অন্যান্য
ভারতের প্রেসক্রিপশনে কিছু 'নিরপরাধ' জামায়াত নেতাকে ফাঁসি দিয়েছে সরকার: নূর
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতে ইসলামীর কিছু ‘নিরীহ’ নেতাকে ‘ভারতের প্রেসক্রিপশনে’ ফাঁসি দিয়েছে।
নূর বলেন, ‘জামায়াত আইনত নিষিদ্ধ নয়। কিন্তু আওয়ামী লীগই ভারতের নির্ধারিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে জামায়াতের কিছু নিরপরাধ নেতাকে ফাঁসি দিয়েছে।’
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদের সমাবেশে তিনি বলেন, ১০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ঢাকায় সমাবেশ করেছে জামায়াত। আওয়ামী লীগের তিনজন মন্ত্রী বলেছেন, এটা সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।’
আরও পড়ুন: বগুড়ায় গণঅধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা: আহত ১৫
নূর বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি জামায়াতের আদর্শ ও রাজনীতি আওয়ামী লীগের উপকারে আসে এমন কিছু করতে দেবে না। তবে রাজনীতির ক্ষেত্রে শেষ কথা নেই। জামায়াতের বর্তমান অবস্থান আমরা জানি না। কিন্তু তাদের বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে তারা রাজপথে থাকবেন।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে উৎখাত করতে আমাদের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। তাই আমরা বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি, চরমোনাই … যেই রাজপথে থাকুক তার সঙ্গে আছি। আমরা এই সরকারকে এক সপ্তাহও ক্ষমতায় রাখার পক্ষে নই।’
সাম্প্রতিক বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে নূর বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন একজন প্রার্থীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। তিনি একজন প্রবীণ ব্যক্তিত্ব, মুসলিম আলেমদের মধ্যে একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। আমরা তার ওপর এই হামলার নিন্দা করছি।’
আরও পড়ুন: না’গঞ্জে বিএনপি-জামাত-গণঅধিকারের ১৯৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
দেশব্যাপী ১১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চের
বিদ্যুৎ সংকট: ১৯ জুন মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
অসহনীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট সমাধানের দাবিতে ১৯ জুন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ।
এছাড়া, বিরোধী দলীয় এই প্ল্যাটফর্মটি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দিনাজপুর অভিমুখে তাদের সাম্প্রতিক রোডমার্চে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভ করবে।
রবিবার নগরীর পুরানপল্টন এলাকার মেহরাবা প্লাজায় এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ-এর বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অভাবে সারাদেশে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
হক বলেন, গত ৪-৭ মার্চ দিনাজপুরে যাওয়ার পথে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তাদের রোডমার্চ কাফেলার ওপর হামলা চালায়।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘এসব হামলা প্রমাণ করেছে যে আওয়ামী লীগ সরকার এখন জনরোষের সম্মুখীন হওয়ার ভয়ে ভুগছে। তারা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।’
আরও পড়ুন: বগুড়ায় গণতন্ত্র মঞ্চের রোডমার্চের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ
হক বলেন, সরকার এখনও দমন ও পীড়ণমূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিয়ে এবং প্রশাসন ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।
তিনি দাবি করেন, সরকার, পুলিশ প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের এত বাধা, হামলা, উসকানি সত্ত্বেও তাদের রোডমার্চ সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন পেয়েছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা বলেন, রোডমার্চের সময় হাজার হাজার মানুষ প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও তাদের সমাবেশে অংশ নিয়েছিল, বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসনের দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে শক্তিশালী লড়াই করার চেতনা প্রদর্শন করেছিল।
তিনি বলেন, ‘মানুষ তাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া বর্তমান দুর্নীতিবাজ, গণবিরোধী, দখলদার সরকারের হাত থেকে অবিলম্বে মুক্তি চায়। জনগণ এই সরকারকে আর নিতে পারবে না। তারা অধীর আগ্রহে পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছে।’
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয়ের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
সরকারবিরোধী আন্দোলন: গণতন্ত্র মঞ্চের ৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এক দশক পর প্রথম সমাবেশ করল জামায়াত
এক দশক পর রাজধানীতে প্রথম জনসভা করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
সরকারকে দাবি মেনে নিতে বাধ্য করতে রাজপথে নামার জন্য প্রস্তুত হওয়ারও আহ্বান জানান জামায়াত নেতারা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে এবং গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ-এ এই সমাবেশের আয়োজন করে দলটির ঢাকা দক্ষিণ মহানগরী শাখা।
২০১৩ সালের পর এই প্রথম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কিছু শর্তে দলটিকে কর্মসূচির অনুমতি দেওয়ায় জামায়াত রাজধানীতে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ ৬৭ জন কারাগারে
ঢাকা দক্ষিণ শাখার সভাপতি নুরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী যোগ দেন।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মুজিবুর রহমানের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়।
বিবৃতিতে মুজিবুর রহমান বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন দেশের জনগণ মেনে নেবে না। ‘সুতরাং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আপনারা সদিচ্ছা দেখিয়ে পদক্ষেপ নিন। এর কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও দলীয় কার্যালয় পুনরায় চালুসহ ১০ দফা দাবি জানান।
আরও পড়ুন: জামায়াতকে মাঠে নামিয়েছে বিএনপি, তারা অগ্নিসংযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে: কাদের
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলছে। ‘আমরাও চাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। গণতন্ত্র মানেই সুষ্ঠু নির্বাচন...কিন্তু ২০১৪ ও ২০১৮-এর মতো এবারের নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না।
জামায়াত নেতা বলেন, এবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। ‘সুতরাং, সমাধান করতে আলোচনায় আসুন।’
তিনি আরও বলেন, তাদের দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে নামবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে যা করা দরকার আমরা তা করব।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে জামায়াত-শিবিরের ২৩ নেতাকর্মী আটক, ককটেল উদ্ধার
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে জামায়াত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শনিবার (১০ জুন) দুপুর ২টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশ করবে।
সমাবেশের কারণ হিসেবে থাকছে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমানের মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের দাবি।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে: তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পলাশবাড়ি পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি গ্রেপ্তার
সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ ৬৭ জন কারাগারে
বগুড়ায় গণতন্ত্র মঞ্চের রোডমার্চের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা বন্দরে রোডমার্চ চলাকালীন গণতন্ত্র মঞ্চের গাড়িবহরে লাঠিসোটা ও ইট পাটকেল নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। এসময় গণতন্ত্র মঞ্চের তিন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানিয়েছেন মঞ্চের নেতারা।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চের শীর্ষ নেতা গণসংহতির সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী অভিযোগ করেন, মোকামতলা বন্দরের অদূরে জয়পুরহাট রোড মোড়ে রোড মার্চের সমাবেশ শেষে গাড়িবহর ৫০ গজ বগুড়া শহরের দিকে গেলে গাড়িবহরকে লক্ষ্য করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে হামলা করে।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বৈঠক করেছে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চ
এসময় ইট গাড়ির কাচ ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে তিন জন আহত হন। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ অসহযোগীতামূলক আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন সাকি।
সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চের শীর্ষ নেতা সাইফুল হকসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার বিকালে শিবগঞ্জ উপজেলা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে পথসভায় ভিডিও কলে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কাওসার, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা অ্যাডভোকেট সানোয়ার।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলন: গণতন্ত্র মঞ্চের ৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
এসময় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্য নেতা আব্দুল বাছেদ বাদশা, বিদ্যুৎ আমিন সৈকত, এসএম সাদ্দাম হোসেন, সাইদুর রহমান সাগর, হারুনুর রশিদ, এনামুল হক, যুব নাগরিক ঐক্য নেতা অমিত হাসান, রশিদুল ইসলাম, নাগরিক নারী ঐক্য নেত্রী বিউটি বেগম, নাজমা খাতুন, ছাত্র ঐক্য নেতা রাশেদ মাহমুদ তুষার, সিয়াম চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। এ সরকার অবৈধ, ভোটারাধিকার কেড়ে নিয়ে এ সরকার জনগণের বিপক্ষে অবস্থা নিয়েছেন। বর্তমান সরকার সংবিধান পরিবর্তন করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার পায়তারা করছে। অনতিবিলম্বে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আনতে হবে। এই সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যাবে না। তাদেরকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হবে। জনগণকে রাস্তায় নেমে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয়ের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
ভিসা নীতি আমাদের জন্য লজ্জার, অসম্মানের: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধাদের কিংবদন্তি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম মার্কিন ভিসা নীতির সমালোচনা করে বলেছেন, দুই দল এটাকে যেভাবেই নিক না কেন বাংলাদেশের জন্য এটা মস্ত বড় লজ্জার। সার্বিকভাবে দেশের জন্য এটা অসম্মানের। সাধারণত যে দেশ ভিসা দেয় তার ইচ্ছামতই দিয়ে থাকে, এটাই বিধান। কিন্তু সেই বিধানটা বাংলাদেশের ওপর এরকম ঘোষণা করে যে এটা করলে ওটা হবে ওটা করলে ওটা হবে এটা আমাদের সম্মানহানি হয়েছে। আমরা যে রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, সেই রক্তের অবমূল্যায়ন হয়েছে। আমি আশা করব এটা দেশের মানুষও এটা বোঝার চেষ্টা করবেন।
তিনি শুক্রবার সকালে গাজীপুর জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে এসে এসব কথা বলেছেন।
নগরীর বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই সম্মেলনে জেলা সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার (বীর প্রতীক), সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম দেলোয়ার অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ (বীর প্রতীক) বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: দেশে এখন দুর্দিন: কাদের সিদ্দিকী
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আব্দুর রহমানকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গাজীপুর জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমেরিকার ভিসা-নীতির এই ঘোষণাকে কেউ একবার ভাবে না আওয়ামী লীগ বিএনপির ক্ষতি না, ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশের, ক্ষতি হচ্ছে বাঙালির, ক্ষতি হচ্ছে জাতির, সম্মান নষ্ট হচ্ছে। আমাদের জাতীয়ভাবে চিন্তা করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঐক্যফ্রন্ট ছাড়লেন কাদের সিদ্দিকী
সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয়ের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
কয়েকটি বিরোধী দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি এমন এক সময়ে বর্তমান সরকারকে নাড়িয়ে দিয়েছে,যখন তারা আরেকটি অগ্রহণযোগ্য উচ্ছ্বাস পোষণ করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে।
রবিবার রাজধানীর মালিবাগে রোডমার্চ কর্মসূচির আগে তারা আরও বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ব্যাপক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
তারা বলেন, বর্তমান সরকার ২০১৪ সাল থেকে জোর করে ক্ষমতায় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি শুধু এই সরকারের কারণেই দেশের মানুষের মুখে চুন ঢেকে দিয়েছে।
জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এই ভিসা নীতি সরকারের নীতিনির্ধারকদের হৃদয়কে নাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি 'প্রহসনমূলক' নির্বাচন করতে চায়।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, 'আওয়ামী লীগের নেতারা এখন বুকে দুঃখ-বেদনা নিয়ে হাসছেন এবং বলছেন,এই ভিসা নীতি বিরোধীদের জন্য। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই আওয়ামী লীগের প্রার্থী ভরাডুবির সম্মুখীন হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে আ. লীগ সরকার বাধা: বিএনপি নেতা মোশাররফ
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ ১৪ দফা দাবিতে মালিবাগ রেলগেট থেকে বাড্ডা অভিমুখে পদযাত্রা করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
নেতারা আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের ৭ মাস আগে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, কারণ তারা উপলব্ধি করতে পারে যে আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ভোট জালিয়াতির চেষ্টা করছে। 'বিশ্বের কোনো দেশই এখন এই সরকারকে বিশ্বাস করে না'
তারা বলেন, ১৪ দফা দাবি আদায়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আগামী ৪ থেকে ৭ জুন ঢাকা থেকে দিনাজপুর অভিমুখে রোডমার্চ করবে জোট। আগামী ৪ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এই রোড মার্চ শুরু হবে। ঈদুল আজহার আগে আন্দোলনকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমরা ধারাবাহিকভাবে আরও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তাদের চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। 'আমি বিশ্বাস করি আমরা বিজয়ী হব'
মার্কিন ভিসা নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের কারচুপির চেষ্টা ব্যর্থ করতে গোপনে কাজ চলছে।
মান্না বলেন, ভোট কারচুপি, জালিয়াতি, প্রতারণা ও দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। আপনাদের (সরকারকে) এখনই যেতে হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর নির্বাচন দেশের প্রকৃত ভোটের চিত্র তুলে ধরে: খসরু
