আওয়ামী-লীগ
বরিশাল বিভাগের তৃণমূলের নেতাদের সাথে আ’লীগের ভার্চুয়াল সভা শনিবার
বরিশাল বিভাগের তৃণমূলের নেতাদের সাথে আওয়ামী লীগের বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের ভার্চুয়াল সভা ১২ মার্চ (শনিবার) সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করবেন।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ। সভায় উপস্থিত থাকবেন বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন সহ বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত জেলা সমূহের আওয়ামী লীগ সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, দলীয় নির্বাচিত নির্বাচিত সংসদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন সমূহের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন সমূহের দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা।
এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা চাচ্ছি সরাসরি তৃণমূলের কথা শোনার জন্য। করোনার কারণে সরাসরি সবাইকে নিয়ে একসাথে বসতে না পারলেও আমরা ভার্চুয়ালি এই সভা করছি। এতে তৃণমূলের নেতৃবৃন্দের কথা আমরা সরাসরি শুনতে পারব এবং প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশনাও আমরা তৃণমূলে পৌঁছে দিতে পারব।
পড়ুন: মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই বিএনপির দায়িত্ব: গয়েশ্বর
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আ.লীগের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আ.লীগের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ থেকে টুঙ্গিপাড়ায় সাত দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ।
বুধবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক সভা শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এসময় শেখ সেলিম বলেন, বর্তমান প্রজন্ম সৌভাগ্যবান, তারা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন দেখছে। এটা আর কখনও আসবে না।
টুঙ্গিপাড়ায় সাত দিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৭ মার্চ সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: ওবায়দুল কাদের
বিকেল ৩টায় আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৮ মার্চ, ছাত্রলীগের উদ্যোগে ১৯ মার্চ, শ্রমিক লীগের উদ্যোগে ২০ মার্চ, কৃষক লীগের উদ্যোগে ২১ মার্চ, যুবলীগের উদ্যোগে ২২ মার্চ, যুব মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২৩ মার্চ, যুব মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২৪ মার্চ এবং মহিলা আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে ২৫ মার্চ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচিপ) উদ্যোগে ১৯ থেকে ২৫ মার্চ সপ্তাহব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির নাম জমা না দিলেও দেশের মানুষের কোনো যায় আসে না: তথ্যমন্ত্রী
এছাড়া ১৭ মার্চ সকালে ঢাকাসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এসময় প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সদস্য আনোয়ার হোসেন ফরাজী, সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু,
মহিলা লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন এবং সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম ক্রিক, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের অর্থ পাচারের অভিযোগ জয়ের
যুবলীগ-ছাত্রলীগের ৬৩ নেতাকর্মীর বিচার শুরু
রেলওয়ের টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালে চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় যুবলীগ ছাত্রলীগের ৬৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন চার্জ গঠন করেন। একই সঙ্গে আগামী ২৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত। এছাড়া চার্জশিটভুক্ত আসামি অমিত মুহুরি মারা যাওয়ায় তাকে বাদ রেখে বাকিদের বিচার শুরুর আদেশ দেয়া হয়েছে। এসময় কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন এজাহারভুক্ত ৫৪ জন আসামি।
চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, সিআরবি এলাকায় চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মামলায় আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। একইসঙ্গে আদালত আগামী ২৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ: আহত ১
তিনি জানান, অভিযুক্ত ৬৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ অর্থবিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, ছাত্রলীগের বহিস্কৃত নেতা সাইফুল আলম লিমন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপুসহ ৫৪ জন আসামি। আগামী ২৫ মে থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি সাবেক যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী, সাইফুল আলম লিমন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুসহ উপস্থিত আসামিদের অভিযোগ পড়ে শোনান। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপিকে মামলার চার্জ গঠনে সহযোগিতা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট কেশব চন্দ্র নাথ, সাব্বির আহমেদ শাকিল ও সাহাব উদ্দিন।
উল্লেখ্য, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ৪৮ লাখ টাকা মূল্যের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২০১৩ সালের ২৪ জুন যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এবং ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীদের মধ্যে চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিতে প্রাণ হারান যুবলীগ কর্মী সাজু পালিত (২৮) ও পথচারী শিশু মোহাম্মদ আরমান (৮)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার এসআই মহিবুর রহমান বাদী হয়ে বাবর-লিমনসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এই মামলায় বাবর-লিমন দুজনই গ্রেপ্তার হন। পরে তারা জামিনে মুক্তি পান।
২০১৫ সালের নভেম্বরের ৬২ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। সে সময় আসামি পক্ষের নারাজী আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ আড়াই বছর পর পিবিআই নতুন করে দুজনকে যুক্ত করে ৬৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক চার্জশির্ট দাখিল করে।
বিএনপি নেতা হত্যায় শিবগঞ্জে আ. লীগনেতাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ার শিবগঞ্জে বিএনপি ও ট্রাক শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। নিহত শহিদুল ইসলামের ভাই আনিছুর রহমান বাদি হয়ে শুক্রবার রাতে থানায় এই মামলা করেন। মামলায় কিচক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, ইয়াকুব আলীসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কিচক বন্দর এলাকা থেকে মামলার জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- শিবগঞ্জের ধোপাকুর এলাকার মৃত দুদু মিয়ার ছেলে তারিকুল (৩৪) এবং বেলাই কেকাড়পাড়া এলাকার মৃত আছব আলীর ছেলে আমিরুল (৪০)।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ছুরিকাঘাতে মাদরাসাছাত্র নিহত
এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি রক্তমাখাসহ তিনটি ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার এসআই ইমরান হোসেন।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হন শহিদুল ইসলাম। তিনি কিচক ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও আন্তঃজেলা ট্রাক সমবায় সমিতি কিচক বন্দর শাখার সেক্রেটারি ছিলেন। সংগঠনের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ খুনের ঘটনা ঘটে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাস জানান, গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় নিরাপত্তা কর্মীর লাশ উদ্ধার
যশোরে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
যশোরের চৌগাছা উপজেলায় এক ইউপি সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ঠান্ডু মিয়া (৪৪) চৌগাছা উপজেলার পাতিবিলা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও উপজেলার পাতিবিলা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
হামলায় আহত হয়েছেন আরও ছয়জন। তারা হলেন- একই গ্রামের মমিনুর রহমান (৪৪), আব্দুল হামিদ (৪৫), ওয়াসিম সরকার (৩২), টিটো (৩২), আবু বকর সিদ্দিক (৪০) ও মকবুল হোসেন (৩৫)।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
আহত মকবুল ও অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা সবাই পাতিবিলা বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে থাকার সময় টিটো, ইব্রাহিম, সেলিম, তোতা ও আশরাফসহ ১০ জন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদের ওপর হামলা চালায়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে ঠান্ডু, মমিনুর ও আব্দুলকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঠান্ডুকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে রেলওয়ে কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলের স্বার্থের বিরুদ্ধে যে সব সদস্য কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘যারা অপকর্মে লিপ্ত এবং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রবিবার সকালে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
এ সময় তিনি নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে উপস্থিত দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের যারা নির্বাচনের সময় সহিংসতায় জড়িত ছিল তাদের চিহ্নিত ও শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগ করে বিএনপি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে: কাদের
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সাধারণ নির্বাচনের আগে সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে দেশের সব উন্নয়ন বিনষ্ট হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন ও আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন খাদে পড়েছে।
বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে কাদের বলেন, জনগণ এ ধরনের অপচেষ্টা নস্যাৎ করবে।
তিনি বলেন, ‘আগামী সাধারণ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিশাল ব্যবধানে জয়ী হবে।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে জুনে: ওবায়দুল কাদের
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান ও এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল প্রমুখ।
দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেট: বিএনপি
সরকারের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপের অভাবে ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কয়েকশ’ গুণ বেড়েছে। তাদের নিজেদের (ক্ষমতাসীন দলের) লোকজনের মার্কেট সিন্ডিকেট এটা করেছে।’
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া হলেও নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী সরকার দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন বৃদ্ধি, অপশাসন, জোরপূর্বক গুম, হত্যা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে মানবসৃষ্ট বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।’
গত ১২ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষকে আরও গরিব করেছে বলেও অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তার মন্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে আওয়ামী লীগ দেশ চালাচ্ছে না। আপনার যখন কিছুই করার নেই তখন দেশ চালায় কে? কোনো অদৃশ্য শক্তি কি দেশ চালাচ্ছে?
আরও পড়ুন: সরকার আবারও গুম, অপহরণে লিপ্ত হচ্ছে: বিএনপি
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্য দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করা ছাড়া আর কিছুই না।
তিনি বলেন, ‘এটা দেশের বেকার, অর্ধাহারী ও অনাহারী মানুষের সঙ্গে মন্ত্রীর নিষ্ঠুর তামাশাও।’
জনগণের সমস্যা মোকাবিলা করতে না পারলে সরকার কেন বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় থাকে সে বিষয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন।
রিজভী বলেন, ‘যোগ্য সরকার যখন মানুষের জন্য কিছু করতে পারে না বা ব্যর্থ হয়, তখন পদত্যাগ করে। এটি গণতান্ত্রিক বিশ্বের একটি নিয়ম। কিন্তু আপনারা (সরকার) অবৈধ সংসদের মাধ্যমে নির্লজ্জভাবে ক্ষমতায় এসেছেন।’
তিনি প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে বিএনপির পাঁচ বছরের শাসনামলে দেশকে ৫০ বছর পিছিয়ে দেয়া মন্তব্যের জন্য নিন্দা করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (জয়) বলেননি যে আওয়ামী লীগ কীভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে...তার মন্তব্য থেকে বোঝা যায় যে তিনি একটি অদ্ভুত প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন। মি. জয় উদ্ভট তথ্য প্রদানের প্রধান শিক্ষক।’
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি সরকারের আরেকটি 'আজ্ঞাবহ' ইসি গঠনে কাজ করছে: বিএনপি
সার্চ কমিটির কার্যক্রম তামাশা ছাড়া আর কিছু না: বিএনপি
আ’লীগের উল্টো বলা বিএনপির ধর্ম: মায়া
আওয়ামী লীগের উল্টো বলা বিএনপির ধর্ম বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যা বলে, বিএনপি সব সময়ই তার উল্টোটা বলে। এটা তাদের ধর্ম, এটা তাদের রাজনীতি।’
শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুরের মতলব উত্তরের মোহনপুরের নিজ বাসায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে: মায়া
সার্চ কমিটিতে বিএনপি নাম না দিলেও নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হবে জানিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বলেছে সার্চ কমিটিতে নাম দেবে না। কে নাম দিল বা দিল না, তার জন্য নির্বাচন বসে থাকবে না। নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ।’
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটিতে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছে। বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষের প্রতিনিধি সেখানে অংশগ্রহণ করেছে। আমার বিশ্বাস, বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা নির্বাচনে আসবে। যতই টালবাহানা করুক না কেন, এটি হচ্ছে তাদের দর কষাকষি বা দাম বাড়ানোর কৌশল।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ মোকাবেলায় সরকার প্রস্তুত: মায়া
বিএনপির নাম জমা না দিলেও দেশের মানুষের কোনো যায় আসে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যে নির্বাচন কমিশন গঠন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, আশেপাশের কোন দেশে এভাবে অংশগ্রহণমূলক ভাবে উদ্যোগ নেয়া হয় নাই। যেখানে ৩০০ মানুষের বেশি নাম জমা পড়েছে। সেখানে বিএনপির ঘরে বসে থাকলেও কোন লাভ নেই। নাম জমা না দিলেও কোনো যায় আসে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর জিলা স্কুল মাঠে নওগাঁ পৌর-আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি সরাসরি নাম জমা না দিয়ে গোপনে অন্যদের মাধ্যমে নাম জমা দিয়েছে এবং তাদের বুদ্ধিজীবীরা সেখানে গিয়েছে। দেশের মানুষ বলছেন তারা যে নামগুলো দিয়েছেন আসলে সেগুলো বিএনপির নাম।
হাছান মাহমুদ বলেন, এমন একটি নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে যার মাধ্যমে দেশে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যে নির্বাচনে জনগণের মতামত প্রতিফলিত হবে। তাই বিএনপিকে অনুরোধ জানাব এই ভাবে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কোন লাভ হবে না। আপনারা সরাসরি নাম না দিয়ে এখন আসামির কাঠগড়ায় দাড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাহায্য বন্ধের চিঠি লেখায় মির্জা ফখরুলের বিচার হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। বিএনপি কখনোই খুশি হবে না। ফেরেশতা বসিয়ে কমিশন গঠন করা হলেও তারা মানবে না।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সমাজের সকল স্তরের মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যখন সবাই গিয়ে সার্চ কমিটির সঙ্গে দেখা করলো, সবাই নাম জমা দিলো; বিএনপি তখন এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত না হয়ে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলনে আমরা আসামির জবানবন্দি শুনেছি। সারা দেশের রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ সার্চ কমিটিতে নাম জমা দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি আজকে আসামির কাঠগড়ায়। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করার প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করার চেষ্টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকে একের পর এক মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে।’
সার্চ কমিটির মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন গঠন হবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সার্চ কমিটিতে নির্বাচন কমিশনের জন্য ৩০০ এর অধিক নাম জমা পড়েছে। যারা সার্চ কমিটিতে আছেন তাঁরা এমন একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন যে কমিশন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। যে নির্বাচন কমিশন আগামীতে নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবেন এবং জনগণের রায়ে আওয়ামী লীগই আবারও ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি কখনই খুশি হবে না। জয়ের নিশ্চিয়তা না দিলে ফেরেশতা বসিয়ে কমিশন গঠন করলেও বিএনপি খুশি হবে না। স্বয়ং আল্লাহ পাক যদি ফেরেশতা পাঠিয়ে কমিশন গঠন করে দেন তখন বিএনপি সেই ফেরেশতাদের সঙ্গে কথা বলবেন, আমরা জয়লাভ করব সেই নিশ্চিয়তা দিতে পারবেন কিনা? যদি ফেরেশতা তারা জয়লাভ করবে সেই নিশ্চিয়তা দিতে পারে তখন কেবল বিএনপি সেই কমিশন মানবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির হুমকি শুনে মানুষ হাস্যরস করে: তথ্যমন্ত্রী
পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বসানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে সম্মেলনে উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সব সময় সুদিন থাকবে সেটি মাথায় রাখবে না। সব সময় একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকবে সেটি মনে করার কোনো সুযোগ নেই। জনগণ যদি আমাদের পক্ষে রায় দেন, আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যারা ক্ষমতার হালুয়া-রুটি নেয়ার জন্য দল করে তাদের নেতৃত্বে আনা যাবে না। যারা পিঠ বাঁচানোর রাজনীতি করে তাদেরকে নেতৃত্বে আনা যাবে না। মূল নেতৃত্বে তাদের হাতেই থাকবে যারা ত্যাগী এবং পরীক্ষিত সৈনিক। যারা জায়গা দখল, যারা মাদকের সাথে যুক্ত, দল ক্ষমতায় গেলে উধ্যত আচরণ করে তাদের নেতৃত্বে আনা সমুচীন নয়। ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়। উধ্যত আচরণ করলে যতই উন্নয়ন করা হোক না কেন মানুষ ভোট দেবে না।’
এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মালেক। সম্মেলনে প্রধন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সদস্য নূরুল ইসলাম, সাংসদ ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, শহীদুজ্জামান সরকার, ছলিম উদ্দিন তরফদার, নিজাম উদ্দিন জলিল, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতায় কর্মীদের স্বস্তি, নেতারা হতাশ: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই সার্চ কমিটি ও সংলাপকে অবজ্ঞা করছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই রাষ্ট্রপতি, সার্চ কমিটি এবং সংলাপকে অবজ্ঞা করছে। তাদের এ আচরণ দেশের গণতন্ত্রের জন্য, দেশের জন্য অত্যন্ত হুমকিস্বরূপ।’
তিনি বলেন, 'আসলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ধ্বংস করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া আর ফেরেশতাও যদি তাদেরকে নির্বাচনে জয়লাভের নিশ্চয়তা না দেয় তার আগ পর্যন্ত তারা নির্বাচন মানবে না -এই তাদের উদ্দেশ্য।' বুধবার সকালে রাজধানীতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল মিলনায়তনে ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২০ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।সার্চ কমিটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বসে তাদের কাছ থেকে নাম নিয়ে একটি অসাধারণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে, যা দেশের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতাটা সার্চ কমিটির হাতে দিয়েছেন। সার্চ কমিটি সেখান থেকে বাছাই করে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন, যেখান থেকে তিনি পাঁচ জনকে নিয়োগ দেবেন। বিএনপি’র ঘরোনা বুদ্ধিজীবীরাও সার্চ কমিটিকে বলেছেন, বিএনপির আসা প্রয়োজন, কিন্তু বিএনপি শুরু থেকেই পুরো প্রক্রিয়াকেই না করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির হুমকি শুনে মানুষ হাস্যরস করে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সার্চ কমিটি যেভাবে কাজ করছে এজন্য তারা সত্যিকার অর্থেই দেশবাসীর ধন্যবাদ পাওয়ার অধিকার রাখে এবং ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা এমনকি কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও এতো অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় না।এর আগে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে ওআইসির সদস্যভূক্ত করেছিলেন। যে কারণে আজকে আমরা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটালের অনুষ্ঠানাদি আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক আগ্রহেই আজ বাংলাদেশ ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশ্বে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। যখন আমাদের যুব ক্রিকেট দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়, আমাদের নারী ক্রিকেট দল এশিয়া কাপ জিতে নেয়, নারী ফুটবল দল ১১ গোলে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয়, এমনকি আমাদের শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদ যখন এশীয় অলিম্পিক থেকে পদক নিয়ে আসে তখন আমরা বিশ্ব সংবাদ হই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রীড়ায় উৎকর্ষ সাধনের যে নানা উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিয়েছেন সেজন্যই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।তারুণ্যই শক্তি, তারুণ্যই সমৃদ্ধি এবং তারুণ্যের শক্তি দিয়ে দেশ ও বিশ্বকে আমরা সমৃদ্ধির সোপানে উন্নীত করবো উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ এসময় ঢাকাকে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল হিসেবে নির্বাচিত করায় ওআইসি ইয়ুথ ফোরামকে এবং প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
সভাশেষে অতিথিরা ওআইসি ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত শিল্প-সংস্কৃতি বিষয়ে ১০টি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
আরও পড়ুন: সাহায্য বন্ধের চিঠি লেখায় মির্জা ফখরুলের বিচার হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী
ইসি গঠনের সার্চ কমিটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ: তথ্যমন্ত্রী