আওয়ামী-লীগ
সার্চ কমিটির মাধ্যমে ‘নির্বাচন কমিশন’ গঠিত হবে: কৃষিমন্ত্রী
সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সেটিই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট।
তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। রাষ্ট্রপতি তাদেরকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। নির্বাচন কমিশন তাদের শপথ অনুযায়ী স্বাধীনভাবে দেশে সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা করবেন। এক্ষেত্রে সরকারের কোন ভূমিকা বা হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই, থাকবেও না।’
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, যেভাবেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক না কেন, বিএনপি নির্বাচনে হারলে বলবে কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেনি। তারা ১৯৯১ সালে ও ২০০১ সালে নির্বাচনে জিতেছিল, সেজন্য নির্বাচন দুটি তাদের কাছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।
পড়ুন: সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিএনপি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘এদেশের মানুষকে দিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। অন্য দেশ বা ভিন্ন গ্রহ থেকে মানুষকে ধরে আনা যাবে না। সার্চ কমিটির মাধ্যমে যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে, আইনগতভাবে তারাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট।’
ড. রাজ্জাক বলেন বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ধর্মান্ধ জামায়াত, হেফাজতসহ সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং তাদের মদতদাতা বিএনপি হুমকিস্বরূপ। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি পারভীন জামান ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুলতান প্রমুখ এসময় বক্তব্য দেন।
পড়ুন: বিএনপি যাদের নিয়ে ঐক্য করে তাদের মধ্যেই প্রচন্ড অনৈক্য: তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফরের ফলাফল শূন্য: মির্জা ফখরুল
বিএনপি যাদের নিয়ে ঐক্য করে তাদের মধ্যেই প্রচন্ড অনৈক্য: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি যাদের নিয়ে ঐক্য করে তাদের মধ্যেই প্রচন্ড অনৈক্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে বিএনপি বলছে, সর্বশক্তি নিয়োগ করে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। ২০১৮ সালের আগেও তারা ডান, বাম, অতিবাম সবাইকে নিয়ে ঐক্য করেছিল, সেই ঐক্যের শক্তি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে।’রবিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পডুন: বিএনপির উচিত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও তারা সেই আগের মতো কাগুজে ঐক্য করলেও করতে পারেন। তবে আগের ঐক্য যেহেতু শুধু হাওয়ায় মিলিয়েই যায়নি অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রচন্ড অনৈক্যও দেখা গেছে, সেজন্য তারা আবার ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’ নামে কিছু শুরু করেছে।’ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সমগ্র বিশ্ব নেতারা আজ শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রীকে পুরস্কৃত করেছে। আর বিএনপির নেতারা বলছেন, ভিন্ন কথা। কারণ তারা আওয়ামী লীগের সাফল্য, শেখ হাসিনার সাফল্য দেখেও দেখেন না, চোখ থাকতে অন্ধ, কান থাকতেও বধির। তারা শুনেও শোনেন না, বুঝেও বোঝেন না, দেখেও দেখেন না, বিএনপির অবস্থা হচ্ছে সেরকম।’
আরও পডুন: ২১০ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হবে: তথ্যমন্ত্রীতিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রতিদিনের বাগাড়ম্বর শুনতে শুনতে জনগণের কান ঝালাপালা হয়ে গেছে। খালি কলসি যেমন বেশি বাজে, বিএনপিও ঠিক সেরকম বেশি বাজে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব, কদিন বিরতি দিয়ে এখন রিজভী সাহেব বাজেন, গয়েশ্বর বাবু তালে বেতালে বাজেন। এনিয়ে জনগণের মধ্যে হাস্যরস সৃষ্টি হয়েছে।’আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন খুব বেশি দিন বাকি নেই। দু'বছরের একটু বেশি সময় পরেই বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে আমরা যদি সাংগঠনিক পুরো শক্তি দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি তাহলে ২০১৮ সালের মতোই ধস নামানো বিজয় ইনশাল্লাহ আমাদের হবে।’
আরও পডুন: কোনো সাংবাদিক অহেতুক হয়রানির শিকার হবেন না: তথ্যমন্ত্রীউপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগ নেতা জহির আহমদ চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, মেয়র শাহজাহান সিকদার প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর আ’লীগের সভাপতি জলিল, সম্পাদক রোকনউজ্জামান
কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছেন। এতে সভাপতি হিসেবে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও নামোশংকরবাটি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বিদায়ী কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ রোকনউজ্জামান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন।
ওই দিন দুপুরে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হয়। এরপর দ্বিতীয় অধিবেশনে পুরাতন স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়ামে বিকাল ৩টা থেকে গোপন ব্যালটে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্ধারণে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ থেকে কাদের মির্জার পদত্যাগ
বিএনপির উচিত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি সব সময় পিছনের দরজা পছন্দ করে, জিয়াউর রহমান পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। খালেদা জিয়াও পিছনের দরজা পছন্দ করে। তাঁর সাজা স্থগিতের আদেশ সরকার চাইলেই বাতিল করতে পারে, বিএনপির উচিত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা।
আরও পড়ুন: ২১০ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হবে: তথ্যমন্ত্রী
শুক্রবার বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এছাড়া সকালে খুলনার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ অঞ্চলের সাংবাদিকদের প্রনোদনার চেক প্রদানকালে তিনি বলেন, ‘খুলনায় বাংলাদেশ টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র চালু করা হবে। বন্ধ হয়ে যাওয়া খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিল পুনরায় চালু করা হবে এবং আগের মতো সংবাদপত্রে নিউজপ্রিন্ট সরবরাহের মাধ্যমে বিদেশ থেকে নিউজপ্রিন্ট আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে।’
ড. হাসান মাহমুদ বলেন, ‘এ সরকার উন্নয়ন বান্ধব সরকার সারাদেশে যে উন্নয়ন হচ্ছে, মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। এ কথাগুলো সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই তৈরি হবে আইপি টিভি রেজিস্ট্রেশন নির্দেশিকা: তথ্যমন্ত্রী
জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, খুলনা প্রেসক্লাব সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: কোনো সাংবাদিক অহেতুক হয়রানির শিকার হবেন না: তথ্যমন্ত্রী
দেশের মানুষের বিপদে আ’লীগ পাশে থেকেছে: স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি
আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন সব সময় দেশের মানুষের বিপদে পাশে থেকেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ।
তিনি বলেন, ‘শুধু সরকারে থেকেই নয়, যখন বিরোধীদলে ছিল তখনও আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন দেশের মানুষের বিপদে পাশে থেকেছে। কিন্তু আজ আমরা কি দেখি, তারা (বিএনপি) দেশের জন্য নয়, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করেন।’
শনিবার ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্মল রঞ্জন বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোনো কর্মীর অন্যায় কাজ করা চলবে না, কেউ যদি তা করে প্রমাণ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, কেন্দ্রীয় নেতা তারেক সাঈদ, আব্দুল আলিম, আজিজুল হক আজিজ, তানভীর আক্তার শিপার, মেহেদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ফখরুলের
বিএনপি নেতাদের ওপর কর্মীদেরই আস্থা নেই: তথ্যমন্ত্রী
ছাত্রলীগ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ভ্যানগার্ড: নাহিয়ান খান
বিএনপি নেতাদের ওপর কর্মীদেরই আস্থা নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'মির্জা ফখরুলদের ওপর কর্মীদেরই আস্থা নেই, বিএনপির কর্মীদের দ্বারাই তারা প্রচন্ডভাবে সমালোচিত। যে দলের এই অবস্থা, সেই দলের মহাসচিব হুইসেল বাজালেই আন্দোলনে মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়বে, এমন বক্তব্য হাস্যকর। বিএনপি কোন একটা অনুষ্ঠান করতে গেলে নিজেরাই মারামারি করে সে অনুষ্ঠান পন্ড করে দেয়।'
শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের গণআন্দোলনের ডাক নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'উনার বক্তব্যে মনে হচ্ছে উনি কিংবা সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হুইসেল বাজাবেন, তাহলেই মানুষ রাস্তায় নেমে পড়বে। আসলে মির্জা ফখরুল সাহেব যে জেগে জেগে স্বপ্ন দেখেন এবং প্রতিনিয়ত অবান্তর কথা বলেন, এই বক্তব্য সেটিরই হাস্যকর বহিঃপ্রকাশ।'
আরও পড়ুন: ফখরুল সাহেবের মুখে গণআন্দোলনের ডাক শোভা পায় না: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র একটি ঐতিহাসিক কেন্দ্র। কারণ এখান থেকেই ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান। পরে ২৭ মার্চ আওয়ামী লীগ নেতারা একজন সেনা অফিসারকে দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানোর জন্য মেজর জিয়াউর রহমানকে খুঁজে বের করে। পরে তাকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা সম্প্রচারে ব্যবহৃত কালুরঘাটের সেই ট্রান্সমিটারটি এখন চট্টগ্রাম পুরনো সার্কিট হাউসে রাখা হয়েছে। এটি কালুরঘাটে স্থাপিত স্বাধীনতা পার্কে ছোট্ট জাদুঘর করে সেখানে রাখা হবে।'
রেডিও যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অনন্য ভূমিকা রেখেছে, একইভাবে দেশ গঠনেও অনন্য ভূমিকা পালন করে চলেছে, বলেন তথ্যমন্ত্রী। বেতার যাতে দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দিতে আরও জোরালো ভুমিকা রাখতে পারে সেজন্য এর উন্নয়নে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বেতারের চট্টগ্রাম কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী নিত্য প্রকাশ বিশ্বাস, আঞ্চলিক পরিচালক এস এম মোস্তফা সরোয়ার, উপবার্তা নিয়ন্ত্রক মো. জাকির হোসেনসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
মির্জা ফখরুল কি জিয়ার লাশ দেখেছেন: তথ্যমন্ত্রী
কুমিল্লা-৭ উপনির্বাচন: আ’লীগের মনোনয়ন পেলেন ডা. প্রাণ গোপাল
কুমিল্লা-৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোয়ন পেয়েছেন ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। আগামী ৮ অক্টোবর এই আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের দলীয় সাংসদ অধ্যাপক আলী আশরাফ গত ৩০ জুলাই মৃত্যুবরণ করলে এই আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী এই আসনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল ১৩ সেপ্টেম্বর, যাচাই-বাছাই ১৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর।
শনিবার আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় ডা. প্রাণকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার ইস্যুতে আপস করবে না জাপা: জিএম কাদের
ক্ষমতায় টিকে থাকতে আ’লীগ আমলাতন্ত্রকে ব্যবহার করছে: ফখরুল
জিয়ার মরণোত্তর বিচার হতেই হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
ছাত্রলীগ সভাপতিকে নিজ উপজেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণার হুশিয়ারি
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে তার নিজ উপজেলা বাবুগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণার হুশিয়ারি দিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
১নং বীর শ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস.এম. তারিকুল ইসলাম তারেককে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে সোমবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে এই হুশিয়ারি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইয়াবাসহ বানিয়াচঙ্গ ছাত্রলীগ সভাপতি আটক
সমাবেশে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সরদার খালিদ হোসেন স্বপন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি হয়ে সংগঠন বিরোধী কাজ করছেন আল নাহিয়ান খান জয়। তার চাচাতো ভাই কামরুল হাসান হিমু বিএনপির নেতা। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় তার চাচাতো ভাই বিএনপি নেতা কামরুল হাসান হিমুর পক্ষে সহযোগীতা করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে হত্যার জন্য একের পর এক হামলার পরিকল্পনায় জয় তার চাচাতো ভাইকে সাহায্য করে যাচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের অপসারণ দুর্নীতির প্রমাণ: বিএনপি
জয়ের বাসা থেকেই আওয়ামী লীগ নিধনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে উল্লেখ করে স্বপন বলেন, ‘আপনার ঘর থেকে আওয়ামী লীগ নিধনের যে ষড়যন্ত্র চলছে সেগুলোকে আপনি প্রতিহত করুন। তা যদি আপনি না করেন তাহলে আপনার উপজেলা থেকেই কিন্তু আপনার বিরুদ্ধে আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করবো। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি এই ষড়যন্ত্র বন্ধ না করেন তাহলে আপনাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।’
এসময় তিনি সাবেক চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম তারেককে হত্যা প্রচেষ্টার সাথে জড়িত সকলের গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবি করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল
সভায় সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম তারেক বলেন, ‘জয়ের নির্দেশে তার চাচাতো ভাই বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুল হাসান হিমুর সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে যাচ্ছে। আমাকে হত্যার জন্য মজিদ সরদার ও আজহার হোসেন মনুসহ ছয়জনকে বাড়িতে পাঠিয়েছিল। কিন্তু হামলার পূর্বেই তাদের ধারালো অস্ত্রসহ আটক করে থানায় সপোর্দ করলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা চেয়ারম্যান হিমুর লোক বলে স্বীকার করে।’
আরও পড়ুন: পিস্তল ও ইয়াবাসহ ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার
সমাবেশে আগে বিক্ষোভ মিছিল বাবুগঞ্জ আ’লীগ কার্যালয় থেকে শুরু করে বাবুগঞ্জ থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃধা মোঃ আক্তারুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য দেলোয়ার রাড়ি, জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের সভাপতি ইউসূফ খানসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা।
জিয়ার নামে জাদুঘর সরিয়ে ফেলা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন গুপ্তঘাতক, পাকিস্তানের দালাল। রাষ্ট্রীয় অর্থে পরিচালিত কোনো জাদুঘর জিয়ার নামে থাকতে পারে না। তাই চট্টগ্রাম পুরনো সার্কিট হাউজে জিয়ার নামে চলা জাদুঘর সরিয়ে ফেলা হবে। সে ভবনকে পুনরায় সার্কিট হাউজে পরিণত করা হবে।
সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এম এ হান্নান। সেই ঘোষণার মাইক্রোফোন জিয়ার জাদুঘরে থাকবে না। এটি কালুরঘাটে নিয়ে যাওয়া হবে।
ডা. মুরাদ বলেন, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষী। এখানে হানাদার বাহিনীর টর্চার সেলে শহীদ হয়েছেন অনেক বাঙালি। অনেকগুলো ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী এই সার্কিট হাউস। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের স্বার্থেই জাতির পিতার খুনির নামে রাষ্ট্রের টাকায় জাদুঘর হতে পারে না।
আরও পড়ুন: জিয়ার মরণোত্তর বিচার হতেই হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ চৌধুরীর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক সহসভাপতি শহীদ উল আলম প্রমুখ।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের নানা সমস্যা, সমাধান এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের পাশে আছেন এবং থাকবেন। তিনি করোনাকালে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে দশ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। কোনো সাংবাদিকের দেশে, বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে তিনি পাশে দাঁড়ান। কোনো সাংবাদিকের পরিবার অসহায় অবস্থায় পড়লে তিনি পাশে দাঁড়ান।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীকে চট্টগ্রামে আগমন এবং মতবিনিময় সভায় যোগ দেয়ায় ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
জিয়ার মরণোত্তর বিচার হতেই হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার হতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান।
তিনি বলেন, এদেশে খুনের ইতিহাস যারা তৈরি করেছে তাদের বিচার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এদেশে ইনডেমনিটি জারি করা সেই খুনি জিয়াউর রহমান ও মুশতাকদের বিচার এখনও পর্যন্ত হয়নি। খুনি জিয়ার মরণোত্তর এবং যারা এখনও বেঁচে আছেন তারেক জিয়াসহ তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হতেই হবে।
রবিবার বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নিউজ স্টুডিও উদ্বোধন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও বিএফডিসির জন্য বরাদ্দকৃত স্থান পরিদর্শন শেষে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মাথা উচুঁ করে বাঁচতে শিখিয়েছেন। তিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন স্বাধীন-সার্বভৌম একটি দেশ, একটি জাতি। তিনি সর্বদা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।
ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেন, এই বাংলাদেশকে সবাই লুটপাট করে খেয়েছে। আজ তারা সমৃদ্ধ। তাদের শাসন-শোষণ থেকে বেরিয়ে এসে বাঙালি জাতিকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুই এ জাতির ঠিকানা খুঁজে দিয়েছেন। সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে কাজ করতে হবে, সবাইকে সোনার মানুষ হতে হবে।
আরও পড়ুন: জিয়া ও খালেদা দুজনই হত্যার রাজনীতির পথে হেঁটেছেন: তথ্যমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের জন্য আমাদের আরও অনেক বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আাদর্শ ধারণ করতে হবে; বঙ্গবন্ধু কন্যার মতো ধিরচেতা দেশপ্রেমিক হতে হবে। সোনার বাংলায় সোনার মানুষ দরকার, বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে আমাদের সোনার মানুষ হতেই হবে। এভাবে দেশ চলতে পারেনা। জনগণের টাকা দিয়ে ফুটানী না করা এবং রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় না করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করছেন আপনারা। আপনারাই এ দেশকে বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করছেন। নৈতিক দায়িত্ব দেশ বিরোধী খুনিচক্রদের পরিচয় উন্মোচন করা।
বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নিতাই কুমার ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াছমিন, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল হোসেন খান, বিটিভির অনুষ্ঠান পরিচালক জগদীশ এষ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বিএনপি জনগণের সাথে প্রতারণা করছে: তথ্যমন্ত্রী