������������������������
জামালপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় শুক্রবার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- জামালপুর পৌর এলাকার চন্দ্রা গ্রামের রসুল মাহমুদের ছেলে আনোয়ার হোসেন আনন্দ (২১), একই গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে স্বপন (২০) ও মেলান্দহ উপজেলার দাগী গ্রামের ফাইমুদ্দিনের ছেলে অটোরিকশা চালক আনু মিয়া (৪৮)।
আরও পড়ুন: পৃথক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামে নিহত ৩
নিহতদের পরিবার জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ সড়কের মেলান্দহ উপজেলার চর পলিশা গ্রামের কাছে জামালপুরগামী কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে ইসলামপুরগামী মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক আনোয়ার হোসেন আনন্দ নিহত হন। এই দুর্ঘটনায় আহত স্বপনকে উদ্ধার করে প্রথমে জামালপুর সদর হাসপাতালে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
অপরদিকে, ওই দিন বিকালে মেলান্দহ পৌর এলাকার ফুলছেন্না গ্রামের কাছে ট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষে অটোরিকশার চালক আনু নিহত হন। এই সময় অটোরিকশায় থাকা তিন যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাইনুল ইসলাম পৃথক সড়ক দুর্ঘটনার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জামালপুরে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ঘুমন্ত দম্পতির
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ট্রাকচাপায় ঘুমন্ত কৃষক দম্পতি মারা গেছেন। সোমবার ভোরের দিকে জামালপুর-রৌমারী সড়কে উপজেলার বাঘারচর গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের জয়নাল আবেদীন (৪৮) ও তার স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪০)।
আরও পড়ুন: পৃথক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামে নিহত ৩
দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাব্বত কবির জানান, দুর্ঘটনার সময় জয়নাল আবেদীন ও তার স্ত্রী হাসিনা বেগম রাস্তার পাশে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে দিকে রৌমারীগামী সারবোঝাই একটি ট্রাক জয়নাল আবেদীনের ঘরের ওপর উল্টে পড়ে। এসময় ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় কৃষক দম্পতি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ বন্ধু নিহত
দুর্ঘটনা পর ট্রাকচালক পালিয়ে যায় বলে ওসি জানান।
স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: যুবকের যাবজ্জীবন, সহযোগীর ১৪ বছরের সাজা
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন এবং তার সহযোগীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আক্তারুজ্জামান বুধবার দুপুরে এ সাজার রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন ঝিনাইগাতীর কালিনগর গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৩১) এবং তার সহযোগী হাসলিগাঁও গ্রামের ছানা মিয়া (৩৮)।
শেরপুর নারী ও শিশু আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি মামলার নথির উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ২০১৫ সালের ২০ মে সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রী চাচার বাড়ি থেকে নিজবাড়িতে ফিরছিল। পথে সাজাপ্রাপ্তরা রাস্তা থেকে জোর করে তাকে অপহরণ করে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শেরপুর, জামালপুর, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শফিকুল তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। স্কুলছাত্রীর বাবার করা মামলায় পুলিশ দুই মাস পর ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করে। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ঝিনাইগাতী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) খোকন মিয়া আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারিক পর্যায়ে ১১ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার এ সাজার রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। রায়ে একইসাথে শফিকুলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহিদুল হক আধার উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানান।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জে রেল যাত্রীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামে নিবার্চনী সংঘর্ষে একজন নিহত, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙামোড় ইউনিয়নে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনায় বাবুল মিয়া নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুতে সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধরা।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টায় পর্যন্ত ফুলবাড়ী-নাগেশ্বরী সড়কের বটতলা নামক এলাকায় প্রায় দুই ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদকারীরা। এসময় সড়কের দু’পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিমল চাকমা, নাগেশ্বরী সার্কেল’র এএসপি সুমন রেজা, ফুলবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সারোয়ার পারভেজসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। পরে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ফুলবাড়ী থানায় নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর রাতে ভাঙামোড় ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফ্যান মার্কার প্রার্থী মুকুল মিয়ার সমর্থক ও তালা মার্কার প্রার্থী শাহা আলমের সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় আহত বাবুল মিয়া ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে এসে মারা যান। এরই প্রতিবাদে বুধবার তার স্বজনসহ এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব কুমার রায় জানান, এ ব্যাপারে পরিবার থেকে এখনও কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। নির্বাচনী সহিংসতায় বাবুল মিয়ার মৃত্যু হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে নিশ্চিত হওয়ার জন্য লাশ কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনা: কুড়িগ্রামে একই পরিবারের ৩ জনসহ নিহত ৪
বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে সাহসিকতা সম্মাননা পেল কুড়িগ্রামের ৭ কিশোরী
কুড়িগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় সেনা সদস্য নিহত
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ট্রাকের ধাক্কায় শিপন মিয়া (২৩) নামে এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার সোনাহাট সেতুতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সেনা সদস্য উপজেলার চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আওয়ালের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, নিহত শিপন সন্ধ্যার পরপরই একজন আরোহীসহ মটরসাইকেল যোগে ভূরুঙ্গামারী শহর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে সোনাহাট রেল সেতুর মাঝমাঝি পৌঁছেলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে মটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত শিপন মিয়া কিছুদিন আগে তার কর্মস্থল থেকে ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন বলে তার পারবারিক সূত্রে জানা গেছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ট্রাকটিকে আটক করা গেলেও এর চালক পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় ২ মাদরাসা ছাত্র নিহত
চট্টগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় মা-মেয়ে নিহত
সুনামগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় শিশুসহ নিহত ২
বারহাট্টায় সৎ ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ছোট ভাই খুন
নেত্রকোণার বারহাট্টায় জমিতে সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে সৎ বড় ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ছোট ভাই খুন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পলাশ মিয়া (৩০) মারা যাওয়ার পর পরই অভিযুক্ত বড় ভাই আলামিন মিয়া (৪০) বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। তারা ওই উপজেলার গোড়াউন্দ গ্রামের রব মিয়া ছেলে।
নিহত পলাশের ছোট ভাই মো. পিতাস বলেন, আমার বড় ভাই পলাশ মিয়া ও সৎ বড় ভাই আলামিন মিয়াসহ আমরা শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ির উঠানে আলোচনা করছিলাম জমিতে সেচ দেয়ার বিষয়ে। আলোচনার এক পর্যায়ে আলামিন উত্তেজিত হয়ে আমার ভাই পলাশকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারাত্মক আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টার সময় পলাশ মারা যায়।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: জমি সংক্রান্ত বিরোধে চাচার হাতে ভাতিজা খুনের অভিযোগ
জমি নিয়ে বিরোধ: পাবনা, খুলনা ও ভোলায় নিহত ৪
ভাসানীর মাজারে হামলার শিকার রেজা কিবরিয়া ও নুর
টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর মাজারে হামলার শিকার হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পুলিশের উপস্থিতিতে এ হামলা চালান বলে অভিযোগ করেন গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক শাকিলুজ্জামান। বুধবার দুপরে এ হামলার ঘটনায় তাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন বলেও তিনি জানান।
গণঅধিকার পরিষদ নেতা শাকিলুজ্জামান জানান, দুপুর ১২টার দিকে ভাসানীর মাজারের কাছাকাছি পৌঁছলে ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী দলীয় স্লোগান দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান। এতে আমাদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুল হক নুরসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভিপি নুরের বিরুদ্ধে মামলা
তিনি অভিযোগ করেন, দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেলসহ কয়েক দফা হামলা চালানো হয় আমাদের ওপর। প্রায় ৪০ মিনিট পর আমাদের নেতাদের পুলিশের গাড়িতে করে বের করে নেয়ার সময় ফের হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে সংবাদ সম্মেলন করে হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেয়া হবে বলে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা জানান।
হামলার বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সরওয়ার হোসেন বলেন, গণঅধিকার পরিষদের নেতারা মওলানা ভাসানীর মাজারে কাছাকাছি পৌঁছার পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। একপর্যায়ে ড. কিবরিয়া ও নুরসহ গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের পুলিশি নিরাপত্তায় ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিবির পাল বলেন, ড. রেজা ও ভিপি নূর সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তার প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের ওপর হামলা করেন। এতে ছাত্রলীগের চার সদস্য আহত হন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ আমাকে হত্যার চেষ্টা করছে: ডাকসু ভিপি নুর
শেরপুর সীমান্তে বিদ্যুতায়িত করে হাতি হত্যার অভিযোগ
জেলার শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ি সীমান্তের মালাকাকোচা এলাকা থেকে মঙ্গলবার একটি বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বনের ভেতর স্থানীয় কৃষক আমীর আলীর বাড়ির চারপাশে পাতা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে ওই বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। হাতির মৃত্যুর পর ওই কৃষক হাতির শরীর থেকে বিদ্যুতের তার খুলে ফেলেন বলেও জানান তারা।
খবর পেয়ে বালিঝুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হাতির প্রাথমিক সুরতহাল পরীক্ষা শেষে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। মৃত হাতিটি পুরুষ এবং বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছর হতে পারে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
বালিঝুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, হাতির মৃত্যুর খবর পেয়ে ভোরেই ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছি। প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে ধারণা করা হচ্ছে হাতিটি বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে। তবে চূড়ান্ত তথ্য ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
এ বিষয়ে শ্রীবরদী থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্য হাতির মৃত্যু
শেরপুর সীমান্তে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই পাহাড়ি অধিবাসীদের
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার
জামালপুরে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
জামালপুর সদর উপজেলার নারিকেলীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সাথে ট্রাকের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও অপর দুজন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে জামালপুর-ঢাকা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিতরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার ছোনটিয়া গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে মিন্টু মিয়া (২৮) এবং মেলান্দহ উপজেলার মুন্সিনাংলা গ্রামের উসমান গনির ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভোরে জামালপুর থেকে যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা মধুপুরের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে নারিকেলী বাজারের কাছে জামালপুরগামী একটি ট্রাক অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় অটোরিকশার চালকসহ আহত দুজনকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জামালপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশীদ জানান,ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে জামালপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ স্কুলছাত্র নিহত
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া হলো না তন্ময়ের
শেরপুর সীমান্তে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই পাহাড়ি অধিবাসীদের
শেরপুরের শ্রীবরদী সীমান্তে আবারও বন্য হাতির আনাগোনা শুরু হয়েছে। ক্ষেতের ফসল পাকতে শুরু করতেই বন্যহাতির দল লোকালয়ে নেমে এসে হানা দিচ্ছে আবাদী জমিতে। গত এক সপ্তাহ ধরে হাতির দল খেয়ে সাবাড় করছে, পায়ে মাড়িয়ে নষ্ট করছে খেতের আধপাকা ধান, সীম-বরবটি, করলাসহ নানা ধরনের সবজীর আবাদ।
মূলত: খাবারের সন্ধানেই বন্য হাতির দল লোকালয়ে নেমে আসছে। হাতি তাড়াতে রাত জেগে জান-মাল রক্ষার চেষ্টা করছেন সীমান্ত অঞ্চলের অধিবাসীরা। এতে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই স্থানীয় পাহাড়ি অধিবাসীদের।
স্থানীয়রা জানান, ভারতের সীমানাঘেঁষা শেরপুরের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় গারো পাহাড়ের প্রায় ৪০টি গ্রাম রয়েছে। ওইসব গ্রামের চারপাশ ঘিরে গারো পাহাড়। কয়েকদিন যাবত ভারত থেকে নেমে আসা শতাধিক বন্য হাতি কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে ওইসব এলাকায় বিচরণ করছে। বন্য হাতির দল সারাদিন পাহাড়ি ঝোপ-জঙ্গলে থাকলেও সন্ধ্যা হলেই নেমে আসে লোকালয়ে। হামলা চালাচ্ছে বাড়ি-ঘরে। খেয়ে সাবাড় করছে চলতি আমন মৌসুমের আবাদ। পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করছে বিস্তীর্ণ আবাদি জমির ফসল। আর ধ্বংস করছে সবজি খেত। বাধা দিতে গেলে শুরু হয় হাতি ও মানুষের যুদ্ধ। ঢাকঢোল পিটিয়ে, পটকা ফুটিয়ে আর মশাল জ্বালিয়ে ঠেকানো যাচ্ছে না হাতির তান্ডব। এখন ওইসব গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ হাতির আতঙ্কে দিন পার করছেন।
৩১ অক্টোবর রবিবার সরেজমিনে শ্রীবরদীর বালিজুড়ি এলাকায় গেলে কথা হয় স্থানীয় গারো কৃষক ব্রতীন মারাকের সাথে। তিনি জানান, আমরা পাহাড়ে বসবাস করি। এখানকার প্রায় সবাই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বন্য হাতি খেতের সবজি আর ধান খেয়ে সাবাড় করছে। মাঝেমধ্যে বাড়ি-ঘরেও হামলা করছে। এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানায় পৃথকভাবে অনেকে সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।
আর পড়ুন: শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে গারো অধিবাসী নিহত
নেয়াবাড়ির টিলা ও পার্শ্ববর্তী মালাকোচা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রহুল আমীন, মজনু মিয়া, আলাল মিয়া, আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা পাহাড়ের বাসিন্দা। ধান আর সবজি চাষ করি। এসব ফসলের আয় দিয়েই আমাদের সংসার চলে। প্রতিবছরই ধান পাকলেই হাতি আসে। সবজি আর ধানক্ষেত খাইয়া যায়। অনেক ক্ষতি করতাছে। এইবারও অনেক ক্ষতি করছে। এখন বউ পোলাপান নিয়া ক্যামনে চলমু, চিন্তায় আছি।
শ্রীবরদী উপজেলা সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. কোহিনুর হোসেন বলেন, আমরা একটি বেসরকারি সংস্থার তথ্য মতে, জানতে পেরেছি, এই পাহাড়ে ১৯৯৫ সাল থেকে বন্য হাতির আক্রমণ চলছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ জন মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন শত শত। ক্ষতি হয়েছে বিস্তীর্ণ আবাদি জমির ফসল। বন্যহাতির তান্ডব থেকে মানুষের জান-মাল রক্ষায় স্থায়ী পদক্ষেপ দরকার।
শ্রীবরদী উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রাঞ্জল এম সাংমা বলেন, গারো পাহাড়ে বেশির ভাগ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজনের বসবাস। গ্রামবাসী হাতির উপদ্রব থেকে বাঁচতে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে। তবে এখনো প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ জন্য দিন দিন বন্য হাতির তান্ডবে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্য হাতির আক্রমণে প্রাণ গেল ২ কিশোরের
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার বলেন, আমরা বন্য হাতির হামলায় নিহত, আহত ও ঘরবাড়িসহ ফসল ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছি। তাছাড়া বন্যহাতি তাড়াতে মশাল জ্বালানোর জন্য এলাকাবাসীর মাঝে কেরোসিন তেল ও জেনারেটর চালাতে ডিজেল সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্থায়ীভাবে বন্য হাতির কবল থেকে রক্ষা পেতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জোরালো হস্তক্ষেপের কথা জানানো হয়েছে। খুব দ্রুতই পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বনবিভাগের শেরপুরের এসিএসফ (সহকারি বন সংরক্ষক) ড. প্রাণতোষ চন্দ্র রায় বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে হাতি-মানুষে দ্বন্দ্ব নিরসনে সহাবস্থান নিশ্চিত করতে বনবিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এলাকায় এলাকায় এলিফেন্ট রেসপন্স টিম গঠন করে তাদেরকে প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। যাতে লোকালয়ে আসা বন্যহাতিকে উত্যক্ত না করে কিভাবে তাদেরকে ফের বনে ফেরত পাঠানো যায়। বন্যহাতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণও দেয়া হচ্ছে। বনের ভেতর সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে হাতির খাবার উপযোগী বনবাগান সৃষ্টিরও চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে বন্যহাতি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে না আসে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হাতির আক্রমণে নিহত ৩ পরিবার পাবে একলাখ টাকা করে