আওয়ামী-লীগ
বিএনপিকে নিয়ে বিপদে আছে দেশের মানুষ: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের মানুষ কোন বিপদে নেই, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিকে নিয়েই দেশের মানুষ বিপদে আছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি সাম্প্রদায়িক দল এবং পাকিস্তানকে ভালোবাসে: ওবায়দুল কাদের
কাদের বলেন, জনগণ মনে করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য বড় হুমকি হচ্ছে বিএনপি। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র বিএনপির হাতে নিরাপদ নয়। বিএনপি তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব ঘোচানোর জন্য কখন কী ঘটিয়ে বসে তা নিয়ে জনগণ দুশ্চিন্তায় আছে।
তিনি বলেন, দেশ নাকি গভীর সংকটে আছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন সংকটে দেশ নয়,গভীর সংকটে আছে বিএনপি, সংকটে তাদের পরাশ্রয়ী রাজনীতি।
বিএনপি প্রতিদিন আন্দোলনের হুমকি দেয় কিন্তু তাদের আন্দোলনের নেতা কে সেটাই তারা জানে না-এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দুজনেই দণ্ডপ্রাপ্ত। একজন ইয়াতিমের টাকা আত্মসাৎ করায় দণ্ডপ্রাপ্ত।
কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মহানুভবতায় ঘরে বসে চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আর একজন রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে কাপুরুষের মত বিদেশে পালিয়েছে এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচারে লিপ্ত: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, নিরাপদ দূরত্বে থেকে নিজে বিলাসী জীবন-যাপন করছেন, আর নেতাকর্মীদের চাঙা করতে দূর থেকে শব্দ বোমা ছুঁড়ছে আর স্বপ্ন দেখছে ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসনের।
দেশের জনগণ আর পিছনে ফিরে যেতে চায় না, বিএনপি তাদের দুর্নীতির বরপুত্র,হাওয়া ভবনের স্রস্টা, দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমানকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বিবৃতিতে কাদের আরও বলেন, দেশে বর্তমানে গণতন্ত্রের কোনও সংকট নেই, সংকট বিএনপির মনস্তত্ত্বে।
বিএনপি সবসময় তাদের বক্তব্যে কৃত্রিম সংকটের গন্ধ পায়। তারা স্বাধীনতা গেল বলে হা-হুতাশের রাজনীতি করে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপিকে এই সংকট থেকে উত্তরণে অপরাজনীতির কৌশল পরিহার করতে হবে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশা প্রকাশ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধারণ করে বিএনপি সঠিক পথে ফিরে আসলেই তা হবে দেশের রাজনীতির জন্য সহায়ক।
আরও পড়ুন: দেশের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বড় অন্তরায়: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি ক্ষমতায় এলে গোটা দেশ গ্রাস করবে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতায় এলে গোটা দেশ গ্রাস করবে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি (ক্ষমতায় থাকাকালে) দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খেয়ে ফেলেছে। অর্থনীতিও ভেঙে পড়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকেও সম্মান করা হয়নি। স্বাধীনতার আদর্শের অস্তিত্ব ছিল না।’
শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে কাদের এসব কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার সময় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কম।
তিনি বলেন, ওই অবস্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও বিএনপি নেতাদের দলত্যাগ করা উচিত: ওবায়দুল কাদের
চলমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে রিজার্ভ ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বই এক তীব্র আর্থিক সংকটের সম্মুখীন।
রংপুরে বিএনপির জনসভার সঙ্গে তাদের কাউন্সিলের তুলনা করে ওবায়দুল কাদের বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে শেখ হাসিনার উপস্থিতি ছাড়া জেলা পরিষদে কতজন উপস্থিত হয়েছেন তা দেখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশে যোগদানকারী বেশিরভাগ নেতাকর্মী দুই-তিন দিন আগে এসে খোলা আকাশের নিচে সময় কাটাচ্ছেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল টাকার বিছানায় জীবন-যাপন করছেন। তিনি যত বেশি অনুষ্ঠান সাজাতে পারবেন, তত বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। দুবাই থেকে টাকা আসছে।’
তিনি বলেন, আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের জনসভায় ১০ লাখ লোকের সমাগম হবে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দেবেন।
ঢাকা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমেদকে সভাপতি এবং পনিরুজ্জামান তরুণকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ওবায়দুল কাদের সুস্থ, তবে বিশ্রাম প্রয়োজন: চিকিৎসক
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এখন শঙ্কামুক্ত: চিকিৎসক
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিপুল জনসমাগম
আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে ঢাকা ও আশপাশের কয়েক হাজার দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশ নিয়েছেন।
শনিবার ঢাকার শেরেবাংলা নগর পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এদিন দুপুর ১২টা থেকে অনুষ্ঠানস্থলে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করে। দুপুর ২টার মধ্যে পূর্ণ হয়ে যায় মাঠ।
অনুষ্ঠানে বিপুল কাউন্সিলরের উপস্থিতি দেখা যায় এবং দলটির নেতাকর্মীদের রঙিন শার্ট পরে সভায় অংশ নিতে দেখা যায়। একই সঙ্গে সিনিয়র নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ঢাকা জেলার পদপ্রত্যাশী নেতাদের বড় বড় মিছিল নিয়ে আসতে দেখা গেছে।
এতে উৎসবমুখর পরিবেশ ও আয়োজন উপভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন অনেকে। ঢাকা জেলা ৫টি উপজেলা নিয়ে গঠিত: সাভার, ধামরাই,দোহার,নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ।
আরও পড়ুন: ২০০১ সালে হত্যাযজ্ঞ চালাতে জঙ্গিদের ভাড়া করেছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার: সজীব ওয়াজেদ
২০০১ সালে হত্যাযজ্ঞ চালাতে জঙ্গিদের ভাড়া করেছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার: সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন,২০১১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠনের পরপরই লোকেরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের হত্যা, নির্যাতন, চাঁদাবাজি, লুটতরাজ ও ধর্ষণ করতে শুরু করে।
শনিবার তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ লিখেছেন, এমনকি উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠনগুলোকে অর্থ ও তালিকা দিয়ে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে তারা।
পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, ‘তারেক রহমানের নির্দেশনায় বিএনপির ৮ জন নেতার মাধ্যমে জঙ্গিদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতো খালেদা জিয়ার সরকার।’
সজীব ওয়াজেদের পোস্টে বলা হয়েছে, ‘এমনকি মন্ত্রীদের চাপের কারণে পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্যও বাধ্য হয়েছিল জঙ্গিদের সহযোগিতা করতে।’
পোস্টে তিনি বলেন, ‘পুলিশের হাত দিয়ে জঙ্গিদের কাছে নিরাপদে অর্থ পাঠাতো বিএনপি সরকারের নেতারা। এমনকি কখনো পুলিশ এই জেএমবি জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করলেও, সরকারের চাপে ছেড়ে দিতে বাধ্য হতো; অথবা আদালত থেকে তাদের জামিন দেয়ার জন্য বিশেষ নির্দেশ আসতো সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে।’
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বিএনপি সরকারের নেতারা পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে জঙ্গিদের কাছে নিরাপদে টাকা পাঠাতেন। এমনকি যদি পুলিশ কখনও কখনও জেএমবি জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করে তবে সরকারের চাপের কারণে তারা তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে বা আদালত থেকে তাদের জামিন দেয়ার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বিশেষ আদেশ আসবে।’
ধাক্কা দিয়ে সরকার ফেলে দেয়া যাবে না: হানিফ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার কচু পাতার পানি নয়, তাই ধাক্কা দিয়ে সরকার ফেলে দেয়া যাবে না।
শনিবার দুপুরে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, বিএনপি স্বপ্ন দেখছেন, সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিবেন। এটা আওয়ামী লীগ সরকার। এ দলের শিকড় বাংলার মাটিতে অনেক গভীরে।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করুন: হানিফ
তিনি আরও বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যত মানুষকে হত্যা করেছেন, ২০১৩-১৪ ও ১৫ সালে তথাকথিত আন্দোলনের নামে যত মানুষকে হত্যা করেছেন, এই পাপের দায়ভার বিএনপিকে বহন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব এমপি।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শ্রী সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বাবলু সহ কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
সভায় অর্থমন্ত্রী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.হ.ম মুস্তফা কামাল ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে: হানিফ
জনগণ যতদিন চাইবে ততদিন আ.লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকবে: হানিফ
দেখা যাক, ছদ্মবেশে জামায়াতের নিবন্ধন ইসি কীভাবে পরিচালনা করে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসাবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বিচারাধীন এবং নির্বাচন কমিশন ভিন্ন নামে তাদের নিবন্ধনের আবেদন কীভাবে পরিচালনা করে তা দেখার জন্য তিনি অপেক্ষা করবেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে সাব-রেজিস্ট্রারদের প্রশিক্ষণের পর এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, ইসির পদক্ষেপের পর এ বিষয়ে মন্তব্য করা হবে।
ইসির নিবন্ধন চাওয়া বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টির (বিডিপি) সকল নেতা জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র ফ্রন্ট শিবিরে ছিল বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বুধবার বিডিপি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।
২০১৩ সালে, হাইকোর্ট ইসির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে কার্যকরভাবে নিষিদ্ধ করে। ২০১৮ সালে, ইসি আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামী মৌলবাদী দলটির নিবন্ধন বাতিল করে। কারণ এটি পূর্বশর্তগুলি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছিল।
যাইহোক, মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যায় ভূমিকা রাখার জন্য ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির পক্ষ থেকে নিষিদ্ধের দাবির মধ্যে জামায়াত এখনও একটি রাজনৈতিক দল হিসাবে কাজ করছে।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত নেতাদের বিচার প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর, যা একটি প্রমাণিত সত্য।
মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকার জন্য জামায়াতের বিচারের বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক পুনর্ব্যক্ত করেন যে আইনে কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন এবং এটি প্রক্রিয়াধীন।
‘আমি আগেই বলেছি জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বিরুদ্ধে বিচারের জন্য আমাদের আইনে কিছু পরিবর্তন দরকার এবং আমরা ইতোমধ্যে সংশোধনী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছি। খুব শিগগিরই আমরা এই বিষয়ে একটি আইন পাস করব এবং বিচার শুরু করব,’ তিনি যোগ করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে বিচার শুরু করার জন্য সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।
বুধবার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সব শর্ত পূরণ করলে ভিন্ন নামে নিবন্ধন পেতে পারে।
নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের জন্য আবেদনের সময়সীমা ৩০ অক্টোবর শেষ হচ্ছে।
বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচারে লিপ্ত: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংকটময় বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা না করেই বিএনপি নেতারা দায়িত্বহীনভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নানা মিথ্যাচারে লিপ্ত।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দেশ ও জনগণের প্রতি প্রতিটি বিরোধী দলের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম ও তার দলের নেতারা দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন না করে মিথ্যা ও বিভ্রান্তির স্বাভাবিক রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘যারা তাদের শাসনামলে জাতীয় গ্রিডে এক ইউনিটও বিদ্যুত যোগ করতে পারেনি, তারা আজকের সঙ্কট নিয়ে বিবেকহীন মন্তব্য করবে এটাই স্বাভাবিক।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সরকারও বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের জন্য করা আন্দোলনে জনগণের ওপর গুলি চালায়।
আরও পড়ুন: দেশের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বড় অন্তরায়: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, বিশ্ব এখন একটি অপ্রত্যাশিত সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতিগুলোও মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে।
ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট তৈরি হয়েছে। তাই বাংলাদেশও সংকটের মুখে রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ ভুলে যায়নি যে দলটি তার শাসনামলে হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে এবং সেই সঙ্গে তাদের গণবিরোধী নীতি ও জনগণের তহবিল লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সংকট কাটাতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান কাদের। শেখ হাসিনার গৃহীত সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে ধৈর্য ও দায়িত্বশীল আচরণের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এই সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি সাম্প্রদায়িক দল এবং পাকিস্তানকে ভালোবাসে: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির সময়ে ভারত সফরের প্রাপ্তি কী, আয়নায় দেখতে বললেন ওবায়দুল কাদের
সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে: হানিফ
আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধানের আলোকে বর্তমান সরকারের অধীনেই হবে।
রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে স্থানীয় সরকারি হাজী আব্দুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো সুযোগ নেই। তবে নির্বাচনকে আরও গ্রহণযোগ্য করতে সংবিধানের আলোকে কোনো পরামর্শ দিলে সরকার ও নির্বাচন কমিশন অবশ্যই বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন: জনগণ যতদিন চাইবে ততদিন আ.লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকবে: হানিফ
তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অল অ্যাটাক আন্দোলন ঘোষণার সমালোচনা করে বলেন, বিএনপির নেতারা ১০ ডিসেম্বরের স্বপ্ন দেখছেন। তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, আওয়ামীলীগ কোনো ভুঁইফোড় সংগঠন নয়। জাতির পিতার হাতে গড়া দল। ৭৩ বছরের আওয়ামীলীগের শিকড় বাংলার মাটির অনেক গভীরে। সুতরাং সরকার পতনের এসব হুংকার দিলে লাভ নেই। বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোর শক্তি বিএনপি বা কারও নেই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব উল আলম হানিফ আরও বলেন, আওয়ামীলীগের মূল শক্তি ক্ষমতা নয়, আওয়ামীলীগের মূল শক্তি হচ্ছে জনগণ। এজন্য আওয়ামী লীগের মাধ্যমে এ দেশের পরিবর্তন এসেছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে দরিদ্র দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করছে। দেশের সব উন্নয়নের সঙ্গে আওয়ামীলীগ জড়িত। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে আগামী ২০৩১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে উন্নীত হবে। বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে উন্নীত করতে হলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হবে। তাই সংগঠনকে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে।
অথচ বিগত ১৩ বছরে বারবার আন্দোলন সংগ্রামের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টা করেছে বিএনপি-জামায়াত। সবকিছু মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলনের দোহাই দিয়ে দেশে সন্ত্রাস, সহিংসতা, নাশকতা করে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী এমপি।
আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক হাজী মো. সফিউল্লাহ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল-মাহমুদ স্বপন এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করুন: হানিফ
আগামী নির্বাচনও আ.লীগ সরকারের অধীনে বিএনপির অংশগ্রহণে হবে: হানিফ
বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা খুলনা রেলস্টেশনে হামলা চালিয়েছে: আ.লীগ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।
শনিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এক বার্তায় বলেছে, ‘রেলওয়ে আমাদের জাতীয় সম্পদ। এটা রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: জনগণ যতদিন চাইবে ততদিন আ.লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকবে: হানিফ
শনিবার দুপুর ১টার দিকে খুলনায় বিভাগীয় সমাবেশ শুরু করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)।
এদিকে ক্ষমতাসীন দল বলছে, বিএনপি-জামায়াতের ‘সন্ত্রাসী বাহিনী’ রেলস্টেশনে হামলা চালিয়েছে এবং বিএনপি রাজনৈতিক সমাবেশের নামে সন্ত্রাসের পথে হাঁটছে। ‘তাদের ভাষা ও কার্যকলাপ রাজনীতির সঙ্গে যায় না।’
খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের বরাত দিয়ে আ.লীগ জানায়, নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
একপর্যায়ে তারা স্টেশনের কাচ ভেঙ্গে ফেলে জানিয়ে আওয়ামী লীগ জানায়, পুলিশকে খবর দিলে তারা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
আওয়ামী লীগের দলীয় ওই ফেসবুক পোস্টে হামলার ছবিও প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: পকেটমার সন্দেহে যুবককে গণপিটুনি দিল আ.লীগ নেতা
হলে আসন নিয়ে বাণিজ্য আ.লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি কাদেরের
'বিএনপির ডিসেম্বরের স্বপ্ন, রঙিন স্বপ্নই থেকে যাবে'
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ডিসেম্বর মাস আওয়ামী লীগের মাস, বিজয়ের মাস এবং যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তাদেরও মাস।
তিনি বলন, ‘বিএনপি এই চেতনার সঙ্গে যায় না এবং ডিসেম্বরে তাদের রাজপথের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার স্বপ্নটি একটি রঙিন স্বপ্নই থেকে যাবে।’
শুক্রবার(২১অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ‘দ্য মাইন্ড বিহাইন্ড দ্য মিরাকল: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন’ অনুষ্ঠানে ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, ক্ষমতাসীন দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জমির, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ।