আইনশৃঙ্খলা
সিরাজগঞ্জে ৭ জেলার ৩১৫ জন চরমপন্থীর আত্মসমর্পণ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় রবিবার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কাছে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনের প্রায় ৩১৫ জন সদস্য স্বেচ্ছায় অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন।
আত্মসমর্পণকারীরা পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (লাল পতাকা), পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টি (এমবিআরএম) এবং পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টি’র (জনযুদ্ধ)। সদস্য।
র্যাব-১২ সদর দপ্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের উপস্থিতিতে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও টাঙ্গাইল- এই ৭ জেলার জঙ্গিরা ২১৬টি অস্ত্র হস্তান্তর করে।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আশ্বস্ত করেন, বর্তমান সরকার আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থীদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছে। তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আইনগত সহযোগীতাসহ স্বাভাবিক জীবনযাপন করার প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করা হবে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে স্বামীকে খুন, ৯৯৯-এ ফোন করে স্ত্রীর আত্মসমর্পণ!
তিনি আরও বলেন, এ অনুষ্ঠানে আসার আগে প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, আপনারা যারা অন্ধকার পথ ছেড়ে আত্মসমর্পণ করে আজ আলোর পথে ফিরে আসছেন, তাদের আর্থিক সহযোগিতাসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
আসাদুজ্জামান বলেন, আপনারা জানেন ৮০'র দশক থেকে এই এলাকার কয়েকটি জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় সর্বহারা ও চরমপন্থীরা ঘাঁটি তৈরি করে। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ‘সন্ত্রাসের জীবন ছাড়ি, আলোকিত জীবন গড়ি’ স্লোগানে অনেক সর্বহারা চরমপন্থী আলোর পথে ফিরে আসে। কেউ যদি মনে করেন আমরা দেশের চরাঞ্চল বা দুর্গম এলাকায় বসে অপরাধ করবো। আমাদের কেউ ধরতে পারবে না। তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। তাদের আলোর পথে ফেরাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং আর্থিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকেও দস্যু মুক্ত ঘোষণা করেছেন। র্যাব নানাবিধ ভালো কাজ করে আস্থা অর্জন করেছে। এ জন্যই চরমপন্থীরা আত্মসমর্পণের জন্য র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। র্যাব আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি মাদক ও সন্ত্রাস নির্মুলে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ মহা-পরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ডিআইজি (রাজশাহী রেঞ্জ) মো. আব্দুল বাতেন, র্যাব-১২ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মসমর্পণ
ঝালকাঠিতে স্ত্রীকে খুনের পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মসমর্পণ!
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধনী আনা হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়নি। এটি করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হচ্ছে না।
তিনি জানান, এই আইনের অপব্যবহার রোধে তিনি বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে একটি টেকসই সমাধান দরকার। এই সমাধানের অংশ হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কিছু সংশোধনী আনা হবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে জোরালোভাবে কাজ করছে সরকার: আইনমন্ত্রী
রবিবার (২১ মে) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল আইন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’- শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিস এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সংলাপ ও আলোচনা একটি গণতান্ত্রিক সমাজের চাবিকাঠি। তাই সরকার সমাজের বিভিন্ন অংশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করতে উৎসাহিত বোধ করে।
তিনি জানান, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার অফিসের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছে, তাদের কিছু ইনপুট পেয়েছে এবং এটি পর্যালোচনা করছে।
আনিসুল হক বলেন, অনলাইনে নারীদের প্রায়ই হয়রানি করা হচ্ছে, যার সুরাহা হওয়া দরকার। ডিজিটাল স্পেসের যথেচ্ছ অপব্যবহারের মাধ্যমে দেশ, সরকার বা কোনো ব্যক্তির মানহানি করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, সময়ের প্রয়োজনে বর্তমানে সমস্ত দেশ ডিজিটাল স্পেসে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের জাতীয় স্বার্থ এবং যারা ডিজিটাল আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ও আক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তাদের রক্ষা করা দরকার।
এজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দরকার। তাই এ আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না। তবে আইনটি সংশোধনের বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এছাড়া এটি অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: মানুষ যেন দ্রুত ন্যায়বিচার পায়: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না: আইনমন্ত্রী
পটুয়াখালীতে বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষ: ৪৫০ জনের নামে মামলা
পটুয়াখালীতে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের করা দুটি মামলায় জেলা যুবদল-ছাত্রদল-শ্রমিকদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার ও রবিবার দায়ের করা মামলা দুটির বাদী আওয়ামী লীগের দুজন কর্মী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা যায়, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মামলার খবরে গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ট্রলারডুবি: বরসহ এখনও নিখোঁজ ৪
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২০ মে) রাতে রায়হান হোসেন নামে একজন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওইদিন শনিবার পৌরসভাস্থ মুসলিমপাড়া মোড়ে সারাদেশের মতো আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ চলাকালে বিএনপির লোকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং বাসাবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। হামলায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এছাড়া মামলায় জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মনির মুন্সিকে প্রধান আসামিসহ ২৯ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
অপরদিকে, একই থানায় শনিবার (২১ মে) দায়ের করা আরেকটি মামলার বাদী জেলা যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, মুসলিমপাড়াস্থ মোড়ে যুবলীগের শান্তি সমাবেশ চলাকালে যুবদল হামলা চালিয়ে ক্ষতিসাধন করে।
তিনি এ ঘটনায় জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটনকে প্রধান করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।
পটুয়াখালী সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, দুজন বাদীই একই অভিযোগ এনেছেন। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা থাকায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আ.লীগ নেতা এনামুল হক হত্যা মামলায় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার
ওসি বলেন, আসামিরা পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
মামলার বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকেও আওয়ামী লীগের হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা থানায় মামলা করা হবে।
থানা মামলা না নিলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান এই নেতা।
প্রসঙ্গত, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার সকালে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশ চলাকালে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
উভয়েই মুখোমখি সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ উভয় দলের নেতাকর্মীদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি উজ্জ্বল তালুকদারসহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নাশকতার মামলায় বিএনপি-যুবদলের ২১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর: ২৫ আইনজীবীর আগাম জামিন
সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদকের কক্ষে ভাঙচুরের মামলায় ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ ২৫ আইনজীবীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (২১ মে) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করা পর্যন্ত তাদের জামিন দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পুনর্নির্বাচন দাবি সুপ্রিম কোর্ট বারের বিএনপিপন্থীদের
জামিন পাওয়া আইনজীবীরা হলেন-বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল, বারের এডহক কমিটির আহ্বায়ক মো. মহসিন রশিদ, এডহক কমিটির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, সংবিধান সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট কাজী মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ, অ্যাডভোকেট মো. ঈশা, অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ, অ্যাডভোকেট মো. কাইয়ুম, অ্যাডভোকেট মো. সাগর হোসেন, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল করিম রেজা, অ্যাডভোকেট মো. উজ্জল হোসেন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাহফুজ বিন ইউসুফ, অ্যাডভোকেট মো. রবিউল আলম সৈকত, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ছোটন, ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজিব, অ্যাডভোকেট মো. মাহমুদ হাসান, অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট সাকিবুজ্জামান ও আব্দুল কাইয়ুম।
গত ১৬ মে দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদকের কক্ষে ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় দুপক্ষের ‘হাতাহাতি’র ঘটনাও ঘটে।
ঘটনার দিন রাতেই বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের আসামি করে মামলা করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সহকারী সুপারিন্টেডেন্ট মো. রফিকউল্লাহ।
রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা এ মামলায় ২৫ আইনজীবীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন: ঘটনা তদন্তে বিএনপি সমর্থিত ১৪ প্রার্থীর রিট
এ মামলার এজাহারে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর, হামলা, নারী আইনজীবীদের যৌন হয়রানি, এক লাখ টাকা দামের স্বর্ণের চেইন, নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং ১৫ হাজার টাকার কেসিও ঘড়ি চুরির অভিযোগ করেছেন বাদী।
গত ১৫ ও ১৬ মার্চ হট্টগোল, হামলা, ভাঙচুর, মামলা, সাংবাদিক পেটানো, প্রধান বিচারপতির কাছে নালিশ ও ধাক্কাধাক্কির মধ্যদিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দুই দিনব্যাপী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৪টি পদের সব কটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল জয়ী হয়েছেন।
দুই দিনব্যাপী নির্বাচনের শেষদিন দিনগত রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
যদিও নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল বিএনপি সমর্থকরা। এরপর থেকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আন্দোলন করে আসছেন। এর ধারাবাহিকতায় ১৬ মে মিছিল ও সমাবেশ করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। সেদিন বার সম্পাদকের কক্ষে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
আরও পড়ুন: আ.লীগ ‘তথাকথিত’ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে: ফখরুল
গাছ কাটার প্রতিবাদ: পুলিশের বাধায় পণ্ড হলো নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচি
রাজধানীর ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে গাছ কাটার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সদর দপ্তর নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে।
রবিবার ঘটনাস্থল থেকে আমাদের প্রতিবেদক জানান, সকালে ধানমন্ডির ‘সাত মসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলন’-এর ব্যানারে প্রায় ২০০ জন মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নেয়।
উন্নয়নের নামে ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে ডিএসসিসি কর্তৃক গাছ কাটার প্রতিবাদে সাত মসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলন-এর পক্ষ থেকে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার সকালে শাহবাগের দোয়েল চত্বরে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলা) সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই কর্মসূচিতে যোগ দেয়।
সকাল সাড়ে ১১টায় শাহবাগের দোয়েল চত্বর থেকে নগর ভবন অবরোধ করে তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যাত্রা করে বিক্ষোভকারীরা।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পিওবিএ) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির ইউএনবিকে বলেন, তারা রাজধানীর গুলিস্তান এলাকার বঙ্গবাজার মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাদের সামনে এগোতে বাধা দেয়।
পরে বিক্ষোভকারীরা বঙ্গবাজার মোড়ে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেয় এবং ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে আলাপের দাবি জানায়।
বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বঙ্গবাজার মোড়ে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অনুদানের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে আইনি নোটিশ
শাহজালাল বিমানবন্দরে পেটে ইয়াবা বহনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল থেকে শনিবার এক অভ্যন্তরীণ যাত্রীকে তার পেটে ১ হাজার ৬৭২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট বহনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ (এএপি) ব্যাটালিয়ন।
শনিবার সন্ধ্যায় এএপির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার সোহেল রানা পাবনার সাঁথিয়া থানার গৌরীগ্রাম গ্রামের মৃত তাইজাল খলিফার ছেলে।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার মো. সোহেল রানা সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে বেসরকারি এয়ারলাইন্স এয়ার অ্যাস্ট্রাযোগে কক্সবাজার থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
আরও পড়ুন: শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, যাত্রীকে চিহ্নিত করে এএপি ব্যাটালিয়ন অফিসে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে যাত্রী প্রথমে অভিযোগে অস্বীকার করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ওই যাত্রী পেটে ইয়াবা বড়ি থাকার কথা স্বীকার করেন বলে জানান তিনি।
জিয়াউল হক আরও বলেন, এরপর স্বাভাবিকভাবেই ওই যাত্রীর পেট থেকে ১ হাজার ৬৭২ পিস ইয়াবা বের হয়। সে ইয়াবাগুলোকে ছোট ছোট প্যাকেটে (ছোট পুরিয়া) বানিয়ে গিলে ফেলে। প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় বের হওয়া এসব ছোট প্যাকেট খুলে ইয়াবার চালান পাওয়া যায়।
জব্দকৃত ইয়াবার বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। যাত্রী সোহেল রানার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
ঢাকা বিমানবন্দরে এক কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
চুয়াডাঙ্গায় নাশকতার মামলায় বিএনপি-যুবদলের ২১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গা সদরে নাশকতার মামলায় বিএনপি ও যুবদলের ২১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত উপজেলার আলমডাঙ্গার পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে সোপর্দ করা করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরআগে আদালত চত্বরে উপস্থিত বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ ১৩০০ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ১৩
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল ও আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বরের বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় নাশকতার প্রস্ততির সময় উপস্থিত থাকায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত আলমডাঙ্গার বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। ১৭ বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের পর শনিবার দুপুরে আলমডাঙ্গা আমলী আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
তারা আরও জানান, এছাড়া ২০২২ সালের ডিসেম্বর ও ফেব্রুয়ারির মাসের নাশকতা প্রস্তুতিসহ বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনের দুটি মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সংগীতশিল্পী নোবেল গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামে ইয়াবা জব্দ, কলেজশিক্ষক গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ২০ পিস ইয়াবাসহ একজন কলেজশিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টায় উপজেলার সীমান্তঘেষা কুরুষাফেরুষা চাইলনের বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তৈয়ব আলী (৪২) উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষাফেরুষা গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে এবং বালারহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক।
জানা যায়, ওই রাতে তৈয়ব আলীর মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাঙ্কির ভেতর থেকে প্লাস্টিকের কাগজে মোড়ানো বিশেষ কায়দায় রাখা ১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে বালারহাট বিজিবি ক্যাম্পে সদস্যরা। শুক্রবার দুপুরে তৈয়ব আলীর বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে ফুলবাড়ী থানায় সোর্পদ করে বিজিবি।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাট্যালিয়নের অধীন বালারহাট ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার সফিকুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তার আসামিকে ফুলবাড়ী থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে ফুলবাড়ী থানায় একটি মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিকরগাছায় বাস থেকে ৭৪০০ পিস ইয়াবা জব্দ
কুড়িগ্রামে সাড়ে ২২ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাঁজাপ্রাপ্ত আসামি রিপন হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার রাতে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের পাশে নিজবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রিপন হোসেন(৪৭) কলারোয়া পৌরসভার বাসিন্দা।
র্যাব ,সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর গালিব জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা জানতে পারে, আসামি রিপন হোসেন কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সংলগ্ন তার বাড়িতে গ্রেপ্তার এড়াতে শয়ন কক্ষের খাটের নিচে বিশেষভাবে তৈরিকৃত সুড়ঙ্গে বসবাস করছেন। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব সদস্যরা।
শুক্রবার দুপুরে তাকে কলারোয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান মেজর গালিব।
আরও পড়ুন: ২০০২ সালে হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: ৪ জনের যাবজ্জীবন, ৪৪ জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সকাল ১০টার দিকে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোর ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে রাস্তার উপর একটি যাত্রীবাহী বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার উপর আড় করে দিয়ে তার গাড়িবহরে হামলা চালায় বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান, সাংবাদিকসহ ১০ জনকে মারপিট করা হয়।
এ মামলায় গত ১৮ এপ্রিল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও রিপন হোসেনসহ ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন সাতক্ষীরার একটি আদালত।
এছাড়া ৪৪ জন আসামিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন একই আদালত। গ্রেপ্তার এড়াতে রিপন হোসেন দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার রায় ৪ ফেব্রুয়ারি
খুলনায় বিএনপির মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ: আহত ৩০, আটক ১০
খুলনা মহানগরীর প্রেসক্লাবের সামনে দলটির পূর্বনির্ধারিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন দাবি করেছেন, পুলিশের হামলায় তাদের দলের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
তাদের নেতা মুজিবুর রহমান ও জাহিদুল রহমানসহ দলের বেশ কয়েকজন সদস্যও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, আহতদের শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের সময় পুলিশ গুলি ছুড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা।
এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, কোনো উস্কানি ছাড়াই সমাবেশে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়, লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকালে প্রেসক্লাবের সামনে সরকারের পদত্যাগ, ভুয়া মামলা বন্ধ, গণগ্রেপ্তার এবং সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবি জানাতে একটি সমাবেশের নির্ধারিত সময় ছিল।
জেলা ও নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা দুপুর থেকেই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। পুলিশ সমাবেশস্থলের দিকে অগ্রসর হওয়া মিছিলে বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান মিলটন বলেন, কোনো ধরনের উস্কানি ছাড়াই পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের দলের প্রায় ২০-২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারী হেলাল, অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ ২৫-৩০ নেতাকর্মী প্রেস ক্লাবের মধ্যে আটকা পড়েছেন। প্রেসক্লাবের বাইরে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ অস্বীকার করে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, অনুমতি ছাড়াই সমাবেশের চেষ্টা করছিল বিএনপি। তারাই পুলিশের ওপর হামলা করেছে।
এ ব্যাপারে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (সাউথ) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, খুলনা প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রোগ্রাম, অথচ কিছু নেতাকর্মী রাস্তা বন্ধ করে প্রোগ্রাম শুরু করে। কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আমরা বাধ্য হয়ে টিয়ারসেল এবং গ্যাসগান নিক্ষেপ করি।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমরা ১০ জনকে আটক করেছি। আমাদের বেশ কিছু সদস্য আহত হয়েছেন।
ওসি আরও বলেন, কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।