আওয়ামী-লীগ
আবার স্বাধীনতাবিরোধী রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েমের চেষ্টা চলছে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আবার একটি দুর্নীতিবাজ, স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েমের চেষ্টা চলছে।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে খুলনা জেলা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিপর্যস্ত-বিপন্ন বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের রোল মডেল তখন আবার দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
এছাড়া একবার আল জাজিরা কাহিনী শুরু করা হয়েছিল। এখন আবার আয়না ঘর দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে যাদের গণ্য করা হয় সে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ সময় ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনাকে সব ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত রাখতে হবে। কারণ শেখ হাসিনা না থাকলে সমৃদ্ধ, আধুনিক ও মুক্তিযুদ্ধের এ বাংলাদেশ থাকবে না, যোগ করেন শ ম রেজাউল করিম।
আরও পড়ুন: জীবাণু সংক্রমণে সাফারি পার্কে প্রাণীর মৃত্যু ঘটছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সাংগঠনিকভাবে যে ভূমিকা রাখার কথা ছিল সে ভূমিকা আমরা রাখতে পারিনি। শেখ হাসিনা বেঁচে না থাকলে আওয়ামী লীগ আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারত না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতো না, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দাম্ভিকতা চূর্ণ হতো না, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের বিচার হতো না, লাল-সবুজের পতাকাকে শ্রদ্ধা জানানো হতো না, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ফিরিয়ে আনা হতো না। শেখ হাসিনা ফিরে না আসলে বাংলাদেশ নাম থাকলেও এ দেশ পূর্ব পাকিস্তানের চেয়ে কট্টর সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হওয়ার শঙ্কা ছিল।
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনা হঠাৎ করে ঘটেনি। এটি ছিল পরিকল্পিত একটি হত্যাকাণ্ড। বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িতদের আমরা বিচারের মুখোমুখি করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনা জানার পর যারা প্রতিরোধের দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অথবা রাজনৈতিক নেতৃত্ব তারা দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বেনিফিশিয়ারি যারা ছিল, হত্যার ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও ঘটনায় তারা যে যুক্ত ছিল, সেটা আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার যে খণ্ডিত বিচার হয়েছে, এ খণ্ডিত বিচার থেকে আত্মতুষ্টির কারণ নেই।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান 'গো অ্যাহেড' বলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার মাত্র নয় দিনের মাথায় তিনি হয়ে সেনা প্রধান হয়েছিলেন। তিনি যে নাটের গুরু, তিনি যে মাস্টারমাইন্ড, তিনি যে ষড়যন্ত্রকারী সে সময় সেটা আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার তদন্তে গঠিত আন্তর্জাতিক কমিশনকে বাংলাদেশে আসতে দেয়নি জিয়া। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যাবে না এ আইন করেছে জিয়াউর রহমান। বাঙালি জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে, খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা, প্রতিষ্ঠা ও পুনর্বাসনে এবং মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ধ্বংস করে দেয়ায় সবচেয়ে বড় কাজ করেছে জিয়াউর রহমান। তাকে সহায়তা করেছিল দেশি-বিদেশি চক্র।
খুলনা জেলা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা এর সাধারণ সম্পাদক সাজু রহমানের সঞ্চালনায় ও সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনের নির্বাহী সম্পাদক ও খুলনা বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি রাহুল রাহা, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, বৃহত্তর খুলনা সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, সাবেক সহসভাপতি আজমল হক হেলাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ প্রমুখ। খুলনা জেলা সাংবাদিক ফোরামের সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের স্বরূপ তুলে ধরতে হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ রপ্তানির পরিকল্পনা নেই: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আ.লীগ ভীত নয়: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আওয়ামী লীগ ভীত নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, গত সাত দশক থেকে বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা জনগণের পাশে রয়েছেন,কাজেই বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আওয়ামী লীগ ভীত নয়।
মঙ্গলবার সকালে তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার নাকি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করছে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন ‘সরকার কেন নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে, সরকার চায় জনগণের স্বস্তি ও স্থিতিশীলতা।’
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নিজেরা নিজেদের মিছিলে মারামারি করছে, পুলিশের ওপর হামলা করছে, আর দোষ দিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনকে।’
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও মানুষকে শান্তি ও স্বস্তি দেয়নি, এখনও দিচ্ছে না উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন,‘বিএনপির দুঃশাসনের ভয়াবহতা এখনও দেশ ও জাতি ভুলে যায়নি।’
স্বাধীনতা বিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আবারও দেশে নৈরাজ্য তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে, তাদের কথিত আন্দোলনে জনসমর্থন না থাকায় তারা সন্ত্রাস নির্ভর হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এসময় জনগণের সম্পদ ও স্বস্তি নিশ্চিতে বিএনপিকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের পথ পরিহারের আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে।
কথা দিয়ে কথা না রাখা বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যা বলেন, করেন তার বিপরীত। নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ভোটধিকার নিয়ে কথা বলেন অথচ এর সবকয়টি তাদের হাতে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির দ্বিচারিতা দেশের জনগণের কাছে স্পষ্ট।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও জনমুখী রাজনীতি বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে এমনটা মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘তাই বিএনপি অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতা দখলের পায়তারা করছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে স্পষ্ট করে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি কাকে বলে তা অতীতে প্রমাণ করতে পারেনি, আমরা রাজনৈতিক ভাবে সকল কর্মসূচি মোকাবিলা করব।’
তিনি বলেন, ‘কর্মসূচিতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকার তা কঠোর ভাবে দমন করবে।’
বিএনপির আন্দোলন মানে সহিংসতা, জনগণের সম্পদে আগুন দেওয়া, তাই তাদের কোন অপকর্ম আওয়ামী লীগ বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না বলে হুঁশিয়ার করে দেন ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন:ভারত নিয়ে মোমেনের বক্তব্যের সঙ্গে আ.লীগের কোনো যোগসূত্র নেই: ওবায়দুল কাদের
জ্বালানি তেলের দাম কমানো প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এতদিন অন্ধ সমালোচনা করেছে এখন তাদের মুখ বন্ধ কেন?’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব পরিস্থিতির চাপে যখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয় তখনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে পরিস্কার ভাবে বলেছিলেন, এই মূল্যবৃদ্ধি সাময়িক; সময় হলে মূল্যবৃদ্ধি সমন্বয় করা হবে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার জনগণের দুঃখ দুর্দশা বোঝেন বলেই বঙ্গবন্ধু কন্যা তেলের দাম কমিয়ে নজির সৃষ্টি করেছে।’
আরও পড়ুন:যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
পদ্মা সেতু হচ্ছে বাঙালি জাতিকে অপমান করার প্রতিশোধ: ওবায়দুল কাদের
জিয়া দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল: কৃষিমন্ত্রী
জিয়া এ দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে সমাজের সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিল এবং দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল বলে উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সোমবার বিকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে সেচ ভবন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জাতিকে বিভক্ত করে গিয়েছেন। সে না থাকলে এটি কখনোই সম্ভব হতো না। এছাড়া জিয়া ছিলেন ক্ষমতালোভী। তার কোন আদর্শ ছিল না। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেও তার চিন্তা-চেতনার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ প্রবেশ করে নি।
তিনি বলেন, তিনি আরও বলেন, দেশকে ধ্বংস করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি জামায়াত, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও কিছু বুদ্ধিজীবী সারা দিন কামনা করছে দেশ যেন দেউলিয়া হয়ে যায়। দেউলিয়া হলে অরাজকতা সৃষ্টি করে তারা আবার ক্ষমতায় আসবে এই তাদের কামনা। কিন্তু তাদের এ স্বপ্ন পূরণ হবে না।
ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের আহ্বায়ক সেলিম হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মিন্টু খানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সংসদ সদস্য শাহাদারা মান্নান এবং কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
এছাড়া, বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, বিসিএস (কৃষি) এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল ইসলাম, বর্তমান সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সারা দেশ থেকে আগত ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
দেশে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সার মজুদ আছে: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপি সরকারকে সরাতে পারবে না: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপি ষড়যন্ত্রকারীদের দল: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বিএনপি ষড়যন্ত্রকারীদের দল। ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় এসেছে তারা। এখন নির্বাচন আসলে তারা ভয় পায়।
সোমবার বিকালে নিয়ামতপুর উপজেলার ৭ নং শ্রীমন্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি কানাগলি খুঁজতে থাকে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপিকে সমুচিত জবাব দেবে। এছাড়া আগামী নির্বাচনে জনগণ শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় আনবে।
তিনি আরও বলেন, জাতির মুক্তি ও একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম করেছেন। বারবার কারাবরণ করেছেন। কিন্তু এ দেশের কতিপয় ষড়যন্ত্রকারী ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে বঙ্গবন্ধু তাঁর পরিবারের সদস্যসহ নির্মমভাবে নিহত হন। খুনিরা ভেবেছিল, তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধ্বংস করা যাবে। কিন্তু তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন মানুষের মণিকোঠায়।
শ্রীমন্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম বুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব, সহ সভাপতি ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ।
আরও পড়ুন: দেশে খাদ্যের অভাব হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
মদিনা সনদ আমাদের সহিষ্ণুতা শিক্ষা দেয়: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যের অপচয় রোধে সতর্ক হওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
কুষ্টিয়ায় শোক সভায় আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়নে শোক সভা চলাকালে আ.লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার বিকালে গোস্বামী দুর্গাপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা। পুলিশ ও তার সামনেই দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা হামলা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
আগস্ট মাস উপলক্ষে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে পর্যায়ক্রমে শোক সভার কর্মসূচি পালন করে আসছে। সে হিসেবে রবিবার গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়নে শোক সভার নির্ধারিত দিন ছিল।
জানা গেছে, আসরের নামাজের পর গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজনে শংকরদিয়া বাজারের ওপর শোকসভার আয়োজন করা হয়। সভায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা সভায় যোগ দেন। তার সঙ্গে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের সামনেই দু’পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত আওয়ামীলীগ নেতারা বারবার থামানোর চেষ্টা করলেও নেতা-কর্মীরা একে অন্যের ওপর হামলা করতে থাকে। ভাংচুর করা হয় বসার চেয়ার। সংঘর্ষ চলাকালে শোকসভায় আসা লোকজন ভয়ে পালিয়ে যান। প্রায় ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষে দুই পক্ষের কমপক্ষে ২০ জনের বেশি আহত হন। আহতদের মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ঝেন্টুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এছাড়া আহতদের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দবির উদ্দিন জানান, ‘ বিকালে অতিথিরা আসার পর শোক সভা শুরু হয়। আমি দুই হাজার মানুষের জন্য খাবার রান্না করি। বর্তমান চেয়ারম্যান লাল্টুর রহমান শতাধিক লোকজন নিয়ে মিছিল নিয়ে আসেন। তাদের অনেকের কাছে দেশীয় অস্ত্র ছিল। আমরা আগে থেকে বুঝতে পারিনি। তারা এসেই আমার সমর্থক ও সাধারণ নেতাকর্মীর ওপর হামলা করে। কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। আমার কয়েকজন কর্মীর অবস্থা আশংকাজনক।
হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বর্তমান চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা লাল্টু রহমান দাবি করেন তার লোকজনের ওপর দবিরের লোকজন হামলা চালিয়েছে। এতে পাঁচ থেকে ছয়জন আহত হয়েছেন। আমার তিন ভাইয়ের মাথা ফেটে গেছে। নেতাদের সামনেই হামলা করেছে। আমরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছি মাত্র।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘ সভা শুরু হওয়ার পর স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। আমাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে সভা শেষ করা হয়। বিষয়টি আমাদের জন্য বিব্রতকর। এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননুর যায়েদ বলেন, ‘ আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: আ’লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
খুলনায় বিএনপির অফিস ভাঙচুর, নেতাদের বাড়িতে হামলা
নোয়াখালীতে বিএনপির প্রতিবাদ সভার মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
বরিশালে বিএনপির ১২ নেতা-কর্মী আটক
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা
সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা (স্যাংশন) দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
শনিবার দুপুরে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ইনার হুইল ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত ‘পঞ্চম দক্ষিণ এশিয়া সম্মেলন’ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘অনেকেই অনেক কথা বলেন। আমি সব সময় বলে থাকি তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া কিছু বললে তা কেউ বিশ্বাস করে না। জনগণও তাতে আস্থা রাখে না ।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি আমাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছেন। আমাদেরকে কিছু প্রশ্ন আগেই দিয়েছিলেন। তার প্রশ্নের ৭৬ জন গুমসহ অন্যান্য বিষয় আমরা ভিডিও প্রেজেন্টেশন তাকে দেখিয়েছিলাম এবং কোনদিন কী হয়েছে বিস্তারিত বিষয় তার কাছে তুলে ধরেছি। এসব দেখে তিনি কোনো প্রশ্ন আমাদেরকে করেননি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি তারা (বিএনপি) একটা অবস্থার সৃষ্টির জন্য বিভিন্নভাবে রটনা করে যাচ্ছে। যেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই এবং সত্যতা দেখাতে পারেনি। ভিত্তি না থাকার কারণে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শিগগিরই দেশে আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করুন: তথ্যমন্ত্রী
বিদেশের মাটিতে বসে যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়, বিদ্বেষ ছড়ায়, তাদের চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করতে প্রবাসী জনগোষ্ঠী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেনেভায় সফররত তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বদলে গেছে। বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে নিজের এলাকা আর সহজে চেনা যায় না। গ্রাম ও শহরের পার্থক্য প্রায় ঘুচে গেছে। কুঁড়েঘর, মেঠোপথ বা খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। দেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। কিন্তু এ উন্নয়ন যাদের সহ্য হয় না, তাদের অনেকে বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিদ্বেষ ছড়ায়, নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও দেশপ্রেমিক প্রবাসীদের বলবো, এদেরকে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষকে জানান।'
আরও পড়ুন: বেগম জিয়াকে বিদেশে নেয়ার দাবি উদ্দেশ্য প্রণোদিত: তথ্যমন্ত্রী
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মশিউর রহমানের রেস্তোরাঁ কারি হাউজে স্থানীয় বাংলাদেশ কমিউনিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
প্রবাসী আওয়ামী নেতাদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে এবং জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ার আমলে যে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, হাজার হাজার সেনাসদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা ও নির্যাতন করা হয়েছে, সেই সত্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর কাছে তুলে ধরতে হবে। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি-জামাতের হরতাল-অবরোধের নামে যেভাবে পেট্রোলবোমা ছুঁড়ে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেই চিত্র তাদের জানাতে হবে।'
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, খালেদা জিয়া কি তা পারতেন: তথ্যমন্ত্রী
সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল জমাদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খানের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও অংশ নেন কমিউনিটি প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক, পলাশ বড়ুয়া প্রমুখ।
ঐক্যবদ্ধভাবে অপপ্রচারের মোকাবিলা করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঐক্যবদ্ধভাবে অপপ্রচারকারীদের মোকাবিলা করার জন্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার ( ২৬ আগস্ট) বিকালে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি মহল নানাভাবে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত। এর মাধ্যমে তারা সরকারের জনকল্যাণমূলক কাজকে আড়াল করতে চায়। জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তাদের এমন অপপ্রয়াস।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে এই চক্রটিকে মোকাবিলা করুন। তাদের অপপ্রচারের জবাব দিন। জনগণের কাছে গিয়ে তাদের বোঝাতে হবে, যুদ্ধকালীন এই বিরূপ পরিস্থিতিতেও বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আমরা কতটা ভালো আছি। সবিস্তারে তা তুলে ধরতে হবে।’
তিনি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের নাম ছাত্রলীগ। দেশের এমন অনেক অর্জন আছে, যার সাথে ছাত্রলীগ অবশ্যই জড়িত। সেই ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে কাজ করতে হবে। সতর্ক হয়ে কাজ করতে হবে- যাতে আপনাদের কোন বদনাম না হয়।
তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা বেশি বেশি বই পড়ুন। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুকে আরও ভালো করে জানতে বা তার নীতি আদর্শ বুঝতে হলে তার লেখা প্রত্যেকটি বই মনোযোগ দিয়ে পড়তেই হবে।
পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য বিষয়ে মন্তব্যহীন দিল্লি
সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মাত্র সাড়ে ৩ বছর সময় পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এই সময়ে জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিশ্বের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের সদস্য হতে পেরেছিল বাংলাদেশ। মোট ১৭৩টি দেশের স্বীকৃতি অর্জনে সক্ষম হয়েছিল। আর মাত্র ৯ মাসে শাসনতন্ত্র তৈরি হয়েছিল। দ্রুত সময়ে এতসব অর্জন কেবল বঙ্গবন্ধুর কারণেই সম্ভব হয়েছিল।
সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভের সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের পরিচালনায় শোকসভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদ।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আসাদ উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকসহ অন্যান্য নেতারা।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ
ভারতকে দেশে স্থিতিশীলতা বজায়ে সাহায্য করতে বলেছিলাম: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঘাতকরা আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর চেষ্টা করছে: শিক্ষামন্ত্রী
ঘাতকরা আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, আজও তারা আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর জন্য চেষ্টা করছে। একাত্তরের ঘাতক, পঁচাত্তরের ঘাতক, ২০০৪’র গ্রেনেড হামলাকারীরা এবং ২০১৩-২০১৪ এর অগ্নি সন্ত্রাসীরা এক ও অভিন্ন। এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে হবে।’
শুক্রবার দুপুরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পড়ুন: পাঠ্যপুস্তকে ধর্ম নিয়ে কোন কিছু পরিবর্তন হয়নি: শিক্ষামন্ত্রী
দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলার মাটি আর মানুষের সন্তান। অনেক নেতা থাকলেও বঙ্গবন্ধু বাঙালির হাজার বছরের বঞ্চনা, বৈষম্য, নিগ্রহ, শোষিত হওয়া, দারিদ্র্য ও সাম্প্রদায়িকতা দেখেছিলেন। তিনি বৈষম্য, বঞ্চনা ও অর্থনৈতিক মুক্তি চেয়েছিলেন। তিনি বাঙালির মুক্তির প্রাণের তৃষ্ণাকে ধারণ করে আন্দোলন সংগ্রাম করে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা এনে দেন। তিনি বাঙালির প্রাণের আকাঙ্ক্ষা ধরতে পেরেছিলেন। তাই ২৪ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে বাঙালির আর নিজের মুক্তির তৃষ্ণা এক কাতারে এনে ৭ মার্চের ভাষণ দান অতঃপর স্বাধীনতার আন্দোলন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মত আর কেউ বাংলা আর বাঙালিকে ধারণ করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর প্রিয় শব্দ ছিল মুক্তি। বাঙালির হাজার বছরের কাঙ্খিত মুক্তি তিনি এনে দিয়েছিলেন। বাঙালি রাষ্ট্রের বিনির্মাণ, অর্থনৈতিক মুক্তি, সাংস্কৃতিক তথা মুক্তির দূত হয়ে তিনি বাঙালি ও বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছিলেন। শেখ মুজিবের নামে বাংলাদেশ পরিচিতি লাভ করেছে। শেখ মুজিব মানেই বাংলাদেশ। এ জন্য বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ জাতি-রাষ্ট্রের মহানায়ক।
পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসা হচ্ছে। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনছি। শিক্ষাকে আনন্দময় করতে চেষ্টা করছি। শিক্ষা যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় হয় সেই চেষ্টা করছি। এছাড়া শিক্ষা যেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবান্ধব হয় সেই চেষ্টাও করছি।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহানায়ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুজ্জামান বিশ্বাস, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড ও স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম মোস্তফা কামাল খান।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে কলেজ অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী বিব্রত
আ.লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সোহেল তাজ
প্রায় শতাধিক সমর্থক নিয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয় পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে গিয়ে তিনি দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ ঘটনার ফলে পুনরায় তার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার জল্পনা আরও বেড়েছে।
ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোহেল তাজ রাজনীতিতে তার সক্রিয় হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
তিনি এখনও রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, ‘আমার জন্ম একটি রাজনৈতিক পরিবারে। আওয়ামী লীগ আমার রক্তে মিশে আছে। আমি কখনোই রাজনীতির বাইরে ছিলাম না। কিছুদিন ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আজ পার্টি অফিসে এসেছি, আমি এখানে নিয়মিত আসার চেষ্টা করব।’
সোহেল তাজ জানান, তিনি দলের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: ‘হটলাইন কমান্ডো’ নিয়ে আসছেন সোহেল তাজ
তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় আমি যেমন ছিলাম, এখনও তেমনই থাকব।’
সোহেল তাজ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে। তিনি ২০০১ সালের গাজীপুর-৪ আসন থেকে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে একই আসন থেকে আবারও নির্বাচিত হলে পরবর্তীতে শেখ হাসিনা তাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বানান। তবে এর পাঁচ মাস পরে তিনি পদত্যাগ করেন।
২০১২ সালের এপ্রিলে আবারও তিনি এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই সোহেল তাজ সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন।
আরও পড়ুন: সোহেল তাজের অপহৃত ভাগনে উদ্ধার