������������������
বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করতে চায় আ. লীগ: ড. মঈন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিজেদের ক্ষমতা আরও পাকাপোক্ত করতে বিরোধী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মঈন খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য বিচার বিভাগ ও সংসদ উভয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা এখন বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। এটাই আওয়ামী লীগের মানসিকতা।’
আরও পড়ুন: জনসমর্থন নেই বলেই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হবে: মঈন খান
তিনি আরও বলেন, ‘মূল কথা হলো, এই শাসকগোষ্ঠী গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই দেশের বিরোধী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করতে চায়।’
আওয়ামী লীগের বিপরীতে বিএনপি শুধু ক্ষমতায় না গিয়ে দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে বলে দাবি করেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘গত দেড় বছর ধরে আমরা যে আন্দোলন করছি তা কেবল দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা ক্ষমতার লোভ করি না।’
তিনি বলেন, তাদের দলের লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতার পরিবর্তন আনা। যাতে দেশের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরে আসে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেন, জনগণের অর্থ লুটপাট, সম্পদ ও সম্পদ কুক্ষিগত করা এবং বিদেশে অভিজাত এলাকায় দ্বিতীয় বাড়ি গড়ে তোলার অধিকার বাংলাদেশের জনগণ কোনো রাজনৈতিক দলকে দেয়নি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেই কারণে স্বাধীন হয়নি।’
এর আগে বিএনপির সহযোগী সংগঠন বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঈন খানের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের নেতা-কর্মীরা জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
তারা সেখানে জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোজাজাত করেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মঈন বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে প্রতিটি আসনের জন্য সরকার আগে থেকেই বিজয়ী বাছাই করে ফলাফল পূর্বনির্ধারিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘এ কারণে দেশের মানুষ নির্বাচন বর্জন করেছে।’
আরও পড়ুন: জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদ বা সরকার গঠিত হয়নি: ড. মঈন
তিনি বলেন, সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে বলেই এদেশে গণতন্ত্র নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এমনকি প্রধান প্রধান আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও ম্যাগাজিনগুলোও বলছে- বাংলাদেশে বাকশাল-২ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির ‘শান্তিপূর্ণ’ সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হামলা বিরোধী দলের উপর সরকারের দমন-পীড়ন বলেও মন্তব্য করেন ড. মঈন।
মঈন বলেন, ‘এমনটাই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। সেই দমন-পীড়নের মাধ্যমে সরকার আবারও এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। সুতরাং ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ ও সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না।’
ড. মঈন বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে তাদের দল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, গরিবের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং পাকিস্তানিদের স্বৈরাচার ও শোষণ থেকে মুক্তি পেতে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে দেশের মানুষ দেশ স্বাধীন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে মুছে ফেলে, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার ‘তাসের ঘরের মতো’ ভেঙে পড়বে: মঈন খান
ফখরুলের স্বাস্থ্যের অবনতিতে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের
দুর্বল শরীর ও অসুস্থতার নানা উপসর্গ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে (বিএসএইচ) চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেছেন।
শনিবার(১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আরেফিন তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দিয়েছেন এবং তার গুলশানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপি মহাসচিব অসুস্থ ছিলেন। তার প্রায় ৬ কেজি ওজন কমেছে এবং তার শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছে।’
ডা. জাহিদ বলেন, মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে গেলে অধ্যাপক শামসুল আরেফিন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ দেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে এবং বাসায় থেকেই তার চিকিৎসা চলছে। ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আগামী বৃহস্পতিবার তাকে আবার হাসপাতালে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে: জেল থেকে বেরিয়ে ফখরুল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে বন্দি থাকার পর জামিনে মুক্তি পান ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এর আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় বুধবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) মির্জা ফখরুল ও খসরুকে জামিন দেন ঢাকার একটি আদালত।
গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল, খসরুসহ বিএনপির ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
সমাবেশে সহিংসতার ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি ও খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল ও ৩ নভেম্বর গুলশানের বাসা থেকে খসরুকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: দখলদারিত্বের নতুন নজির স্থাপন করেছে আ.লীগ সরকার: বিএনপি
দখলদারিত্বের নতুন নজির স্থাপন করেছে আ.লীগ সরকার: বিএনপি
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অপমান করেই সরকার ক্ষান্ত হয়নি, বরং তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জেষ্ঠ নেত্রী সেলিমা রহমান।
তিনি বলেন, ‘জনগণ দেখছে তাদের (সরকারের) স্বৈরশাসন এবং কীভাবে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠানে জবরদখল করা হচ্ছে। তারা তাকে অপমান করেছে... এখন তার টেলিকম ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে দখল হয়ে গেছে।’
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এই অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা দখল করে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে আ.লীগ সরকার: রিজভী
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরশাসন সর্বব্যাপী, কারণ এটি দখলদারিত্বের নতুন নজির স্থাপন করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান আরও বলেন, ক্ষমতাসীনরা ধর্ষণ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত।
তিনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনা আপনারা শুনেছেন। প্রতিদিন নারীরা কীভাবে নির্যাতিত ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে।’
দেশের মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এদেশে এখন মায়েরা ধর্ষণ ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ‘অনিয়ম সর্বত্র থাকার কারণে এগুলোর কোনো প্রতিকার নেই।’
সেলিমা বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের রাজনীতিকরণের কারণে নির্যাতিত নারী ও নিপীড়িত জনগণ মানুষের কাছে থেকেও সহযোগিতা পায় না এবং বিচার বিভাগের কাছ থেকেও বিচার পায় না।
আরও পড়ুন: লুটপাটের টাকা ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত করছে আ.লীগ: বিএনপি
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ কারাবন্দী বিরোধী দলের নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন।
সেলিমা বলেন, সব জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দাম সামাল দিতে দেশের মানুষ কঠিন সময় পার করছে।
তিনি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমাতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেন।
বর্তমান 'ফ্যাসিবাদী' সরকারকে বিদায় করে একটি গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে নামার জন্য সর্বস্তরের জনগণকে আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভবনটি সরকারপন্থীরা দখল করেছে। তিনি বলেন, 'তিনি (মুহাম্মদ ইউনূস) নিজেই বলেছেন, তিনি পুলিশের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না।’
বর্তমান সরকার ক্ষমতা থেকে না ছাড়া পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ‘আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, বর্তমান ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে এদেশের মানুষ বিপদে পড়বে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের রাজনীতি, নির্বাচন ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ধ্বংস করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে যাচ্ছে সরকার।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে: জেল থেকে বেরিয়ে ফখরুল
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে: জেল থেকে বেরিয়ে ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিজয় না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকারের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
কারাগার থেকে বের হওয়ার পরপরই তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'জনগণের বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-খসরুর জামিন
বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন করে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপির কোনো ক্ষতি হয়নি, আন্দোলনেরও ক্ষতি হয়নি। ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সব সময় গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছে, সংগ্রাম করেছে। ‘ইনশাল্লাহ এই লড়াইয়ে তারা (জনগণ) জয়ী হবেই।’
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রায় গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে তিন মাস আটক থাকার পর জামিনে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, জামিনের আদেশ কেরাণীগঞ্জের কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানোর পর বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে তারা কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।
