%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%83%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A6%BE
বরিশালে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ
বরিশাল নগরীতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নগরীর ২৩নং ওয়ার্ডের দুইজন কাউন্সিলর প্রার্থী একে অপরের উপরে হামলার অভিযোগ এনেছে, এঘটনায় উভয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা জানিয়েছেন।
২৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার বলেন, আজ নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে সিএন্ডবি পোল সংলগ্নে মল্লিক বাড়ির পোলের সামনে আমাদের গাড়ির গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা চালায় নোমান মল্লিকের সহযোগী সাথিল ও নবীন মল্লিকসহ ১৪/১৫ জন।
হামলায় আমার সঙ্গে থাকা রুবেল, আরিফ, শহিদ ও দোলনকে বেধড়ক মারধর করেন। আামাদের চিৎকারে লোকজন জড়ো হলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা জানিয়েছেন এনামুল হক বাহার।
অন্যদিকে, এনামুল হক বাহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ২৩নং ওয়ার্ডের আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী নোমান মল্লিক বলেন, নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর থেকেই আমাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে সাবেক কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার।
আজ নির্বাচন কমিশনে আমার প্রার্থিতা বৈধ হওয়ার খবর শুনে আমার বাড়ির সামনে বসে বাহার ও তার লোকজন গালিগালাজ করে। এসময় আমার এক কর্মী মো.একরাম তাকে গালি দিতে নিষেধ করায় তাকে বেধড়ক মারধর করেন।
এঘটনায় থানায় বাদী হয়ে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন নোমান মল্লিক।
এবিষয় কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মল্লিক বাড়ির পোল মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠিয়েছি, তবে এখনো কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাষ্ট্রপতি নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ: ‘সময় নষ্ট করায়’ রিটকারীকে লাখ টাকা জরিমানা
মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আপিল বিভাগও খারিজ করে দিয়েছেন।
একইসঙ্গে অযৌক্তিক রিট করে আদালতের সময় নষ্ট করায় রিটকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
বেঞ্চের অন্য সাতজন হলেন- বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর: অ্যাটর্নি জেনারেল
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৭ মার্চ হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছিল।
একইসঙ্গে রিটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১ এর ৭ ধারা অনুসারে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যোগ্য মনোনীত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট গত ১৫ মার্চ সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
আদেশের অভিমতে হাইকোর্ট বলেন, ‘রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ‘দ্য অফিস অব প্রফিট’ ধারণ করেন, কিন্তু এটি প্রজাতন্ত্রের কর্মে একটি লাভজনক (অফিস অব প্রফিট) পদ নয়। রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণের পদ্ধতি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে অন্যদের নিয়োগের মতো নয়। তদুপরি প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মে নিয়োজিত কর্মচারীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের যেসব বিধান ও নিয়ম রয়েছে, সেগুলো রাষ্ট্রপতি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।’
এরপর ২১ মার্চ রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে দেশি-বিদেশি অপশক্তিকে প্রতিহত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
অনুদানের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে আইনি নোটিশ
একুশে পদক পাওয়া বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাস বরাবর একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সাবিহা রহমান নিতু নামে একজন অর্থদাতা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনে তার দেওয়া অর্থ কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে, সেই তথ্য চেয়ে উক্ত আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কিশোর কুমার বরাবরে মঙ্গলবার (১৬ মে) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ওই দাতার পক্ষে নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. হায়দার তানভীরুজ্জামান।
বুধবার আইনজীবী মো. হায়দার তানভীরুজ্জামান নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফাউন্ডেশনকে দেওয়া এই দাতার অর্থ কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে তার হিসাব ৩০ দিনের মধ্যে দিতে বলেছেন তিনি। অন্যথায় আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।
নোটিশে আরও বলা হয়, সামাজিক কাজে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে এই দাতা ফাউন্ডেশনকে ব্যাংক এবং বিকাশের মাধ্যমে তিন ধাপে ৪০ হাজার ৫০০ টাকা দেন। কিছুদিন যাবৎ গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে টাকার সঠিক ব্যবহার না করার অভিযোগ এসেছে।
এতে বলা হয়, অডিট রিপোর্টে সব ব্যয়ের খাত স্পষ্ট রাখা হলে এই দাতা অডিট রিপোর্ট চেক করে তার দেওয়া অর্থের তথ্য পাননি। এছাড়া এ বিষয়ে বার বার জানতে চাইলেও ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাই এই দাতার দেওয়া অর্থ কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে ৩০ দিনের মধ্যে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে হবে। অন্যথায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন পরিদর্শনে ভারতীয় হাই কমিশনার
‘এক টাকায় আহার’ প্রকল্পের আওতায় হাজারো সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করে পরিচিতি পাওয়া বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন যাত্রা শুরু করেছিল ২০১৩ সালে।
গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পর পুড়ে যাওয়া কাপড়গুলো ব্যবহার উপযোগী করার পর অভিনেতা–অভিনেত্রীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের জনপ্রিয় ব্যক্তিদের কাছে তা বিক্রি করে তারা। যে কাপড় বাঁচানো সম্ভব হয়েছে, তা দিয়ে শিশুদের পোশাক, গয়নাসহ নানা পণ্য বানিয়ে তা বিক্রি করে ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
তখন সংগঠনটির ফেসবুক পেজে একটি কোলাজ ছবি আপলোডের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ বিষয়ে কিশোর কুমারের বক্তব্য হলো- এক নারী উদ্যোক্তার বানানো কিছু গয়নার ছবি দেখেই ওই সব গয়না বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
তবে বিদ্যানন্দের ফেসবুক পেজে কোলাজ ছবি প্রকাশের সময় ওই নারী উদ্যোক্তার বানানো কয়েকটি গয়নার ছবিও প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে পরে পেজ থেকে তা সরিয়ে ফেলা হয় এবং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: একুশে পদক পাচ্ছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনসহ ২টি প্রতিষ্ঠান ও ১৯ ব্যক্তিত্ব
নাইকো দুর্নীতি মামলা: অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ মে) খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
তিনি বলেন, ‘গত ১৯ মার্চ ঢাকার একটি আদালত এ মামলায় চার্জ গঠন করেন। ওই চার্জ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেছি। এখন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে শুনানি হবে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ
গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।
এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৩ মে দিন ধার্য করা আছে।
বিচার শুরু হওয়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ৷
আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার নামে মামলা করে দুদক।
তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৫ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
হাসপাতাল থেকে ৫ দিন পর বৃহস্পতিবার বিকালে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরের লালপুরে শিশু ধর্ষণ মামলার রায়ে রান্টু নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, ২০১০ সালের ১৮ আগস্ট লালপুর উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের শ্রমজীবী দম্পতির অনুপস্থিতিতে তাদের বাড়িতে ঢুকে ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করেছিল প্রতিবেশি দিনমজুর রান্টু (৫৩)।
এ ঘটনায় মামলা হলে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে বিচারক বুধবার এ রায় দেন।
রায়ে আসামিকে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং সেই টাকা আদায় করে ভুক্তভোগীকে প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
ফেনীতে ভাইকে হত্যা: ৩০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
শ্রম আইন সংশোধনে জোরালোভাবে কাজ করছে সরকার: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, সরকার যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন নিশ্চিত করার জন্য জোরালোভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, আইন সংশোধন একটি জটিল প্রক্রিয়া। বিশেষ করে শ্রম আইন যা ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যম ঘটে থাকে। তাই এই আইন সংশোধনে যুক্তিসঙ্গত সময়ের প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনাগুলো বিবেচনা করা হবে: আইনমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৬ মে) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে শ্রম আইন সংশোধন বিষয়ক টেকনিক্যাল নোট ও গ্লোবাল গুড প্রাকটিস নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা সভার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেক শ্রমিকের কাজের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রম মান এবং মৌলিক নীতি ও অধিকার অনুযায়ী শ্রম খাতকে উন্নত করার জন্য সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা নিয়ে কোনো অস্পষ্টতা নেই।
মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইএলও গভর্নিং বডিতে তিনি বাংলাদেশের শ্রমের মান উন্নয়নে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা তুলে ধরেছেন।
শ্রমবিষয়ক আইনি কাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, এরই মধ্যে বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। ইপিজেড শ্রম বিধিমালা জারি করা হয়েছে।
শ্রম বিধিমালা সংশোধনের প্রথম রাউন্ডে বিশেষজ্ঞ কমিটির বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ বিবেচনায় নেওয়া হয়।
এছাড়া, আগামীতেও তাদের পর্যবেক্ষণ বিবেচনায় নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, শ্রম সচিব মো. এহছানে এলাহী, আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমো পুটিআইনেন, বাংলাদেশ এমপ্লোয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশির কবির, এনসিসিডব্লিউই’র সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: মানুষ যেন দ্রুত ন্যায়বিচার পায়: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না: আইনমন্ত্রী
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মঙ্গলবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) ও বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন যৌথ অভিযান চালিয়ে দুই হাজার ২৬৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে। এ সময় এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়।
গ্রেপ্তার নূর মোহাম্মদ (৩৮) কক্সবাজারের উখিয়া থানার পালংখালী গ্রামের মো. ইসমাইলের ছেলে।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ও ডিএনসির সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ দল সকাল থেকে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের সামনে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে সন্দেহভাজন নূর মোহাম্মদকে পাবলিক টয়লেটের সামনে দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তিনি আরও বলেন, এ সময় তাকে অপ্রস্তুত ও সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালানোর চেষ্টা করলে যৌথ বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে রাতভর মাদক ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ, মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ১৩
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নূর মোহাম্মদ কোনো ধরনের মাদক বহনের কথা অস্বীকার করলেও বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কার্যালয়ে আনা হলে সে স্বীকার করে যে তার কাছে ইয়াবা আছে। পরে সে নিজেই তার কাছে থাকা ইয়াবা বের করে।
গণনা করে দেখা গেছে যে তার কাছে দুই হাজার ২৬৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ছিল।
অতিরিক্ত এসপি জিয়াউল হক বলেন, বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ সদস্যরা ২০১৮ সালে নূর মোহাম্মদকে ইয়াবার চালানসহ গ্রেপ্তার করেছিল। তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়। বর্তমানে সে ওই মামলায় জামিনে রয়েছে। জামিনে বেরিয়ে আবারও ইয়াবা পাচারে জড়িয়ে পড়ে সে।
জিয়াউল হক বলেন, তার বিরুদ্ধে আরও অন্তত দুটি মাদক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে কারেন্ট জালসহ মাদক জব্দ, যুবক আটক
ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
ময়মনসিংহের ভালুকায় ২০০৯ সালে ব্যবসায়ী সিরাজুল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাহাদত হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-জোসনা বেগম ও শহীদুল ইসলাম। এদের মধ্যে শহীদুল পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ২ যুবকের যাবজ্জীবন
কোর্ট ইন্সপেক্টর ঝুটন চন্দ্র বর্মণ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভালুকার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের সিরারুল ইসলাম ২০০৭ সালে জোসনা বেগমকে বিয়ে করেন। এরপর জোসনা পার্শ্ববর্তী এলাকার শহীদুলের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে গেলে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা চলছিল। এক পর্যায়ে ২০০৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাড়ির পাশে কাঠাল গাছে সিরাজুলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সিরাজুলের ছেলে বাদি হয়ে জোসনা বেগম ও শহীদুল ইসলামকে আসামি উল্লেখ করে ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভালুকা থানায় মামলা করলে তদন্ত ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
আদালতে সরকারি পক্ষে আইনজীবী শেখ আবুল হাসেম মামলাটি পরিচালনা করেছেন।
বাদিপক্ষ আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
ফেনীতে ভাইকে হত্যা: ৩০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহে চুরির মামলায় ইউপি সদস্য কারাগারে
পিকআপ চুরি মামলায় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যসহ চার আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে ময়মনসিংহের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক ড.রাশেদ হোসাইন আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অভিযুক্ত মো. আলমগীর হোসেন উপজেলার ৪নং আঠারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং মৃগালী ওয়ার্ডের সদস্য।
আরও পড়ুন: খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ধর্ষণ মামলায় কারাগারে
বাকি আসামিরা হলেন-সুমন, শহীদ মিয়া ও রবিন মিয়া। তারা সবাই উপজেলার আঠারবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।
মামলার বাদি আ. রশিদ জানান, বিগত ইউপি নির্বাচনের আগে তার একটি পিকআপ গাড়ি চুরি করে নিয়ে যায় আসামিরা। এনিয়ে এলাকায় একাধিক শালিস বৈঠক হলে তারা গাড়িটি ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গাড়িটি ফেরত না দেওয়ায় তিনি আদালতে মামলা করেন।
ময়মনসিংহ আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট এবিএম ফজলুল করিম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, একটি চুরির মামলায় আসামিরা স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। এ সময় আদালতের বিচারক তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ ৬৭ জন কারাগারে
প্লট বরাদ্দ বাতিলের নথি না দেওয়ায় রাজউক চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে তলব
প্লট বরাদ্দ বাতিলের নথি দেওয়ার বিষয়ে আদালতের আদেশ যথাযথভাবে প্রতিপালন না করায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ১৮ মে সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ মে) বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: দণ্ডপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের হাইকোর্টে জামিন
তলবের আদেশটি বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে রাজউকের চেয়ারম্যানকে পাঠানোর জন্যে বলেছেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট গোলাম রসূল। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার নুরুল আজিম।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার নুরুল আজিম।
আইনজীবীরা ব্যারিস্টার নুরুল আজিম জানান, ২০০৪ সালের পূর্বে ফরিদা বেগম নামে এক ব্যক্তি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে নিকুঞ্জ এলাকায় প্লট বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেন। পরে তিনি (ফরিদা বেগম) তার নামে নেওয়া প্লটটি (নিকুঞ্জ আবাসিক মডেল টাউনে ফারুক সরণির নং ১৯ প্লটে ২ কাঠা ৮ ছটাক জমি) অপর একজনের নামে (খালেদ মাহমুদ) হস্তান্তর (বিক্রি) করেন।
এরপর খালেদ মাহমুদ সব নিয়ম মেনে রাজউকের সমুদয় পাওনা অর্থ পরিশোধ করেন। তবে এ বিষয়ে রাজউক একটি চিঠি দিয়ে খালেদ মাহমুদসহ ১১ জনের প্লট বরাদ্দ বাতিল করে।
বাতিল করা ওই ১১ প্লটের মধ্যে খালেদ মাহমুদের প্লটটি ছিল।
পরে রাজউকের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে হাইকোর্টে রিট করেন রাজধানীর নিকুঞ্জের বাসিন্দা খালেদ মাহমুদ।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০০৪ সালের ৩০ মার্চ হাইকোর্টের ওই প্লট বরাদ্দ বাতিলের বিষয়ে রাজউকের দেওয়া চিঠির সিদ্ধান্ত ও কার্যকারিতা স্থগিত করেন। পাশাপাশি রুল জারি করেন।
ওই রুলের শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাজউক চেয়ারম্যানকে প্লট বরাদ্দ বাতিল সংক্রান্ত চিঠির নথি প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
সে আদেশ প্রতিপালন না করায় রাজউক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আরজি জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
সেই আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রাজউক চেয়ারম্যানকে তলব করে আদেশ দেন।
আগামী ১৮ মে তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: হিন্দু নারীদের অধিকার প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাত হারানো শিশুটিকে ৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল