������������������
দেশে আ. লীগ স্টাইলের গণতন্ত্র চলছে: নজরুল ইসলাম
বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশে আওয়ামী লীগ স্টাইলের গণতন্ত্র চলছে।
বুধবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের মধ্যে কোনো পার্থক্য না থাকায় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ অনন্য।
তিনি বলেন, ‘এ এক অদ্ভুত ধরনের সংসদ, যেখানে ক্ষমতাসীন দলের রয়েছে ৩৩৭টি আসন, আর তাদের দয়ায় বিরোধী দলের আছে ১৩টি আসন। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা ভিন্ন নয়, যেহেতু তারা আওয়ামী লীগের।’
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, ‘এ ধরনের গণতন্ত্রের জন্য আমরা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিনি। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠিত হলে আমাদের গণতন্ত্র সমাহিত হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জনগণের ক্ষমতায়ন ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে স্বৈরাচারী এইচ এম এরশাদ আমাদের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেয় এবং ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়া তা আবার ফিরিয়ে আনেন।
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপি ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল এত ত্যাগ স্বীকার করেনি উল্লেখ করে নজরুল বলেন, তাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মী কারাগারে এবং বেগম জিয়া ও তারেক রহমানকে ‘মিথ্যা’ মামলায় দোষী করা হয়েছে।
তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মাওলা খান বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব হাজী মজিবুর রহমান ও সিনিয়র সদস্য মিলন ইসলাম খান।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
মির্জা ফখরুলের ব্যক্তিগত সহকারী এম ইউনুস আলী ইউএনবি জানান, মির্জা ফখরুল তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
তিনি জানান, ঘাড়ে ব্লকজসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে ফখরুলের সিঙ্গাপুরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ১৮ মার্চ বিএনপি নেতার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর মির্জা ফখরুল নানা শারীরিক সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে যান এবং হাসপাতালের অধ্যাপক শামসুল আরফিনের তত্ত্বাবধানে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, গত ২৯ অক্টোবর থেকে তিন মাসের বেশি সময়ে তাদের নেতা ফখরুলের ৬ কেজি ওজন কমেছে।
এর আগে ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট মেডিকেল চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যান ৭৭ বছর বয়সী বিএনপি মহাসচিব।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পতন অনিবার্য মনে করে বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
২০১৫ সালে একটি রাজনৈতিক মামলায় কারাগারে থাকার সময় তার অভ্যন্তরীণ ক্যারোটিড ধমনীর সমস্যা ধরা পড়ে।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি সিঙ্গাপুরে যান এবং এরপর থেকে প্রতি বছর ফলোআপ চিকিৎসার জন্য দেশটিতে যান।
২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির জনসভা ভন্ডুল হওয়ার একদিন পর গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা।
হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা ফখরুলের
বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে: রিজভী
দেশের বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে নিমজ্জিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রবিবার (৩ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বিএনপি নেতা বলেন, কাদের দাবি করেছেন দেশে শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন অথচ তার প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছিলেন, দেশে স্বল্প পরিসরে হলেও লোডশেডিং থাকবে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে লুটপাটে মরিয়া হয়ে উঠেছে: রিজভী
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ সকাল-সন্ধ্যা লোডশেডিংয়ে ভুগছে অথচ তাপমাত্রা এখনো সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
বিএনপি দেশের মানুষকে উপেক্ষা করে বিদেশি প্রভুর কাছে ধর্না দিচ্ছে- কাদেরের এই বক্তব্যের নিন্দা করেন রিজভী।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সম্ভবত স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে। কারণ তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচন ভুলে গিয়েছিলেন যখন ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুজাতা সিং আওয়ামী লীগকে তাদের সমর্থন করতে এবং এইচএম এরশাদকে নির্বাচনে যোগদান করানোর জন্য বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
এটি একটি সার্বভৌম দেশে হস্তক্ষেপের স্পষ্ট লক্ষণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল), সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, সহ অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে বিএনপির শোক
ঢাকার বেইলি রোডে ৬ তলা বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহত ও আরও অনেকে আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
শুক্রবার বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়। আর যারা হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে জীবনের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, তাদের কান্না-বেদনা খুবই হৃদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী।
ফখরুল বলেন, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা তাদের জানিয়েছেন- মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের ভবনটিতে ‘ফায়ার এক্সিট’ নেই: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধবসহ আমি গভীরভাবে শোকাহত। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন স্বজন হারানো পরিবারের সদস্যদের শক্তি ও ধৈর্য দান করুন।’
অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।
ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি নেতা বলেন, দেশে আইনের শাসনের অভাব এ ধরনের ঘটনা বৃদ্ধি ও বিপর্যয়কর পরিস্থিতির জন্য ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য জনগণকে জবাবদিহির দায়িত্ব সরকার মনে করে না, যা মানুষের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ও দুর্দশার কারণ।
আহতদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড: বুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা ফখরুলের
বুধবার গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতি দেন।
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো ক্ষুণ্ণ করে জনগনসহ বিরোধী দলগুলোর ওপর আরও তীব্র মাত্রায় দমনপীড়ন চালাচ্ছে, নির্মম নিষ্ঠুরতা দেখাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকে আরও একটি নির্মম বহিঃপ্রকাশ ঘটল গণতন্ত্র মঞ্চের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বর্বরোচিত হামলা, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকিসহ ৫০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে আহত করা এবং একজন নেতাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করার মধ্যে দিয়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এহেন পুলিশি হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গ্রেপ্তারদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’
বিএনপি মহাসচিব আহত জোনায়েদ সাকিসহ নেতা-কর্মীদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: পিলখানা বিদ্রোহের বিচার দীর্ঘায়িত হওয়ায় প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি
সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে বিএনপি জড়িত- পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এ ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘যত্নের অভাবে বা নির্যাতনে’ পুলিশ হেফাজতে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে: রিজভী
রিজভী বলেন, ‘পিলখানায় সেনা অভিযান না চালানো, খুনিদের আপ্যায়ন করা, সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা এবং অনেককে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় নানা প্রশ্ন ওঠে। সেসব প্রশ্ন তুলতে গিয়ে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। ২০১১ সালের ৩০ আগস্ট উইকিলিকসের ফাঁস করা গোপন তথ্য, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সাক্ষ্য, তাদের বিচার প্রক্রিয়া, তদন্ত কমিটির আংশিক প্রতিবেদন, দেশি-বিদেশি সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের তদন্ত প্রতিবেদন পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টা পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলামের শেষ বক্তব্য স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের অনেক সদস্যকে ঠান্ডা মাথায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর তাদের পেছনে ছিলেন এই সরকারের বিদেশি প্রভুরা।’
এদিকে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে বিএনপি ছিল এবং দেশের স্মার্ট অফিসারদের হত্যা করেছে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলামের সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করে রিজভী আরও বলেন, ‘হাছান মাহমুদ হয়তো স্বীকার করবেন না, কিন্তু সেদিন পিলখানায় যা ঘটেছিল, কারা করেছিল, কেন ঘটল, ঘটনার পেছনে কারা ছিল, কে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল- এসব সত্য গতকালও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সোমবার গণমাধ্যমে বিজিবির সাবেক এই মহাপরিচালকের সাক্ষাৎকার দেখে কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে? সাবেক ডিজির বক্তব্যে সেদিন জনগণ যা দেখেছে এবং বিশ্বাস করেছে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল সাবেক মহাপরিচালকের সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন- একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং তারা ঘটনার সময় বাইরে জয় বাংলা স্লোগান দেন। তাছাড়া বিদেশি উসকানির বিষয়ে তিনি যা বলেছেন, ঘটনার দিন থেকেই জনগণ তা বিশ্বাস করেছে। সাবেক এই মহাপরিচালক সাক্ষাৎকারে বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়নি। আমরা বলতে চাই, পিলখানা ট্র্যাজেডির রহস্য লুকিয়ে রাখা যাবে না, একদিন এর আসল রহস্য উন্মোচিত হবে এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
ক্ষমতা দখল করে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে আ.লীগ সরকার: রিজভী
পিলখানা বিদ্রোহের বিচার দীর্ঘায়িত হওয়ায় প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি
পিলখানা বিদ্রোহ মামলার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে বিদ্রোহে নিহতদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলার রায়ের কথা আমরা শুনেছি, কিন্তু রায়ের অবস্থা কী? রায়ে কি কোনো আপিল হয়েছে, আর ১৫ বছরেও শুনানি শেষ হয়নি কেন? এছাড়া ২০১১ সালে আরেকটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করা হয়। কেন এই মামলার বিচার এখনও বিলম্বিত হচ্ছে?’
আরও পড়ুন: সুসময় এলে সব গুম-হত্যার বিচার করবে বিএনপি: মিজানুর রহমান মিনু
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা শুধু একটি কথাই বলব, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক যেন সুশাসনের মাধ্যমে, আইনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পায়। এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।’
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী 'বিডিআর সপ্তাহ' চলাকালে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বর্তমানে বিজিবি) কয়েকশ সদস্য পিলখানা সদর দপ্তরের দরবার হলে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। এদিনের বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন।
পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সরকার ও বিডিআর বিদ্রোহীদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেড জমা দিয়ে বিদ্রোহের সমাপ্তি ঘটে।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
আওয়ামী লীগের পতন অনিবার্য মনে করে বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এবং সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে দায়ী করছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সিন্ডিকেট সরকার অদ্ভুত সব মন্তব্য করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ সরকার এখন এজন্য বিএনপিকে দায়ী করছে।’
শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, গণভবনে শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা সরকার উৎখাতের আন্দোলন করছে তাদের দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর কিছু কৌশল আছে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে লুটপাটে মরিয়া হয়ে উঠেছে: রিজভী
রিজভী বলেন, ‘তার এ ধরনের বক্তব্যের অর্থ হলো, তার স্বৈরশাসন পচে বিপথগামী হয়ে গেছে। তাই ডাহা মিথ্যাচার, অসত্য, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করা ছাড়া শেখ হাসিনার আর কোনো উপায় নেই। এই সমস্ত বক্তব্য একটি অশান্ত মনের বহিঃপ্রকাশ... এজন্য তিনি হাস্যকর মিথ্যাচারের আশ্রয় নিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, তবে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে দ্রব্যমূল্য সীমাহীনভাবে বেড়েছে। ‘ব্যর্থতা, লুটপাট, চুরি ও অপকর্মের জন্য নির্লজ্জভাবে বিএনপিকে দোষারোপ করা তাদের (সরকারের) পুরোনো অভ্যাস।’
রিজভী বলেন, যেহেতু শেখ হাসিনা সরকার প্রধান হিসেবে অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, তাই তিনি অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে ব্যর্থতার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে মিথ্যাচার চালাচ্ছেন। ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে লুটেরা সরকারের ন্যূনতম যোগ্যতা নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সব জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দামের মধ্যে সাধারণ মানুষ বেঁচে থাকার জন্য খুব কঠিন সময় পার করছে।
তিনি বলেন, সরকার নানা হুমকি দিলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, মার্কেট ম্যানিপুলেটররা এখন আওয়ামী লীগের শাসন নিয়ন্ত্রণ করছে।
‘প্রতিটি পণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে শুধু নিম্ন আয়ের মানুষ নয়, মধ্যবিত্তরাও চরম অসহায় হয়ে পড়েছে। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, রসুন, মুরগিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছে না মানুষ। গরিব মানুষের কাছে গরুর মাংস ও খাসির মাংস এখন আকাশের দূরবর্তী নক্ষত্রের মতো হয়ে উঠছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব গুরুতর অসুস্থ হলেও কারা কর্তৃপক্ষ তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা, 'তার (হাবিব) অবস্থা গুরুতর। কারাগারে তার চিকিৎসা হচ্ছে না এবং তাকে যথাযথ প্রেসক্রিপশন ও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি হাঁটতেও পারছেন না।’
সম্প্রতি ১৫ জন বিরোধী দলীয় নেতা কারাবন্দি অবস্থায় মারা যাওয়ায় অসুস্থ হাবিবের উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা দখল করে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে আ.লীগ সরকার: রিজভী
‘যত্নের অভাবে বা নির্যাতনে’ পুলিশ হেফাজতে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে: রিজভী
আওয়ামী লীগের পতন অনিবার্য মনে করে বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের’ দাবিতে বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারে পরিবর্তন আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা নজরুল ইসলাম খান।
বিএনপির আন্দোলনের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে আওয়ামী লীগ কথা বলতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর তাদের ক্ষমতায় আসতে ২১ বছর লেগেছিল।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা ক্ষমতার পরিবর্তন চাই এবং বিশ্বাস করি যে এটি অনিবার্যভাবে ঘটবে।’
গত বছর গ্রেপ্তারের ছয় দিন পর হাসপাতালে মারা যাওয়া বিএনপি নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুলের গোপীবাগের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা বুলবুল গত ৩০ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
বিএনপির অভিযোগ, নির্যাতনের ফলে হেফাজতে বাবুলের মৃত্যু হয়েছে।
গাজীপুর কারাগারে পাঠানোর ছয় দিন পর ৩০ নভেম্বর মারা যান ঢাকার সমাজকর্মী ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল।
আরও পড়ুন: বিএনপি রোজা-রমজান, ঈদ কোনোটাই মানে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সময়ের দাবি অনুযায়ী তাদের বিভিন্ন কর্মসূচি ও কৌশল প্রণয়ন করে।
তিনি বলেন, ‘১৯৯০ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধেসহ অতীতে বিভিন্ন আন্দোলনে তাদের দল বিজয়ী হয়েছে। ২০০৭ সালে সরকার রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থার সময় নির্বাচন করতে চেয়েছিল কিন্তু আমাদের বাধার মুখে তা করতে ব্যর্থ হয়েছিল। আমরা এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ প্রবর্তিত একদলীয় শাসন বাকশাল বাতিল করে তাদের দল বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। বিএনপিও সামরিক স্বৈরাচারের অবসান ঘটিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। সেজন্য এই বিএনপি আগামীতে বাংলাদেশে আবারও গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যুগপৎ আন্দোলন করছে।
তিনি বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) আমাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারছে না বলে অভিযোগ করছে। বিএনপি ১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে। তারা ১০-১২ বছর আগে থেকেই বলে আসছে, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার মতো শক্তি বিএনপির নেই। তারা (আওয়ামী লীগ) ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল। এ সময় তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছিল নাকি সোজা ছিল?’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ২১ বছর পর যখন ক্ষমতায় আসতে সময় লেগেছিল, তখন বিএনপির গতিবিধি নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার আওয়ামী লীগের নেই।
সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতা দখলের অভিযোগ তুলে তিনি সুশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে কোনো ব্যক্তির স্বজনরা বিনা অপরাধে স্বজন হারানোর বেদনায় কান্নাকাটি করতে না পারে। কেউ অপরাধ করলে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। কিন্তু এখন কী হচ্ছে?
বিএনপি নেতা বুলবুলের হেফাজতে মৃত্যুকে ‘হত্যার ঘটনা’ আখ্যায়িত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
বিএনপির হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে নজরুল বুলবুলের শোকসন্তপ্ত স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ-জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা 'জনবিরোধী', নিষ্ঠুর: বিএনপি
সুসময় এলে সব গুম-হত্যার বিচার করবে বিএনপি: মিজানুর রহমান মিনু
সুসময় এলে সব গুম-হত্যার বিচার করবে বিএনপি: মিজানুর রহমান মিনু
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, ‘বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘ছয় শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করে ফেলা হয়েছে। এসব ঘটনার কোনো বিচার হয়নি। সুসময় এলে সব গুম-হত্যার বিচার করবে বিএনপি।’
আরও পড়ুন: খুলনায় অপহৃত কলেজছাত্র আমিনুরের মরদেহ উদ্ধার
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নওগাঁয় গুপ্ত হামলায় নিহত বিএনপির নেতা কামাল আহমেদ ও কারাবন্দী অবস্থায় মারা যাওয়া বিএনপি নেতা মতিবুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।
মিজানুর রহমান বলেন, কামাল আহমেদকে হত্যার পর তিন মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এমনকি এ ঘটনার রহস্য পর্যন্ত উদ্ঘাটন করতে পারেনি।
‘অথচ নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা ও এলাকাবাসী সবাই জানেন, কামালকে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা জড়িত। ঘাতকদের সবাই চেনে। বিএনপির সুসময় এলে এ হত্যার বিচার করা হবে। সব অন্যায়ের প্রতিশোধ নেওয়া হবে। ‘
এ সময় নিহত বিএনপি নেতা কামাল আহমেদের স্ত্রী ও সন্তানদের সান্ত্বনা দেন মিজানুর রহমান৷ শিগগিরই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিহত বিএনপি নেতাদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপির ঢাকা উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুলসহ ৪ জন গ্রেপ্তার: রিজভী
রাসিক নির্বাচনে বিএনপির কেউ অংশ নিলে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে: মিনু