������������������������������
চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী বাস থেকে ২০ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ, আটক ২
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ২০ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ করা হয়েছে। এসময় দুজনকে আটকের দাবি করেছে পুলিশ।
বুধবার (১ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি রেঞ্জ বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা জোটপুকুরিয়া এলাকার মৃত আবুল কাসেমের ছেলে ওমর আলী (৫০) এবং ভোলা দৌলত খাঁ চর পাড়া এলাকার মো. বেলায়েতের ছেলে রুবেল (৩২)।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে প্রতারকচক্র জাল টাকা পাচার করছে। গোপনে এমন সংবাদে এসআই মাহফুজুর রহমান থানা পুলিশের একটি টিম নিয়ে উপজেলার চুনতি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া এলাকায় বাসে তল্লাশি চালায়। এসময় ওমর আলী ও রুবেল নামে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ১ হাজার টাকার ২০টি বান্ডিলে মোট ২০ লাখ টাকার জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, নারী আটক
চট্টগ্রামে হত্যাসহ ১০ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার: র্যাব
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ: চট্টগ্রামের ৩ সার্ভেয়ার কারাগারে
অবৈধ ইটভাটা বন্ধ: সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ডিসিদের নির্দেশ
দেশের বায়ুদূষণ রোধকল্পে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেশের সকল জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ অধিশাখা-১ থেকে পাঠানো চিঠিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চিঠিতে দেশের সকল অবৈধ ইটভাটা, বিশেষ করে অধিক ক্ষতিকর ইটভাটাসমূহকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বন্ধ করতে বলা হয়েছে। কোনও লাইসেন্স ছাড়াই নতুন তৈরি ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম জোরদার করতে বলা হয়েছে।
যে জেলাগুলোতে বৈধ ইটভাটার চেয়ে অবৈধ ইটভাটা বেশি, সে জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকগণকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ডিসিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ
আজ জারীকৃত অপর এক চিঠিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ জেলার সকল সরকারি অফিসসমূহে এবং উপকূলীয় এলাকায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণ রোধকল্পে মাসিক সভা ও অংশীজনদের নিয়ে নিয়মিত আলোচনা সভা আয়োজন এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটাসমূহের হালনাগাদ অবস্থা, প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার রোধকল্পে গৃহীত কার্যক্রম এবং পরিবেশ দূষণ সম্পর্কিত এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকগণের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত এসব সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ডিসিদের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়নি, পরিবেশের ডিজিসহ ৫ ডিসিকে হাইকোর্টে তলব
সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৯ এপ্রিল
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইকবাল হোসেন আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
এদিন সকালে সম্রাট আদালতে হাজিরা দেয়ার পর তার আইনজীবী অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য সময় আবেদন করেন আসামীর আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। এছাড়া তার আইনজীবী স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় সম্রাটের চার্জ শুনানি পিছিয়ে ৮ নভেম্বর
সারাদেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২২ সালের ২২ আগস্ট সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন: সম্রাটের জামিন বাড়লো ২০ অক্টোবর পর্যন্ত
দুদকের আবেদনে সম্রাটের জামিন কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
জঙ্গি উত্থান ঠেকাতে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, জঙ্গিদের উত্থান ও তাদের তৎপরতা ঠেকাতে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ পলাতক জঙ্গিদের গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা অনেক জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি এবং আমরা শিগগিরই অবশ্যই পলাতকদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।’
পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৩ উপলক্ষে বুধবার পুলিশ স্টাফ কলেজে এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখনও জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে পারিনি, তবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ভালোভাবে কাজ করছে, আর সে কারণেই জঙ্গিবাদ এখনও নিয়ন্ত্রণে আছে।’
সদ্য সমাপ্ত একুশে বইমেলায় বোমা হামলার হুমকির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রায়ই এ ধরনের হুমকি পাই এবং আমরা ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকালীন পুলিশ নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা সম্পর্কে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা প্রচার-প্রচারণা ও অন্যান্য কাজে নিয়োজিত হয়। আমরা অনেক দিন ধরেই দেখছি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সক্রিয় রয়েছে। আমি মনে করি, নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার কোনো কারণ নেই।’
