ময়মনসিংহ
নেত্রকোণায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু, স্বজনদের অভিযোগ হত্যা
নেত্রকোণার মদনে অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। তবে তার স্বজনদের অভিযোগ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাতে উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের রাজতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত অন্তর মিয়া (১৪) ময়মনসিংহ শেরপুরের বুটকান্দি গ্রামের মিজান মিয়ার ছেলে।
স্বজনদের অভিযোগ, গাবরতলা গ্রামের আনোয়ার আলী (৭০) ও মস্তু মিয়া (৬৫) পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে অন্তর মিয়াকে হত্যা করেছে।
জানা যায়, নিহত অন্তর ও অভিযুক্ত পরিবারের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। দুই পরিবারের মাঝে একাধিক মামলা চলছে।
সোমবার সকালে দুই পরিবারের লোকজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডার জেরে অন্তরের খালা শিপা আক্তার অভিযুক্ত পরিবারের পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এসব কারণে প্রতিপক্ষের লোকজন অন্তরকে হত্যা করতে পারে বলে অভিযোগ তার পরিবারের।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের নিহত ৩
অন্তরের নানা বাবুল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, 'আমার নাতিকে আনোয়ার আলী ও মস্তু মিয়াসহ কয়েকজন ধাক্কা দিয়ে বিদ্যুৎ লাইনে ফেলে দেয়। পরে অন্তর অটোরিকশা চার্জের তারে জড়িয়ে মারা যায়। আমি এ ঘটনায় হত্যা মামলা করবো।’
অভিযুক্ত আনোয়ার আলী বলেন, 'অন্তর অটো চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছে বলে শুনেছি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।'
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত কিশোরের লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কানাইঘাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দাদা-নাতির মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চাচি-ভাতিজার মৃত্যু
নেত্রকোণায় স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
নেত্রকোণার মদনে নিজ বসতঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বালালী গ্রাম থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের আলমশ্রী গ্রামের মৃত শাহেদ আলীর ছেলে নান্দু মীর (৬০) এবং তাঁর স্ত্রী মেরাজু আক্তার (৪৫)। মেরাজু আক্তার বালালী গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের মেয়ে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩০ বছর আগে আলমশ্রী গ্রামের নান্দু মীরের সাথে বিয়ে হয় মেরাজু আক্তারের। দীর্ঘদিন আলমশ্রী গ্রামের বসবাস করার পর ১২ বছর আগে বালালী গ্রামে এসে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করছেন।
তাদের সংসার জীবনে সাত বছর বয়সী একটি ছেলে ও পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
প্রায় সময়েই স্বামী-স্ত্রী পারিবারিক কলহে লিপ্ত হতেন। প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে সন্তানদের ঘুম পারিয়ে নিজ ঘরেই স্বামী স্ত্রী শুয়ে পড়েন। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় লোকজন দেখতে পায় নিজ বসতঘরে স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। পাশেই স্বামীর লাশ ঝুলছে। পরে তারা মদন থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে নেত্রকোণার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, পিবিআই ও সিআইডির ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করছে। এ খবর লেখা পর্যন্ত লাশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফখর উদ্দিন আহমেদ জানান, সকালে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা ডাকাডাকি করলে তাদের শিশু ছেলে দরজা খোলে। এ সময় স্থানীয়রা নান্দু মিয়ার ঝুলন্ত ও তাঁর স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিচে পড়ে থাকতে দেখতে পান।
নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মনিরুল হক জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। ময়মনসিংহ থেকে সিআইডির তদন্ত দল এসেছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনার কোন কারণ জানতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: বোয়ালখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ভারতীয় চোরাকারবারীর লাশ হস্তান্তর
ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ৩ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
শেরপুরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: দুই আসামি কারাগারে
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মা ও মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. সুলতান মাহমুদ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ দিন জ্যৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফারিন ফারজানা ধর্ষণের শিকার কিশোরীর (১৬) জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। পরে বয়স নির্ধারণী পরীক্ষার জন্য তাকে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আদালত পরিদর্শক খন্দকার শহীদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কারাগারে পাঠানো দুই আসামি হলেন- নালিতাবাড়ী উপজেলার পলাশীকুড়া গ্রামের আব্দুল বাছেদ আলীর ছেলে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী আব্দুস সাত্তার (৪২) এবং আব্দুস সোবহানের ছেলে সাদেক আলী (৩০)।
এদিকে সোমবার শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার মা ও মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. খাইরুল কবীর সুমন তাদের মেডিকেল পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নারী চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড নালিতাবাড়ীর ধর্ষণ মামলার ভুক্তভোগী মা ও মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়,কয়েকদিন আগে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ তার কিশোরী কন্যাকে (১৬) নিয়ে নালিতাবাড়ীতে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। বেড়ানো শেষে শনিবার বেলা ১১টার দিকে ইজিবাইকে করে শেরপুর যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। কিন্তু স্থানীয় এক দালাল ও ওই গৃহবধূর পাড়া-প্রতিবেশী ভাই তাদের সাথে নিয়ে সারাদিন নালিতাবাড়ীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফেরা করার পর রাতে পলাশীকুড় গ্রামে নিয়ে যায়। পরে তাদের কৌশলে একটি নির্মাণাধীন জনশুন্য বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে স্থানীয় সাত ব্যক্তি মিলে মা এবং মেয়েকে বাড়ির পৃথকস্থানে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। রবিবার সকালে ভুক্তভোগী মা-মেয়ে বাড়ি ফিরে ঘটনা প্রকাশ করলে স্বজনরা ৯৯৯ কল করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় জড়িত সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদলের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আব্দুস সাত্তার ও সাদেক আলী গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, রবিবার সকালে ৯৯৯ থেকে ম্যাসেজ আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা অভিযান চালিয়ে জড়িত দুই জনকে আটক করি। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর করা মামলায় ওই দুই জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হলে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
৯৯৯ এ কল: শিশু ধর্ষণের অভিযোগে চাচাতো ভাই আটক
নেত্রকোণায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
নেত্রকোণায় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা বালুবাহী একটি ট্রাকে ধাক্কা লেগে পিকআপ ভ্যানচালকসহ তিনজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাতে নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সদর উপজেলার চল্লিশা এলাকার বাগড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার জিংলিগড়া গ্রামের বাসিন্দা সবুজ মিয়ার ছেলে রনি মিয়া (২০), সবুজের আপন ভাতিজা ও শফিকুল ইসলামের ছেলে তোফাজ্জল মিয়া (১৪) এবং চালক নেত্রকোণার বারহাট্টার চন্দ্রপুর গ্রামের আবুচান মিয়া (২৮)।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় দাদা-নাতি নিহত
নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সুনাগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার গাছতলা বাজার থেকে মাছ ভর্তি করে একটি পিকআপ ভ্যান গাজীপুরের কোনাবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে রাত পৌনে ৩টার দিকে নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ সড়কের চল্লিশা বাগড়া বাজার এলাকায় পিকাআপ ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে দুই মাছ ব্যবসায়ী ঘটনাস্থলেই মারা যান। চালকসহ আহত হয় আরও দুই মাছ ব্যবসায়ী। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভ্যানচালক আবুচানকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, নিহত দুই মাছ ব্যবসায়ীর লাশ হাইওয়ে থানায় এবং চালকের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এনিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষক নিহত
নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ নারী নিহত
জামালপুরে নিখোঁজ ৩ মাদরাসা ছাত্রী ঢাকায় উদ্ধার
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালেরচরে বাংলা বাজার সভুকড়া দারুত তাক্বওয়া মহিলা মাদরাসার আবাসিক হল থেকে নিখোঁজ হওয়া তিন মাদরাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে জামালপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: অপহরণের পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার, বাড়ি ফিরেই ‘আত্মহত্যা’
উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলো- ইসলামপুর উপজেলার পোড়ারচর সরদারপাড়া গ্রামের মাফেজ শেখের মেয়ে মীম আক্তার, সভুকুড়া মোল্লাপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মনিরা ও সুরুজ্জামানের মেয়ে সূর্যবানু।
জামালপুরের ইসলামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সুমন মিয়া জানান, ১২ সেপ্টেম্বর (রবিবার) ভোরে মাদরাসা থেকে পালানোর পর ইসলামপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে ঢাকায় যায় মাদরাসার এই তিন ছাত্রী। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে রিকশায় ওঠে তারা। স্টেশন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে রিকশাচালককে শনাক্তের পর মুগদা থানার মানডা এলাকার একটি বস্তিতে ইসলামপুর থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় ওই তিন ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় অপহৃত স্কুলছাত্রী উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
জানা গেছে, ১২ সেপ্টেম্বর (রবিবার) ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ওই তিন ছাত্রীকে ডেকে উঠানো হয়। সবাই নামাজ পড়তে গেল ওই তিন ছাত্রী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। এই ঘটনায় বুধবার রাতে নিখোঁজ মনিরার বাবা মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মানবপাচার বিরোধ আইনে মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আসাদুজ্জামান, সহকারি শিক্ষক রাবেয়া আক্তার, শুকরিয়া আক্তার ও ইলিয়াস হোসেন নামে একটি মামলা করেন। পরে চার শিক্ষককে মানবপাচার আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন ঠিক করে আদালত।
নেত্রকোণায় সভা চলাকালে আ.লীগের অফিসের মেঝে ধসে আহত ৭
নেত্রকোণায় খালিয়াজুরীতে সভা চলাকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসের মেঝে ধসে দলটির ৭ জন নেতা আহত হয়েছেন। রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা সদরের হাওর মালেক সিটি এলাকায় আওয়ামী লীগের অফিসে এই ঘটনার পর আহত সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহতরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদ ও জেলা পরিষদের সদস্য গোলাম আবু ইছহাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মেন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হেকিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুমন চক্রবর্তী, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা জুয়েল, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নিহারেন্দু দেব রায়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ জানান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচনের প্রার্থীতা বাছাইয়ের জন্যে দলীয় অফিসে বেলা ১১টার দিকে দলের বর্ধিত সভা শুরু হয়। সভায় উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ের দলীয় নেতারা সভায় অংশ নেন। সভা চলার সময় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দলীয় অফিসের মেঝের একটি অংশ হঠাৎ প্রায় ৫ ফুট নিচের দিকে দেবে যায়। ঘটনার আকষ্মিকতায় কিছু বুঝে উঠার আগেই একজন অপরজনের উপর গিয়ে পড়েন। এসময় তিনিসহ ৭জন আহত হন। কেউ হাতে, কেউ পায়ে, কেউ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পান।পরে দলের নেতাকর্মীরা উদ্ধার করে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। কেউই গুরুতর আহত হননি।
তিনি আরও জানান, পরে বেলা পৌনে ২টার দিকে স্থান পরিবর্তন করে খালিয়াজুরী কলেজে সভার কাজ আবারও শুরু করা হয়।
খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম আরিফুল ইসলাম, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন খন্দকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দেয়াল ধসে ২ শ্রমিক নিহত
ওসি বলেন, সদরের প্রবেশদ্বার এলাকার হাওর মালেক সিটিতে মাটি ভরাট করে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসটি স্থাপন করা হয় কয়েকবছর আগে। বর্তমান বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানির ঢলে অফিসের নিচ থেকে ভরাট করা বালিমাটি সরে গিয়ে ফাঁকা হয়ে গেছে। বিষয়টি কারও নজরে পড়েনি।
আজ সভা শুরুর ঘন্টাখানেকের মধ্যে মেঝে ধসে গিয়ে এই দুর্ঘটনা হয়। এতে কয়েকজন নেতা আহত হলেও কেউই গুরুতর আহত হননি।
ওসি আরও বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া জব্বার মারা যান। তার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আগামী ৭ অক্টোবর উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপনির্বাচনে প্রার্থীতা দিতেই দলটি তাদের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্যে বর্ধিত সভা করছিলেন।
আরও পড়ুন: উদ্বোধনের দুই দিন পেরোতেই ধসে পড়ছে পানির পাম্প ভবন
নেত্রকোনায় আশ্রয়ণের ঘরে ২য় সপ্তাহেই ফাটল, তদন্ত কমিটি গঠন
ফসল কাটার প্রতিবাদে শেরপুরে বাগাছাসর বিবৃতি
শেরপুরে শ্রীবরদীর বালিজুড়ি খ্রীস্টানপাড়া এলাকায় পাঁচ গারো আদিবাসীর ফসল কেটে ধ্বংস করার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা ও দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে শনিবার বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস)।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে বসবাসরত গারো আদিবাসীরা যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন পাহাড়ী অঞ্চলে বসবাস করে আসছে। গারো আদিবাসী যে অঞ্চলে বসবাস করে আসছে সে অঞ্চলকে তারা তাদের ভিটে মাটিসহ আশেপাশের বনাঞ্চলকে সংরক্ষণ করে আসছে। গারো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা বন ধ্বংস করে না, তারা বন সংরক্ষণ করে। এক কথায় বলা চলে তাদের বসবাসরত অঞ্চলের মাটিকে মা আর বনকে সন্তানের মত লালন-পালন করে আসছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, কতিপয় অসৎ বন কর্মকর্তা কর্মচারীর পাল্লায় পরে গারোদের বিভিন্ন সময় শত বছরের ভিটে মাটি ছাঁড়তে হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২ আগস্ট শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ি অঞ্চলের পাঁচ জন গারোর বাগান বনবিভাগের কতিপয় অসৎ বন কর্মকর্তা-কর্মচারী অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কেটে দিয়েছে। হাজার হাজার টাকা খরচ করে, শ্রম দিয়ে পরম যত্নে যে বাগান তৈরি করা হয়েছিলো, তা কেটে তছনছ করে ধ্বংস করা হয়ছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারের কাছে সরকারি ত্রাণ পৌঁছে দিল সেনাবাহিনী
বিবৃতিতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ না দেয়া কিংবা জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় না আনা হলে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বিভিন্ন সংগঠনগুলোকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে বলেও জানানো হয়েছে।
গত ১২ আগস্ট শ্রীবরদী উপজেলায় বন বিভাগের বালিজুরি রেঞ্জ (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে বালিজুড়ি খ্রীস্টানপাড়া এলাকায় ভারতী মৃ, সভানী সিমসাং, সবিতা মৃ, কমলা রেমা, পয়মনি চিরানের কষ্টের আবাদকৃত সবজীর আবাদ ও সুপারি বাগানের গাছ কেটে সাবাড় করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুম ফসল কেটে ফেলায় রেঞ্জ কর্মকর্তার অপসারণ দাবি
বনবিভাগের তথ্যমতে, শেরপুরে সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ি, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার প্রায় ২০ হাজার একর বনভূমির মধ্যে অন্তত আড়াই হাজার একর বনের জমি অবৈধ দখলদারের কবলে রয়েছে। বনাঞ্চলের এসব জমি উদ্ধারে সম্প্রতি দখলদারদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়েছে বনবিভাগ। ওই তালিকায় প্রায় ৬ শতাধিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ দুই হাজার ব্যক্তির নাম রয়েছে।
নেত্রকোণায় ১০ জুয়াড়ি আটক
জেলার কলমাকান্দায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১০ জুয়ারিকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার কৈলাটী ইউনিয়নের ক্ষুদ্র সিধলী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যার দিকে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও জুয়া খেলায় ব্যবহৃত নগদ টাকাসহ ১০ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আটকরা হলেন উপজেলার কৈলাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হায়দার আলী খান (৪৮), মো. অসিম মিয়া (৩৮), আনু ফকির (৩৮), মো. জিয়াউর রহমান (৩৮), রুবেল তালুকদার (৩২), জনি রায় (২৯), আবুল কালাম (৪০), হানিফ মিয়া (৪০), হাবিবুর রহমান (৪১) ও মো. আব্দুল করিম (২৯)।
পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬ জুয়াড়ি আটক
নেত্রকোণা ডিবির ওসি এ.টি.এম. মাহমুদুল হক জুয়ার আসর থেকে ১০ জনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খেলার সরঞ্জামাদিসহ নগদ ১৭ হাজার ১০০ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
আটকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৩ জুয়াড়ি আটক
ধারের টাকা শোধ করতে না পারায় ‘জুয়াড়ির’ স্ত্রীকে তিন মাস ধরে ‘ধর্ষণ’
আজ সোহাগপুর গণহত্যা দিবস
আজ ২৫ জুলাই সোহাগপুর গণহত্যা দিবস। শেরপুর জেলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নে অবস্থিত সোহাগপুর গ্রাম।
১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই পাকসেনারা যুদ্ধাপরাধি জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের নির্দেশে স্থানীয় রাজাকার, আলবদরদের নিয়ে গ্রামের সাধুর আশ্রম থেকে প্রফুল্লের দিঘী পর্যন্ত এলাকা ব্যারিকেড দেয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণহত্যার ‘স্বীকৃতি’ আদায়ে আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান
কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই যেখানে যাকে পেয়েছে সেখানেই নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে। মুহূর্তেই রক্তে লাল হয়ে যায় গ্রামের সবুজ ধানের মাঠ। পাশবিক নির্যাতন চালায় নারীদের ওপর। সেদিনের ছয় ঘণ্টার তাণ্ডবে ১৮৭ জন প্রাণ হারায়।
এই গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন ও সোহাগপুর বিধবাপল্লী শহীদ পরিবার কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আজ ২৫ জুলাই রবিবার দুপুরে শহীদ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালিত
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদ উল্লাহ তালুকদার মুকুল বলেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর কল্যাণে আমার ইউনিয়নে স্বাধীনতা যুদ্ধে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের শিকার সোহাগপুর গ্রামের পরিচিতি এখন বিশ্বময়। গণহত্যার স্মৃতিকে ধরে রাখতে দ্রুত স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ হোক।’
ব্রহ্মপুত্র পাড়ের মানুষদের আর কাঁদতে হবে না: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, ব্রহ্মপুত্রের বাম ও ডান তিরের নদী পাড়ের মানুষদের আর কাঁদতে হবে না। ব্রহ্মপুত্রের দুই পাশে ভাঙন রোধে ৩৭৯ কোটি ২৩ লাখ টাকার কাজ চলছে। যে সব স্থানে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে, সেখানে জরুরী ভিত্তিতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানো শুরু করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, একনেকে চিলমারী নৌ-বন্দর নির্মাণের জন্য ২৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। ডিজাইন ইউনিট পরিদর্শন করে ডিজাইন করা হবে। এরপর টেন্ডার আহবান করা হবে। এসব কাজ ও নৌ-বন্দরের কাজ শেষ হলে কুড়িগ্রামের রৌমারী, চিলমারী ও রাজিবপুর উপজেলার নদী পাড়ের মানুষকে আর কাঁদতে হবে না।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে নেটজালে আটকে গৃহবধূ নিখোঁজ
রোববার দুপুরে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত ঘুঘুমার নামক এলাকার ব্রহ্মপুত্রের বাম তীরে জিও ব্যাগ ফেলে উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। পরে তিনি রৌমারী উপজেলা খেদাইমারী, বলদমারা, চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ও রাজিবপুরের কোদালকাটি ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিলীন হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুস শহীদ, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, উপ-প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, শাখা প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, রৌমারী প্রেসক্লাব সভাপতি সুজাউল ইসলাম সুজা, রৌমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য নুর কুতুবুল আলম টুল্লু ও বাদশা মিয়া রাজিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই সরকার প্রমুখ।