আওয়ামী-লীগ
নির্বাচনে না আসলে বিএনপিই অস্তিত্ব সংকটে পড়বে: চট্টগ্রামে তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগামী নির্বাচনে না আসলে বিএনপিই অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে।
তিনি বলেন, 'বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উকিল আব্দুস সাত্তারের মত বিএনপির কত শত আব্দুস সাত্তার নির্বাচনে আসার জন্য তৈরি হয়ে আছে, সে বিষয়টি মাথায় রাখার জন্য গয়েশ্বর বাবুসহ বিএনপি নেতাদের অনুরোধ জানাই।'
শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদ্যপ্রয়াত সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ’র শোকসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সম্মিলিতভাবে এ সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: রাজনীতির টোকাইদের নিয়ে জোট করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, 'কাগজে দেখলাম বিএনপির স্থায়ী কমিটির অস্থায়ী সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আগামী নির্বাচনে না কি বিএনপি না আসলে আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে। অথচ ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে আসে নাই, আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে নাই, বিএনপিই অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনী ট্রেনের পাদানিতে চড়ে নির্বাচনে গিয়েছিল এবং মাত্র ছয়টি সিট পেয়েছিল। আওয়ামী লীগের কোনো অসুবিধা হয় নাই, বরং বিএনপিই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।'
'বিএনপি’র স্থায়ী কমিটিতে শুধুমাত্র বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান স্থায়ী, আর সব সদস্য অস্থায়ী' উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
প্রয়াত মোছলেম উদ্দিন আহমদের আত্মার শান্তি কামনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদের জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। কারণ তিনি কর্মী থেকে নেতা হয়েছেন। কর্মীদের সঙ্গে কীভাবে মিশতে হয়, একাকার হয়ে যেতে হয়- তার রাজনৈতিক জীবন থেকে বর্তমানের রাজনৈতিক কর্মীদের অনেক কিছু শেখার আছে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুতের মূল্য কম: তথ্যমন্ত্রী
চীন উন্নয়ন সহযোগী, রাজনীতিতে মাথা ঘামায় না: তথ্যমন্ত্রী
আ.লীগ ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসায় বিশ্বাস করে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে কিংবা বন্দুকের নলের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনার জন্য।
শনিবার(৪ মার্চ) দুপুরে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে জনদুর্ভোগ সহ্য করা হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১০ বছর পর দারিদ্র্য বলে কিছু থাকবে না। পরবর্তী প্রজন্মকে দরিদ্রতার কথা বললে তারা বিশ্বাস করবে না। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি স্বনির্ভর, উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই। যেন তারা সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে কথা বলতে পারে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, বাংলাদেশের সব থানা ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়কে সর্বাধিক সুবিধা সম্মিলিত ভবনে রূপান্তরিত করা হবে। ইতোমধ্যে ১০১টি থানার ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং আরও ৫০ টি থানার ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া যশোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ ৯টি কার্যালয় নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরও বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গন এখন মুক্ত। যে যার মত কর্মসূচি করতে পারছে।
পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান ও খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মইনুল হক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ডাক্তার মো. নাসির উদ্দিন, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: করোনা নিয়ন্ত্রণে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলাদেশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
র্যাবের সংস্কার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির চতুর্থ বিপর্যয়ের সময় এসে গেছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পরপর তিন নির্বাচনে বিএনপির বিপর্যয় হয়েছে। আগামী নির্বাচনে তাদের চতুর্থ বারের মতো বিপর্যয়ের সময় এসে গেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন দেখে মানুষ খুবই খুশি। জনগণ উন্নয়নের প্রশংসা করছে। স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ নির্মাণের, সে লক্ষ্যেই দেশ এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: রোজায় নিত্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রী
শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের কুমুদিনী সরকারি কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনও সংবিধান অনুযায়ী হবে। চেষ্টা করব বিএনপিকে নির্বাচনে আনার। না এলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হবে।
তিনি বলেন, তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। বিএনপির অস্তিত্বের স্বার্থে তাদের নেতারা একপর্যায়ে নির্বাচনে আসতে বাধ্য হবে।
পোলট্রি মুরগির দাম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. রাজ্জাক বলেন, করোনার শুরু থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন যাবৎ পোল্ট্রি ব্যবসায়ী, খামারি, উদ্যোক্তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন, লস দিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে গত দুই মাস ধরে পোল্ট্রি মুরগির দাম অনেক বেশি। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলের প্রান্তিক খামারিরাও ঠিকমতো দাম পাচ্ছেন না। বিষয়টি আমি সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে তুলে ধরব। এমন একটা নীতি আমাদের নির্ধারণ করতে হবে, যার মাধ্যমে পোলট্রির দাম সহনশীল রাখা যাবে, যাতে করে নিম্নআয়ের, সীমিত আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ী, খামারি এবং উদ্যোক্তারাও লাভবান হয়।
কুমুদিনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বদরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, মো. ছানোয়ার হোসেন এমপি, খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল করিম মিঞা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: জেল দিয়ে কী কোনদিন কারো রাজনীতি বন্ধ করা যাবে: প্রশ্ন কৃষিমন্ত্রীর
জাপানে আম রপ্তানি শুরু হবে শিগগিরই: কৃষিমন্ত্রী
জাতীয় উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের অব্যাহত মঙ্গল ও দেশের আরও উন্নয়নের জন্য আগামী সাধারণ নির্বাচনে তার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকায়’ ভোট দেয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এক নাগরিক সমাবেশে তিনি বলেন, ‘পরের বারও নৌকা প্রতীকে সরকার গঠন করলে আপনারা উন্নতি করবেন এবং দেশ উন্নয়নের সাক্ষী হবে।
মিঠামইন হেলিপ্যাড মাঠে মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি বা বিএনপি-জামায়াত জোট যখনই ক্ষমতায় এসেছে, জনদুর্ভোগ বেড়েছে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে ফসল, মাছ, সবজির উৎপাদন বৃদ্ধি পায় বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘মানুষ খাবার ও কাপড় পেয়ে খুশি। জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।’
তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, বিশ্ব অঙ্গনে মর্যাদা পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং তা করবে।’
হাওরাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে সরকার এখন বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলেও কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: কার্ডের মাধ্যমে ওএমএসের পণ্য বিক্রির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ আমি আপনাদের অনুরোধ করতে চাই যে আগামী ২০২৩ সালের ডিসেম্বর বা ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। আপনার কাছে আমার আবেদন।’
এ সময় তিনি জনগণের কাছে হাত তুলে নৌকায় ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতি চান। জনতা উল্লাসের সঙ্গে সাড়া দেয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজাল হোসেন প্রমুখ।
মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার বৈষ্ণব।
আরও পড়ুন: হাওর অঞ্চলের প্রতিটি সড়ক হবে এলিভেটেড: প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতি মিঠামইনে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কিশোরগঞ্জের হাওরের মিঠামইন উপজেলায় যাবেন বলে সোমবার তার পৈতৃক বাড়িতে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
সোমবার বিকাল ৩টায় রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার মিঠামইন উপজেলায় অবতরণ করে।
হেলিকপ্টার থেকে নামার পর বাসার সামনের সড়কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতির গ্রামের বাড়িতে প্রধানমন্ত্রীকে হাওরের মাছ, অষ্টগ্রামের পনিরসহ স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হবে।
আবদুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার বাসায় আসছেন বলে তিনি খুবই খুশি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিবারের সবাই খুব খুশি।’
তিনি বলেন, ‘কতবার টুঙ্গিপাড়ায় গিয়েছি বলতে পারব না। যতবার গিয়েছি, বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন। আমি এখন রাজনীতিতে নেই। তিনি আমার বাড়িতে আসবেন, আমি তাকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছি।’
প্রথমবারের মতো কিশোরগঞ্জে নিজ বাড়িতে আসছেন শেখ হাসিনা।
আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৯৮ সালে আমার বাসায় আ কোনো উপায় ছিল না। এখন বাড়ির গেটে যাবো, আগে এখানে লঞ্চে ভিড় থাকত।
তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালে শেখ হাসিনা কিশোরগঞ্জে গিয়ে রাষ্ট্রপতির বাড়ি দূর থেকে দেখেছিলেন। কিন্তু তিনি আসেস নি।
আরও পড়ুন: ঋণ খেলাপির জন্য সাধারণ মানুষ নয়, বড় ব্যবসায়ীরা দায়ী: রাষ্ট্রপতি
১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আমার প্রচারণায় এসেছিলেন। তিনিও বাজার থেকে বাড়ি দেখেছেন, কিন্তু আসতে পারেননি।
এর আগে রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
হাওরের প্রায় সব ধরনের মাছ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পরিবেশন করা হবে জানিয়ে রাষ্ট্রপতির ছেলে বলেন, ‘হাওরের রুহু, কাতল, বাইম, চিতল, চিংড়ি ও পাবদাসহ সব ধরনের মাছ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আপ্যায়ন করার চেষ্টা করব।’
রাষ্ট্রপতির বাড়িতে আতিথেয়তা গ্রহণের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়ির পাশে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন করবেন এবং বিকালে মিঠামইন হেলিপ্যাড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেবেন।
হামিদ ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ দিনের সরকারি সফরে নিজ জেলা কিশোরগঞ্জে পৌঁছেছেন।
গার্ড অব অনার শেষে রাষ্ট্রপতি কামালপুরে তার বাসভবনের উদ্দেশে রওনা হন, সেখানে তিনি রাত্রিযাপন করবেন।
সফরকালে রাষ্ট্রপতি মিঠামইন, করিমগঞ্জ ও সদর উপজেলাও পরিদর্শন করবেন।
৩ মার্চ রাষ্ট্রপতি সার্কিট হাউসে উপস্থিত থাকবেন এবং গার্ড অব অনার শেষে হেলিপ্যাডের উদ্দেশে রওনা হবেন। এরপর বিকাল সাড়ে ৫টায় বঙ্গভবনে পৌঁছানোর কথা বলে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।
আরও পড়ুন: ভাষা আন্দোলনের বীরদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, বঙ্গভবনে বর্তমান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ চায় আ.লীগ: পর্যবেক্ষকদেরকে তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের বলেছেন, ‘আমরা চাই বিএনপিসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিক এবং জনগণ উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দিয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আগামীর সরকার নির্বাচিত করুক। সরকারের পক্ষ থেকে যদি কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন থাকে সেটি অবশ্যই আমরা করবো।’
রবিবার দুপুরে মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে আগত দেশি-বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত ‘ইলেকশন মনিটরিং ফোরামে’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী, জার্মানির সমাজকর্মী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ভলকার ইউ. ফ্রেডরিখ, ভুটানের গ্লোবাল ভিলেজ কানেকশনের চেয়ারম্যান জ্যাকসন ডুকপা, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও ফোরামের পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, বুয়েটের উপউপাচার্য ও ফোরামের পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান এবং কৃষিবিদ ড. আজাদুল হক বৈঠকে অংশ নেন।এ সময় ড. হাছান বলেন, ‘ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম প্রতিনিধিরা আমার সঙ্গে বৈঠকের জন্য এসেছিলেন। আপনারা জানেন যে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ১০৮টি সংগঠন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। তার মধ্যে ৫১টি সংগঠনের মোর্চা হচ্ছে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম। তারা আমার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তারাও বলেছেন যে তারা চান আগামী নির্বাচনে বিএনপিসহ সমস্ত রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ যেখানে জনগণ উৎসাহ নিয়ে আগামী দিনের সরকার নির্বাচিত করবে। এই ফোরাম গত নির্বাচনও মনিটর করেছে আগামী নির্বাচনেও তারা ইলেকশন মনিটরিং দল পাঠাবে, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদেরকে জানিয়েছি, সমস্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে যেভাবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, আমাদের দেশেও ঠিক সেভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং কন্টিনেন্টাল ইউরোপের অন্যান্য দেশে যেভাবে চলতি সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে, আমাদের দেশেও বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি গণতন্ত্রের পথে প্রতিবন্ধকতা: তথ্যমন্ত্রী
বিডিআর বিদ্রোহের আগের রাতে খালেদা জিয়াকে ৪৫ বার ফোন করেছিলেন তারেক: সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে জানিয়েছেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহের আগের দিন রাত ১টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে তারেক রহমান খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে ৪৫ বার ফোন করেছিলেন এবং তাকে সকাল ৬টার মধ্যে তার বাসভবন ত্যাগ করতে বলেন।’
শনিবার তার ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করা ভিডিওটিতে আরও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরে সংসদে কল রেকর্ড উপস্থাপন করেন। ‘প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ ছাড়া জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য দেন না। বিএনপি এ বিষয়ে কখনো সাড়া দেয়নি।’
২০০৯ সালের পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৪তম বার্ষিকীতে, এই ভিডিওটিতে বিডিআর বিদ্রোহের পটভূমি সম্পর্কে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উত্থাপন করে।
ট্র্যাজেডিতে তাদের নিকটাত্মীয়দের হারিয়েছে এমন পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে সজীব ওয়াজেদ লিখেছেন যে বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে, ‘একটি রাজনৈতিক দল’ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিমূলক গুজব সেল চালু করেছে।
তিনি আরও বলেছেন, তার প্রোফাইলে পোস্ট করা এই ভিডিওটিতে সেই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য রয়েছে।
ভিডিওটিতে বিডিআর বিদ্রোহের আগে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের তৎকালীন বিশেষ দূত জিয়া ইস্পাহানীর বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ রয়েছে। জিয়া ইস্পাহানী বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করেন একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু না করার জন্য। ২০০৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার প্রস্তাব দেন, প্রধানমন্ত্রী যা প্রত্যাখ্যান করেন।
২০ ফেব্রুয়ারি জিয়া ইস্পাহানী খালেদা জিয়ার সঙ্গেও বৈঠক করেন। ভিডিওটিতে বৈঠকের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, ‘কার বা কাদের আহ্বানে জিয়া ইস্পাহানী বাংলাদেশে এসেছিলেন?’
আরও পড়ুন: ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
ভিডিওতে বলা হয়েছে, ‘বিডিআর বিদ্রোহের মাত্র চার দিন আগে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করেছিলেন।’ তবে বিমানবন্দর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে ফিরিয়ে দেন। ‘তার দেশ ছাড়ার উদ্দেশ্য কি ছিল?’- এটাও প্রশ্ন।
ভিডিওতে আরও বলা হয়েছে, বিডিআর বিদ্রোহে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করা আসামিদের অনেকেই বিএনপি সরকারের আমলে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ‘২২ জন পলাতক বিডিআর সদস্যকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৪ জনের চাকরির সুপারিশ করে ডিও লেটার ইস্যু করেছিলেন ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট ২০০৬ সালে ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরার জন্য একটি মরিয়া চেষ্টা করেছিল। মঈন ইউ আহমেদ এবং সাদিক হাসান রুমিসহ সশস্ত্র বাহিনীর মুষ্টিমেয় উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা বিএনপি-জামায়াত সরকারের অন্ধকার দিকটি প্রকাশ করেছিলেন।’
বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ এবং কর্নেল গুলজার উদ্দিন আহমেদসহ নিহতদের অধিকাংশই ২০০৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন।
ভিডিওতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরপরই পিলখানা গণহত্যা সংঘটিত হয় এবং সশস্ত্র বাহিনীর ৫৭ জন অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ মোট ৭৮ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ‘এই অপূরণীয় ক্ষতি শুধু সশস্ত্র বাহিনীরই নয়, সমগ্র জাতিরও হয়েছে। নবগঠিত আওয়ামী লীগ সরকার সবচেয়ে বড় আঘাতের সম্মুখীন হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা ষড়যন্ত্রের ফল: বিএনপি
পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের এক যুগ: নানা কর্মসূচিতে শহীদদের স্মরণ
জনগণের কাছে দলীয় নেতাদের যেতে বললেন শেখ হাসিনা
আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে আরও শক্তিশালী করতে স্থানীয় দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন বলেন, শেখ হাসিনা দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের গত ১৪ বছরে অর্জিত সাফল্যের কথা তুলে ধরতে বলেছেন।
তিনি বলেন, জনগণের দ্বারে দ্বারে নেতা-কর্মীদের যেতে হবে এবং ২০০৯ সাল থেকে সারাদেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তা তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে।
আরও পড়ুন: জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সতর্কতা বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
বিদেশিদের সমর্থনে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ আর নেই: প্রধানমন্ত্রী
জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সতর্কতা বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার সরকারের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে অপশক্তির বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এই বিষয়ে আপনাদের সকলকেও সতর্ক থাকতে হবে।’
শনিবার কোটালীপাড়া উপজেলার ভাঙ্গার হাটস্থ টিটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সন্তানরা যাতে মাদক ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয় সেজন্য তিনি সকল অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে বলেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়ায় ৪৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং আরও পাঁচটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একই স্কেলে তুলনা করার বিষয়ে প্রবল আপত্তি করে তিনি বলেন, কেউ কেউ আওয়ামী লীগকে বিএনপির সঙ্গে তুলনা করেন, আবার কেউ বলেন বড় দুই দল।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: মার্কিন কর্মকর্তাকে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ও তার ২০ দলীয় জোট ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল এবং বাকি আসনে আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট জয়লাভ করেছিল।
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘তাহলে কিভাবে এই দুই দল এক হতে পারে?’
তিনি বলেন, বিএনপি শাসনামলে দেশ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, গ্রেনেড হামলা, ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা ও পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ‘তারা মানুষকে কিছুই দেয়নি, তারা শুধু জনগণের অর্থ লুট করেছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি নিজেদের দলের গঠনতন্ত্রও মানে না।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা দলকে নেতৃত্ব দিতে পারে না।
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘বিএনপি একজন নেতাও কি পায় না যে অন্তত সাজাপ্রাপ্ত আসামি নন?’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তার ছেলের নেতৃত্বে বিএনপি চলছে, দুজনেই সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
তিনি বলেন, ‘যারা নিজের দলের গঠনতন্ত্র মানে না, নিয়ম মানে না, আইন মানে না, সেই দলের সঙ্গে কীভাবে আওয়ামী লীগের তুলনা চলে।’
তিনি বলেন, যারা ওই ‘বড় দুই দল’ বলেন, তারা ভুল করেন।
আরও পড়ুন: অনির্বাচিত সরকারের দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
জনগণকে হয়রানি না করে কর দিতে উৎসাহিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদার রাজনীতি করার সুযোগ নেই: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়ার সুযোগ নেই।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
খালেদার রাজনীতি করতে কোনো বাধা নেই বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাম্প্রতিক মন্তব্যের সঙ্গে তার বক্তব্য সাংঘর্ষিক।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে এই যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দেশে অরাজকতা সৃষ্টির দিকে এগোচ্ছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। ‘তারা এখন পরাজিত এবং অন্ধকার দেখছে।’
বিএনপির কর্মকাণ্ডে ভণ্ডামি করার অভিযোগ তুলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু কর্মকাণ্ডে উল্টোটা দেখায়।
শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নগরীর ওসমানী মেমোরিয়াল হলে আয়োজিত অপর এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের বলেন, বিএনপির সন্ত্রাস সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান রয়েছে কারণ তারা রক্তপাত ও মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার জন্য দায়ী, কিন্তু এখন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারাও এখন দেশে গণতন্ত্রের সমর্থনে সোচ্চার।
তিনি আরও বলেন, ‘তার দৃষ্টিতে এটি তাদের অতীত কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে একটি ভণ্ডামিপূর্ণ অবস্থান। বিএনপি গণতন্ত্র বা মানবাধিকারের জন্য বিশ্বাসযোগ্য সমর্থনকারী নয়।’
রাজনীতিতে মেধাবী ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত না হলে অযোগ্য ব্যক্তিরা আইন প্রণেতা ও মন্ত্রী হবেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন কাদের।
তিনি আরও বলেন, যারা সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করে, তারাই সবচেয়ে বেশি নৈতিকতার কথা বলে।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশে ‘জঙ্গি গোষ্ঠীর’ পৃষ্ঠপোষক: কাদের