%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD-%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
কোনো ষড়যন্ত্রই জাতীয় পার্টির ঐক্য ভাঙতে পারবে না: চুন্নু
জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে জিএম কাদের ও রওশন এরশাদের মধ্যে দৃশ্যত কোন্দল থাকলেও দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, কোনো ষড়যন্ত্রই তাদের দলের ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। দলে কোনো বিভেদ নেই। কোনো ষড়যন্ত্র এর ঐক্য ভাঙতে পারবে না।’
বৃহস্পতিবার পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ স্বেচ্ছায় দলের বিরুদ্ধে কিছু করছেন তা তিনি বিশ্বাস করেন না। কিন্তু ম্যাডাম (রওশন) তার ছেলে ও আরও কয়েকজনের হাতে জিম্মি।
তিনি বলেন, বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া বেগম রওশন এরশাদের চিঠি তারা আমলে নিচ্ছেন না।
এক বিবৃতিতে, রওশন বুধবার পার্টির চেয়ারম্যানের গঠনতন্ত্রের ধারা ২০/১/ক দ্বারা প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতা ‘স্থগিত’ করে এবং মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ দল থেকে অব্যাহতি, বহিষ্কার ও কমিটি থেকে বাদ দেয়া সব নেতাকর্মীদের পার্টিতে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছেন।
তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে বরখাস্ত ও অন্যান্য সিদ্ধান্ত মেনে চলার জন্য একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন। কিন্তু দলীয় সনদ অনুযায়ী এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার রওশন এরশাদের নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র ও ২০ ধারা নিয়ে রাঙ্গার বক্তব্য পরস্পরবিরোধী।
তিনি আরও বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদ দলীয় সনদের একই ধারা ব্যবহার করে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে রাঙ্গাকে সাধারণ সম্পাদক করেছিলেন। ‘তিনি সংবিধানের ওই ধারার সুবিধাভোগী ছিলেন। তখন মশিউর রহমান রাঙ্গা এই ধারার বিরোধিতা করেননি।’
এছাড়াও চুন্নু বলেন, রাঙ্গা ২০১৮ সালের কাউন্সিলের আগে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলেন। ‘সংবিধানটি কাউন্সিল দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল এবং সেই প্রক্রিয়া চলাকালীন ও কাউন্সিলের পরে প্রায় দুই বছর এই সংবিধান অনুযায়ী মশিউর রহমান রাঙ্গা মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কখনো এই সংবিধানের কোনো ধারার বিরোধিতা বা আপত্তি করেননি।’
আরও পড়ুন: ন্যূনতম মজুরি নিয়ে অসন্তোষের কোনো সুযোগ নেই: চুন্নু
জিয়াউলকেও দলীয় সব পদ থেকে সরিয়ে দিল জাপা
দ্বন্দ্বের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধাকে চেয়ারম্যানের উপদেষ্টাসহ সংগঠনের সব পদ থেকে অপসারণ করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
দলের গঠনতন্ত্র প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়েছে যে আদেশটি ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।
এর আগে জাতীয় পার্টি বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গাকে প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ দলীয় সব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
আগামী নির্বাচনকে ঘিরে দলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জিএম কাদের ও রওশন এরশাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসার সময়ই পরপর এমন অপসারণের ঘটনা ঘটলো।
এর আগে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ আকস্মিক ২৬ নভেম্বর দলের জাতীয় কাউন্সিল করার ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা জাপার
এর একদিন পর জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল রওশন এরশাদকে বাদ দিয়ে জিএম কাদেরকে সংসদের প্রধান বিরোধী নেতা করার অনুরোধ জানিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
২ সেপ্টেম্বর দেয়া এক বিবৃতিতে জিএম কাদের বলেন, রওশন এরশাদের নাম ব্যবহার করে তৃতীয় পক্ষ একটি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে।
দলটির সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পদচ্যুত করেছিলেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।
২০২০ সালের ১৪ জুলাই এরশাদের মৃত্যুর পর জিএম কাদের দলের মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙাকে পদ থেকে সরিয়ে দলের কো-চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে ওই পদে মনোনয়ন দেন।
এরপর বাবলু মারা গেলে গত বছরের ১০ অক্টোবর দলের কো চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নুকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মনোনীত করা হয়।
আরও পড়ুন: অসুস্থ রওশনকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা থেকে সরাতে চায় জাপা
আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কোনো জোটে থাকবে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে তার দল কোনো জোটে থাকবে না।
শুক্রবার দুপুরে মহানগর নাট্যমঞ্চে আয়োজিত হিন্দু মহাজোটের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘আগের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাপা কোনো জোট করেনি। আমাদের শুধু ভোটের সময় কিছু আসন নিয়ে সমঝোতা হয়েছিল। বোঝাপড়ার কারণে উভয় দলের নেতাকর্মীরা একে অপরের পক্ষে কাজ করেছিলেন। আমি বলব এ কারণেই জাপা ও আওয়ামী লীগের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ: জিএম কাদের
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে ভোটাররা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করতে চায় না। ইভিএম হচ্ছে ভোট চুরির মেশিন। এই মেশিন ব্যবহার করে যে কেউ নির্বাচিত হতে পারেন। আমরা শুরু থেকেই এর বিপক্ষে ছিলাম।
জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, নির্বাচন বয়কট করা কঠিন বিষয়।
জাপা প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত এইচএম এরশাদের ছোট ভাই কাদের বলেন, ‘আমরা নির্বাচন বয়কট করতে আগ্রহী না। আমরা সরেজমিনে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। দলীয় ফোরামে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর আমরা নির্বাচনে অংশ নেব কি না, সে সিদ্ধান্ত নেব।’
সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন দীনবন্ধু রায় ও সঞ্চালনা করেন প্রিয়াঙ্কা সুকুল। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাপার কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সরকার মোমেনের বক্তব্যের দায় এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জিএম কাদেরের
রাঙাকে জাতীয় পার্টির সব পদ থেকে অব্যাহতি
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙাকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সব পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
বুধবার একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের সংবিধানের ক্ষমতাবলে চেয়ারম্যান জিএম কাদের তার বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম সাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গৃহীত সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ: জিএম কাদের
দলটির সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙা এখনও সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ পদে আছেন।
আগামী নির্বাচনকে ঘিরে দলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জিএম কাদের ও রওশন এরশাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসার সময়েই এমন অপসারণের ঘটনা ঘটলো।
এর আগে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ আকস্মিক ২৬ নভেম্বর দলের জাতীয় কাউন্সিল করার ঘোষণা দেন।
এর একদিন পর জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল রওশন এরশাদকে বাদ দিয়ে জিএম কাদেরকে সংসদের প্রধান বিরোধী নেতা করার অনুরোধ জানিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
২ সেপ্টেম্বর দেয়া এক বিবৃতিতে জিএম কাদের বলেন, রওশন এরশাদের নাম ব্যবহার করে তৃতীয় পক্ষ একটি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে।
দলটির সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পদচ্যুত করেছিলেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।
২০২০ সালের ১৪ জুলাই এরশাদের মৃত্যুর পর জিএম কাদের দলের মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙাকে পদ থেকে সরিয়ে দলের কো-চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে ওই পদে মনোনয়ন দেন।
এরপর বাবলু মারা গেলে গত বছরের ১০ অক্টোবর দলের কো চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নুকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মনোনীত করা হয়।
আরও পড়ুন: সরকার মোমেনের বক্তব্যের দায় এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জিএম কাদেরের
জিএম কাদেরের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, আলোচনায় রাজনীতি-অর্থনীতি
অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎ করেছেন।
এসময় রাজনীতি ও অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন তারা।
জাতীয় পার্টি একটি বিবৃতিতে বলেছে, দুপুরে জিএম কাদেরের উত্তরার বাসভবনে তারা বৈঠকে মিলিত হন।
এতে বলা হয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক এবং পারস্পরিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
পড়ুন: নির্বাচন কমিশন নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ: জিএম কাদের
দলটি বলছে, নর্দিয়া সিম্পসন বাংলাদেশের মানুসেল বন্ধুসুলভ মানসিকতা ও আতিথেয়তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
জিএম কাদের আশা করছেন ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার বন্ধুত্ব আরও বাড়বে।
জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সমন্বয়ক শেরিফুল কাদের, দলের চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত ও উপদেষ্টা মাশরুর মাওলা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।আরও পড়ুন: জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জিএম কাদেরের
বাংলদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে: জিএম কাদের
অসুস্থ রওশনকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা থেকে সরাতে চায় জাপা
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার পদ থেকে রওশন এরশাদকে সরাতে জাতীয় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের অনুরোধ সম্বলিত একটি চিঠি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে দিয়েছে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল।
বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতা জনিত কারণে বিদেশে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এসময় জিএম কাদের সংসদীয় উপনেতা হিসেবে কাজ করছেন।
পড়ুন: জাতীয় পার্টির মহাসচিব রাঙ্গার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় মামলা
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে জাপা প্রতিনিধি দল স্পিকারের চিঠি দপ্তরে চিঠিটি প্রদান করেন।
চুন্নু বলেন, ‘বিরোধী দলীয় নেতা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ, দীর্ঘদিন ধরে তিনি সংসদে আসতে পারছেন না। জাতীয় পার্টির ২৬ জন সংসদ সদস্যের সংসদীয় দলের ২৩ জনের উপস্থিতিতে ও একটি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া অপর একজন টেলিফোনে তার মতামত জানিয়েছেন,পরে তিনি সাক্ষর করবেন।’
চুন্নু বলেন, জাতীয় সংসদ ভবনের জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের কার্যালয়ে এক বৈঠকে বিরোধী দলীয় নেতা পরিবর্তন ও তা স্পিকারের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
রওশন বর্তমানে ব্যাংককে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন: জাতীয় পার্টির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু
রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
নির্বাচন কমিশন নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে উপেক্ষা করে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত দ্বারা সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে নির্বাচন কমিশন।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীর দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার কাউন্সিলের প্রস্তুতি সভায় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে ইসির সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করে তিনি বলেন, দেশের অশিক্ষিত ও কম শিক্ষিত মানুষ এখনও প্রার্থীদের নাম পড়তে পারে না, সাধারণ মানুষ নির্বাচনে প্রার্থীর প্রতীক দেখে ভোট দেয়।
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেছেন, ‘অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ মনে করে ইভিএম হলো ভোট জালিয়াতির যন্ত্র। তাই রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ নির্বাচনে ইভিএম-এর ব্যবহার চায় না।’
এমন বাস্তবতায় সাধারণ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, ‘সাধারণ মানুষ মনে করে যে একটি দলকে ক্ষমতায় আনতে কাজ করছে ইসি।’
এর আগে নির্বাচন কমিশন আগামী বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনে প্রচলিত ব্যালটের পাশাপাশি সংসদীয় মোট ৩০০ আসনের ১৫০টিতে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশনের বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশ হেফাজতে রবিউলের মৃত্যুর তদন্ত করতে হবে: জিএম কাদের
জনদুর্ভোগ নিয়ে সরকার খুব একটা চিন্তা করে না: জিএম কাদের
সরকার মোমেনের বক্তব্যের দায় এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
সরকার মোমেনের বক্তব্যের দায় এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের শনিবার বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে ভারতের সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়ে সম্প্রতি দেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের বক্তব্যের দায় সরকার এড়াতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘এরূপ বক্তব্য আমাদের বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী দেশ ভারতের জন্য বিব্রতকর। এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে জাতীয় পার্টির বনানীর কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের গুণীজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর একটি অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভারতের সরকারকে সহযোগিতা করতে তিনি অনুরোধ করেছেন।
হিন্দু ধর্মের উদ্ধৃতি দিয়ে জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, দেবতা কৃষ্ণ দুষ্টকে ধ্বংস করতে ও সত্য প্রতিষ্ঠায় পৃথিবীতে এসেছিলেন। ‘কিন্তু আমাদের দেশে দুষ্টরা নিরাপত্তা পাচ্ছে আর ভালোরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কেবল সংখ্যালঘুরা নয় মুসলিমরাও সামাজিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও রাজনৈতিক কারণে দেশ ছাড়ছে।’
আরও পড়ুন: ভারতকে বলেছি শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে সৎ মানুষরা চাকুরি পাচ্ছে না এবং আদর্শিক মানুষ ব্যবসাও করতে পারছে না।’
অনেক মানুষ বাঁচার জন্য দেশত্যাগ করে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন উল্লেখ করে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দুর্নীতির সুনামিতে ভেসে যাচ্ছে আদর্শ ও বিচার।’
তিনি বলেন, সংখ্যালঘু নিরাপত্তা আইন ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠনে সরকার পদক্ষেপ নিতে পারে।
জিএম কাদের বলেন, তাদের পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচএম এরশাদ ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও সকল ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করা হয়। জবাবদিহিতার অভাবে প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপকভাবে দুর্নীতি হচ্ছে। যদি কেউ এর সমালোচনা করে তাহলে সরকার তাকে ষড়যন্ত্রকারী কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে বিবেচনা করে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা নিশ্চিত করতে অবশ্যই সমালোচনা সহ্য ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
জিএম কাদের আরও বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের বিষয় তুললেই সরকার হাস্যকরভাবে উড়িয়ে দেয়। ‘ফলশ্রুতিতে বিশ্বের কাছে আমরা মিথ্যাবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হয়েছি।’
নির্বাচন পদ্ধতিকে ধ্বংস করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিয়ে নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার সুযোগ দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের ‘সমর্থন চাওয়া’ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় বিএনপি
রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জিএম কাদেরের
জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ জানতে চায় জ্বালানি খাতে বছরে কত হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে কারা জড়িত?’
রাজধানীর মিরপুর এলাকার জাতীয় চিড়িয়াখানা রোডের ঈদগাহ মাঠে জাতীয় পার্টির মিরপুর ও শাহ আলী থানা ইউনিটের কাউন্সিলে বক্তব্যে জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে তাদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
তিনি জানান, যারা প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছেন তাদের তালিকাও তারা জানতে চান। অর্থ পাচারকারীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।
গত বছর বাংলাদেশ থেকে সুইস ব্যাংকে চার লাখ কোটি টাকা জমা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। অর্থ পাচারকারীদের তথ্য প্রকাশ না করে সরকার নিজেকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে।
সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের পক্ষ নেয়ার অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ মনে করে বর্তমান সরকার প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বাঁচাতে দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করছে না।
ড. জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি দেশের স্বার্থের কথা বললে ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা এর মধ্যে ষড়যন্ত্র খোঁজেন।
দেশ শ্রীলঙ্কার মতো ব্যর্থ রাষ্ট্র হতে চলেছে বলে মন্তব্য করে তিনি নেতা বলেন, আমাদের বোকা বলা হচ্ছে। কিন্তু কেন সারা দেশে এখন লোডশেডিং হচ্ছে? ডলারের দাম কেন এত বেড়েছে? জ্বালানির দাম এত বেড়েছে কেন?
আরও পড়ুন: জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জিএম কাদেরের
জনদুর্ভোগ নিয়ে সরকার খুব একটা চিন্তা করে না: জিএম কাদের
ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে: জিএম কাদের
জনদুর্ভোগ নিয়ে সরকার খুব একটা চিন্তা করে না: জিএম কাদের
বর্তমান সরকারকে গণবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, সরকার এখন জনদুর্ভোগ নিয়ে কম মাথা ঘামায়।
তিনি বলেন, ‘সরকার দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তারা জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে জনদুর্ভোগ বাড়িয়েছে’।
বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তেলের ওপর ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রত্যাহার করলে এবং বিগত বছরগুলোতে অর্জিত মুনাফা সমন্বয় করলে সরকারকে আর জ্বালানির দাম বাড়াতে হতো না।
তিনি বলেন, ‘যে সরকার জনদুর্ভোগের কথা না ভেবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে মুনাফা করে, তারা জনগণের সরকার হতে পারে না। গণবিরোধী সরকার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বোঝে না।’
আরও পড়ুন: দেশে স্বৈরতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে: জিএম কাদের
সরকার নানাভাবে মুনাফা করছে এবং উন্নয়ন ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে লুটপাট করছে বলে এসময় অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
তিনি আরও বলেন, সরকার বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের অর্জিত মুনাফার অর্থ ব্যাংকে রাখছে এবং এক চতুর্থাংশ বিভিন্ন অজুহাতে ঋণ নিয়ে সেই অর্থ বিদেশে পাচার করছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘দেশে প্রজাতন্ত্রের নামে এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশে এখন গণতন্ত্রের নামে স্বৈরাচারী শাসন চলছে। উন্নয়নের নামে দেশে ঘুষ-দুর্নীতির জোয়ার বইছে।’
অনুষ্ঠানে জিএম কাদেরকে ফুলের তোড়া দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম রব্বানী।
আরও পড়ুন: বাংলদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে: জিএম কাদের
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে মানুষ: জিএম কাদের