������������������
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. জাহিদ, সদস্য সচিব কাদের গণি
অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনকে আহ্বায়ক করে বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের একটি প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কাদের গণি চৌধুরীকে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৭ম বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি
বুধবার এ কমিটির অনুমোদন দিয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ইউএনবিকে এই তথ্য জানান।
বিএনপির সহসভাপতি ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এই প্ল্যাটফর্মের আগের কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন।
কমিটি গঠনের আগে গত ১৮ ও ২৭ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের সঙ্গে দুইবার বৈঠক করেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
আরও পড়ুন: ৪ জেলায় বিএনপির কমিটি ঘোষণা
যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বসেছে বিএনপি
৪ জেলায় বিএনপির কমিটি ঘোষণা
দলকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে ঢাকা, ভোলা, বরিশাল ও নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে ঢাকা জেলা শাখায় খন্দকার আবু আশফাককে সভাপতি ও নিপুণ রায় চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
এছাড়া কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে খন্দকার শাহ মইনুল হোসেন বিল্টু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে শামসুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এরফান ইবনে আমান অমিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অমি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা, ৩ ছাত্রদল নেতা আটক
এদিকে, গোলাম নবী আলমগীরকে আহ্বায়ক, শফিউর রহমান কিরণকে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাইসুল আলমকে সদস্য সচিব করে ভোলা জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।আবুল হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবুল কালাম শাহীনকে সদস্য সচিব করে বরিশাল দক্ষিণ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে বিএনপি।
গিয়াস উদ্দিনকে আহ্বায়ক ও গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা গঠন করেছে দলটি।এছাড়া মামুন মাহমুদকে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক এবং মনিরুল ইসলাম রবি, শহিদুল ইসলাম টিটু, খন্দকার মাশুকুল ইসলাম রাজীব, লুৎফর রহমান খোকা, মোশাররফ হোসেন ও জুয়েল আহমেদকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপির কার্যালয় আ.লীগ নেতাকর্মীদের ভাঙচুরের অভিযোগ
যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বসেছে বিএনপি
সিলেটে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা, ৩ ছাত্রদল নেতা আটক
বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রীকে বহনকারী একটি গাড়িবহর মঙ্গলবার হামলার শিকার হয়। সেসময় ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সিলেট বিভাগীয় সমাবেশের পক্ষে তিনি প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।
তবে এ ঘটনায় ছাত্রদলের তিন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- ওসমানীনগর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সল আহমদ, ছাত্রদল নেতা নুরুল ইসলাম ও শাহেদ আহমদ।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপির কার্যালয় আ.লীগ নেতাকর্মীদের ভাঙচুরের অভিযোগ
ইলিয়াস আলীর স্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদির লুনা বিকালে জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালবাজারে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার গাড়িতে উঠলে ছাত্রলীগের একটি দল এ হামলা চালায় বলে স্থানীয় বিএনপির অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে।
হামলায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ মিসবাহও আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে তারা।
হামলার পরপরই বিএনপির এই নেতার গাড়িবহর তাকে নিয়ে তাজপুর বাজারের উদ্দেশে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এখানেই তিনি আসন্ন সমাবেশের জন্য লিফলেট বিতরণ করছিলেন।
সেখান থেকে তিনি দয়ামীর বাজারে যান এবং সেখানেই পুলিশ তার সঙ্গে প্রচারণা চালাতে থাকা তিন ছাত্রদল নেতাকে আটক করে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম হামলায় তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
তিনি দাবি করেন যে হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয় এবং বিএনপি মিথ্যা অভিযোগ করছে।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাঈন উদ্দিন নিশ্চিত করেন যে তারা গাড়িবহর হামলার সঙ্গে জড়িত তিন ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বসেছে বিএনপি
ফখরুলের সঙ্গে কানাডা রাষ্ট্রদূতের বৈঠক, আলোচনায় নির্বাচন ও মানবাধিকার
