%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%83%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A6%BE
স্কুলছাত্র হত্যা: কিশোর গ্যাংয়ের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
স্কুল ছাত্র কিশোর সিয়াম(১৪) হত্যা মামলায় কিশোর গ্যাংয়ের সন্দেহভাজন দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা।
শুক্রবার র্যাব-৪ ও র্যাব-৮ এর দুটি দল সাভার ও বরিশালের বাকেরগঞ্জে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শান্তনুর হোসেন রুবেল ওরফে আলু রুবেল(২৭) ও মসিউর রহমান রকি(২৮)।
শনিবার বিকালে র্যাব-৪ এর গণমাধ্যম কর্মকর্তা এএসপি মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মাজহারুল ইসলাম জানান, গত ২১ মে রাতে মিরপুরের লালকুটি এলাকায় হত্যার এ ঘটনা ঘটে।
সিয়াম নামে এক স্কুলছাত্র একা থাকায় কয়েকজন যুবক তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে সিয়ামের মা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: প্রলয় গ্যাং: অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাবির ২ শিক্ষার্থী বহিস্কার
এএসপি মাজহারুল ইসলাম আরও জানান, গ্রেপ্তাররা জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
তারা দারুস সালাম লালকুটি এলাকায় সক্রিয় কিশোর গ্যাং নেতা বলে জানা গেছে।
তিনি বলেন, ‘তারা খুন, ডাকাতি, চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় হত্যা, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাইসহ বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘কিশোর গ্যাং’র ছুরিকাঘাতে আহত ২
কেরাণীগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে ডজনখানেক আহত
ঢাকার কেরাণীগঞ্জে শুক্রবার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছে। এ সহিংসতার জন্য দুইপক্ষ পাল্টিাপাল্টি দোষারোপ করেছে।
এদিন কেরাণীগঞ্জে বিরোধী দলের কর্সূচিতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে নিপুন রায় চৌধুরীসহ দলের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে কেরাণীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা আজহার বাঙ্গালীর নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল সমাবেশ চলাকালে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালায় বলে দাবি করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- কেরাণীগঞ্জ যুবদলের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মামুন, ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাজ্জেদ হোসেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ, পদযাত্রা পণ্ড
আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগসহ দলের ১০ দফা দাবি ঘরে তুলতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
অন্যদিকে, আজহার বাঙালি দাবি করেন যে তিনি ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির লোকজন তার ওপর হামলা চালায়।
স্থানীয় আ.লীগ নেতাদের অভিযোগ, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে এবং এসময় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উভয় পক্ষের লোকজন বাঁশের লাঠি নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশসহ ৩০ জন আহত
খুলনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ ১৩০০ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ১৩
ফরিদপুরে ২ জন আটক, ১৩ লাখ টাকার গাঁজা জব্দ
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা থেকে আন্তঃজেলা মাদক কারবারি দুই জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকার গাঁজা জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ফরিদপুর র্যাব-০৮।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলা সদরের ভাঙ্গা বাজারের নতুন মুরগীর হাট এলাকা থেকে ওই দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৩ কেজি গাঁজা জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
এদিকে শুক্রবার (২৬ মে) দুপুরে ওই দুই কারবারিকে ফরিদপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আটক দুই মাদক কারবারি হলেন- কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ধনপুর এলাকার মৃত ইয়াসিন মিয়ার ছেলে বাহার মিয়া (৫৫) ও একই জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার কবরুয়া এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আলমগীর হোসেন সুফল (৩৪)।
আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব-০৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে, এম শাইখ আকতার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি ফরিদপুরের ভাঙ্গা বাজারের নতুন মুরগীর হাট এলাকায় মাদকের একটি বিশাল চালান প্রোবক্স প্রাইভেটকার করে বিক্রির জন্য নিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে আমার নেতৃত্বে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় দুইজন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, পরে তল্লাশি চালিয়ে আসামিদ্বয়ের কাছ থেকে ৫৩ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১৩ লাখ টাকা।
এছাড়া এসময় একটি প্রোবক্স প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো গ-২৭-৯৮৪১), তিনটি মোবাইল এবং তিনটি সিম জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আটক হওয়া ওই দুই মাদক কারবারি দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মাদক পরিবহনে করে ফরিদপুর ও শরীয়তপুর এলাকায় বিক্রি করে আসছে।
আটকের পর তাদের ভাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৩৬(১) সারণির ১৯(গ) ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজা জব্দ, আটক ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩ কেজি গাঁজা জব্দ, গ্রেপ্তার ১: র্যাব
কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ দখলের অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুয়েত-বাংলাদেশ সরকারি মৈত্রী হাসপাতালের স্টোর অফিসার ও তার স্ত্রী নবীনগর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সা'দাৎ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুদকের মামলা থেকে ৫ জনকে অব্যাহতি দিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন
অভিযুক্ত কুয়েত বাংলাদেশ সরকারি মৈত্রী হাসপাতালের স্টোর অফিসার মো. হাবিবুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার চরলাপাংয়ের চিত্রী গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে এবং অপর অভিযুক্ত তার স্ত্রী মোসাম্মাৎ শিউলী আক্তার নবীনগর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফজলুল হক।
মামলার নথিপত্র সূত্রে জানা যায়, মো. হাবিবুর রহমান এবং তার স্ত্রী নারী ভাইস চেয়ারম্যান শিউলী রহমান ওরফে মোসাম্মাৎ শিউলী আক্তার একে অপরের সহযোগিতায় মোট এক কোটি চার লাখ ১৪ হাজার ৭৬৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রেখেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বগুড়ায় ‘৫০০ কোটির বাড়ি’র মালিকের নামে দুদকের মামলা
সিরাজগঞ্জে বিএনপির ১৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বিএনপির ১৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. হান্নান মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জেলা বিএনপির সহসভাপতি অমর কৃষ্ণ দাস, কাউয়াকোলা ইউনিয়নের সভাপতি বাদল মন্ডল গুটু, কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন খান ও মামুন ওরফে পোরা মামুনসহ অন্যরা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, নাশকতা ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে করা মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় সদর, রায়গঞ্জ, তাড়াশ, শাহজাদপুর, বেলকুচি উপজেলা ও সলঙ্গা এবং এনায়েতপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে উল্লেখিতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: রাজশাহীর সেই বিএনপি নেতা ৫ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর ধানমন্ডিতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, বাসে আগুন
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: রাজশাহীর সেই বিএনপি নেতা ৫ দিনের রিমান্ডে
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানির পর আদালতে থাকা রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌসুলি (অ্যাডিশনাল পিপি) জালাল উদ্দিন এই তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানায় পুলিশ। তবে রিমান্ড শুনানি শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মাহবুব আলম পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গ্রেপ্তারের পর রাজশাহীর পুঠিয়া থানায় করা প্রথম মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পুঠিয়ার শিবপুরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল গত ২১ মে রাতে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। তবে ১৯ মে সমাবেশে হুমকি দিয়েই লাপাত্তা হন বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ। তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই ঘটনার পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার রাজশাহী শহরের কোর্ট ভেড়িপাড়া মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে বেলা ১২টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে চাঁদকে আনা হয় এবং গ্রেপ্তারের তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলন শেষে চাঁদকে আদালতের মাধ্যমে দুপুরেই কারাগারে পাঠানোর কথা ছিল। তবে এমনটি জানানো হলেও পরে আদালতে তুলে চাঁদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রীকে হুমকির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত মহানগরে ৪টি ও জেলায় তিনটসহ মোট সাতটি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় তাকে এখন পর্যায়ক্রমে গ্রেপ্তার দেখানোর কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার (১৯ মে) রাজশাহীর পুঠিয়ার শিবপুরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
সমাবেশের শেষে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে ‘কবরস্থানে’ পাঠানোর হুমকি দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ।
ওই দিন তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আর ২৭ দফা ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা-শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে, শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের জন্য যা যা করার দরকার, আমরা করব ইনশাআল্লাহ’।
তার এই বক্তব্যের ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে রাজশাহীসহ গোটা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। চাঁদকে যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই গণধোলাইয়ের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থকরা। রাজশাহীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানোর হুমকির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে পুঠিয়া থানায় প্রথম মামলা হয়।
ইউএনবি/টিএস
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: রাজশাহীর সেই বিএনপি নেতা ৫ দিনের রিমান্ডে
রাজশাহী, ২৫ মে (ইউএনবি)-প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানির পর আদালতে থাকা রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌসুলি (অ্যাডিশনাল পিপি) জালাল উদ্দিন এই তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানায় পুলিশ। তবে রিমান্ড শুনানি শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মাহবুব আলম পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গ্রেপ্তারের পর রাজশাহীর পুঠিয়া থানায় করা প্রথম মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পুঠিয়ার শিবপুরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল গত ২১ মে রাতে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। তবে ১৯ মে সমাবেশে হুমকি দিয়েই লাপাত্তা হন বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ। তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই ঘটনার পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার রাজশাহী শহরের কোর্ট ভেড়িপাড়া মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে বেলা ১২টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে চাঁদকে আনা হয় এবং গ্রেপ্তারের তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলন শেষে চাঁদকে আদালতের মাধ্যমে দুপুরেই কারাগারে পাঠানোর কথা ছিল। তবে এমনটি জানানো হলেও পরে আদালতে তুলে চাঁদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রীকে হুমকির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত মহানগরে ৪টি ও জেলায় তিনটসহ মোট সাতটি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় তাকে এখন পর্যায়ক্রমে গ্রেপ্তার দেখানোর কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার (১৯ মে) রাজশাহীর পুঠিয়ার শিবপুরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
সমাবেশের শেষে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে ‘কবরস্থানে’ পাঠানোর হুমকি দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ।
ওই দিন তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আর ২৭ দফা ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা-শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে, শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের জন্য যা যা করার দরকার, আমরা করব ইনশাআল্লাহ’।
তার এই বক্তব্যের ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে রাজশাহীসহ গোটা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। চাঁদকে যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই গণধোলাইয়ের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থকরা। রাজশাহীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানোর হুমকির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে পুঠিয়া থানায় প্রথম মামলা হয়।
ফরিদপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে মেয়ের মৃত্যুদণ্ড
দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রী ও দুই মেয়ে মিলে বাবাকে হত্যার দায়ে এক মেয়ের ফাঁসির আদেশ এবং অপর মেয়ে ও স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সময় প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরের ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নিহত হাফেজ আবুল বাশার জেলার সালথা উপজেলার খোয়ারাগট্টি এলাকা বাসিন্দা ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত নিলুফা আক্তার নিহতের মেয়ে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: নেত্রকোণা আদালতে আরও ১টি মামলা
দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি দুজন হলো- (স্ত্রী) সাহিদা পারভিন ও (মেয়ে) হাফিজা বেগম।
মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়, নিহত হাফেজ আবুল বাশার তার প্রথম স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে ফরিদপুর শহরের আলীপুর এলাকায় বসববাস করতেন। আবুল বাশার দ্বিতীয় বিবাহ করায় প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না।
এর জের ধরে ২০১৬ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে প্রথম স্ত্রী ও দুই মেয়ে মিলে বাবাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর গভীর রাতে জবাই করে হত্যা করে।
এ ঘটনার পরের দিন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নিহতের ভাই লোকমান ফকির বাদি হয়ে হত্যা মামলা করে। মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।
ফরিদপুর জজ কোটের পিপি মো. নওয়াব আলী মৃধা জানান, হাফেজ আবুল বাশার হত্যা মামলায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতার নামে মামলা
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা আদালতে মামলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি ও রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার আদালতে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সাইদুজ্জামান জিকো বাদী হয়ে আমলী আদালত-১ এ মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: সেই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে মামলা
অভিযোগটি আমলে নিয়ে সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবীর সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফ.আই.আর হিসেবে রেকর্ড করার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ার শিবপুর হাইস্কুল মাঠে বিএনপির এক সমাবেশে আবু সাইদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে বলে বক্তব্য দেন। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার জন্য যা যা করার দরকার তাই করা হবে ইনশাআল্লাহ বলে হুমকি দেন। একই সঙ্গে ওই সমাবেশে শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করারও হুমকি দেন তিনি।
এজাহারে মামলাটি গ্রহণ করে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: সেই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মাগুরায় আরেকটি মামলা
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: নেত্রকোণা আদালতে আরও ১টি মামলা
ফালুর বিরুদ্ধে ত্রাণের টিন আত্মসাতের মামলা বাতিলই থাকবে: আপিল বিভাগ
ত্রাণের টিন আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপি নেতা সাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী ফালুর খালাসের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের রিভিউ আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে ফালুর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক।
ব্যারিস্টার কাজল বলেন, দুদকের রিভিউ আবেদন খারিজের ফলে এ মামলার কার্যক্রম চূড়ান্তভাবে বাতিল হলো। এ মামলার আর কোনো বিচারিক কার্যক্রম বাকি রইলো না। তিনি চূড়ান্তভাবে খালাস পেলেন।
আরও পড়ুন: ক্যাসিনো সংস্কৃতি চালু করে খোকা, আব্বাস ও ফালুরা: তথ্যমন্ত্রী
সাবেক জরুরি তত্ত্বাবধয়াক সকারের আমলে ২০০৭ সালের মার্চ মাসে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দুদক ফালুসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য থাকাকালীন সরকারিভাবে গরিব মানুষের জন্য চার লাখ টাকার টিন বরাদ্দ হয়। তিনি ত্রাণের এসব টিন বিতরণ না করে তার লোকজনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।
পরে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ এবং মামলা বাতিলে হাইকোর্ট আবেদন করেন ফালু। সেই আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৭ মার্চ মামলা বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে দুদক। ২০২১ সালের ২ জুন আলী ফালুর বিরুদ্ধে ত্রাণের টিন আত্মসাতের মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছিলেন আপিল বিভাগ। পরে রায়টি রিভিউ চেয়ে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে যা আজ খারিজ করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফালু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদন
সিটি কলেজ এলাকায় সংঘর্ষ: বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ ১৭ আসামি কারাগারে
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পালনকালে রাজধানীর সিটি কলেজ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে করা মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমসহ ১৭ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, ২০ নেতাকর্মীর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রশীদ আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
এদিন রাজধানীর ধানমন্ডি ও নিউমার্কেট থানা পুলিশ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ৩৭ নেতাকর্মীকে আদালতে হাজির করে।
যার মধ্যে ধানমন্ডি থানার একটি মামলায় ২৭ জন এবং নিউমার্কেট থানার একটি মামলায় ছিল ১০ জন।
ধানমন্ডি থানা পুলিশ ২৭ জনের মধ্যে ১২ জনকে তিন দিন এবং নিউমার্কেট থানা পুলিশ ১০ জনের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৯৮ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের ২ মামলা
আদালতে আসামি পক্ষের মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড আবেদন নাকচ করে তাদের জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি নিয়ে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ধানমন্ডি থানার মামলায় ১২ জনের এক দিন এবং ধানমন্ডি থানার মামলায় আট জনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এছাড়া বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমসহ ১৭ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
জানা যায়, গত ২৩ মে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা ধানমন্ডির শংকর এলাকায় সমাবেশ করে বেলা তিনটার দিকে পদযাত্রা শুরু করে।
এ পদযাত্রা জিগাতলা, সিটি কলেজ হয়ে ল্যাবএইড হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। পদযাত্রাটি সিটি কলেজ এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় বিআরটিসির একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
ওই ঘটনায় নিউমার্কেট থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলায় ৪০০/৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
আর ধানমন্ডি থানায় করা দুই মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকশ ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে অননুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান: চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস: ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা