আওয়ামী-লীগ
বিএনপি সমাবেশে লাঠি-আগুন নিয়ে আসলে ‘খেলা হবে’: কাদের
বিএনপি তাদের সমাবেশে লাঠি বা আগুন নিয়ে আসলে ‘খেলা হবে’বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এজন্য তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক পাহারার নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর নাট্যমঞ্চে বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের বলেন, তারা থাকবে গোলাপবাগে। আমরা চলে যাচ্ছি সাভারে। জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তাদের ঢাকা দিয়ে গেলাম। আমরা ক্ষমতায়। আমরা কেন, অশান্তি চাইবো, আমরা কেন বিশৃঙ্খলা চাইবো?
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে গোটা বাংলাদেশ তারা গিলে খাবে। তাদের সেই সুযোগ দেয়া যাবে না। বিএনপির ক্ষমতায় আসার রঙিন খোয়াব কর্পুরের মতো উবে যাবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আজ বলে- সরকার নাকি ভয় পেয়ে গেছে। সরকার ভয় পেয়েছে? এখানে নাট্যমঞ্চ প্রাঙ্গণের সভা এদিকে নবাবপুর সেদিকে গুলিস্তানে বায়তুল মোকাররমে। বিশাল সমাবেশ, মাত্র ঢাকা দক্ষিণ করেছে।
তিনি বলেন, যারা বলেছিল, নয়াপল্টনে সমাবেশ করবোই। আজ তারা গোলাপবাগে। তাহলে পরাজয় কার হলো? আমাদের না বিএনপির? আন্দোলনে অর্ধেক পরাজয় এখানেই হয়ে গেছে।
ওবায়দুল কাদের দুর্নীতি ও লুটপাট এবং হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে ‘খেলা হবে’ ফের ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। কাতারের পাশাপাশি বাংলাদেশেও অপশক্তির বিরুদ্ধে খেলা হবে। লাঠি বা আগুন নিয়ে আসলে খেলা হবে। অনেক ছাড় দিয়েছি, আর ছেড়ে দিবো না।
কাদের বলেন, আজকে সকালে ঢাকায় নেমে বুঝলাম আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। শেখ হাসিনার ডাকে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা, শেখ হাসিনার কর্মীরা প্রস্তুত।
এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, সাংবাদিক বন্ধুরা সত্যটা তুলে ধরুন। কিছু কিছু মিডিয়া বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য নেমেছে। তারা কারা, সময় মতো জবাব পাবে। কোনো কোনো মিডিয়া, রাতে ও সকালে দেখলে মনে হয় না এখানে আর কোনো দল আছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোন দল আছে?
কূটনৈতিকদের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি যারা আমাদের দেশে আছেন। বন্ধু দেশের প্রতিনিধিরা কারো পক্ষ নেবেন না। আমাদের ঘরের ভেতরে হস্তক্ষেপ করবেন না। আমরা জানি, কীভাবে গণতন্ত্র রক্ষা করতে হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশসহ নেতারা বক্তব্য দেন।
অযাচিত মন্তব্য করে বন্ধুত্ব নষ্ট করবেন না: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতি কাদের
বাংলাদেশের নির্বাচন ও আইনের শাসন নিয়ে অযাচিত মন্তব্য করে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব নষ্ট না করতে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের প্রথম প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো বিষয়ে অযাচিত মন্তব্য বা হস্তক্ষেপ করবেন না। নির্বাচনী জালিয়াতি শুধু বাংলাদেশে নয়, যুক্তরাষ্ট্রেও হয়।
যুক্তরাষ্ট্রেও একটি দল আছে, যারা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাস শুটিংয়ের ঘটনা সাধারণ। প্রতিদিনই গুলিতে দুই,তিন বা পাঁচজন নিহত হচ্ছে। আর আপনি বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলছেন।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভয়ভীতি প্রদর্শন ও রাজনৈতিক সহিংসতায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা কারও হুকুম শুনবেন না। তিনি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পান না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা ১৯৭১ ও ১৯৭৫ সালে তাদের ভূমিকা দেখেছি। এতসব ঘটনা সত্ত্বেও আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাই।’
