বিএনপি
ছাত্রদলের সভাপতির পদ থেকে শ্রাবণকে অপসারণ, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল
২৯ জুলাই রাজধানীর প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে দায়িত্ব পালনে ‘ব্যর্থতার’ দায়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে সরিয়ে রাশেদ ইকবাল খানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা, ৩ ছাত্রদল নেতা আটক
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাশেদ ইকবাল জাতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
দলের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, ‘২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচিতে শ্রাবণের ভূমিকায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব সন্তুষ্ট নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন ২৯ জুলাই তাকে দেওয়া দায়িত্ব তিনি পালন করতে পারেননি বলেই তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।’
২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাইফ মোহাম্মদ জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ
ঢাবিতে ৫ ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ
সময় ও একাত্তর টিভির টকশোতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভি ও একাত্তর টিভির টকশোতে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি নেতারা।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি মঙ্গলবার ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘টকশোতে অংশ নেওয়া দলীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমরা এই দুটি টিভি চ্যানেলের টকশোতে অংশ নেব না।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ চাপে বিনয়ী হওয়ার ভান করছে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারকে হেয় করতে বিভিন্ন ভিডিও দেখাচ্ছে সময় টিভি। চ্যানেলটি শত্রুর মতো আচরণ করছে, ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে।’
এ্যানি বলেন, ‘একাত্তর টিভির টকশো উপস্থাপকরা নিজেদের মতো ঘটনা বর্ণনা করেন। অনেক সময় তারা চতুরতার সঙ্গে আমাদের দল ও নেতৃত্বকে হেয় করতে অনুষ্ঠান আয়োজন করে।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি বিএনপির
আ.লীগ চাপে বিনয়ী হওয়ার ভান করছে: ফখরুল
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ (আ.লীগ) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে বিনয়ী হওয়ার ভান করছে। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে এবং নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে তারা শিগগিরই তাদের এক দফা আন্দোলনের পরবর্তী কর্মপন্থা ঘোষণা করবেন।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু নির্বাচন সামনে, তারা (আ.লীগ) তাদের রং বদলাচ্ছে এবং ভদ্রলোক হওয়ার ভান করছে... কিন্তু তাদের একমাত্র লক্ষ্য যে কোনো উপায়ে, এমনকি ক্ষমতা ব্যবহার করেও নির্বাচনকে নিজেদের পক্ষে আনা। তারা এই লক্ষ্যে একটি নীলনকশা তৈরি করছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ভারতের কথায় মাথা ঘামানোর দরকার নেই: মির্জা ফখরুল
ফখরুল অভিযোগ করেন, বিএনপি যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা করছে।
তিনি বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে নির্বাচনের সময় যাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা না যায় এবং বিরোধী দলকে দল হিসেবে অধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত করা যায় সেজন্য সরকার কাজ করছে। ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো তারা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনার পথ তৈরি করছে।’
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীদের সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের আহ্বান ফখরুলের
বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বিরোধীদলীয় নেতাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করায় হাইকোর্টের বিচারপতিরাও এখন অসহায় হয়ে পড়েছে।
ফখরুল বলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর তাকে আবারও জেলগেটে আটক করে নতুন মামলায় জড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটা সবার ক্ষেত্রেই ঘটে। আমাদের রাজশাহীর নেতা মিলন জামিন পেলেও নতুন মামলায় তাকে আবারও জেলগেটে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা কি ধরনের রাষ্ট্র? এ কেমন প্রশাসন ও শাসনব্যবস্থা এখানে? যেখানে শুধুমাত্র বিরোধী দলের রাজনীতিতে জড়িত থাকার অপরাধে মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে এবং গ্রেপ্তার করে জেলে রাখা হচ্ছে... হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েও তারা মুক্তি পাচ্ছেন না।’
বিএনপির এই নেতা আক্ষেপ করে বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের কিছু বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক সরকারের এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দিয়ে চলেছেন। ‘তারা কীভাবে এই কার্যকলাপগুলোকে সমর্থন দিতে পারে? এটা দিনে দিনে স্পষ্ট এবং সত্য যে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী দল। তারা সাধারণ মানুষের অধিকার পুরোপুরি কেড়ে নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি বিএনপির
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি বিএনপির
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে (ডিএসএ) গণতন্ত্র ও জনগণের স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে জঘন্য কালো আইন আখ্যা দিয়ে আইনটি পরিবর্তন না করে সম্পূর্ণ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট দিয়ে ডিএসএ পরিবর্তন করার সরকারের পদক্ষেপ জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। কারণ আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পূর্ণ বাতিলের পক্ষে।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার দেশব্যাপী বিএনপির সমাবেশ
