আওয়ামী-লীগ
৫ সিটি করপোরেশনে মেয়র প্রার্থী মনোনয়ন আ. লীগের
দেশের পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তিন নতুন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
দলীয় দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেয়র পদে মনোনীত প্রার্থীরা হলেন রাজশাহীতে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, খুলনায় তালুকদার আবদুল খালেক, বরিশালে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, গাজীপুরে অ্যাডভোকেট আজমতুল্লাহ খান ও সিলেটে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ৫ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন: আ.লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবার মেয়র পদে তিনজন নতুন মুখ আনা হয়েছে এবং বাকিরা বর্তমান মেয়র।
গত ৩ এপ্রিল পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আগামী ২৫ মে গাজীপুর, ১২ জুন খুলনা ও বরিশালে এবং ২ জুন রাজশাহী ও সিলেটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, কাজী জাফরুল্লাহ, ড. মো.আব্দুর রাজ্জাক ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৫ সিটি নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন ফরম নিলেন ৪১ প্রার্থী
৫ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন: আ.লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে শনিবার স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠেয় সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দলের স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৫ সিটি নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন ফরম নিলেন ৪১ প্রার্থী
গত ৩ এপ্রিল গাজীপুর, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট এই পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আগামী ২৫ মে গাজীপুর, ১২ জুন খুলনা ও বরিশালে এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা পরিষদ, কক্সবাজার পৌরসভা ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভায় ১২ জুন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও, রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জন্য ঘোষিত একই তফসিল অনুসারে ২১ জুন বগুড়ার তালোড়া, টাঙ্গাইলের বাসাইল এবং নারায়ণগঞ্জের গোপালদী এই তিনটি পৌরসভা নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: পাঁচ সিটি নির্বাচনে সরকারের ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি: ফখরুল
আ.লীগ যতদিন থাকবে পহেলা বৈশাখ ততদিন উদযাপন করবে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পহেলা বৈশাখ নিজের পরিচয় ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রকাশের দিন হওয়ায় যতদিন আওয়ামী লীগ দেশে থাকবে ততদিন বৈশাখ পালিত হবে।
শুক্রবার বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পহেলা বৈশাখসহ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আগেও ছিল এবং আজও আছে। কে পালন করছে বা করছে না তা আমাদের মাথাব্যথা নয়। তবে আমরা পালন করব।’
বাঙালিরা উৎসবমুখর পরিবেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির চেতনা, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের গন্তব্য।
আরও পড়ুন: নভেম্বরের মধ্যে ১০০টি ডাবল ডেকার এসি বাস পাবে বিআরটিসি: কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটসহ সকল সংকট মোকাবিলায় শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জিং সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িকতার চর্চা বেড়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাদের উৎখাত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা সাম্প্রদায়িক মতাদর্শ পছন্দ করে এবং দ্বি-জাতীয়তাবাদ পছন্দ করে, তারা বৈশাখ উদযাপনের ইতিহাসকে সম্মান করে না, তাদের প্রতিহত করা হবে।’
শোভাযাত্রাটি রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: নভেম্বরের মধ্যে মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ চালু: ওবায়দুল কাদের
৫ সিটি নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন ফরম নিলেন ৪১ প্রার্থী
গাজীপুর, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট-এ পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মোট ৪১ জন মেয়রপ্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
পাঁচটি পৌরসভা ও ছয়টি উপজেলা পরিষদে আরও প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়নের জন্য ৯ এপ্রিল থেকে মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করে ১২ এপ্রিল শেষ হয়।
প্রার্থীরা ৯ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন।
গাজীপুর, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশন ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা পরিষদ ও কক্সবাজার পৌরসভা, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভা, বগুড়ার তালোড়া, টাঙ্গাইলের বাসাইল ও নারায়ণগঞ্জের গোপালদীর তফসিলও ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন করলে বিএনপি গুরুত্বহীন দলে পরিণত হবে: তথ্যমন্ত্রী
