আওয়ামী-লীগ
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিতে বিএনপির নির্বাচন বয়কটের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সোমবার বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত নতুন ভিসা নীতির কারণে বিএনপির নির্বাচন বয়কটের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ব্লুপ্রিন্ট অনুযায়ী বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে বিএনপি এখন গভীর অবসাদে নিমজ্জিত। তাই বিএনপি আন্দোলনের পথ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক বলে গণ্য হবে না, যা গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শের পরিপন্থী বলে বিএনপির প্রচারণা ভেস্তে গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে বিএনপির নির্বাচন বয়কটের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপির অগ্নিসংযোগ ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের বিদেশি প্রভুদের খুশি করতে লাখ লাখ ডলার খরচ করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। তাদের ষড়যন্ত্র এখনো চলছে।
বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে তারা এখন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির আলোকে সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নতুন নাটকের ষড়যন্ত্র করছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নীতি বিএনপির ওপরই বড় চাপ তৈরি করেছে: তথ্যমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করে।
দলের সকল কর্মকাণ্ড জনগণের আশা-আকাঙ্খাকে সম্পৃক্ত করে পরিচালিত হয়।
তিনি বলেন, জনগণই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিক্রি করে বিএনপি যতই বিদেশি প্রভুর প্রতি অনুগ্রহ করবে ততই জনশত্রু হয়ে যাবে।
আ.লীগ নেতা বলেন, জনগণ বিভ্রান্ত হবে না।
তিনি বলেন, ‘জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন বিএনপি নেতারা যতই চেষ্টা করুক না কেন, এদেশের মানুষ তাদের অপপ্রচার ও মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হবে না, কারণ বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ; যিনি উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রতীক।’
আরও পড়ুন: আ.লীগকে বিদেশিদের কাছে আগ্রাসী হিসেবে তুলে ধরতে চায় বিএনপি: কাদের
অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চাওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মার্কিন ভিসা নীতি বিএনপির ওপরই বড় চাপ তৈরি করেছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন ভিসা নীতি বিএনপির জন্যই বড় চাপ তৈরি করেছে। কারণ এই ভিসা নীতির কারণে এখন আর নির্বাচন প্রতিহত করবো, সেটি বলার সুযোগ বিএনপির নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তারা বলেছে যে- তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই, একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক সেটিই তারা চায়। অর্থাৎ বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তাদের সমর্থন পায়নি, বিশ্বব্যাপী কারো সমর্থন পায়নি। সুতরাং বিএনপির অন্তত আন্তর্জাতিক অঙ্গণে এটি নিয়ে আর বলার সুযোগ নেই। ফলে এই ভিসা নীতি তাদের ওপর বিরাট চাপ তৈরি করেছে।’
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় ড. হাছান বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করার সময় যে প্রেস ব্রিফিং করা হয় সেখানে তারা বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যে স্বচ্ছ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাচ্ছেন সেটির জন্য সহায়ক হিসেবে তারা এই ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এবং সরকারের পক্ষ থেকেও সেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ভিসা নীতিতে যেটা বলেছে, এটি সরকারি দল, বিরোধী দল সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেউ যদি নির্বাচনে বাধা দেয় এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধা দেয় তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য। নির্বাচন বর্জন করার অর্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা। আর নির্বাচন প্রতিহত করার অর্থ সংঘাত তৈরি করা। এগুলো তো আর বিএনপি করতে পারবে না। সব মিলিয়ে এটি বিএনপির ওপর বড় চাপ তৈরি করেছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনকালে বা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যই তো বিএনপি নানা ধরণের কর্মসূচি দেয় এবং তাদের উদ্দেশ্যেও সেটি করা। আমি মনে করি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে এটার প্রেক্ষিতে তাদের সেগুলো করার সুযোগটা অনেক কমে গেছে। তাদেরকে নির্বাচনে আসতে হবে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মার্কিন এই ভিসা নীতি শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই নয়, অনেক দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তারা বলেছে যে এটি প্রায় সবদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কোনোটা ঘোষণা করা হয়েছে, কোনোটা ঘোষণা করা হয়নি।’
