আওয়ামী-লীগ
আ.লীগের নতুন কমিটির মধ্যে বিভাগীয় দায়িত্ব বণ্টন
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে বিভাগীয় দায়িত্ব বণ্টন করেছে।
রবিবার দলটি নেতাদের মাঝে দায়িত্ব বণ্টন করে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে মাহবুবুল আলম হানিফকে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের, দীপু মনিকে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের, হাসান মাহমুদকে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের এবং আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিমকে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রংপুর আওয়ামী লীগের গণসংস্কার চলছে
সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে আহমেদ হোসেনকে সিলেট বিভাগ, বিএম মুজাম্মেল হককে খুলনা বিভাগ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকে চট্টগ্রাম বিভাগ, এসএম কামাল হোসেনকে রাজশাহী বিভাগ, মির্জা আজমকে ঢাকা বিভাগ, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনকে এবং বরিশাল বিভাগ দেয়া হয়েছে। আর সুজিত রায় নন্দী পেয়েছেন রংপুর বিভাগ।
দলটি ২৪ ডিসেম্বর ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে টানা ১০তম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে টানা তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে।
আরও পড়ুন: দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ: কাদের
কুষ্টিয়ায় প্রধান শিক্ষককে আওয়ামী লীগ নেতার চড়-থাপ্পড়!
ফাইনাল খেলা হবে আগামী জানুয়ারিতে: কাদের
আগামী বছরের জানুয়ারিতে চূড়ান্ত খেলা অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের নেতাকর্মীদের আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী বছরের জানুয়ারিতে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির (জাপা) ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘খেলা হবেই’ স্লোগানকে একধরনের রাজনৈতিক হাস্যরস উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি, মাদক, ষড়যন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে খেলা হবে।
আরও পড়ুন: আমরা রাজনীতিকে ভালো মানুষের জন্য উপযুক্ত করতে পারিনি: সেতুমন্ত্রী
দলের নেতাকর্মীদের আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভালো মানুষ আজকাল রাজনীতিতে নেই। আমরা রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করতে ব্যর্থ হয়েছি।’
ছাত্র রাজনীতির সুনাম নষ্ট হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভালো, সৎ ও উজ্জ্বল ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ ছাড়া রাজনীতি চরিত্রহীন হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশকে বাঁচাতে গণতন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে আ’লীগ নেতা আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: নেতার দরকার নেই, চৌকস কর্মী চাই: ছাত্রলীগকে ওবায়দুল কাদের
ভোটের পরাজয় থেকে আ.লীগের প্রতিকারমূলক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি কাদেরের
আমরা রাজনীতিকে ভালো মানুষের জন্য উপযুক্ত করতে পারিনি: সেতুমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভালো মানুষ রাজনীতিতে আসতে চায় না। কারণ আমরা রাজনীতিকে তাদের জন্য উপযুক্ত করতে পারিনি, আকর্ষণীয় করতে পারিনি।
তিনি বলেন, নষ্ট রাজনীতিকরা নষ্ট রাজনীতিকে বাঁচিয়ে রাখে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করবে সরকার: সেতুমন্ত্রী
রবিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনের জাতীয় পার্টির (জেপি) ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ছাত্র রাজনীতির সুনামের ধারা হারিয়ে গেছে বলে ওবায়দুল কাদের বলেন, খারাপ লোকদের হাতে রাজনীতি থাকলে দেশটি খারাপ হয়ে যাবে। চরিত্রবানদের রাজনীতিতে নিয়ে আসতে হবে। এছাড়া ভালো, সৎ ও মেধাবীদের রাজনীতিতে আনতে হবে, না হয় রাজনীতি চরিত্রহীন হয়ে যাবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রকে বাঁচানোর তাগিদ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। বিজয়কে সুসংহত করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হবে।
এছাড়া তিনি গণতন্ত্রকে বাঁচাতে শক্তিশালী বিরোধীদলের প্রয়োজনীয়তাকে জোর দেন তার বক্তব্যে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশের উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। ১৯৭৫ এর হত্যাকাণ্ড বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। চার নেতার হত্যার মাধ্যমে রাজনৈতিক দেয়াল তৈরি হওয়া শুরু হলো, রাজনীতিতে সে দুরত্ব ঘোচাতে সেতু নির্মাণ করতে ব্যর্থ।
তিনি সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান তার বক্তব্যে।
জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সম্মেলন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
টুঙ্গিপাড়ায় আ.লীগের নবনির্বাচিত কমিটির বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা
আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
শনিবার দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তারা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মহান নেতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় নেতৃবৃন্দ ফাতেহা পাঠ করেন এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জাতির পিতাসহ অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতে যোগ দেন।
দেশ ও জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত দলটির ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে শেখ হাসিনা টানা ১০তম মেয়াদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ওবায়দুল কাদের তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: শূন্য ৫ আসনে উপনির্বাচন: আ.লীগের আবেদনপত্র বিতরণ শুরু বুধবার
আ.লীগের সভাপতি হিসেবে পুননির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে পিএমও’র শুভেচ্ছা
নেতার দরকার নেই, চৌকস কর্মী চাই: ছাত্রলীগকে ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে নেতার দরকার নেই, স্মার্ট কর্মী দরকার।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ: ভেন্যু সমস্যার সমাধানে আশাবাদী ওবায়দুল কাদের
টেলিভিশন ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অপরাজেয় বাংলা স্মারকের সামনের উপচে পড়া মঞ্চটিতে ওবায়দুল কাদের বক্তব্য বক্তব্য দেয়ার সময় ভেঙে পড়ে।
বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় কাদের অক্ষত ছিলেন। আহতদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ঘটনার আগে তিনি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিজেদের প্রস্তুত করতে বলেন।
তিনি ছাত্রলীগকে দ্রুত কমিটি গঠন করতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ছাত্রলীগের কমিটিতে শীর্ষ দুই নেতার নাম ঘোষণা করেছি কিন্তু এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। জাতীয় নির্বাচনের আগে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলে দ্রুত কমিটিগুলো গঠন করতে হবে।’
কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মহানগরীর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা, ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা যোগ দেন।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাদের। পরিচালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী বলেন, ‘আমরা ২০২৪ সালের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অগ্রগামী হবো এবং আমরা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেব না। এটি আমাদের প্রতিশ্রুতি এবং এই ৭৫ বছরপূর্তি উদযাপনে আমরা বছরে ৭৫টি বিজয় সমাবেশের আয়োজন করব।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি প্রধান সংগঠন। এর একটি গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। আমাদের আবার আমাদের ট্র্যাকে ফিরে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, আগামী দিনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও তাদের সহযোগী বিএনপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
অনুষ্ঠানটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয় এবং অপরাজেয় বাংলা স্মৃতিস্তম্ভ থেকে শুরু হয়ে ধানমন্ডি-৩২ পর্যন্ত একটি র্যালির মাধ্যমে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের
গোলাপবাগে সমাবেশ করে বিএনপি ‘অর্ধেক পরাজিত’: ওবায়দুল কাদের
সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে বিএনপিই বেকায়দায়: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশিদের পদলেহন এবং দেশবিরোধী সাংঘর্ষিক রাজনীতি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে এখন বিএনপি ও তার মিত্ররাই বেকায়দায় পড়ে গেছে।
সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র মালিক সমিতি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ'লীগের সতর্কতায় বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বিফল: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমাদের দেশে রাজনীতির ক্ষেত্রে যেটা চ্যালেঞ্জ, সেটি হচ্ছে বিরোধীদল বিএনপির সাংঘর্ষিক রাজনীতি এবং তার মিত্রদের দেশবিরোধী অপতৎপরতা। দেশবিরোধী অপতৎপরতা করতে গিয়ে বিদেশিদের পদলেহন এবং বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়া হচ্ছে। এগুলো করে তারা সরকারকে বেকাদায় ফেলতে চায়।
কিন্তু সরকারকে বেকাদায় ফেলতে গিয়ে এখন বিএনপি নিজেই বেকাদায় পড়ে গেছে।
কারণ ১০ ডিসেম্বর তারা ভেবেছিল নয়াপল্টনের সামনে একটি সমাবেশ করতে পারবে, বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারবে। সেটি তারা করতে পারেনি। ১০ ডিসেম্বরের পর বিএনপি বুঝতে পেরেছে তাদের শক্তি এবং সামর্থ্য কতটুকু।
এরপরও বিএনপি এ বছরও চেষ্টা করবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য।
তিনি বলেন, তবে আমরা তাদের সর্বোচ্চ অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা দেখেছি ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে। সেগুলো মোকাবিলা করা হয়েছে। সুতরাং তারা কী করতে চায় বা কী করতে পারে, সেটি নিয়ে আমাদের ধারণা আছে। আর তা মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা দুটিই আছে। এছাড়া সেটি আমাদের জন্য কঠিন কোনো কাজ নয়।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিএনপি দুটি হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একটি হচ্ছে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার গোঁ ধরা। সেই গোঁ ধরে তাদের রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। আরেকটি হচ্ছে তাদের সংসদ সদস্যদের বাধ্য করে পদত্যাগ করানো, এটাতেও তাদের ক্ষতি হয়েছে।
এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত কেন নেয়া হলো সেই প্রশ্নই এখন বিএনপির অভ্যন্তরে ঘুরপাক খাচ্ছে। খন্দকার মোশাররফ সাহেবরা সেই হঠকারী সিদ্ধান্তের জবাব দিতে পারেন না তো, সে জন্য কর্মীদের কাছে উঁচু গলায় কথা বলে কর্মীদের আশ্বস্ত করতে চান, অন্য কোনো কিছু নয়।
সংশ্লিষ্টদের আবেদন পেলে বছরে ১০টি হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানি
এর আগে সিনেমা হল মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র অঙ্গনের সবার আবেদন পেলে বছরে ১০টি ভারতীয় হিন্দি সিনেমা আমদানি ও প্রদর্শন সম্ভব।
তিনি বলেন, যদি চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি এবং প্রযোজক সমিতি-এই চারটা সমিতি লিখিত আবেদন দেয় তাহলে আমরা বিষয়টা নিয়ে উদ্যোগ নেবো।
সবাই লিখিত দিতে হবে। কারণ অতীতে দেখা গেছে বেশির ভাগ সমিতি চাচ্ছে কিন্তু শিল্পী সমিতি চায় না।
আরও পড়ুন: বিএনপির ডাকা গণমিছিল গাঁধার ডিম পাড়ার মতো হবে: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, যে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল, সেই চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
তার মধ্যে অন্যতম বড় পদক্ষেপ হচ্ছে এক হাজার কোটি টাকার স্বল্প সুদে ঋণ তহবিল। সেটির জন্য ৫০ এর অধিক দরখাস্ত পড়েছে। আমরা আশা করছি সেগুলো তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তি হবে এবং আর দরখাস্তকারী উৎসাহী আছেন।
মানুষের রুচির পরিবর্তনের কারণে শুধু দেশে নয়, সিনেমার শহর মুম্বাইতেও সিঙ্গেল স্পেস অনেকগুলো সিনেমা হল বন্ধ হয়েছে, কলকাতাতেও তাই, কিন্তু সিনেপ্লেক্স দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে ব্যাংকের যে পুণ:অর্থায়নযোগ্য ঋণ তহবিল মার্কেটের মধ্যে সিনেপ্লেক্স করলে তার জন্যও প্রযোজ্য। আলাদাভাবে শুধু সিনেপ্লেক্স করার বাধ্যবাধকতা নেই।
মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে পাঁচ শতাংশ সুদে আর মেট্রোপলিটন শহরের বাইরে সাড়ে চার শতাংশ সুদে এই ঋণ পাবেন এক বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ যেখানে সাধারণ ঋণের সুদ ৯ শতাংশ।
'বিএনপির ভুল ইসলামী আন্দোলন করেনি'
এ দিন সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলের জাতীয় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এ সময় বক্তব্যে তিনি বলেন, বিএনপিকে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দিলেও তারা পল্টনের রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশের জন্য গোঁ ধরে থেকে শেষ পর্যন্ত গোলাপবাগে গেছে।
ইসলামী আন্দোলনও বায়তুল মুকাররমের সামনে সমাবেশ করতে চাইতে পারতো।
নামাজের সুবিধা হতো। কিন্তু রাস্তা বন্ধ হয়ে জনগণের ভোগান্তি হতো। তারা সেটা করেননি, বিএনপির মতো ভুল করেননি। এজন্য তাদের ধন্যবাদ।
সম্মেলনের সভাপতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ'র মুহতারাম আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) এবং রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতিতে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান দেশে ইসলামের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপগুলোকে যুগান্তকারী হিসেবে বর্ণনা করেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস এবং নেতৃবৃন্দের মধ্যে ইউনুস রুবেল, শরফুদ্দীন এলাহী, সহিদুর রহমান, তাপস দাশ গুপ্ত, ঈশা খান, সম্রাট শাহ ও ফারুক আহমেদ সভায় যোগ দেন।
অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র, সোশ্যাল ও নিউ মিডিয়া) ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাপের মতো খোলস বদলায় বিএনপি জোট: তথ্যমন্ত্রী
রংপুর আওয়ামী লীগের গণসংস্কার চলছে
রংপুর জেলা ও আওয়ামী লীগের মহানগর কমিটি ভেঙে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
গত ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি নির্বাচনে ভয়ঙ্কর পরাজয় ও পারফরম্যান্সের পর বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থী জামানত হারিয়ে চতুর্থ অবস্থানে চলে যান।
রবিবার (১ জানুয়ারি) রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলীয় সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ: কাদের
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রংপুর মহানগর ও রংপুর জেলা শাখার বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে দিয়েছেন এবং সংগঠনের সংবিধানে তাকে অর্পিত ক্ষমতাবলে একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছেন।
ড. দেলোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবুল কাশেমকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
একেএম সায়াদত হোসেন বকুলকে আহ্বায়ক ও অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবলুকে যুগ্ম আহ্বায়ক রংপুর আওয়ামী লীগের জেলা শাখার জন্য আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় প্রধান শিক্ষককে আওয়ামী লীগ নেতার চড়-থাপ্পড়!
আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর দুঃস্বপ্ন দেখছে: ফখরুল
আ'লীগের সতর্কতায় বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বিফল: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের সতর্কতায় বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বিফল হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে গণমিছিলের নামে বিএনপি-জামায়াত ঢাকা শহরে একটা বড় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল।
কিন্তু পুরো শহর জুড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, এরপরও বিএনপির প্রধান সহযোগী জামায়াতে ইসলামী পুলিশের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ বাহিনীর ধৈর্য্যের কারণে তারা সেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলোই দায়ী: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরনগরীর দেওয়ানজী পুকুরপাড়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ সব কথা বলেন।
'ঢাকায় শুক্রবার বিএনপির গণমিছিল কর্মসুচি থেকে পুলিশের ওপর জামায়াত-শিবিরের হামলার ঘটনা কেন হলো এবং পুলিশের কি প্রস্তুতি ছিল'-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে ১০ ডিসেম্বর বিএনপি বুঝতে পেরেছে তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। দশ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে বলে তারা সেখানে বড়জোর ৫০-৬০ হাজার মানুষ জমায়েত করতে পেরেছে। এরপর থেকেই বিএনপি আসলে হতাশ।
এছাড়া তাদের রাজনীতি পুরোটাই ষড়যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল। সেই কারণেই তারা একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, 'বিএনপি বিদেশিদের পদলেহন করার নীতি অবলম্বন করেছে। সেটি করেও কোনও লাভ হয়নি। তারা যেভাবে মনে করেছিল বিভিন্ন রাষ্ট্র বা দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাদের পক্ষে নানা ধরনের কথা বলবেন, আপনারাও দেখতে পারছেন, সেটি হয় নাই।'
ড. হাছান বলেন, 'তাদের (বিএনপি) রাজনীতিটা একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে- দেশে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। দেশের জনগণ সেটা কোনোভাবেই হতে দেবে না। বিশৃঙ্খলা তৈরি করার উদ্দেশ্যেই তারা নানা ধরনের কর্মসূচি দিয়েছে।
সেই কর্মসূচিতে তাদের কর্মীদের যেভাবে আশা করেছিল সেভাবে হয়নি। তাদের রাজনীতি সেই একই জায়গায় আছে। গত ১০ ডিসেম্বরও তারা গাড়িতে আগুন দিয়েছে। এখনও সুযোগ পেলে একই কাজ করবে। তারা সেখান থেকে সরে আসতে পারেনি। তাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।'
বিএনপিকে মোকাবিলার প্রশ্নে তিনি বলেন, '২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপির নাশকতা মোকাবিলা করেছি। বিএনপি কি করতে চায়, কতটুকু করতে পারে আমরা জানি। সেটা মোকাবিলা করার জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কি করতে হবে সেটাও আমরা জানি। সুতরাং বিএনপি সেই পুরনো পরিস্থিতি আর কখনো সৃষ্টি করতে পারবে না।'
আরও পড়ুন: সাপের মতো খোলস বদলায় বিএনপি জোট: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির ডাকা গণমিছিল গাঁধার ডিম পাড়ার মতো হবে: তথ্যমন্ত্রী
বিশ্বের কোথায়ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্বের কোথায়ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। সুতরাং সেই দিকে যাওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ বাঁচানোই আমাদের প্রধান এজেন্ডা।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফেনীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেছেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হটানোর জন্য অতি বাম, অতি ডান মিলে-মিশে একাট্টা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ভালো আছি।
আরও পড়ুন: আ. লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকায় আমরা ধৈর্যহারা হইনি। পথ হারাইনি।
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপির মাঠে সংঘাত করে লাভ নেই। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।
এছাড়া সরকার শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবে। নির্বাচনে সরকারের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ থাকবে না।
মন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনও সুযোগ নেই। বিএনপি-জামায়াতের সরকার পতনের স্বপ্ন সফল হবে না। এছাড়া আমরা বিশ্বাস করি তারা নির্বাচনে আসবে, সব নিবন্ধিত দলকে আমরা স্বাগত জানাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ার সম্পর্কে বলেছি। সম্পদকে সম্ভাবনার রূপ দিতে কাজ করছি। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। বিশ্ব সংকটকালে জ্বালানি, ডলার, রিজার্ভ নিয়ে আমরা ভাবছি। পাকিস্তানে রিজার্ভ ৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
সে তুলনায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি সংকটেও দিশেহারা হইনি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছি।
এসময় তিনি রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, আমরা অশান্তি ও সংঘাত চাইনা। কাউকে উস্কানি দিতে চাইনা। বিএনপিসহ ৩৩ দলের গণমিছিল কর্মসূচি হয়েছে। ওই ৩৩ দল ঢাল নেই, তলোয়ার নেই, নিধিরাম সর্দার অবস্থার দল।
এছাড়া নিবন্ধিত সকল দলকে আমি নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য স্বাগত জানাই।
কুটনৈতিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, জেনেভা কনভেনশনের আলোকে কুটনৈতিকরা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাতে পারেন না। আমরাতো কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাই না।
এছাড়া আমাদের দেশের বিষযে বলার আগে নিজেদের দিকে তাকানো উচিত।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, রংপুরের কথাটা আলাদা, সেখানে এরশাদ সাহেবের প্রভাব আছে। তাদের প্রার্থীও প্রভাবশালী। আমরা একজন নারীকে মনোনয়ন দিয়েছি। দলের অনেকে তার জন্য ভালোভাবে কাজ করেনি। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের প্রার্থী কম ভোট পেয়েছে। শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। এটা নিয়ে আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। আমরা বলবো গণতন্ত্রের বিপ্লব হয়েছে। সুষ্ঠু ভোট হয়েছে।
এছাড়া রংপুরের বিষয় এনে জাতীয় নির্বাচনের ভবিষ্যতবাণী করা যাবে না। হারজিত থাকবে। এটা ভোটের প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে রিকশায় উঠলেই ২০ টাকা লাগে। তাহলে মোট্রেলের বাড়া বেশি হলো কিভাবে। আমাদের কিছু বলার আগে নিজের চেহারা আয়নায় দেখুন। আপনাদের আজিজ কমিশন এক কোটি ২০ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিল। সেটি কেউ ভুলেনি।
তিনি জামায়াতের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জামায়াত সহিংসতা করলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা বসে থাকবেনা। তারা সমুচিত জবাব দেবে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওবায়দুল কাদের হেলিকপ্টার যোগে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজে অবতরণ করেন।
এ সময় ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে ওবায়দুল কাদেরকে অভিনন্দন জানান।
এ সময় জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজি, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট হাফেজ আহাম্মদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো সক্রিয়: ওবায়দুল কাদের
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেনো বিএনপির অপছন্দ: ওবায়দুল কাদের
সাপের মতো খোলস বদলায় বিএনপি জোট: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'সাপ যেমন কিছুদিন পর পর চামড়া-খোলস বদলায়, বিএনপির জোটও কিছু দিন পর পর খোলস বদলায়। কোন সময় বিশ দল হয়, বারো দল হয়, এখন বলছে তেত্রিশ দল।'
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের পক্ষ থেকে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন 'তেত্রিশ দলের মধ্যে ত্রিশটাকে খুঁজে পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ আছে কারণ কয়েকটি হাতে গোনা দল ছাড়া বাকিগুলো আসলে সাইনবোর্ড সর্বস্ব দল'
এসময় বিশৃঙ্খলা করলে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপির আজকের যে গণমিছিল, এতে মানুষ আতঙ্কিত। তাদের এই গণমিছিলের কর্মসূচিতে ঢাকা শহরের মানুষ আতঙ্কিত।'
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'সরকারি দল হিসেবে আমাদের দলের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের পাশে থাকা। দেশে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা-স্থিতিশীলতা কেউ বিনষ্ট করতে না পারে, সেজন্য আমরা মাঠে আছি। কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায় এবং তার মিত্ররাও, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করব।'
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে সমগ্র বিশ্ব আজ প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ভরসার প্রতীক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও জনগণের ভোটে ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনায় আসবে।’