জেলগেটে তাদের স্বাগত জানান দলের নেতাকর্মী ও দলের শীর্ষ দুই নেতার স্বজনরা।
ফখরুল ও খসরু কারা গেটে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আমীর খসরু বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করেছে, কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ‘নির্বাচনে তারা জনগণের কাছে নৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ‘গণতন্ত্র ও জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত এটা অব্যাহত থাকবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্রের পক্ষে রায় দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফখরুল-খসরু জামিনে মুক্ত
নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, রাজপথে সরকারবিরোধী আন্দোলন পরিচালনার জন্য বিএনপিসহ সব গণতন্ত্রপন্থী দলের মনোবল যথেষ্ট শক্তিশালী।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ চলার সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় মির্জা ফখরুল ও খসরুকে জামিন দেন আদালত।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের আবেদনের শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল, খসরুসহ বিএনপির ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
সমাবেশে সহিংসতার ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি ও খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল ও ৩ নভেম্বর গুলশানের বাসা থেকে খসরুকে আটক করে পুলিশ। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়ে তাদের মুক্তির পথ সুগম হয়।
আরও পড়ুন: আজ মুক্তি পেতে পারেন ফখরুল-খসরু
ফখরুল-খসরু জামিনে মুক্ত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে বন্দী থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, জামিনের আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানোর পর বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে তারা কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মী ও দলের শীর্ষ দুই নেতার স্বজনরা জেলগেটে এই দুজনকে অভ্যর্থনা জানান।
শায়রুল বলেন, কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তারা স্বজনদের নিয়ে সরাসরি নিজ নিজ বাসভবনে যান।
আরও পড়ুন: আজ মুক্তি পেতে পারেন ফখরুল-খসরু
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় মির্জা ফখরুল ও খসরুকে জামিন দেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের তাদের জামিন আবেদন শুনানির পর মঞ্জুর করেন।
গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল, খসরুসহ বিএনপির ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
সমাবেশে সহিংসতার ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি ও খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল ও ৩ নভেম্বর গুলশানের বাসা থেকে খসরুকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-খসরুর জামিন
আজ মুক্তি পেতে পারেন ফখরুল-খসরু
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের সবগুলো মামলার জামিনের পরে ‘প্রোডাকশন ওয়ারেন্টসমূহ’ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে আইনজীবীরা।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, দলের দুই শীর্ষ নেতার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার এ কথা জানান।
তারা বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে যেসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই সব মামলায় আদালত থেকে উনার জামিন পেয়েছেন। যেহেতু ওইসব মামলায় আদালতে হাজিরার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট ছিল সেসব ওয়ারেন্টসমূহ প্রত্যাহার করার আইনি বিধান রয়েছে।’
তারা আরও জানান, ‘আমরা ওইসব প্রডোকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের জন্য কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছি। এগুলো দুপুরে শেষ হলে উনারা মুক্তি পাবেন। আমরা আশা করছি, বিকালেই প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের কাগজ কারাগারে পৌঁছে যাবে।’
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-খসরুর জামিন
মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, বিএনপি মহাসচিবের ১৩টি মামলায় প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট রয়েছে।
ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের বুধবার বিএনপির এ দুই জ্যেষ্ঠ নেতার জামিন মঞ্জুর করেন। এই মামলার জামিনের আগে আরও ১০টি মামলায় তাদের জামিন হয়েছে।
আইনজীবী জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা জামিন হয়ে যাওয়ায় এখন তাদের মুক্তি পেতে আর কোনো বাধা নেই।’
গত বছরের ২৯ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এবং ২ নভেম্বর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গুলশানের তাদের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং পরে ২৮ অক্টোবর বিএনপিরর মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন মঞ্জুর
৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন, বিচারাধীন আরও ২ মামলা
লুটপাটের টাকা ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত করছে আ.লীগ: বিএনপি
সারাদেশে সামাজিক নৈরাজ্য এখন চরম আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, ক্ষমতাসীনরা এখন লুটপাটের অর্থ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি নিয়ে দলের অভ্যন্তরেই রক্তপাত করছে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সারা বাংলাদেশে সামন্ততন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভুল রাজনীতির চোরাবালিতে আটকে গেছে: কাদের
রিজভী বলেন, দেশ গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে চলছে ভয়াবহ নৈরাজ্য। সামাজিক ক্ষেত্রে এখন কী ঘটছে? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যৌন হয়রানির আস্তানায় পরিণত হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, ‘কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগের ক্যাডাররা এক যুবককে কুপিয়ে ১০ টুকরো করে হত্যা করেছে। ছাত্রলীগের সজীব নিজেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তি... দিয়েছে। তারা এখন শুধু বিএনপির (অনুসারীদের) ওপর হামলা চালাচ্ছে না, বরং লুণ্ঠিত অর্থের ভাগ আদায়ে দলের মধ্যে একে অপরকে হত্যা করছে।’
ক্রমবর্ধমান সামাজিক নৈরাজ্যের ফলে দেশ এখন এক বিপজ্জনক ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল ও নতুন করে নির্বাচনের দাবিতে তাদের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর গুলশান এলাকায় পথচারী, দোকান মালিক, পরিবহন শ্রমিক ও রিকশাচালকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন রিজভী।
'সেভ দ্য কান্ট্রি, সেভ দ্য পিপল' শীর্ষক লিফলেটে ৭ জানুয়ারির একতরফা ডামি নির্বাচন বাতিল, শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা ও সব মহানগরীতে লিফলেট বিতরণ করেছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: বিএনপি হতাশা কাটিয়ে কোমর সোজা করে দাঁড়াক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
'একতরফা' দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতাসীনদের নেতারা ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘দখলদার সরকার মনে করছে, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর তারা বাংলাদেশের মালিক হয়ে গেছে। এই সামন্ততন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই থেমে থাকবে না। জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।’
তিনি দাবি করেন, বিএনপি ও সমমনা দলগুলো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং দেশের মালিক হিসেবে জনগণের ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের জন্য রাজপথে আন্দোলন করছে। তিনি বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য এটা (আন্দোলন) নয়। এটা জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াই।
সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ও আজ্ঞাবহ নীতির কারণে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশিদের পাখির মতো গুলি করে মারা হচ্ছে। টেকনাফ-উখিয়া সীমান্তে নিয়মিত গোলাগুলি হচ্ছে। বাংলাদেশের কৃষকরা কাজ করতে পারছেন না, আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন, কিন্তু আমাদের সরকার নীরব। এ অবস্থা চলতে পারে না।’
আরও পড়ুন: নেতৃত্বের পরিবর্তন ছাড়া বিএনপির রাজনীতি আর কখনো সচল হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-খসরুর জামিন
প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, যেহেতু তার মক্কেলরা তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলায় জামিন পেয়েছেন তাই জেল থেকে বের হতে আর কোনো বাধা নেই।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন মঞ্জুর
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
ওই মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি এবং খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন, বিচারাধীন আরও ২ মামলা
ক্ষমতা দখল করে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে আ.লীগ সরকার: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গত মাসে অনুষ্ঠিত ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা দখল করে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করছে।
তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রহসনের ডামি নির্বাচনকে দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করার পর তারা (সরকার) এখন তাদের ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করছে। তারা যে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে সেটাও জনগণের কাছে প্রকাশ করার চেষ্টা করছে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে দলের নতুন কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় বিএনপির লিফলেট বিতরণের আগে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভঙ্গুর গণতন্ত্র দেখতে চায় ভারত: রিজভী
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন নিশ্চিত করতে দেশের মানুষ জেগে উঠেছে।
তিনি বলেন, ‘ডামি নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেছি।’
জিয়াউর রহমানের আমলে সেনাবাহিনীর ওপর অনেক দমনপীড়ন হয়েছে এবং অনেককে ফাঁসির মঞ্চে পাঠানো হয়েছে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, যারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সবকিছু করেছেন তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা।
তিনি বলেন,‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) সেনা কর্মকর্তাদের গুম করে দিয়েছেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী কোথায়? আপনার সরকারের আমলে তাকে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ‘যত্নের অভাবে বা নির্যাতনে’ পুলিশ হেফাজতে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে: রিজভী
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭২-১৯৭৫ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ ও অন্যান্য বিরোধী দল ও ভিন্নমতাবলম্বীর প্রায় ২০ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। ‘একইভাবে এই সরকারের আমলে অসংখ্য বিরোধী দলের নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলমসহ অনেককে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে।’
পরে রিজভীসহ দলীয় কয়েকজন নেতাকর্মী ওই এলাকার পথচারী, দোকান মালিক, পরিবহন শ্রমিক ও রিকশাচালকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।
'সেভ দ্য কান্ট্রি, সেভ দ্য পিপল' শীর্ষক লিফলেটে ৭ জানুয়ারির একতরফা ডামি নির্বাচন বাতিল, শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।
দেশব্যাপী দলের কর্মসূচির অংশ হিসেবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমাতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে মঙ্গলবারও সব মহানগর শহরে লিফলেট বিতরণ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণসহ ছয় দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে লুটপাটে মরিয়া হয়ে উঠেছে: রিজভী
‘যত্নের অভাবে বা নির্যাতনে’ পুলিশ হেফাজতে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে: রিজভী
গত ২৮ অক্টোবরের আগে ও পরে কারাগারে মারা যাওয়া ১৫ নেতা-কর্মীর তালিকা পেশ করেছে বিএনপি।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ তালিকা তুলে ধরেন।
রিজভী দাবি করেন, বিএনপির ১৫জন নেতা-কর্মী কারাগারে পর্যাপ্ত চিকিৎসা বা ওষুধ না পেয়ে এবং পুলিশ রিমান্ডে নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছেন।
তিনি বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে মৃত্যুর পর কারা কর্তৃপক্ষ একই ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছে। ‘বাস্তবতা হলো, তারা কারাগারে মারা গেছেন, হাসপাতালে নয়।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধারের দাবি পুলিশের
কারাগারে বন্দি অবস্থায় মৃতরা হলেন- খুলনা জেলা যুবদল নেতা কামাল হোসেন মিজান, সাতক্ষীরা বিএনপি নেতা উকিল আবদুস সাত্তার, মহসিন-উল-মুলক, রংপুর বিএনপি নেতা মনোয়ারুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা ইদ্রিস আল বাশার, ইমতিয়াজ আহমেদ, গাজীপুরের বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান খান হীরা, মোহাম্মদ শফিউদ্দিন মাস্টার, পাবনা বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি নেতা গোলামুর রহমান গোলাপ, নাটোর যুবদল নেতা আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী যুবদল নেতা মনিরুল ইসলাম, নওগাঁ বিএনপি নেতা মতিবুল মণ্ডল ও ঢাকা মহানগর শ্রমিক দল নেতা ফজলুর রহমান কাজল।
‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলতে চায়, তাদের বক্তব্যের পক্ষে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ দেখাতে হবে’-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘যারা অপরাধ করে তারা নিজেদের নির্দোষ মনে করে। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) নিজেই নির্বাচনে জালিয়াতির সবচেয়ে বড় প্রমাণ। কারণ আপনার নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনের সচিব নিজেই বলেছেন, যারা জয়ী হবেন তাদের তালিকা ডিসিদের দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, এমনকি ক্ষমতাসীন দলের পরাজিত প্রার্থীরাও সংবাদ সম্মেলন করে ভোট জালিয়াতির তথ্য জাতির সামনে তুলে ধরেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের মানুষের বর্জনের পাশাপাশি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও বিভিন্ন নির্বাচনি অনিয়ম ও ভোটকেন্দ্র ফাঁকা চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, একতরফা ডামি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার কীভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর চরম দমন-পীড়ন শুরু করে এবং শত শত বিরোধী নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠায় তা দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও জানে।
বিএনপি নেতা বলেন, এমনকি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদও স্বীকার করেছেন যে ভারত আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে ক্ষমতায় রেখেছে।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আপনি মিথ্যা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে পারবেন না।’
আরও পড়ুন: সরকারের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় বিপদাপন্ন হয়ে পড়েছে সীমান্ত : বিএনপি
মঙ্গলবার থেকে বিএনপির ৬ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা