আওয়ামী-লীগ
তথাকথিত বিরোধীরা মিথ্যা প্রচার করে সাফল্য নষ্ট করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি তথাকথিত বিরোধী দল মিথ্যা প্রচার করে জাতির সাফল্যকে ক্ষুণ্ন করতে চায়, কিন্তু তারা সফল হবে না।
তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এই স্বাধীনতাকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া উচিত নয়। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের একটি তথাকথিত বিরোধী দল রয়েছে, যারা মিথ্যা প্রচার করে এই স্বাধীনতার সাফল্যকে নষ্ট করতে চায়। কিন্তু তারা সফল হবে না, ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব।’
শনিবার নগরীর সার্কিট হাউস মাঠে এক সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখা ও নগর শাখার আয়োজনে আয়োজিত এ সমাবেশ কয়েক হাজার মানুষের অংশগ্রহণে মানবসমুদ্রে পরিণত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহে সদ্য সমাপ্ত ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং আরও ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন, আরও ৩০টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন যে তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। ‘তাই এদেশের মানুষের ভাগ্য আমাদেরই গড়তে হবে। দারিদ্র্যের কবল থেকে তাদের মুক্ত করতে হবে, গৃহহীনদের ঘর দিতে হবে, তাদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, তাদের উন্নত জীবন দিতে হবে এবং প্রতিটি বাড়িতে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘একজন বিএনপি নেতা আছেন সারাদিন মাইক লাগিয়ে বসে থাকেন। বাংলাদেশটাকে নাকি আমরা ধ্বংস করে দিয়েছি।’
শনিবার তিনি মোট ১০৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহবাসীর কাছে জানতে চান, এগুলো কি ধ্বংসের উদাহরণ? ‘ তারা কেন (বিএনপি) এত মিথ্যা কথা বলে? মিথ্যা বলাটাই তাদের পেশা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হওয়ায় যে কেউ দূরে বসেও কথা বলতে ও রাজনীতি করতে পারছে।
তিনি বলেন, তার সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করেছে এবং প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে।
যেহেতু তার সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছে এবং দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলেছে, তাই তারা (বিএনপি নেতারা) মাইক্রোফোন দিয়ে এত কথা বলতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাই তারা আমাদের তৈরি জিনিস ব্যবহার করে, আমাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে। এটা তাদের স্বভাব। লুটপাট, চুরি ও দুর্নীতি তাদের অভ্যাস।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ‘আমাদের এই অর্জন বজায় রাখতে হবে। এই সাফল্য ধরে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী ২৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন শনিবার
তিনি আরও বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ, অর্থনীতি, কৃষি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা হবে স্মার্ট। ‘বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ তৃণমূল পর্যায়ে থেকেও উন্নত জীবন পাবে। প্রতিটি গ্রামবাসী শহুরে সুবিধা পাবে।’
প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহকে একটি বিভাগের রূপ দিতে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, তার সরকার ময়মনসিংহকে বিভাগে পরিণত করেছে।
তিনি আবারও দেশবাসীকে প্রতি ইঞ্চি জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা যাতে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে এমন ফসল ফলানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম ও ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মির্জা আজম ও আহমেদ হোসেন প্রমুখ।
সকাল থেকেই বর্ণাঢ্য ব্যানার-ফেস্টুন ও স্লোগানে স্লোগানে র্যালিতে ভিড় জমায় উৎসাহী মানুষ।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভার পর বর্ণিল গেট, ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুনে পুরো ময়মনসিংহ আনন্দের নগরীতে পরিণত হয়।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে সর্বশেষ তিনি একটি জনসভায় ভাষণ দিতে একই স্থানে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারের অধীনে ১৪ বছরের উন্নয়নে ময়মনসিংহ যেভাবে বদলেছে
বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির তো অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নাই। তাদের সর্বশেষ সম্মেলন কখন হয়েছে সেটা তারা নিজেরাও বলতে পারে না।
তিনি বলেন, এক কলমের খোঁচায় বিএনপিতে নেতা হয়, আবার এক কলমের খোঁচায় বাদ যায়। তারা যদি গণতন্ত্র চর্চা করত, দেশে সার্বিকভাবে গণতন্ত্রচর্চায় আরও সহায়ক ভূমিকা রাখত, তাহলে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ আরও অনেক ধাপ এগিয়ে থাকতো।
আরও পড়ুন: ৭ই মার্চের শপথ স্বাধীনতাবিরোধী পশ্চাৎমুখী অপশক্তির বিরূদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ : তথ্যমন্ত্রী
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা ফ্রিডম হাউস প্রকাশিত বিশ্ব গণতন্ত্রচর্চা সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির অব্যাহতভাবে চেঁচামেচি-দেশে গণতন্ত্র নাই, মানুষের কথা বলার অধিকার নাই-এগুলোর মধ্যেই ওয়াশিংটন ভিত্তিক সংস্থা যখন প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যে বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় এক ধাপ এগিয়েছে, তারমানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা অব্যাহত আছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রগতি হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা কথা বলে, সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অহেতুক সমালোচনা করে যে বলে-আমাদের কথা বলার অধিকার নাই, সেটি যে অসার মিথ্যা, সেটি ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: ৭ মার্চের ভাষণ একটি দেশ, পৃথিবীর মানচিত্রই বদলে দিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
অর্থাৎ বাংলাদেশে গণতন্ত্রচর্চা অব্যাহতভাবে সুসংগত রয়েছে। এটি আরও হতো যদি বিএনপি সঠিকভাবে গণতন্ত্র চর্চা করত।
এদিকে ড. ইউনূসকে নিয়ে 'বিশ্বনেতাদের বিবৃতি'র খবর প্রসঙ্গে প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এটিকে বিবৃতি বলা যাবে না, এটি একটি বিজ্ঞাপন। ওয়াশিংটন পোস্টে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে ৪০ জনের নামে একটি বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়েছে। বিজ্ঞাপন আর বিবৃতির মধ্যে পার্থক্য আছে।
উল্লেখ্য, গ্রামীণ টেলিকমের মালিক ও গ্রামীণ ফোনের প্রায় ৩৪ শতাংশের মালিক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করে বিশ্বের ৪০ জন খ্যাতনামা ব্যক্তির নাম গত ৭ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় পুরো এক পাতার বিজ্ঞাপন আকারে ছাপা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে: তথ্যমন্ত্রী
এ বিষয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী আরও বলেন, ড. ইউনূস বাংলাদেশের জেষ্ঠ্য নাগরিক। তার প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, এইভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিবৃতি আমি বাংলাদেশে দেখি নাই। বিশ্ব অঙ্গনেও এরকম হয় কিনা জানিনা। এরকম বিবৃতি কেনা বা বিজ্ঞাপন দিয়ে বিবৃতি, সেটাকে আবার কোটি টাকা খরচ করে প্রকাশ করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। যেভাবেই হোক ইউনুস সাহেব নোবেল জয়ী। তার পক্ষে এরকম একটা বিবৃতি বিজ্ঞাপন দিয়ে ছাপানো-এটি তার ব্যক্তিত্বকেই খর্ব করেছে।
আমার প্রশ্ন-তার এত টাকা কোথা থেকে আসে?'
বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে গেলেও একটি মহল বাংলাদেশ এগিয়ে যাক সেটি চায় না। তারা আজ দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে। গত কয়েক দিন ধরে দেশে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর পেছনে নাশকতা আছে কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেখানে যারাই দায় থাক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
বুধবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন চত্বরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ আয়োজিত ‘আঁধার ভাঙার শপথে আলোক প্রজ্জ্বলন’ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের জলসায় হামলাকারীর বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক: তথ্যমন্ত্রী
দেশ ও নারী দিবসকে সামনে রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মা-বোনসহ সবাইকে সর্তক দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানাই, বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতা সৃষ্টি করার ছক এঁকেছে। তার আলামত শুরু হয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নারীদের বলবো- আপনারা এগিয়ে যান, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। আপনাদের হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাবে। আমাদের দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাবে।’
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মাহফিলের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা সেখানে হামলা পরিচালনা করেছে। আবার কাল নাকি বিএনপির নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে যাচ্ছে। নিজেরাই মেরে আবার দরদ দেখানোর জন্য সেখানে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার উদ্দেশে পঞ্চগড়ের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’
দেশে নারী উন্নয়ন নিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীকে চমকে দিয়ে বাংলাদেশের নারী সমাজ উন্নতি লাভ করেছে। নারী সমাজ সর্বক্ষেত্রে তাদের মেধা, যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছে। বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের নারীরা রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের দিক দিয়ে বিশ্বে পঞ্চম, এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলে দ্বিতীয় আর উপমহাদেশে প্রথম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই এটি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নারী পৃথিবীকে পথ দেখাচ্ছে। আমাদের নারীরা এভারেস্ট জয় করেছে, আমাদের নারীরা হিমালয় শৃঙ্গে উঠেছে, মহাসাগর পাড়ি দিচ্ছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে দেশে প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী, সংসদ নেতা নারী, সংসদ উপনেতা নারী, শিক্ষামন্ত্রী নারী। এভাবে নারীর যে ক্ষমতায়ন বাংলাদেশে হয়েছে, পৃথিবীর আর কোনো দেশে গত এক দশকে এভাবে হয়নি।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ নারীরা সেনাবাহিনীতে শুধু অফিসার পদে নয়, সেনা সদস্য হিসেবেও কাজ করছে। তারা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) হয়েছেন, যা ১৪ বছর আগে কেউ ভাবেনি, এভাবেই বর্ণনা করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নারী ফুটবল দল পাকিস্তানকে ১২ গোল দিয়েছে, সার্ক শিরোপা জয় করেছে। আমাদের নারী ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু পুরুষ ক্রিকেট দল পারেনি। সাম্প্রতিক সময়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় নারীদের ফল ভালো। প্রধানমন্ত্রীর নারীবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও নানামুখী কর্মসূচির কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।
যুব মহিলা লীগ সভাপতি ডেইজি সারোয়ারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলির সঞ্চালনায় সংগঠনের সদস্যরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের আগে দেশে নারী উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ৭ মার্চের ভাষণ একটি দেশ, পৃথিবীর মানচিত্রই বদলে দিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
৭ই মার্চের শপথ স্বাধীনতাবিরোধী পশ্চাৎমুখী অপশক্তির বিরূদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ : তথ্যমন্ত্রী
৭ই মার্চের শপথ স্বাধীনতাবিরোধী পশ্চাৎমুখী অপশক্তির বিরূদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'দুঃখের বিষয়, আজকে স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি আস্ফালন করে। আর তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দ। এই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এবং যারা দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলাই ৭ই মার্চের শপথ।'
মঙ্গলবার সকালে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, 'সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের এই দিনে তার কালজয়ী ভাষণের মাধ্যমে একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন- এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এবং তিনি বলেছিলেন- তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থেকো শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। তার এই বক্তব্যে আমাদের নিরস্ত্র জাতি সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছিল।'
আরও পড়ুন: নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ চায় আ.লীগ: পর্যবেক্ষকদেরকে তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর অন্যতম এবং বঙ্গবন্ধু যে আসলেই রাজনীতির কবি ছিলেন, তার ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে সেটি আরও পরিস্ফুটিত হয়েছে'।
মন্ত্রী বলেন, 'প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চই কার্যত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এমনভাবে ঘোষণা করেছিলেন যে তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবেও আখ্যা দেয়ার কোনো সুয়োগ তিনি পাকিস্তানিদের দেননি।'
হাছান মাহমুদ বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের পর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ঢাকা থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে রিপোর্ট দিয়েছিল যে চতুর শেখ মুজিব এমনভাবে কার্যত পাকিস্তানের স্বাধীনতাই ঘোষণা করে দিয়েছেন কিন্তু আমাদের চেয়ে চেয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোনো কিছুই করার ছিল না।'
আরও পড়ুন: বিএনপি গণতন্ত্রের পথে প্রতিবন্ধকতা: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি রাজনীতি করে খালেদা ও তারেকের জন্য, জনগণের জন্য নয়: তথ্যমন্ত্রী
পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের জলসায় হামলাকারীর বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক: তথ্যমন্ত্রী
পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের জলসায় হামলাকারীদের বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সোমবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পঞ্চগড়ে যে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে, সেখানে যারা কাদিয়ানীদের জলসাতে হামলা চালিয়েছে, তারা কারা সেটা তো পুলিশের খাতায় আছে। এদের বেশিরভাগই ছিল বিএনপি- জামায়াতের সমর্থক। তারাই সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে ও হামলা চালিয়েছে। সেই হামলায় দুজন মারা গেছেন।’
মন্ত্রী বলেন, আসলে পুরো দেশে নানাভাবে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করার পাঁয়তারার মধ্যে আছে বিএনপি ও তার মিত্ররা। পঞ্চগড়ের এ ঘটনাও বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়। সাম্প্রদায়িক উগ্রগোষ্ঠীকে নিয়ে বিএনপি যে রাজনীতি করে, তারা আরও নানা ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে না আসলে বিএনপিই অস্তিত্ব সংকটে পড়বে: চট্টগ্রামে তথ্যমন্ত্রী
তিনি জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেদের দায়টা এড়ানোর জন্য দুদিন পর গতকাল বক্তব্য দিয়েছেন। আসলে এ ঘটনার জন্য মূলত বিএনপি-জামায়াতের সমর্থকরা দায়ী।
সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিস্ফোরণ, চট্টগ্রামে অক্সিজেন কারখানা এবং রোহিঙ্গা ক্যাস্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দাবি করেছে বিএনপি।
এ সম্পর্কে হাছান মাহমুদ বলেন, দেখুন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে আমাদের সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘তাদেরকে চিকিৎসা, খাদ্য ও শিক্ষা সবকিছুর ব্যবস্থা করেছে আমাদের সরকার। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘটনাটি তদন্তনাধীন, এটি নাশকতা কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটি সার্বিকভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টার অংশ কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সায়েন্সল্যাব ও সীতাকুণ্ডের ঘটনা; এগুলো দুর্ঘটনা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বক্তব্যে মনে হচ্ছে কারও চুলায় আগুন লাগলেও কয়েকদিন পর উনি বলবেন এটার জন্য সরকার দায়ী। বিষয়টা তো তা নয়। এগুলো দুর্ঘটনা, তবে এ দুর্ঘটনা অবশ্যই অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। এ দুর্ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বদ্ধপরিকর।’
আরও পড়ুন: বিএনপি গণতন্ত্রের পথে প্রতিবন্ধকতা: তথ্যমন্ত্রী
রাজনীতির টোকাইদের নিয়ে জোট করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
আবেদন পেলে খালেদার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত: আইনমন্ত্রী
আবেদন পাওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আইন ও বিচার বিভাগ কর্তৃক উদ্ভাবিত অনলাইন কেস ট্র্যাকিং সিস্টেম ‘সলট্র্যাক’ (http://soltrack.gov.bd) উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
দণ্ড স্থগিত রেখে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে, নতুন করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর কোন আবেদন করা হয়েছে কি না বা তাকে কারাগারে নেয়ার কোন চিন্তা সরকারের আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এখনো কোনও আবেদন পাইনি। আবেদন পাওয়ার পর সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
কেস ট্র্যাকিং সিস্টেমের ব্যাপারে আইনমন্ত্রী বলেন, আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে তাদের মামলা পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি অফিসসমূহ তাদের মামলার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবগত থাকে না। এই কেস ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে তারা সহজেই মামলার হালনাগাদ তথ্য জানতে পারবে। এতে করে দ্রুততম সময়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসসমূহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। ৯১ হাজারের বেশি সরকারি মামলা উচ্চ আদালতে ঝুলে আছে। সেগুলো ট্র্যাকিং ও এগুলোর সুষ্ঠু পরিসমাপ্তির জন্য এ সফটওয়্যার অত্যন্ত সহায়ক হবে। ফলে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলায় সরকারি স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখা সম্ভব হবে। আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগের সঙ্গে সরকারের অন্য দপ্তরের সংযোগের মাধ্যমে একটি আস্থার সম্পর্ক স্থাপিত হবে। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে এই পদক্ষেপ অনেকাংশে সহায়ক হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের সর্বস্তরে আইনের শাসন এবং রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় জনগণের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করা ছিলো বঙ্গবন্ধুর অন্যতম স্বপ্ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সেই লালিত স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: খালেদাকে রাজনীতি করতে দিতে বাইরের কোনো চাপ নেই: আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ৪টি ভিত্তি নির্ধারণ করে দিয়েছেন- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি।
প্রত্যেকটি কম্পোনেন্ট একটি অপরটির সঙ্গে সম্পর্কিত। মূলত প্রযুক্তিনির্ভর নির্মল ও স্বচ্ছ তথা নাগরিক হয়রানিবিহীন একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণ এবং ভোগান্তি ছাড়া প্রত্যেক নাগরিক অধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমেই একটি স্মার্ট রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। সকল সেক্টরে প্রযুক্তি নির্ভর সেবা প্রদানের পদক্ষেপ হিসেবে স্মার্ট জুডিসিয়ারি প্রতিষ্ঠাও সরকারের একটি অগ্রগণ্য কাজ।
সে লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহের কারণেই সারাদেশে বিচার বিভাগকে প্রযুক্তিবান্ধব করার জন্য ‘ই-জুডিসিয়ারি’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান ও পরামর্শের প্রেক্ষিতে প্রকল্পটি খুব শিগগিরই আলোর মুখ দেখবে।
তিনি বলেন, দেশের ভূমি নিবন্ধনে জনবান্ধব ‘ই-রেজিস্ট্রেশন’ কার্যক্রম গ্রহণ এবং সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সাথে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের আন্তঃসংযোগ ছিলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসকে স্ব স্ব প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে রেখে ইতোমধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। ২০২১ সালের ১০ জুন হতে ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উক্ত ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে মোট চৌষট্টি হাজার পাঁচশত বিরাশিটি দলিল ই-রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। দেশের অবশিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসসমূহকে একইভাবে ই-রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
তাছাড়া, সারা দেশের বিবাহ নিবন্ধন কার্যক্রমকে ডিজিটাইজড করার জন্য আইন ও বিচার বিভাগ একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে যার মাধ্যমে প্রত্যেক নিকাহ্ রেজিস্ট্রার বিবাহ নিবন্ধনের যাবতীয় তথ্য অনলাইনে ইনপুট দিবেন এবং পক্ষগণ কাবিননামাসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট অনলাইন থেকে সংগ্রহ করতে পারবে। এই অনলাইন পোর্টালে প্রকৃত নিকাহ্ রেজিস্ট্রারদের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। ফলে বিবাহ নিবন্ধন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বলেন, সরকারি মামলাগুলো ঠিকমত উপস্থাপন করা হলে বেশির ভাগ মামলায় সরকার জিতে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো ঠিক উল্টা। বেশিরভাগ মামলায় সরকার পক্ষ হেরে যায়। হেরে যাওয়ার পর সরকার পক্ষ থেকে আপিল করা হয় এবং তখন কিছু দৌঁড়ঝাপ শুরু হয় এবং একে অপরকে দোষারোপ করা শুরু হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আইন ও বিচার বিভাগ কর্তৃক উদ্ভাবিত ‘সলট্র্যাক’ সফটওয়্যারটি একে অপরকে দোষারোপ করার কালচার থেকে বেরিয়ে আসার একটি সুযোগ তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: সরকার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারলেও আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: আইনমন্ত্রী
নির্বাচনে না আসলে বিএনপিই অস্তিত্ব সংকটে পড়বে: চট্টগ্রামে তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগামী নির্বাচনে না আসলে বিএনপিই অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে।
তিনি বলেন, 'বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উকিল আব্দুস সাত্তারের মত বিএনপির কত শত আব্দুস সাত্তার নির্বাচনে আসার জন্য তৈরি হয়ে আছে, সে বিষয়টি মাথায় রাখার জন্য গয়েশ্বর বাবুসহ বিএনপি নেতাদের অনুরোধ জানাই।'
শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদ্যপ্রয়াত সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ’র শোকসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সম্মিলিতভাবে এ সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: রাজনীতির টোকাইদের নিয়ে জোট করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, 'কাগজে দেখলাম বিএনপির স্থায়ী কমিটির অস্থায়ী সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আগামী নির্বাচনে না কি বিএনপি না আসলে আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে। অথচ ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে আসে নাই, আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে নাই, বিএনপিই অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনী ট্রেনের পাদানিতে চড়ে নির্বাচনে গিয়েছিল এবং মাত্র ছয়টি সিট পেয়েছিল। আওয়ামী লীগের কোনো অসুবিধা হয় নাই, বরং বিএনপিই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।'
'বিএনপি’র স্থায়ী কমিটিতে শুধুমাত্র বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান স্থায়ী, আর সব সদস্য অস্থায়ী' উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
প্রয়াত মোছলেম উদ্দিন আহমদের আত্মার শান্তি কামনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদের জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। কারণ তিনি কর্মী থেকে নেতা হয়েছেন। কর্মীদের সঙ্গে কীভাবে মিশতে হয়, একাকার হয়ে যেতে হয়- তার রাজনৈতিক জীবন থেকে বর্তমানের রাজনৈতিক কর্মীদের অনেক কিছু শেখার আছে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুতের মূল্য কম: তথ্যমন্ত্রী
চীন উন্নয়ন সহযোগী, রাজনীতিতে মাথা ঘামায় না: তথ্যমন্ত্রী
আ.লীগ ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসায় বিশ্বাস করে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে কিংবা বন্দুকের নলের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনার জন্য।
শনিবার(৪ মার্চ) দুপুরে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে জনদুর্ভোগ সহ্য করা হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১০ বছর পর দারিদ্র্য বলে কিছু থাকবে না। পরবর্তী প্রজন্মকে দরিদ্রতার কথা বললে তারা বিশ্বাস করবে না। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি স্বনির্ভর, উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই। যেন তারা সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে কথা বলতে পারে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, বাংলাদেশের সব থানা ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়কে সর্বাধিক সুবিধা সম্মিলিত ভবনে রূপান্তরিত করা হবে। ইতোমধ্যে ১০১টি থানার ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং আরও ৫০ টি থানার ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া যশোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ ৯টি কার্যালয় নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরও বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গন এখন মুক্ত। যে যার মত কর্মসূচি করতে পারছে।
পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান ও খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মইনুল হক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ডাক্তার মো. নাসির উদ্দিন, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: করোনা নিয়ন্ত্রণে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলাদেশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
র্যাবের সংস্কার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির চতুর্থ বিপর্যয়ের সময় এসে গেছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পরপর তিন নির্বাচনে বিএনপির বিপর্যয় হয়েছে। আগামী নির্বাচনে তাদের চতুর্থ বারের মতো বিপর্যয়ের সময় এসে গেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন দেখে মানুষ খুবই খুশি। জনগণ উন্নয়নের প্রশংসা করছে। স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ নির্মাণের, সে লক্ষ্যেই দেশ এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: রোজায় নিত্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রী
শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের কুমুদিনী সরকারি কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনও সংবিধান অনুযায়ী হবে। চেষ্টা করব বিএনপিকে নির্বাচনে আনার। না এলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হবে।
তিনি বলেন, তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। বিএনপির অস্তিত্বের স্বার্থে তাদের নেতারা একপর্যায়ে নির্বাচনে আসতে বাধ্য হবে।
পোলট্রি মুরগির দাম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. রাজ্জাক বলেন, করোনার শুরু থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন যাবৎ পোল্ট্রি ব্যবসায়ী, খামারি, উদ্যোক্তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন, লস দিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে গত দুই মাস ধরে পোল্ট্রি মুরগির দাম অনেক বেশি। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলের প্রান্তিক খামারিরাও ঠিকমতো দাম পাচ্ছেন না। বিষয়টি আমি সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে তুলে ধরব। এমন একটা নীতি আমাদের নির্ধারণ করতে হবে, যার মাধ্যমে পোলট্রির দাম সহনশীল রাখা যাবে, যাতে করে নিম্নআয়ের, সীমিত আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ী, খামারি এবং উদ্যোক্তারাও লাভবান হয়।
কুমুদিনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বদরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, মো. ছানোয়ার হোসেন এমপি, খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল করিম মিঞা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: জেল দিয়ে কী কোনদিন কারো রাজনীতি বন্ধ করা যাবে: প্রশ্ন কৃষিমন্ত্রীর
জাপানে আম রপ্তানি শুরু হবে শিগগিরই: কৃষিমন্ত্রী
জাতীয় উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের অব্যাহত মঙ্গল ও দেশের আরও উন্নয়নের জন্য আগামী সাধারণ নির্বাচনে তার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকায়’ ভোট দেয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এক নাগরিক সমাবেশে তিনি বলেন, ‘পরের বারও নৌকা প্রতীকে সরকার গঠন করলে আপনারা উন্নতি করবেন এবং দেশ উন্নয়নের সাক্ষী হবে।
মিঠামইন হেলিপ্যাড মাঠে মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি বা বিএনপি-জামায়াত জোট যখনই ক্ষমতায় এসেছে, জনদুর্ভোগ বেড়েছে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে ফসল, মাছ, সবজির উৎপাদন বৃদ্ধি পায় বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘মানুষ খাবার ও কাপড় পেয়ে খুশি। জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।’
তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, বিশ্ব অঙ্গনে মর্যাদা পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং তা করবে।’
হাওরাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে সরকার এখন বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলেও কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: কার্ডের মাধ্যমে ওএমএসের পণ্য বিক্রির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ আমি আপনাদের অনুরোধ করতে চাই যে আগামী ২০২৩ সালের ডিসেম্বর বা ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। আপনার কাছে আমার আবেদন।’
এ সময় তিনি জনগণের কাছে হাত তুলে নৌকায় ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতি চান। জনতা উল্লাসের সঙ্গে সাড়া দেয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজাল হোসেন প্রমুখ।
মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার বৈষ্ণব।
আরও পড়ুন: হাওর অঞ্চলের প্রতিটি সড়ক হবে এলিভেটেড: প্রধানমন্ত্রী