তিনি আরও বলেন যে এ ধরনের মন্তব্য করে কারও কোনো লাভ হবে না। এগুলো সুসম্পর্কের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে চায় বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার মার্কিন দূতাবাস ঢাকায় ভয়ভীতি ও রাজনৈতিক সহিংসতার প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং আইনের শাসনকে সম্মান করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক বার্তায় রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘আমরা ঢাকায় ভয়ভীতি ও রাজনৈতিক সহিংসতার খবরে উদ্বিগ্ন এবং আইনের শাসনকে সম্মান করার জন্য এবং সহিংসতা, হয়রানি ও ভয় দেখানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন যে তারা সরকারি কর্তৃপক্ষকে সহিংসতার এই প্রতিবেদনগুলো তদন্ত করতে এবং মত প্রকাশের মৌলিক স্বাধীনতা, সংগঠন ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে রক্ষা করতে উৎসাহিত করে।
আরও পড়ুন: ‘কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, আমরা চাই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব’: বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক উক্তি জাতিসংঘের রেজ্যুলেশনে অন্তর্ভুক্ত
শরণার্থী, অভিবাসন সমস্যা আলোচনায় বাংলাদেশ সফরে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী সচিব নয়েস
শেরপুর জেলা আ.লীগের সভাপতি আতিক, সাধারণ সম্পাদক ছানু
সাড়ে সাত বছর পর ৮ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নতুন কমিটির তিনজনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
সভাপতি পদে হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি, সাধারণ সম্পাদক পদে ছানুয়ার হোসেন ছানু এবং বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পালকে ১ নং সহ-সভাপতি করা হয়েছে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার ভার্চূয়াল বক্তব্যে পুরাতন কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটির ওই তিনজনের নাম ঘোষণা করেন। এদিকে, সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন এবং ছানুয়ার হোসেন ছানুর নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠানস্থলে তার সমর্থক নেতাকর্মীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। অপরদিকে, চন্দন কুমার পালের সমর্থকদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়।
স্থানীয় শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্ক মাঠে দুপুরে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আ.লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বিভিন্নভাবে আমরা জেনেছি আগামী বছরের শেষ দিকে কিংবা তার পরের বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনকে ঘিরে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য স্বাধীনতাবিরোধী, আল-বদর-রাজাকাররা বিএনপি’র নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। কিন্তু তাদেরকে সে সুযোগ দেয়া হবে না। তিনি বলেন, সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলের নেতৃত্ব আরও সুদৃঢ় হবে, সক্ষমতা বাড়বে এবং দল শক্তিশালী হবে।
অনুষ্ঠানে ভার্চূয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিএনপি দেশে সন্ত্রাস শুরু করেছে। বিশ্ঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা আবারও আগুন সন্ত্রাস করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এ ব্যাপারে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অ.লীগ দেশ গঠন করেছে। গণতন্ত্রের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে। কোনক্রমেই স্বাধীনাতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দেয়া হবে না। পরে তিনি নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করেন।
গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে: কাদের
বিএনপি তাদের পরিকল্পনায় কাজ করছে। নয়াপল্টনে গতকালের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, বিএনপি দেশে আগুন সন্ত্রাস শুরু করে দিয়েছে। দেশের মানুষ আতঙ্কে আছে। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা জঙ্গিদের মাঠে নামিয়েছে। লাশ ফেলার দুরভিসন্ধি তারা গতকাল কার্যকর করেছে।
আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার যৌথসভার উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গণমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যরা সড়কে আহত অবস্থায় পড়ে আছে, কিন্তু গণমাধ্যম সে দৃশ্য দেখায়নি। ‘তারা (বিএনপি কর্মীরা) বিআরটিসি বাস পুড়িয়ে দিয়েছে। সরকারি গাড়ি পোড়ানো হবে, সেই দৃশ্য দেখানো হবে না। কেন এই আচরণ?’
মিডিয়া আউটলেটগুলির একটি অংশ কেন ‘পক্ষ নিচ্ছে’ সেতুমন্ত্রী তার কারণ জানতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ: ভেন্যু সমস্যার সমাধানে আশাবাদী ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেছেন, ‘এটা আমার অভিযোগ। কক্সবাজারে এত বড় জনসমাবেশ, কিন্তু গণমাধ্যম তা সঠিকভাবে দেখায়নি।
‘আমরা আশা করি মিডিয়া তারা যা দেখবে তা দেখাবে। আমরা সত্য দেখানোর আহ্বান জানাই,’ তিনি যোগ করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ আমরা করতে দেবো না। আগামীকাল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমাবেশ মহানগর নাট্যমঞ্চে হবে। জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলা যাবে না।
তিনি বলেন, লন্ডন থেকে ফরমায়েশ আসে। মির্জা ফখরুল চাকরি রক্ষার জন্য তা করে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সকল বিভাগ, জেলা, উপজেলা, থানা, ওয়ার্ডে সতর্ক অবস্থায় থাকবে জানিয়ে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকার পতনের চেষ্টা করছে। আক্রমণ আমরা করবো না, তবে আক্রান্ত হলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা দেশকে সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে তুলে দিতে পারি না।
কূটনীতিকদের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি বন্ধুরা তাদের যোগাযোগে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে, যা কূটনৈতিক শিষ্টাচার নয়।
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করলে বিএনপির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
জনগণ নির্ধারণ করবে ক্ষমতায় কে থাকবে আর কে থাকবে না: তথ্যমন্ত্রী
নয়াপল্টনে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে বিএনপি: ফখরুল
বিএনপি আগামী ১০ ডিসেম্বর পল্টনে সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তারা যেভাবে চেয়েছিল সেভাবেই সমাবেশ করবেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘সমাবেশ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হয় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার উপযুক্ত বিকল্প স্থানের প্রস্তাব দিলে আমরা বিবেচনা করব।’
আরও পড়ুন: বিএনপির কার্যালয়ে বোমাগুলো পুলিশ রেখেছিল: ফখরুল
ফখরুল বলেন, বিনা উসকানিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা করেছে। এমন কাপুরুষোচিত হামলা অকল্পনীয়। পুলিশ অকারণে ব্যাগে বোমা নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকেছে।’
তিনি বলেন, অফিসের আসবাবপত্র ও মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করে এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও নিয়ে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: ঢামেক মর্গে মকবুলের মরদেহ দেখতে ফখরুল
অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করলে বিএনপির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করলে বিএনপির বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেয়া হবে, যাতে দলটির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের সিএনবি এলাকায় বিসিএস লাইভস্টক একাডেমিতে ৪০ তম বিসিএস লাইভস্টক ও বিসিএস মৎস্য ক্যাডার এর নব যোগদানকারীদের অবহিতকরণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন,বিএনপি ক্ষমতায় যাবার যে স্বপ্ন দেখছে তা দিবা স্বপ্নে পরিণত হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে এমন কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে, যাতে করে ভবিষ্যতে কেউ আর অসাংবিধানিক ভাবে ক্ষমতা দখলের সাহস না পায়।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে বিএনপি কেন সহিংসতা করছে তা আমরা জানি: কাদের
মন্ত্রী বলেন,টেমস নদীর পাড় থেকে ফখরুল সাহেবদের প্রতি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। তবে অবৈধ ক্ষমতা দখল এবং পঁচাত্তরের ঘটনার পুনরাবৃত্তির চেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে। বিএনপি জনগণের মাঝ থেকে জন্ম নেয়নি। ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেয়া এই দলটির সব সময় বিদেশি শক্তির সহায়তায় ও বন্দুকের নল দেখিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারকে অবৈধ উপায়ে টেনে হিঁচড়ে ক্ষমতায় যাবার স্বপ্ন দেখার দিন আর নেই বলেও জানান মন্ত্রী।
বিএনপির উদ্দেশ্য ২০১৩ এবং ২০১৪ সালের মতো পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ মারার রাজনীতির ফিরিয়ে আনা। দেশের মধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে অসংবিধানিক উপায় ক্ষমতা দখলের পায়তারা করা। তবে সেই স্বপ্ন কোনদিনই বাস্তবায়িত হবে না বলেও জানান তিনি।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,মৎস্য প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব,শ্যামল চন্দ্র সরকার,এ টি এম মোস্তফা কামাল,আব্দুল কাইয়ুম,মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুল হক,বাংলাদেশ প্রাণি সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড.এস এম জাহাঙ্গীর আলম, প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা.মনজুর মোহাম্মদ শাহাজাদাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
২০২৪ সালের প্রথম সপ্তাহে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন: প্রধানমন্ত্রী
দেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক জনসভায় এই ঘোষণা দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের গতি ধরে রাখতে জনগণকে তার আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের সবাইকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাদের দলকে ভোট দেবেন কিনা জানতে চাইলে উচ্ছ্বসিত মানুষ হাত তুলেন। তিনি জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ২৯ টি প্রকল্পের উদ্বোধন, ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার পক্ষে রায় দেয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ টানা তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছে।
তিনি বলেন, ‘২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া রয়েছে যা দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়নের দিকে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
সমাবেশের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং এক হাজার ৯৬৩ দশমিক ৮৬ কোটি টাকার চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্দশা লাঘবে তার সরকারের চালু করা বেশ কয়েকটি উদ্যোগ তুলে ধরে ঘোষণা করেছেন যে যতদিন তিনি ক্ষমতায় থাকবেন ততদিন এদেশের মানুষের কল্যাণ দেখাশোনা করা তার দায়িত্ব।
তিনি বলেন, জাতির পিতার কন্যা হিসেবে আমি যতদিন ক্ষমতায় আছি ততদিন আপনাদের কল্যাণ দেখভাল করা আমার কর্তব্য।
জনগণের দুর্দশা সৃষ্টির জন্য তিনি আবারও বিএনপি ও তার মিত্র জামায়াতের নিন্দা করেন।
তিনি বলেন, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, খুন, লুটপাট, মানি লন্ডারিং, দেশের টাকা বিদেশে পাচার , এসবই তারা করতে পারে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে খালেদা জিয়া এতিমখানার টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং সে কারণে তিনি দুর্নীতির দায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।
আদালতে বিচারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থ পাচারের জন্য পরিচিত তার ছেলে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা হিসেবে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
তারেক জিয়া ১০টি ট্রাকে করে অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি না তিনি কি উদ্দেশ্যে এই অস্ত্রগুলো এনেছিলেন।’
আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া এবং তাদের সঙ্গীরা আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে, যা যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়। এতে আওয়ামী লীগের ২২ জন সদস্য নিহত হন।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমি সর্বশক্তিমান আল্লাহর রহমতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সব সময় লুটেরা, জঙ্গি, দেশের টাকা পাচার করে, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করে।
একজন মানুষ কি অন্য মানুষকে আগুন দিয়ে মেরে ফেলতে পারে? জানতে চান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি, তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়ার এই আন্দোলনের লক্ষ্য অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করা। তারা ধ্বংস ছাড়া কিছুই জানে না।’
আরও পড়ুন: সমুদ্রে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলেই সমৃদ্ধ অর্থনীতি সম্ভব: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী সম্মানসূচক “গ্লোবাল এম্বাসেডর ফর ডায়াবিটিস”-এর উপাধিতে ভূষিত
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ: ভেন্যু সমস্যার সমাধানে আশাবাদী ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জায়গা নিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে সেটা সমাধান হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) বিকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার বার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশস্থল নিয়ে একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। তা এখনও সমঝোতা হয়নি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর যানজট নিরসনে সাবওয়ে নির্মাণের বিকল্প নেই: সেতুমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবসময় আশাবাদী, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, একটা সমাধান বের হবে।’
তিনি বলেন, জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। দলের পক্ষ থেকে আমি বলতে চাই, আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা কেন দেশে অশান্তি চাইব?
কেন আমরা এমন কিছু করব যা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে? আমাদের এটির দরকার নেই।
তিনি বলেন, ‘এখন যদি কেউ আমাদের ওপর হামলা করে, কোনো প্ররোচনা দেয়, আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আমরা কি নির্বিকার বসে থাকব? এছাড়া আমরা আশা করি বিরোধীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সমাবেশ করবে।’
ভারতীয় হাইকমিশনারের সফরের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক যোগাযোগের আওতায় অনেক প্রকল্প রয়েছে এবং প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তিস্তা ইস্যু নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি।
তিস্তা ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করবেন (এটি সমাধানে)।
২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
এছাড়া ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় শেষ জনসভা করে বিভাগীয় কর্মসূচি শেষ করবে দলটি।
ঢাকায় পুলিশ বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বললেও বিএনপি ঢাকায় নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে বদ্ধপরিকর।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে আগামী সাধারণ নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে। সংবিধানে এ ধরনের কোনো বিধান না থাকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই দাবি তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী
অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
জনগণ নির্ধারণ করবে ক্ষমতায় কে থাকবে আর কে থাকবে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এ দেশের মালিক জনগণ। ক্ষমতায় কে থাকবে আর কে থাকবে না-তা নির্ধারণ করবে জনগণ। এছাড়া কূটনৈতিকরা কাউকে ক্ষমতায় বসানোর ক্ষমতা রাখে না।
তিনি বলেন, সরকার কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেবে না। বিএনপিকে জায়গা দেয়া হয়েছে৷ তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চেয়েছিল। এটা বরাদ্দ দেয়ার পর সেখানে তাদের যেতে এত অনীহা কেন?
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জনসভায় যাওয়ার চিন্তা অলীক ও উদ্ভট: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জজার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনিএসব কথা বলেন।
মিশরে অনুষ্ঠিত ‘কপ-২৭‘ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ সম্পর্কে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি শুধু রাস্তায় জনসভা করতে চায়। নাগরিক এবং সাংবাদিকরা রাস্তায় সমাবেশ চায় না। কারণ এতে জনভোগান্তি হয়। প্রকৃতপক্ষে তারা জনসভা নয়, ইস্যু বানাতে চায়৷ আমাদের সরকার কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেবে না। কেউ অপচেষ্টা চালালে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা দেশবাসীকে নিয়ে তা প্রতিহত করবে।
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী ও ইশরাক হোসেনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জারির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আগুন সন্ত্রাসে বিএনপির নেতকর্মীরা জড়িত। তাদের নির্দেশের ভিডিও আমাদের কাছে আছে, অডিও আছে।
তিনি আরও বলেন, আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানার দিয়েছে, পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। আদালত জামিন বাতিল করেছে, এখানে সরকারের কিছু করার নেই।
আরও পড়ুন: ব্যস্ত রাস্তায় সমাবেশ দূরভিসন্ধিমূলক: তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মাঠের বাইরেও দশগুণ মানুষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
সামাজিক মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের অপকর্মের কথা তুলে ধরুন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বিসিএল) নেতাকর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং বিএনপি ও জামায়াতের অপকর্ম তুলে ধরতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ তৈরি করেছি। কিন্তু আজ সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে ভেসে যাচ্ছে। আমি আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের এসবের উপযুক্ত জবাব দিতে বলতে চাই।’
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ সুযোগ পেতে পারেন: প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় কাউন্সিলের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা যখন আমাদের বিরুদ্ধে কিছু লেখে, তখন আপনাকে উত্তর দেয়ার দরকার নেই। যদি শুধুমাত্র তাদের অপকর্মের কথা মন্তব্যে উল্লেখ করা যায় (সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোপাগান্ডা পোস্টের মধ্যে) তারা থামবে।’
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এ সময় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়। বিসিএলের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিল ২০১৮ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর: দেড় বিলিয়ন বিনিয়োগ ও লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের প্রত্যাশা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর