আওয়ামী-লীগ
উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আ.লীগকে ভোট দিবে জনগণ: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে নিশ্চয়ই ভোট দিবে জনগণ।
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দেশের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিবে। এবং যদি তারা তা না চায় তাহলে কিছু করার নেই। এটি তাদের ওপর নির্ভর করছে।’
আরও পড়ুন : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা বিশ্বব্যাংকের
বুধবার বিকালে সরকারি বাসভবন গণভবনে সম্প্রতি ভারত সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ চায় তার দল আওয়ামী লীগ, সেহেতু পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনে দোষের কিছু নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সকলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। যদি কেউ অংশগ্রহণ না করে তাহলে তার দায় সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের। কিন্তু আমরা সংবিধানের ধারা লঙ্ঘন করতে পারি না। সংবিধান অনুযায়ী, গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে: দোরাইস্বামী
আল্লাহ হয়তো আমাকে সাহায্য করছেন: হামলায় বেঁচে যাওয়া প্রসঙ্গে এএনআইকে শেখ হাসিনা
১৩ বছরে একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট করেনি: কৃষিমন্ত্রী
১৩ বছরে একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট করেনি বলে দাবি করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেছেন, বিএনপির সময় মানুষ না খেয়ে মারা যেতো, আর এখন সবাই পেট ভরে ভাত খেতে পারে।
বুধবার ধামরাই হার্ডিঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে উত্তরবঙ্গে প্রতিবছর আশ্বিন-কার্তিক মাসে বেশিরভাগ মানুষের ঘরে খাবার থাকত না, মঙ্গা হতো, দুর্ভিক্ষ হতো, মানুষ না খেয়ে মারাও যেতো।
আরও পড়ুন: জিয়া দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল: কৃষিমন্ত্রী
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার মঙ্গাকে চিরতরে দূর করেছে। গত ১৩ বছরে একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট করেনি। আজকে সবাই পেট ভরে ভাত খেতে পারে।
বিএনপি খাদ্যের ঝুলি নিয়ে সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে দেশে খাদ্যের চরম ঘাটতি ছিল। ভিক্ষার মনোবৃত্তি নিয়ে তারা দেশ পরিচালনা করেছিল। খাদ্যের ঝুলি নিয়ে তারা সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে পাঁচ বছরে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেন। বিএনপির সময় যেখানে ৪০ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি ছিল, সেখানে তিনি ২৬ লাখ টন খাদ্য উদ্বৃত্ত করেন। ২০০১-০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থেকে পাঁচ বছরে দেশকে আবার ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করে।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুণরায় ক্ষমতায় এসে সারের দাম কমানো, ভর্তুকিমূল্যে সার সরবরাহের ব্যবস্থা, কৃষিতে উন্নয়ন সহায়তা প্রদান, ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ, কৃষি প্রণোদনা প্রদানসহ বিভিন্ন কৃষকবান্ধব নীতি গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে আবার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেন।
আরও পড়ুন: ৫০ লাখ মানুষকে ১৫ টাকা কেজিতে চাল দিচ্ছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
বোরোতে ডিজেলে ভর্তুকি দেয়ার বিবেচনা করছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
সৈয়দা সাজেদার দাফন সম্পন্ন
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদীয় উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে দ্বিতীয় জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে বনানীর কবরস্থানে দাফন করা হয়। কবরে শায়িত করার আগে পুলিশ বাহিনী তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে সকাল ১১টায় ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার এমএন একাডেমি স্কুলে তার প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ জানাযায় অংশ নেয়।
পড়ুন: আ.লীগ নেত্রী সাজেদা চৌধুরী মারা গেছেন
জানাযা ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাজেদা চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা মরদেহ নিয়ে ঢাকায় পৌঁছান দুপুর ১২টার দিকে। এরপর তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ২টা ৪০ মিনিট থেকে ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয়।
দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতির পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সালাউদ্দিন ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কিবরিয়া আহমাদ সাজেদা চৌধুরীর কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আওয়মী লীগের পক্ষ থেকে দলের সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সেক্রেটারি লেখক ভট্টাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ডা. শরীফু্দ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ড. মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে এফবিসিসিআই সভাপতির শোক
সাজেদা চৌধুরির মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাজেদা দলের দুর্যোগপূর্ণ সময়ে সাহসী নেতার ভূমিকা রেখেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিবার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহচর ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিশাল অধ্যায়ের সূচনা করেছেন।’
ফরিদপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাজেদা চৌধুরী রবিবার রাতে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৮৭ বছর বয়সে মারা যান।
কোভিড-১৯ জটিলতায় দুই সপ্তাহ আগে সংসদ উপনেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাজেদার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনও তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
১৯৩৫ সালে জন্মগ্রহণকারী সাজেদা ২০১৯ সালে টানা তৃতীয় মেয়াদে সংসদের উপনেতা হন। তিনি ভাষা আন্দোলনের একজন সম্মুখ সারির নেতা এবং দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
২০১০ সালে স্বাধীনতা পদক পান।
আরও পড়ুন: সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
আর কখনও নির্দলীয় সরকার হবে না: তোফায়েল আহমেদ
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে আর কখনও নির্দলীয় সরকার হবে না। কারও কথায় নির্বাচন কমিশনও বাতিল করা হবে না। কারণ নির্বাচন কমিশন হয়েছে একটা নিয়মের মধ্যদিয়ে। সার্চ কমিটি বাছাই করে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বিএনপির ধন্যবাদ দেয়া উচিত। অন্তত বিবৃতি দিয়ে দলটিকে টিকিয়ে রেখেছেন। বিবৃতির জন্য যদি নোবেল প্রাইজ দিতে হয়, তাহলে ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেই দিতে হবে।
সোমবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো ইসিই বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না: বিএনপি
তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন,আগামী নির্বাচনের আর মাত্র এক বছর কয়েক মাস বাকী আছে। এই এক বছরকে নির্বাচনের বছর হিসেবে চিহ্নিত করে আগামী নির্বাচনের জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হতে হবে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে আওয়ামী লীগের দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। এক সঙ্গে থেকে দলকে সু সংগঠিত করতে হবে। আওয়ামী লীগের জীবন হলো সংগঠন। আওয়ামী লীগের জীবন হলো কর্মী বাহিনী।
তিনি বলেন, বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অনেক অত্যাচার করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের একটানা ১৪ বছরের শাসনামলে বিএনপির নেতাকর্মীরা শান্তিতে আছে।
তিনি আরও বলেন, ভোলায় প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক গ্যাস রয়েছে। ভোলা-বরিশাল সেতু হলে এই প্রাকৃতিক গ্যাস নিয়ে জাতীয় গ্যাসের সংকট দূর করা সম্ভব হবে। ভোলার গ্যাস দিয়ে অনেক শিল্প-কারখানা হবে।
আরও পড়ুন: বিরোধী পক্ষকে দমন ও পীড়নের রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না: ওবায়দুল কাদের
এ সময় সভায় জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের অনেক বড় নেতা ছিলেন। আওয়ামী লীগের জন্য তার অনেক অবদান রয়েছে। আমরা চিরদিন শ্রদ্ধাভরে তাকে স্মরণ করবো।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলজারের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আবদুল মমিন টুলু, সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুসসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ১৭
ভারতের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিন বছর পর প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গেলেও দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাদের এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশকে পাশে চেয়েছেন। এছাড়া তিস্তা নদীর পানি চুক্তি নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ইতিবাচক সাড়া রয়েছে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুরে দু’দিনের সফরে এসে নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ বাসভবনে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: তেলের দাম বাড়ার পর পদত্যাগ করতে চেয়েছিলাম: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়েছেন ভারতের ব্যবসায়ীরা। তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলে বিনিয়োগের জন্য নানা দাবি উত্থাপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সেই দাবিগুলো শুনেছেন। তারা বাংলাদেশে জ্বালানি, ট্রান্সপোর্ট ও এগ্রো প্রসেসিং কার্যক্রমে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়েছেন।
এছাড়া আদানী গ্রুপ সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে।
টিপু মুনশি আরও বলেন, বিশ্ব বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমেছে, কিন্তু দেশে ডলারের দাম বেড়েছে। ডলারের দামের সঙ্গে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। এতে করে দুই মাসের মধ্যে আরও এক ধাপ সয়াবিন তেলের দাম কমবে বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া থেকে খাবার, চাল আমদানি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে করে দেশে নিত্য পণ্যের দাম কমে আসবে।
এছাড়া টিসিবি’র মাধ্যমে এক কোটি অস্বচ্ছল পরিবারকে সাশ্রয়ী দামে খাদ্য সামগ্রী বিক্রির মাধ্যমে দেশের পাঁচ কোটি মানুষ এর সুবিধা পাচ্ছে। খোলা বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হচ্ছে। দেশের মানুষের যেন কষ্ট না হয়, সেদিকে সরকারের লক্ষ্য রয়েছে।
এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি, মাহিগঞ্জ দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ টিটুসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল হতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
কমতে পারে ভোজ্যতেলের দাম: বাণিজ্যমন্ত্রী
খুচরা বিক্রেতারা চালের দাম বাড়িয়ে আঙ্গুল তুলে মিল মালিকদের দিকে: খাদ্যমন্ত্রী
সরকার ও মিল মালিকেরা পরিপূরক, প্রতিপক্ষ নয় বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেছেন, মিল মালিকেরা কখন, কোথায় এবং কতটুকু চাল বিক্রি করেন তারা (মিল মালিক) ছাড়া কেউ জানেনা। খুচরা বিক্রেতারা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়ে সোজা আঙ্গুল তুলে মিল মালিকদের দিকে। তখন মিল মালিকরা চুপ করে থাকেন, কোন প্রতিবাদ করেন না। এর ফলে সবার মধ্যে ধারণা কাজ করে যে মিল মালিকরা দাম বাড়াচ্ছে।
শনিবার দুপুরে ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে বাংলাদেশ অটো মেজর এ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ওএমএস কর্মসূচি চালু হওয়ায় বাজারে চালের দাম কমবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ওয়েবসাইটে মিলগেটে বিক্রিত চালের দাম দেয়া থাকলে খুচরা বিক্রেতা মিথ্যা অজুহাত দিয়ে চালের দাম বেশি নিতে পারবে না।
এসময় তেলের দাম বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে কেজি প্রতি ৫/৬ টাকা চালের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করেন।
চুক্তি করেও যারা সরকারি গুদামে চাল সরবারহ করতে পারেনি তারা যদি যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেন তাহলে বিবেচনা করা হবে।
তবে চাল প্রকিউরমেন্টে সরকারকে সহায়তাকারী আর অসহায়তাকারী মিল মালিককে সমানভাবে পরিমাপ করা হবে না বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
সরকারি ধান চাল সংগ্রহে কম মূল্য দেয়া হয় এমন এক বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ১১ টি মন্ত্রণালয়সহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দাম নির্ধারণ হয় এবং সেটা যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে করা হয়।
বোরো সংগ্রহে ধান চালের দাম সঠিক ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সে কারণে কৃষক নায্যমূল্য পেয়েছে প্রকিউরমেন্ট ও শতভাগের বেশি হয়েছে। আমন সংগ্রহ সময়ে ডিজেল, সার ও বিদ্যুতের দাম বিবেচনা করে মূল্য নির্ধারণ করা হবে।
সংগঠনের সভাপতি মো. আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন।
আরও পড়ুন: দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
যতদিন প্রয়োজন ততদিন ওএমএসে চাল-আটা বিক্রি: খাদ্যমন্ত্রী
ছাত্রলীগে অনিয়ম: নাহিয়ান-লেখকের বিরুদ্ধে আ.লীগের উচ্চপর্যায়ে একাংশের অভিযোগ
ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির তিনভাগের একভাগের অধিক নেতা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের একাধিক নেতা বলেন, তারা অভিযোগপত্র নিয়ে আজ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু তারা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সাক্ষাৎ পাননি।
আরও পড়ুন:ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর চবির হলে তল্লাশি
তারা বলছে, আওয়ামী লীগের নেতারা তাদের সঙ্গে কথা বলে নাহিয়ান ও লেখকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। তারপরও তারা অভিযোগপত্র দলের শীর্ষ পর্যায়ে পাঠানোর চেষ্টা করবেন।
অভিযোগপত্রের একটি অনুলিপি ইউএনবি’র হাতে এসেছে, অভিযোগে বলা হয়েছে নাহিয়ান ও লেখক সম্প্রতি গঠন করা কমিটির প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। পাশাপাশি তারা শিবির ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কর্মী, মাদকসেবী ও মাদক কারবারিদের কমিটির শীর্ষ পদে পদায়ন করেছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, লেখক সিলেটে পাথর ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং একচেটিয়াভাবে ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন। এমনকি ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতা হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লেখক তার ভাই অভিনব ভট্টাচার্যের নামে ইলিশের ব্যবসার জন্য লাইসেন্স সংগ্রহ করেছেন।
চিঠিতে অভিযোগ করে বলা হয়, আল নাহিয়ান ও লেখক অপকর্মে লিপ্ত কিছু নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে নিয়মিত তাদের সহযোগিতা করে আসছেন।
আরও পড়ুন:খাবার উৎপাদনে ছাত্রলীগকে আরও কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ছাত্রলীগ-বিএনপি সংঘর্ষ এড়াতে রামগড়ে ১৪৪ ধারা জারি
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ: তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্যসহ বিনাশুল্কে পণ্য রপ্তানির করার সুযোগ, যেটির জন্য বহু বছর ধরে বাংলাদেশ চেষ্টা করে এসেছে।
আরও পড়ুন: মাজহারুল আনোয়ার তার কাজের মাঝে যুগ যুগ বেঁচে থাকবেন: তথ্যমন্ত্রী
শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে বন্দরনগরীতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) আয়েজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণকালে দেয়া বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'অথচ এই ভারত সফর নিয়ে বিএনপি নানা ধরনের কথা বলেছে, এখন নিশ্চয় চুপসে গেছে।’
কিন্তু এরপরও আজকালের মধ্যে তারা আরও কিছু একটা বলবে' উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, সফল ভারত সফর করে বাংলাদেশের জন্য অনেক কিছু নিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাই।
তিনি বলেন, 'ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ন্যায্যতার ভিত্তিতে। আমাদের সরকারই ভারতের কাছ থেকে সমস্ত কিছু আদায় করেছে। ১৯৭৪ সালে ছিটমহল চুক্তি হয়েছে। সেই ছিটমহল আমাদের অধিকারে চার দশকে কেউ আনতে পারেনি। তারা কোন দেশের নাগরিক সেটা বলতে পারতো না। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ছিটমহলগুলো আমাদের অধিকারে এনেছেন। সম্পর্ক যে ন্যায্যতা ভিত্তিক তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হচ্ছে, আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের সঙ্গে মামলা করে সমুদ্রসীমা জয়লাভ করেছি।'
আরও পড়ুন: ২ মাসের মধ্যে চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ গঠিত হবে:তথ্যমন্ত্রী
ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সেটি আরও নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করেন তিনি।
সারাদেশে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের একটি আশা-ভরসার স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, একজন সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারকে এককালীন তিন লাখ টাকা দেয়া হয়। একজন সাংবাদিক অসুস্থ হলে তাকে পঞ্চাশ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা অনুদান দেয়া হচ্ছে।
করোনাকালে ভারত পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা নেপালসহ এই উপমহাদেশের কোনো দেশে সাংবাদিকদের করোনা সহায়তা দেয়া হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সরকার করোনাকালীন সহায়তা হিসেবে চার হাজার সাংবাদিককে সহায়তা দিয়েছে, এখনও চলমান আছে।'
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণের ক্ষেত্রে আমরা কখনো কে কোন দল বা মতের সেটি দেখি না। আমি দল করি, আমি দলীয় সরকারের মন্ত্রী, কিন্তু যখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছি তখন সবাইকে দুই চোখে সমভাবে দেখার চেষ্টা করি, রাষ্ট্রের সাহায্য যেন সবাই পায়।
আরও পড়ুন: সব দেশেই সেন্সর বোর্ড আছে, বাংলাদেশেও থাকবে:তথ্যমন্ত্রী
যারা প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে পারলে কালকেই সরকার নামিয়ে দেয়, আমাদের বিরুদ্ধে গলা ফাটায়, তাদেরকেও আমরা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহায়তা করেছি। কিন্তু মাঝে মধ্যে বিশ্ব পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা হয়।
কিছু কিছু সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিশ্বপরিস্থিতিকে আড়াল করে দেশের পরিস্থিতিটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়, এটি নতুন কিছু নয়। পদ্মাসেতু যখন আমরা নির্মাণ শুরু করি তখনও বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে।'
এসময় তথ্যমন্ত্রী চট্টগ্রামের ৩৬ জন সাংবাদিকের হাতে ৩৪ লাখ টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন।
সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার।
আরও পড়ুন: বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে আ.লীগ প্রতিহত করবে: তথ্যমন্ত্রী
দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের সর্বত্র উন্নয়ন হয়েছে। তাই আগামী নির্বাচনে আবারও দেশের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আরও পড়ুন: ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করে তুলতে সরকার কাজ করছে: খাদ্যমন্ত্রী
শুক্রবার দুপুরে নওগাঁর নিয়ামতপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আর কখনো তত্বাবাধয়ক সরকার আসবে না। আগামী নির্বাচন ইভিএম না ব্যালেটে হবে তা ঠিক করবে নির্বাচন কমিশনার। এছাড়া আগামী নির্বাচনে আবারও দেশের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বিএনপি দেশে আগুন সন্ত্রাস আর জ্বালাও পোড়াও করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছিলো। তারা আবারও আন্দোলনের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শরীরে শেষ বিন্দু পরিমাণ রক্ত থাকতে তাদের এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
আরও পড়ুন: যতদিন প্রয়োজন ততদিন ওএমএসে চাল-আটা বিক্রি: খাদ্যমন্ত্রী
এসময় তারেক জিয়াকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ আর ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে দিবে না। সাহস থাকলে দেশে এসে রাজনীতি করেন’।
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড আরও শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করার আহবান জানান মন্ত্রী।
সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান জুয়েল, নওগাঁ জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক সুমন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিল্পব বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ৩৫ লাখ মেট্টিক টন খাদ্য মজুদের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
জনগণ বিএনপির সহিংসতা রুখে দিবে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শুক্রবার সতর্ক করে বলেছেন, যদি বিএনপি আন্দোলনের নামে সহিংসতা চালায় তাহলে জনগণ তা রুখে দিবে।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘সবুজ বাংলাদেশ:সমৃদ্ধ দেশ’-শিরোনামে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক কমিটি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও কাউকে হামলা করে না। যদি আক্রান্ত হয়, তাহলে প্রতিরোধ করবে।
তিনি বলেন বিএনপি ভালো করেই জানে ব্যালটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পরাজিত করা যাবে না। তাই তারা নানাভাবে আগামী নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন।
পড়ুন: নেত্রকোণায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ১৭
কাদের বলেন, সন্ত্রাসের মামলায় ধরলে পুলিশকে দোষ দেয়া যায় না।
তিনি বলেন, বিএনপি কর্মীরা অপরাধী হলে তাদের আইনের আওতায় আনলে এত আপত্তি কেন?
বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুর রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহারিয়ার আলম, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল ইসলাম নওফেল এবং বন ও পরিবেশ কমিটির সদস্য দেলোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো ইসিই বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না: বিএনপি
বিরোধী পক্ষকে দমন ও পীড়নের রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না: ওবায়দুল কাদের