নাটোরে বিএনপির কার্যালয় আ.লীগ নেতাকর্মীদের ভাঙচুরের অভিযোগ
নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌর বিএনপির কার্যালয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও কার্যালয়ের মূল্যবান জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন যে স্থানীয় নেতা মুস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাত ৯টার দিকে কার্যালয়ের ভেতরে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা করার সময় অতর্কিত হামলা চালায়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে নিজেদের রক্ষা করেন।’
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান জানান যে তারা এ ব্যাপারে কারো কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি।
আরও পড়ুন: আইএমএফের লোন নিলে আরও ভারী হবে ঋণের বোঝা: বিএনপি
বিএনপি নয়, আ.লীগ ‘আগুন সন্ত্রাসের’ মূল পরিকল্পনাকারী: ফখরুল
সিলেটে কামাল হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুলের বিবৃতি
যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বসেছে বিএনপি
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও এর অধীনে আগামী নির্বাচন করার দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে সংলাপে বসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এ সংলাপ শুরু হয়।
এরআগে চলতি বছরের ৮ আগস্ট ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের লক্ষ্যে সাতটি বিরোধী দলের নতুন প্লাটফর্ম ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ গঠিত হয়।
জোটটির শরীক দলগুলো হচ্ছে- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
গণতন্ত্র মঞ্চ গঠনের পর এটাই বিএনপির সঙ্গে তাদের প্রথম বৈঠক।
আরও পড়ুন: শিগগিরই সরকারবিরোধী ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের রূপরেখা পেশ করা হবে: ফখরুল
ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য জাতীয় ঐক্য গড়তে বিএনপির দ্বিতীয় পর্বের সংলাপের অংশ হিসেবে ফখরুল বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বসেন।
পরিকল্পিত যুগপৎ আন্দোলনের দাবিগুলো চূড়ান্ত করতে এ বছরের ২ অক্টোবর দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু করে বিএনপি।
এর আগে, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করার জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করার রূপরেখা তৈরি করতে ২৪ মে থেকে শুরু হওয়া সংলাপের প্রথম পর্বে বিএনপি ২৩ টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছিল।
আরও পড়ুন: 'গণতন্ত্র মঞ্চ' রাজনীতিতে গুরুত্বহীন: তথ্যমন্ত্রী
রাজধানীতে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ বিরোধীদের পক্ষে
ফখরুলের সঙ্গে কানাডা রাষ্ট্রদূতের বৈঠক, আলোচনায় নির্বাচন ও মানবাধিকার
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার ডা. লিলি নিকোলস বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করেছেন।
এসময় বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
সোমবার দুপুর দেড়টায় নিকোলস বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে পৌঁছান। সেখানে ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে 'রুদ্ধদ্বার' বৈঠক করেন তিনি।বৈঠক শেষ হয় বেলা ৩টা ১০ মিনিটে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
পরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বৈঠক ও আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের জানান।
‘আমাদের খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট, বিশেষ করে মানবাধিকার, আমাদের নির্বাচন, আইনের শাসন এবং জনজীবনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সব বিষয় নিয়ে কথা বলেছি।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের নামে আর খেলা নয়: ফরিদপুরের জনসভায় ফখরুল
খসরু বলেন, কানাডা মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, জনজীবনের নিরাপত্তা, আইনের শাসন এবং সুশাসনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। ‘কানাডা এবং অন্যান্য কিছু দেশ সবসময় এই বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেয়।’
তিনি বলেন, কানাডা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকারকে দ্বিপাক্ষিকভাবে বলে আসছে যে এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।
বাংলাদেশের জনগণ, গণতান্ত্রিক দেশ, বহুপাক্ষিক সংস্থা এবং সারা বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতো কানাডাও অনেক বিষয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ তারা গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারকে গুরুত্ব দেয়।
পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে কানাডা কী বলেছে জানতে চাইলে খসরু বলেন, তারা ভেতরে কী আলোচনা করেছেন তা তিনি বিস্তারিত বলতে পারবেন না। ‘আমরা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কিত সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। তবে আমরা কী আলোচনা করেছি তা বিশদভাবে বলার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপির পরবর্তী নির্বাচনে যাওয়ার কোনও কারণ নেই এবং বিএনপি এই অবস্থানে কঠোর।
আরও পড়ুন: সিলেটে কামাল হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুলের বিবৃতি
তিনি বলেন, একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকারকে হটিয়ে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেখানে জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। ‘আওয়ামী লীগ, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যরা পরবর্তী নির্বাচন সম্পর্কে কি বলবে তা নিয়ে আমরা কম চিন্তিত।’
খসরু বলেন, বাংলাদেশ ও কানাডা দীর্ঘদিন ধরে বৈচিত্র্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে আসছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কানাডায় প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। কারণ ২০০৩ সালে বিএনপি সরকারের আমলে দেশটি বেশিরভাগ পণ্যের জন্য বাংলাদেশকে কানাডায় বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছিল।’
এ ছাড়া বিএনপির নেতা বলেন, গম, ডালসহ অনেক প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য আমদানির জন্য কানাডা বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। ‘কানাডা এখন আমাদের বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে।’
কানাডায় অনেক বাংলাদেশি বসবাস করছে এবং তারা সে দেশের অর্থনীতি ও সমাজে অবদান রাখছে।’
আরও পড়ুন: জনগণ সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে: মির্জা ফখরুল
সিলেটে ৭ম বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি
‘সরকারি বাহিনীর গ্রেপ্তার ও হয়রানির’ হুমকি উপেক্ষা করে ১৯ নভেম্বর ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সিলেট নগরীতে সপ্তম বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসায় সমাবেশের মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
জেলা বিএনপির নেতারা জানান, আগের অভিজ্ঞতা থেকেই নেতাকর্মীদের কৌশলগত নির্দেশনা দিয়েছেন। অন্য জেলা থেকে যে নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিতে আসবেন তাদের বাড়িতে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
আগের মতো সমাবেশকে সামনে রেখে পরিবহন ধর্মঘটের আশঙ্কায় সদর উপজেলার নেতাকর্মীদের কয়েকদিন আগেই শহরে আসতে বলা হয়েছে। দলের উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরও একই নির্দেশনা দেয়া হয়।
১৭ নভেম্বর কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেটে আসবেন। এ জন্য ওই দিন থেকে নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নেবেন।
এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ জানান, ১৯ নভেম্বরের আগে জেলায় কোনো ধরনের পরিবহন ধর্মঘটের খবর তিনি পাননি। এখন পর্যন্ত তিনি পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের কোনো খবর পাননি।
আরও্র পড়ুন: সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ একদিন এগিয়ে ১৯ নভেম্বর
তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হলে গণমাধ্যমকে আগেই জানানো হবে।’
সিলেট মহানগরের সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারাও সমাবেশ সফল করতে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
দলীয় নেতাকর্মীরা ক্ষমতাসীন দল ও প্রশাসনের নানা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, সকল প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সিলেটের জনসভা সফল করবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বিক সহযোগিতা করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এখানকার বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশ কমিশনারকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন।
এছাড়া ১০ নভেম্বর সমাবেশ সফল করতে ছয়টি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান আব্দুল কাইয়ুম।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার নিশারুল আরিফ বলেছেন, সমাবেশকে সামনে রেখে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে পুলিশের অভিযানের অভিযোগ সত্য নয়।
এসএমপি কমিশনার বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তার করা পুলিশের একটি নিয়মিত কাজ। অহেতুক কাউকে হয়রানি করা পুলিশের উদ্দেশ্য নয়।’
চলমান আন্দোলনের ধারা অব্যাহত রাখার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করবে বিএনপি।
আরও্র পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশ শুরু
বরিশালের বঙ্গবন্ধু পার্কে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল
আইএমএফের লোন নিলে আরও ভারী হবে ঋণের বোঝা: বিএনপি
বিএনপি অভিযোগ করেছে যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার লোন জনগণের ঋণের বোঝাকে ভারী করে তুলবে। কারণ সরকার 'ব্যাপক লুটপাটের' মাধ্যমে জাতীয় কোষাগার খালি করেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আপনি আইএমএফ থেকে ঋণ নিচ্ছেন এটা ভালো কথা, কিন্তু কীভাবে শোধ করবেন? আপনি ইতোমধ্যেই রিজার্ভ শেষ করে ফেলেছেন এবং আপনি সমস্ত অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। আপনি কীভাবে এবং কোন খাতে অর্থ ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করছেন না। সুতরাং, আপনি জনগণের ওপর আরেকটি ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা: মির্জা ফখরুল
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি আরও বলেন, সরকারের আইএমএফের ঋণ দরকার। কারণ এরই মধ্যে তারা চুরি করে সরকারি কোষাগার খালি করেছে।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ‘বেসামরিক-সামরিক অভ্যুত্থান’ স্মরণে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদেও এ সমাবেশ করা হয়।
এর আগে বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নিশ্চিত করেছেন যে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পাবে এই আশার মধ্যে যে ঋণদাতা সংস্থাটি আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ঋণের প্রথম কিস্তি ছাড় দেবে।
ফখরুল বলেন, করোনাভাইরাস যখন দেশে আঘাত হানে তখন তাদের দল সরকারকে মেগাপ্রকল্প বন্ধ করার পরামর্শ দেয়। যাতে বরাদ্দকৃত অর্থ দরিদ্র মানুষের সুরক্ষায় ব্যবহার করা যায়। ‘কিন্তু তারা তাতে কর্ণপাত করেনি। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।’
তিনি বলেন, একজন বাংলাদেশি বিদ্যুৎ ব্যবসায়ী সিঙ্গাপুরের ধনকুবেরদের একজন হয়ে উঠেছেন, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের নামে কত টাকা পাচার হয়েছে তা প্রকাশ করেছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, হুন্ডি ব্যবসা এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নানাভাবে বিদেশে অর্থ পাচারের কৌশলের কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। ‘আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য দুর্নীতি, চুরি এবং দেশের সম্পদ খালি করা।’
তিনি বলেন, এমনকি আওয়ামী লীগের অনেক সাধারণ নেতা এখন রাজধানীতে বহুতল অ্যাপার্টমেন্টের মালিক এবং বিলাসবহুল যানবাহন ব্যবহার করেন।
ফখরুল বলেন, বিএনপি জনগণের ভোট ও অন্যান্য অধিকার পুনরুদ্ধার এবং দেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে আন্দোলনে নেমেছে।
আরও পড়ুন: জনগণ সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের বর্তমান আন্দোলনে ইতোমধ্যেই পাঁচজন বিরোধীদলীয় নেতা নিহত হয়েছেন। তাদের ত্যাগ ও রক্ত বৃথা যাবে না। ‘বাংলাদেশের জনগণ জেগে ওঠার কারণে দমনমূলক কর্মকাণ্ড দিয়ে তাদের দমন করা সম্ভব হবে না।’
তিনি একটি নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ তৈরি করতে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ফখরুল বলেন, সরকার বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে মোড় নিতে নানা কৌশল করছে।
আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে এতটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে এখন মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিচ্ছে।
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাকে তাদের দমনের প্রধান অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক মামলাও করেছে।
সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, নরসিংদীতে ক্ষমতাসীন দলের এক নেতাকে অপরিশোধিত বোমা ও গানপাউডারসহ গ্রেপ্তার করা হলেও নরসিংদী যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এটা প্রমাণ করেছে যে তারা কতটা ভীত এবং তারা এই ধরনের কাজ করতে পারে।
তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য সরকারের নিন্দা জানান।
ফখরুল অভিযোগ করেন, ঢাকা মহানগরীতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা করা শুরু করেছে সরকার। পুরনো মামলায় বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করছে। ‘মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বিরোধীদের দমন করার এটা একটা পুরনো খেলা এবং তারা ১৪ বছর ধরে এই খেলা খেলছে।’
আরও পড়ুন: জামায়াতের সাথে বিএনপির রাজনীতির আদর্শিক মিল নেই; ভারত বিশেষ বন্ধু: ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল
বিএনপি নয়, আ.লীগ ‘আগুন সন্ত্রাসের’ মূল পরিকল্পনাকারী: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, বিএনপি নয় আওয়ামী লীগই ‘আগুন সন্ত্রাসের’ মূল পরিকল্পনাকারী।
তিনি বলেছেন, ‘চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতা এবং এর ক্রমবর্ধমান গতিতে ভীত হয়ে তারা (আ.লীগ নেতা) পুরনো বিষয়গুলো তুলে ধরছেন। দুর্ভাগ্যবশত, সত্য হল আওয়ামী লীগ নিজেই, সরকার নিজেই, আগুন সন্ত্রাসের পিছনে মূল পরিকল্পনাকারী।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে তিন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে কামাল হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুলের বিবৃতি
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যত অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।
বিএনপি কোনো সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত নয় দাবি করে ফখরুল বলেন, আমরা একটি উদার গণতান্ত্রিক দল। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে (ক্ষমতা পরিবর্তন) বিশ্বাস করি। আমরা অতীতে কখনও সন্ত্রাসবাদ বা অগ্নিসংযোগ করে ক্ষমতায় আসিনি এবং এখনও তা করতে চাই না।’
তিনি বলেন, দলের সাম্প্রতিক সমাবেশে তাদের নেতাকর্মীরা দমন-পীড়নের শিকার হলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো উসকানি হয়নি। ‘তারা (ক্ষমতাসীন দল) উসকানি দিয়ে সহিংসতা ঘটাতে চাইছে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা চলমান আন্দোলন ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে ভিন্ন দিকে মোড় নিতে এবং তা বানচাল করতে অগ্নিসংযোগের কথা বলছেন। ‘কিন্তু এটি কাজ করবে না, কারণ লোকেরা দেখছে কে কী করছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার সব কৌশল বৃথা যাবে। কারণ জনগণের এখন একমাত্র দাবি সরকারের পদত্যাগ।
বিএনপিকে রাজপথে আর কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মন্তব্য প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ছাড় কাউকে দেয়া হয় না। রাজনীতিতে, আদায় করতে হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বদলায় না। ‘কিন্তু আন্দোলনের আঘাতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। এইচ এম এরশাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজও ১৯৯০ সালের ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপরিবর্তিত ছিল, কিন্তু পরের দিন ভেঙে পড়ে।’
ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য জাতীয় ঐক্য গড়তে তাদের দলের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার অংশ হিসেবে ফখরুল সংখ্যালঘু জনতা পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাপ এবং বাংলাদেশি সাম্যবাদী দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসেন।
তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খানও উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পিত যুগপৎ আন্দোলনের দাবিগুলো চূড়ান্ত করতে গত ২ অক্টোবর দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু করে বিএনপি।
এর আগে, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার 'পুনরুদ্ধার' করার জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করার রূপরেখা তৈরি করতে ২৪ মে থেকে শুরু হওয়া সংলাপের প্রথম পর্বে বিএনপি ২৩টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছিল।
আরও পড়ুন: জনগণ সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে: মির্জা ফখরুল
সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ একদিন এগিয়ে ১৯ নভেম্বর
সিলেটে কামাল হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুলের বিবৃতি
সিলেটে সাবেক ছাত্রদল নেতা আ ফ ম কামাল হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার গণমাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দেন তিনি।
বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, সিলেটের গোয়াইন পাড়ার আম্বরখানায় তাকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হয়। সারাদেশে বর্তমান নিষ্ঠুর সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ঝনঝনানীতে দেশে সীমাহীন অরাজকতা বিরাজ করছে। শহর থেকে গ্রামে প্রতিদিনই রক্ত ঝরছে, মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে দেশের মানুষ প্রাণ হারানোর আতঙ্ক নিয়ে এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্যে প্রতিটি মূহুর্ত অতিবাহিত করছে। এই সরকারের শাসনকালে মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা নেই। এই অবৈধ সরকারের আমলে মানুষের জানমাল নিয়ে বেঁচে থাকা যেন অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, হত্যা, খুন, জখমকে সরকার রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে বেছে নিয়েছে। দুঃশাসন জারি থাকার কারণেই গতরাতে সিলেট জেলা বিএনপি’র সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল পৈশাচিকভাবে হত্যার শিকার হয়েছে। সবদিক থেকে ব্যর্থ হয়ে সরকার এখন রক্ত ঝরানোর নীতি অবলম্বন করেছে।
বিবৃতিতে বিএনপি নেতা আরও বলেন, ন্যায়বিচার ও সুশাসনের অভাবের কারণেই দেশে ধারাবাহিকভাবে হত্যার ঘটনা ঘটছে। বর্তমান সমাজে দুস্কৃতিকারীদের দাপট ভয়ানকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার তাদের রাজনৈতিক স্বার্থেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে অবৈধ ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করার জন্য। আ ফ ম কামালকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করছি।
বিএনপি মহাসচিব শোক বিবৃতিতে আ ফ ম কামাল এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
রবিবার (৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে সিলেট নগরের খাসদবির সংলগ্ন বড়বাজার এলাকায় কামালকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। তিনি জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক ছিলেন।