আওয়ামী-লীগ
বিশ্বের কিছু বড় শক্তি বাংলাদেশে তাদের অনুগত সরকার চায়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বের কয়েকটি বড় শক্তি বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের গুরুত্বের কারণে এখানে তাদের অনুগত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আসলে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কিছু বড় দেশ চায় এখানে (বাংলাদেশে) এমন একটি সরকার থাকুক যেটি তাদের পা চাটবে।‘
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার (৩০ আগস্ট) এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ২৮ কর্মকর্তা ও ২ প্রতিষ্ঠানকে 'বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার' দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি অভিযোগ করেন, বড় দেশগুলো সবসময় তাদের বড় ভাইয়ের মতো মনোভাব পোষণ করে।
কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘তারা যদি কারো বন্ধু হয়ে যায় তাহলে কোনো শত্রুর দরকার নেই।’ তবে ইউক্রেন তাদের বন্ধু বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ ইউক্রেনের অবস্থা কী? সেখানে নারী ও শিশুরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে। এই ধরনের বন্ধুত্বের জন্য তাদের দেশকে ধ্বংস করা হয়েছে। এটাই বাস্তবতা।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের নির্বাচনে অপ্রয়োজনীয় নাক গলানোর জন্য এসব দেশের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, কিছু দেশ আছে যারা সব সময় গণতন্ত্র খুঁজছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছে।
তিনি বলেন, ‘এই দলের নেতা-কর্মীরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রক্ত দিয়েছেন।অথচ এখন গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার খুঁজছে এমন কিছু দেশের কথা আমাদের শুনতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জনে দেশের মানুষ জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে। এই ত্যাগ ও রক্ত বৃথা যাবে না, আমরা তা হতে দেব না।
গণতন্ত্রের দাবিতে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন,যখন তিনি তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্রের কথা শোনেন তখন তিনি অবাক হন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে উৎসবমুখর পরিবেশ রংপুরে
তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের হত্যা, অভ্যুত্থান ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে বিএনপির জন্ম হয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং ভোট কারচুপির মধ্য দিয়ে তাদের যাত্রা শুরু হয়েছে। ‘সুতরাং গণতন্ত্র শব্দটি তাদের সঙ্গে যায় না।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিএনপির কিছু প্রভু আছেন যারা "বলছেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে"।
প্রধনামন্ত্রী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যখন জাতির পিতাকে হত্যা করেছিলেন, সামরিক শাসন জারি ও রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন তখন তারা কোথায় ছিলেন? আর এইচ এম এরশাদ যখন সামরিক শাসন জারি করে ক্ষমতা দখল করেন তখন কোথায় ছিলেন?
তিনি বলেন, ‘সে সময় আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম ও লড়াই করেছি, কিন্তু তাদের দেখিনি।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলাম।
ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মোন্নাফী এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাদেক খান এমপি, আবদুল কাদের খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম মাজহার আনাম ও মো. আজিজুল হক রানা, পরিবারবিষয়ক সম্পাদক মেহেরুন্নেছা মেরি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, মিজবাউর রহমান ভূঁইয়া রতন ও সাজেদা বেগম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোরশেদ কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন ও গোলাম সারোয়ার কবির প্রমুখ।
সভার শুরুতে ১৫ আগস্টের গণহত্যা ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে জোহানেসবার্গ পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি : ওবায়দুল কাদের
নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে আমরাও (আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী) প্রস্তুত হচ্ছি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপির তিন নেতা বিদেশে গেছে, আবার জাতীয় পার্টির একনেতা বিদেশে গেছে। নির্বাচন আসলে অনেক কিছুই হয়। কিন্তু জনগণ পুরোনো রাজনীতি করবে না।
সোমবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর রমনায় আইইবির সদর দপ্তরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি)'র উদ্যোগে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু মাত্র তিন বছর সাত মাস ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি দেশ গঠনের কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাকে বাঁচতে দেওয়া হলো না। মীরজাফরের জায়গায় মোশতাক আর সেনাপতি ইয়ার লতিফের জায়গায় জিয়াউর রহমান ষড়যন্ত্র করেছে। তারা বঙ্গবন্ধুকে বাঁচতে দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, একটা গোষ্ঠী জিয়াউর রহমানকেও হত্যা করেছে। জিয়াউর রহমান নিজেও বাঁচতে পারেনি। যে বুলেটে শেখ হাসিনা ও রেহানাকে পিতৃহারা করেছে, সেই বুলেটই খালেদা জিয়াকে বিধবা করছে। হত্যা হত্যাকে ডেকে আনে।
আরও পড়ুনন: আন্দোলনের নামে যা খুশি তাই করলে সমুচিত শিক্ষা দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। ১৫ আগস্টের মাষ্টার মাইন্ড হলো জিয়াউর রহমান ও মোশতাক। সেই জিয়াউর রহমান ও মোশতাক জেল হত্যার মাষ্টার মাইন্ড। তা তদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করেছেন। একটা পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার মধ্য দিয়ে মুক্তিযু্দ্ধের আর্দশকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্য ছিল। ১৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে মারতে পারেনি বলেই ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল। জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান বলা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তারেক রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গেছে। লন্ডনের টেমস নদীর উপার থেকে ডাক দিলে মনে হয় বাংলাদেশ পানিতে ভেসে যাবে কিন্তু তা কখনো হবে না।
প্রকৌশলীদের অবদান সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গেছে সেখানে প্রকৌশলীদের অবদান আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আর মাত্র তিন মাস আছে এর মধ্যে অনেক দূর যেতে হবে। এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক আলোচনা দেশে হোক আর বিদেশি হোক ষড়যন্ত্রের রাজনীতি যেন না হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের হাতে ক্ষমতা গেলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না: আইনমন্ত্রী
রাজনীতি করেন, দয়া করে ষড়যন্ত্র করবেন না, রাজনীতি করেন মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি করবেন না। ১৩-১৪ সালের মতো
মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি করবেন না।
তিনি বলেন, আবার যদি বিএনপি ক্ষমতায় যায় তাহলে তারা গণতন্ত্র গিলে খাবে। তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করবে। বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে এদেশকে পাকিস্তান বানাবে। এখন দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে, দেশকে বাঁচাতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি।
উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশের সভাপতিত্বে করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর ও সঞ্চালনা করেন আইইবির সম্মানী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস. এম মনজুরুল হক মঞ্জু।
আরও পড়ুন: বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতি কি বুদ্ধি খাটিয়ে শ্রমিকদের বঞ্চিত করতে- প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতি কি বুদ্ধি খাটিয়ে শ্রমিকদের বঞ্চিত করতে- প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
সম্প্রতি ড. ইউনূসের পক্ষে ৩৪ জন বুদ্ধিজীবীর বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'বুদ্ধি লোপ নাকি বুদ্ধি খাটিয়ে শ্রমিকদের ঠকানোর জন্য তারা বিবৃতিটা দিয়েছেন- সেটিই প্রশ্ন।'
সোমবার বিকালে রাজধানীর পান্থপথে সামারাই কনভেনশন সেন্টারে টেলিভিশন ক্যামেরা-জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (টিসিএ) আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমসাময়িক প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
এতে প্রধান আলোচক ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, '৩৪ জন বুদ্ধিজীবীর বিবৃতি দেখলাম ড. ইউনূস সাহেবের পক্ষে। তিনি শ্রমিকের পাওনা বুঝিয়ে দেননি। তার প্রতিষ্ঠানের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা ছিল, যা ১২০০ কোটি টাকার বেশি। সেই ১২০০ কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে ঘুষ দিয়ে ৪০০ কোটি টাকা করা হয় এবং সেটাও তিনি দেননি। এজন্য মামলা জরিমানা হয়েছে। এখন মামলাটি বিচারাধীন।'
আরও পড়ুন: বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'এই পরিস্থিতিতে ৩৪ জন বুদ্ধিজীবীকে বলতে চাই আপনারা যে বিবৃতি দিলেন, শ্রমিকদের পক্ষে আপনাদের কোনো বক্তব্য নেই কেন? ১২০০ কোটি টাকা শ্রমিকদের পাওনা ছিল, সেই পাওনা না দিয়ে সেটা জালিয়াতির মাধ্যমে কমিয়ে ৪০০’ কোটি টাকা করা হলো। আর আপনারা সেটার পক্ষে বিবৃতি দিলেন! আপনাদের বুদ্ধিটা কি এখানে লোপ পেয়েছে, না কি বুদ্ধি খাটিয়ে শ্রমিকদের ঠকানোর জন্য বিবৃতিটা দিয়েছেন -এটি হচ্ছে আমার প্রশ্ন।'
হাছান মাহমুদ বলেন, 'ক্যামেরা সাংবাদিকদের কষ্ট করে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। অনেক সময় অনেকে তেড়ে আসে, ক্যামেরা ভেঙে দেয়। অনেক ক্যামেরা সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হন। এ সমস্ত ঝুঁকি নিয়ে তারা কাজটা করেন এ জন্য তথ্যমন্ত্রী হিসেবে তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।'
আরও পড়ুন: বিএনপি থাকলে রাজনীতির মাঠ কলুষমুক্ত হবে না: তথ্যমন্ত্রী
সব টেলিভিশন চ্যানেলের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'এই ক্যামেরা সাংবাদিকদের নিয়মিত বেতন প্রদান ও তাদের প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার অনুরোধ জানাই।'
টিসিএ সভাপতি শেখ মাহাবুব আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক জীবনের সঞ্চালনায় সভায় সংসদ সদস্য মো. এনামুল হক, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতের হাতে ক্ষমতা গেলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গেলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না।
তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
রবিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালাইমনাই অ্যাসোসিয়েশন এ সভার আয়োজন করে।
আনিসুল হক বলেন, দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সকলের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন, গৃহহীণদের গৃহের ব্যবস্থা করেছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে যে অবস্থানে নিয়ে গেছেন, তা সারা বিশ্বে বাঙালি জাতির মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে; বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশ বিরানভূমি হয়ে যাবে: আইনমন্ত্রী
দুঃখ প্রকাশ করে আনিসুল হক আরও বলেন, যে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীও হত্যা করার সাহস পায়নি তাকে হত্যা করেছে এদেশেরই কিছু মির্জাফর-বিশ্বাস ঘাতক। তাকে সপরিবারে হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে হত্যা করা। কারণ খুনিরা জানতো বঙ্গবন্ধুর পরিবারের একজনও বেঁচে থাকলে তাকে দাবায়ে রাখা যাবে না।
সভাপতির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পুরো কৃষি ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কৃষি উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিপ্লব এনে দিয়েছেন। আমাদেরকে উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান,কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালাইমনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন করা হবে: আইনমন্ত্রী
সাইবার নিরাপত্তা আইনে কোনো সাংবাদিককে হয়রানি করা হবে না: আইনমন্ত্রী
বিএনপি নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করলে দেশের মানুষ তা প্রতিহত করবে: হাছান মাহমুদ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নির্বাচন বর্জনের অধিকার অবশ্যই আছে। তবে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করলে দেশের মানুষ তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন বয়কটের হুমকি দিলে কিছু যায় আসে না। তারা সিটি করপোরেশন নির্বাচন বয়কট করলেও জনগণ তা বয়কট করেনি। ওই নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব ২১ আগস্টের ঘাতকদের মুখপাত্র: হাছান মাহমুদ
রবিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী বিএনপিকে সতর্ক করে বলেন, এটা ২০১৪ নয়, ২০২৩ বা ২০২৪। তাই এখন দেশের মানুষ ২০১৩-২০১৪ সালের নৈরাজ্যের পুনরাবৃত্তি করতে দেবে না।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলার জন্য বিএনপি নেতাদের দায়ী করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, মোশতাক ও জিয়া ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন এবং তারেক জিয়া ২১ আগস্টের গণহত্যা করেছিলেন। তারা আসলে খুনের রাজনীতি করে।
জিয়াউর রহমানের স্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই, বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি ১০ বছর ক্ষমতায় থাকলেও জিয়া হত্যার বিচার হয়নি। কারণ কেঁচোর খোঁজে সাপ বের হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের আইনজীবী বলরাম পোদ্দার, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. সিদ্দিকুর রহমান, যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: বিজেপি মনে করে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু হবে: হাছান মাহমুদ
এডিস মশার চেয়েও ভয়াবহ বিএনপি: হাছান মাহমুদ
আন্দোলনের নামে যা খুশি তাই করলে সমুচিত শিক্ষা দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন বানচালের পায়তারা করছে, আন্দোলন করছে নির্বাচন করতে দেবে না বলে।
তিনি বলেন, বিএনপি ২০১৩-১৪ সালে আগুন সন্ত্রাস ও হরতাল দিয়ে তাণ্ডব সৃষ্টি করেছিল। এবারও আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস, হরতাল ও যা খুশি তাই করতে চাইলে, তাদের সমুচিত শিক্ষা দেওয়া হবে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দুঃস্থ, অসহায় ও যুব মহিলাদের মাঝে ঢেউটিন, নগদ অর্থ ও সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের আলোকে নির্বাচন হবে। বিএনপিকে নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় আসতে হবে।
তিনি বলেন, একসময় এদেশে ছনের-খড়ের-পাটকাঠির ঘরই বেশি ছিল, আবার এসব ঘর নির্মাণেও অনেকের সামর্থ্য ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভাবনীয় উন্নয়নের ফলে ছন-খড়-পাটকাঠির ঘর আজ প্রায় দেখাই যায় না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে দেশের একটি মানুষও ঘরহীন থাকবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের ১০ ভাগ মানুষের ঘর-বাড়ি নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে কেউ ঘরহীন, ভূমিহীন থাকবে না। তিনি গৃহহীনদের পর্যায়ক্রমে জমিসহ পাকা ঘর করে দিচ্ছেন। আগামী ২ বছরের মধ্যে কেউ ঘরহীন থাকবে না।
আরও পড়ুন: অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি অস্থির হয়ে পড়েছে: কৃষিমন্ত্রী
বছরে চার ফসলের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ব্রি৯৮ আউশ ধান: কৃষিমন্ত্রী
শেখ হাসিনা নির্বাচনে হারলে, হেরে যাবে বাংলাদেশ: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনা পরাজিত হলে, বাংলাদেশ হেরে যাবে।
তিনি বলেন, দেশের দরিদ্র মানুষকে বাঁচাতে শেখ হাসিনাকে জিততেই হবে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাল কাদের
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকালে ঢাকার মিরপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, শেখ হাসিনার বিকল্প নেই, দেশে শেখ হাসিনার চেয়ে যোগ্য প্রধানমন্ত্রী কে?
তিনি বলেন, বিএনপি শেখ হাসিনার পদত্যাগ চায়। জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সংসদ ভেঙে শেখ হাসিনার পদত্যাগ চায় না।
বিএনপিকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মানুষ হত্যাকারী দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিরোধীরা আবার ক্ষমতায় এলে এক রাতেই আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে।
আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, ক্ষমতা দখল করতে পারলে বিএনপি মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে গ্রাস করে দেশকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে পরিণত করবে।
ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন- সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে শোক মিছিল করেছে বিএনপি: কাদের
বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায় জাতিসংঘ: ওবায়দুল কাদের
প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবিলম্বে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সঠিক সমাধান।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবন মিলনায়তনে 'গণহত্যা ও বিচার: রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের অবস্থান' শীর্ষ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ঢাবির সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এ সেমিনার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং এবং তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন ছাড়া আমরা আর কোনো উপায় দেখছি না।
রোহিঙ্গা সংকটের ষষ্ঠ বছর উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে হাছান মাহমুদ বলেন, কিছু শরণার্থীকে অন্য দেশে স্থানান্তরিত করা এটি সমাধান নয়, বরং এটি সমস্যা বাড়ানো।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন চালুকে অভিনন্দন জানাতে ব্যর্থ বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
সেমিনারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগ এবং সঠিক সমাধানে পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের চলমান প্রচেষ্টার ওপর আলোকপাত করা হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ একটি অতিরিক্ত জনসংখ্যার দেশ। আমাদের প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্টসহ অনেক গুরুতর সমস্যা রয়েছে। যার সমাধান করার জন্য আমাদের শরণার্থী সমস্যা রয়েছে।
তিনি বলেন, যখন সামরিক জান্তা তাদের হত্যা করেছিল তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসতে এবং থাকার অনুমতি দিয়েছিলেন। এটি মানবিক আহ্বানের দুর্দান্ত সাড়া ছিল।
তিনি আরও বলেন, যাইহোক এখন আমাদের ২ মিলিয়নেরও বেশি শরণার্থী রয়েছে। তারা যখন প্রথম এসেছিল তখন আমাদের শুরুতে ধর্মান্ধতার মতো কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কিন্তু আমাদের প্রশাসন খুব সফলতার সঙ্গে সেই সমস্যাগুলো পরিচালনা করেছে।
তিনি বলেন, আমরা যখন রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে আসি তখন এনজিওর পক্ষ থেকে শুরুতে অনেক আপত্তি ছিল। কারণ ভাসান চর প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় তারা কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তবে তারা কিছু দিন পরে আমাদের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে না। তাদের এই সমস্যা সমাধানের জন্য আরও অনেক কিছু করার আছে। কিছু শরণার্থী স্থানান্তর একটি সমাধান নয়। প্রত্যাবাসনই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান।
মন্ত্রী বলেন, সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে ভারত ও চীন যদি হাত মেলায় তাহলে কোনো কিছুই তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে বাধা দেবে না।
ঢাবি ভিসি অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তাসহ তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশংসার দাবি রাখে। বিদেশি মানবাধিকার সংস্থাগুলোও রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্য পাঠাচ্ছে যা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে এটা চূড়ান্ত সমাধান নয়। আমরা এর সম্পূর্ণ সমাধান চাই। আমরা তাদের নিজেদের দেশে ফিরে দেখতে চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের (সিজিএস) পরিচালক অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডের ক্লাউ, মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডিসপ্লেসমেন্ট স্পেশালিস্ট আসিফ মুনির, প্রফেসর ড. জিয়া রহমান, ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি থাকলে রাজনীতির মাঠ কলুষমুক্ত হবে না: তথ্যমন্ত্রী
আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে শোক মিছিল করেছে বিএনপি: কাদের
ঢাকা, ২৫ আগস্ট (ইউএনবি)- আন্দোলন করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বিএনপি শোক মিছিল করছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা, নৈরাজ্য ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার আয়োজনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এক শান্তি সমাবেশে বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে ব্যর্থতার পর বিএনপি শোক মিছিল করছে। দলটি অলস বসে থাকার স্বপ্ন দেখে, নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতির আতঙ্ক ছড়ায়।’
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ২১ নেতা বহিষ্কার
আ.লীগ নেতা বলেন, আ.লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে এমন কোন রাজনৈতিক শক্তি নেই যে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারবে।
বিএনপি কেন কালো পতাকা মিছিল করছে এবং তাদের কোনো নেতা মারা গেছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে পোস্ট: কিশোরগঞ্জে ছাত্রলীগের ৭ নেতাকে অব্যাহতি
তিনি আরো বলেন, এখন বিএনপি নেতারা শোক মিছিল বের করে আন্দোলনকে ধ্বংস করছে।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য দেন।
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টন ও শ্যামলী এলাকায় কালো পতাকা হাতে পৃথক দুটি মিছিল বের করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা তাদের এক দফা দাবির মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি জনগণের জন্য রাজনীতি করে না, করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য। এজন্য জনগণ বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকালে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী মনমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাঘা জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
দলটির অবস্থা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দলটির যা অবস্থা, ভবিষ্যতে তাদের হামাগুড়ি কর্মসূচি দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি অস্থির হয়ে পড়েছে: কৃষিমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপি এখন কোমরভাঙা দলে পরিণত হয়েছে, মির্জা ফখরুলের মুখে এখন হতাশার সুর, এখন ঘন ঘন বিদেশিদের কাছে যায় না। কারণ, গিয়ে দেখলো কোনো লাভ হয় না। বিদেশিরা তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার সমর্থন করে নাই। নিরপেক্ষ সরকার সমর্থন করে নাই।'
আওয়ামী লীগের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বে নিয়োজিত দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, দেশের উন্নয়ন ফখরুল সাহেবদের চোখে পড়ে না। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, বিএনপি তখন বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়েছে। কিন্তু বিদেশিরাও তাদের নালিশে কর্ণপাত করছে না। বিদেশিরা চায় দেশে একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন হোক। আমরাও দেশের সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের গ্যারান্টি দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ২১ নেতা বহিষ্কার
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার প্রধান কুশীলব দু'জন – একজন খন্দকার মোশতাক, অন্যজন জিয়াউর রহমান। হত্যার মাধ্যমেই জিয়া পরিবারের উত্থান। জিয়া ঘটিয়েছিলেন ১৫ আগস্ট, আর তার ছেলে তারেক ঘটিয়েছে ২১ আগস্ট।'
সভায় মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন এক কোটি মানুষ ভারতে শরণার্থী, দেশের মানুষ বাস্তুচ্যুত, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসন করেছেন, দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'এই হত্যার ঘটনা ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কময় ঘটনা। তবে তার সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার দেশ এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ বদলে গেছে। তবে বাংলাদেশের এই বদলে যাওয়া বিএনপি-জামায়াতের পছন্দ না। তারা টেনেহিঁচড়ে আমাদের নামাতে চায়।'
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ আসনের এমপি শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, আয়েন উদ্দিন এমপি, আদিবা আনজুম এমপি, রাজশাহী বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আখতার জাহান।।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে পোস্ট: কিশোরগঞ্জে ছাত্রলীগের ৭ নেতাকে অব্যাহতি