বিএনপি
নতুন রাজনৈতিক জোটের ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ আত্মপ্রকাশ
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ১১টি দলের সমন্বয়ে ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্ম আত্মপ্রকাশ করেছে। সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে জোটটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ও সদ্য আবির্ভূত জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ৮১ জনের নামে মামলা, অজ্ঞাত আসামি ২ হাজার
ফরহাদ বলেন, ‘আমরা (১১টি দল) ঐক্যবদ্ধ হয়ে আজ (বুধবার) জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট গঠন করেছি। এই জোটের নাম জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট।’
তিনি বলেন, গণমানুষের আশা-আকাঙ্খা অনুযায়ী বাংলাদেশ গড়তে এবং দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে তারা এই জোট গঠন করেছেন।
এনপিপি নেতা বলেন, ‘দেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামতের জন্য বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা এবং দলের ২৭ দফা দাবিতে আমাদের সমর্থন দিয়ে আমরা যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে থাকব।’
নতুন ১১-দলীয় জোটের দলগুলো হলো ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, জাগপা (খন্দকার লুৎফুর), ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল), বাংলাদেশ ন্যাপ, বিকল্প ধারা (নুরুল আমিন), সাম্যবাদী দল, গণদল, ন্যাপ-ভাসানী, ইসলামী ঐক্যজোট। পিপলস লীগ ও বাংলাদেশ সংখ্যালঘু জনতা পার্টি।
এর আগে ২২ ডিসেম্বর ২০ দলীয় জোটের ১২টি দল নিয়ে '১২ দলীয় জোট' গঠিত হয়।
১২টি দলের মধ্যে রয়েছে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), কল্যাণ পার্টি, লেবার পার্টি, জাতীয় দল, বাংলাদেশ এলডিপি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা (তাসমিয়া প্রধান), এনডিপি, এলডিপি (সেলিম), মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামী দল ও সাম্যবাদী দল।
নতুন দু’টি জোটে রয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট ও সাম্যবাদী দল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরহাদ বলেন, সাম্যবাদী দল ও ইসলামী ঐক্যজোট আমাদের সঙ্গে আছে, তারা এখন আর কোনো জোটে নেই।
তবে সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ঐক্যজোট ও পিপলস লীগের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানুল্লাহ আমান উপস্থিত ছিলেন।
২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল চারদলীয় জোট ২০-দলীয় জোটে সম্প্রসারিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল দুদকের
যুগপৎ আন্দোলন: বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি গঠন
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল দুদকের
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি রাজধানীর শাহজাহানপুর (ডিএমপি) থানায় মামলাটি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এই দম্পতি তাদের আয়ের জ্ঞাত উৎসের বাইরে প্রায় ২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কাউন্সিলর মতি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র
৩ ইসলামী ব্যাংকের কেলেঙ্কারি তদন্ত করবে দুদক
যুগপৎ আন্দোলন: বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি গঠন
যুগপৎ সরকারবিরোধী আন্দোলনে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করতে সাত সদস্যের একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করেছে বিএনপি।
সোমবার দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যরা হলেন- দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু ও যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা ও রংপুর ছাড়া সারাদেশে গণ-মিছিলের মাধ্যমে একযোগে আন্দোলন শুরু করে বিএনপি।
এর আগে ১০ ডিসেম্বর দলটি যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ১০ দফা দাবি ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ১
এদিকে, যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমন্বয় করতে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) পাঁচ সদস্যের একটি লিয়াজোঁ কমিটিও গঠন করেছে।
এলডিপি মহাসচিব রেদওয়ান আহমেদকে আহ্বায়ক এবং দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল আলমকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
অন্য সদস্যরা হলেন- নিয়ামুল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল ও মাহবুব মোর্শেদ।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আ.লীগ সরকারকে 'অবশ্যই' ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে: মোশাররফ
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আ.লীগ সরকারকে 'অবশ্যই' ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে প্রথমে ক্ষমতা থেকে উৎখাত না করে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়।
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, বিএনপির ১০ দফা দাবির একমাত্র লক্ষ্য বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করা।
গত ৯ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তারের পর থেকে দলের প্রধান মুখপাত্রের ভূমিকায় থাকা এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সারাদেশে মানুষ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করার কথা বলছে।
‘দেশের আর্থ-সামাজিক, অর্থনৈতিক ও বিচার ব্যবস্থা এখন ধ্বংস হয়ে গেছে। যারা ১৪ বছর ধরে বলপ্রয়োগ করে এবং ভোট চুরি করে ক্ষমতায় রয়েছে তাদের অবশ্যই ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। অন্যথায়, আমরা এখন যে সংকটের মুখোমুখি হচ্ছি তা থেকে আমরা বের হতে পারব না’, বলেন তিনি।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একটি অংশ জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
