বিএনপি
আ.লীগ সরকারও শ্রীলঙ্কার মতো গণঅভ্যুত্থানের মুখোমুখি হবে: মোশাররফ
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনার সবক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতায় জনগণ বিরক্ত হওয়ায় শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশেও গণঅভ্যুত্থান হবে।
তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের ভয়ে তারা আমাদের ঢাকায় সভা-সমাবেশ করতে দেয় না। আমি বলতে চাই দেশে আজ বা কাল বিস্ফোরণ নয়, গণঅভ্যুত্থান হবে; কারণ জনগণ প্রস্তুত রয়েছে।’
এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, অতীতে পাকিস্তান শাসনামলে জনগণ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আইয়ুব খানের মতো শক্তিশালী একনায়ককে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল।
মোশাররফ বলেন, ‘এরশাদের মতো একজন স্বৈরাচারী শাসক বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন। অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষ বারবার স্বৈরাচারী শাসকদের পদত্যাগে বাধ্য করেছে। শ্রীলঙ্কা পারলে আমরাও পারব ইনশাআল্লাহ। খুব শিগগিরই বাংলাদেশে সেই দিন আসবে।’
বুধবার জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ‘লুট’ করেছে: নজরুল
রাজধানীর সিদ্দিক বাজারের একটি ভবনে বিস্ফোরণের বিষয়ে মোশাররফ বলেন, সরকারের ব্যর্থতা এবং অব্যবস্থাপনার কারণে দেশে এখন মানুষের জীবন নিরাপদ নয়।
দেশে খারাপ কিছু ঘটার জন্য বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর জন্য তিনি ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নিন্দা করেন।
মোশাররফ বলেন, ‘সরকার বলেছে (সিদ্দিক বাজার) বিস্ফোরণে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। পঞ্চগড়ে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছে...একজন মন্ত্রী এলাকায় যেতেই ওই সম্প্রদায়ের লোকজন বলেছে যারা আপনাদের সঙ্গে এসেছে তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে এবং আমাদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে। কিন্তু মন্ত্রীরা বলেছেন এতে বিএনপির হাত থাকতে পারে।’
তিনি বলেন, দেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় সরকার বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ক্রমবর্ধমান ঘটনা নিয়ে কম উদ্বিগ্ন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই সরকারের গাফিলতি ও ব্যর্থতার কারণেই এসব বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলো তাদের (সরকার) ব্যর্থতার কারণে আক্রান্ত হয় এবং তাদের গুণ্ডা ও ক্যাডাররা এ ধরনের হামলা চালায় ও এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়। কিন্তু তারা অন্যের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বিস্ফোরণের জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছে বিএনপি
জাতীয় নির্বাচনে আ.লীগকে আর প্রহসন করতে দেয়া হবে না: ফখরুল
তিস্তার পানি প্রত্যাহারে ভারতের আরও দুটি খাল খনন পরিকল্পনায় বিএনপির উদ্বেগ প্রকাশ
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী স্থায়ী কমিটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের অধীনে আরও দুটি খাল খনন করে একতরফাভাবে সাধারণ নদী থেকে আরও বেশি পানি প্রত্যাহার করার জন্য কথিত পদক্ষেপের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চৌহালী উপজেলা বিএনপির ৭ নেতাকর্মীর পদত্যাগ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘(স্থায়ী কমিটির) বৈঠকে মনে হয়েছে যে, বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে একটি চুক্তি সই না করেই আরও দুটি খাল খননের পরিকল্পনা বাংলাদেশকে (অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য অংশ থেকে) বঞ্চিত করার চেষ্টা।’
সোমবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা আক্ষেপ করে বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ‘হাঁটু গেড়ে’ বৈদেশিক নীতি এবং পানিবণ্টন চুক্তি সইয়ের কোনো কার্যকর উদ্যোগ না নেয়ায় বাংলাদেশের মানুষ তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য অংশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তারা ভারতের সঙ্গে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ভারতীয় সংবাদ আউটলেট দ্য টেলিগ্রাফের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের অধীনে আরও দুটি খাল খনন ও সেচের পানি চ্যানেলাইজ করতে প্রায় এক হাজার একর জমির অধিগ্রহণ করেছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিস্তা ও জলঢাকা থেকে পানি তোলার জন্য একটি ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ খাল কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা পর্যন্ত খনন করা হবে এবং তিস্তার বাম তীরে আরেকটি ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ খাল তৈরি করা হবে। এতে প্রায় এক লাখ কৃষক উপকৃত হবে।
তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পটি ১৯৭৫ সালে ভারত সূচনা করেছিল। উত্তরবঙ্গের ৯ দশমিক ২২ লাখ হেক্টর কৃষি জমিতে সেচ দেয়ার পরিকল্পনার মাধ্যমে তিস্তা নদীর পানি নদীর উভয় তীরে খালের মাধ্যমে চ্যানেলাইজ করে।
বাংলাদেশের পরিবেশ ও পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদী থেকে পানি ভারতের প্রত্যাহারের কারণে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর অংশ শুকিয়ে যাওয়ায় এই প্রকল্পটি কৃষি, বাস্তুতন্ত্র এবং দেশের মানুষের জীবনযাত্রাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে।
দেশের উত্তরাঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে পানি সংকট নিরসনের জন্য বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সইয়ের অপেক্ষায় থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এর বিরোধিতা করে আসছেন।
আরও পড়ুন: চবি সিন্ডিকেট নির্বাচনে বিএনপিপন্থী সাদা দলের বিজয়
পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের জলসায় হামলাকারীর বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক: তথ্যমন্ত্রী
আ.লীগ সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ‘লুট’ করেছে: নজরুল
আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ‘লুট’ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা আমাদের সরকার নির্বাচন করার অধিকার পেয়েছি। বর্তমান সরকার যেভাবে লুট করেছে, আল্লাহ আমাদের সেই অধিকার ও অর্জন ফিরিয়ে দিন।’
মঙ্গলবার রাতে সারাদেশে পালিত পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল এ মন্তব্য করেন।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দেশের সম্পদ প্রায় প্রকাশ্যে লুট করা হচ্ছে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আজ রাতে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করব যেন তিনি আমাদের দুঃশাসন,নির্যাতন ও দমন-পীড়ন থেকে মুক্ত করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল দেশের জনগণকে তাদের দলের নেতাকর্মীদের জন্য দোয়া করার আহ্বান জানিয়েছেন যারা জোড়পূর্বক গুম, হত্যা ও দমনমূলক কর্মকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনে আ.লীগকে আর প্রহসন করতে দেয়া হবে না: ফখরুল
তিনি বলেন, সরকারের দুঃশাসন, দুর্নীতি ও দমন-পীড়নে দেশের মানুষ চরম অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তাদের দলের নেতৃত্বে দেশের জনগণ বর্তমান স্বৈরাচারী শাসনের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপির এই নেতা।
নজরুল দাবি করেন যে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সরকার ‘অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ’ করেছে এবং তার নিঃশর্ত মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছেন যাতে তিনি আবার দেশ ও জনগণের সেবা করতে পারেন।
দোয়া মাহফিলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু ও আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বিস্ফোরণের জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছে বিএনপি
চৌহালী উপজেলা বিএনপির ৭ নেতাকর্মীর পদত্যাগ
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা বিএনপির আংশিক কমিটি থেকে রবিবার ৭ নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন।
তারা হলেন-নবগঠিত উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোজাহার মৌলভী, সহ-সভাপতি বাবুল সরকার, যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর হোসেন টাইগার, সদস্য ইউনুস শিকদার, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ, আব্দুল আলিম ও আহসান হাবিব দুলাল।
পদত্যাগকারী নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের জানান, নবগঠিত উপজেলা বিএনপির আংশিক কমিটি যোগ্যতা নির্ভর কমিটি হয়নি। ইউপি ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থনকারী এবং নৌকা প্রতীকে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংবর্ধনা দেয়া ব্যক্তিদের এ কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। এতে স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ নিবেদিত নেতাকর্মীরা কমিটিতে স্থান পাননি। এসব কারণে তারা দলের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, তিনি এখনও পদত্যাগপত্র হাতে পাননি। শুনেছি জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশের কাছে তারা পদত্যাগপত্র দিয়েছে।
এরআগে ১৪ জানুয়ারি জাহিদ মোল্লাকে সভাপতি ও কারি মো. ময়নুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে চৌহালী উপজেলা বিএনপির ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিএনপির পদযাত্রা থেকে ২৫ নেতাকর্মী আটক
কুমিল্লা জেলা বিএনপির সদস্য সচিবকে অবাঞ্চিত ঘোষণা
চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বিস্ফোরণের জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছে বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিস্ফোরণের জন্য ‘সরকারের ব্যর্থতা’কে দায়ী করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) সীতাকুণ্ডে (চট্টগ্রামের) একটি বিস্ফোরণ হয়েছে এবং আজ (রবিবার) ঢাকায় আরেকটি বিস্ফোরণ হয়েছে... আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে কেন এসব বিস্ফোরণ ঘটছে?
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো মিল, কারখানা ও অফিসে অগ্নি নিরাপত্তা ও বিস্ফোরণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে এ ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ফখরুল বলেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলো সেই ব্যবস্থা এবং পদক্ষেপ নিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাই সরকারের ব্যর্থতার কারণে এ ধরনের বিস্ফোরণ ঘটছে।’
রবিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারর্সনের কার্যালয়ে বিএনপি ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনে আ.লীগকে আর প্রহসন করতে দেয়া হবে না: ফখরুল
ফখরুল বলেন, বিভিন্ন কারখানায় বারবার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বহু প্রাণহানির মূল কারণ উদঘাটন করা প্রয়োজন।
তিনি ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিস্ফোরণে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
রবিবার সকালে ঢাকার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিস্ফোরণ ও পরবর্তীতে অগ্নিকাণ্ডে একটি ভবন আংশিক ধসে তিনজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া, শনিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কদম রসুল (কেশবপুর) এলাকায় একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ছয়জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুত খাতে লাগামহীন লুটপাট চলছে: গয়েশ্বর
আ.লীগ দেশের সম্পদ লুট করতে মরিয়া: ফখরুল
জাতীয় নির্বাচনে আ.লীগকে আর প্রহসন করতে দেয়া হবে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারকে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদের মতো প্রহসনমূলক জাতীয় নির্বাচন করতে দেবে না।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভাবছে যে তারা গত দুই নির্বাচনের মতোই প্রহসনমূলক নির্বাচন করে আবারও ক্ষমতা দখল করবে এবং এভাবে তারা আবারও জনগণকে শোষণ করবে এবং তাদের অর্থ ও সম্পদ লুট করবে।’
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি অপ্রয়োজনীয় ও অসম: ফখরুল
শনিবার রাজধানীর উত্তরা পাবলিক কলেজের সামনে বিএনপির উত্তরা পূর্ব শাখার পদযাত্রা কর্মসূচি পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ফখরুল এই হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ আর ক্ষমতাসীন দলকে ভোট কারচুপি ও কারচুপি করে ক্ষমতায় থাকতে দেবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মানুষ আন্দোলনে রাস্তায় নেমেছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাব। এবার আমরা এবং দেশের জনগণ জাতীয় নির্বাচনের নামে কোনো প্রহসনের মঞ্চায়ন করতে দেবে না।’
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবির পক্ষে আন্দোলন জোরদার করতে এবং জনসমর্থন গড়ে তুলতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হলো ভোটাধিকার এবং কথা বলার অধিকারসহ জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনা।’
১৫ বছর ধরে তাদের দল আন্দোলনে আছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত না করা পর্যন্ত তারা শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে থাকবেন। ‘যদি আমাদের বাধা দেয়া হয়, আমরা অবশ্যই তা কাটিয়ে উঠব এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একত্রে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।
যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি মহাসচিব তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে ১১ মার্চ ঢাকাসহ সব মহানগর এবং জেলা শহরে মানববন্ধন করার ঘোষণা দেন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং বিদ্যুৎ ও অন্যান্য ইউটিলিটি পরিষেবার দাম কমানোর জন্য সরকারের উপর চাপ বাড়াতে এই কর্মসূচি।
ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন সকল থানায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সকল বিভাগীয় শহরে তাদের পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে পৃথক সমাবেশ ও মিছিল বের করে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ দেশের সম্পদ লুট করতে মরিয়া: ফখরুল
দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির পদযাত্রায় অংশ নিয়ে মির্জা ফখরুল কর্মসূচির সূচনা করেন।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র নেতারা রাজধানীসহ অন্যান্য সব থানায় একই ধরনের কর্মসূচি পালন করেন।
চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন ও সমমনা দলগুলোও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিভাগীয় শহরগুলোর অধীনে সব থানায় মিছিল করেছে।
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, আরামবাগে গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, বিজয়নগরে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট এবং রাজধানীর পুরানা পল্টনে পেশাজীবি গণতান্ত্রিক জোট একই দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন দাবিতে তারা ১১ মার্চ ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন করার ঘোষণা দেন।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোটগুলো সরকার পতনের জন্য যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে। অন্ততপক্ষে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় সরকারের বিধানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে।
এছাড়া গত ২৮ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা।
দলটি তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে সারাদেশের সব ইউনিয়ন, জেলা ও বিভাগীয় শহরে একই ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি করতে বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে: ফখরুল
বিদ্যুত খাতে লাগামহীন লুটপাট চলছে: গয়েশ্বর
বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেছেন, ক্যাপাসিটি চার্জের নামে সরকার বিদ্যুত খাতে লাগামহীন লুটপাট করছে।
তিনি বলেন, ‘সরকার আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। তারা বলেছে যে তারা দাম সমন্বয় করছে কারণ খাতে কোনও ভর্তুকি দেয়া যাবে না।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদ জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ গ্রেপ্তারকৃত দলের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা আরও অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ইতোমধ্যে লুটপাট ও দুর্নীতি করে ১০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশ এখন ধ্বংসের ‘বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনসাধারণের পকেট কেটে তারা বিদ্যুৎ খাত থেকে যে টাকা লুট করেছে তা এখন সমন্বয় করছে।’
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি অপ্রয়োজনীয় ও অসম: ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার সহকর্মীরা যেভাবে আচরণ করছেন তাতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর, অভিযোগ করেন যে সরকার ভারতীয় আদানি গ্রুপের সঙ্গে একটি বিদ্যুৎ চুক্তি করেছে। যেখানে কয়লার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল প্রতি মেট্রিকটন ২০০ মার্কিন ডলারের পরিবর্তে ৪০০ মার্কিন ডলার। এভাবেই বিদ্যুত খাতে লুটপাট চলছে।
তিনি বলেন, দেশে দুর্নীতি, ঘুষ, লুটপাটে জড়িত একটি চক্র ছাড়া কেউই এখন নিরাপদ নয়।
‘প্রধানমন্ত্রী ওই চক্রের মূল হোতা এবং তার চারপাশে দুর্নীতিবাজ যারা লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ধ্বংস করেছে। ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হওয়ার পথে। আমাদের মনে রাখতে হবে হাসিনাকে সরিয়ে সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত এদেশে কেউ নিরাপদ নয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকার জনদুর্ভোগ নিয়ে কম চিন্তিত। কারণ, তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও জনগণের প্রতি দায়িত্ব নেই।
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য বর্তমান স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সর্বস্তরের জনগণ এবং সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: আ.লীগ দেশের সম্পদ লুট করতে মরিয়া: ফখরুল
আ.লীগ দেশের সম্পদ লুট করতে মরিয়া: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ দেশের সম্পদ লুট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সবাই দেশের সম্পদ লুট করে দ্রুত দেশ ত্যাগ করতে মরিয়া ও পাগল হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ লুটপাটের মহোৎসব করেছে।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি-রব) আয়োজিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সব সংগঠন, অর্জন, সংস্কৃতি ও ইতিহাস ধ্বংস করছে। তাই আন্দোলন করা ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: বিডিআর হত্যাকাণ্ডে আ.লীগ সরকার জড়িত: ফখরুল
তিনি অভিযোগ করেন, দেশের মানুষ এখন আর ভোট দিতে পারবে না এবং ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে। ‘এমনকি, তারা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে না। আমাদের লোকেরা এখন কথা বলতে পারে না এবং তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে না। যারা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন আইন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে লিখতে পারেন না বলেও দুঃখ প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
রাষ্ট্রযন্ত্র, পুলিশ-র্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে সরকার জনগণকে দমন করে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, রাজনীতিকরণের কারণে মানুষ এখন সৎভাবে ব্যবসা করতে পারে না।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি অপ্রয়োজনীয় ও অসম: ফখরুল
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশের বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের আর অলস বসে থাকার সময় নেই। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই সরকারকে অপসারণ করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে হবে। আমাদের সামনে একটাই পথ খোলা আছে তা হলো আন্দোলন করে এই সরকারকে পরাজিত করা।’
১৯৭১ সালের ২ মার্চ স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও বর্তমানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি সর্বপ্রথম চারুকলা ভবনের চূড়ায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় সমবেত অসংখ্য উৎসাহী শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেছিল।
প্রথম পতাকা উত্তোলন দিবসে আ স ম আবদুর রবকে বিএনপির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান ফখরুল।
১৯৭১ সালের মার্চ মাসে জনগণ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল উল্লেখ করে তিনি দেশ ও জনগণের ভোট ও অন্যান্য অধিকার রক্ষায় আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি: আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই এবং বর্তমান সরকারকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য এক তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলি।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতি করতে বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে: ফখরুল
দুর্নীতি করতে বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে।
বুধবার বিএনপির চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এই অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘গত রাতে বিদ্যুতের দাম পাঁচ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে যা কয়েক মাসের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো বাড়ানো হয়েছে। এর পেছনের মূল কারণ হচ্ছে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে সরকারকে জনগণের পকেট থেকে টাকা নিতে হবে।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, সরকার দুর্নীতি ও জনগণের টাকা লুটপাটের কারণে ধাপে ধাপে বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। ‘এ কারণেই সব পণ্য ও কারখানার পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়ছে। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে, তাদের ওপর ব্যাপক চাপ পড়ছে।’
আরও পড়ুন: বিডিআর হত্যাকাণ্ডে আ.লীগ সরকার জড়িত: ফখরুল
দলের সাবেক ও বর্তমান স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে বিএনপির চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে বরিশাল বিভাগের দলের বর্তমান ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রংপুর বিভাগের দলের বর্তমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করে এমন আলোচনা শুরু করে বিএনপি।
বুধবার (১ মার্চ) থেকে মঙ্গলবার রাতে উভয় খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। দুই মাসে টানা তৃতীয়বারের মতো এমন ঘটনা ঘটল।
আররও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি অপ্রয়োজনীয় ও অসম: ফখরুল
আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি অপ্রয়োজনীয় ও অসম: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারতীয় আদানি গ্রুপের সঙ্গে সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তিকে অপ্রয়োজনীয় ও অসম আখ্যা দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ এ প্রকল্প থেকে সুফল পাবে না।
তিনি বলেন, ‘সরকার ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে একটি বিদ্যুৎ চুক্তি সই করেছে। দেশে-বিদেশে সবাই বলছে এটা একটা অপ্রয়োজনীয় ও অন্যায্য চুক্তি।’
চুক্তি প্রত্যাহার না হলে বাংলাদেশকে টাকা দিতে হবে, কিন্তু খুব একটা লাভ হবে না বলে মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, এ ধরনের চুক্তি ও প্রকল্পের মাধ্যমে তারা (আ.লীগ নেতা) বিপুল জনগণের টাকা লুটপাট করছে এবং বিদেশে সম্পদ অর্জন করছে।
মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতাদের সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের যে কোনো পদক্ষেপ প্রতিহত করা হবে: ফখরুল
তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করায় জনগণের প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। ‘সবচেয়ে গুরুতর বিষয় হলো সরকারকে জবাবদিহি করার মতো কোনো সংসদ নেই। এমন একটি সংসদ আছে যা জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হয় না।’
১৪ বছর ক্ষমতায় আসার পর থেকে সরকার একের পর এক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প হাতে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে অর্থ লুটপাট করে এবং অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করে বিভিন্ন দেশে সম্পদ গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি আরও বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের জনগণ যখন মারাত্মক অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সরকার তখন পিকনিকের মেজাজে রয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘জনগণের প্রতি সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা না থাকায় তারা উৎসবে মেতেছে। তারা আজ (মঙ্গলবার) রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের এলাকায় উৎসব করছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, দেশে অর্থনৈতিক সংকট এবং মূল্যস্ফীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে তা সরকার মানতে চায় না। দেশের সাধারণ মানুষ এখন চাল কিনতে পারছে না।
এমন পরিস্থিতিতে তিনি বলেন, সরকারের ওএমএস কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনা একটি ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ। ‘তারা কার্ডের মাধ্যমে চাল এবং প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করবে, যাতে তারা (আ.লীগ নেতাদের) দুর্নীতিতে লিপ্ত হওয়ার আরেকটি সুযোগ তৈরি করতে পারে।’
আরও পড়ুন: বিডিআর হত্যাকাণ্ডে আ.লীগ সরকার জড়িত: ফখরুল
২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
ফখরুল বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও সরকারের দুঃশাসন থেকে উত্তরণে চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখার কোনো বিকল্প নেই। ‘আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। এই আন্দোলনে আমাদের ১৭ নেতা-কর্মীকে রাজপথে হত্যা করা হয়েছে। আমরা অবশ্যই বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসনকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।’
গত ২২ ফেব্রুয়ারি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে সভাপতি ও আবদুল মোনায়েম মুন্নাকে সাধারণ সম্পাদক করে দলটির যুবদল জাতীয়তাবাদী যুবদলের ২৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি।