%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%83%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A6%BE
কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ দখলের অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুয়েত-বাংলাদেশ সরকারি মৈত্রী হাসপাতালের স্টোর অফিসার ও তার স্ত্রী নবীনগর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সা'দাৎ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুদকের মামলা থেকে ৫ জনকে অব্যাহতি দিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন
অভিযুক্ত কুয়েত বাংলাদেশ সরকারি মৈত্রী হাসপাতালের স্টোর অফিসার মো. হাবিবুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার চরলাপাংয়ের চিত্রী গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে এবং অপর অভিযুক্ত তার স্ত্রী মোসাম্মাৎ শিউলী আক্তার নবীনগর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফজলুল হক।
মামলার নথিপত্র সূত্রে জানা যায়, মো. হাবিবুর রহমান এবং তার স্ত্রী নারী ভাইস চেয়ারম্যান শিউলী রহমান ওরফে মোসাম্মাৎ শিউলী আক্তার একে অপরের সহযোগিতায় মোট এক কোটি চার লাখ ১৪ হাজার ৭৬৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রেখেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বগুড়ায় ‘৫০০ কোটির বাড়ি’র মালিকের নামে দুদকের মামলা
সিরাজগঞ্জে বিএনপির ১৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বিএনপির ১৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. হান্নান মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জেলা বিএনপির সহসভাপতি অমর কৃষ্ণ দাস, কাউয়াকোলা ইউনিয়নের সভাপতি বাদল মন্ডল গুটু, কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন খান ও মামুন ওরফে পোরা মামুনসহ অন্যরা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, নাশকতা ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে করা মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় সদর, রায়গঞ্জ, তাড়াশ, শাহজাদপুর, বেলকুচি উপজেলা ও সলঙ্গা এবং এনায়েতপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে উল্লেখিতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: রাজশাহীর সেই বিএনপি নেতা ৫ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর ধানমন্ডিতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, বাসে আগুন
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: রাজশাহীর সেই বিএনপি নেতা ৫ দিনের রিমান্ডে
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানির পর আদালতে থাকা রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌসুলি (অ্যাডিশনাল পিপি) জালাল উদ্দিন এই তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানায় পুলিশ। তবে রিমান্ড শুনানি শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মাহবুব আলম পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গ্রেপ্তারের পর রাজশাহীর পুঠিয়া থানায় করা প্রথম মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পুঠিয়ার শিবপুরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল গত ২১ মে রাতে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। তবে ১৯ মে সমাবেশে হুমকি দিয়েই লাপাত্তা হন বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ। তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই ঘটনার পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার রাজশাহী শহরের কোর্ট ভেড়িপাড়া মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে বেলা ১২টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে চাঁদকে আনা হয় এবং গ্রেপ্তারের তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলন শেষে চাঁদকে আদালতের মাধ্যমে দুপুরেই কারাগারে পাঠানোর কথা ছিল। তবে এমনটি জানানো হলেও পরে আদালতে তুলে চাঁদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রীকে হুমকির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত মহানগরে ৪টি ও জেলায় তিনটসহ মোট সাতটি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় তাকে এখন পর্যায়ক্রমে গ্রেপ্তার দেখানোর কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার (১৯ মে) রাজশাহীর পুঠিয়ার শিবপুরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
সমাবেশের শেষে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে ‘কবরস্থানে’ পাঠানোর হুমকি দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ।
ওই দিন তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আর ২৭ দফা ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা-শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে, শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের জন্য যা যা করার দরকার, আমরা করব ইনশাআল্লাহ’।
তার এই বক্তব্যের ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে রাজশাহীসহ গোটা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। চাঁদকে যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই গণধোলাইয়ের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থকরা। রাজশাহীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানোর হুমকির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে পুঠিয়া থানায় প্রথম মামলা হয়।
ইউএনবি/টিএস
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: রাজশাহীর সেই বিএনপি নেতা ৫ দিনের রিমান্ডে
রাজশাহী, ২৫ মে (ইউএনবি)-প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানির পর আদালতে থাকা রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌসুলি (অ্যাডিশনাল পিপি) জালাল উদ্দিন এই তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানায় পুলিশ। তবে রিমান্ড শুনানি শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মাহবুব আলম পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গ্রেপ্তারের পর রাজশাহীর পুঠিয়া থানায় করা প্রথম মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পুঠিয়ার শিবপুরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল গত ২১ মে রাতে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। তবে ১৯ মে সমাবেশে হুমকি দিয়েই লাপাত্তা হন বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ। তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই ঘটনার পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার রাজশাহী শহরের কোর্ট ভেড়িপাড়া মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে বেলা ১২টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে চাঁদকে আনা হয় এবং গ্রেপ্তারের তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলন শেষে চাঁদকে আদালতের মাধ্যমে দুপুরেই কারাগারে পাঠানোর কথা ছিল। তবে এমনটি জানানো হলেও পরে আদালতে তুলে চাঁদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রীকে হুমকির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত মহানগরে ৪টি ও জেলায় তিনটসহ মোট সাতটি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় তাকে এখন পর্যায়ক্রমে গ্রেপ্তার দেখানোর কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার (১৯ মে) রাজশাহীর পুঠিয়ার শিবপুরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
সমাবেশের শেষে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে ‘কবরস্থানে’ পাঠানোর হুমকি দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ।
ওই দিন তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আর ২৭ দফা ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা-শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে, শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের জন্য যা যা করার দরকার, আমরা করব ইনশাআল্লাহ’।
তার এই বক্তব্যের ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে রাজশাহীসহ গোটা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। চাঁদকে যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই গণধোলাইয়ের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থকরা। রাজশাহীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানোর হুমকির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে পুঠিয়া থানায় প্রথম মামলা হয়।
ফরিদপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে মেয়ের মৃত্যুদণ্ড
দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রী ও দুই মেয়ে মিলে বাবাকে হত্যার দায়ে এক মেয়ের ফাঁসির আদেশ এবং অপর মেয়ে ও স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সময় প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরের ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নিহত হাফেজ আবুল বাশার জেলার সালথা উপজেলার খোয়ারাগট্টি এলাকা বাসিন্দা ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত নিলুফা আক্তার নিহতের মেয়ে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: নেত্রকোণা আদালতে আরও ১টি মামলা
দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি দুজন হলো- (স্ত্রী) সাহিদা পারভিন ও (মেয়ে) হাফিজা বেগম।
মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়, নিহত হাফেজ আবুল বাশার তার প্রথম স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে ফরিদপুর শহরের আলীপুর এলাকায় বসববাস করতেন। আবুল বাশার দ্বিতীয় বিবাহ করায় প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না।
এর জের ধরে ২০১৬ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে প্রথম স্ত্রী ও দুই মেয়ে মিলে বাবাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর গভীর রাতে জবাই করে হত্যা করে।
এ ঘটনার পরের দিন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নিহতের ভাই লোকমান ফকির বাদি হয়ে হত্যা মামলা করে। মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।
ফরিদপুর জজ কোটের পিপি মো. নওয়াব আলী মৃধা জানান, হাফেজ আবুল বাশার হত্যা মামলায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতার নামে মামলা
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা আদালতে মামলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি ও রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার আদালতে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সাইদুজ্জামান জিকো বাদী হয়ে আমলী আদালত-১ এ মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: সেই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে মামলা
অভিযোগটি আমলে নিয়ে সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবীর সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফ.আই.আর হিসেবে রেকর্ড করার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ার শিবপুর হাইস্কুল মাঠে বিএনপির এক সমাবেশে আবু সাইদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে বলে বক্তব্য দেন। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার জন্য যা যা করার দরকার তাই করা হবে ইনশাআল্লাহ বলে হুমকি দেন। একই সঙ্গে ওই সমাবেশে শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করারও হুমকি দেন তিনি।
এজাহারে মামলাটি গ্রহণ করে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: সেই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মাগুরায় আরেকটি মামলা
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: নেত্রকোণা আদালতে আরও ১টি মামলা
ফালুর বিরুদ্ধে ত্রাণের টিন আত্মসাতের মামলা বাতিলই থাকবে: আপিল বিভাগ
ত্রাণের টিন আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপি নেতা সাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী ফালুর খালাসের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের রিভিউ আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে ফালুর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক।
ব্যারিস্টার কাজল বলেন, দুদকের রিভিউ আবেদন খারিজের ফলে এ মামলার কার্যক্রম চূড়ান্তভাবে বাতিল হলো। এ মামলার আর কোনো বিচারিক কার্যক্রম বাকি রইলো না। তিনি চূড়ান্তভাবে খালাস পেলেন।
আরও পড়ুন: ক্যাসিনো সংস্কৃতি চালু করে খোকা, আব্বাস ও ফালুরা: তথ্যমন্ত্রী
সাবেক জরুরি তত্ত্বাবধয়াক সকারের আমলে ২০০৭ সালের মার্চ মাসে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দুদক ফালুসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য থাকাকালীন সরকারিভাবে গরিব মানুষের জন্য চার লাখ টাকার টিন বরাদ্দ হয়। তিনি ত্রাণের এসব টিন বিতরণ না করে তার লোকজনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।
পরে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ এবং মামলা বাতিলে হাইকোর্ট আবেদন করেন ফালু। সেই আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৭ মার্চ মামলা বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে দুদক। ২০২১ সালের ২ জুন আলী ফালুর বিরুদ্ধে ত্রাণের টিন আত্মসাতের মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছিলেন আপিল বিভাগ। পরে রায়টি রিভিউ চেয়ে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে যা আজ খারিজ করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফালু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদন
সিটি কলেজ এলাকায় সংঘর্ষ: বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ ১৭ আসামি কারাগারে
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পালনকালে রাজধানীর সিটি কলেজ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে করা মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমসহ ১৭ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, ২০ নেতাকর্মীর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রশীদ আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
এদিন রাজধানীর ধানমন্ডি ও নিউমার্কেট থানা পুলিশ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ৩৭ নেতাকর্মীকে আদালতে হাজির করে।
যার মধ্যে ধানমন্ডি থানার একটি মামলায় ২৭ জন এবং নিউমার্কেট থানার একটি মামলায় ছিল ১০ জন।
ধানমন্ডি থানা পুলিশ ২৭ জনের মধ্যে ১২ জনকে তিন দিন এবং নিউমার্কেট থানা পুলিশ ১০ জনের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৯৮ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের ২ মামলা
আদালতে আসামি পক্ষের মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড আবেদন নাকচ করে তাদের জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি নিয়ে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ধানমন্ডি থানার মামলায় ১২ জনের এক দিন এবং ধানমন্ডি থানার মামলায় আট জনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এছাড়া বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমসহ ১৭ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
জানা যায়, গত ২৩ মে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা ধানমন্ডির শংকর এলাকায় সমাবেশ করে বেলা তিনটার দিকে পদযাত্রা শুরু করে।
এ পদযাত্রা জিগাতলা, সিটি কলেজ হয়ে ল্যাবএইড হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। পদযাত্রাটি সিটি কলেজ এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় বিআরটিসির একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
ওই ঘটনায় নিউমার্কেট থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলায় ৪০০/৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
আর ধানমন্ডি থানায় করা দুই মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকশ ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে অননুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান: চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস: ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: সেই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মাগুরায় আরেকটি মামলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিসহ তার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে মাগুরা আদালতে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার জেলার আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান মাগুরা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ন কবীরের আদালতে ডিজিটাল আইনে মামলাটি করেন। বিচারক হুমায়ুন কবির মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির’ অভিযোগে মির্জা ফখরুল ও রাজশাহী বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
শুনানি শেষে আদালত মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার প্রদান করেছেন।
বাদি পক্ষের আইনজীবী শাখারুল ইসলাম শাকিল জানান, আসামি চাঁদ ১৯ মে পুটিয়ায় স্কুল মাঠে জনসভায় বক্তৃতা দানকালে প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেন। হত্যার হুমকি দেওয়ায় তার জীবনহানী ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যার কারণে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। আসামির এই বক্তব্যে বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টিসহ নাশকতামুলক কর্মকাণ্ড ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: সেই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে মামলা
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: নেত্রকোণা আদালতে আরও ১টি মামলা
রাণীশংকৈলে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ যুবক গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ মে) দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী এলাকার ইউসুফ খলিফার ছেলে মুন্না হাসান (৩৬) এবং একই এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৭)।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৮ বছর পলাতক যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার: র্যাব
রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মণ্ডল এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক মুন্না হাসান ও ও নুর মোহাম্মদ নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের সুন্দরপুর এলাকায় আদিবাসী আমিন মার্ডিকে মাদকবিক্রেতা বলে ভয় দেখায়। পরে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নেন তারা।
তিনি জানান, তাদের আচরণে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুয়া ডিবি পুলিশের পরিচয় দেওয়া দুই যুবককে আটক করে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয় দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ‘ভারতীয় সিরিয়াল দেখে’ শিশু হত্যার অভিযোগ, কিশোর গ্রেপ্তার
বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে পালানো সেই আসামি গ্রেপ্তার
এবি ব্যাংকে ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদনে অনিয়ম, অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
এবি ব্যাংকের বিরুদ্ধে ওঠা নামসর্বস্ব কোম্পানির নামে ৩৫০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া তিন মাসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
বুধবার (২৪ মে) একটি জাতীয় দৈনিকে ‘খেলাপির তথ্য লুকিয়ে আরও বড় জালিয়াতি’- শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুর ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: হিন্দু নারীদের অধিকার প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
এই ঋণ অনুমোদেনের অভিযোগের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব, বিএফআইইউ, সিআিইডি, এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদেশের আগে স্বপ্রণোদিত রুল ও নির্দেশনার বিরোধিতা করেন উপস্থিত আইনজীবী আহসানুল করিম, মাহবুব শফিক ও মইনুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ, দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হাসান এম এস আজিম।
আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে বলেন, এ ঋণের বিষয়টি জানতে পেরে এরই মধ্যে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিএফআইইউ আটকে দিয়েছে।
যেহেতু ঋণটি আটকে দেওয়া হয়েছে, এ অবস্থায় রুল জারির প্রয়োজন দেখছি না। রুল, আদেশ হলে ব্যাংকটির আমানতকারীদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়বে, তাদের মধ্যে ভীতি তৈরি হবে।
আদেশ হলে ব্যাংকটির শেয়ারের দাম সঙ্গে সঙ্গে পড়ে যাবে। যে কারণে বলছি, স্বপ্রণোদিত রুল-আদেশ সবসময় মঙ্গলজনক নাও হতে পারে।
আইনজীবী মাহবুব শফিক বলেন, রুলসহ আদেশ দেওয়ার আগে প্রতিবেদনটির সত্যতা যাচাই করার জন্য এক সপ্তাহ সময় নেওয়া যেতে পারে। প্রতিবেদনটির বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করা জরুরি।
দেখা যাক, এবি ব্যাংক এই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো প্রতিবাদ দেয় কি না। আদেশের জন্য এক সপ্তাহ অপেক্ষা করা যেতে পারে।
আইনজীবী মইনুল ইসলাম বলেন, এমনিতেই ব্যাংকিং খাতের অবস্থা টালমাটাল। এ অবস্থায় রুল আদেশ দিলে এ পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। সারা বিশ্বেই ব্যাংকিং খাতে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। বিভিন্ন দেশে অনেক ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে।
এসময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ তার বক্তব্যে আপত্তি জানিয়ে আলোচ্য বিষয় অর্থাৎ ৩৫০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকতে বলেন।
তবে আইন কর্মকর্তা রুল জারি বা অন্তবর্তী আদেশ দেওয়া না দেওয়ার বিষয়ে কিছু বলেননি এরপর আদালত রুলসহ আদেশ দেন।
যে কোম্পানির অনুকূলে ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করেছে এবি ব্যাংক তার মালিকানায় দুই জনের নাম উল্লেখ থাকলেও প্রকৃতপক্ষে এর সুবিধা নিতে যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী হায়দার রতন।
যিনি কিছুদিন আগে ন্যাশনাল ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে রাতে ঋণের টাকা তুলে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন।
যদিও জালিয়াতির এই ঋণের তথ্য জানতে পেরে এরই মধ্যে তা আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ ফিইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীকে পদাধিকার বলে জামুকা'র চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ কেন বাতিল নয়: হাইকোর্ট
কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ব্যাখ্যা চেয়েছে তারা।
জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলী হায়দার রতনের নামে পাঁচ ব্যাংকে বর্তমানে ৫৫৯ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি কাজের কার্যাদেশের বিপরীতে সন্দেহজনক উপায়ে নেওয়া এসব ঋণ এখন খেলাপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্র্যান্ডশেয়ার ট্রেডিংয়ের নামে একটি নামসর্বস্ব কোম্পানির নামে ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ সম্প্রতি অনুমোদন করে এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। গত ১০ জানুয়ারি ব্যাংকটির গুলশান শাখায় ঋণের আবেদন আসে।
আবেদনে প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেখানো হয় মোহাম্মদ আতাউর রহমান ও মো. মামুন রশিদকে। তবে এর ঠিকানা দেওয়া হয়েছে রতনের মালিকানাধীন ইনফ্রাটেক কনস্ট্রাকশনের, যার কার্যালয় ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে। আর আবেদনপত্রের প্যাডে যে ই-মেইল ও ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হয়েছে তা-ও তারই মালিকানার ব্র্যান্ডউইন নামে আরেকটি কোম্পানির।
এ কোম্পানির নামে দ্রুত ঋণ ছাড় করতে আবেদনের দিনই এবি ব্যাংকের গুলশান শাখা ব্যবস্থাপকসহ তিন কর্মকর্তা গ্রাহকের ধানমন্ডির অফিস ও বাড়ির ঠিকানা পরিদর্শন করে একটি পরিদর্শন প্রতিবেদন দেন।
গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের নামে কখনও কোনো আমদানি না হলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রাহক প্রচুর পরিমাণে জ্বালানি, নির্মাণসামগ্রী, রাসায়নিক পদার্থ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য আমদানি করেন।
বিএফআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমদানি তো দূরে থাক, কোম্পানিটির নিবন্ধন নেওয়া হয় গত বছরের জুনে। এরপর গত নভেম্বরে ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে এবি ব্যাংকের গুলশান শাখায় একটি হিসাব খোলা হয়।
এর বাইরে কোনো লেনদেনও নেই। অথচ ভুয়া পরিদর্শন প্রতিবেদন দিয়ে একেবারে নতুন নিবন্ধিত কোম্পানিকে বড় কোম্পানি দেখানো হয়। পরদিন ঋণপ্রস্তাবটি শাখা থেকে প্রধান কার্যালয়ের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটিতে পাঠানো হয়। আবেদনের এক মাস পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের ৭৫৫তম পর্ষদ সভায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের জোর চেষ্টায় তা অনুমোদন হয়।
আবার ব্র্যান্ডশেয়ার ট্রেডিংয়ের নামে ঋণ অনুমোদন হলেও সব ধরনের ব্যাংকিং রীতিনীতি অমান্য করে ইনফ্রাটেকের অনুকূলে ১৬ কোটি ১৩ লাখ টাকার গ্যারান্টি ইস্যু করে ব্যাংক।
জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে পাঁচ ব্যাংক থেকে নেওয়া রতনের ঋণের বেশিরভাগই এখন খেলাপি। যে কোনো খেলাপিকে নতুন করে ঋণ দিতে পারে না ব্যাংক।
যে কারণে ভিন্ন কৌশলে আলী হায়দার রতনকে ৩৫০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার চেষ্টা করে এবি ব্যাংক। আগের সব ঋণই নেওয়া হয় সরকারি রাস্তার কার্যাদেশের বিপরীতে।
সরকারি কার্যাদেশের বিপরীতে নেওয়া ঋণ সরাসরি ব্যাংকের হিসাবে জমা হয়। সেখান থেকে ব্যাংক টাকা কেটে লাভের অংশ গ্রাহককে পরিশোধ করে।
তবে ন্যাশনাল, ইউসিবিএল, এসআইবিএল, জনতা ও বেসিক ব্যাংক থেকে নেওয়া ৬০৯ কোটি টাকার কোনো বিল সরাসরি ব্যাংক হিসাবে জমা হয়নি। ফলে এসব ঋণ এখন খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
এছাড়া আদৌ কার্যাদেশ পেয়েছেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ব্যাংকগুলোতে। যদিও এ নিয়ে কেউ কিছু বলতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন: প্লট বরাদ্দ বাতিলের নথি না দেওয়ায় রাজউক চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে তলব