২০২১ সালের ২৫ ডিসেম্বর সাবেক বিএফইউজে সভাপতি এবং ফাইন্যান্সিয়াল হেরাল্ডের সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ ৭৬ বছর বয়সে করোনাভাইরাসে মারা যান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, তাদের দলের সাম্প্রতিক বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিয়ে মানুষ ভিন্ন বার্তা দিয়েছে। সারাদেশ থেকে আসা জনগণের বার্তা সংকলন করে আমরা ১০ দফা দাবি পেশ করেছি।
এছাড়াও, তিনি বলেন যে তারা 'রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার'-এর একটি ২৭-দফা রূপরেখাও উন্মোচন করেছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদের নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য এবং উচ্চকক্ষের প্রবর্তনসহ রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের পতনের পর তাদের দল ক্ষমতায় আসলে দেশ সংস্কারের রূপরেখা পেশ করবে।
তিনি জানান, তাদের দল এবং দেশের জনগণ আর একটি স্বৈরাচারী সরকার আনতে দেশ শাসনের পথ প্রশস্ত করার জন্য ক্ষমতার পরিবর্তন চায় না। আমরা একটি পরিবর্তন চাই যাতে এমন একটি সরকার গঠিত হবে যা এদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারে, সংকট কাটিয়ে উঠতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার করতে পারে।
মোশাররফ রিয়াজউদ্দিন আহমেদের বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতা পেশা এবং সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
তিনি সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তার বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করেন।
পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ১
পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও অর্ধশত নেতাকর্মী।
শনিবার দুপুরের পর পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গণমিছিল করার সময় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত বিএনপি নেতার নাম আব্দুর রশিদ আরেফিন (৫০)। তিনি জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের হরিপুর এলাকার খোরশেদ মুহুরীর ছেলে।
তিনি ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং বর্তমানে ইউনিয়ন বিএনপি'র যুগ্ম আহ্বায়ক। বর্তমানে তার লাশ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী বিএনপি নেতাকর্মী সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ দফা দাবিতে পঞ্চগড়ে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু করার আগেই পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপসহ লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ শুরু করে। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এক থেকে দেড় ঘন্টার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষ চলে বিকাল ৬টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে মিছিল থেকে জামায়াত শিবিরের ৮ নেতাকর্মী আটক
বন্ধ হয়ে যায় প্রধান সড়ক ও দোকানপাট। সাইকেল রিকশা ভ্যান চললেও অন্য কোন যানবাহন চলাচল করেনি।
অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের লাঠির আঘাতে ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বাবুসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। নেতাকর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তৌফিক আহামেদ জানান, আব্দুর রশিদ আরেফিন নামে এক ব্যক্তির লাশ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান। তবে কিভাবে বা কি কারণে তিনি মারা গেছেন তা পোস্ট মর্টেম ছাড়া বলা যাবে না।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে নিজেদের কার্যালয় ভাঙচুরের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি বিএনপির
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে গণমিছিল শুরু করেছিল। এসময় পুলিশ আমাদের বাঁধা দেয়। তারা কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছোড়ে আমাদের ছত্রভঙ্গ করে লাঠিচার্জ করতে থাকে। বিএনপির একজন নেতা নিহত ও প্রায় দুইশ’ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
শান্তিপূর্ণভাবে গণমিছিলে পুলিশ হামলা করে একজনকে হত্যা ও নেতাকর্মীদের আহত করার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় জামায়াতের গণমিছিল থেকে আটক ১৬
গণমিছিল সফলে প্রস্তুতি সভা করেছে সিলেট মহানগর বিএনপি
বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ৩০ ডিসেম্বরের গণমিছিল সফল করার লক্ষ্যে এক প্রস্তুতি সভা বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে নগরের ভাতালিয়াস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকীর সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী'র পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সন -এর উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।
আরও পড়ুন: কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি
তিনি বলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় মহাসমাবেশের আগে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ন্যাক্কারজনকভাবে সন্ত্রাসী হামলা, লুটপাট ও স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সিনিয়র নেতাকে অন্যায়, অবৈধভাবে পাক হায়েনাদের কায়দায় রাতের আধারে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ
তিনি আরও বলেন, অবৈধ এই সরকার বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হিস্র আচরণ শুরু করেছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাদের মুক্তি, জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর সিলেটে গণমিছিল সফল করতে হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির শাহীন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ১২ নেতার পদত্যাগ
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ১২ নেতার পদত্যাগ
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ১২ নেতা পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেন তারা।
এর আগে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ১০ ওয়ার্ডে পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন সংগঠনের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ্ আমান ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।
আমিনুল হকের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নবগঠিত কমিটির পদত্যাগকারীরা হলেন- সহসভাপতি শামসুর রহমান শাহীন ও মো. জাহাঙ্গীর, কোষাধ্যক্ষ মো. কফিল উদ্দিন কফিল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন মৃধা, সহ-কোষাধ্যক্ষ মো. কামাল, সহদপ্তর বিষয়ক সম্পাদক মো. সোহাগ, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মো. লোকমান, সদস্য মো. ইউসুফ ও মো. মনির হোসেন পালোয়ান এবং সাবেক সদস্য ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি আহ্বায়ক কমিটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমিনুল হক তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, অনেকে তাদের চাওয়া অনুযায়ী পদ-পদবি না পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগর মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের অনেকেই আবার যোগাযোগ করছেন। দুঃখ প্রকাশ করছেন।
স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ
চাপাইনবাবগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হারুনুর রশীদ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
গত ১১ ডিসেম্বর বিএনপির সাত এমপির মধ্যে পাঁচজন পদত্যাগপত্র জমা দেন। সংসদ ভেঙে দেয়াসহ ১০ দফা দাবি নিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে পদত্যাগ করেন বিএনপির এই এমপিরা।
পদত্যাগকারী এমপিরা হলেন- ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. জাহিদুর রহমান, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
হারুনুর রশীদ অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত থাকায় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ওই দিন অসুস্থ থাকায় স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেননি।
আজ জাতীয় সংসদে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হারুনুর রশীদ বলেন, পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে স্পিকারের অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
তবে স্পিকার আমাকে বলেছেন, আমি পদত্যাগ না করলে দলের দাবি সংসদে তুলে ধরার সুযোগ আছে।
তিনি বলেন, ‘তবে বিএনপির ছয়জন সংসদ সদস্য পদত্যাগ করায় এখন আর সেই সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা সকলেই জানেন যে ২০১৮ সালে সন্দেহজনক নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদে বিএনপি থেকে মাত্র সাতজন নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমরা সংসদে যোগ দিয়েছিলাম এবং আজও আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদত্যাগ করছি।’
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকারের পাশাপাশি সংবিধান ও আইনের সংস্কার প্রয়োজন।
হারুনুর রশীদ ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সংঘর্ষের পর ‘মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায়’ গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির শীর্ষ নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা গোলাপবাগের সমাবেশ থেকে দলের সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। ওই দিনই সংসদ সদস্যরা ইমেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠান।
একইসঙ্গে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে গোলাপবাগের সমাবেশ থেকে দলটি ১০ দফা দাবির কথাও ঘোষণা করে।
এদিকে তাদের পদত্যাগের পর পাঁচটি সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে সংসদ সচিবালয়।
গত ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষণা করেছে, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির এমপিদের শূন্য থাকা পাঁচটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচন করবে ইসি।
‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’: ২৭ দফা ঘোষণা বিএনপি’র
রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, উচ্চ কক্ষের আইনসভা প্রবর্তনসহ ২৭ দফার ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ ঘোষণা করেছে বিএনপি।
সোমবার বিকালে গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের বলরুমে রাজনীতিবিদ-পেশাজীবী-সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এক সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ২৭ দফার এই রূপরেখা ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙে চুরমার করে ফেলেছে। এই রাষ্ট্রকে মেরামত ও পুনঃগঠন করতে হবে। দেশের জনগণের হাতেই দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয়লাভের পর বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার হটানোর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে একটি জনকল্যাণমূলক জাতীয় ঐক্যমত্যের সকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, এই ‘জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার’ রাষ্ট্রের রূপান্তরমূলক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
খন্দকার মোশাররফ জানান, জিয়াউর রহমান ঘোষিত ১৯ দফা এবং বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত বিএনপির ভিশন-২০৩০ এর আলো এই রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ৫ সংসদ সদস্যের শূন্য আসনে উপনির্বাচন ১ ফ্রেব্রুয়ারি
তিনি জানান, গত আগস্ট মাস থেকে এই রূপরেখা প্রণয়নে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কয়েক দফা সংলাপও করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যা আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হলো।
তিনি আরও জানান, রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিবর্তনের ২৭ দফা কর্ম পরিকল্পনার মধ্যে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন না করা, উচ্চ কক্ষের আইনসভা, সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন, সংবিধানে গণভোট ব্যবস্থা পুণঃপ্রবর্তন, সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মতামত প্রদানের সুযোগ দিতে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ আইন সংশোধন, জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন, মিডিয়া কমিশন ও অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের কথা রয়েছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, এছাড়া সকল মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষ্যমহীন ও সম্প্রীতিমূলক ‘রেইনবো নেশন’ প্রতিষ্ঠা করার কথাও রূপরেখায় বলা হয়েছে। এজন্য অব্যাহত আলোচনা, মতবিনিময় ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ভবিষ্যমুখী এক নতুন ধারার সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছাতে ‘ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশন’ গঠন করা হবে বলে বলা হয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্যের ‘এনএইচএস’ আদলে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা প্রর্বতন, এক বছরব্যাপী বা আত্মকর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করার কথা বিবেচনায় থাকবে বলে রূপরেখায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গুলশানে ওয়েস্টিন হোটেলে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ঘোষণার আগে লন্ডন থেকে স্কাইপেতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামীতে জাতীয় সরকার গঠন এবং দলের প্রণীত রূপরেখাটি সুধী সমাজের কাছে তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লা্হ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, গোলাম আকবর খন্দকার, হাবিবুর রহমান হাবিব, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুল কাইয়ুম, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুজ্জামান রিপন, মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মাহবুবে রহমান শামীম, বিলকিস জাহান শিরিন, শ্যামা ওবায়েদ, অনিন্দ্র ইসলাম অমিত, আসাদুজ্জামান, আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, তাইফুল ইসলাম টিপু, হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, মিডিয়া সেলের জহির উদ্দিন স্বপন, শাম্মী আখতার, রুমিন ফারহানা, শায়রুল কবির খান, চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের এবিএম আবদুস সাত্তার, রিয়াজউদ্দিন নসু, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামে মোস্তফা মোহসীন মন্টু, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ইমরান ইমন, হাসিব উদ্দিন হোসেন, জেএসডির কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, ২০ দলীয় জোটের জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করিম খান, জাগপার ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, খন্দকার লুতফর রহমান, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, ডিএলের সাইফুদ্দিন মনি, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ ন্যাপের শাওন সাদেকী প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পেশাজীবীদের মধ্যে- অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক সদরুল আমিন, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক তাজমেরি এস এ ইসলাম, অধ্যাপক একেএম আজিজুল ইসলাম, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, হাছিন আহমেদ, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, রফিকুল ইসলাম, আশরাফ উদ্দিন উজ্জ্বল, জাহানারা বেগম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের এজেডএম জাহিদ হোসেন ও কাদের গনি চৌধুরী, সাংবাদিক সোহরাব হাসান, এম আবদুল্লাহ, আবদুল হাই শিকদার, কামাল উদ্দিন সবুজ, মোস্তফা কামাল মজুমদার, সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে নিজেদের কার্যালয় ভাঙচুরের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি বিএনপির
নাজমুল হুদাকে ‘তৃণমূল বিএনপি’র নিবন্ধন দেয়ার রায় আপিলে বহাল
নয়াপল্টনে নিজেদের কার্যালয় ভাঙচুরের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি বিএনপির
বিএনপি গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের হামলায় ৫০ দশমিক ৫ লাখ টাকার মূল্যবান জিনিসপত্রের ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে এবং এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে।
রবিবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ার চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয় থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, হার্ডডিস্ক, নথিপত্র, ব্যাংকের কাগজপত্র ও নগদ টাকা লুট করা আসলে ডাকাতির ঘটনা।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: বিএনপির ৫ নেতাকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
মোশাররফ বলেন, ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি অভিযানের পর ৭ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতাসীন দলের দুর্বৃত্তরা সম্পত্তি ভাঙচুর ও লুটপাটে অংশ নেয়।’
তিনি বলেন, পুলিশ যেভাবে কোনো অফিস বা বাসভবনে তল্লাশির সময় মালিক ও নিরপেক্ষ পক্ষকে সাক্ষী রাখার সাধারণ আইন লঙ্ঘন করেছে, তা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর তৎপরতার কথা মনে করিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং এর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি এবং বিচার চাই।
এ ছাড়া খন্দকার মোশাররফ অবিলম্বে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ গ্রেপ্তার হওয়া দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিএনপি আদালতে যাবে কি না জানতে চাইলে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছি, দেখব কী হয়। এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
৭ ডিসেম্বর, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: নাজমুল হুদাকে ‘তৃণমূল বিএনপি’র নিবন্ধন দেয়ার রায় আপিলে বহাল
বিএনপির ৫ সংসদ সদস্যের শূন্য আসনে উপনির্বাচন ১ ফ্রেব্রুয়ারি