আওয়ামী-লীগ
খাদ্য মজুদ ও কালোবাজারির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন রোজার মাসে খাদ্য মজুদ ও কালোবাজারির বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কেউ কখনই খাদ্য মজুদ করতে না পারে এবং এসব জিনিসের কালোবাজারি করতে না পারে।’
রবিবার রাজধানীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, রমজান মাসে জনগণ যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে সেজন্য তার সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে।
দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সরকার পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি মানুষকে ৩০ টাকা/কেজি দরে ভর্তুকি দিয়ে চাল দেয় এবং আরও ৫০ লাখ মানুষকে ১৫ টাকা/কেজি দরে চাল দেয়।
আরও পড়ুন: জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সতর্কতা বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে সেজন্য প্রয়োজনে সরকার আরও ৫০ লাখ মানুষকে (১৫ টাকা/কেজিতে) চাল দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, চালের পাশাপাশি সরকার দরিদ্রদের জন্য ভর্তুকি মূল্যে রমজানে ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলাসহ আরও কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন ও আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু ও অধ্যাপক ডা. মেরিনা জাহান কবিতা, আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বক্তব্য দেন।
যৌথভাবে এটি পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: তথাকথিত বিরোধীরা মিথ্যা প্রচার করে সাফল্য নষ্ট করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি-ধামকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক।
তিনি বলেন, এগুলাতে হনুমানও এখন ভেঙচি কাটে।
শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া মৌসুমী আবাসিকের আরসিসি ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা করেন।
আরও পড়ুন: ভাষা ও সংস্কৃতি বিকৃতিকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকুন: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকেই বিএনপি সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বহুবার সরকারকে টেনে নামাতে গিয়ে বিএনপিই জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। তারাই দড়ি ছিড়ে পড়ে গেছে।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে তারাই ঘি ঢেলেছিল। বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে বিএনপি ও বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংশ্লিষ্টতা ছিল। বিডিআর বিদ্রোহ যেদিন হয়, সেদিন প্রত্যূষে বেগম জিয়া ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন এবং তারেক জিয়ার সঙ্গে বহুবার কথা বলেছিলেন। সেই রেকর্ড আমাদের কাছে আছে।'
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'সরকার ক্ষমতায় থাকবে কি থাকবে না, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে কি করবে না, সেই সময় দেয়া না দেয়ার মালিক হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণ দেশ পরিচালনার জন্য গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব দিয়েছেন। সেজন্যই তিনি দেশ পরিচালনা করছেন।'
সাংবাদিকরা এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জালিয়াতি ও ডাকাতি করেছে বলে মির্জা ফখরুলের অভিযোগ বিষয়ে প্রশ্ন করে।
জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে যত কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটেছে সবকিছুই বিএনপি ঘটিয়েছে। তারা ইতোপূর্বে প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিল। এবার ঢাকা বারের নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে জয়লাভের কোনো আশা নেই বুঝেই তারা প্রথমে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়, এরপর নির্বাচনী কার্যক্রমকে ভণ্ডুল করার জন্য ব্যালট ছিনতাই ও নির্বাচনী প্যান্ডেলসহ সব স্থাপনা ভাঙচুর করে।'
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, '২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে যেভাবে তারা নির্বাচনী কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছিল, ঠিক সেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এখন সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গেছে বিএনপি-এ জন্য তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন।’
এর আগে আরসিসি ড্রেইনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প উদ্বোধনকালে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরাসনের জন্য এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ বরাদ্দ দিয়েছেন। এটি ঢাকা শহরের জন্যও দেয়া হয়নি। এই প্রকল্পের কাজ চলছে, আশা করি আগামী মৌসুমে আগের মত জলাবদ্ধতা আর হবে না।
শহরের পরিচ্ছন্নতা ও নর্দমা সচল রাখা নিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহরের পৌণে এক কোটি মানুষ মিলে শহর ময়লা করলে সিটি করপোরেশনের চার হাজার কর্মীর পক্ষেও তা পরিষ্কার রাখা সম্ভব না। পলিথিন ও বাসাবাড়ির ময়লা না ফেললে ড্রেইন সচল থাকবে।
১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ চায় আ.লীগ: পর্যবেক্ষকদেরকে তথ্যমন্ত্রী
ক্ষমতার হালুয়া-রুটি বণ্টন করে বিএনপির সৃষ্টি: তথ্যমন্ত্রী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার প্রশ্নই আসে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন বর্তমান সরকার দায়িত্ব পালন করবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সৃষ্টি হয়েছিল ক্ষমতার হালুয়া-রুটি বণ্টন করে। রাস্তায় যখন হালুয়া-রুটি ছড়িয়ে দেয়া হয়, তখন কাক যেমন জড়ো হয়, তেমনি রাজনীতিতেও কাক আছে। রাজনীতির কাকদের নিয়েই বিএনপির সৃষ্টি।
আরও পড়ুন: বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নেই: তথ্যমন্ত্রী
বুধবার (১৫ মার্চ) সচিবালয়ের মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক দুইটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল, রিজভী, খন্দকার মোশাররফ অন্য দল করতেন। রাজনীতির কাকদের নিয়ে বিএনপির সৃষ্টি। এ কারণে তাদের মধ্যে কোনো আদর্শ নেই। তারা পদ বাণিজ্যও করে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে না। তারা আওয়ামী লীগের অধীন নির্বাচনে যেতে চাইলেও সেই সুযোগ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সংলাপের দরকার নেই। আমরা তাদের সংলাপে ডাকিনি। কাজেই আমরা ডাকলে তারা বলতে পারতো, সংলাপে যাবে কি-যাবে না।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার কোনো প্রশ্নই আসে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। যেভাবে সংসদীয় গণতন্ত্রে অন্য দেশগুলোতে নির্বাচন হয়, সেভাবেই জাতীয় নির্বাচনের সময়ে চলতি সরকার দায়িত্ব পালন করবে। এ বিষয়ে সংলাপ করার প্রশ্নই আসে না।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আশা নেই জেনেই বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে: তথ্যমন্ত্রী
ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, নির্বাচন এলে ধর্মকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রপাগান্ডা চালিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হয়।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও একই কাজ করা হয়েছে। এসব কাজে বিএনপি ও জামায়াত প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকে। তারা নানা ইস্যু তৈরি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড় পৌরসভার আহমদনগর এলাকায় সালানা জলসা মাঠে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ঘে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সহায়তা দেয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চালুর দিনই পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে: রেলপথমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, হামলাকারীরা ট্রাফিক পুলিশের অফিসে হামলা করে আগুন ধরিয়ে দেয়। সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করে ক্ষতিসাধন করে। ডিসি এবং এসপি অফিসে হামলার চেষ্টা করে। প্রশাসন তৎপর ছিল বলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে।
এ সময় হামলার ঘটনায় নিরীহ মানুষদের যেন হয়রানি করা না হয় সেবিয়ে পুলিশকে খেয়াল রাখতে বলেন মন্ত্রী।
এছাড়া এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে প্রশাসনকে সহায়তা করতে গণমাধ্যমকর্মীদের আহ্বান জানান রেলপথমন্ত্রী।
মানবিক সহায়তা অনুষ্ঠানে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য দেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জামিয়া আহমদিয়ার অধ্যক্ষ মোবাশ্বের উর রহমান প্রমুখ।
এছাড়া পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, কৃষক লীগ নেতা আব্দুল লতিফ তারিন প্রমুখ।
এসময় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী পঞ্চগড় সদর ও বোদা উপজেলার ২০৬ জনের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তার এক কোটি টাকার চেক বিতরণ করেন।
এরমধ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ১০৮ জন এবং বোদা উপজেলায় ৯৮ জন।
বিতরণকৃত টাকার মধ্যে সবোর্চ্চ পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৩৬৬ এবং সর্বনিম্ন চার হাজার ৮০০ টাকা ক্ষয়ক্ষতির আনুপাতিক হারে বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: আধুনিক রেলওয়ে ব্যবস্থা করতে চান প্রধানমন্ত্রী: কুড়িগ্রামে রেলপথমন্ত্রী
চট্টগ্রামবাসী না চাইলে সিআরবিতে হাসপাতাল হবে না: রেলপথমন্ত্রী
নির্বাচনে আশা নেই জেনেই বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি নেতারা জানেন যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তাদের সম্ভাবনা নেই। সেজন্য তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জনগণের কাছে না গিয়ে তারা এখন বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘হয়তো কোনও কোনও কূটনীতিকের পদলেহন করে তাদের মন জয় করা যেতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করা যায় না। মানুষের মন জয় করতে হলে, সমর্থন পেতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে।’
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না’- এ বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বেশ কয়েকবার বলেছিলেন, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, সেই সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে প্রথমে বিএনপি ২৯টি আসন পেয়েছিল অর্থাৎ বেগম জিয়ার ভবিষ্যৎবাণী তার নিজেদের বেলায় সত্য হয়েছিল। এবার বেগম জিয়া কারাগারে। আমি আশ্চর্য হবো না যদি মির্জা ফখরুল সাহেবের এই ভবিষ্যৎবাণী তার দলের ব্যাপারে সত্য হয়। এ ধরণের অবান্তর কথা বলা সমীচীন নয়।’
বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপির নির্বাচনে না যেতে চাওয়া প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তো কোনও সুযোগ নাই। কারণ নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে। ইসির অধীনে যে নির্বাচন হবে আশা করি সেখানে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, “ড. কামাল হোসেন সাহেবকে শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি হেভিওয়েট রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেন সাহেবকে ‘হায়ার’ করেছিল। তিনি ‘হায়ারে’ খেলতে গিয়ে ভালো খেলেন নাই এবং সেখানে মাত্র ৭টি আসন বিএনপি পেয়েছিল। এবার দেখা যাচ্ছে তারা আনুবিক্ষণিক দলগুলো, যারা রাজনীতির টোকাই তাদের ওপর ভর করেছে। বিভিন্ন দলীয় মোর্চা মিলে মনে হয় ৫১-৫২ দল হয়েছে। মির্জা ফখরুল সাহেবকে আপনারা ৫২টি দলের নাম মুখস্ত বলার জন্য প্রশ্ন করলে তিনি বলতে পারলে আমি তাকে ধন্যবাদ দেবো।”
সাম্প্রতিক পঞ্চগড় সফর নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সেখানে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে জিজ্ঞাস করলেই জানা যায় কারা এই ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছে, কারা ঘটিয়েছে। ২০১৩, ’১৪, ’১৫ সালে যে কায়দায় হামলা হয়েছিল, যে কায়দায় অগ্নিসন্ত্রাস-নৈরাজ্য হয়েছিল; একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে এবং বিএনপি যে তা করেছে সেটি তারা স্বীকার করে নিয়েছে। বিএনপি নেতা রুমিন ফারহানা, জিএম সিরাজ ও হারুন-অর-রশীদের পোস্ট থেকেই প্রমাণিত হয় যে তারা এটি ঘটিয়েছে। আর মির্জা ফখরুল সাহেব ১৩ তারিখ ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়ে বলছেন, ‘ঠাকুরঘরে কে রে, আমি কলা খাই না’। এটা বলে তো কোনো লাভ নাই, উনার নেতারাই প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। এবং তারা এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে আসলে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চেয়েছিল, যেটি পুরোপুরি সফল হয়নি।”
মন্ত্রী হাছান আরও জানান, ‘যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০টি মামলা হয়েছে, ১২০ জনের বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে এবং নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোনো দল-মত না দেখে যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। সেখানে যদি প্রশাসন বা পুলিশের কোনো ব্যর্থতা থাকে তদন্ত সাপেক্ষে সে ব্যাপারেও যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নেই: তথ্যমন্ত্রী
৭ মার্চের ভাষণ একটি দেশ, পৃথিবীর মানচিত্রই বদলে দিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথাকথিত বিরোধীরা মিথ্যা প্রচার করে সাফল্য নষ্ট করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি তথাকথিত বিরোধী দল মিথ্যা প্রচার করে জাতির সাফল্যকে ক্ষুণ্ন করতে চায়, কিন্তু তারা সফল হবে না।
তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এই স্বাধীনতাকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া উচিত নয়। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের একটি তথাকথিত বিরোধী দল রয়েছে, যারা মিথ্যা প্রচার করে এই স্বাধীনতার সাফল্যকে নষ্ট করতে চায়। কিন্তু তারা সফল হবে না, ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব।’
শনিবার নগরীর সার্কিট হাউস মাঠে এক সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখা ও নগর শাখার আয়োজনে আয়োজিত এ সমাবেশ কয়েক হাজার মানুষের অংশগ্রহণে মানবসমুদ্রে পরিণত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহে সদ্য সমাপ্ত ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং আরও ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন, আরও ৩০টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন যে তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। ‘তাই এদেশের মানুষের ভাগ্য আমাদেরই গড়তে হবে। দারিদ্র্যের কবল থেকে তাদের মুক্ত করতে হবে, গৃহহীনদের ঘর দিতে হবে, তাদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, তাদের উন্নত জীবন দিতে হবে এবং প্রতিটি বাড়িতে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘একজন বিএনপি নেতা আছেন সারাদিন মাইক লাগিয়ে বসে থাকেন। বাংলাদেশটাকে নাকি আমরা ধ্বংস করে দিয়েছি।’
শনিবার তিনি মোট ১০৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহবাসীর কাছে জানতে চান, এগুলো কি ধ্বংসের উদাহরণ? ‘ তারা কেন (বিএনপি) এত মিথ্যা কথা বলে? মিথ্যা বলাটাই তাদের পেশা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হওয়ায় যে কেউ দূরে বসেও কথা বলতে ও রাজনীতি করতে পারছে।
তিনি বলেন, তার সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করেছে এবং প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে।
যেহেতু তার সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছে এবং দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলেছে, তাই তারা (বিএনপি নেতারা) মাইক্রোফোন দিয়ে এত কথা বলতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাই তারা আমাদের তৈরি জিনিস ব্যবহার করে, আমাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে। এটা তাদের স্বভাব। লুটপাট, চুরি ও দুর্নীতি তাদের অভ্যাস।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ‘আমাদের এই অর্জন বজায় রাখতে হবে। এই সাফল্য ধরে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী ২৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন শনিবার
তিনি আরও বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ, অর্থনীতি, কৃষি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা হবে স্মার্ট। ‘বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ তৃণমূল পর্যায়ে থেকেও উন্নত জীবন পাবে। প্রতিটি গ্রামবাসী শহুরে সুবিধা পাবে।’
প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহকে একটি বিভাগের রূপ দিতে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, তার সরকার ময়মনসিংহকে বিভাগে পরিণত করেছে।
তিনি আবারও দেশবাসীকে প্রতি ইঞ্চি জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা যাতে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে এমন ফসল ফলানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম ও ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মির্জা আজম ও আহমেদ হোসেন প্রমুখ।
সকাল থেকেই বর্ণাঢ্য ব্যানার-ফেস্টুন ও স্লোগানে স্লোগানে র্যালিতে ভিড় জমায় উৎসাহী মানুষ।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভার পর বর্ণিল গেট, ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুনে পুরো ময়মনসিংহ আনন্দের নগরীতে পরিণত হয়।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে সর্বশেষ তিনি একটি জনসভায় ভাষণ দিতে একই স্থানে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারের অধীনে ১৪ বছরের উন্নয়নে ময়মনসিংহ যেভাবে বদলেছে
বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির তো অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নাই। তাদের সর্বশেষ সম্মেলন কখন হয়েছে সেটা তারা নিজেরাও বলতে পারে না।
তিনি বলেন, এক কলমের খোঁচায় বিএনপিতে নেতা হয়, আবার এক কলমের খোঁচায় বাদ যায়। তারা যদি গণতন্ত্র চর্চা করত, দেশে সার্বিকভাবে গণতন্ত্রচর্চায় আরও সহায়ক ভূমিকা রাখত, তাহলে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ আরও অনেক ধাপ এগিয়ে থাকতো।
আরও পড়ুন: ৭ই মার্চের শপথ স্বাধীনতাবিরোধী পশ্চাৎমুখী অপশক্তির বিরূদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ : তথ্যমন্ত্রী
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা ফ্রিডম হাউস প্রকাশিত বিশ্ব গণতন্ত্রচর্চা সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির অব্যাহতভাবে চেঁচামেচি-দেশে গণতন্ত্র নাই, মানুষের কথা বলার অধিকার নাই-এগুলোর মধ্যেই ওয়াশিংটন ভিত্তিক সংস্থা যখন প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যে বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় এক ধাপ এগিয়েছে, তারমানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা অব্যাহত আছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রগতি হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা কথা বলে, সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অহেতুক সমালোচনা করে যে বলে-আমাদের কথা বলার অধিকার নাই, সেটি যে অসার মিথ্যা, সেটি ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: ৭ মার্চের ভাষণ একটি দেশ, পৃথিবীর মানচিত্রই বদলে দিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
অর্থাৎ বাংলাদেশে গণতন্ত্রচর্চা অব্যাহতভাবে সুসংগত রয়েছে। এটি আরও হতো যদি বিএনপি সঠিকভাবে গণতন্ত্র চর্চা করত।
এদিকে ড. ইউনূসকে নিয়ে 'বিশ্বনেতাদের বিবৃতি'র খবর প্রসঙ্গে প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এটিকে বিবৃতি বলা যাবে না, এটি একটি বিজ্ঞাপন। ওয়াশিংটন পোস্টে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে ৪০ জনের নামে একটি বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়েছে। বিজ্ঞাপন আর বিবৃতির মধ্যে পার্থক্য আছে।
উল্লেখ্য, গ্রামীণ টেলিকমের মালিক ও গ্রামীণ ফোনের প্রায় ৩৪ শতাংশের মালিক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করে বিশ্বের ৪০ জন খ্যাতনামা ব্যক্তির নাম গত ৭ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় পুরো এক পাতার বিজ্ঞাপন আকারে ছাপা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে: তথ্যমন্ত্রী
এ বিষয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী আরও বলেন, ড. ইউনূস বাংলাদেশের জেষ্ঠ্য নাগরিক। তার প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, এইভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিবৃতি আমি বাংলাদেশে দেখি নাই। বিশ্ব অঙ্গনেও এরকম হয় কিনা জানিনা। এরকম বিবৃতি কেনা বা বিজ্ঞাপন দিয়ে বিবৃতি, সেটাকে আবার কোটি টাকা খরচ করে প্রকাশ করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। যেভাবেই হোক ইউনুস সাহেব নোবেল জয়ী। তার পক্ষে এরকম একটা বিবৃতি বিজ্ঞাপন দিয়ে ছাপানো-এটি তার ব্যক্তিত্বকেই খর্ব করেছে।
আমার প্রশ্ন-তার এত টাকা কোথা থেকে আসে?'
বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে গেলেও একটি মহল বাংলাদেশ এগিয়ে যাক সেটি চায় না। তারা আজ দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে। গত কয়েক দিন ধরে দেশে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর পেছনে নাশকতা আছে কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেখানে যারাই দায় থাক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
বুধবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন চত্বরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ আয়োজিত ‘আঁধার ভাঙার শপথে আলোক প্রজ্জ্বলন’ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের জলসায় হামলাকারীর বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক: তথ্যমন্ত্রী
দেশ ও নারী দিবসকে সামনে রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মা-বোনসহ সবাইকে সর্তক দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানাই, বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতা সৃষ্টি করার ছক এঁকেছে। তার আলামত শুরু হয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নারীদের বলবো- আপনারা এগিয়ে যান, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। আপনাদের হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাবে। আমাদের দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাবে।’
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মাহফিলের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা সেখানে হামলা পরিচালনা করেছে। আবার কাল নাকি বিএনপির নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে যাচ্ছে। নিজেরাই মেরে আবার দরদ দেখানোর জন্য সেখানে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার উদ্দেশে পঞ্চগড়ের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’
দেশে নারী উন্নয়ন নিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীকে চমকে দিয়ে বাংলাদেশের নারী সমাজ উন্নতি লাভ করেছে। নারী সমাজ সর্বক্ষেত্রে তাদের মেধা, যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছে। বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের নারীরা রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের দিক দিয়ে বিশ্বে পঞ্চম, এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলে দ্বিতীয় আর উপমহাদেশে প্রথম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই এটি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নারী পৃথিবীকে পথ দেখাচ্ছে। আমাদের নারীরা এভারেস্ট জয় করেছে, আমাদের নারীরা হিমালয় শৃঙ্গে উঠেছে, মহাসাগর পাড়ি দিচ্ছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে দেশে প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী, সংসদ নেতা নারী, সংসদ উপনেতা নারী, শিক্ষামন্ত্রী নারী। এভাবে নারীর যে ক্ষমতায়ন বাংলাদেশে হয়েছে, পৃথিবীর আর কোনো দেশে গত এক দশকে এভাবে হয়নি।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ নারীরা সেনাবাহিনীতে শুধু অফিসার পদে নয়, সেনা সদস্য হিসেবেও কাজ করছে। তারা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) হয়েছেন, যা ১৪ বছর আগে কেউ ভাবেনি, এভাবেই বর্ণনা করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নারী ফুটবল দল পাকিস্তানকে ১২ গোল দিয়েছে, সার্ক শিরোপা জয় করেছে। আমাদের নারী ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু পুরুষ ক্রিকেট দল পারেনি। সাম্প্রতিক সময়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় নারীদের ফল ভালো। প্রধানমন্ত্রীর নারীবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও নানামুখী কর্মসূচির কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।
যুব মহিলা লীগ সভাপতি ডেইজি সারোয়ারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলির সঞ্চালনায় সংগঠনের সদস্যরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের আগে দেশে নারী উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ৭ মার্চের ভাষণ একটি দেশ, পৃথিবীর মানচিত্রই বদলে দিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
৭ই মার্চের শপথ স্বাধীনতাবিরোধী পশ্চাৎমুখী অপশক্তির বিরূদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ : তথ্যমন্ত্রী
৭ই মার্চের শপথ স্বাধীনতাবিরোধী পশ্চাৎমুখী অপশক্তির বিরূদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'দুঃখের বিষয়, আজকে স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি আস্ফালন করে। আর তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দ। এই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এবং যারা দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলাই ৭ই মার্চের শপথ।'
মঙ্গলবার সকালে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, 'সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের এই দিনে তার কালজয়ী ভাষণের মাধ্যমে একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন- এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এবং তিনি বলেছিলেন- তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থেকো শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। তার এই বক্তব্যে আমাদের নিরস্ত্র জাতি সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছিল।'
আরও পড়ুন: নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ চায় আ.লীগ: পর্যবেক্ষকদেরকে তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর অন্যতম এবং বঙ্গবন্ধু যে আসলেই রাজনীতির কবি ছিলেন, তার ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে সেটি আরও পরিস্ফুটিত হয়েছে'।
মন্ত্রী বলেন, 'প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চই কার্যত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এমনভাবে ঘোষণা করেছিলেন যে তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবেও আখ্যা দেয়ার কোনো সুয়োগ তিনি পাকিস্তানিদের দেননি।'
হাছান মাহমুদ বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের পর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ঢাকা থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে রিপোর্ট দিয়েছিল যে চতুর শেখ মুজিব এমনভাবে কার্যত পাকিস্তানের স্বাধীনতাই ঘোষণা করে দিয়েছেন কিন্তু আমাদের চেয়ে চেয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোনো কিছুই করার ছিল না।'
আরও পড়ুন: বিএনপি গণতন্ত্রের পথে প্রতিবন্ধকতা: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি রাজনীতি করে খালেদা ও তারেকের জন্য, জনগণের জন্য নয়: তথ্যমন্ত্রী
পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের জলসায় হামলাকারীর বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক: তথ্যমন্ত্রী
পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের জলসায় হামলাকারীদের বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সোমবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পঞ্চগড়ে যে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে, সেখানে যারা কাদিয়ানীদের জলসাতে হামলা চালিয়েছে, তারা কারা সেটা তো পুলিশের খাতায় আছে। এদের বেশিরভাগই ছিল বিএনপি- জামায়াতের সমর্থক। তারাই সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে ও হামলা চালিয়েছে। সেই হামলায় দুজন মারা গেছেন।’
মন্ত্রী বলেন, আসলে পুরো দেশে নানাভাবে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করার পাঁয়তারার মধ্যে আছে বিএনপি ও তার মিত্ররা। পঞ্চগড়ের এ ঘটনাও বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়। সাম্প্রদায়িক উগ্রগোষ্ঠীকে নিয়ে বিএনপি যে রাজনীতি করে, তারা আরও নানা ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে না আসলে বিএনপিই অস্তিত্ব সংকটে পড়বে: চট্টগ্রামে তথ্যমন্ত্রী
তিনি জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেদের দায়টা এড়ানোর জন্য দুদিন পর গতকাল বক্তব্য দিয়েছেন। আসলে এ ঘটনার জন্য মূলত বিএনপি-জামায়াতের সমর্থকরা দায়ী।
সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিস্ফোরণ, চট্টগ্রামে অক্সিজেন কারখানা এবং রোহিঙ্গা ক্যাস্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দাবি করেছে বিএনপি।
এ সম্পর্কে হাছান মাহমুদ বলেন, দেখুন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে আমাদের সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘তাদেরকে চিকিৎসা, খাদ্য ও শিক্ষা সবকিছুর ব্যবস্থা করেছে আমাদের সরকার। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘটনাটি তদন্তনাধীন, এটি নাশকতা কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটি সার্বিকভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টার অংশ কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সায়েন্সল্যাব ও সীতাকুণ্ডের ঘটনা; এগুলো দুর্ঘটনা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বক্তব্যে মনে হচ্ছে কারও চুলায় আগুন লাগলেও কয়েকদিন পর উনি বলবেন এটার জন্য সরকার দায়ী। বিষয়টা তো তা নয়। এগুলো দুর্ঘটনা, তবে এ দুর্ঘটনা অবশ্যই অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। এ দুর্ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বদ্ধপরিকর।’
আরও পড়ুন: বিএনপি গণতন্ত্রের পথে প্রতিবন্ধকতা: তথ্যমন্ত্রী
রাজনীতির টোকাইদের নিয়ে জোট করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী