������������������
খুলনার সমাবেশে খারাপ কিছু হলে সরকার দায়ী থাকবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শনিবার খুলনায় তাদের দলের বিভাগীয় সমাবেশে কোনো খারাপ ঘটনা ঘটলে সরকারকে দায়ী করা হবে।
তিনি বলেন, আগামীকাল (শনিবার) খুলনায় আমাদের বিভাগীয় সমাবেশ আছে। জনসভাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে খুলনায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সরকার। এছাড়া তারা খুলনার বিভিন্ন সড়কে আমাদের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল তাদের কর্মসূচিতে বাধা না দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আগামীকাল (শনিবার) খুলনায় আমাদের বিভাগীয় সমাবেশ আছে। জনসভাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে খুলনায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সরকার। এছাড়া তারা খুলনার বিভিন্ন সড়কে আমাদের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল তাদের কর্মসূচিতে বাধা না দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, যদি কোনো সমস্যা তৈরি হয়, সরকারকে সব দায়-দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে এবং এটা প্রমাণ করবে যে এই সরকার আসলে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না এবং তারা আমাদের মিটিং করতে দিতে চায় না।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শনিবার খুলনায় তাদের দলের বিভাগীয় সমাবেশে কোনো খারাপ ঘটনা ঘটলে সরকারকে দায়ী করা হবে।
তিনি বলেন, আগামীকাল (শনিবার) খুলনায় আমাদের বিভাগীয় সমাবেশ আছে। জনসভাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে খুলনায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সরকার। এছাড়া তারা খুলনার বিভিন্ন সড়কে আমাদের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল তাদের কর্মসূচিতে বাধা না দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, যদি কোনো সমস্যা তৈরি হয়, সরকারকে সব দায়-দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে এবং এটা প্রমাণ করবে যে এই সরকার আসলে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না এবং তারা আমাদের মিটিং করতে দিতে চায় না।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কর্মকর্তাদের অপসারণ করছে সরকার: মির্জা ফখরুল
বিভাগীয় সমাবেশের অংশ হিসেবে ২১ ও ২২ অক্টোবর খুলনা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের মধ্যে শনিবার খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক প্রাঙ্গণে সমাবেশ করছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার রাতে খুলনা মহানগরীতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, খুলনা নগরীর রাস্তায় যাকে পাওয়া যাবে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে তারা তথ্য পেয়েছেন।
ফখরুল খুলনায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টির অপচেষ্টা ও গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এছাড়া বৃহস্পতিবার ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে বাইকে চড়ে আতঙ্ক ছড়ায়।
তিনি অবিলম্বে গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান।
জনসভা বানচাল করতে শুক্রবার ও শনিবার খুলনায় গণপরিবহন ধর্মঘটের পেছনে সরকারের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
এছাড়া তারা সব গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। তারা ট্রেন এবং লঞ্চ পরিষেবাও বন্ধ করে দিচ্ছে, জনসাধারণের চলাচল ব্যাহত করছে।
তিনি বলেন, এটা এখন প্রমাণিত হয়েছে যে সরকার চায় না জনগণ গণতান্ত্রিক উপায়ে তাদের মতামত প্রকাশ করুক। এছাড়া তারা দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
আমরা সরকারকে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানাই।
ফখরুল বলেন, সরকার জনমনে আতঙ্কের রোগে আক্রান্ত হওয়ায় এ ধরনের দমনমূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে। জনতার ঢেউ দেখে তারা ভয় পেয়ে যায়। দেশের মানুষকে বাদ দিয়ে তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায়।
তিনি বলেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, অযোগ্যতার কারণে দেশে ১৯৭৪ সালে মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। বাংলাদেশেও এখন একই ঘটনা ঘটছে। আমরা এখন আগে থেকেই দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ‘কারফিউ’ ভেঙে খুলনায় সমাবেশ করবে বিএনপি: ফখরুল
দুর্নীতি, অনিয়ম করে নিয়ন্ত্রণহীন সরকার দুর্ভিক্ষের কথা বলছে: ফখরুল
খুলনায় সমাবেশের পূর্বে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মী আটক
খুলনা মহানগরীর বসুপাড়া এলাকা থেকে বিএনপির জ্যৈষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে পরিকল্পিত জনসভার আগে দেখা করতে এসে ১৩ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। দলটির নেতাকর্মীরা শুক্রবার এমনটাই দাবি করেছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন জানান, খুলনা জনসভা সমন্বয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা গয়েশ্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে দলের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে খুলনায় আসেন। সমাবেশ শনিবার হওয়ার কথা আছে।
তিনি বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের বসুপাড়ার বাসায় অবস্থান করছেন।
রাতে গয়েশ্বরের সঙ্গে দেখা করতে আসা ১৩ নেতাকর্মীকে এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ আটক করে।
আরও পড়ুন: ‘কারফিউ’ ভেঙে খুলনায় সমাবেশ করবে বিএনপি: ফখরুল
গয়েশ্বর অভিযোগ করেন, ‘কেউ কেউ হাতে লাঠি ও কোমরে পিস্তল নিয়ে ঘরে ঢুকে ত্রাশের সৃষ্টি করে। তারা পুলিশ কি না বোঝার উপায় ছিল না। আমাকে দেখতে আসা ১৩ জনকে আটক করেছে তারা।’
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে তারা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলায় আসামিদের ধরেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বলেন, ‘কোন এলাকা থেকে কাকে ধরা হয়েছে তা সকালেই জানাতে পারব।’
এদিকে, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করেছেন, সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের আটক করতে বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও হোটেলে অভিযান চালায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিএনপির মহাসমাবেশ সামনে রেখে খুলনায় ২ দিন বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা
এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি, দলের নেতাকর্মীদের হত্যা ও মামলা দায়ের এবং জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ১০টি বিভাগীয় শহরে জনসভা করার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
দলটি ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে দুটি বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছে এবং তৃতীয়টি শনিবার খুলনায় অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: দুঃশাসন দীর্ঘায়িত করতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাইকারি গ্রেপ্তার করছে সরকার: ফখরুল
ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কর্মকর্তাদের অপসারণ করছে সরকার: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছেন, সরকার দুশ্চিন্তা থেকেই সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে সরিয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘তারা(সরকার) খুবই নার্ভাস হয়ে পড়েছে। শেখ হাসিনার সরকার এতটাই উদ্বিগ্ন যে তারা এখন ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কর্মকর্তাদের অপসারণ শুরু করেছে।’
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে কয়েকজন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর প্রেক্ষাপটে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
দলের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলা, মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: পুলিশ ‘অবৈধভাবে’ বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহ করছে: মির্জা ফখরুল
বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পুলিশি অভিযান, আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও অন্যান্য মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় দলের ক্ষোভ প্রকাশের জন্যও এই বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়।
একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, সরকার এখন বিদেশ ও বিভিন্ন ঋণদাতা সংস্থা থেকে যে ঋণ নিয়েছে তা পরিশোধ করতে পারছে না। ‘তাহলে এখন কি হবে? রিজার্ভ কমতে থাকলে সব বিদেশি ঋণদানকারী সংস্থা ঋণ দেয়া বন্ধ করে দেবে।’
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, বর্তমান সরকারের এখন আর দেশ শাসন করার অধিকার নেই। ‘আপনি দুর্নীতি ও দুঃশাসনের মাধ্যমে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। আপনি দয়া করে সম্মানের সঙ্গে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। আপনি যদি পদত্যাগ না করেন তাহলে দেশের জনগণ জানে কিভাবে আপনাকে পদচ্যুত করতে হবে।'
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা এবং জনগণের সরকার ও সংসদ প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য তাদের দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন বিএনপির এই নেতা।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা সব ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
খুলনার জনসভায় গণজোয়ার হবে
তাদের দলের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকার নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করছে এমন অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘ময়মনসিংহে আমাদের বিভাগীয় সমাবেশের সময় পরিবহন পরিষেবা বন্ধ ছিল। একইভাবে সমাবেশের দুই দিন আগে খুলনায় গণপরিবহন বন্ধ করে দিচ্ছেন তারা।
তিনি বলেন, সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপ জনগণকে সমাবেশে যোগদান থেকে বিরত রাখতে পারবে না। ‘জনগণ সমাবেশে অংশগ্রহণ করবে... লক্ষাধিক মানুষ সমাবেশে যোগ দেবে।’
ফখরুল সরকারের নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মিথ্যা মামলা, দমন-পীড়ন এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা বন্ধ করতে বলেন।
অন্যথায় এদেশের মানুষ অতীতে কোনও নিপীড়ককে ক্ষমা করেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি। ‘আপনাদেরও ক্ষমা করা হবে না।’
বিভাগীয় সমাবেশের অংশ হিসেবে দুই দিন বাস চলাচল বন্ধ থাকার মধ্যে শনিবার খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক প্রাঙ্গণে সমাবেশের আয়োজন করবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে তারা শ্মশান করে দিয়েছে: চট্টগ্রামে মির্জা ফখরুল
সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য হাস্যকর: মির্জা ফখরুল
‘কারফিউ’ ভেঙে খুলনায় সমাবেশ করবে বিএনপি: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তার দল খুলনায় আসন্ন সরকারবিরোধী সমাবেশ সফল করতে নিষেধাজ্ঞা (কারফিউ) অমান্য করতেও প্রস্তুত রয়েছে।
শনিবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় নগরী খুলনায় তাদের দলের সমাবেশকে সামনে রেখে বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বুধবার গুলশানের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে দুটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) ময়মনসিংহে যানবাহন চলাচলও বন্ধ করেছে, কিন্তু তারা মানুষকে থামাতে ব্যর্থ হয়েছে। একইভাবে, পরিবহন পরিষেবা স্থগিত হোক বা না হোক গণতন্ত্রের দাবিতে খুলনার সমাবেশে জনগণ যোগ দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ময়মনসিংহের জনসভায় ট্রলার, নৌকা, রিকশাযোগে ও পায়ে হেঁটে মানুষ এসেছেন।
‘এমনকি, অনেক রিকশাচালক তাদের (বিএনপি নেতাকর্মী) কাছ থেকে ভাড়া নেয়নি। এটাকে বলে জনগণের অংশগ্রহণ। এমনকি, আমরা কোনও হরতাল, কারফিউতে থমকে যাবো না। কারণ আমরা সকল বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে সেখানে (খুলনায়) উপস্থিত থাকব।’
বিএনপিকে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে দেয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ এখনও তার কোনও কথা বা প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেনি।
‘তারা যা বলে তার উল্টোটা করে। তাই আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই।’
এর আগে বিশ দলীয় জোটের শরীক জাতীয় দল ও বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় পৃথক দুটি বৈঠক করেন ফখরুল।
দুর্নীতি, অনিয়ম করে নিয়ন্ত্রণহীন সরকার দুর্ভিক্ষের কথা বলছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার আগামী বছর দেশে সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষের কথা বলছেন, কারণ তার সরকার ‘অনিয়ম’ দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রশাসনসহ কিছুই এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই।
মঙ্গলবার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে আলোচনা শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফখরুল বলেন, আমরাও বুঝতে পারছি না তিনি কেন এমন বলছেন এবং সমস্যাটা কোথায়?
তিনি বলেন, মাত্র কয়েকদিন আগে সরকার দাবি করেছিল দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ‘এখন আবার কী ঘটেছে যার জন্য তারা আশঙ্কা করছে যে দেশ খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হবে? আসল কথা হল প্রতিটি সেক্টর এবং সব জায়গায় ব্যাপক দুর্নীতি। এবং তারা এখন আর এটা সামাল দিতে পারছে না।’
আরও পড়ুন: দেশের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বড় অন্তরায়: ওবায়দুল কাদের
দেশের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বড় অন্তরায়: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের নিরাপত্তা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বড় অন্তরায়।
মঙ্গলবার সকালে শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে ফুল দিয়ে ও দোয়া মাহফিল শেষ করে সাংবাদিক তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি এদেশের রাজনীতির জন্য বিষফোঁড়া মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির হাতে দেশের গণতন্ত্র ও আইনব্যবস্থা নিরাপদ নয়।’
এসময় তিনি বলেন, শেখ রাসেলকে যারা হত্যা করেছে, ১৫ আগস্টের হত্যকাণ্ডে যারা জড়িত ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না। এই হত্যাকাণ্ড ক্ষমার অযোগ্য।
এসময় শেখ পরিবারের পক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস বলেন, যেদিন শেখ রাসেলের খুনিদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে সেদিন রাসেলের আত্মা শান্তি পাবে।
পড়ুন: শহীদ শেখ রাসেলের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাণী
দুঃশাসন দীর্ঘায়িত করতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাইকারি গ্রেপ্তার করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার তার দুঃশাসন দীর্ঘায়িত করতে সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের পাইকারিভাবে গ্রেপ্তার করছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের পাইকারি গ্রেপ্তারই সরকারের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার একমাত্র উপায়। সরকার এখন মরিয়া হয়ে বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করে জেলে ভরাট করছে।’
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য হাস্যকর: মির্জা ফখরুল
সোমবার এক বিবৃতিতে এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা আদালত থেকে ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। ‘আওয়ামী সরকার আদালতের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে দুঃশাসনকে দীর্ঘায়িত করছে। তাই বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনো বিচার পায় না।’
অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রসহ প্রতিটি সেক্টরে অরাজকতা বিরাজ করছে এবং সরকারি কোষাগার শূন্য হয়ে পড়ায়, সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে তার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বিরোধী কণ্ঠকে স্তব্ধ করার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে নির্বিচারে ব্যবহার করছে।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মো. সোহরাব উদ্দিনকে ‘মিথ্যা’ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এ বিবৃতি দেয়া হয়।
ফখরুল বলেন, মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সোমবার সোহরাবকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি অবিলম্বে সোহরাবের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে তারা শ্মশান করে দিয়েছে: চট্টগ্রামে মির্জা ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, সোহরাব বিদেশে অবস্থানকালে গাজীপুরে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
ক্ষমতাসীন দল বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন-পীড়নের মাধ্যমে সন্ত্রাস ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে। আওয়ামী স্বৈরাচারের অধীনে দেশ এখন একটি বৃহৎ কারাগারে পরিণত হয়েছে।
ফখরুল অভিযোগ করেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনকে নস্যাৎ করাই বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক ও মিথ্যা মামলা দায়েরের উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু তৃণমূল থেকে মানুষ জেগে উঠতে শুরু করেছে। তারা এখন সরকারের অন্যায় ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সোহরাবকে জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে শুধুমাত্র সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার জন্য। তাকে কারাগারে পাঠানো বর্তমান সরকারের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির আরেকটি ভয়াবহ বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুন: পুলিশ ‘অবৈধভাবে’ বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহ করছে: মির্জা ফখরুল
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের জন্য বিচারপতি খায়রুলকে ইতিহাস ক্ষমা করবে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের জন্য 'অনৈতিকভাবে' (রাজনীতির) মাঠ তৈরি করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার জন্য ইতিহাস কখনই সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে ক্ষমা করবে না।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য হাস্যকর: মির্জা ফখরুল