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে ২৫ মে, খুলনা ও বরিশালে ১২ জুন এবং রাশাহী ও সিলেটে ২১ জুন ভোট হবে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ১৭ জন, খুলনায় চারজন, বরিশালে সাতজন, সিলেটে ১০ জন এবং রাজশাহীতে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
পৌরসভার (পৌরসভা)- কক্সবাজার সদর, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, বগুড়ার গোপালদী ও তালোড়ায় ২২টি মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়েছে এবং টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভার জন্য কেউ ফরম সংগ্রহ করেনি।
এছাড়া ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলা, জগন্নাথপুর উপজেলা ও সন্দ্বীপ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩৮টি মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দলের সদস্যদের সতর্ক করে বলেছেন যে, স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রগতি সহ্য করতে পারে না বলে ভবিষ্যতে দেশের বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক ষড়যন্ত্র করা হতে পারে।
‘আগামী দিনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক ষড়যন্ত্র হবে। কারণ, যারা দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করতে চায় না তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জেলা শাখার নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে এ মন্তব্য করেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি আ.লীগ নেতাদের আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে দলকে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অগ্রগতি যাতে অব্যাহত থাকে সেটি আপনাদের মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষের সামনে সরকারের সাফল্য তুলে ধরুন: ড. হাছান
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ‘তাই, জনগণ আমাদের ভোট দেয়। এটা বাস্তবতা। সুতরাং, আমাদের ভোট কারচুপির দরকার নেই।তিনি আরও বলেন, আ.লীগ জনগণের সেবা করে তাদের আস্থা অর্জন করে ক্ষমতায় আসে...আ.লীগ সব সময় ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে।’
বাংলাদেশের উন্নয়নে তার সরকারের সাফল্যকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি সাম্প্রতিক পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত করেছে এবং এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলকে সংযুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে সংযোগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাই, দেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করছে এবং আরও প্রত্যক্ষ করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার শতভাগ ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করছে, শিক্ষার হার বাড়িয়েছে এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়েছে।
তিনি বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের জন্য যা যা প্রয়োজন তার সরকার সফলভাবে করতে সক্ষম হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাথাপিছু আয় ও ব্যয় সমীক্ষার ফলাফলের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪১ শতাংশ থেকে এখন ১৮ দশমিক সাত শতাংশে নেমে এসেছে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ২৫ শতাংশ থেকে পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশে কোনো মানুষ চরম দরিদ্র থাকবে না।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন যখনই হোক বিএনপি ক্ষমতায় আসবে না: কাদের
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় মানেই জনগণের ভাগ্যের উন্নতি হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সামরিক স্বৈরশাসকের পকেট থেকে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জন্ম।
তিনি বলেন, বিএনপি, জাতীয় পার্টির মতো দল মাটি ও জনগণ থেকে উঠে আসেনি।
যেহেতু দুই দল বন্দুক নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন দেখতে না পাওয়ায় বিএনপি নেতা ও তাদের সমমনাদের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তারা প্রতিদিন মাইকে প্রতিদিন মিথ্যা বলতেছে। আমি বুঝতে পারছি না কেন তারা রোজার দিনেও মিথ্যা কথা বলে!
তিনি স্মরণ করেন যে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসনে জিতেছিল, যদিও সেই নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি। তিনি বলেন, বিএনপির অবস্থান এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথম আলো আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও জনগণের শত্রু: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রথম আলো আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও জনগণের শত্রু: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম আলো পত্রিকার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বাংলা ভাষার এই দৈনিকটি তার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের শত্রু।
তিনি সংসদে বলেন, ‘পত্রিকাটির নাম প্রথম আলো (প্রথম আলো), কিন্তু বাস করে অন্ধকারে। প্রথম আলো আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও দেশের জনগণের শত্রু।’
সোমবার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর (সুবর্ণজয়ন্তী) উপলক্ষ্যে সংসদে তার দেওয়া প্রস্তাবের আলোচনায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভাত, মাছ-মাংসের স্বাধীনতা চাই’-পত্রিকাটি একটি ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে ১০ টাকা দিয়ে এমন মিথ্যা কথা বলালো। আর এই মন্তব্যটি রেকর্ড করে প্রচার করা হলো।
তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই যে তারা কখনই চায় না যে এই দেশে স্থিতিশীলতা থাকুক।’
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৭ সালে যখন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় তখন পত্রিকাটি খুবই আনন্দিত হয় এবং সেই সময় দুটি সংবাদপত্র আন্তরিকভাবে কাজ করে।
নাম উল্লেখ না করে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেন যে দেশটি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, কিন্তু তারা দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের পক্ষে ওকালতি করে আসছে।
ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম অনেক বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করে: তথ্যমন্ত্রী
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম অনেক বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই সিটি করপোরেশনসহ সব নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশ নিক। তবে নির্বাচনে যাবে কিনা; সেই সিদ্ধান্ত যে কোনো রাজনৈতিক দল নিতে পারে। এটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে সবসময়ই নির্বাচন নিয়ে দোদুল্যমানতা থাকে। তারা কোনো কোনো সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, আবার কোনো নির্বাচনে করে না। এ দোদুল্যমানতা বিএনপির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্দোলনের অংশ হলেও বিএনপি সিটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারত। তাদের জন্য সেটি ভালো হতো। তারা নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে পারত। নির্বাচন কী রকম হচ্ছে,সেটিও তারা পরোখ করতে পারত।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন করলে বিএনপি গুরুত্বহীন দলে পরিণত হবে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘যদি তারা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়,সেটি তাদেরই জন্য মঙ্গলজনক। এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও অবাধ হবে, নির্বাচন কমিশন তা নিশ্চিত করেছে। সরকার সবসময় নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করেছে। কাজেই এ নির্বাচনে অংশ নেওয়াই বিএনপির জন্য মঙ্গলজনক। নির্বাচন থেকে পালিয়ে বেড়ানো বিএনপির জন্য শুভ হয়নি,হবেও না। বিএনপির এই নির্বাচন বিমুখতা আসলে গণতন্ত্র বিমুখতারই শামিল।’ভোক্তা অধিকারের তৎপরতার জন্য এবারের রমজানে দ্রব্যমূল্য বাড়েনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতি রমজানেই আমাদের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়। এবারেই সেই তৎপরতা ছিল। কিন্তু সরকারের নানামুখী তৎপরতার কারণে কোনো কোনো পণ্যমূল্য কমেছে। মুরগির দামে যেমন অনেক বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল, সেটি কমেছে। এতে প্রমাণিত হয়, যদি আমরা ভোক্তা অধিকারকে আরও শক্তিশালী করতে পারি,তাদের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করতে পারি,তাহলে পণ্যমূল্য যখন-তখন অহেতুক বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। ভোক্তা অধিকারই না,এফবিসিসিআইও সোচ্চার হয়েছে।
তিনি জানান, ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় পণ্যের সংকট আছে। কোনো কোনো বিপণিবিতানে এক লিটারের বেশি ভোজ্যতেল কিনতে দেয়া হয়নি। ছয়টি কিংবা ১২টির বেশি ডিম কিনতে দেয়া হয়নি। যে কারণে দেখা গেছে, কেনার জন্য একই পরিবারের পাঁচজন মার্কেটে গেছেন। সেখানে পণ্যের সংকট আছে। যেটি আমাদের দেশে নেই। অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে যদি পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট হয়, তাহলে সেটি সরকারের জন্য সহায়ক হবে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি জানান, ভারতে তথ্য অধিদপ্তরকে ফ্যাক্টচেকের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। কোন সংবাদটি সঠিক,কোনটি সঠিক না, সেটি তারা পরীক্ষা করবে, এ ধরনের সংবাদ যদি কেউ পোস্ট করে,তাহলে সেই দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে নিতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে যখন বলা হবে, এই সংবাদটি সঠিক না, সেটি তাদেরকে নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নিতে হবে। সরিয়ে না নিলে সেই ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বাংলাদেশে এমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কিনা; জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এমন কোনো ব্যবস্থা আমরা নিইনি। তার মানেটা এই যে আমাদের দেশের গণমাধ্যম ভারতের চেয়ে অনেকে বেশি স্বাধীনভাবে কাজ করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রকাশ করার কারণে বিবিসির কার্যালয়ে কয়েকদিন ধরে তল্লাশি করা হয়েছে ট্যাক্স অফিসের মাধ্যমে। আমাদের দেশে কোনো পত্রিকা অফিসে তো ট্যাক্স অফিস যায়নি।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী
অপরাধ-অপপ্রচারের সঙ্গে সাংবাদিকতাকে না মেলানোর আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
নির্বাচন বর্জন করলে বিএনপি গুরুত্বহীন দলে পরিণত হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যদি ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করতে থাকে এবং আগামী নির্বাচনও যদি বর্জন করে তাহলে নির্বাচনের পরে বিএনপি একটি গুরুত্বহীন দলে রূপান্তরিত হবে, এটিই বাস্তবতা।
তিনি বলেন, আমরা চাই আগামী নির্বাচনে বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক। দেশের গণতন্ত্র সংহত হোক।
আরও পড়ুন: রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকার তেজগাঁওয়ে হক সেন্টারে টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (টিসিএ) আয়োজিত ইফতার সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক যে দেশে যখন জাতীয় সংসদের পঞ্চাশ বছর পূর্তি হচ্ছে, তখন তারা সংসদে নেই। আসলে তারা পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি বা সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। সেই কারণে তারা সংসদে থাকলেও কিছুদিন আগে পদত্যাগ করেছে।
হাছান বলেন, বিএনপি ভেবেছিল তারা সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে সরকারের মধ্যে ঝাঁকুনি লাগবে, সরকার কাঁপবে, পড়ে যাবে। কিন্তু সরকারের কিছুই হয়নি, একটু কাতুকুতু লেগেছে, এর বেশি কিছু না।
তথ্যমন্ত্রী এসময় সকল সাংবাদিকের কাজকে রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক কাজের মধ্যদিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী
অপরাধ-অপপ্রচারের সঙ্গে সাংবাদিকতাকে না মেলানোর আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘দায়িত্বহীন’: হাছান মাহমুদ
বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে ‘দায়িত্বহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফকিরাপুলের সন্দ্বীপ ভবনে চট্টগ্রাম জার্নালিস্ট ফোরাম, ঢাকা (সিজেএফডি) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'মির্জা ফখরুল সাহেব সকালে বক্তৃতা করে বলেছেন, তদন্ত হলে না-কি বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে সরকারের কারা কারা যুক্ত তা বেরিয়ে আসতে পারে। এ রকম একটি দায়িত্বহীন, কান্ডজ্ঞানহীন কথা বিএনপির মতো দলের মহাসচিবের কাছে আশা করা যায় না।'
আরও পড়ুন: দেশকে অস্থিতিশীল করতে নয়াপল্টনে জনসভা করতে চায় বিএনপি: হাছান মাহমুদ
তিনি আরও বলেন, 'বঙ্গবাজারে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দু:খজনক। প্রধানমন্ত্রী এটি সার্বক্ষণিক মনিটর করেছেন এবং ইতোমধ্যেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে এ ঘটনার সরেজমিনে তদন্ত, ক্ষতিগ্রস্তদের পুণর্বাসন এবং নিরাপদ স্থায়ী কাঠামোর বিষয়ে যথাযথ নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের দলের সদস্যরা বিপদাপন্নদের পাশে দাঁড়িয়েছে।'
সিজেএফডি’র সভাপতি মামুন আব্দুল্লাহ-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমানের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমীন, মাহফুজুর রহমান মিতা এবং সাইমুম সরওয়ার কমল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সব দলকে সহযোগিতা করতে হবে: হাছান মাহমুদ
নির্বাচন যখনই হোক বিএনপি ক্ষমতায় আসবে না: কাদের
জাতীয় নির্বাচন হলেও বিএনপি আর ক্ষমতায় আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আগামী সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঠিক করবে এবং এ বিষয়ে আমাদের কোনো এখতিয়ার নেই। নির্বাচন যখনই হোক, বিএনপি ক্ষমতায় আসবে না।’
রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘আন্দোলনের ধরন দেখে বিএনপি নেতাকর্মীরাই হতাশ। তারা গণঅভ্যুত্থানের কথা বলছে, অথচ তাদের সমাবেশে এক হাজার মানুষও হয় না। শুধু নেতাকর্মীদের নিয়ে আন্দোলন করে ক্ষমতায় আসা যায় না। যে আন্দোলনে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নেই, সে আন্দোলন কখনই সফল হবে না।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: ওবায়দুল কাদের
তিনি গণমাধ্যমকর্মীদেরকে প্রতি দায়িত্বশীলতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘যারা বলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই, তারাই সরকারের সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করে। এটা সত্য যে আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় গণমাধ্যমের সঙ্গে ছিল, আছে এবং থাকবে। আওয়ামী লীগ সরকারই সাংবাদিকদের জন্য ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ভুল কোনো অপরাধ নয়, কিন্তু অপরাধ করে ভুল লে পর পাওয়া যাবে না।
'চাইল্ড এক্সপ্লয়েটশন' কোনো ভুল নয়, এটা একটি অপরাধ উল্লেখ করে কাদের বলেন, যারা এ ধরনের অপরাধ করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর উন্নত কোনো দেশে কেউ এ ধরনের অপরাধ করলে ওই পত্রিকার লাইসেন্স বাতিল করা হত। কিন্তু শেখ হাসিনা তা করেননি।’
অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও শেখ ওয়ালী ইয়াসির ইনান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে হেয় করতে প্রথম আলো ও বিএনপি একে অপরের পরিপূরক: ওবায়দুল কাদের
দ্রব্যমূল্য বাড়লেও অনেকের চেয়ে আমরা ভালো আছি: কাদের