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই আইনটি কোনোভাবেই বহাল থাকা উচিত নয়। কারণ এটি গণতন্ত্র ও জনগণের স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে জঘন্যতম কালো আইন।
বিএনপি নেতা বলেন, ডিএসএ প্রত্যাহার তাদের অন্যতম দাবি। যার জন্য তারা সরকারবিরোধী আন্দোলন করছে।
ফখরুল বলেন, আমাদের মূল বক্তব্য হলো- আমরা আইনটির সম্পূর্ণ বাতিল চাই। কারণ, এটি গণতন্ত্র, জনগণের অধিকার এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে একটি আইন। সুতরাং, এই আইন (যেকোনো রূপে) রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
তিনি বলেন, সরকার মানুষকে প্রতারিত করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সাইবার নিরাপত্তা আইনে রূপান্তর করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচণ্ড চাপের মধ্যে থাকায় সরকার তাদের এই পদক্ষেপ নিয়ে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, উটপাখি ঝড়ের মুখোমুখি হলে বালিতে মাথা লুকানোর প্রবণতা রয়েছে। সরকারের পদক্ষেপও সেরকমই। তারা মনে করে যে তারা এভাবে মানুষকে বোকা বানিয়ে খুব স্মার্ট কাজ করছে।
আইন পরিবর্তনে সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের পর তারা সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে তাদের দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানোর কথা বলেন ফখরুল।
এর আগে সোমবার ডিএসএ-এর কিছু ধারা সংশোধন করে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সাইবার নিরাপত্তা আইনে প্রতিস্থাপন করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, তারা ডিএসএ’র ধারায় অনেক পরিবর্তন এনেছে এবং নাম পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করেছে। ডিএসএ বাতিল করা হয়নি বরং রূপান্তরিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে, তাদের প্রতিহত করুন: কাদের
সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে না: রিজভী
সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে না: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশ নেবে না।
রিজভী বলেন, জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন হলেই কেবল বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে, তার আগে নয়।
আরও পড়ুন: নতুন সমাবেশস্থল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি: রিজভী
শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডনচেম্বার এলাকায় মহানগর বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সদ্য প্রয়াত মাহমুদুর রহমানের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, এই সরকারের অধীন ‘নিশিরাতের নির্বাচন’ এ বিএনপি অংশ নেবে না। আগে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে।
তিনি বলেন, তারপর পার্লামেন্ট বাতিল করে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তারপর নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন বিএনপি নির্বাচনে যাবে।
তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের বিষয়েও সরকারকে দোষারোপ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, এই মামলা ও রায় সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে সরকার এ ধরনের সাজাগুলো দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: মহাসমাবেশের আগে বিএনপির ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার: রিজভী
মহাসমাবেশের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা রিজভীর
সরকারি কর্মচারীদের সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের আহ্বান ফখরুলের
সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আবারও ক্ষমতায় যাওয়া চেষ্টা করছে সরকার।
শনিবার (৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবীদের সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আ. লীগ দেশে সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, দেশের জনগণ ও সব রাজনৈতিক দল যদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে একত্রিত হয়, তাহলে সরকারের (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে ক্ষমতায় রয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পরপর দুইটি সম্পূর্ণ হাস্যকর জাতীয় নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি বলেন, তারা আবার স্বপ্ন দেখছে একইভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসার। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললে দেখবেন ডিসি, এসপিদের বদলি, নতুন পদায়ন এবং প্রশাসনে হাজার হাজার লোকদের পদোন্নতির খবর।
তিনি বলেন, প্রশাসনকে আগের মতো নিয়ন্ত্রণ করে আবারও নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করার চিন্তায় তারা এসব করছে। এটা আর হবে না।
তিনি বলেন, অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে মিলে জনগণের ভোটাধিকার ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেমেছে বিএনপি।
তিনি বলেন, প্রশাসনে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় ও বিচার বিভাগে যারা আছেন সংবিধান ও আচরণবিধির মেনে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করছি।
তিনি আরও বলেন, অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবেন না। বরং জনগণের পক্ষে অবস্থান নিন।
এ ছাড়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোট ও অন্যান্য হারানো অধিকারের জন্য বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য তিনি পেশাজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান।
দুর্নীতি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের ‘নির্দেশিত’ রায়ের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে পেশাজীবী পরিষদ।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ভারতের কথায় মাথা ঘামানোর দরকার নেই: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন মির্জা ফখরুল
নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ভারতের কথায় মাথা ঘামানোর দরকার নেই: মির্জা ফখরুল
দেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারত কী বলে, তা নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দরকার, আমাদের মানুষ কী বলে। মানুষ খুব পরিষ্কার করে বলছে, বিদায় হও। আর সময় নেই। যেতে হবে। এই সরকারকে যেতেই হবে।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুক্রবার (আগস্ট) আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আ. লীগ দেশে সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, পৈশাচিক সরকারের বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য প্রতিরোধ গড়ে তুলে তাদের অবশ্যই পরাজিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের পুরো জাতিকে একত্রিত করে এবং মৃত্যুর ভয়কে সাহসী করে একটি ভয়ানক লড়াই চালিয়ে এই শাসনকে পরাজিত করতে হবে এবং অপসারণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই সরকারকে সরাতে হবে। আমাদের সামনে বিকল্প কোনো পথ নেই। ফিরে যাওয়ার কোনো পথ নেই। আমাদের অস্তিত্বের জন্য, জাতির অস্তিত্বের জন্য সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, জনগণের সরকার গঠন করতে হবে। বর্তমান শাসনের পতন ঘটলে মিথ্যা মামলা ও তাদের নির্দেশিত রায় টিকবে না। আসুন সবাই সেই সংকল্প নিয়ে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে যাই।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, জেল, সাজা, এমনকি মৃত্যুদণ্ড দিয়েও বিএনপিকে দমন করতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমরা রাস্তায় নেমেছি এবং আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। এই শাসনের পতন নিশ্চিত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ, উত্তর মহানগর ও জেলা ইউনিট।
এদিকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী টানা বৃষ্টিতে নয়াপল্টন এলাকায় হাঁটু পানিতে হেঁটে দল ও সহযোগী সংগঠনের সমাবেশে যোগ দেন। দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নয়াপল্টন এলাকায় বৃষ্টির পানিতে জমে যাওয়ায় এক ঘণ্টা দেরি হয়।
এ ছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মুখে বিএনপি নেতা-কর্মীরা মিছিলে সমাবেশস্থলে জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। কর্মসূচি শেষ হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে জল এবং বৃষ্টির মধ্যে অবস্থান করে।
বিএনপি মহাসচিব দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমাবেশ সফল করার জন্য দলীয় পদমর্যাদা ও ফাইলের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, আমি জানি আপনারা কঠোর পরিশ্রম করছেন। আপনারা এখানে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন।
তিনি বলেন, পুলিশের অভিযানে আপনারা রাতে ঘুমাতে পারেন না।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার দিনের বেলায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। কিন্তু বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে রাতে তাদের বাড়িতে অভিযান চালায়।
রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার না করে রাজপথে বিএনপির মোকাবিলা করতে ক্ষমতাসীন দলকে আহ্বান জানিয়েছেন এই নেতা।
বিচারের দিনে (কেয়ামতের দিনে) বিচারকরাই আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি জবাবদিহি করবেন উল্লেখ করে তিনি বিচারকদের প্রতি অন্যায়ভাবে শাস্তি না দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য আপনাকেও একদিন দেশের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
ফখরুল বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট করে বিপুল অর্থ উপার্জন করছে।
বিএনপি নেতা আক্ষেপ করে বলেন, সরকার দেশকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরাও এখন দুর্নীতিতে লিপ্ত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, এ বছর ডেঙ্গুতে রেকর্ড সংখ্যক লোক মারা গেছে। কিন্তু সরকার এ নিয়ে কম চিন্তা করছে। কারণ তাদের একমাত্র ফোকাস হচ্ছে কীভাবে নির্বাচন ছাড়াই আবার ক্ষমতায় আসা যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের এটি করতে দেব না।
এর আগে গত বুধবার ঢাকার একটি আদালত ২০০৭ সালের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই রায় দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপির। এর প্রতিবাদে দেশব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা ডাক দেয় দলটি।
আদালতের রায়ের প্রতিবাদে বিএনপির অন্যান্য মহানগর ও জেলা শাখাও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে।
আরও পড়ুন: ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন মির্জা ফখরুল
বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ গ্রেপ্তার
বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও দলের বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদকে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গত ২৯ জুলাই রাজধানীতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সহিংসতার ঘটনায় করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সালাহউদ্দিনের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন জানান, আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় হানিফ ফ্লাইওভারে সালাহউদ্দিনসহ ছয়জনকে ডিবি পুলিশের একটি দল গ্রেপ্তার করে।
তিনি বলেন, ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় শনিবারের অবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় তার বাবাকে সর্বোচ্চ আদালত আগাম জামিন দিয়েছেন।
যোগাযোগ করা হলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, তারা যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে সালাউদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, গত ২৯ জুলাই বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি চলাকালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদলসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং তিনটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
হারুন বলেন, এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় চারটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়েছে: অভিযোগ ছেলের
তিনি আরও বলেন, চারটি মামলার মধ্যে দুইটিতে সালাহউদ্দিন এক নম্বর আসামি, অন্য দুটি মামলারও আসামি। এসব মামলায় ডিবি (ওয়ারী বিভাগ) তাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং আমরা তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, সরকারের চলমান দমন-পীড়ন ও গ্রেপ্তারের সর্বশেষ শিকার সালাহউদ্দিন আহমেদসহ বিএনপির ছয় নেতাকর্মী।
তিনি বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) ডিবি পুলিশ তাদের অন্যায়ভাবে তুলে নিয়েছে। অবৈধ সরকার তাদের অপকর্ম ঢাকতে চায় গ্রেপ্তার ও হামলা দিয়ে।’
অন্য গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা এম শাহিন, শাহআলম মুন্সি, আবির হোসেন, নিয়ামুল হক, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউনিটের সদস্য নয়ন ও সালাহউদ্দিনের গাড়িচালক এম কাজল।
রিজভী বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ২৮ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ৪০৬ বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ফেরার জন্য বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে সরকার
বিএসপিএ'র কাজী সালাহউদ্দিনের সাম্মানসূচক সদস্যপদ স্থগিত
ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার বিরোধী দল দমন-পীড়নে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হিসেবে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, ‘এই ফ্যাসিবাদী সরকার বিচার বিভাগকে এর প্রধান ও বড় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।’
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে জনগণের মৌলিক, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্রকামী জনগণের আন্দোলন ও সংগ্রাম রুখে দিতে বিচার বিভাগের চরম হয়রানি ও দমন-পীড়নের শিকার হতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে জাতিকে সীমাহীন সহিংসতা ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ‘হামলার’ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের জানাল বিএনপি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং চলমান আন্দোলনকে বানচাল করার উদ্দেশ্যেই আদালত তার বিরুদ্ধে 'নির্দেশিত' রায় দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তবে এভাবে আন্দোলন কখনো দমন করা বা থামানো যাবে না। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত জনগণ ঘরে ফিরবে না।’
ফখরুল বলেন, জুবাইদা রহমানের রাজনীতির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা না থাকলেও তাকে 'মিথ্যা' মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, সব মামলায় তারেক রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। একই ধরনের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতারা খালাস পেয়েছেন।
২০০৭ সালের এক-এগারো’র রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৫টি দুর্নীতির মামলা বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার দেশব্যাপী বিএনপির সমাবেশ
তিনি বলেন, ‘এ কারণেই আমরা বলছি, তারা (সরকার) আসলে তাদের ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য আদালত ও বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত করে ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটা বিস্ময়কর যে বিচারিক আদালত তাকে (খালেদা জিয়া) ৭ বছরের সাজা দিয়েছেন এবং উচ্চ আদালত তা বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন। তবে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা একই ধরনের মামলায় জামিন ও খালাস পেয়েছিলেন এবং এমনকি এখন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।’
ফখরুল অভিযোগ করেন, বিচার বিভাগের পাশাপাশি সরকার সত্যকে দমন করতে এবং তাদের বক্তব্যকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে গণমাধ্যমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের উপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে ছাত্রলীগের ‘ক্যাডাররা’ নুরের উপর জঘন্য ও অমানবিকভাবে হামলা চালিয়ে তাকে আহত করেছে।
নুরের বাসভবনে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো সভ্য দেশে এ ধরনের ঘটনা চলতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলন শেষে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুরুল হক নুরকে দেখতে যান ফখরুল। সেখানে তিনি নুরের সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসকদের কাছে তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়েছে: অভিযোগ ছেলের
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়েছে: অভিযোগ ছেলের
বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন তার ছেলে ও বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী (হানিফ উড়ালসড়ক সড়ক) থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, আদালত থেকে আগাম জামিন পেয়ে বাড়ি ফেরার সময় তাকে তুলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়েছে: অভিযোগ ছেলের
তানভীর বলেন, ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে শনিবারের অবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় সালাহউদ্দিন আগাম জামিন পেয়েছেন।
তিনি জানান, এরপর থেকে তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ‘হামলার’ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের জানাল বিএনপি
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারেক-জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতির রায়: বিএনপি