দায়িত্ব পালনকালে নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে বাংলাদেশ পুলিশের সকল মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ এবং জেলা ইউনিটে ১ মার্চ পুলিশ মেমোরিয়াল ডে পালিত হয়।
নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে বিলম্ব ও হয়রানির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসবে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের নামে ঢাকার রাজপথ দখলের চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ডিসিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
লালমনিরহাটে ৫ জেএমবি সদস্যের যাবজ্জীবন
লালমনিরহাটে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার (১ লা মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট আদালতের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর মুশরত মদাতী এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে হাসান আলী ওরফে লাল, তার ভাই আবু নাঈম মিস্টার, একই এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে আসমত আলী ওরফে লাল্টু, সিরাজুল ইসলামের ছেলে আলী হোসেন এবং একই উপজেলার চর ভোটমারী এলাকার মুনছার আলীর ছেলে শফিউল ইসলাম সাদ্দাম।
লালমনিরহাট আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাই বলেন, ২০১৮ সালে ৩০ অক্টোবর বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রংপুর র্যাব ১৩ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর মুশরত মদাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে গোপন বৈঠক করাকালে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি পিস্তুল, চারটি গুলি, দুটি ম্যাগাজিন, গান পাউডার, বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং বেশ কিছু লিফলেট ও জিহাদি বই জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে ১ জন আটক, ৪৫টি স্বর্ণের বার জব্দ
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন র্যাব ১৩ রংপুর এর উপপরিদর্শক (এসআই) সুবির বিক্রম দে।
তদন্ত শেষে রংপুর র্যাব-১৩ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মুন্না বিশ্বাস আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার (১ লা মার্চ) দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে মামলার রায় ঘোষণা করেন লালমনিরহাট আদালতের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান।
রায়ে বলা হয়, মামলায় পাঁচটি ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। মামলায় হাজতবাস করা সময় দণ্ড থেকে বাদ যাবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আকমল হোসেন আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে জেএমবির ৩ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
লালমনিরহাটে ফেনসিডিল জব্দ, ২ ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৫৭
রাজধানীতে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে পৃথক অভিযানে ৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে ডিবি ও স্থানীয় থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৪৫ হাজার ৭৪৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৫৫৯ গ্রাম হেরোইন, ৯৮ দশমিক ৬৭৫ গ্রাম গাঁজা এবং ৭৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের দাবি করেছে ডিএমপি।
ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে স্থানীয় থানায় ৪০টি মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসী হামলার কোনো সম্ভাবনা নেই: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপির তিন থানায় নতুন ওসি
রাঙ্গামাটিতে জঙ্গি দমন অভিযান: ৪৪ ‘জঙ্গি’ কারাগারে, ৫ কেএনএফ সদস্য রিমান্ডে
রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন স্থানে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়ার সন্দেহভাজন ৪৪ সদস্যকে পৃথক মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আদালত সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) পাঁচ সদস্যকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার রাঙ্গামাটির একটি আদালত এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলি, ৫ জঙ্গি আটক
পুলিশ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়া ও কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৪৯ সদস্যকে আদালতে হাজির করা হলে রাঙামাটির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বর্ণা কোমল এ আদেশ দেন।
আগের দিন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে জঙ্গিদের আদালতে তোলা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলার পাহাড়ি এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে সম্প্রতি জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়া ও কেএনএফ এর ৫০ জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল আনসারের নায়েবে আমির গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
খুলনায় আজিজ হত্যা: ৬ জনের যাবজ্জীবন
খুলনার খালিশপুর থানা এলাকার শেখ আজিজুল ইসলাম হত্যার দায়ে ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এসিড নিক্ষেপ মামলায় ১৩ বছর পর স্বামীর যাবজ্জীবন
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কালাম আজাদ।
আসামিরা হলো- শেখ মশিউর ওরফে মশি, মো. আসলাম হোসেন লিটন, মো. সুইট, আশ্রাফুল ওরফে গাজা আশ্রাব, মো. সহিদ ও মো. মিন্টু।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আজিজুল ইসলামকে খালিশপুর নয়াবটিস্থ তৈয়েবের মোড়ে একা পেয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে পরেরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই শেখ জালাল উদ্দিন রাজু বাদী হয়ে থানায় আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আ. রহমান আসামি ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শিক্ষক হত্যার ১০ বছর পর ৫ জনের যাবজ্জীবন
মানবতাবিরোধী অপরাধ ত্রিশালের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদনে ৬ শিক্ষার্থী অভিযুক্ত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে পাশবিক ও অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে এ ঘটনায় গঠিত বিচারিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে, এ ঘটনার জন্য ৬ জনকে দায়ী করে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। হল প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটর এ ঘটনার ব্যাপারে দায়িত্ব পালনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। একইসঙ্গে বিশববিদ্যালয়ের প্রক্টর তার দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা ও উদাসীনতা দেখিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইবিতে ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন: ৩ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করার পর আগামীকাল বুধবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, নির্যাতিত হওয়ার পরেও অন্তরার জোরাজুরিতে ভিকেটিম মুচলেকা দিতে বাধ্য হয়েছেন। ভিকমটিমকে হল থেকে বিতাড়িত করতে চাপ দিলে হল প্রভোস্ট তাকে হলত্যাগের নির্দেশ দেন। পরে মুচলেকা দিতে বাধ্য করা হয়।
আদালত শুনানি নিয়ে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোন আইনজীবী আছে কিনা সেটা জানতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে আগামীকাল বুধবার আদেশের দিন ধার্য করেন।
আদালত থেকে বের হয়ে রিটকারী আইনজীবী মো. মহসিন সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কমিটিতে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। লিখিত বক্তব্য এবং অডিও ক্লিপসহ তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।
এতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, লিমা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান মীম, চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী হালিমা আক্তার ঊর্মি ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মুয়াবিয়া জাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। লিমা বিচারিক তদন্তে এসেছে। আর বাকিরা দুই তদন্তেই আছেন।
বিচারিক তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের প্রভোস্ট এবং হাউজ টিউটরদের চরম ব্যর্থতা ও অবহেলার অভিযোগ উঠে এসেছে। কারণ তারা হলো তাদের হলের অভিভাবক। তারা তাদের দায়িত্ব পালনে চরম ব্যর্থতা দেখিয়েছে। অন্তরা এবং অভিযুক্তরা এই ভিকটিমের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করে। প্রোভোস্টের সামনেই তারা এটা করে। প্রভোস্ট অভিযুক্তদেরকে সাহায্য করে। এটচা বিচারিক তদন্তের রিপোর্টে উঠে এসেছে। আর বিচারিক তদন্তে আরেকটি যে বিষয় উঠে এসেছে তা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর চরম উদাসীনতা দেখিয়েছেন, অবহেলা করেছেন। তিনি অভিযোগ পাওয়ার পরেও কোন প্রকার ব্যবস্থা নেননি। আজকে রিপোর্ট দেখে আদালত আগামীকাল আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
আরও পড়ুন: ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের সত্যতা মিলেছে, ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৪ জনের সিট বাতিল
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তার আগের দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রীকে (ইবি) রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে জড়িতদের হাইকোর্টে তলব করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী মো. মোহসীন জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেন। স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব, ইবির ভিসি, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এদিকে ফুলপরী খাতুন নামের ওই ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীর আবাসিকতা বাতিল করেছে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল কর্তৃপক্ষ। তাদের সবাইকে আগামী ১ মার্চের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
গতকাল সোমবার এ ঘটনার দুটি তদন্ত প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে দাখিল করা হয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় এ প্রতিবেদন আজ আদালতে দাখিল করেন। এরই মধ্যে গতকাল ইবি’র হল থেকে ৫জনকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃত ছাত্রীরা হলেন- ইবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের ইসরাত জাহান মীম, ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মোয়াবিয়া। অন্তরা ছাড়া সবাই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের গণরুমে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনকারী ছাত্রলীগ নেত্রীর নাম সানজিদা চৌধুরী অন্তরা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার সহযোগী তাবাসসুম ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ছাত্রীও একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন নির্যাতনের শিকার ছাত্রী।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম রাত ৮টায় ভুক্তভোগী ছাত্রীকে প্রজাপতি-২ রুমে যেতে বলেন। অসুস্থ থাকায় সেদিন তিনি যেতে পারেননি। এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রীকে হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তাবাসসুম। ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রথম দফায় র্যাগিং করে তাকে হল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে হলের প্রভোস্টের সহযোগিতায় তখন সেটা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ইবি উপাচার্যের অডিও ফাঁস: ব্যক্তিগত সহকারীকে অব্যাহতি
পরদিন রোববার ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ ৭-৮ জন মিলে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে গণরুমে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মারা হয় এবং মুখ চেপে ধরে গালিগালাজ করা হয়। এমনকি তাকে ময়লা গ্লাস মুখ দিয়ে পরিষ্কার করতে বলেন সানজিদা। পরে ওই ছাত্রীকে জামা খুলতে বলেন অভিযুক্তরা। জামা না খুললে পুনরায় মারতে থাকেন তাকে। এরপর জোর করে তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দেন তারা। এ ঘটনা কাউকে বললে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয় ভুক্তভোগীকে।
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ২ সপ্তাহের মধ্যে ঢাকাসহ ৫ জেলার অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের নির্দেশ
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ঢাকাসহ পাঁচ জেলার সব অবৈধ ইটভাটা দুই সপ্তাহের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে আদালত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় থাকা অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করে দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজিকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
আদালতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করিম।
আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর
এর আগে বায়ু দূষণরোধে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়ে ২০২০ সালে রায় দেন উচ্চ আদালত।
৯ দফা নির্দেশনায় বলা হয়:
১. ঢাকা শহরের মধ্যে বালি বা মাটি বহনকারী ট্রাকগুলোকে ঢেকে পরিবহণ করতে হবে।
২. যেসব জায়গায় নির্মাণকাজ চলছে সেসব জায়গার কনট্রাকটররা তা ঢেকে রাখবে।
৩. এছাড়া ঢাকার সড়কগুলোতে পানি ছিটানোর যে নির্দেশ ছিল, সে নির্দেশ অনুযায়ী যেসব জায়গায় এখনও পানি ছিটানো হচ্ছে না, সেসব এলাকায় পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. সড়কের মেগা প্রজেক্টের নির্মাণ কাজ এবং কার্পেটিং যেসব কাজ চলছে, যেসব কাজ যেন আইন-কানুন এবং চুক্তির টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন মেনে করা হয় সেটা নিশ্চিত করার নির্দেশ।
৫. যেসব গাড়ি কালো ধোঁয়া ছাড়ে সেগুলো জব্দ করতে বলা হয়েছে।
৬. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করতে হবে এবং যেসব গাড়ি পুরাতন হয়ে গেছে সেগুলো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ।
৭. যেসব ইটভাটা লাইসেন্সবিহীনভাবে চলছে, সেগুলোর মধ্যে যেগুলো এখনও বন্ধ করা হয়নি, সেগুলো বন্ধ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ।
৮. পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া টায়ার পোড়ানো এবং ব্যাটারি রিসাইকিলিং বন্ধের নির্দেশ।
৯.মার্কেট এবং দোকানের বর্জ্য প্যাকেট করে রাখতে এবং তা মার্কেট ও দোকান বন্ধের পরে সিটি কর্পোরেশনকে ওই বর্জ্য অপসারণ করার নির্দেশ।
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে চলছে ৬০ ভাগ ইটভাটা: মন্ত্রী
এই ৯ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়ে গত ৩০ জানুয়ারি সোমবার হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
গত ৩১ জানুয়ারি উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ঢাকার বায়ু দূষণে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
সেই আদেশ অনুযায়ী গত ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
ওই প্রতিবেদন দেখে বায়ু দুষণ রোধে আদেশ বাস্তবায়নে দুই সপ্তাহ সময় দেন।
এছাড়া আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আজকে যে প্রতিবেদন দিয়েছে সেটাতে আদালত বলছেন যথেষ্ঠ নয়। কয়েকটা গাড়ির কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু অবৈধ ইটভাটার উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি বলেন, তাই দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার আশেপাশের পাঁচ জেলায় অবৈধ ইটাভাটা বন্ধ করে পরিবেশ অধিদপ্তরকে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। সিটি করপোরেশনকে বলেছেন পর্যাপ্ত পানি ছিটাতে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরের মধ্যে বালি বা মাটি বহনকারী ট্রাকগুলোকে ঢেকে পরিবহন করা, যে সব জায়গায় নির্মাণকাজ চলছে সেসব জায়গার ঢেকে রাখাসহ আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ডিসিদের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান