আইনশৃঙ্খলা
ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলার নিন্দা জানিয়েছে ডিআরইউ
ইউএনবির বিশেষ প্রতিবেদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
বুধবার এক বিবৃতিতে ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মইনুল আহসানও অবিলম্বে ইউএনবি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সাংবাদিক সমাজ শুরু থেকেই বলে আসছে যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। সাংবাদিকরা এই আইনের অপব্যবহারের শিকার হচ্ছেন।’
ডিআরইউ নেতারা অবিলম্বে ডিএসএ বাতিলের দাবি জানান।
গত ১২ এপ্রিল হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মো. আল-আমিন বাদী হয়ে জাহাঙ্গীরসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন।
ইউএনবি সাংবাদিককে মামলায় আসামি করা হয় কারণ তিনি সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপের সদস্য ছিলেন যেখানে সরকারবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে।
জাহাঙ্গীর অবশ্য বলেছেন যে তিনি এমন একটি গ্রুপ সম্পর্কে অবগত নন এবং কে তাকে এর সদস্য করেছে তাও জানেন না।
আরও পড়ুন: ডিএসএ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো
জাহাঙ্গীর বার্তা সংস্থা ইউএনবির চিফ ক্রাইম করেসপন্ডেন্ট এবং ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) সাবেক সহ-সভাপতি।
তিনি শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য।
এদিকে হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা ডিএসএ মামলায় জাহাঙ্গীরকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জাহাঙ্গীরের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন।
আরও পড়ুন: দেশ টিভির খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ডিএসএ-তে দু’টি মামলা দায়ের
বেনাপোল থেকে অস্ত্রসহ ২ চরমপন্থী আটক
বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তিনটি বিদেশি পিস্তল এবং ছয় রাউন্ড গুলিসহ চরমপন্থী দলের দুই সদস্যকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) রাত তিনটা ১৫ মিনিটের দিকে ধান্যখোলা গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় কাপড়ের দরদামকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে দুই যুবক নিহতের ঘটনায় আটক ২
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, বুধবার ভোর ৩টা ১৫ মিনিটে সীমান্ত এলাকা ধান্যখোলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ আইয়ুব আলীর ছেলে মহিদুল ইসলাম (৪০) ও আব্দুল মান্নানের ছেলে আতিয়ার রহমানকে (৩০) আটক করে।
এরা উভয় বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি আরও জানান, যশোরের অভয়নগর ও মণিরামপুর উপজেলা এবং খুলনার বিভিন্ন অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে কথিত চরমপন্থী সংগঠন নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি ও পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি 'শ্রেণিশত্রু খতমের' নামে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজির জন্য কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
তদন্তকালে তাদের অস্ত্র সরবরাহকারীদের তথ্য পাওয়া যায়।
এ সূত্র ধরে বুধবার ভোরে বেনাপোলের ধান্যখোলা গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় মহিদুল ইসলাম ও আতিয়ার রহমানকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে মহিদুলের বাড়ি থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, চরমপন্থী সংগঠন নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির নেতা দিপংকর ভারতে থাকেন।
তিনি যশোরের অভয়নগর উপজেলার আন্ধা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র-গুলি সরবরাহ করেন।
চরমপন্থী সংগঠনের সদস্যরা এ অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মানুষ হত্যা করেন।
এছাড়া আটক আতিয়ারের নামে মাদক ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রয়েছে।
যশোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রূপন কুমার সরকার তিনটি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলিসহ দুই চরমপন্থি সদস্য আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম বাদি হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: জার্মানিতে উগ্রবাদী হামলার পরিকল্পনাকারী সন্দেহে এক সিরীয় আটক
টেকনাফে মাদক জব্দ, আটক ৪
শাকিব খানের মামলায় জামিন পেলেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ
চাঁদাদাবি, হত্যার হুমকির অভিযোগে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় তারকা শাকিব খানের দায়ের করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব জামিন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: জেম হত্যা মামলায় পৌর মেয়রসহ আসামি ৬৮ জন