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমান সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে বিরোধী দলগুলো বিপাকে পড়েছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের করা মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ভেসে যাবে। দেশের জনগণকে বোকা মনে করে তারা এ ধরনের মন্তব্য করছে।
সরকার আশা করে অগণতান্ত্রিক শক্তি নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করার বিভ্রান্তিকর প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকবে
বাংলাদেশ সরকার বলেছে, তারা আশা করে যে স্থানীয় অগণতান্ত্রিক শক্তি; যারা সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞের অবলম্বন করে, তারা সতর্ক থাকবে এবং সংবিধানের নির্দেশিত নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করতে তাদের বিভ্রান্তিকর প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকবে।
সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দেশে উন্নয়নের সুফল টিকিয়ে রাখা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের জনগণের ওপর নির্ভর করে।
বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন ভিসা নীতির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘সরকার প্রশংসা করে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দৃঢ়ভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর টেকসই প্রতিশ্রুতির পাশে দাঁড়িয়েছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নির্বাচনের সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক আচরণে আপস করার জন্য কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সত্তার দ্বারা কোনো বেআইনি অনুশীলন বা হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ ও মোকাবিলার জন্য সরকারি যন্ত্রপাতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া কঠোর নজরদারির মধ্যে থাকবে।
ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাক্টের অধীনে তথাকথিত থ্রিসি বিধান অনুসারে ভিসা সীমাবদ্ধতা নীতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার নোট করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখার জন্য সকল স্তরে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তার সরকারের দ্ব্যর্থহীন প্রতিশ্রুতির বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এই ঘোষণা দেখতে চায়।’
আরও পড়ুন: মোমেনের মানহানির অভিযোগে দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের নিন্দা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল দেশ হিসেবে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে ধারাবাহিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে সরকার জানিয়েছে।
২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে এটা স্পষ্ট যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অব্যাহত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে দেশের জনগণ অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
এর ফলে ২০০৬ সালের মাথাপিছু দারিদ্র্য ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং একই সময়ের মধ্যে চরম দারিদ্র্য ২৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংসে নেমে এসেছে।
এখন উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ একটি ‘আন্তর্জাতিক রোল মডেল’, ২০২৬ সালের মধ্যে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে উন্নীত হওয়ার যোগ্য হয়ে উঠেছে।
গত চৌদ্দ বছরে টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত হওয়ার কারণেই এসব অর্জিত হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকারের ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন।
এতে বলা হয়েছে, ভোট কারচুপির মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট হরণ করে কোনো সরকার ক্ষমতায় থাকার নজির নেই।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দলকে রেখে অন্য রাজনৈতিক দলকে ‘সমর্থন’ করে না যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
জনগণের ভোটাধিকারের অধিকারকে আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় পবিত্রতা বলে মনে করে এবং এই অধিকারের জন্য নিরলস সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার রয়েছে।
সরকার সব শান্তিপূর্ণ ও বৈধ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য সমাবেশ ও সমিতির স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশে নির্বাচনী সংস্কার প্রক্রিয়া সমস্ত সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শমূলক পদ্ধতিতে অব্যাহত রয়েছে।
প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতৃত্বাধীন সরকার কর্তৃক তালিকাভুক্ত ১০ দশমিক ২৩ মিলিয়ন জাল ভোটারের প্রতিক্রিয়ায় ছবিসংবলিত ভোটার আইডি কার্ড ইস্যু করা হয়েছিল।
ভোটারদের পাশাপাশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও এজেন্টদের মধ্যে আস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবহারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচন কমিশন পূর্ণ স্বাধীনতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও দক্ষতার সঙ্গে তার কার্যাবলী সম্পাদন করার জন্য কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।
বর্তমান সরকার প্রথমবারের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়।
এ আইন অনুযায়ী নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ সংবিধান এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ দ্বারা বাধ্যতামূলকভাবে সম্পূর্ণ নির্বাহী প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, যাতে তারা নির্দেশিতভাবে তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা করতে পারে।
সরকারবিরোধী আন্দোলন: গণতন্ত্র মঞ্চের ৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চলমান আন্দোলন জোরদার করতে রোডমার্চসহ পাঁচ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ-এর বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক তার দলীয় কার্যালয়ে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৩ মে ঢাকা দক্ষিণে এবং ২৮ মে ঢাকা উত্তরে এবং ৪-৬ জুন ঢাকা থেকে দিনাজপুর অভিমুখে রোড মার্চ।
সাইফুল বলেন, খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট এবং ইউটিলিটি সেবার বারবার মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সর্বক্ষেত্রে গুরুতর অব্যবস্থাপনা, ব্যাপক চুরি, দুর্নীতি, লাগামহীন লুণ্ঠন ও অর্থপাচারের মাধ্যমে দেশের জনগণকে এক অসহনীয় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এটা খুব স্পষ্ট যে সরকার দেশ চালাতে পারে না।’
সরকার বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় থেকে দেশের জনগণ ও গণতন্ত্রকে ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেন সাইফুল। দেশের জনগণ এ পরিস্থিতি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না।
তিনি বলেন, সরকার ও শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে জোটের ১৪ দফা দাবির ভিত্তিতে চলমান আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারা।
তাদের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাইফুল বলেন, জোটের নেতাকর্মীরা ২৩ মে সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বাহাদুর শাহ পার্ক অভিমুখে মিছিল করবে এবং ২৮ মে বাড্ডা এলাকায় আরেকটি পদযাত্রা হবে।
আরও পড়ুন: ১১ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চের
এর আগে শনিবার নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং দলীয় নেতাকর্মীদের 'মিথ্যা মামলায়' গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে তাদের ১০ দফা দাবিতে ১৯, ২০, ২৬ ও ২৭ মে দেশব্যাপী সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়
সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না তার রাজনৈতিক মিত্রদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটা মানুষকে বিভ্রান্ত করার নীলনকশা।
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কোনো অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাব করেননি। তিনি নিজেই ক্ষমতায় থাকবেন... আমাদের বক্তব্য হচ্ছে এই সরকারকে যেতেই হবে। তারপর অভ্যন্তরীণ সরকার গঠন করা হবে।’
এ বিষয়ে সাইফুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার নেতৃত্বে সংসদে তার রাজনৈতিক মিত্রদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ ‘এ ধরনের সরকার বর্তমান কর্তৃত্ববাদী নিপীড়নমূলক শাসনকে দীর্ঘায়িত করবে।’
তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ‘প্রহসনমূলক’ নির্বাচন প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই।
সাইফুল বলেন, ‘তাই নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের ১৪ দফার ভিত্তিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে একযোগে গণআন্দোলন তীব্র ও সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বৈঠক করেছে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চ
জেএসডি সভাপতি আবদুর রব হাসপাতালে ভর্তি
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত রব হঠাৎ বেশি অসুস্থ বোধ করায় শুক্রবার রাতে তাকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী তানিয়া রব।
তিনি বলেন, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এপিএম সোহরাবুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে রব চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৭৮ বছর বয়সী জেএসডি সভাপতিকে শনিবার সকালে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
গত বছরের জুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নেন রব।
এদিকে, শনিবার দুপুরে অসুস্থ রবকে দেখতে হাসপাতালে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রবকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি তিনি শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং চলমান আন্দোলনে অবদান রাখবেন।’
তিনি এই প্রবীণ রাজনীতিকের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।