সোমবার থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত বিএনপির নতুন কর্মসূচি প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির এই কর্মসূচি গতানুগতিক। তারা কিছুক্ষণ হাঁটে, কিছুক্ষণ বসে, তারপর আবার কিছুক্ষণ ভাংচুর করে, কিছুক্ষণ গাড়ি-ঘোড়া পোড়ায়। এখন হয়তো তারা বসার কর্মসূচি না দিয়ে হাঁটা কিম্বা দৌড়ানোর কর্মসূচি দেবে।’
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে সদ্য সমাপ্ত এশিয়া মিডিয়া সামিটে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী জানান, ‘এশিয়া ও ওশানিয়া অঞ্চলের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পাশাপাশি বিভিন্ন টেলিভিশন, রেডিও’র কর্ণধারেরা সময়োপযোগী এ সম্মেলন যোগ দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে আমার উপস্থাপিত বিষয়গুলোই সম্মেলনের মূল ঘোষণাপত্রে এসেছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমার উপস্থাপনায় মূলত আমি বলেছি যে গত ১০-১৫ বছরে পৃথিবীতে সোশ্যাল মিডিয়ার বিস্ফোরণের কারণে আমাদের জীবনটা পরিবর্তন হয়ে গেছে, যোগাযোগের অবারিত সুযোগের পাশাপাশি অনেক সমস্যা তৈরি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যেভাবে ফেইক নিউজ তৈরি ও পরিবেশন করা হয়, সে কারণে রাষ্ট্রে ও সমাজে অস্থিরতা তৈরি হয়। এবং সাধারণ মানুষ এই সোশ্যাল মিডিয়ার সংবাদ আর মূলধারার মিডিয়ার সংবাদের পার্থক্য বুঝতে পারে না। সে কারণে নানা সংকট, গুজব তৈরি হয়, সাম্প্রদায়িক সংঘাত তৈরি করার চেষ্টা হয়। এ বিষয়গুলোর দিকে তীক্ষ্ণ নজর দেওয়া এবং বৈশ্বিকভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য সবাই একযোগে কাজ করার বিষয়টি ‘বালি ঘোষণা’য় এসেছে।’
আ.লীগকে বিদেশিদের কাছে আগ্রাসী হিসেবে তুলে ধরতে চায় বিএনপি: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আওয়ামী লীগকে বিদেশিদের কাছে আগ্রাসী হিসেবে তুলে ধরতে চায় কিন্তু আওয়ামী লীগ কোনো অবস্থাতেই তা করবে না।
একই সঙ্গে তাদের ওপর কোনো হামলা হলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
রবিবার বিকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত সারাদেশে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ।
প্রয়োজনে ওয়ার্ড পর্যায়ে কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বাংলাদেশের জন্য সুনির্দিষ্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এতে সরকারের অসন্তুষ্ট হওয়ার কোনো কারণ নেই।
আরও পড়ুন: অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চাওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের কোনো প্রভু নেই, বন্ধু আছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘এ নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইন করে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছেন। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য মাঠ প্রস্তুত করছি।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর হাতে বই তুলে দিলেন গাজীপুরের আ.লীগ নেতা আজমত উল্লাহ
প্রধানমন্ত্রীর হাতে বই তুলে দিলেন গাজীপুরের আ.লীগ নেতা আজমত উল্লাহ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রবিবার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লাহ খান।
বৈঠকে আজমত উল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তার লেখা দুটি বই হস্তান্তর করেন, যিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিও ছিলেন।
বই দুটি হলো- রাজনীতির মহাকবি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বগুণ, আদর্শ ব্যক্তি ও জাতি গঠনে অনুসরণীও দৃষ্টান্ত।
বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ছিলেন আজমত উল্লাহ। আজীবনের জন্য আ.লীগ থেকে বহিষ্কৃত গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের কাছে হেরে যান তিনি।
অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চাওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চাওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
শনিবার (২৭ মে) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনের ১১তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রদানকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, অসাংবিধানিক উপায়ে যারা ক্ষমতায় আসতে চায় তারা সংবিধানের ৭(ক) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করতে চায়। এ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করা মানে রাষ্ট্রদ্রোহিতা। দেশে সংবিধানের বিকল্প কোন আইন নেই। নির্বাচনের জন্য দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান আছে। সংবিধানে লেখা আছে নির্বাচন কিভাবে হবে। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনকে যত সহায়তা দেওয়া দরকার সেটা সরকারপ্রধান করবে। দেশের সংবিধান পরিপন্থী কোন প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সুযোগ নেই। যদি কেউ অন্য কোনো উপায়ে পেছনের গলি থেকে আসতে চান, বিদেশ থেকে কে কী বলে সেটা নিয়ে আপ্লুত থাকতে চান, এসব করে লাভ নেই। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এখানকার রাজনীতি নির্ধারণ হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরও বলেন, খাবারের একটি বড় অংশ মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের যোগান দেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত। প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করে এ খাত। পোল্ট্রি, ডেইরি ও মৎস্য খাতে উদ্যোক্তা তৈরি হওয়ায় বেকারত্ব দূর হচ্ছে। এ খাতের বিকাশের কারণে গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে। এ খাত রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ তৈরি করছে। এভাবে দেশের উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিটি খাত একযোগে কাজ করছে। অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি পেশাজীবীরাসহ এ খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা জিডিপির প্রবৃদ্ধিসহ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে, কৃষিবিদদের উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে। শেখ হাসিনা না থাকলে কৃষিতে আবার কেউ ভর্তুকি দিয়ে চালু রাখবে না। অথচ বিএনপি সরকারের সময়ে কৃষকদের হাহাকার ছিল। কৃষি-চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। অনেক কৃষি জমি, পুকুর, খালবিল, নদীনালা, বাওড় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। কারণ সরকারের কোন সহযোগিতা, পৃষ্ঠপোষকতা, প্রণোদনা ছিলনা। বঙ্গবন্ধুকন্যা আসার পর কৃষির সবক্ষেত্রে তিনি সহযোগিতা করেছেন। কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষিবিদদের উন্নয়ন, কৃষির বিপণন, বহুমুখীকরণ, যান্ত্রিকীকরণ সব জায়গায় শেখ হাসিনার ভূমিকা রয়েছে।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশ আবার অন্ধকারের বাংলাদেশে পরিণত হবে। শেখ হাসিনা না থাকলে উৎপাদন ক্ষমতা, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ভঙ্গুর অবস্থায় পড়বে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চাইলে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাইলে, আগামী পৃথিবীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়ার বাংলাদেশ চাইলে, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ রাষ্ট্রীয় ম্যান্ডেট প্রতিপালনে সক্ষম বাংলাদেশ চাইলে শেখ হাসিনার মতো সেরা দেশপ্রেমিক ক্রাইসিস ম্যানেজার এবং উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান আবারও দরকার।
এসময় বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের দেশের উন্নয়নে গর্বিত সেনানী হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ও ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ডা. রেয়াজুল হক ও এসিআই এগ্রোবিজনেস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ এইচ আনসারী। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ড. অসীম কুমার দাস।
'ভিশন ২০৪১ অ্যান্ড রোডম্যাপ ফর ক্রিয়েটিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স লাইভস্টক ইন বাংলাদেশ: রোল অব অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্রফেশনাল'-শীর্ষক উল্লিখিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক ড. শরীফ আহমেদ চৌধুরী।
এর আগে মন্ত্রী বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন।
গাজীপুরের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সরকার বিচলিত নয়: কৃষিমন্ত্রী
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আওয়ামী লীগ বিচলিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, গাজীপুরের নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফলে অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে। গাজীপুরে সুষ্ঠু সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে, আমরা সেটিই চেয়েছিলাম। আমরা আগের মতো আবারও জাতিকে দেখিয়েছি বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব।
শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আন্দোলন করে আগামী নির্বাচনকে বিএনপি ব্যাহত করতে পারবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি আন্দোলন করে কোনক্রমেই বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না, আগামী নির্বাচনকেও ব্যাহত করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে ২-৩ দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য হবে। তারপরও বিএনপি যদি ষড়যন্ত্র করে অসাংবিধানিক সরকারকে ক্ষমতায় আনতে চায়, নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাহলে এ দেশের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা মোকাবেলা করবে। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে হতাশ ও উদ্বিগ্ন হওয়ারও কিছু নেই বলে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়। আমরা যেটি চাই- দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নির্বাচন, সেটিই যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচনে দেখতে চায়। এক্ষেত্রে বিএনপিই মূল বাধা। আন্দোলন করে, সন্ত্রাস করে বিএনপি নির্বাচনকে ব্যাহত করতে চায়, বানচাল করতে চায়। বিএনপি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করেছিল। সেরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেজন্যই যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ মামুন, সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, টাঙ্গাইলের বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যবৃন্দ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: তরুণরাই বাংলাদেশে ‘স্মার্ট এগ্রিকালচারের’ নেতৃত্ব দেবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখবে পার্বত্য চট্টগ্রাম: কৃষিমন্ত্রী
কেরাণীগঞ্জে নিপুন রায়ের নেতৃত্বে ‘বিএনপি কর্মীরা’ হামলা করেছে: আহত আ.লীগ নেতাকর্মীদের দাবি
কেরাণীগঞ্জে শুক্রবারের সংঘর্ষে আহত আ.লীগ নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা দলটির নেতা নিপুন রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে এবং তার উপস্থিতিতে এ হামলা চালায়।
হামলায় আহত স্থানীয় আ.লীগ নেতা এম মামুন বলেন, ‘বিএনপি ক্যাডাররা আমাদের অফিসে লাঠিপেটা করে, এতে ২০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়।’
আহত আওয়ামী নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, ৫০ সেকেন্ডের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে কিছু বিএনপি ক্যাডার স্থানীয় আওয়ামী লীগ অফিস লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়ছে।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা, যারা মাথায়, পায়ে ও হাতে আঘাত পেয়েছেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর আগে, আহত দলের লোকদের ছবি শেয়ার করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিএনপি ক্যাডারদের ওপর তীব্র নিন্দা করেছিলেন।
যারা ‘তার নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আহত করেছে।’
একটি টুইটে তিনি এমন ছবি শেয়ার করেছেন, যেখানে কর্মীদের রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা গেছে।
হামলার জন্য বিএনপি নেতা নিপুন রায় চৌধুরীকে দায়ী করে টুইটটি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নিপুন রায় ও তার রাজনৈতিক গুন্ডারা দিনের আলোতে জিঞ্জিরা #আওয়ামীলীগ সমর্থকদের ওপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে!’
টুইটে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সদস্যরা আহত হয়েছেন।’
বিএনপি ও এর কেন্দ্রীয় কমান্ডের সহিংসতার ইতিহাস! আসুন ঐক্যবদ্ধ হই, এই নৃশংসতার প্রতিবাদ করি, গণতন্ত্র রক্ষা করি!
হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইট শেষ হয়েছে-#বিএনপিরসন্ত্রাসআরনা
কেরাণীগঞ্জে আ. লীগের কার্যালয়ে হামলায় বিএনপি ক্যাডারদের নিন্দা নসরুলের
কেরাণীগঞ্জে বিএনপির হামলায় আহত দলের লোকদের ছবি শেয়ার করে শুক্রবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিএনপি ক্যাডারদের তীব্র নিন্দা করেন।
যারা তার নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা করে এবং বেশ কয়েকজন কর্মীকে আহত করে।
একটি টুইটে তিনি এমন ছবি শেয়ার করেছেন, যেখানে কর্মীদের রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা গেছে।
হামলার জন্য বিএনপি নেতা নিপুন রায় চৌধুরীকে দায়ী করে টুইটটি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নিপুন রায় ও তার রাজনৈতিক গুন্ডারা দিনের আলোতে জিঞ্জিরা #আওয়ামীলীগ সমর্থকদের ওপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে!’
টুইটে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সদস্যরা আহত হয়েছেন।’
বিএনপি ও এর কেন্দ্রীয় কমান্ডের সহিংসতার ইতিহাস! আসুন ঐক্যবদ্ধ হই, এই নৃশংসতার প্রতিবাদ করি, গণতন্ত্র রক্ষা করি!
হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইট শেষ হয়েছে
#বিএনপিরসন্ত্রাসআরনা
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আ. লীগ সরকারের অধীনেই হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার স্পষ্ট করে বলেছেন যে বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচন তার আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে এবং তা অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের অধীনে অবশ্যই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’
দোহার র্যাফেলস হোটেলে কাতার ইকোনমিক ফোরামের ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথোপকথন’ শীর্ষক অধিবেশনে তিনি এসব কতা বলেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
কাতার ইকোনমিক ফোরামের এডিটর-অ্যাট-লার্জ হাসলিন্দা আমিন সেশনে অ্যাঙ্কর করেন।
বিরোধী দল বিএনপি এবং তার মিত্ররা একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসনের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করার জন্য তার সরকারকে পদত্যাগ করাতে রাজপথে আন্দোলনের নতুন প্রচারণা শুরু করার সময় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য এসেছে।
বাংলাদেশে চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সামরিক স্বৈরশাসকরা সব নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন নির্বাচন ছিল একটি খেলা।
তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ যখন তার অনুপস্থিতিতে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করেছিল তখন তিনি দেশে ফিরতে পেরেছেন।
তিনি আরও বলেন, তারপর থেকে আমরা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম শুরু করি। আমাদের সংগ্রাম ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। এবং আমরা আমাদের প্রত্যেকটি মেয়াদে নির্বাচনে তা করেছি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিরোধী দল বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে কোনো সংগঠন এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি।
তাহলে তখন কি ফল হয়েছিল? যে দলটি (বিএনপি) এখন প্রশ্ন তুলছে তারা সংসদে ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছে।
দৃঢ়কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে তিনি এখানে এসেছেন, কারণ জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে।
তিনি বলেন, এটা জনগণের ক্ষমতা, আমি জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাই। আমি এখানে ক্ষমতা দখল করতে আসি নাই। বরং আমি আমাদের জনগণকে ক্ষমতায়িত করতে চাই।
তিনি বলেন, তাদের (জনগণের) সরকার বেছে নেওয়ার অধিকার থাকতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে হাসিনা উল্লেখ করেন, এখন কিছু দল বলেছে তারা অংশ নেবে না। তারা কিভাবে অংশগ্রহণ করবে? কারণ তাদের আমলে দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের মানুষ কষ্ট পেয়েছে। তাদের সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যায়। সর্বত্রই ছিল দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও শোষণ।
তিনি আরও বলেন, তারা কখনো জনগণের কথা ভাবেনি। আমার দেশের জনগণের প্রতিদিন একবেলা খাবার পাওয়াই খুব কঠিন ছিল। এমন ছিল পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাকের সঙ্গে শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলছেন, স্বাধীন, স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়ক এবং গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য অপরিহার্য।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের এক অনন্য উদাহরণ।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ১৮তম এশিয়া মিডিয়া সামিট উদ্বোধনী দিনে ‘অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’- শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডেভেলপমেন্ট (এআইবিডি) আয়োজিত সম্মেলনের এ অধিবেশনে কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী খিউ কানহারিত, মিয়ানমারের তথ্যমন্ত্রী মং মং ওন, সামোয়ার যোগাযোগ তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী তোলুপ পৌমুলিনুকু ওনেসেমো এবং ফিজির সহকারী মন্ত্রী সাকিউসা তুবুনা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ৭ মে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে গণতন্ত্রও ফিরতো না: তথ্যমন্ত্রী
তিন দিনব্যাপী এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য অর্থনীতিকে আরও টেকসই করতে গণমামধ্যমের ভূমিকা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী এবং দেশে দেশে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
তিনি বলেন, আমাদের গণমাধ্যম এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং নীতি দেশের নাগরিকদের কাছে তুলে ধরে মানুষকে সচেতন রেখেছে। দেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে।
একই সঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিয়েছে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।
গণমাধ্যম যেমন বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে এবং চিন্তা ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে তেমনি সরকারের দায়িত্বশীলতাও বৃদ্ধি করে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সে কারণে বাংলাদেশ সরকার প্রায় দেড় হাজার পত্রিকা এবং কয়েক ডজন টেলিভিশন ও রেডিওকে লাইসেন্স দিয়েছে যাতে এই গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিয়ে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশ এবং এশীয় প্রশান্ত অঞ্চল তথা বিশ্বের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে সরকার এবং গণমাধ্যম হাতে হাত রেখে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: হত্যা-খুনের রাজনীতি থেকে বিএনপি বেরিয়ে আসতে পারেনি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা কাগুজে বাঘ ছাড়া কিছু নয়: তথ্যমন্ত্রী