এদিকে মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় তা বদলির আদেশ দেন আদালত। এদিকে এদিন শাকিব খান অসুস্থ থাকার কারণে আদালতে হাজির হতে পারেনি। এজন্য তার আইনজীবী সময় আবেদন করেন। আদালত সময়ে আবেদন মঞ্জুর করেন।
শাকিব খানের আইনজীবী খায়রুল হাসান এসব তথ্য জানান।
এর আগে গত ২৩ মার্চ শাকিব খান বাদী হয়ে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে রহমত উল্লাহকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিং চলার সময় শাকিব খানের বিরুদ্ধে সহকারী নারী প্রযোজককে ধর্ষণ ও শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ তোলেন রহমত উল্লাহ।
তবে শাকিব খানের দাবি, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তার সুনাম ক্ষুণ্ন ও চাঁদা দাবি করেছেন রহমত উল্লাহ।
গত ২৭ মার্চ টেলিভিশনে মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে চিত্রনায়ক শাকিব খান আরও একটি মামলা করেন।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত এ মামলা গ্রহণ করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আগামী ৬ জুন পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ট্রলারে ১০ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা, প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ২
ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরও ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতাকে গুলি করে হত্যা
লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও অপর ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার এলাকার ব্রিজের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে নিহতদের পরিবারের অভিযোগ স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান আবুল কাশেম জেহাদীর সদস্যরা তাদের গুলি করে হত্যা করেছে।
নিহত নোমান জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মৃত আবুল কাশেমের ছেলে, অপর নিহত রাকিব জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও রফিক উল্যাহর ছেলে এবং বশিকপুর ইউপি ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, রাতে মোটরসাইকেলযোগে পোদ্দারহাট থেকে নাগেরহাটে যাচ্ছিলেন যুবলীগ নেতা নোমান ও তার সহযোগী অপর ছাত্রলীগ নেতা রাকিব। এ সময় তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তারা দু’জন মাটিতে লুটে পড়েন।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর নোমানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অপর গুলিবিদ্ধ রাকিবকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান বলে জানান স্বজনরা।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
নিহতদের পরিবারের দাবি, পূর্ব শত্রুতার জেরে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান আবুল কাশেম জেহাদীর লালিত সন্ত্রাসী শরীফ কালু ও সবুজ তাদের গুলি করে হত্যা করেছে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানা যায়নি।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে এলাকায় যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারে ট্রলারে ১০ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা, প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ২
বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে ভাসমান ট্রলার থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ১০ জনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানান কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুল ইসলাম।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারেরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ১০ জনকে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
নিহতেরা হলেন- মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে সামশুল আলম (২৩), শাপলাপুর ইউনিয়নের মিটাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), জাফর আলমের ছেলে সওকত উল্লাহ (১৮), মুসা আলীর ছেলে ওসমান গণি (১৭), সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবির (২৮), চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪), শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৫) ও চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে তারেক জিয়া (২৫)।
গ্রেপ্তারেরা হলেন-বাইট্টা কামাল ও করিম সিকদার।
পুলিশ সুপার জানান, নিহত সামশুল আলমের স্ত্রী রোকেয়া আক্তার বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। কক্সবাজার সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলায় বাইট্টা কামালকে প্রধান ও করিম সিকদারকে চার নম্বর আসামি করা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মাহফুজুল ইসলাম আরও জানান, মহেশখালীর মাতারবাড়ি ও আশপাশের এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ১০ জনকে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। অধিকতর তদন্তের স্বার্থে দুইজনকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাইবে পুলিশ। রিমান্ড মঞ্জুর হলে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে ধারণা পুলিশের।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১০ লাশ উদ্ধার
নিহত ১০ জন জলদস্যু ছিলেন কি না-এ প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। তবে নিহত সামশুল আলমের বিরুদ্ধে মাদক ও নুরুল কবিরের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা রয়েছে। সব কিছু মাথায় নিয়ে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
স্বজনদের দাবি, ভাসমান ট্রলারটির মালিক মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকার মোহাম্মদ রফিকের ছেলে সামশুল আলম। গত ৭ এপ্রিল মাঝিমাল্লা নিয়ে তিনি সাগরে মাছ ধরতে রওনা দেন। কিন্তু এরপর থেকেই ট্রলারসহ নিখোঁজ ছিলেন তারা।
ট্রলারটি গত ২২ এপ্রিল বিকালে কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্টের কাছাকাছি টেনে নিয়ে আসে আরেকটি মাছ ধরার ট্রলার। এরপর ২৩ এপ্রিল সেখান থেকে ১০টি লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। ট্রলারে লাশগুলো বরফ ও মাছ রাখার স্টোরে হাত-পা বেঁধে ঢুকিয়ে দরজা পেরেক ঠুকে আটকে দেওয়া হয়।
পুলিশের ধারণা, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
জানা যায়, নিহত ১০ জনের মধ্যে ছয়জনেরই বাড়ি মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর মিঠাছড়ি এলাকায়। স্থানীয় মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবিরের মাধ্যমে ওই এলাকার পাঁচজন কিশোর সাগরে যায়। কিন্তু নুরুল কবির ছাড়া বাকি কিশোররা পেশায় জেলে ছিল না। হঠাৎ তারা কেন সাগরে মাছ ধরতে গেছে সেটিও কেউ বুঝে উঠতে পারছে না।
পুলিশের ভাষ্য, উদ্ধার লাশগুলোর শরীরের প্রায় ৯৫ শতাংশ গলে গেছে। এর ফলে তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তারপরও স্বজনদের মাধ্যমে শনাক্ত করে ছয়জনের লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। বাকি চার লাশ এখনো মর্গেই রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চট্টগ্রামে স্বামী আটক
কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসলে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরও ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় এক নারীর করা ধর্ষণ মামলায় আরও দুইজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
সাক্ষ্য প্রদানকারিরা হলেন-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এজাজুল হক ও মামলার বাদি জান্নাত আরা ঝর্ণার বাড়িওয়ালা মোশারফ হোসেন।
এর আগে সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামি মামুনুল হককে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে আনা হয়। এসময় আদালত প্রাঙ্গণে হেফাজতের নেতাকর্মীরা এসে জড়ো হতে থাকেন। পরে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পুনরায় মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ এনে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন জান্নাত আরা ঝর্ণা নামের এক নারী।
আরও পড়ুন: মামুনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা: আদালতে সাক্ষ্য দিলেন রিসোর্টের তিনজন
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটির অ্যাডভোকেট রকিব উদ্দিন জানান, এই মামলায় এখন পর্যন্ত বাদি এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ বিশজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আদালত আগামী ৬ জুন মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন।
তিনি বলেন, প্রত্যেক সাক্ষী আদালতে বলেছেন যে মামুনুল হক বাদি জান্নাত আরা ঝর্ণাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন। বাদি নিজেই তা স্বীকার করে অভিযোগ দিয়েছেন।
তবে আসামি মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নয়ন বলেন, যে দুজন সাক্ষী দিয়েছে তাদের জবানবন্দিতে কারও কথার সঙ্গে ঘটনার মিল নেই।
ন্যায়বিচার পেলে মামুনুল হক খালাস পাবে বলে তিনি দাবি করেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, সকাল নয়টায় কঠোর নিরাপত্তায় কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সেই সাথে আদালতপাড়া জুড়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ
ধর্ষণ মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
টেকনাফে মাদক জব্দ, আটক ৪
কক্সবাজারের টেকনাফের জালিয়ার দ্বীপে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা মিয়ানমারের চার নাগরিককে আটক করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি, ১ দশমিক ০৬ কেজি ক্রিস্টাল মেথ, ৩৫ বোতল বিদেশি মদ ও ৪৩০ ক্যান বিয়ার জব্দ করার দাবি করেছে বিজিবি।
সোমবার রাতে বিজিবি এ অভিযান চালায়।
আটককৃতরা হলেন- শফিউর রহমানের ছেলে ওয়াজ করিম (২২), আমির হাকিমের ছেলে মাহবুবুর রহমান (১৯), আনিস আহমেদের ছেলে মো. ফয়সাল (২০) এবং মিয়ানমারের হোসেন আহমেদের ছেলে জসিম উদ্দিন।
এদের মধ্যে ফয়সাল ও জসিম কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বালুখালী ক্যাম্পের বাসিন্দা।
বিজিবি-২-এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, খবর পেয়ে বিজিবি-২ এর একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায় এবং রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে সীমান্তবর্তী এলাকার জিরো লাইন অতিক্রম করার সময় একটি নৌকাকে চ্যালেঞ্জ করে।
পরে নৌকার ভেতর থেকে বিয়ার ও মদসহ চারজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তাদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে সাড়ে ১১ কোটি টাকার ক্রিস্টাল মেথ ও ইয়াবা জব্দ: বিজিবি
টেকনাফে ১২ কোটি টাকা মূল্যের মাদক জব্দ
টেকনাফে মাদক জব্দ, যুবক আটক
সিলেটে সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেপ্তার করল র্যাব
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার মো. আব্দুল মতিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, পলাতক আব্দুল মতিনকে রবিবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সিলেটের গোলাপগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিয়ে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন: সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের ফেরত দিতে যুক্তরাজ্যের প্রতি বাংলাদেশের আহ্বান
র্যাব আরও জানায়, আব্দুল মতিন এবং একই মামলার আসামি আব্দুল আজিজ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের বারপুঞ্জিতে প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে তারা পালিয়ে বড়লেখায় এসে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। আব্দুল মতিন বড়লেখা থানা জামায়াতে ইসলামী এবং ১৯৭১ সালে ইসলামী ছাত্র সংঘের সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
আব্দুল মতিনসহ রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা মৌলভীবাজারে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড চালাত।
একাত্তরের ১৯ মে আব্দুল মতিনসহ এই মামলার অপর দুই আসামি আব্দুল আজিজ, আব্দুল মান্নান এবং তাদের সহযোগীরা মিলে মৌলভীবাজারের বড়লেখার ঘোলসা গ্রাম থেকে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির নেতা হরেন্দ্রলাল দাস, মতিলাল দাস, নগেন্দ্র কুমার দাস এবং শ্রীনিবাস দাসকে অপহরণ করে বড়লেখা সিও অফিস রাজাকার ক্যাম্পে আটক রেখে নির্যাতন চালায়। পরে জুড়ি বাজার বধ্যভূমিতে হরেন্দ্রলাল দাস, মতিলাল দাস ও নগেন্দ্র কুমার দাসকে হত্যা করা হয়। রাজাকার ক্যাম্প থেকে পালিয়ে গিয়ে বেঁচে যান শ্রীনিবাস দাস।
আরও পড়ুন: যশোরে ৬ যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার, ঢাকায় স্থানান্তর
আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে বড়লেখার কেছরিগুল গ্রামের এক নারীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে লুটপাট বিভিন্ন জনকে নির্যাতন, বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর আব্দুল মতিন, আব্দুল মান্নান এবং আব্দুল আজিজ বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর তদন্ত শেষ হয়। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে সে বছর ১ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। পরোয়ানা জারির দিনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আব্দুল আজিজ ও আব্দুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করে। তারা এখন কাশিমপুর কারাগারে আছেন।
তখন থেকে আত্মগোপনে ছিলেন মতিন। এই আসামিদের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয় প্রসিকিউশন। পরে ২০২২ সালের ১৯ মে ট্রাইব্যুনাল তিন জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।
র্যাব জানায়, মতিন মৌলভীবাজারের বড়লেখা ছেড়ে সিলেটের গোলাপগঞ্জে তার ভাগিনার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে তিনি নিজেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিতেন।
আরও পড়ুন: কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যু
জেম হত্যা মামলায় পৌর মেয়রসহ আসামি ৬৮ জন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খায়রুল আলম জেমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পৌর মেয়রসহ ৬৮ জানের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাতে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোপন বৈঠকে বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী আটক, ককটেল উদ্ধারের দাবি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের ভাই মুনিরুল ইসলাম শনিবার (২২ এপ্রিল) রাতে মামলাটি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয় যে জেলা কৃষক লীগের সম্মেলন এবং গত সংসদ উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। খায়রুল আলম জেম জেলার শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন। এছাড়া তিনি জেলা যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্যও ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে আরও জানা গেছে, জেম হত্যা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও পৌর এলাকার বটতলা হাটের মিরপাড়ার রবু কন্ট্রাকটারের ছেলে মোখলেসুর রহমানকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বহিষ্কৃত জেলা যুবলীগের সভাপতি সামিউল হক লিটন এবং মেসবাউল হক টুটুলকেও আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, গত বছর জেলা কৃষক লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রথম দফা তার সঙ্গে বর্তমান পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমানের দ্বন্দের সূত্রপাত হয় এবং পরবর্তীতে সদ্য শেষ হওয়া সংসদ উপনির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য আরেক দফা দ্বন্দের জেরে খাইরুল আলম জেমকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
সেই সূত্র ধরেই তার ভাইকে ইফতার কিনতে যাবার সময় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করার বিষয়টি এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মামলার এজহারে ঘটনার দিনের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, গত বুধবার (১৯ এপ্রিল) চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদয়মোড় এলাকায় ইফতারির বাজার করার সময় দুর্বৃত্তরা খায়রুল আলম জেমকে দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার প্রক্রিয়াকালে তার মৃত্যু হয়।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। খুব শিগগিরই আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে এলাকায় যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বসতবাড়ি দখলের চেষ্টার অভিযোগ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের মিঠাপুর-চাকুলিয়ায় অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুলশিক্ষকের বসতবাড়ি জোর করে দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
এ অভিযোগে ভুক্তভোগী মামলা করলে আদালত ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
তবে তা উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষরা বসতভিটায় টিনের বেড়া দিয়ে দখল করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
আরও পড়ুন: নড়াইলে বাল্যবিয়ের ভয়ে পলাতক, ২১ দিন পর বান্ধবীর বাড়ি থেকে কিশোরী উদ্ধার
অভিযোগকারী পরশমণি বিশ্বাস মন্টু অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। তিনি মতুয়া মিশনের সাবেক যুগ্মমহাসচিব ও হরি গুরুচাঁদ শিক্ষা সংস্কৃতি গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি।
তিনি বয়োবৃদ্ধ মা গৌরি রানী বিশ্বাসসহ তাকে মারধরের অভিযোগ করেছেন প্রতিবেশী জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী সালমা খানমসহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মিঠাপুর মৌজার চাকুলিয়া গ্রামে কবলা দলিলে কেনা ২৩ শতক জমিতে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছেন পরশমণি বিশ্বাস। জমির উত্তর পাশে বাস করেন জিয়াউর রহমান। ১৭ এপ্রিল বিকেলে জিয়াউর, তার স্ত্রী সালমা ও ছেলে জাহিদ হোসেনসহ ছয়-সাতজন সংঘবদ্ধভাবে দেশি ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে পরশমণি বিশ্বাসের বসতভিটা দখলের চেষ্টা চালান।
প্রতিরোধ করতে গেলে প্রতিপক্ষরা পরশমণি বিশ্বাসসহ তার মা গৌরি রানী বিশ্বাস, প্রতিবেশী দীন ইসলাম ও তার স্ত্রী হালিমা এবং দীন ইসলামের মা কুলসুম বেগমকে মারধর করেন।
এ সময় গৌরি রানীর রান্নার চুলা ভেঙে দেয়া হয়।
পরদিন ১৮ এপ্রিল নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন পরশমণি বিশ্বাস।
বিচারক ওই জমিতে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দেন। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেন আদালত।
এছাড়া লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (এসি, ল্যান্ড) দখলবিষয়ক তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান এবং অভিযুক্ত জিয়াউর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
মামলার বাদী পরশমণি বিশ্বাস বলেন, আদালতের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে প্রতিপক্ষরা আমার জমিতে টিনের বেড়া দিয়েছে। আমাদের মারধর করেছে।
এদিকে অভিযুক্তরা বলেন, আমাদের ন্যায্য জমি বুঝে নেয়ার জন্য টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছে। আমরা কারোর জমি দখল করিনি।
এছাড়া আমাদের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন জানান, নালিশী জমিতে ১৪৪ ধারা জারির পর দুইপক্ষকে সংযত থাকার জন্য বলা হয়েছে।
কেউ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে সাপের ঝাপাং খেলা
নড়াইলের ৮ মাসের শিশুকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে বাবা আটক