������������������������
সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের শতাধিক নেতার পদত্যাগ
সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর শাখার স্বেচ্ছাসেবক দলের শতাধিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা পদত্যাগ করেছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক পদ থেকে অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামানের পদত্যাগের ধারাবাহিকতায় তারা পদত্যাগ করেছে বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) সিলেট নগরীর মিরাবাজারস্থ একটি হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে তারা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জৈন্তাপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ১৫টি উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক রয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে আলতাফ হোসেন বলেন, একযুগ ধরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ব্যানারে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রেখে জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি, আমাদের বাদ দিয়ে নিস্ক্রিয় ও অযোগ্য এমনকি কমিটিতে ব্যাংক কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি হাস্যকর কমিটি উপহার দেয়া হয়েছে। রাজপথের পরিক্ষিত পরিশ্রমী নেতা মওদুদুল হক মওদুদ সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহবায়ককে নতুন ঘোষিত কমিটির ৩১নং সদস্য, সিটি করপোরেশনের দুই বারের কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিনকে ৩৮নং সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক বেলালকে সদস্য, সদর উপজেলার আহবায়ক শাহিদুল ইসলাম কাদিরকে সদস্য ও আলতাফ হোসেন বিলালকে ৬১নং সদস্য রেখে অপমান অপদস্ত করা হয়েছে।
আলতাফ হোসেন আরও বলেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি (সিলেট বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও সিলেট জেলার সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামানের যোগ্য ও সাহসী নেতৃত্বে সিলেটের রাজপথের আলোচিত আন্দোলনের মধ্যে এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজের দীর্ঘ আন্দোলন, খালেদা জিয়ার বাসভবনে ৯৩ দিনের অবরোধের কঠিন কর্মসূচি, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিহত আন্দোলন, ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সিলেট হযরত শাহজালাল (রঃ) জিয়ারত আগমনে বাঁধাগ্রস্থ যুবলীগ-ছাত্রলীগকে প্রতিহত করে নেত্রীকে স্ব-সম্মানে সার্কিট হাউজে পৌঁছানো। ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার রায়ের প্রতিবাদে রাজপথে মিছিল, মিটিং, অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধন ধারাবাহিক কর্মসূচিগুলো এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন সময় অপপ্রচার, হুলিয়া ও সাজানো রায়ের প্রতিবাদে রাজপথে সকল আন্দোলন-সংগ্রামের ভূমিকায় উপজেলা ও পৌরসভার আন্দোলনের পাশাপাশি জেলা ও মহানগরের সকল কর্মসূচিতে নিজেদের সাধ্যমতো সর্বোচ্চ ত্যাগ ও পরিশ্রম করেছি এবং অর্ধ শতাধিক মামলা, জেল-জুলুম, নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি। আজ কমিটি ঘোষণায় রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম-পরিশ্রমী ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের একফোটা ঘামের মূল্যই রাখেনি আমাদের এই প্রিয় সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের ১০ নেতার পদত্যাগ
আলতাফ হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের ত্যাগ ও পরিশ্রমের মতো ইনসাফ থেকে বঞ্চিত ও অপমান অপদস্থ করার কারণে আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক ও শিক্ষাগুরু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান গত ১৮ আগস্ট পদত্যাগসহ ৩৬ বছরের দীর্ঘ রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছেন। সিলেট বিএনপি প্রতিষ্ঠায় অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান পারিবারিক অর্থ-সম্পদ ব্যয় করেন, সীমাহীন প্রতিকূলতার মাঝে দলকে প্রতিষ্ঠা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
তারা বলেন, আমরা আমাদের সোনালী সময় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলে ব্যয় করেছি। আমরা যারা বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে জীবন বাজী রেখেছি, রাজপথে গুলিবিদ্ধ হয়েছি, সংসার থেকে বিতাড়িত হয়েছি আজ আমাদের প্রিয় সংগঠন আমাদের তামাশায় রুপান্তরিত করেছে। আমাদের ত্যাগ ও পরিশ্রমে তিলে তিলে গড়া আলোচিত সংগঠন সিলেট স্বেচ্ছাসেবক দল। আজ সংগঠনটি নিস্ক্রিয় ও অযোগ্যদের হাতে নিমজ্জিত। নিস্ক্রিয় ও অযোগ্যদের নেতৃত্বে আমাদের কাজ করা অপমান ও লজ্জাজনক। তাই আমরা স্ব-স্ব পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যত প্রজন্মের ‘ভয়ংকর ক্ষতি’ করছে সরকার: বিএনপি
সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব চালু করেছে: ফখরুল
সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক জাহানারা বেগম আর নেই
সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাহানারা বেগম আর নেই। শনিবার সকালে নগরীর এভায়কেয়ার হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি....রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম জানিয়েছেন, সকাল ৭টার দিকে শহরের বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর জাহানারাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডিমেনশিয়াসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
জাহানারা দুই পুত্র, এক কন্যা, আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর স্বামী ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ মোস্তফা ১৯৮৬ সালে মারা যান।
পারিবারিক সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাঁর বড় ছেলে দেশে আসার পর তাকে শাহজাহানপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। তাঁর মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় প্রবীণ সাংবাদিক রুহুল কুদ্দুসের মৃত্যু
জাহানারা বিএনপির যুব মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। পঞ্চম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন থেকে তাকে এমপি করা হয়েছিল।
জাহানারা ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির টিকিট নিয়ে রাজবাড়ী -১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করার সময় তাকে খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ২০০১ সালে তাকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আ‘লীগ নেতা মোহাম্মদ উল্যাহ মারা গেছেন
অলি আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপির কয়েকজন নেতার সঙ্গে জাহানারা ২০০৬ সালে বিএনপি ত্যাগ করেছিলেন। পরে তাঁরা লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) গঠন করেন। তাকে এলডিপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব করা হয়েছিল।
তিনি এলডিপি ত্যাগ করেন এবং ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ)-এর কো-চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন ২০১২ সালে। এরপর তিনি অসুস্থতার কারণে ধীরে ধীরে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।
এলডিপির সভাপতি অলি আহমেদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও এলডিপির একাংশের সভাপতি আবদুল করিম আব্বাসী এবং সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিম এবং ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গণি এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
পৃথক শোক বার্তায় তারা মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: সড়কে যুব ও ছাত্রলীগের ৫ নেতার মৃত্যু: শোকে স্তব্ধ গোপালগঞ্জ
আনসার আল ইসলামের ‘আধ্যাত্মিক’ নেতার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ‘আধ্যাত্মিক’ নেতা মাহমুদ হাসান গুনবির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে শহরে ছাত্রদলের শোডাউন!
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা গুনবির ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শাহ আলী থানাধীন বেড়িবাধ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। অভিযানের সময় উগ্রবাদী পুস্তক ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে শাহ আলী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে র্যাবের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ১
গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গুনবি জানান, তিনি প্রথমে হুজির (বি) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে জসিম উদ্দিন রহমানির সঙ্গে তার পরিচয় সূত্রে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এই ঘনিষ্ঠতার সূত্রেই তিনি আনসার আল বাংলা টিম (আনসার আল ইসলাম) এর সাথে সম্পৃক্ত হন। গ্রেপ্তারের পর জসিম উদ্দিন রাহমানি নিজেকে উগ্রবাদ প্রচারক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে গুলিতে যুবক নিহত, আটক ১
আনসার আল ইসলামের ‘আধ্যাত্মিক’ নেতা গুনবি গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ’আনসার আল ইসলাম’ এর আধ্যাত্মিক নেতা মাহমুদ হাসান গুনবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শাহ আলী থানাধীন বেড়িবাধ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪। অভিযানের সময় উগ্রবাদী পুস্তক ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ২০ দলীয় জোট ছাড়ল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
র্যাব জানায়, হাসান গুনবির বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, তিনি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন করার পর মাদ্রাসায় ভর্তি হন। ২০০৮ সালে জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর থেকে তাইসির দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন। এরপর ঢাকাসহ কুমিল্লা, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সজারের বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। পাশাপাশি ধর্মীয় মতাদর্শের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত হন। ২০১০ সাল থেকে ওয়াজ শুরু করেন তিনি। এরপর ২০১৪ সাল থেকে ধর্মীয় বক্তব্যে উগ্রবাদ প্রচারে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। এছাড়া তিনি ধর্মীয় পুস্তকের ব্যবসার সাথে যুক্ত হন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা ‘খুন ’
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, তিনি প্রথমে হুজির (বি) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে জসিম উদ্দিন রহমানির সঙ্গে তার পরিচয় সূত্রে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এই ঘনিষ্ঠতার সূত্রেই তিনি আনসার আল বাংলা টিম (আনসার আল ইসলাম) এর সাথে সম্পৃক্ত হন। গ্রেপ্তারের পর জসিম উদ্দিন রাহমানি নিজেকে উগ্রবাদ প্রচারক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির দুই কেন্দ্রীয় নেতার পদত্যাগ
মামুনুলের পক্ষে ফেসবুক পোস্ট: সীতাকুণ্ডে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে অব্যাহতি
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া সীতাকুণ্ড উপজেলায় দুজন ছাত্রলীগ নেতাকে সংগঠনের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
তারা হলেন- উপজেলার ৯নং ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন এবং ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মো. আজিজুল হক আজিজ।
আরও পড়ুন: বায়তুল মোকাররমে সহিংসতা: মামুনুলসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ভাটিয়ারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহিন আহমেদ ও সোনাইছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিনের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
দুই ছাত্রলীগ নেতার অব্যাহতি বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, 'দুজনই হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়েছে যা সংগঠনের নীতি আদর্শ ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ। এ কারণে সংগঠন থেকে দুজনকে অব্যাহতি দেয়া হয়।'
আরও পড়ুন: মামুনুলের পক্ষে ফেসবুক লাইভ: কুষ্টিয়ার সেই পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
ছাত্রলীগ নেতারা জানান, সংসদে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের বিরোধিতা করে এক ব্যক্তি ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়। আর সেটি শেয়ার করে ভাটিয়ারী ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড সভাপতি গিয়াস উদ্দিন।
ভাটিয়ারী ছাত্রলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন বলেন, 'আমার ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি চুরি হয়ে যায়। যারা চুরি করেছে তারাই পোস্টটি শেয়ার করেছে। মোবাইল চুরির বিষয়টি আমি থানাকেও অবহিত করেছি।'
অপরদিকে, মাওলানা মামুনুল হকের ঘটনা নিয়ে তার পক্ষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় সোনাইছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ প্রচার সম্পাদক আজিজ।
আরও পড়ুন: ওই নারী মামুনুলের স্ত্রী নন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সোনাইছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মো. আজিজুল হক আজিজ বলেন, 'আমি দীর্ঘদিনের মুজিব আদর্শের একজন সৈনিক। জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই আমি এ আদর্শ লালন করছি। আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার কারণে কে বা কারা আমার আইডি থেকে মামুনুল হকের পক্ষে স্ট্যাটাস দেয়। আইডি উদ্ধার হওয়ার পর আমি পোস্টটি ডিলিট করে দিই। দল থেকে অব্যাহতির বিষয়টি দুঃখজনক।'
দুজনের বিষয়টি দলের দৃষ্টিগোচর হলে সংগঠনের নীতি আদর্শ ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদেরকে সংগঠনের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
লালমনিরহাটে ‘গোপন বৈঠকের’ সময় জামায়াত ও হেফাজতের ৯ নেতা গ্রেপ্তার
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ‘গোপন বৈঠকের’ সময় জামায়াতের আমীরসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম মুন্সির বাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন:ভারতে প্রবেশকালে লালমনিরহাট সীমান্তে আটক ১২
তারা হলেন- উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে তুষভান্ডার ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মোজাম্মেল হক(৫৩), একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে শাহীন মিয়া(৩৫), মৃত উসমান আলীর ছেলে আবু বক্কর(৭০), মৃত নজমুদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম(৫৭), মৃত ফয়জার উদ্দিনের ছেলে ফুয়াদ হোসেন(৪০), মৃত নজরুল হকের ছেলে সাবু মিয়া(৫০), বৈরাতি গ্রামের ফজলে রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলাম(৪০), একই গ্রামের ইমান আলীর ছেলে ফরিদুল ইসলাম(৩০) ও জামির বাড়ি গ্রামের বেলাল মোস্তফার ছেলে আবু সাঈদ (২৬)।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেনের ভাষ্যমতে, ওই এলাকায় আবু বক্কর সিদ্দিকের বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা একটি গোপন বৈঠকে বসেছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে সবাই পালিয়ে গেলেও তুষভান্ডার ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মোজাম্মেল হকসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে কিছু জিহাদী বই, লিফলেট ও চাঁদা আদায়ের রশিদ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:লালমনিরহাটে হারিয়ে যাওয়ার ২৭ দিন পর ম্যাগজিনসহ গুলি উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, পুলিশের ধারণা, তারা নাশকতামূলক কাজ করতে ওই বৈঠকে বসেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘হেফাজতের’ হামলায় আহত আ’লীগ নেতার মৃত্যু
নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের লাল কার্ড
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লালকার্ড প্রদর্শন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নেতা-কর্মীরা।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চান ড. কামাল হোসেন
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন শনিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
গণফোরাম ছাড়লেন রেজা কিবরিয়া
পার্টিতে যোগদানের প্রায় ২৬ মাস পর ড. রেজা কিবরিয়া গণফোরাম এবং এর সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
হেফাজত নেতাদের মামলার বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমীর আল্লামা আহমদ শফীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে সংগঠনটির নেতাদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।