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সচেতন নাগরিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং তাদের অস্তিত্ব সাধারণ নির্বাচন পরিচালনায় একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘সংসদ আইন পাস করেছে (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে), কিন্তু বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক এর জন্য ভিত্তি তৈরি করেছেন। এর জন্য ইতিহাস তাকে কখনো ক্ষমা করবে না। তিনি প্রথমে একটি সংক্ষিপ্ত রায় দিয়েছিলেন এবং পরে অবসর গ্রহণের ১৬ মাস পর বেসামরিক হিসেবে সংক্ষিপ্ত সংস্করণটি পরিবর্তন করে অনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ রায় দিয়েছিলেন।’
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি নিয়ে আসে এবং ১৭৩ দিন হরতাল (সাধারণ ধর্মঘট) জারি করে। সে সময় তাদের দাবি ছিল দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।
পরে ফখরুল বলেন, দেশ স্বাধীনের পর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ বিকাশ না হওয়ায় বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিবেচনায় খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন বিএনপি সরকার সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করে।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চারটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ২০৪১ সাল পর্যন্ত জনগণের ভোট ছাড়াই ক্ষমতায় থাকার এবং বিরাজনীতিকরণের চক্রান্তের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ এটি (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা) বাতিল করে দেয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে তারা শ্মশান করে দিয়েছে: চট্টগ্রামে মির্জা ফখরুল
দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশ যুবক উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সুস্থ রাজনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য তরুণদের সংগঠিত করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, যারা বলপ্রয়োগ ও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতায় থেকেছে অতীতের সব ঔপনিবেশিক ও পাকিস্তানি নিয়ম এবং এইচ এম এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনকে ছাড়িয়ে গেছে আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন। ‘আওয়ামী লীগ সরকার তার দুঃশাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’
ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ করা উচিত:
‘বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প সরকারের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে’- সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, অপরিকল্পিত এই প্রকল্পের কারণে যাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি দেখছি বিআরটি প্রকল্পের রাস্তার মাঝখানে দোকান এবং টিকিট কাউন্টার তৈরি করা হচ্ছে… আমি বুঝতে পারছি না তারা ঠিক কী নির্মাণ করছে। ওবায়দুল কাদের আজ (রবিবার) বলেছেন যে এটি (বিআরটি) গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা একটা নির্লজ্জ মন্তব্য। তারা নিজেরাই এই প্রকল্প নিয়েছে, তাই এই মন্তব্য করার আগে তার পদত্যাগ করা উচিত ছিল।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার গাজীপুর থেকে বিআরটি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১০ বছর ধরে ঢাকা নগরবাসীকে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের সদস্যরা সরকারের অপকর্ম ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন না। ‘এই সরকার কী ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে আমরা এখন তাদের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করতে ও স্বাধীনভাবে লিখতে ভয় পাচ্ছি। সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতি আমরা কখনো কল্পনাও করিনি।’
বিচার বিভাগকে রাজনীতিকরণ থেকে মুক্ত করে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য তরুণ আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: পুলিশ ‘অবৈধভাবে’ বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহ করছে: মির্জা ফখরুল
শক্তিশালী আন্দোলনের তোড়ে ভেসে যাবে আ.লীগ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রের নামে 'স্বৈরাচার' কায়েম করেছে। কিন্তু মানুষ এখন জেগে উঠেছে। বিরোধীদের শক্তিশালী আন্দোলনের তোড়ে সরকারের এ ধরনের দমন-পীড়ন ধুয়ে মুছে যাবে। শনিবার ময়মনসিংহে বিভাগীয় গণ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশাল সমাবেশের বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের সাম্প্রতিক উপনির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না বলে বিএনপির যে আশঙ্কা তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
‘আওয়ামী লীগের দেহের রসায়নে সন্ত্রাস ও চুরি আছে যেখান থেকে তারা বের হতে পারে না। তাই, তারা প্রায়ই চিৎকার করে, লাঠি দিয়ে মানুষকে আক্রমণ করে এবং হুমকি ও সতর্কতা জারি করে। বাংলাদেশের জনগণ তাদের (আ.লীগের) ঔদ্ধত্য ও হুমকিতে আর ভীত নয়। মানুষ এখন জেগে উঠেছে।’
ময়মনসিংহে চলছে বিএনপির দ্বিতীয় বিভাগীয় সমাবেশ
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ময়মনসিংহ নগরীতে বিএনপির দ্বিতীয় বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দেন দলটির কয়েক হাজার নেতাকর্মী। শনিবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশস্থলের আশপাশে এবং শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছে।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে, ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের গুলিতে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহে ‘অঘোষিত’ পরিবহন ধর্মঘট