%E0%A6%86%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97
বিএনপির চাওয়ায় দেশের অমঙ্গল হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির অশুভ কামনায় বাংলাদেশের কোনো অমঙ্গল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, পূর্ব-পশ্চিম সবার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক চমৎকার। সবার সঙ্গে সম্পর্ককে আরও গভীর করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
আরও পড়ুন: পূর্ব-পশ্চিমের সব দেশ আমাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম এলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ড. হাছান মাহমুদ।
এরপর চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে বিমানবন্দরের বাইরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুলেল সংবর্ধনা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
হাছান মাহমুদ বলেন, এবারের নির্বাচন যে আন্তর্জাতিকভাবে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে গ্রহণ করেছে, সেটির প্রমাণ হচ্ছে বহু নির্বাচনি পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনডিআই, আইআরআই, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত, সার্কভুক্ত, ওআইসিভক্ত ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থার পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা সবাই একযোগে মত প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম সহিংসতা হয়েছে। এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যবেক্ষক তথ্য-উপাত্তের জন্য নির্বাচন কমিশনে গেছে- এ বিষয়ে বক্তব্য ড. হাছান বলেন, আমাদের বিদেশি বন্ধুদের আমাদের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ আছে, সেজন্য নির্বাচন কমিশনে গিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি আজকে কাগজে দেখলাম, নির্বাচন কমিশন যেই তথ্য-উপাত্ত দিয়েছে, এতে তারা সন্তুষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালো ডিক্যাব
মন্ত্রী বলেন, বেশিরভাগ নিবন্ধিত দল এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার কারণে ভোটের পার্সেন্টেজ প্রায় ৪২ শতাংশ ছিল। যদি কুয়াশা ও শীত না থাকত তাহলে আরও বেশি ভোট পড়ত।
রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি, আমরা তাদের সঙ্গে আরও এনগেজমেন্ট বাড়াচ্ছি, আমি ন্যাম সামিটে যাচ্ছি, সেখানে মায়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আমরা কূটনৈতিকভাবেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আ. লীগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুকন্যা আছেন বলেই দেশে সমৃদ্ধি ঘটছে: আরাফাত
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আছেন বলেই দেশে শান্তি বিরাজ করছে, সমৃদ্ধি ঘটছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-১৭ আসনের কালাচাঁদপুর সরকারি হাইস্কুল ও কলেজ মাঠে তার সম্মানে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের জায়গায় জায়গায় অশান্তি, যুদ্ধ-বিগ্রহের চিত্র আমরা টেলিভিশনে দেখি, খবরের পাতায় পড়ি। আমাদের দেশে গত ১৫ বছর ধরে শান্তি আছে, দেশ এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের শান্তি বিনষ্টের জন্য যারা মানুষ ও যানবাহনের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে এমন কি ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করে নির্মমভাবে নারী-শিশুসহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং তাদেরকে রুখে দিতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: মত প্রকাশ ও তথ্যের অবাধ স্বাধীনতা থাকবে: আরাফাত
তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের দেখানো ভয়-ভীতিতে মানুষ আতঙ্কিত হয়নি। শীতের সকালে ভোট দিতে গেছে।আমরা জরিপ করে দেখেছি, যে কোনো নির্বাচনী এলাকার ২৪ থেকে ২৫ শতাংশ ভোটার এলাকায় থাকেন না। অর্থাৎ বাকি ৭৫ শতাংশের মধ্যে হিসাব করলে সারা দেশে গড়ে ৪২ শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি ভোট পড়েছে।’
এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত এলাকার জনগণকে ধন্যবাদ জানান ও সুচারু দায়িত্বপালনে তাদের আশীর্বাদ কামনা করেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিনসহ স্হানীয় নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
আরও পড়ুন: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হলেন আরাফাত
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত
ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে: কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত কখনো শেষ হয় না। তাই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে কোটালীপাড়া উপজেলা প্রাঙ্গণে তার নিজ নির্বাচনি এলাকা (গোপালগঞ্জ-৩) কোটালীপাড়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা ও মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি নতুন মন্ত্রিসভার শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আরও অনেক কাজ করার আছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছে এবং বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমাদের এটিকে (অগ্রগতি) দীর্ঘস্থায়ী করতে হবে এবং এটিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) আসন নিজের শক্ত ঘাঁটি আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, তার শক্ত ঘাঁটি থাকায় তিনি যেকোনো জায়গায় যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে পারেন।
আরও পড়ুন: আগামী ৫ বছর উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণই তার ক্ষমতার উৎস এবং তিনি এই শক্তি দিয়ে সফলভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’
'আমার গ্রাম আমার শহর' কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি গ্রাম গড়ে তোলা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষ সব ধরনের শহুরে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে।’
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোই সরকারের প্রধান কাজ: টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসংযোগকারী ও তাদের পরিকল্পনাকারীদের শাস্তি দিতে সরকার কোনো আপস করবে না। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের জঘন্য কাজের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আমরা আদেশদাতাদের গ্রেপ্তার করছি, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের জঘন্য কাজ না করে, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতে না পারে।’
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি এবং শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। কোটালীপাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখের সঞ্চালনা
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আকরাম উদ্দিন আহমেদ, গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান এবং প্রধানমন্ত্রীর গোপালগঞ্জ-৩ আসনের রাজনৈতিক প্রতিনিধি শহীদুল্লাহ খন্দকার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: দুই দিনের সফরে শনিবার গোপালগঞ্জ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি শনিবার টুঙ্গিপাড়ায় এসে টুঙ্গিপাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
তিনি টুঙ্গিপাড়ায় নিজের বাড়িতে রাত কাটান এবং ঢাকায় ফেরার পথে কোটালীপাড়ায় অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: ওবায়দুল কাদের
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের ওপর বড় ধরনের বোঝা রয়ে গেছে বলে স্বীকার করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে সরকার এসব পণ্যের মূল্য সামর্থ্যের মধ্যে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।’
সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রাথমিক চ্যালেঞ্জের কথাও তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন,‘পদ্মা সেতু ও ঢাকা মেট্রোরেল উদ্বোধনের পরেও সড়কে শৃঙ্খলা এখনও ঠিক হয়নি। আমরা একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি, যা বাস্তবায়িত হলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যাবে।’
ওবায়দুল কাদের জাতীয় উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করেন এবং সাম্প্রতিক নির্বাচনের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, 'অনেক সংশয় থাকা সত্ত্বেও আমরা সফলভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছি। আমরা আরও চ্যালেঞ্জ প্রত্যাশা করছি, আমরা নির্ভীক এবং তাদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।’
প্রধানমন্ত্রী নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করেন না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'এই সরকার যাতে ক্ষমতায় থাকতে না পারে সেজন্য তারা (বিরোধীদল) তাদের বিদেশি বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে আছে। তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোনো নিষেধাজ্ঞা বা ভিসা নীতি নিয়ে মাথা ঘামান না।’
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বিরোধীরা কম্বোডিয়ার মতো নিষেধাজ্ঞার আশা করছে। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব নিষেধাজ্ঞা বা ভিসা নীতি নিয়ে চিন্তিত নন।
আরও পড়ুন: সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নই হবে নতুন সরকারের মূল কাজ: কাদের
হতদরিদ্রের হার শূন্যের কোটায় আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নব নিযুক্ত সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন,‘হতদরিদ্রের হার ৫ দশমিক ৬ নেমে এসেছে। সেটাকে শূন্যের কোটায় আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা যে স্বপ্ন দেখেছেন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করব। আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চাঁদপুর-হাইমচরবাসীর ঋণ শোধ করার চেষ্টা করব।’
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মত বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নতুন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমবার আজ বিকালে চাঁদপুরে যান তিনি।
বিএনপি প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, যারা অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা করে, যারা দেশবিরোধী ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করে, তাদের কোনো দল নেই। এগুলো যারা করে তাদের রাজনৈতিক দল বলা ঠিক না।
মন্ত্রী বলেন, নতুন মন্ত্রণালয়ে যাব রবিবার। তারপর বুঝতে পারব নতুন কী কী চ্যালেঞ্জ আছে। এটা খুব বড় সেক্টর। বঙ্গবন্ধু যে কল্যাণ রাষ্ট্র করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা যে বৈষম্য দূর করতে চেয়েছিলেন, এটা সেই মন্ত্রণালয়। সেই কাজটি অতীতের ধারাবাহিকতা ও নতুন নতুন পদক্ষেপ নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাজ করা হবে।
চাঁদপুরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে সারা জীবনের জন্য ঋণী করেছেন। একবার নয়, ৪ বার নির্বাচিত করেছেন। এই ভোট ছিল আমার প্রতি আপনাদের আস্থা, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, দোয়া ও আর্শিবাদ। আমার সর্বোচ্চ দিয়ে আপনাদের এই ঋণ শোধ করার চেষ্টা করব।
আরও পড়ুন: মত প্রকাশ ও তথ্যের অবাধ স্বাধীনতা থাকবে: আরাফাত
তিনি আরও বলেন, আপনারা আমাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। আর সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রী সভায় তৃতীয়বার মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি আমার জন্য পরম সৌভাগ্য। এই জন্য আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ এবং আপনাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা। কারণ আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন (এসডু) পাটওয়ারী, অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভূইয়া, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, যুবলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান টুটুলসহ, পৌর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতা-কর্মী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বস্ত্র ও পাটখাতকে স্মার্ট করতে কাজ করব: নানক
বস্ত্র ও পাটখাতকে স্মার্ট করতে কাজ করব: নানক
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বস্ত্র ও পাটখাতকে স্মার্ট করতে দ্রুত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কাজ করা হবে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে মন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ’লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হলেন শাজাহান, নানক, আবদুর রহমান
সাক্ষাৎকালে নানক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প-২০৪১ সমানে রেখে পাট ও বস্ত্রখাতে নতুন নতুন উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে এ খাতকে আধুনিকায়নের কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং রপ্তানি বৃদ্ধিতে নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাব।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সুপরিকল্পিত: নানক
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বৃহস্পতিবার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
নতুন মন্ত্রিসভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য।
তিনি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর পা ধরে হলেও আপনাদের প্রত্যাশা পূরণ করব: নানক
২০০৮ সালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর আসন (ঢাকা-১৩) থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নানক।
২০০৯ সালে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে একই আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এ রাজনীতিক।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন মানেই আওয়ামী লীগ: নানক
মত প্রকাশ ও তথ্যের অবাধ স্বাধীনতা থাকবে: আরাফাত
নবনিযুক্ত তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না এবং বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
একাডেমিক, সমাজকর্মী ও রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত আরাফাত বলেন, 'মত প্রকাশ ও তথ্যের অবাধ স্বাধীনতা থাকবে।’
আরও পড়ুন: পূর্ণমন্ত্রী হচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ ও উপমন্ত্রী মহিবুল
টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা সাম্প্রদায়িক মানসিকতা নিয়ে রাজনীতি করে তারা নিজেদের জন্য গণতন্ত্র চায়, কিন্তু তারা অন্যদের গণতান্ত্রিক অধিকারে দিতে চায় না।
তিনি বলেন, মৌলবাদী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগুলো নিজেদের জন্য মত প্রকাশের স্বাধীনতা চায়, কিন্তু অন্যদের সেই স্বাধীনতা দিতে চায় না, যা সমাজে গণতন্ত্রের অগ্রগতির জন্য একটি গুরুতর সমস্যা তৈরি করে। আরাফাত বলেন, ‘মৌলবাদ ও ধর্মান্ধতা গণতন্ত্রবিরোধী।’
তিনি বলেন, প্রথমে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক মানসিকতা পরিত্যাগ করতে হবে, তারপর গণতন্ত্রের সন্ধান করতে হবে।
আরও পড়ুন: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হলেন আরাফাত
আরাফাত একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসন থেকে দুইবার নির্বাচিত হয়েছেন। গত বছরের ১৭ জুলাই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে বিজয়ী হয়ে একাদশ জাতীয় সংসদে প্রবেশ করেন তিনি। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য।
তিনি অনেক বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক যোগাযোগ ও বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
মোহাম্মদ এ আরাফাত একাডেমিক, সামাজিক-আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্কুল অব বিজনেসের শিক্ষক। তার একাডেমিক আগ্রহসহ ছোটখাট ব্যবসা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মূলধন, সংযোগ ইত্যাদির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী
তিনি ঢাকাভিত্তিক অলাভজনক সামাজিক সংগঠন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। ফাউন্ডেশনটি উদ্যোক্তা উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপক প্রচারণামূলক কাজ করেছে।
টেক্সাস এঅ্যান্ডএম ইউনিভার্সিটি, প্রাইরি ভিউ এবং ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে অ্যাডভান্সড বিজনেস ডিগ্রি অর্জন করেছেন আরাফাত।
ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তিনি জনপ্রিয় মুখ।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিসভায় ২৫ মন্ত্রী, ১১ প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি
সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
নতুন সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘এই তিন চ্যালেঞ্জ সামনে রয়েছে। এই তিন খাতে বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা এত সহজ নয়।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই এটি: ওবায়দুল কাদের
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন বলেন, 'এই সংকট কাটিয়ে আমরা আজ একটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছি। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী প্রভাবের কারণে।’
আরও পড়ুন: আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের পথে কখনো ফুল আসেনি। জন্ম থেকেই আমাদের কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব। সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দলের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র রক্ষায় আবারও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ওবায়দুল কাদের
৭ জানুয়ারি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ‘ভালো নির্বাচনের’ সাক্ষী হবে বিশ্ববাসী: ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এখন কেউ বাধা দিতে পারবে না: শেখ হাসিনা
গত ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসায় এখন থেকে কেউ দেশের অগ্রযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, 'যেহেতু আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসেছে, তাই বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রগতিকে আর কেউ ব্যাহত করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদেশি বন্ধুদের অভিনন্দন
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে এই নির্বাচন বন্ধ করতে চেয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও তার সমমনা দলগুলো যখন নির্বাচনে যোগ দেয় তখন একটি বিশেষ দল নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করার পরও এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।’
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে না।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণই আপনাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব: দলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, 'কেউ বলতে পারবে না যে, এই নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। নির্বাচন অত্যন্ত স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোট কারচুপি হয়েছে এমন কিছু বলার ক্ষমতা কারও নেই।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার কখনই নির্বাচন কমিশনে হস্তক্ষেপ করেনি, বরং সহায়তা করেছে।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসিকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভিশন পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে এখন আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।
আরও পড়ুন: একটানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের শক্তি একটি বড় শক্তি, যা আবারও প্রমাণিত হয়েছে।
সমালোচকদের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, সামরিক স্বৈরশাসকরা যখন ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় এসেছিল তখন তারা নীরব ছিল। ‘কিন্তু এখন যখন আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি, তখন তারা আমাদের গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
'আমরা গণতন্ত্রকে সুসংহত করেছি;’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, দারিদ্র্যের হার কমেছে এবং মাথাপিছু আয় বেড়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার দলকে ভোট দেওয়ায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও কম ভোটে জয় আ.লীগের
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সরকার তাদের প্রচারণায় বাধা দেয়নি।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে এবং শত প্রতিবন্ধকতা ও ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে এই নির্বাচন গ্রহণ করেছে...... গ্রামাঞ্চলেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণ একটি ঐতিহাসিক দলিল।
তিনি বলেন, 'জাতির পিতা তার ভাষণে ভবিষ্যতে স্বাধীন বাংলাদেশ কীভাবে চলবে সে বিষয়ে সব দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের অভিনন্দন
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
গত ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়ায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের কারাগারে ২৯০ দিন বন্দি থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভা গঠনে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি