%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
প্রেমিকসহ স্ত্রীকে খুন, স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে প্রেমিক ইউসুফসহ স্ত্রী রিনা বেগমকে হত্যার দায়ে ইব্রাহিম খলিল (৪০) নামে এক যুবককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ইব্রাহিম রামগতি উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় ৩ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রিনা ও তার প্রেমিক ইউসুফ অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিলেন। বাড়িতে এসে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে ইব্রাহিম তাদের হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এতে আদালত তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন।
রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আদালত ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইব্রাহিম ফেনীর একটি ইটভাটার মাঝি ছিলেন। রামগতি চরলক্ষ্মী গ্রামের বেলাল মাঝির ছেলে ইউসুফ ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। এতে প্রায়ই ইউসুফ তার বাড়িতে যেতেন। একপর্যায়ে ইব্রাহিমের স্ত্রী রিনার সঙ্গে ইউসুফের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০১৭ সালের ৩ জুন ইফতারের সময় ইউসুফ ওই বাড়িতে যায়। এর প্রায় ১৫ দিন আগে ইউসুফ কাজ থেকে চলে আসে। পরে তিনি এলাকায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ফেনী থেকে ইব্রাহিম বাড়িতে এসে রিনা ও ইউসুফকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইব্রাহিম দুজনকেই ঘরে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ইউসুফকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। ইউসুফকে হত্যার ঘটনায় পরের দিন তছলিমা বেগম বাদী হয়ে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা: ৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
এছাড়া আহত অবস্থায় রিনাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে রিনা মারা যান। পরে নোয়াখালীর সুধারাম থানায় নিহতের মা জানু বেগম একটি জিডি করেন।
এদিকে হত্যা দুটি একই ঘটনা হওয়ায় ১১ জুন মামলাটি রামগতি থানার মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। ঘটনার দিনই গ্রেপ্তার ইব্রাহিমকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে তিনি জবানবন্দি দেন।
একই বছরের ১২ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামগতি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালাহ উদ্দিন আল মাহমুদ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার আদালত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ধর্ষণ ও ২ শিশু হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
তহসিলদার হত্যার ২৫ বছর পর দুইজনের যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মোশাররফ হোসেন নামে এক তহসিলদারকে কুপিয়ে হত্যার ২৫ বছর পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রামগতি চর সেকান্দর গ্রামের আবদুল গোফরানের ছেলে মো. ইদ্রিস ওরফে কালা ও এবাদ উল্যার ছেলে মো. চৌধুরী বকত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণ, মুদি দোকানিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এছাড়া মামলার আরও সাত আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে রামগতির চর সেকান্দর গ্রামের বাসিন্দা মৃত দ্বারা বক্স মাঝির দুই ছেলে আবদুল গোফরান ও মোশাররফ হোসেন তহসিলদারের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়।
এর সূত্র ধরে ১৯৯৮ সালের ১৭ জুলাই সকালের দিকে আবদুল গোফরান ও তার ছেলে মো. ইদ্রিস ওরফে কালাসহ তার অন্য ছেলেরা মিলে মোশাররফ তহসিলদারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে জেলা শহরের আধুনিক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওইদিন মোশাররফ তহসিলদারের ছেলে আবুল হাসান চৌধুরী ওরফে রাশেদুল আলম বাদী হয়ে ১২ জনের নামে রামগতি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামি করা হয়-মোশাররফ তহসিলদারের ভাই আবদুল গোফরান ও তার পাঁচ ছেলে মো. ইদ্রিস ওরফে কালা, মো. ইউনুস মিয়া, মো. ইসমাইল, খুরশিদ আলম ও মো. রাশেদ এবং তাদের আত্মীয় মো. চৌধুরী বকত, নুরুল আমিন, মমিন উল্যা, মো. ইস্রাফিল, আবদুল করিম ও জসিম উদ্দিন। এরা সবাই রামগতির চর সেকান্দর গ্রামের বাসিন্দা।
১৯৯৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন সে সময়ের রামগতি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালাহ উদ্দিন আল মাহমুদ।
এতে মামলার ১ নম্বর আসামি মো. ইদ্রিস ওরফে কালাকে প্রধান অভিযুক্ত করে ছয়জনের নামে অভিযোগপত্র দেন তিনি।
জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ শুনানি শেষ সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত দুই আসামির সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় এবং প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় শিশু হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে প্রাক্তন স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
আদর্শ প্রকাশনীর বইমেলায় স্টল বরাদ্দ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত
অমর একুশে বইমেলায় তিনটি বই স্টলে না রাখার শর্তে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বাংলা একাডেমির আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ। ফলে এবার বইমেলায় স্টল বরাদ্দ পাচ্ছে না এই প্রকাশনীটি।
আদালতে আদর্শ প্রকাশনীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনিক আর হক। বাংলা একাডেমির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মিন্টু কুমার মণ্ডল।
এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি তিনটি বই স্টলে না রাখার শর্তে বাংলা একাডেমিকে স্টল বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই তিনটি বই হচ্ছে- ফাহাম আব্দুস সালামের লেখা ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’, জিয়া হাসানের ‘উন্নয়ন বিভ্রম’ ও ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা।’
আরও পড়ুন: অমর একুশে বইমেলা: স্টল বরাদ্দে হাইকোর্টে রিট আদর্শ প্রকাশনীর
পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বাংলা একাডেমি। সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ওই আবেদনের শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।
হাইকোর্টের শুনানিতে ব্যারিস্টার অনিক আর হক বলেন, একটি বইকে কেন্দ্র করে বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীর অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অথচ বইটি কালো তালিকাভুক্ত বা নিষিদ্ধ নয়। আর এই প্রকাশনীর আরও ৬০০ বই রয়েছে। স্টল বরাদ্দ না দিলে এসব বইয়ের লেখকেরা বঞ্চিত হবেন। তাই যদি কোনো বইয়ে বাংলা একাডেমির আপত্তি করে সেটা আমরা না হয় স্টলে রাখব না।
এ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মাহবুব রহমান ২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি করেন। রিটে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও সভাপতিসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়।
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলা-২০২৩ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রামে উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণ, মুদি দোকানিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে উপজাতি এক তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় মো. রফিক নামে এক মুদি দোকানিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল ৭-এর বিচারক ফেরদৌস আরা আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. রফিক (৩৮) চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার পূর্ব সোনাই গ্রামের মো. ইউসুফের ছেলে।
আরও পড়ুন: কটিয়াদীতে সাবেক ইউপি সদস্য হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর স্পেশাল পিপি এমএ নাসের চৌধুরী বলেন, মামলাটিতে আদালত আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়নে পূর্ব সোনাই এলাকার ওই (ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী) তরুণীর বাড়ি থেকে সামান্য দূরে মো. রফিক মুদির দোকান করতেন। সেখান থেকে তরুণী বিভিন্ন সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল কেনার জন্য আসা-যাওয়া করতেন। ২০১৭ সালে ২৬ মার্চ থেকে অনুমানিক ১০ থেকে ১৫ দিন আগে সকালে দোকানে জিনিসপত্র কিনতে গেলে দোকানে কোন লোকজন না থাকায় তরুণীকে মুখ চেপে ধরে দোকানের ভেতরে নিয়ে যায়। দোকানের দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করে আসামি। তরুণীকে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য বলে এবং গোপন রাখলে তরুণীকে বিয়ে করবে বলেও আশ্বাস দেয়।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে দোকানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। একসময় গিয়ে তরুণী মানসিকভাবে বিমর্ষ ও মন খারাপ করার কারণ জিজ্ঞেস করে মা। তরুণীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখা দিলে একপর্যায়ে সে জানায় বাড়ির পাশের মুদির দোকানি মো. রফিক ধর্ষণ করেছে। তখন তরুণী পাঁচ থেকে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
এই ঘটনায় তরুণীর জেঠাতো ভাই বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ১১ আগস্ট ভুজপুর থানায় মামলা করেন।
এই মামলায় আদালত আট জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় শিশু হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে প্রাক্তন স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
ফারদিন হত্যা মামলা: নারাজি দিতে সময়ের আবেদন বাবার
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দিতে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন মামলার বাদী পরশের বাবা নুর উদ্দিন রানা।
মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে আসামি আমাতুল্লাহ বুশরার অব্যাহতি চেয়ে ডিবির দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে, এদিন বাদীপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন হীরন নারাজি দেয়ার জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৬ মার্চ পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
এদিন ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরা আদালতে হাজিরা দেন। তার পক্ষে স্থায়ী জামিন চেয়ে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান। শুনানি শেষে আদালত আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিনের আদেশ দেন।
৬ ফেব্রুয়ারি বুশরার অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।
আরও পড়ুন: বুয়েট ছাত্র ফারদিন হত্যা মামলায় বান্ধবী বুশরা গ্রেপ্তার
নিখোঁজের তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত ৭ নভেম্বর রাতে বুয়েটের ছাত্র ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
পরে ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন। মামলায় নিহতের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বুশরাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
মামলা দায়েরের পর ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১০ নভেম্বর তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
১৬ নভেম্বর রিমান্ড শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে বুশরাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ৮ জানুয়ারি জামিন পান বুশরা।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা মামলা ডিবিতে হস্তান্তর
ফারদিন হত্যা মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন ১৪ ফেব্রুয়ারি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতি কালো দাগ সৃষ্টি করেছে: হাইকোর্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবী সমিতি বাংলাদেশের আইনী ইতিহাসে কালো দাগ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত কক্ষে ‘অশালীন আচরণের’ অভিযোগের প্রেক্ষাপটে তিন আইনজীবী হাইকোর্টের তলবে হাজির হলে মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ক্ষোভ প্রকাশ করে এই মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার শুনানির শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির হাইকোর্টকে বলেন,‘মাই লর্ড, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিষয়টির পিসফুল ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে। আজ থেকে সব কোর্ট চলছে। আমাদের আরও কিছু কাজ আছে। সবকিছুর সমাধান হবে আমাদের এক মাস সময় দিন।’
হাইকোর্ট বলেন,‘কিছুই (ডেভেলপমেন্ট) হয়নি। হাইকোর্টে এটার তারিখের আগে ওখানে একটু নাড়াচাড়া করেন। আমরা বুঝি। দিন যাচ্ছে আর টাইম নষ্ট করছেন। এটার পরিণতি ভোগ করতে হবে। আপনারা (রুলের) জবাব দিলে দেন, না দিলে না দেন। আমরা আমাদের মতো আগাবো। একটা কোর্টকে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অচল করে রেখেছেন। সমস্ত কিছু আমরা দেখছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বার (আইনজীবী সমিতি) বাংলাদেশের লিগ্যাল ইতিহাসে কালো দাগ সৃষ্টি করেছে, সমস্ত আইনজীবীদের কলঙ্কিত করেছে।’
এসময় হাইকোর্ট বলেন, ‘আইনজীবী সমিতির প্রেসিডেন্ট হোক আর সদস্য হোক, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে না। বার কাউন্সিল আছে। তবে বার কাউন্সিল কিছু না করলে আমরা এখান থেকেই করবো। প্রতিদিন আমরা খবরের কাগজে চোখ রাখি যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বারে কী হচ্ছে। আপনারা কোর্ট বর্জন করছেন করেন, কিন্তু বিচার প্রার্থীরা কোর্টে গেলে তাদের ডিস্টার্ব করা হচ্ছে, থ্রেট দেয়া হচ্ছে। আপনারা একতরফা (এক্সপার্টি) গেলে আমরা (এক্সট্রিম) এ যাবো। কে বারের সভাপতি, কে বিজ্ঞ আইনজীবী তা আমরা দেখবো না। এরা বাংলাদেশে প্র্যাকটিস (আইন পেশা পরিচালনা) করার যোগ্য কি না সেটাও আমরা দেখবো।’
একপর্যায়ে হাইকোর্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন আইনজীবীকে তাদের ব্যাখ্যা দিতে সময় দিয়ে এবিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। আজ আদালতে আইনজীবীদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল ও অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।
গত ২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক ও আদালতের কর্মচারীদের গালিগালাজ এবং অশালীন আচরণের অভিযোগে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ অন্য আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর একটি চিঠি পাঠান বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুক। এরপর বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল। পরে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান। এরপর হাইকোর্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচারক ও আদালতের কর্মচারীদের প্রতি ‘অশালীন আচরণের’ অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সম্পাদকসহ তিন আইনজীবীকে তলব করেন। সেই সঙ্গে এদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। তবে হাইকোর্টের এই রুল জারির পরবর্তীতে ‘এজলাস চলাকালীন জেলা জজের নামে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ শ্লোগান প্রদান করে বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ ও মানহানির’ আরেকটি অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা আইনজীবী সমিতির ২১ আইনজীবীকে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি তলব করেন। সেই সঙ্গে এদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর মামলায় সেই বিচারকের হাইকোর্টে জামিন
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা দায়রা জজ শারমিন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে বদলি এবং নাজির মো. মুমিনুল ইসলাম চৌধুরীর শাস্তির দাবিতে এক মাসের বেশি সময় ধরে আদালত বর্জন কর্মসূচীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিচার প্রার্থীরা।
শুরুতে সেখানকার আইনজীবীরা দুটি আদালত বর্জন করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে তারা সব আদালত বর্জন শুরু করেন। তবে গত বুধবার থেকে আইনজীবীরা জেলার সব আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁঞা।
অন্যদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত কেন্দ্রিক ঘটনার প্রেক্ষাপটে গত ৮ জানুয়ারি এক বিজ্ঞপ্তিতে ‘প্রশাসনিক কারণ’ দেখিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সেই আলোচিত নাজির মো. মুমিনুল ইসলাম চৌধুরীকে চাঁদপুর জেলা জজ আদালতে বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিপিসি’র ৪৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ৩ মাসের মধ্যে দুদককে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি: ৪ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিল
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী নতুন এ দিন ধার্য করেন।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের আশা আইএমএফ ঋণের প্রথম কিস্তি আগামী মাসের মধ্যে আসবে: মুখপাত্র
পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করেন দেশের অভ্যন্তরের কোনো চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করেছে।
ওই ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয়ের ব্যক্তিদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪ ধারাসহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৪ ধারায় ও ৩৭৯ ধারায় মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি।
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি ও বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে সতর্কতামূলক মুদ্রানীতি বাংলাদেশ ব্যাংকের
পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ
ফরিদপুরে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক নারী (৩৩) এ অভিযোগ এনে ভাঙ্গা উপজেলা সদরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে অভিযোগ দিয়েছেন।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে গ্রহণের জন্য ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে নির্দেশ দিয়েছেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম মো. সজল মাহমুদ (৪০)। তিনি ভাঙ্গা থানায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মানিক মজুমদার বলেন, আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে গ্রহণের জন্য ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে নির্দেশ দিয়েছেন।
ফরিদপুর ব্লাস্টের সমন্বয়কারী শিপ্রা গোস্বামী বলেন, এ মামলাটি ব্লাস্ট পরিচালনা করবে।
লিখিত অভিযোগে ওই নারী জানান, তিনি অবিবাহিত। তারা দুই বোন ও এক ভাই। মা ও বাবা মারা গেছেন। ২০০৬ সালে তারা দুই বোন জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব যান। ওই সময় তার ছোট ভাই কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরে তিনি দেশে এসে স্থায়ীভাবে বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: বরগুনায় মাদক জব্দ, বরখাস্ত পুলিশ সদস্য আটক
গত ২০ অক্টোবর বাড়িতে চুরি হলে থানায় জানাই। গত ২৪ অক্টোবর এএসআই মো. সজল রাতে বাড়িতে ঢুকে বিভিন্ন কথাবার্তা বলার ছলে তার সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে। এ ঘটনা কাউকে বললে তাকে খুন ও গুম করার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। এক পর্যায়ে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন।
পরে তাকে বিয়ের কথা বলে ৩০ জানুয়ারি ভাঙ্গা বাজারে নিয়ে একটি মেডিকেল সেন্টারে রেখে পালিয়ে যান।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ৩১ জানুয়ারি তিনি এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানায় গিয়ে ওসিকে সব খুলে বলেন। ওসি মুঠোফোনের সজলকে ডেকে আনেন। তখন সজল তাকে পুলিশ কোয়ার্টারে নিয়ে গিয়ে কিছু কাগজপত্র ও সাদা কাগজে সই করতে বলেন।
তিনি সই করার পর সজল বলে ‘তুমি আমাকে বিয়ে করেছো এবং এরপর তালাকও দিয়েছো।’
গত ১ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীকে মারধর করে থানা থেকে বের করে দেয়া হয়।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাম করে জানতে পারেন তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি বাড়ি এসে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভাঙ্গায় মামলা করতে গেলে থানা মামলাটি গ্রহণ না করে আদালতে করার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ পুলিশ সদস্য ‘ক্লোজড’
অভিযোগ প্রসঙ্গে এএসআই সজল মাহমুদ বলেন, ওই নারীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে, তার কাছে কাবিননামাও আছে।
তিনি বলেন, তার আগের স্ত্রী আছে। বড় স্ত্রীর সম্মতিতে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তাকে তিনি তালাক দেননি। ওই নারী এখন তার স্ত্রী।
বিস্ময় প্রকাশ করে সজল মাহমুদ বলেন, এ ব্যাপারে ওই নারী আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে কেন মামলা দিলেন-তা তিনি ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. হেলালউদ্দিন ভুইয়া এই প্রসঙ্গে বলেন, প্রশাসনিক কারণে এএসআই সজলকে গত ১০ দিন আগে ফরিদপুর পুলিশ লাইনস এ বদলি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা তারা এখনও পাননি। তবে শুনেছেন এই জাতীয় একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ পরিচয়ে পথরোধ করে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
শিশু নির্যাতনের মামলায় গোপালদী পৌর মেয়রের আগাম জামিন
চুরির অভিযোগে তিন শিশুকে হাত বেঁধে গ্রাম ঘুরিয়ে মাথার চুল কেটে নির্যাতন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভার মেয়র এম এ হালিম সিকদারকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কটিয়াদীতে সাবেক ইউপি সদস্য হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
এদিকে উপস্থিত হয়ে আগাম জামিন চাইলে আদালত চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।
জামিনের বিষয়টি জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূইয়া।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি চুরির অপবাদ দিয়ে গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী বাসস্ট্যান্ডে তিন শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে গোপালদী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এম এ হালিম সিকদারের বিরুদ্ধে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রামচন্দ্রদী গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে ও গোপালদী মাদসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বায়েজিদ (১০)। হাসানের ছেলে ও রামচন্দ্রদী মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র সিয়াম (৮)। আর জজ মিয়ার ছেলে একই মাদরাসার শিক্ষার্থী আফরীদ (৮)।
তারা সকালে মক্তব থেকে যাওয়ার পথে গোপালদী পৌর মেয়র হালিম সিকদারের মালিকানাধীন সিকদার সাইজিংয়ের সামনে থেকে পড়ে থাকা কয়েকটি নাটবল্টু নিয়ে খেলছিল। এ সময় মেয়র তার লোকজন দিয়ে তাদের ধরে এনে হাত বেঁধে দুই ঘণ্টা আটক রেখে মারধর করেন।
পরে রামচন্দ্রদী বাসস্ট্যান্ডে এনে তাদের মাথার চুল কেটে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মজিদ গ্রেপ্তার
বগুড়ায় শিশু হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনের যাবজ্জীবন
পারিবারিক শত্রুতার জেরে বগুড়ায় পাঁচ বছরের শিশু রোমান হোসেন হত্যা মামলায় দুইজনের ফাঁসি ও একজনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক রুবাইয়া ইয়াছমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মজিদ গ্রেপ্তার
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-আব্দুল খালেক ও আব্দুল মাজেদ। যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামির নাম আব্দুর রাজ্জাক।
আসামিরা বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার চুপিনগর দক্ষিণ পাড়া ও ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
এছাড়া রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক থাকলেও যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামি আব্দুর রাজ্জাক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অতিরিক্ত পিপি জহুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শিশু রোমানের পরিবারের সঙ্গে খালেক ও মাজেদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এসবের প্রতিশোধ নিতে তারা শিশু রোমানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা এ কাজের জন্য আব্দুর রাজ্জাককে আট হাজার টাকা দেন।
আইনজীবী জহুরুল ইসলাম বলেন, আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাই বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন আসামি আব্দুল খালেক ও আব্দুল মাজেদকে মৃত্যুদণ্ড ও আব্দুর রাজ্জাককে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন।
এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা করেন এপিপি বিনয় কুমার দাস বিশু ও নাসিম আহমেদ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে খালেক ও মাজেদ দুইজন মিলে রোমানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ওই শিশুকে এক প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভিতর গুম করে রাখে।
পরে ২৮ আগস্ট রোমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় নিহত রোমানের বাবা মাহবুবুর রহমান শাজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ একযুগ পর সোমবার এই রায় ঘোষণা করে আদালত।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
কটিয়াদীতে সাবেক ইউপি সদস্য হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন