে তাদের ১৫ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
খালিয়াজুরী কৃষি কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি প্রবাহ অব্যাহত রযেছে। পানির এমন প্রবাহ থাকলে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ফসল রক্ষা বাঁধের সীমা উপচে খালিয়াজুরী উপজেলার সমস্ত বোরো ফসল তলিয়ে যাবে।
এবছর এ উপজেলায় এবার ২১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত রবিবার সন্ধ্যায় জানান, ভারতের চেরাপুঞ্জি থেকে বৃষ্টির পানি বাংদেশের সুনামগঞ্জের যাদুকাটা ও সুরমা নদী দিয়ে খালিয়াজুরীর ধনু নদীতে ঢল আকারে নামছে।
আরও পড়ুন: হাওরে পানি কমার সাথে সাথে বীজতলা তৈরির কাজে ব্যস্ত কৃষকরা
গত ৩০ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল সন্ধ্যা পর্যন্ত ধনু নদীর পানি বেড়েছে পৌনে ৬ ফুট। এরমধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় বেড়েছে ৩ ফুট।
তিনি আরও বলেন, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে আগামী কয়েকদিনও মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বভাস রয়েছে। যদি সেখানে বৃষ্টি হয়ই তবে কয়েক দিনের মধ্যে সেই বৃষ্টির পানি এসে তা ধনু নদীতে বিপদ সীমা অতিক্রম করবে।
নেত্রকোণার হাওরে এবার ১৮৩ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। ২৩ কোটি ৬ লাখ টাকার ব্যায় বরাদ্দের এ বাঁধ মজবুত হলেও অতিরিক্ত পানি বেড়ে উপচে পড়লে হাওরের বোরো ফসল রক্ষা কঠিন হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।
নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, নির্দিষ্ট একটি নিয়মের উচ্চতায় প্রতি বছর হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এবারও নিয়ম অনুযায়ীই বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এখন অতিরিক্ত মাত্রায় পানি বেড়ে গেলেও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো বালু ভর্তি বস্তা দিয়ে পানি ঠেকিয়ে ফসল বাঁচাতে। আর ইতোমধ্যে যেসব কৃষকের ফসল তলিয়ে গেছে সেসব ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরির মাধ্যমে তাদেরকে সরকারিভাবে সহায়তা দেয়ার চেষ্টা করা হবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: নিকলী হাওরে নিখোঁজ পর্যটকের লাশ উদ্ধার
শেরপুরে ভাতিজাকে হাত বেঁধে মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগ, আটক ৩
শেরপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজাকে দুই হাত বেঁধে কোমর পর্যন্ত মাটির গর্তে পুঁতে রাখার অভিযোগ ওঠেছে চাচার বিরুদ্ধে। শনিবার বিকালে নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া-মন্ডালিয়াপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তন্তর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নূর ইসলাম (৩৫) নামে ওই ব্যক্তিকে মাটিচাপা থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ চাচা আলিমদ্দিন, তার স্ত্রী মনিরা বেগম ও ছেলে মুক্তার হোসেনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে গৃহপরিচারিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ
নালিতাবাড়ী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, নালিতাবাড়ীর দক্ষিণ তন্তর গ্রামের আবু তাহের মিয়া মারা যাওয়ার পর তার সহোদর ছোট ভাই আলিমদ্দিন জাল দলিল তৈরি করে কিছু জমি করায়ত্ব করে। এ নিয়ে মৃত তাহেরের ছেলে নূর ইসলামের সঙ্গে চাচা আলিমদ্দিনের বিবাদ চলছিল। এ ঘটনা মীমাংসার জন্য ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার স্থানীয় পর্যায়ে সালিশ বৈঠক হলেও কোন সুরাহা হয়নি। একপর্যায়ে শনিবার দুপুরে আলিমদ্দিন ও তার স্ত্রী-ছেলে মিলে নূর ইসলামের বাড়িতে উপস্থিত হয় এবং তারই বাড়ির আঙিনায় মাটি খুঁড়ে গর্ত করে।
পরে বিকালে নূর ইসলামের দুই হাত বেঁধে কোমড় পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখে। এমন খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ সময় গ্রাম পুলিশের সহায়তায় পুঁতে রাখা নূর ইসলামকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নেত্রকোণায় ‘চোরের লাঠির আঘাতে’ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
নেত্রকোণার দুর্গাপুরে দোকানে চুরি করতে আসা যুবকের লাঠির আঘাতে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মধ্যম বাগান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত হেকমত আলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মধ্যম বাগান এলাকার মৃত মেহের আলীর ছেলে ও ডিজেল ব্যবসায়ী।
অভিযুক্ত মাসুদ মিয়া (২০) উপজেলার চকলেংগুরা এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছাদ থেকে পড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
স্থানীয় ইউপি সদস্য হযরত আলী জানান, নিহত হেকমত আলী সারা দিন ব্যবসা পরিচালনা করে রাতে দোকানেই থাকতেন। রবিবার মধ্যরাতে শাহীন তার ভেকুর জন্য ডিজেল কিনতে আসলে দোকানের দরজায় কড়া নাড়েন। সাড়াশব্দ না পেয়ে শাহীন দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই মাসুদ তাকেও আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে শাহীনের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে হেকমত আলীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে মাহবুবের অভিযোগ, মাসুদ নামে এক ছেলে দোকানে ঢুকে তার বাবাকে হত্যা করে। তার ধারণা মাসুদ দোকানে এসে হয়তোবা টাকা-পয়সা লুট করতে চেয়েছিল।
আরও পড়ুন: মহম্মদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
দুর্গাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মীর মাহবুবুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চুরি করতে এসে ব্যবসায়ীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। লাশের উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। অভিযুক্ত মাসুদকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শেরপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
শেরপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
নিহত রূপা আক্তার (২২) একই এলাকার নুর শাহীনের স্ত্রী ও ঝিনাইগাতী আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের বিএ পরীক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ভুট্টাখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ৩ বছর আগে শাহীনের সঙ্গে রূপা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই রূপার ওপর নেমে আসে স্বামী-শ্বাশুড়িসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। রূপার স্বামী নুর শাহীন একজন অটোরিকশা চালক। সংসারের হাল ধরতে রূপা নিজেও শ্রমিকের কাজ করতো। পাশাপাশি পড়াশোনাও চালিয়ে যাচ্ছিল।
এদিকে, শুক্রবার সকালে গৃহবধূ রূপার একটি ছাগল শাশুড়ি নুরেজা বেগমের কাঁঠাল গাছের একটি চারা খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে বউ-শ্বাশুড়ির মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে অভিমানে রূপা আক্তার ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দেয়। খবর পেয়ে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে লেপে মোড়ানো নারী-শিশুর লাশ উদ্ধার
তবে নিহত রূপার বাবা আব্দুল ওয়াহাবের দাবি, রূপা আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. সরোয়ার হোসেন জানান, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। লাশের শরীরে আঘাত বা অন্য কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শেরপুরে আরেকটি মৃত বন্যহাতি উদ্ধার
শেরপুরে ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী সীমান্ত থেকে একটি মৃত বন্যহাতির উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার ভোরে সীমান্তের আঠারোঝোরা এলাকা থেকে হাতিটি উদ্ধার করে বন বিভাগ।
বনবিভাগের ঝিনাইগাতীর গজনী বিট কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ জানান, উদ্ধার করা হাতিটি মাদি হাতি। বয়স আনুমানিক ১১ বছর হবে। হালচাটি গ্রাম থেকে দুই কিলোমিটার পশ্চিমে ভারত সীমান্ত সংলগ্ন আঠেরোঝোরা এলাকায় মৃত বন্যহাতিটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় কৃষকরা জানালে সেটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্য হাতির মৃত্যু
তিনি জানান, হাতিটির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত বন্যহাতিটিকে মাটিচাপা দেয়া হবে।
এ নিয়ে গত চার মাসের ব্যবধানে শেরপুর সীমান্তে তিনটি মৃত বন্যহাতির উদ্ধারের ঘটনা ঘটল। এর আগে গত ৯ নভেম্বর শ্রীবরদী সীমান্তের মালাকোচা এলাকায় এবং ১৯ নভেম্বর নালিতাবাড়ী সীমান্তের পানিহাতা এলাকার মায়াঘাসি গ্রাম থেকে দুটি মৃত বন্যহাতি উদ্ধার হয়েছিল।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই পাহাড়ি অধিবাসীদের
নেত্রকোণায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এএসআইসহ নিহত ২
নেত্রকোণার কলমাকান্দায় বেড়াতে গিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। বুধবার বিকাল ৪টার দিকে কলমাকান্দা লেঙ্গুড়া সড়কের ফুলবাড়িয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
নিহতরা হলেন, নেত্রকোণা পুলিশ লাইনস্ ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম সবুজ (৪৬) ও মোহাম্মদ ইনচান উদ্দিন (৩০)। হতাহতদের বাড়ি শেরপুরের নকলা উপজেলার পোলাবেশ গ্রামে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
স্থানীয়দের বরাতে নেত্রকোণা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী জানান, কলমাকান্দার লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা সাত শহীদের সমাধিস্থল ঘুরে বেড়ানোর পর তারা একটি মোটরসাইকেলযোগে ফিরছিলেন। পথে ফুলবাড়িয়া বাজার এলাকায় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই দু’জন নিহত হন। এসময় গুরুতর আহত সুমন মাহমুদকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, নিহত ১
তিনি জানান, লাশ কলমাকান্দা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
টাঙ্গাইলে পুলিশের গাড়িতে হামলা, বিএনপির ৪৯ নেতাকর্মী জেলহাজতে
টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিএনপির ৪৯ জন নেতাকর্মীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় রবিবার তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফারজানা হাসানাত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে বিএনপি জোট থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী। ওই নির্বাচনের ১০ দিন আগে ১৮ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার বড়চওনা এলাকায় টহলরত পুলিশের গাড়িতে হামলা ও পুলিশের পিকআপ ভ্যান ভাঙচুরের অভিযোগে সখীপুর থানা পুলিশ পরদিন ১৯৪ জন নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করে। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর ১২৯ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। রবিবার ওই মামলায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুরসহ ৫৯ জন নেতা-কর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। ম্যাজিস্ট্রেট তাদের মধ্যে ৪৯ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। অন্য ১০ জনকে জামিন দেয়া হয় অসুস্থ এবংশিক্ষার্থী বিবেচনায়।
এই মামলাটিকে ‘গায়েবী মামলা’ উল্লেখ করে উপজেলা বিএনপির সদ্য বিদায়ী সভাপতি শাজাহান সাজু অবিলম্বে আসামিদের মুক্তির দাবি জানান। এর আগে গত ১২ জানুয়ারি একই মামলায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ২৫ নেতাকর্মী একই আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের সবাইকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। পরে গত ১ ফেব্রুয়ারি ২৪ জন জামিনে মুক্ত হন।
শেরপুরে পৃথক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২
শেরপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার কুসুমহাটি ও শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পাবনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া এলাকার সাত্তার সরকারের ছেলে সাইফুল ইসলাম সরকার (৪৬) ও শ্রীবরদী উপজেলার শিমুলচুড়া এলাকায় বাসিন্দা সুলতান মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে শ্রীবরদী থানার ওসি (তদন্ত) মো. আবুল হাশেম জানান, শ্রীবরদীর ভায়াডাঙ্গা বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছে ধাক্কা লাগলে ঘটনাস্থলেই সুলতান মিয়া নামের ওই মোটরসাইকেল চালকের নিহত হন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় মোটরসাইকেল চাপায় শিক্ষক নিহত
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহমেদ জানান, সদর উপজেলার কুসুমহাটি এলাকায় ট্রলির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক সাইফুল ইসলাম নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জামালপুরে মা-মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
জামালপুরের মেলান্দহ পৌর এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে শনিবার সন্ধ্যায় মা ও মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- একই এলাকার মৃত আকমল হোসেনের স্ত্রী জয়ফুল বেওয়া (৫০) ও তার মেয়ে স্বপ্না বেগম (৩০)।
আরও পড়ুন: জমি সংক্রান্ত বিরোধে কুষ্টিয়ায় নারীকে পিটিয়ে হত্যা
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয়রা বাড়ির ভেতরে মা ও মেয়ের রক্তাক্ত লাশ দেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
হত্যার বিষয়টি তদন্তের পরই বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: নাটোরে নিখোঁজের ৪ ঘণ্টা পর স্কুলছাত্রের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
জামালপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় শুক্রবার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- জামালপুর পৌর এলাকার চন্দ্রা গ্রামের রসুল মাহমুদের ছেলে আনোয়ার হোসেন আনন্দ (২১), একই গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে স্বপন (২০) ও মেলান্দহ উপজেলার দাগী গ্রামের ফাইমুদ্দিনের ছেলে অটোরিকশা চালক আনু মিয়া (৪৮)।
আরও পড়ুন: পৃথক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামে নিহত ৩
নিহতদের পরিবার জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ সড়কের মেলান্দহ উপজেলার চর পলিশা গ্রামের কাছে জামালপুরগামী কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে ইসলামপুরগামী মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক আনোয়ার হোসেন আনন্দ নিহত হন। এই দুর্ঘটনায় আহত স্বপনকে উদ্ধার করে প্রথমে জামালপুর সদর হাসপাতালে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
অপরদিকে, ওই দিন বিকালে মেলান্দহ পৌর এলাকার ফুলছেন্না গ্রামের কাছে ট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষে অটোরিকশার চালক আনু নিহত হন। এই সময় অটোরিকশায় থাকা তিন যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাইনুল ইসলাম পৃথক সড়ক দুর্ঘটনার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।