%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%83%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A6%BE
সাংবাদিক রব্বানী হত্যা: অভিযুক্ত বাবুসহ ১২ জন রিমান্ডে
সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ ১৩ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন জামালপুরের আদালত।
এর মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান বাবুকে পাঁচদিন, রিয়াজুলকে চারদিন, মনির ও জাকিরকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আসামিদের হাজির করা হলে জামালপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম তানভীর আহমেদ এ আদেশ দেন বলে বাদীর কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী জানান।
যাদের চারদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তারা হলেন-সুমন (৪৩), মিলন (২৫), তোফাজ্জেল (৪০) ও আয়নাল হক (৫৫)।
তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া পাঁচ আসামি হলেন- কপিল উদ্দিন (৫৫), ফজলু মিয়া (৩৫), শহীদ (৪০), মকবুল (৫৫), ওয়াহিদুজ্জামান (৩০)। আসামিরা সবাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
গত ১৪ জুন সাংবাদিক রব্বানী বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জ উপজেলায় একদল সন্ত্রাসীর হামলার শিকার হন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রব্বানী হত্যাকাণ্ড: গ্রেপ্তার ৯ আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ
হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে এবং অজ্ঞান অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে যায়। পরদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শনিবার নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ২২ জনকে আসামি করে অজ্ঞাতপরিচয় ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
শনিবার পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান বাবুসহ দুইজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা।
রবিবার সকালে বাবুসহ চার আসামিকে বকশীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করেছে র্যাব।
নিহত সাংবাদিকের স্ত্রী মনিরা দাবি করেন, ঘটনার আগে রব্বানী বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছিলেন এবং চেয়ারম্যানের সহযোগীরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন, ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নির্দেশে তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সারাদেশের সাংবাদিকরা খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিমের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এসসিআরএফ
সাংবাদিক নাদিম হত্যা: পঞ্চগড় থেকে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু আটক
মুক্তি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ৬ খুনিসহ ২৬ জনকে ফাঁসিতে ঝোলানো ‘জল্লাদ’ শাহজাহান
মুক্তি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ৬ খুনিসহ ২৬ আসামির ফাঁসি কার্যকর করা এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ৭৩ বছর বয়সী ‘জল্লাদ’ শাহজাহান ভূঁইয়া।
তিন দশকেরও বেশি সময় কারাভোগের পর রবিবার (১৮ জুন) সকাল দুপুর ১টার দিকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুর জেলা কারাগারে বিএনপি নেতার মৃত্যু
কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রবিবার (১৮ জুন) দুপুর ১টার দিকে শাহজাহানকে মুক্তি দেওয়া হয়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, শাহজাহান ১৯৫০ সালের ২৬ মার্চ নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ইছাখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষার পর স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
১৯৯২ সালের ৮ নভেম্বর শাহজাহানকে ডাকাতির মামলায় ৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানাসহ ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরেকটি ডাকাতি ও হত্যা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আরও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, সব মামলায় তাকে মোট ৪২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এরপর তাকে ১৯৯৫ সালের ২১ নভেম্বর মানিকগঞ্জ থেকে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
কারা কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, শাহজাহান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ খুনি, চার যুদ্ধাপরাধী, দুই জেএমবি সদস্য, কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, শারমিন রিমা হত্যা মামলায় মনির ও খুকুসহ ২৬ আসামির ফাঁসি কার্যকর করেন।
এছাড়া একজন জল্লাদ হিসেবে তার ভূমিকা এবং শৃঙ্খলা প্রদর্শনের জন্য জেল কর্তৃপক্ষ তার কারাবাসের মেয়াদ থেকে ১০ বছর, ৫ মাস এবং ২৮ দিন ক্ষমা করেছিল।
হিসাব অনুযায়ী- শাহজাহান ৩১ বছর ৬ মাস ২ দিন জেল খাটেন।
আরও পড়ুন: কারাগারে ‘চিকিৎসক নিয়োগ বিধিমালা’ চূড়ান্তে ১ মাস সময় দিলেন হাইকোর্ট
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যা মামলায় পৌর মেয়র কারাগারে
শীর্ষ মাদক চোরাকারবারিদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
দেশের শীর্ষ মাদক কারবারিদের নাম-ঠিকানাসহ তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এক মাসের মধ্যে এ প্রতিবেদন দিতে হবে।
একইসঙ্গে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর-প্রতিবেদনে মাদক কারবারির মাধ্যমে অর্থপাচার সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানেরও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- (সিআইডি), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট –(বিএফআইইউ), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড –(এনবিআর) ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে এই অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
রবিবার অর্থ পাচার বিষয়ে বিচারাধীন এক রিটে সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
রুলে মাদক কারবারির মাধ্যমে অর্থ পাচারকারী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন অনুসারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং মাদক কারবারির মাধ্যমে অর্থ পাচারকারী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এর আগে ১৩ জুন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দি দাস এই সম্পূরক আবেদন করেন।
গত ১১ জুন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ থেকে মাদকের কারণে প্রতিবছর পাচার হয়ে যায় ৪৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। আর মাদক কেনাবেচা করে অর্থ পাচারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম। এশিয়ার দেশগুলো বিবেচনায় নিলে মাদকের মাধ্যমে অর্থ পাচারের ঘটনায় বাংলাদেশ একেবারে শীর্ষে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুন আঙ্কটাড (ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) তাদের ওয়েবসাইটে অবৈধ অর্থপ্রবাহ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করে। যার বরাত দিয়ে দেশের প্রায় সব জাতীয় দৈনিকসহ গণমাধ্যম খবর-প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
আঙ্কটাডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাদকের অবৈধ অর্থপ্রবাহের দিক থেকে বিশ্বে প্রথম অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। এরপর যথাক্রমে রয়েছে কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, পেরু ও বাংলাদেশ।
মাদক এবং অপরাধ প্রতিরোধে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনওডিসির সহায়তায় এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাদকের মাধ্যমে অবৈধ অর্থপ্রবাহের অনুমানভিত্তিক এই হিসাব করেছে আঙ্কটাড।
তালিকায় এশিয়ার যে পাঁচটি দেশের নাম রয়েছে, এর মধ্যে শীর্ষে থাকা বাংলাদেশের পরেই আছে মালদ্বীপ ও নেপাল। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে আফগানিস্তান ও মিয়ানমার। মূলত ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে মাদকের মাধ্যমে অবৈধ অর্থপ্রবাহের এই চিত্র প্রথমবারের মতো তুলে ধরে আঙ্কটাড।
আরও পড়ুন: বাফুফে’র দুর্নীতি, অর্থ পাচারের বিষয়ে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো মতামত প্রকাশ নয়: হাইকোর্ট
সাংবাদিক রব্বানী হত্যাকাণ্ড: গ্রেপ্তার ৯ আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ
জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার ৯ আসামিকে শনিবার জামালপুরের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
রবিবার আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানোর রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, নয় আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুক্ত সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে হতাশাজনক ব্যর্থতার স্বাভাবিকতার দৃষ্টান্ত: টিআইবি
রবিবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
নাদিম হত্যার ঘটনায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এর আগে, বুধবার রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলার পাঠাটি এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের হামলায় গুরুতর আহত বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিম হত্যা: পঞ্চগড় থেকে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু আটক
তিনি বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর প্রতিনিধি এবং একাত্তর টেলিভিশনের বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি জামালপুর প্রেসক্লাবের সদস্যও ছিলেন।
নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম অভিযোগ করেন, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর সমর্থক নাদিমের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিমের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এসসিআরএফ
সাংবাদিক নাদিম হত্যা: পঞ্চগড় থেকে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু আটক
বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার সন্দেহভাজন জামালপুরের সাধুরপাড়ার ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে পঞ্চগড় থেকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (১৭ জুন) ভোর ৫টার দিকে দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়ন থেকে বাবুসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসে তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে ৯ কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ৪
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল হোসেন।
তিনি জানান, সীমান্ত পেরিয়ে দেশ ছেড়ে পালানোর সময় শনিবার (১৭ জুন) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়ন থেকে বাবুসহ তিনজনকে আটক করে র্যাব সদস্যরা।
তিনি আরও জানান, র্যাব পরে এই বিষয়ে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাবে।
এদিকে, গোলাম রব্বানীর স্ত্রী মনিরা বেগম অভিযোগ করেন- ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নির্দেশে সংবাদ প্রতিবেদন বিষয়ে তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৪ জুন গোলাম রাব্বানী বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জ উপজেলায় একদল সন্ত্রাসীর হামলার শিকার হন। হামলাকারীরা তাকে অজ্ঞান অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। পরদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মনিরা দাবি করেন, ঘটনার আগে তার স্বামী বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছিলেন এবং চেয়ারম্যানের সহযোগীরাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাককর্মী নিহত, আটক ১
রাজধানীতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
রাজধানীর শ্যামপুর এলাকায় শুক্রবার ২১ বছর বয়সী এক নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বামীকে আটক করা হয়েছে।
নিহত সাথী বরিশাল জেলার ফারুকুর রহমানের (৩৪) স্ত্রী।
লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ ফারুককে আটক করেছে বলে শ্যামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সিহাব উদ্দিন জানান।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ
তিনি আরও বলেন যে শুক্রবার (১৬ জুন) দুপুরের দিকে ঘটা এই ঘটনায় খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যায় শ্যামপুর ডিআইটি প্লটের ভাড়া বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক স্বীকার করেছেন যে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যা করেছেন তিনি।
এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: হাটহাজারীতে নারীকে শ্বাসরোধ ও ঘাড় ভেঙ্গে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার
গাজীপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে ও থেঁতলিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৩ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটের কালাইয়ের একটি হত্যা মামলায় তিনভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একবছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়পুরহাটের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বিচারক নূর ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার গোপিনাথপুর আপলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইদ্রিস আলীর ছেলে মাহফুজার রহমান (৬২), রফিকুল ইসলাম ওরফে অফির (৫২) ও আব্দুল কুদ্দুস (৪৫)।
অপরদিকে, এ মামলার পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল সকাল ১০ টার দিকে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার গোপিনাথপুর আপলাপাড়া গ্রামে সড়কের পাশে পানি নিস্কাশনের ড্রেন নিয়ে সোলায়মান হোসেন ও প্রতিবেশি ইদ্রিস আলীর ছেলে মাহফুজার রহমান, রফিকুল ইসলাম ওরফে অফির, আব্দুল কুদ্দুস, শফিউল ইসলাম ওরফে মিল্টন, আবু জাফর, এনামুল হক, জাহিদুল ইসলাম ও ইয়াকুব আলীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়
এক পর্যায়ে আসামিরা তাদের হাতে থাকা কোদাল দিয়ে সোলায়মানের মাথায় আঘাত করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ঘটনার পরের দিন কালাই থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পিরোজপুরে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
দুর্নীতিবাজদের সহ্য করা হবে না: হাইকোর্ট
৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের বিষয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘কারা এ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত, কারা এই সার আত্মসাৎ করেছে- সুনির্দিষ্ট করে তাদের নাম দিন। দুর্নীতিবাজদের সহ্য করা হবে না।
আদালত আরও বলেন, ‘দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান কঠোর। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের নমনীয়তা দেখানো হবে না। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে কোর্ট থেকে ধরে সরাসরি জেলে পাঠিয়ে দেব।’
বিসিআইসির পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়ে শুনানিকালে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। আদালত পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৯ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতে বিসিআইসি’র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোল্লা কিসমত হাবিব। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
গত ৪ জানুয়ারি ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরের দিন প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার টন রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে পৌঁছে না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫৮২ কোটি টাকা। মেসার্স পোটন ট্রেডার্স সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানের (পোটন) মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।
কামরুল আশরাফ খান সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, তিনিই মূলত দেশে সারের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। পোটন ট্রেডার্স যে সার আত্মসাৎ করেছে, তা উঠে এসেছে সারের আমদানিকারক শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি প্রতিষ্ঠান রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) দুটি তদন্তে। সারগুলো খালাস হয়েছিল ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ মের মধ্যে। সার সরবরাহ না করার পর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বিসিআইসি। সর্বশেষ গত ২০ ডিসেম্বর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে বিসিআইসির পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়।
হাইকোর্ট প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বাফুফে’র দুর্নীতি, অর্থ পাচারের বিষয়ে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো মতামত প্রকাশ নয়: হাইকোর্ট
পাশাপাশি ওই অভিযোগ অনুসন্ধান করে শিল্পসচিব ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যানকে চার মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে বিসিআইসির পক্ষে আইনজীবী মোল্লা কিসমত হাবিব, দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ শুনানিতে ছিলেন।
শুনানিতে বিসিআইসির আইনজীবী মোল্লা কিসমত হাবিব বলেন, প্রতিবেদন এসেছে, তবে হলফনামা করতে পারেনি।
আদালতের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে অভিযোগ উঠেছে, তা প্রতিবেদনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। বিসিআইসির আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, ওই ঘটনায় কারা জড়িত? নাম–ঠিকানা পাওয়া যায়নি? মানুষ আত্মসাৎ করেনি? তাহলে বাতাস খেয়ে ফেলেছে? তদন্ত প্রতিবেদনে নাম উল্লেখ না থাকলে এর কী দাম আছে? এ সময় বিসিআইসির আইনজীবী বলেন, আত্মসাৎ হয়েছে। আদালত বলেন, সুনির্দিষ্ট করে বলেন। তখন বিসিআইসির আইনজীবী বলেন, মেসার্স পোটন ট্রেডার্সের পোটন নিজে জড়িত। আদালত বলেন, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না, সে যে–ই হোক।
শুনানিতে অগ্রগতি জানাতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এক দিনের সময়ের আরজি জানান। এই পর্যায়ে আদালত আগামী রোববার শুনানির দিন রাখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। তখন বিসিআইসির আইনজীবী মোল্লা কিসমত হাবিব বলেন, অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি অনেক পৃষ্ঠার, হলফনামা করে আগামী রোববার দাখিল করা প্রায় অসম্ভব। অবকাশ শেষে দিন রাখার আরজি জানান তিনি। পরে আদালত আগামী ৯ জুলাই শুনানির পরবর্তী দিন রাখেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে টিপু-প্রীতি খুন: ২ আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর ও সংঘর্ষ: দুই মামলায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মী আসামি
চট্টগ্রাম বিএনপির সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে তারুণ্যের সমাবেশে আসার পথে ছাত্রলীগ-যুবদলের সংঘর্ষের জেরে জামালখান এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা করা হয়েছে।
নগরীর চকবাজার থানা ও কোতোয়ালি থানায় বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ ও এক ছাত্রলীগ কর্মী বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। দুই মামলায় মোট ৫৩৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, নগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেনসহ ৭৮ জনের নাম উল্লেখ করে ১২০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরানুস সাজ্জাদ বাদি হয়ে এ মামলা করেন।
অপরদিকে, ছাত্রলীগ-যুবদলের সংঘর্ষের ঘটনায় চকবাজার থানায় মামলা করেন স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী সাফায়েত হোসেন রাজু। এতে নগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশাসহ ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, গতকাল বুধবার জামালখান মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনায় ৭৮ জনের নাম উল্লেখ করে ১২০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪, সেকশন ১৫ (৩) এবং পেনাল কোড ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৪২৭/৫০৬ এবং ১৮৬০ ধারায় মামলা করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত ২৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জনকে ঘটনার পর জামালখান মোড় এবং রাতে সাবেক ছাত্রদল নেতা জাসেদুরকে আটক করা হয়েছিল। বাকিদের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর, ৫ যুবদল-ছাত্রদল নেতাকর্মী আটক
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, কলেজ রোডে নাশকতার ঘটনায় ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ছাত্রলীগের এক কর্মী। তার নাম সাফায়েত হোসেন রাজু। তিনি ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয়ের পাশাপাশি সরকারি কমার্স কলেজে অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সিএমপি সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আ স ম মাহতাব উদ্দিন জানান, দুই মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আটক করা হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার বিকালে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে নগরীর কাজীর দেউড়ি চত্বরে ‘দেশ বাঁচাতে তরুণ্যে সমাবেশের’- আয়োজন করে।
বিকাল ৩টার দিকে চান্দগাঁও থেকে সমাবেশে আসা সময় চট্টগ্রাম কলেজের সামনে ছাত্রলীগের কর্মীরা যুবদল ও ছাত্রদলের বাসে হামলা চালায়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে পাথর নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। পরে যুবদল-ছাত্রদল সমর্থকরা মিছিল নিয়ে কাজীর দেউড়ি যাওয়ার পথে জামালখান এলাকায় সৌন্দর্য বর্ধনে নির্মিত ডা.খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দেওয়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্থিরচিত্র সম্বলিত ট্যাম্পার্ড, গ্লাস ও ম্যুরাল ভাঙচুর করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫
চট্টগ্রামে নাশকতার মামলায় বিএনপির ৪০ নেতাকর্মীর বিচার শুরু
থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জনস্বার্থে হাইকোর্টে হিউম্যান রাইটস্ অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার নিয়ে প্রকাশিত রিপোর্ট সংযুক্ত করে এ রিট আবেদন দায়ের করে।
রিট আবেদনকারীরা হলেন- অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী এবং অ্যাডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।
রিটের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করা হবে।
রিটে থ্যালাসেমিয়া রোগ বিস্তার রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না এবং বিবাহ রেজিস্ট্রি ফরমে বর-কনের থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কিত তথ্য কেন লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হবে না, এই মর্মে রুল জারি করার আবেদন জানানো হয়েছে।
এছাড়া রিটে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে থ্যালাসেমিয়া রোগ বন্ধে গাইডলাইন তৈরি করার জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন এবং কমিটির ড্রাফট গাইডলাইন ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
থ্যালাসেমিয়া রোগ বিস্তার রোধে ছাত্র-ছাত্রী, সাধারণ জনগণ, সরকারি কর্মচারী ও অন্যান্য পেশার মানুষদের মধ্যে প্রচার-প্রচারণা চালানোর জন্য বিবাদীদের ওপর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে টিপু-প্রীতি খুন: ২ আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য মহাপরিচালকসহ মোট ৮ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, থ্যালাসেমিয়া জিনগত অর্থাৎ বংশানুক্রমিক রোগ। এই রোগ থ্যালাসেমিয়ার জিনবহনকারী দুই বাবা-মায়ের মাধ্যমে সন্তানের দেহে সংক্রমিত হয়। তবে সচেতনতার অভাব এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় অপ্রতুলতার কারণে দুই থ্যালাসেমিয়া জিন বাহকের বিয়ে বন্ধ করতে না পারায় এই রোগ ক্রমেই দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে বিস্তার লাভ করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রোগ সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং দুই থ্যালাসেমিয়া জিন বাহকের বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বন্ধ করতে না পারলে আগামীতে এই রোগ প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, বাবা-মায়ের একজনও যদি থ্যালাসেমিয়া জিনের বাহক না থাকে বা সুস্থ থাকে তা হলে তাদের পরবর্তী বংশধরদের মধ্যে এই রোগ সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন চিকিৎসা বিষয়ক জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি অর্থাৎ ১ কোটি ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ থ্যালাসেমিয়া বাহক বা রোগী। এছাড়াও প্রতি বছর আরও ৭ হাজারের বেশি নতুন শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগের জিনসহ জন্মগ্রহণ করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানের মাত্র ১০ শতাংশ বাহককে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আগামী ৫০ বছরে এই সংখ্যা ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে। দেশ ও জাতি হবে মেধাশূন্য, কমে যাবে মানুষের কর্মক্ষমতা।
থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেক পরিবারের পক্ষেই তা বহন করা সম্ভব হয় না। কারণ চিকিৎসায় রোগীকে প্রায় প্রতি মাসেই এক বা একাধিকবার রক্ত দিতে হয়। ২০১৭ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশে একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীর জন্য শুধু রক্ত সঞ্চালনের জন্য তার পরিবারকে বছরে প্রায় দেড় থেকে ২ লাখ টাকা খরচ করতে হয়। আরেক ধরনের চিকিৎসা হলো অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং এই চিকিৎসা পদ্ধতি আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত মাত্র দুজন থ্যালাসেমিয়া রোগীর ক্ষেত্রে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম ও ২ পুলিশ কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব
অর্পিত সম্পত্তির তদারকি-লিজের ক্ষমতা ডিসিদের: হাইকোর্ট