বিএনপি
আইজিপির কাছে ‘গায়েবী’ মামলার প্রতিকার চাইল বিএনপি
দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের করা নতুন ‘গায়েবী’ মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে অনুরোধ জানিয়েছে বিএনপি।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলুর নেতৃত্বে বিএনপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পুলিশ সদর দপ্তরে আইজিপি’র সঙ্গে দেখা করে এবং এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি চিঠিও তাকে হস্তান্তর করে।
বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি দলটি দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে পুলিশ সদর দপ্তরে গিয়ে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন মামলা এবং ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে দলের পরিকল্পিত সমাবেশ নিয়ে আইজিপির সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন:ফরিদপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পাঁয়তারার অভিযোগ
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বুলু বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বোমা নিক্ষেপ করে গায়েবী মামলা করছে। ‘আমাদের লোকজনকে গায়েবী মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাই আমরা
আমাদের মহাসচিবের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আইজিপির কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছি।’
তিনি জানান, তারা আইজিপিকে আরও বলেছেন যে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে এবং গায়েবী মামলায় গ্রেপ্তারের জন্য তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। ‘আমরা এর একটি প্রতিকার চেয়েছি এবং তিনি আমাদের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।’
বিএনপি নেতা বলেন, সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও তাদের দলের ৫০ নেতাকর্মীকে হাইকোর্টের গেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে স্লোগান দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢাকার জনসভায় যোগদানের আহ্বান জানিয়ে বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে নরসিংদীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘গায়েবী’ মামলা করা হয়েছে। ঢাকায় আসার আমন্ত্রণ জানালে আমরা বোমা ফাটাবো কেন?
বিএনপি মহাসচিবের চিঠি দিয়ে বুলু বলেন, ২২ আগস্ট থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত ছয় হাজার ৭২৩ জনের নাম উল্লেখ ও ১৫ হাজার ৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৬৯টি গায়েবী মামলার তালিকা আইজিপিকে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দিন: ফখরুল
এছাড়া গ্রেপ্তার ৫৫৯ বিএনপি নেতাকর্মীর তালিকাও পুলিশ প্রধানের কাছে জমা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা সমাবেশের বিষয়টি তুলে ধরেন। ‘আমরা বলেছি নয়াপল্টনে সভা করতে চাই। আমরা ১৩ নভেম্বর এবং ২০ নভেম্বর নয়াপল্টন আমাদের সভাস্থলের জন্য দু’টি চিঠি (ডিএমপিতে) পাঠিয়েছিলাম। আমরা দ্বিতীয় কোনো ভেন্যু চাইনি।’
তিনি বলেন, পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের আয়োজন করার আহ্বান জানিয়ে এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন। ‘আমরা বলেছি এটা আজ আমাদের বিষয় নয়...আমাদের স্থায়ী কমিটি এবং মহাসচিব এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।’
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল।
বৈঠকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার(২৯ নভেম্বর) ২৬ শর্তে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয় ডিএমপি।
তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে নয়াপল্টনে তাদের দল যাতে সমাবেশ করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের পূর্বে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তি
ফরিদপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পাঁয়তারার অভিযোগ
ফরিদপুরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলার পর উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়েরের পাঁয়তারার অভিযোগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম ও সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তারা এ অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে নেতারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বুধবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারের জুলুম, নির্যাতন এবং ভুয়া ও গায়েবি মামলার প্রতিবাদে সারা দেশে আহুত প্রতিবাদ সভার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম।
বিবৃতিতে ঘটনার বিবরণে বলা হয়, প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি মঞ্চে ওঠার আগে আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা নিজেরা মাথায় পুলিশের মতো হেলমেট পরে বেপরোয়াভাবে ইট, পাটকেল, লাঠিসোঁটা ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সভায় অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।
এ সময় তারা স্টেজের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে সভা বানচাল করে দেয় এবং সভার ব্যানার পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়। এ সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বন্দুকের গুলি ছোড়ে, ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং সভায় উপস্থিত নেতা কর্মীদের ওপর বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল ও পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে।
এতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ. এফ. এম. কাইয়ুম জঙ্গী ও মহানগর মহিলা দলের সভাপতির স্বামী ও বিএনপিকর্মী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এছাড়া এই আওয়ামী লীগের আক্রমণে ফরিদপুর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হন।
এ সময় পুলিশ বিএনপির প্রায় ১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে এবং ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেয়ার পরিকল্পনা করে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়ার পাঁয়তারা করছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
পরে সন্ধ্যায় আহতদের সমবেদনা জানাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান ও ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম, বিএনপির মহানগর আহ্বায়ক ও মহানগর মহিলা দলের সভাপতির বাড়িতে উপস্থিত হন।
নেতারা এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র প্রতিবাদ এবং গ্রেপ্তারদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ: আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপির প্রতিনিধি দল
১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলের সমাবেশের অনুমতি এবং দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে কথা বলতে পুলিশ সদর দপ্তরে পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলুর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি পুলিশ সদর দপ্তরে গেলে দুপুর ১টার দিকে বৈঠক শুরু হয়।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দিন: ফখরুল
ইউএনবি’র সঙ্গে আলাপকালে এ্যানি বলেন, তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে তাদের দলকে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি দিতে এবং সমাবেশের আগে দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার বন্ধ করতে আইজিপিকে অনুরোধ করবেন।
এর আগে মঙ্গলবার ২৬ শর্তে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে পারে বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে আ.লীগের ফাঁদে পা দিবে না বিএনপি: গয়েশ্বর
রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের পূর্বে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তি
বিএনপির গণসমাবেশের পূর্বে ১০ দফা দাবি আদায়ে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় পরিবহন মালিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাত্রীরা দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীতে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
রাজশাহী বাস টার্মিনাল থেকে বিআরটিসির একটি বাস ছেড়ে গেলেও অন্যান্য বাস কাউন্টার বন্ধ পাওয়া গেছে।
নগরীর তালাইমারী মোড়ে পরিবহনের অপেক্ষায় থাকা আশরাফুল ইসলাম ইউএনবি সংবাদদাতাকে বলেন, নাটোর হয়ে বগুড়া যেতে তাকে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমার মতো যাত্রীরা।’
আরও পড়ুন: রাজশাহী বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু বৃহস্পতিবার
রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মতিউর হক টিটু বলেন, ধর্মঘট চলায় রাজশাহী থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি এবং অন্যান্য স্থান থেকে প্রবেশও করেনি।
নাটোরে সব ধরনের গণপরিবহনের উপস্থিতি খুবই কম, অন্যদিকে যাত্রীদের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
কিছু যাত্রীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে গন্তব্যের দিকে ছুটতে দেখা গেছে।
বুধবার রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের কার্যালয়ে যৌথসভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ ধর্মঘট পালন করছে।
তারা দাবি করেছেন যে বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে ধর্মঘটের কোনো যোগসূত্র নেই, কারণ তারা পূর্বেই তাদের দাবি পূরণের আল্টিমেটাম দিয়েছে।
গত ২৬ নভেম্বর বিভাগীয় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংহতি পরিষদ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ১০ দফা দাবি পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম দেয়।
সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাতিল এবং মহাসড়কে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে অবৈধ থ্রি-হুইলার ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে তারা ধর্মঘটের ডাক দেয়।
অন্যদিকে বুধবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আট শর্তে সমাবেশের অনুমতি দিলে সমাবেশস্থল মাদরাসা মাঠে জড়ো হতে শুরু করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাবেশ আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক রুহুল কুদ্দুস দুলু বলেন, দলীয় নেতাকর্মীরা আজ থেকে সমাবেশস্থলে অবস্থান করবেন এবং সমাবেশ সফল করে বাড়ি ফিরবেন।
২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় ও গুরুত্বপূর্ণ শহরে ধারাবাহিক সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি। গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে প্রথম সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা ছাড়া বিভিন্ন শহরে সব সমাবেশের আগে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে দেশজুড়ে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটে পণ্য খালাস বন্ধ
রাজশাহীতে মালিকদের পরিবহন ধর্মঘটের ইঙ্গিত
রাজশাহীতে শনিবারের সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অনুমতির পর শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজশাহী মহানগরীতে নবম বিভাগীয় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি।
আরএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল আলম বুধবার ইউএনবিকে বলেন, রাজশাহীর মাদরাসা মাঠে বিএনপির সমাবেশের অনুমোদন আটটি শর্তে দেয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে অনুমোদন ও শর্তগুলোর বিষয়ে জানানো হয়েছে।
এদিকে অন্তত ১৫ লাখ নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ হবে বলে দাবি করছেন দলটির নেতারা।
মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, আট শর্তে গণসমাবেশ ও মাইক ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশের দেয়া শর্তগুলো হলো-
১। মাদরাসা ময়দান চত্বরের মধ্যে সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। সমাবেশস্থলের আশপাশসহ রাস্তায় কোনো অবস্থাতেই সমাবেত হওয়া এবং যান ও জন চলাচলে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। নিরাপত্তার জন্য সমাবেশে আগতদের চেকিং এর ব্যবস্থা করতে হবে এবং নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে।
২। দেশের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব ও সমাজিক-ধর্মীয় মূল্যবোধ, রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কার্যকলাপ এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান ও প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
৩। সমাবেশে আসা-যাওয়অর পথে শোভাযাত্রা ও মিছিল করাসহ আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এরূপ কার্মকাণ্ড করা যাবে না। ব্যানার-ফেস্টুন ও পতাকাতে কোনো লাঠি-সোঠা ও রড ব্যবহার করা যাবে না। ব্যানার-ফেস্টুন ইত্যাদির ব্যবহার সীমিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে আ.লীগের ফাঁদে পা দিবে না বিএনপি: গয়েশ্বর
৪। আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।
৫। আগামী ৩ ডিসেম্বর সমাবেশ শুরুর পূর্বে সমাবেশস্থলে প্রবেশ কিংবা অবস্থান করতে পারবে না। সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম ওইদিন দুপুর ২ টা থেকে শুরু করে ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। সমাগত নেতাকর্মীরা যাতে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ বা আয়োজকদের সেই দায়িত্ব নিতে হবে।
নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের অভ্যন্তরে ও বাইরে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। সমাবেশস্থলের বাইরে বা সড়কের পাশে প্রজেক্টর/মাইক/সাউন্ড বক্স ব্যবহার করা যাবে না। সমাবেশস্থলে ইন্টারনেট সংযোগ, ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করা যাবে না।
৭। যানবাহন শহরের ভেতরে প্রবেশ করানো যাবে না। রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশের কর্মসূচি পালন থেকে বিরত থাকতে হবে। পার্কিং এর জন্য নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করতে হবে। মূল সড়কে কোনো পার্কিং করা যাবে না।
৮। এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়। স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।
এদিকে, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে বিভিন্ন জেলায় দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার করে পুলিশি হয়রানি করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। বুধবার দুপুরে মহানগরীর মালোপাড়ায় দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ বানচাল করতে কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিয়েছেন। বিভাগজুড়ে এ পর্যন্ত শতাধিক মামলা করা হয়েছে। তারপরও রাজশাহীতে দেশের সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ হবে। অন্তত ১৫ লাখ নেতাকর্মী যোগ দেবেন।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গণসমাবেশ কমিটির সমন্বয়ক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত রাতেই অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সমাবেশে যেন নেতাকর্মীরা আসতে না পারে সে জন্য ১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহী বিভাগে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। ধর্মঘটের কারণে আগে থেকেই সমাবেশে আসতে চাইলে নেতকার্মীদের থাকার ব্যবস্থা করতে দেয়া হচ্ছে না। এর পরও যে কোন মূল্যে এই সমাবেশ সফল করা হবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, বিএনপির নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও রাসিকের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক শফিকুল হক মিলন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে পারে বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আপেক্ষিক স্বস্তির মধ্যেই কুমিল্লায় বিএনপির অষ্টম বিভাগীয় সমাবেশ শুরু
১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দিন: ফখরুল
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি যাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে নয়াপল্টনে তাদের সমাবেশ করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের পক্ষ থেকে আমরা এক মাস আগে নয়াপল্টনে আমাদের বিভাগীয় সমাবেশ করার জন্য ডিএমপিকে চিঠি দিয়েছিলাম। কোনো রকম বিশৃঙ্খলা ছাড়াই এর আগে এখানে বহু মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুতরাং, আমাদের চিঠি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন, কারণ আমরা এখানে আমাদের সমাবেশ করব। এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া আপনাদের দায়িত্ব।’
বুধবার এক সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে এই বিএনপি নেতা আশ্বস্ত করেন যে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোট ও অন্যান্য অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা শান্তিপূর্ণভাবে নয়াপল্টনে সমাবেশ করবেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের বিরোধিতার বিষয়ে ফখরুল বলেন, চারিদিক দেয়াল ঘেরা অনুষ্ঠানস্থলে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে তাদের দল স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে না। ‘এখানে থেকে সহজে প্রবেশ করার এবং বেরিয়ে আসার কোন রাস্তা নেই। একটি মাত্র গেট আছে, যেখান দিয়ে দু-একজন লোক ঢুকতে পারে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের কারাগারে রেখে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
এ অবস্থায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তাদের দলকে শান্তিপূর্ণভাবে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
অন্যথায় সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন এই বিএনপি নেতা।
দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা।
এর আগে মঙ্গলবার ২৬ শর্তে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
মিথ্যা মামলা বন্ধ করুন
ফখরুল বলেন, নয়াপল্টনে জনসভা হলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হবে বলে সরকার খোঁড়া অজুহাত দেখাচ্ছে। ‘শনিবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় এ ধরনের কোনো যানজটের সৃষ্টি হবে না।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, দেয়ালে লেখা ও জনগণের চোখের ভাষা বুঝতে চায় না বলেই সরকার একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
এর পরিণতি বিবেচনা করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক মামলা করা থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এখন জনগণও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। তাই বানোয়াট মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার বন্ধ করে জনগণের আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলতে দিন।
আরও পড়ুন: তুলনামূলক সহজ পরিস্থিতির মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির কুমিল্লা সমাবেশ
ঢাকা সমাবেশ চ্যালেঞ্জ
এই বিএনপি নেতা বলেন, ১০ ডিসেম্বরের জনসভা সফল করা ঢাকাবাসীর জন্য চ্যালেঞ্জ।
ফখরুল বলেন, ‘পুরো বাংলাদেশের জনগণ নতুন আশা নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এটি (১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ) ঢাকা ও এই বিভাগের জনগণের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। ইনশাআল্লাহ সমাবেশ সফল হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার অকারণে বিএনপির সমাবেশে বাধা দিচ্ছে, যা গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। ‘এটা আপনাদের (সরকার) জন্য মোটেও ভালো হবে না। আপনারা পথ খোলা রাখছেন না। আমি আবারও আপনাদেরকে অতীত ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে নিরাপদ প্রস্থান নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নিতে বলছি।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে মুক্তির জন্য সর্বস্তরের মানুষ এতে যুক্ত হওয়ায় বর্তমান আন্দোলন শুধু বিএনপির নয়, সারা দেশের মানুষের সংগ্রামে পরিণত হয়েছে।
ফখরুল বলেন, সরকার ব্যাপক লুটপাটের মাধ্যমে শুধু ব্যাংকিং খাত নয়, গোটা দেশ ও এর সব সেক্টরকে ধ্বংস করেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীকে ব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে আ.লীগের ফাঁদে পা দিবে না বিএনপি: গয়েশ্বর
বিএনপি নেতাদের কারাগারে রেখে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার 'মিথ্যা' মামলায় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মতো তাদের দলের সিনিয়র নেতাদের কারাগারে রেখে আগামী নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা সহজেই দূর করার ষড়যন্ত্র করছে।
শনিবার এক বিশাল জনসভায় বক্তৃতাকালে তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, যতদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করবেন না, ততদিন বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই শাসন কিছুই অক্ষত রাখে নি। আমরা এখন বিচার পাচ্ছি না। তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক মামলা দায়ের করে আমাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে। আমাদের সকল সিনিয়র নেতাদের নামে ১০-৬০টি মামলা রয়েছে।’
ফখরুল বলেন, সরকার এখন বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা’ মামলার বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করছে। ‘এর মানে এই যে, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে যেভাবে কারাগারে বন্দী করা হয়েছিল, সেভাবে তারা (সরকার) আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের কারাগারে নিক্ষেপ করে সহজেই নির্বাচনের বাধা অতিক্রম করতে চায়।’
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশের জনগণ এবার সরকারকে আর কোনো একতরফা জাতীয় নির্বাচন করতে দেবে না।
বিএনপির বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে দলটির কুমিল্লা মহানগর শাখা।
এবারের সমাবেশে পরিবহন ধর্মঘট ছাড়া কিছুটা স্বস্তির মধ্যে কুমিল্লায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দেন।
মানুষ আর নৌকায় চড়ে না
ফখরুল বলেন, ‘অবৈধ’ প্রধানমন্ত্রী তার অধীনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের দুটি নির্বাচন জোর করে ক্ষমতা দখল করেছেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ ও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বৃহস্পতিবার যশোরে জনসভা করেছেন শেখ হাসিনা। ‘সেই জনসভায়, তিনি (তার অধীনে) আবার নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং নৌকা (আ.লীগের) নির্বাচনী প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন…কিন্তু সারা বাংলাদেশের মানুষ এখন গান গাইছে, যদি তারা পরিণতি জানত তাহলে তারা নৌকায় চড়ত না। ’
তিনি বলেন, তাই সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়ার আগে মর্যাদার সঙ্গে ক্ষমতা ছেড়ে দিন, কারণ মানুষ এখন চায় আপনি চলে যান।’
ফখরুল আক্ষেপ করে বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও জনগণকে তাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করতে হবে, জীবন উৎসর্গ করতে হবে।
জামানতের টাকা হারাবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা
বিএনপি বলেছে, সরকার এর অধীনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে একটি মঞ্চ-পরিচালিত নির্বাচন করার জন্য আবারও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। কারণ একটি নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা তাদের জামানতের অর্থ হারাবেন।
তিনি বলেন, সরকার দল ও এর কর্মসূচি দমন করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে কাল্পনিক মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করছে। ‘এটা একটা নির্লজ্জ শাসন। এদের চামড়া গন্ডারের মতো পুরু।’
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ হবে
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ১০ ডিসেম্বরের জনসভা ঠেকাতে সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও রাজধানীতে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি শুরু করেছে। ‘আপনারা কুমিল্লাসহ কোথাও আমাদের সমাবেশ থামাতে পারেননি। আপনিও ১০ ডিসেম্বর ঢাকায়ও এটি করতে পারবেন না।’
ঢাকা মহানগরীতে বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেয়ার বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা নানা মন্তব্য করলেও ফখরুল বলেন, তারা এখন বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে এসে নয়াপল্টনে সমাবেশ হবে।
তিনি বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র, ভোট ও জনগণের অন্যান্য অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেমেছে কিন্তু সরকার একে অন্য দিকে মোড় নেয়ার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: আপেক্ষিক স্বস্তির মধ্যেই কুমিল্লায় বিএনপির অষ্টম বিভাগীয় সমাবেশ শুরু
আপেক্ষিক স্বস্তির মধ্যেই কুমিল্লায় বিএনপির অষ্টম বিভাগীয় সমাবেশ শুরু
পরিবহন ধর্মঘট ছাড়া আপেক্ষিক স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যেই কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ আজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
শনিবার সকাল ১১টা ৫ মিনিটে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া এ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি কুমিল্লা মহানগর শাখা।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুরসহ কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের জেলা থেকে সমাবেশস্থলে সকাল থেকেই বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীরা ভিড় জমায়। অন্যান্য বিভাগে দলের আগের সমাবেশের বিপরীতে এখানে কোনো পরিবহন ধর্মঘট না হওয়ায় কুমিল্লায় কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ ও উচ্ছ্বাস।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে পারে বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর ও সিলেটের পর বিভাগীয় পর্যায়ে কুমিল্লায় এটি বিএনপির অষ্টম সমাবেশ।
জানা গেছে, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশস্থলের আশপাশে ও শহরের বিভিন্ন স্থানে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছে।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির নিন্দা, ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও যশোরে পুলিশের অভিযানে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই আগামী সাধারণ নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে - সংবিধান অনুমোদন করে না বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও জানান আয়োজকরা।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশ আজ
তুলনামূলক সহজ পরিস্থিতির মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির কুমিল্লা সমাবেশ
কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশ আজ
কুমিল্লার টাউন হল মাঠে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। আগের দিনই বিএনপির নেতাকর্মীদের পদচারণায় পূর্ণ হয়েছে এই সমাবেশস্থল।
খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা এসেছেন। বর্তমানে টাউন হল মাঠে দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী অবস্থান করছেন। জানা গেছে, তারা কুমিল্লা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে এসেছেন। তারা ব্যান্ড পার্টি, ব্যানার পোস্টার নিয়ে নেচে-গেয়ে স্লোগান দিচ্ছেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তি, জ্বালানি তেল, চাল, ডাল তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি। দেশব্যাপী বিএনপির নেতা কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এই গণসমাবেশ করছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দিবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, বরকত উল্লাহ বুলু।
সভাপতিত্ব করবেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন। মঞ্চে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য দু’টি চেয়ার খালি রাখা হয়েছে। সকাল ১২ টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
তুলনামূলক সহজ পরিস্থিতির মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির কুমিল্লা সমাবেশ
বিএনপির অষ্টম বিভাগীয় সমাবেশ কুমিল্লা শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শনিবার। পূর্বের সমাবেশগুলোর তুলনায় এবারে কিছুটা সহজ পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই পালন করতে যাচ্ছে দলটি। যা বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী ও অনুসারীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে।
সমাবেশ সফল করতে বিএনপি শুক্রবার পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড ও বর্ণাঢ্য মিছিলের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে কুমিল্লা শহর নিজেদের দখলে নেয়া শুরু করে।
গত মাসে চট্টগ্রামে শুরু হওয়া বিভাগীয় সমাবেশের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি নেতারা জানান যে তারা সমাবেশের মাধ্যমে আরেকটি বিশাল শোডাউন করবে।
দুপুর ১২টায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে মঞ্চ তৈরি করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
পূর্বের অন্তত ছয়টি সমাবেশের সময় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতারা ধর্মঘটের ডাক দিলেও এবার তারা সেরকম কোনো কর্মসূচি দেননি।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে পারে বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
যেহেতু এবারের সমাবেশ কোনো পরিবহন ধর্মঘট ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবং পুলিশের অনুমতির বিষয় বেশ সরল প্রক্রিয়া, তাই শনিবারের সমাবেশটি আগের চেয়েও বেশ বড় হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যা দলটির নেতাদের কাছে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
আগের জনসভায় সমর্থকের অভাব না থাকলেও বিএনপি দাবি করে আসছে, সরকার জনগণের অংশগ্রহণে কথিত বাধা সৃষ্টি না করলে উপস্থিতি আরও বেশি হতো।
ইউএনবি’র সঙ্গে কথা বলার সময় বিএনপির সমাবেশের আগে কুমিল্লায় কোনো পরিবহন ধর্মঘট না ডাকায় স্থানীয় বেশ কয়েকজন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।
বিএনপি সমর্থকরা আশঙ্কা করছেন যে তাদের স্থানীয় প্রভাবশালী দুই নেতা নগর শাখার আহ্বায়ক আমিনুর রশিদ ইয়াসিন এবং সাবেক সিটি মেয়র ও বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কুর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব বিশাল সমাবেশ করার জন্য দলের প্রচেষ্টাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
তবে, স্থানীয় দলীয় কর্মীরা ইউএনবিকে বলেছেন যে ইয়াসিন ও সাক্কু উভয়েই তাদের অনুসারীদের সমাবেশকে সফল করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, যদি কিছু হয় তবে কে বেশি জমায়েত করতে পারে তার ভিত্তিতে প্রতিযোগিতা করছে।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে আ.লীগের ফাঁদে পা দিবে না বিএনপি: গয়েশ্বর
শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেন, তাদের সমাবেশকে কেন্দ্র করে 'গণতরঙ্গ' ঠেকাতে সরকার নানা কৌশল অবলম্বন করছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন যে বিভিন্ন হুমকি-ধামকিকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী আগাম আসতে শুরু করায় কুমিল্লা উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন যে সমাবেশের আগে 'সরকারের নির্দেশে' পুলিশ তাদের হয়রানি করছে এবং তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডাররা’ বিএনপির সমাবেশে যোগ দিলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কাল্পনিক মামলায় ফাঁসানোসহ ভয়াবহ পরিণতির হুমকি দিচ্ছে।
মোশাররফ অবশ্য বলেছেন, তারা ক্ষমতাসীন দলের কোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জবাব না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করবেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু বলেছেন, কুমিল্লায় ‘স্মরণীয়’ সমাবেশ করতে তারা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কোনো পরিবহন ধর্মঘট কার্যকর না হলেও আমাদের নেতাকর্মীরা কুমিল্লা যাওয়ার পথে ক্ষমতাসীন ক্যাডারদের বাধার মুখে পড়ছেন। তবে কোনো বাধাই আমাদের নেতাকর্মীদের সমাবেশে অংশ নিতে বাধা দিতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিতে নতুন নাটক তৈরি করছে সরকার: ফখরুল
শনিবার ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বাধার আশঙ্কায় সমাবেশের একদিন আগে শুক্রবার সকাল থেকেই চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনীসহ বিভিন্ন উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে বিএনপি সমর্থকদের কুমিল্লা শহরে আসতে দেখা গেছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিলে জড়ো হওয়ায় জনসমাগম তৈরি হয়।
অনুষ্ঠানস্থলে তাদের রাত্রিযাপনের অনুমতি না থাকায় আয়োজকরা তাদের জন্য খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করেছেন।চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর ও সিলেটে অনুষ্ঠিত ৭টি সমাবেশের পর শনিবার কুমিল্লায় হবে বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির ৮ম সমাবেশ।
চলমান আন্দোলনের গতি অব্যাহত রাখার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ; ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে পূর্বে পুলিশের অভিযানে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতেই এই সমাবেশ।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হোক। তবে সংবিধান তা হতে দেয় না বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তা তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ সফল করতে সরকার সহায়তা করছে: তথ্যমন্ত্রী