বিএনপি
আরেকটি সাজানো নির্বাচন করতে সরকার পুলিশ ও জনপ্রশাসনে রদবদল শুরু করেছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে ভোট কারচুপির মাধ্যমে আরেকটি সাজানো নির্বাচন মঞ্চস্থ করতে পুলিশ ও জনপ্রশাসনে রদবদল শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘তারা (আ.লীগ) ভোট কারচুপি এবং সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে তাদের ইচ্ছানুযায়ী আরেকটি নির্বাচন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। পুলিশে ব্যাপক রদবদল ও পদোন্নতি নিয়ে কয়েকটি পত্রিকায় প্রতিবেদন রয়েছে। তারা আগামী নির্বাচনের আগে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী সবকিছু সাজানোর উদ্দেশ্য নিয়ে জনপ্রশাসনেও রদবদল করেছে।’
বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, দেশের জনগণ আগামী দিনে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের সব ‘নীলনকশা’ নস্যাৎ করে দেবে।
ফখরুল বলেন যে এইচএম এরশাদসহ অনেক ফ্যাসিবাদী শাসক অতীতে একই কাজ করেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জনরোষের মুখে তাদের ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনারা (আ.লীগ)ও এত সব আয়োজন করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, কিন্তু কত দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন? ফেরাউন, নমরূদ, এরশাদও ক্ষমতায় বসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। জনগণ যখন জেগে ওঠে তখন কোনো কিছুই তাদের প্রতিহত করতে পারে না।’
বিএনপিপন্থী প্ল্যাটফর্ম জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফোরাম ঢাকা রিপোর্টার্সে সংবাদপত্রের ‘কালো দিবস’ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: স্যাংশনে আ.লীগ সরকারের হাঁটু কাপতে শুরু করেছে: ফখরুল
১৯৭৪ সালের ১৬ জুন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সরকারের অনুগত চারটি পত্রিকা ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়। একদল সাংবাদিক দীর্ঘদিন ধরে সংবাদপত্র বন্ধের স্মরণে দিনগুলোকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছেন।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চলমান আন্দোলন জোরদার করার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রের আড়ালে একদলীয় বাকশাল শাসন কায়েম করেছে। ‘তারা আমাদের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বাক, লেখার স্বাধীনতা এবং সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বৈশিষ্ট্য হলো ভিন্নমতকে সহ্য করতে পারে না। ‘আমাদের সংগ্রাম শুরু হয়েছে এবং এটি এক বা দুই দিনে শেষ হবে না। আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে, কারণ আমাদের প্রতিপক্ষ এতটাই স্বৈরতান্ত্রিক যে তারা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে মানুষকে হত্যা করতে এবং তাদের গুম করতে দ্বিধা করে না।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে সব হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনতে শক্তিশালী আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে অপসারণ করতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্য তাদের দলের প্রধান খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যা’ মামলায় বেআইনিভাবে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
খালেদা এখন রাজধানীর একটি হাসপাতালে জীবনযুদ্ধে লড়ছেন উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে তার পরিবার বারবার আবেদন করেছে, কিন্তু সরকার এখনো তাতে কর্ণপাত করেনি।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্যের নিন্দা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের মন্তব্যের নিন্দা করার ভাষা আমাদের নেই। আমরা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এর জবাব দেবো।’
আরও পড়ুন: ফয়জুল করিমের ওপর হামলার বিষয়ে সিইসি’র মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ফখরুলের
গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল
স্যাংশনে আ.লীগ সরকারের হাঁটু কাপতে শুরু করেছে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন করছি।
তিনি বলেন, অচিরেই এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দেয়া হবে।
বুধবার (১৪ জুন) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউড়িতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আমেরিকার স্যাংশনে আওয়ামী লীগ সরকারের হাঁটু কাপতে শুরু করেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, লজ্জায় আমরা মুখ দেখাতে পারি না। আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারীর কারণে আমেরিকা থেকে স্যাংশন। কেন? তারা বলে আমরা ভয় পাই না। এখন এমন ভয় পেয়েছে হাঁটু কাপতে শুরু করেছে।
তিনি প্রশ্ন করেন র্যাবকে কারা ব্যবহার করেছে, আমাদের ভাইদের তুলে নিয়ে গুম করে হত্যা করেছে?
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো আপস নয়: ফখরুল
সমাবেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আর বিশ্বাস করা যায় না। নতুন বাংলাদেশ নতুন সরকার গঠন তরতে হবে। সকল মানুষকে এক করতে হবে সকল রাজনৈতিক দলকে এক করতে হবে, সবাইকে নিয়ে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, একটি নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হবে, যে বাংলাদেশে আমার কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, চাকুরির ব্যবস্থা হবে, আমার ভোট আমি দিতে পারব, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে, আমার সন্তানের ভবিষ্যত তৈরি হবে, আমার শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে, আমার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। আমরা সেই বাংলাদেশ চাই যেখানে নতুন কলকারখানা গড়ে উঠবে এবং মানুষের চাকুরির নিশ্চয়তা থাকবে।
তিনি বলেন, মানুষ তাদের রুটি রুজির নিশ্চয়তা পাবে। যেখানে শান্তি থাকবে ন্যায় বিচার থাকবে। বড়লোক আরও বড়লোক হবে না, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হবে না, একটি সাম্যের বাংলাদেশ তৈরি হবে। আমরা সবাই সে লক্ষ্যে এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে তরুণদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং সংগ্রাম করে লড়াই করে যুদ্ধ করে এদেশের শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ফখরুল বলেন, জনগণের টাকা দিয়ে নিজের উন্নয়ন করছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত, তারা ছাড়া আর কেউ লাভবান হচ্ছে না। আজকে আমাদের সকল অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আদালতে গিয়ে যে আমরা ন্যায়বিচার পাব, সেই ন্যায়বিচার থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। পার্লামেন্টকে শেষ করে দিয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে দিয়েছে। এই যে মেয়র নির্বাচন হয়েছে। বরিশাল, খুলনায় নির্বাচন হয়েছে। গাজীপুরে জাহাঙ্গীরের মায়ের কাছে হেরে গেছে।
আরও পড়ুন: ফয়জুল করিমের ওপর হামলার বিষয়ে সিইসি’র মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ফখরুলের
খালেদার অবস্থা এখন স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল বলে বুধবার জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন,‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল এবং যেদিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তার তুলনায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে।’
চিকিৎসক জানান, অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন।
‘তারা পরীক্ষার রিপোর্ট এবং তার শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ বলেন, খালেদার পরবর্তী চিকিৎসার ধাপ নির্ধারণ করতে বিকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হতে পারে।
আরও পড়ুন: গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল
হঠাৎ জ্বর ও পেটব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার ভোরে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার হাসপাতালে তার মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে তার মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের 8 ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় খালেদাকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
পরে, একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয় এই শর্তে যে তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে
ফয়জুল করিমের ওপর হামলার বিষয়ে সিইসি’র মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ফখরুলের
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) মন্তব্যের সমালোচনা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘সিইসি বলেছেন যে সোমবারের সিটি নির্বাচন নিয়ে তিনি খুবই সন্তুষ্ট। বরিশাল সিটি নির্বাচনে চরমোনাই পীর ফয়জুল করিমকে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা পিটিয়ে রক্তাক্ত করলেও তারা (ইসি) তা প্রতিহত করতে পারেনি।’
মঙ্গলবার রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, একজন সম্মানিত আলেম ও মেয়র প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসি চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনারা (ইসি) বলছেন যে আপনারা অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন। আপনারা তা করতে পারবেন না। আমরা অনেক দেখেছি।’
ভোটের সময় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলায় ফয়জুল করিম মারা যাননি বলে সিইসি হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘আপনি কি তার লাশ চেয়েছিলেন? আপনি কি চেয়েছিলেন যে তিনি মারা যাক? আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
দেশব্যাপী চলমান লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে বিএনপির দেশজুড়ে কর্মসূচির অংশ হিসেবে গোপীবাগ সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার থেকে রায়সাহেবের বাজার অভিমুখে পদযাত্রা করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো আপস নয়: ফখরুল
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপিও একই মাঠে মহাখালী থেকে কারওয়ানবাজার অভিমুখে পযযাত্রা করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
পদযাত্রা শুরুর আগে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে, কিন্তু সারাদেশে মানুষ লোডশেডিংয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। কিন্তু তারা (সরকার) কিছুদিন আগে একটি আকর্ষণীয় আতশবাজি ও লেজার শো দিয়ে ক্ষমতায় স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের সাফল্য উদযাপন করেছে।
তিনি বলেন, সরকার জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে এবং উৎপাদন বন্ধ থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকেও টাকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘ডেড’ নয়, ‘লাইফ’ ইস্যু: ফখরুল
গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন, যেখানে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী (খালেদা জিয়া) আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে রাত ৩টায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।’
মঙ্গলবার রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন যে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে 'মিথ্যা' মামলায় কারারুদ্ধ করেছে, কারণ তিনি মুক্ত থাকলে তারা কোনো নির্বাচনে বিএনপিকে পরাজিত করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগও ভালো করেই জানে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তারা ১০টি আসনও পাবে না।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বর্তমান সরকারের সকল অন্যায়ের জবাব দিতে দেশের জনগণ, সকল গণতান্ত্রিক দল ও সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সোমবার দিবাগত রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিএনপি চেয়ারপার্সনকে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো আপস নয়: ফখরুল
গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে
রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মঙ্গলবার মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, 'অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে তার মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ম্যাডামের চিকিৎসা চলছে।'
গতকাল রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে দুপুর দেড়টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের বাসা থেকে রাত ১টা ২০ মিনিটে বের হন এবং ১টা ৪০ মিনিটের দিকে হাসপাতালে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ
পরে তার চিকিৎসার জন্য আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তিনি সর্বশেষ গত ২৯ এপ্রিল একই হাসপাতালে যান এবং সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসা নেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সাতবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ৫ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
গত বছরের ১০ জুন তার বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লক থাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং পরদিন একই হাসপাতালে ওই ব্লক অপসারণ করে সেখানে স্টেন্ট বসানো হয়।
ডাক্তাররা তার রক্তনালীতে আরও দুটি ব্লক খুঁজে পেয়েছেন, কিন্তু তার স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে তারা সেগুলো অপসারণ করতে পারেনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় খালেদাকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে, একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে, সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা
জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়, এই শর্তে যে তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
ফয়জুল করিমের ওপর হামলা আবারও প্রমাণ করে আ.লীগের অধীনে কখনো বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়: বিএনপি
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমের ওপর হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যায়িত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, বর্তমান 'অবৈধ' সরকার অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন কখনোই সম্ভব নয়।
সোমবার এক বিবৃতিতে বিএনপির এই নেতা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং এর জন্য ক্ষমতাসীন দলের 'ক্যাডারদের' দায়ী করেছেন।ফখরুল বলেন, ‘প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্য দিবালোকে একজন ধর্মীয় নেতা এবং একজন মেয়র প্রার্থীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা কাপুরুষোচিত ও ঘৃণ্য। এই বর্বরোচিত হামলা আবারও উন্মোচিত করেছে যে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী ছাড়া বিরোধী দলের কোনো প্রার্থীকে সহ্য করতে পারে না।’
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের যে কোনো উপায়ে প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করার মনোভাব রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের
সরকারের নির্দেশের বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারে না বলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কড়া সমালোচনা করেন বিএনপির এই নেতা।তিনি বলেন, বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া এ ধরনের নির্বাচন করতে ইসি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যখন একজন মেয়র প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের দ্বারা আক্রান্ত, সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তা কোথায়? এমন নির্বাচনী পরিবেশের কারণে বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেয়নি।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই আওয়ামী লীগের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
ফখরুল ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী ফয়জুল করিমের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, জাপা মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ
বরিশাল সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম অভিযোগ করেছেন যে কাউনিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগের হামলায় তার সমর্থকদের পাশাপাশি তিনি আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ভোটার ও তার এজেন্টদের কাউনিয়া কেন্দ্র ও মানিক মিয়া কেন্দ্র ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) ও বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে আইএবি।
আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠেয় সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি।আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের বাসা থেকে রাত ১টা ২০ মিনিটে বের হন এবং ১টা ৪০ মিনিটের দিকে হাসপাতালে পৌঁছান।
তিনি বলেন, তার মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা) হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’
দলীয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবর শুনে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতা তার বাসায় যান।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ
পরে তার চিকিৎসার জন্য আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার তাকে প্রাইভেটকারে করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি সর্বশেষ গত ২৯ এপ্রিল একই হাসপাতালে যান এবং সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসা নেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সাতবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মন্তব্য তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র: ফখরুল
গত বছরের ১০ জুন তার বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লক থাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং পরদিন একই হাসপাতালে ওই ব্লক অপসারণ করে সেখানে স্টেন্ট বসানো হয়।
ডাক্তাররা তার রক্তনালীতে আরও দুটি ব্লক খুঁজে পেয়েছেন, কিন্তু তার স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে তারা সেগুলো অপসারণ করতে পারেনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় খালেদাকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে, একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে, সরকার২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা
জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়, এই শর্তে যে তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
আরও পড়ুন: ৫ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে জামায়াত: গয়েশ্বর
বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সোমবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির প্রভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে এক দশক পর রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এক আলোচনায় বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, জামায়াত একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে সভা করতে পারে, কিন্তু কিছু মানুষ ভাবছেন যে সরকারের সঙ্গে চুক্তির পর ইসলামপন্থী দলকে দীর্ঘদিন পরে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কিনা।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আসলে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে সরকার জামায়াতকে (সমাবেশ করার) অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছিল। প্রত্যেককে (ক্ষমতাসীন দলের) এখন সকাল-বিকাল রক্তচাপ এবং সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে কারণ তারা বুঝতে পেরেছে সবকিছুর শেষ আছে।’
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা ঐক্য পরিষদ।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো আপস নয়: ফখরুল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারের কাছে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার একটাই পথ খোলা আছে। তা হলো জনগণের মালিকানা এবং তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং ১০ দফা মেনে নেওয়া।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিরোধী দল তাদের ১০ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসতে রাজি নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন সময় এসেছে আপনাদেরকে (সরকার) বিদায় জানানোর। আমরা এখন আলোচনায় বসবো কেন? আমরা প্রতিদিন যা বলছি, তাই সংলাপ, কিন্তু আপনারা তা শুনছেন না।’
গয়েশ্বর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচিত বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠাসহ বিএনপির ১০ দফা দাবি মেনে নেওয়া।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি আগে মেনে নিতে হবে। এরপর তত্ত্বাবধায়ক বা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা বর্তমান পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারি... আমরা এটাই চাই।’
আরও পড়ুন: নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘ডেড’ নয়, ‘লাইফ’ ইস্যু: ফখরুল
লোডশেডিং: ১৩ ও ১৬ জুন মহানগরীগুলোতে রোডমার্চ করবে বিএনপি
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো আপস নয়: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের প্রশ্নে কোনো আপস হবে না, লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে রাজপথে ফয়সালা হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না
তিনি বলেন, ‘সরকারের কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে। তারা সকালে বলে এক কথা। বিকেলে বলে আরেক কথা।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই: মির্জা ফখরুল
রবিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ জন্যই এই দলের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি ডেড ইস্যু। কিন্তু না, তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি জীবন্ত ইস্যু। সারাবিশ্ব চায় বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হোক।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল নয়, প্রকৃত পক্ষে তারা একটি সন্ত্রাসী দল। তাই তারা নির্বাচন চায় না। তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজই বলে দেয় তারা সন্ত্রাসী ছাড়া আর কিছুই না। তাদের সঙ্গে ফয়সালা হবে রাজপথেই।
তিনি আরও বলেন, মানুষ ন্যায়বিচার পাবে, সাম্য প্রতিষ্ঠা হবে, গরীব আরও গরীব হবে না, ধনী আরও ধনী হবে না, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ আমাদের স্বপ্ন তছনছ করে দিয়েছে। ৭১’ সালে যে লক্ষ্যে বাংলাদেশ গড়েছিলাম সেই বাংলাদেশ ফিরিয়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির’ অভিযোগে মির্জা ফখরুল ও রাজশাহী বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
দাবি একটাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ: মির্জা ফখরুল