������������������������������
দিনাজপুরে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মাদক ধ্বংস
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ২৯ ব্যাটালিয়ন দিনাজপুরের সীমান্ত এলাকায় ভারত থেকে পাচারের সময় জব্দ করা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে। এসব মাদকের মধ্যে রয়েছে- ইয়াবা ট্যাবলেট, হেরোইন,ফেনসিডিল,বিদেশি মদ, বিয়ার এবং যৌন উত্তেজন সিরাপসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় সামগ্রী।
রবিবার সকালে ফুলবাড়ীতে ব্যাটালিয়ন মাঠে প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের মাদক সামগ্রী ধ্বংস করেছেন তারা।
ধ্বংস করার দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে-৪৫ হাজার ৭৫৩ বোতল যৌন উত্তেজক সিরাপ, ২০ হাজার ১৬৪ এ্যাম্পুল নেশা জাতীয় ইঞ্জেকশন, ১৫ হাজার ৮৮ বোতল ফেনসিডিল সিরাপ, তিন হাজার ৯২২ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট এবং এক হাজার ২০৩ বোতল এমকেডিল সিরাপসহ গাজা, আফিমসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক। জব্দকৃত মাদকের বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ৬টি ভারতীয় এয়ারগান উদ্ধার করেছে বিজিবি
এসময় উপস্থিত ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি, বিজিবি'র রংপুর রিজিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, দিনাজপুরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রাশেদ আজগার এবং ২৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলমগীর কবিরসহ অন্যান্যরা।
বিজিবি'র রংপুর রিজিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান বলেছেন, রিজিওনে চারটি সেক্টরের আওতায় ১৫টি ব্যাটালিয়নের অধীনে এক হাজার ৬৬০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি অপরাধ চোরাচালান প্রতিরোধে কাজ করছেন তারা।
আরও পড়ুন: বিজিবিতে চাকরির সুযোগ: আবেদন করা যাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে
উখিয়ায় বিজিবির সঙ্গে মিয়ানমারের সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি
‘পুলিশ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করছে বলেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি’
শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের ইতিবাচক ভূমিকার প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন জনগণের কাছে নির্ভরশীলতা ও আস্থার প্রতীক। পুলিশ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করছে বলেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, পুলিশ বাহিনী এখন জনগণের বন্ধুতে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিএমপি গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার প্রচেষ্টায় ডিএমপির যাত্রা শুরু হয়েছিল। আজ (শনিবার) ডিএমপির ৪৮ বছর পূর্ণ হলো। ডিএমপির ৫০টি থানা ও বেশ কয়েকটি ইউনিট রয়েছে, যারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দ্রুত সাগর-রুনি হত্যার রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে র্যাবকে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদের উত্থানের পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ডিএমপিতে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর থেকে সিটিটিসি ইউনিট ব্যাপক সাফল্যের সঙ্গে জঙ্গিবাদ দমন করতে সক্ষম হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুই কোটি মানুষের বাসস্থান ঢাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা সহজ কাজ নয়। কিন্তু ডিএমপি অত্যন্ত সফলভাবে জনগণকে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ডিএমপির সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। ভবিষ্যতে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও নাশকতার ঘটনা ঘটালে জনগণের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের নামে ঢাকার রাজপথ দখলের চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাইকমিশনার গোলাম সারোয়ারের সাক্ষাৎ
দিনাজপুরে জামায়াত শিবিরের ৭ নেতাকর্মী আটক
দিনাজপুরে জামায়াত শিবিরের সাত নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল ৮ টার দিকে দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে কিশোরীকে গরম চা ঢেলে ঝলসে দেয়ার অভিযোগ, মামী আটক
আটকরা হলেন-জামায়াতের দিনাজপুর জেলা শাখার আমির ও প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, ফুলবাড়ী উপজেলার ৭নম্বর ইউনিয়নের আমির আবু তাহের, ফুলবাড়ী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও দিনাজপুর দক্ষিণের সাবেক সদস্য ও ফুলবাড়ী উপজেলার সাবেক আমির মঞ্জুরুল কাদের, জেলা জামায়াতের সদস্য জাহিদুল ইসলাম, পার্বতীপুর উপজেলার আমবাড়ী ইউনিয়নের শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক নঈম বিল্লাহ, পার্বতীপুর উপজেলার সদস্য আবুল বাসার ও রফিকুল ইসলাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম জানান, দিনাজপুর শহরে অরাজকতা ও নাশকতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতা কর্মীরা একত্রিত হয়। এসময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করে।
আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ লাখ রুপির সমপরিমাণ জাল নোট জব্দ, আটক ১
প্রয়াত আ.লীগ নেতা নাসিমকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
ফেসবুকে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে বৃহস্পতিবার এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আশকার পাইন ওরফে আশকারুল (৩০) উপজেলার চালিতাডাঙ্গা গ্রামের ফজলুল বারীর ছেলে।
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কুমার দত্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে কটূক্তি করা একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অতিসম্প্রতি ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গত ২৪ জানুয়ারি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার রাতে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রহমতগঞ্জ মহল্লায় অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
সিরাজগঞ্জে বিএনপি-জামায়াতের ৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতভর সদর, রায়গঞ্জ ও উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক লিয়াকত আলী খান, সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান আনিছ, সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা কবির হোসেন, কালিয়া হরিপুর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোখলেস হোসেন, উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়ন যুবদল নেতা বুলবুল আহমেদ, একই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিয়াদ, উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের সক্রিয় সদস্য আছাপ আলী, রায়গঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ইকবাল হোসেন এবং রায়গঞ্জ উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলামিন হোসেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মী কারাগারে
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবীর জানান, গ্রেপ্তার করা চারজনের মধ্যে লিয়াকত আলী খানের নামে নিয়মিত মামলা বাকি ৩ জনের নামে একাধিক মামলা রয়েছে।
উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় জামায়াত-বিএনপির উল্লেখিত ৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইকবাল হোসেনকে ১৫১ ধারায় ও ব্রহ্মগাছা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আলামিন হোসেনকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে আহত ১২, আটক ২০
ফরিদপুরে বিএনপির ১১৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
দ্বৈত নাগরিকদের দেশপ্রেম দুভাগে বিভক্ত: হাইকোর্ট
সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুসারে দ্বৈত নাগরিকরা বিদেশে সম্পদ কিনতে পারেন কি না, সে বিষয়ে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে শুনানিকালে হাইকোর্ট বলেন, যারা দ্বৈত নাগরিক তাদের দেশপ্রেম দুভাগে বিভক্ত। তারা টাকাটা নিয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে। দ্বৈত নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া যায় কি না; সংবিধান ও আইন দেখে এ বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে। একই সঙ্গে দ্বৈত নাগরিকরা বিদেশে সম্পদ কিনতে পারে কি না, সে বিষয়েও আদেশ দেয়া হবে। আদালত এসব ক্ষেত্রে সংবিধানের ব্যাখ্যাও রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চান।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনা হলে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতপ্রণোদিত হয়ে আদেশের দিন নির্ধারণকরেন। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
এর আগে বৃহস্পতিবার একটি দৈনিকের ‘বিদেশে সম্পদ কেনার উৎসব’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আদালতের নজরে আনা হয়। প্রতিবেদনটির একটি অংশে বলা হয়েছে, ‘বিদেশে বাড়ি ও সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে উৎসব চলছে বাংলাদেশিদের। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রের পর দুবাই ও লন্ডনে হিড়িক পড়েছে সম্পদ কেনার। আগেই আগ্রহের স্থান ছিল সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া। এখন সম্পদ কেনার পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে বাংলাদেশিরা এখন সম্পদ কেনায় ধনী দেশের নাগরিকদের টপকে দখল করে নিচ্ছেন শীর্ষস্থানগুলো। ইতোমধ্যে দুবাইয়ে ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশিরা সারা বিশ্বে রয়েছেন এক নম্বরে। আবার লন্ডনের অভিজাত স্থানে সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রেও শীর্ষ দশে আছেন বাংলাদেশিরা।’
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এসব সম্পদ কিনতে যেসব অর্থ ব্যয় করা হয়েছে, তা বৈধ বা অবৈধ যে উপায়েই আয় করা হোক, দেশের বাইরে নেয়া হয়েছে অবৈধ উপায়ে। কারণ বাংলাদেশ থেকে অর্থ স্থানান্তরে কোনও ক্ষেত্রেই অনুমোদন নেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: বিপিসি’র ৪৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ৩ মাসের মধ্যে দুদককে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
বিপিসি’র ৪৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ৩ মাসের মধ্যে দুদককে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির (এসএওসি) বিরুদ্ধে ৪৭২ কোটি টাকার বেশি অনিয়মের অভিযোগে বিষয়ে করা মামলার তদন্ত আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে একটি সুয়োমটো (স্বপ্রণোদিত) রুলের শুনানিতে এ আদেশ দেন।
এর আগে ৪৭২ কোটি টাকার বেশি অনিয়মের ব্যাপারে হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ব্যাপারে এসএওসির ৫ পরিচালকের একজন এবং এর ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি মঈনুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত চলছে।
মঈনুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অনিয়মে জড়িতের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক।
তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে এবং ট্রায়াল কোর্ট তার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন। পরে আদালত এ মামলার তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন।
এর আগে গত বছরের ৪ নভেম্বর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় ‘৪৭২.৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বিপিসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান’- শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। পরে ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট সুয়োমটো রুল ও আদেশ জারি করেন। আদেশে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির ৪৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অনিয়মের ঘটনায় কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চান।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
একইসঙ্গে অনিয়মের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশন, অডিটর জেনারেল ও বিপিসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির (এসএওসিএল) ২১ অনিয়মের কারণে সরকার ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) ২০১২-১৩ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত এসএওসিএলের নথি পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানতে পেরেছে।
বিপিসি ও এশিয়াটিক ইন্ডাস্ট্রিজের মধ্যে ৫০-৫০ যৌথ উদ্যোগ এসএওসিএল। প্রতিষ্ঠানটি ইঞ্জিন তেল, যানবাহনের তেল, ডিজেল, বিটুমিন, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস ও ফার্নেস তেল বিপণন ও বিতরণ এবং কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানে জেট ফুয়েল সরবরাহ করে।
এসএওসিএলের নথি পর্যালোচনায় যেসব অসঙ্গতি দেখা গেছে, এগুলোর মধ্যে রয়েছে শীর্ষ কর্মকর্তাদের দ্বারা অর্থ আত্মসাৎ, উচ্চ হার, ওভারটাইম, অনুপস্থিত তহবিল, মামলা-মোকদ্দমা ফি প্রদানে অনিয়ম ও আয়কর অধ্যাদেশ এবং ভ্যাট বিধি লঙ্ঘন।
প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ পরিচালকের একজন ও এর ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি মঈনুদ্দিন আহমেদ এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, ২০১১-১২ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত মঈনুদ্দিন আহমেদের মালিকানাধীন এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির কাছে এসএওসিএলের বিক্রি করা লুব্রিকেটিং তেলের বকেয়া পরিশোধ না করার কারণে সংস্থাটির ১৯৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এসএসিওএলের নথিগুলোতে দেখা গেছে, এওসিএল চালানের বিপরীতে চেক সরবরাহ করেছিল। তবে, চেকে উল্লেখ করা অর্থ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া হয়নি।
এছাড়া কোম্পানি আইন অনুযায়ী, অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ ধরনের লেনদেন নিষিদ্ধ। বকেয়া পরিশোধ না করার কারণে এওসিএলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সিএজি বলছে, ‘এটি গুরুতর অনিয়ম।’
আরও পড়ুন: টিপু-প্রীতি হত্যা: বিডি বাবুকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
২০১১-১২ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত কোম্পানির জন্য এসএওসিএলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অগ্রিমের জন্য কোনো ভাউচার বা চালান সরবরাহ না করেই ৮৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা নিয়েছিলেন মঈনুদ্দিন আহমেদ।
তিনি ২০১২-১২ থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছর পর্যন্ত ২৩ কোটি ১১ লাখ টাকা অগ্রিম হিসেবে তুলে নিয়েছেন। কারণ টাকা তোলার কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। তিনি কখনও এই টাকা ফেরত দেননি।
অর্থ তছরুপের দুটি ঘটনায় মঈনুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে তার পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং তার ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
দুদকের তদন্তে দেখা গেছে, এসএওসিএলের কাছ থেকে আত্মসাৎ করা অর্থ দিয়ে মঈনুদ্দিন আহমেদ গুলশানে ১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকায় তার স্ত্রীর নামে দুটি ফ্ল্যাট এবং ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা দিয়ে রাজধানীর লালমাটিয়া, উত্তর কমলাপুর, বারিধারা, বসুন্ধরা ও চট্টগ্রামের হালিশহরে ৬টি ফ্ল্যাট কিনেছেন। এসএওসিএলের চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা তুলে সেই অর্থ নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেন মঈনুদ্দিন আহমেদ।
২০১৩-১৪ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মধ্যে আমদানি করা এক লাখ ৩৪ হাজার ৩২৫ ড্রাম বিটুমিন হারিয়ে যাওয়ার কারণে এসএওসিএলের বইয়ে ৬৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঘাটতি রয়েছে। বিটুমিন ড্রামগুলো চট্টগ্রামের পোর্ট কলোনির গুদামে সংরক্ষণ করা হয়েছিল।
সেখানকার প্রহরী জানান, এসএওসিএলের চাহিদাপত্র দেখেই তিনি সেই পণ্য নিয়ে যেতে দিয়েছেন। তবে গুদামের মালিক এ ধরনের কোনো চাহিদাপত্রের কথা অস্বীকার করেন।
প্রতিষ্ঠানটির কাছে কোনো স্টক রিপোর্ট ছিল না। নিরীক্ষকরা এই ধরনের ঢিলেঢালা অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিপিসিকে দায়ী করেন এবং আর্থিক ক্ষতির জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য এই বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিলেন। ২০১৩-১৪ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত লুব-ভিত্তিক তেল ও বিটুমিন আমদানির খাতে এসএওসিএলের অ্যাকাউন্টে আরও ৬৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার ঘাটতি রয়েছে।
প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ গালফ পেট্রোলিয়াম পিটিই, গালফ পেট্রোলিয়াম পিএলসি, ইউনাইটেড অয়েল কোম্পানি ও ইউনাইটেড পেট্রোকেমিকেলের নামে নন-অ্যাকাউন্ট পেয়ি চেক ইস্যু করেছিল। চেকগুলোর অর্থ উত্তোলন করা হয়েছিল। তবে, এর বিপরীতে কোনো ভাউচার বা চালান পাওয়া যায়নি। কিছু চেকের পেছনে করা সইয়ে দেখা গেছে, এসএওসিএল কর্মকর্তারা চেকগুলো থেকে অর্থ উত্তোলন করেছিলেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এ অনিয়মের পেছনে দায়ী মঈনুদ্দিন আহমেদ ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহেদ। এই দুইজন সাড়ে ৩৮ কোটি টাকা দিয়ে জীবন বীমার প্রিমিয়ামও কিনেছিলেন। এসএওসিএলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকেই সেই টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণ থেকে মানুষকে বাঁচান: পরিবেশ অধিদপ্তরকে হাইকোর্ট
দ্রুত সাগর-রুনি হত্যার রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে র্যাবকে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে দ্রুত রিপোর্ট দিতে র্যাবকে নির্দেশনা দেয়ার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রীর কক্ষে সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেয় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি (ডিআরইউ)।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ডিআরইউ আমাকে স্মারকলিপি দিয়েছে। বিচার তো আমরা করতে পারব না, আমরা তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারব। আমরা চেষ্টা করছি, অনেক বছর হয়ে গেছে। আমরাও চাই এ রহস্য উন্মোচিত হোক। উদীয়মান এই দুই সাংবাদিক, যাদের অনেক প্রতিভা ছিলো তারা দেশকে অনেক কিছু দিতে পারত। তারা আমাদের মধ্য থেকে চলে গেছেন। আমরাও চাই কেন এই হত্যকাণ্ড হয়েছে, সেটি উদঘাটনের।
মন্ত্রী বলেন, ডিআরইউ’র স্মারকলিপি আমি র্যাবের ডিজিকে এখনই পাঠিয়ে দিচ্ছি। তাড়াতাড়ি একটা কিছু জানায় সেই নির্দেশনা তাদেরকে দেবো। আমরা চেষ্টা করছি রহস্য উদঘাটনের। সাংবাদিক নেতাদেরও বলেছি আপনাদের কাছেও যদি কোন তথ্য থাকে সেগুলো আমাদের জানালে আমরা সেটিও দেখব।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের নামে ঢাকার রাজপথ দখলের চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ডিআরইউ’র স্মারকলিপিতে বলা হয়, ক্ষোভ ও দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, ডিআরইউ সদস্য মাছরাঙা টেলিভিশনের সাবেক বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের এক দশক পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের এখনও শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়নি। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজা বাজারে নিজ বাসায় তাদের শিশুপুত্রের সামনে নির্মমভাবে খুন হন এই সাংবাদিক দম্পতি।
তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আজ ১১ বছর পেরিয়ে গেছে; তদন্তের কোন ধরনের অগ্রগতি নেই। এমনকি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালত থেকে ৯৫ বার সময় নেয়া হয়েছে।
বিচার না পেয়ে সাগর-রুনীর পরিবারে ও গোটা সাংবাদিক সমাজে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা। কিছুদিন আগে পরলোকগমন করেছেন মেহেরুন রুনির মা নুরুন্নাহার মির্জা। এখনো বিচারের আশা ছাড়েননি সাগর সারওয়ারের বয়োবৃদ্ধ মা সালেহা মুনির ও সাগর-রুনীর একমাত্র পুত্র মাহীর সারওয়ার মেঘ।
যে কোন হত্যার বিচার পাওয়া নাগরিকের অধিকার। আর রাষ্ট্রের দায়িত্ব নাগরিকের সেই অধিকার নিশ্চিত করা। আমরা দেখেছি, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বড় বড় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে; অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। সাগর-রুনি হত্যার কোন কুলকিনারা তারা করতে পারবে না এটা আমরা বিশ্বাস করি না। তাই আর কালক্ষেপণ না করে দ্রুততম সময়ে সাগর-রুনি হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত খুনিদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য ডিআরইউ’র পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা আবারও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। এই হত্যার বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ডিআরইউ এ দাবি থেকে সরে যাবে না।
এসময় ডিআরইউ'র সভাপতি মুরসালিন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, দপ্তর সম্পাদক কাওসার আজম ও কার্যনির্বাহী সদস্য ইসমাইল হোসাইন রাসেল উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ডিসিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
র্যাবের ওপরের মার্কিন নিষেধাজ্ঞা খুব শিগগিরই উঠে যেতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
চসিক কার্যালয়ে দুদকের অভিযান, মশার ওষুধ কেনায় অনিয়ম
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় ৮ জনের একটি টিম চসিক কার্যালয়ে প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপী অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন কক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল, নথি তল্লাশি করেন। এসময় মশা মারার ওষুধ কেনায় অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুদক টিম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেলা ১টার দিকে অভিযান শুরু করেন দুদক কর্মকর্তারা। এসময় সংস্থাটির বিভিন্ন বিভাগের নথিপত্র তল্লাশি করেন তারা। অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা বেশ কিছু নথি নিজেদের জিম্মায় নিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
এর আগে চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর কক্ষে দীর্ঘসময় সময় অবস্থান করেন এবং মেয়রের সঙ্গে এসব ইস্যুতে কথা বলেন দুদক কর্মকর্তারা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, দুদক কর্মকর্তারা নগরীর টাইগার পাসস্থ নগর ভবনেই অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: চসিকের সার্ভার হ্যাক করে জন্মনিবন্ধন সনদ উত্তোলন, আটক ৪
এবিষয়ে চসিকের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ১২টার দিকে দুদক কর্মকর্তারা নগর ভবনে এসেছেন। মেয়রের সঙ্গেও ঘণ্টাখানেক কথা বলেছেন তারা। পরে তারা কিছু ফাইল তল্লাশি করেন এবং নিজেদের জিম্মায় নেন।
তবে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের আকস্মিক এই অভিযান, তা জানেন না বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা।
অভিযানের বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক এমরান হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটা অভিযোগ ছিল, চসিকে মশার ওষুধ কেনায় দুর্নীতি হয়। ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত একটা নির্দিষ্ট ঠিকাদারকে বারবার কার্যাদেশ দেওয়া হচ্ছে। মেসার্স বেঙ্গল মার্ক ইন্টারন্যাশনাল নামের ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ডিসেম্বর ২১ থেকে অক্টোবর ২২ পর্যন্ত ৭৭ লাখ ৩৭ হাজার ৩০০ টাকার ওষুধ কেনা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ৫ লাখ টাকার বেশি কেনাকাটা করতে হলে দরপত্র আহ্বান করতে হয়। কিন্তু একই ব্যক্তিকে কাজ পাইয়ে দিতে ৫ লাখ টাকার নিচে রাখতে ১৬ লটে ভাগ করে ওষুধ কেনা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন,‘কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে প্রাথমিকভাবে আমরা অনিয়মের সত্যতা পেয়েছি। বাকিটা তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
অভিযোগ রয়েছে, দরপত্র ছাড়াই চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক অরভিন সাকিব ওরফে ইভান নামের এক নেতার কাছ থেকে কেনা হয় এসব মশার ওষুধ।
আরও পড়ুন: নির্মাণে ত্রুটির কারণেই ফ্লাইওভারে ফাটল: চসিক মেয়র
চসিকের প্যানেল মেয়র নির্বাচিত হলেন তিন কাউন্সিলর
আন্দোলনের নামে ঢাকার রাজপথ দখলের চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আন্দোলনের নামে ঢাকার রাস্তা দখলের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেন, ‘কেউ রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা করলে এবং আন্দোলনের নামে আবারও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যা যা প্রয়োজন তা করবে। তারা যদি স্বল্প সময়ের জন্য তাদের কর্মসূচি পালন করে তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’
বৃহস্পতিবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদর দপ্তরে ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও আর্থিক অপরাধ তদন্ত’ শীর্ষক সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বিদেশে সমাহিত শহীদদের মরদেহ দেশে আনার ইচ্ছা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে তারা অনেক বিষয়ে কথা বলবে এটাই স্বাভাবিক। পাশাপাশি, অন্যান্য দল রয়েছে যারা রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারে এবং এতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’
তিনি সব রাজনৈতিক দলকে রাস্তা অবরোধ করে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ডিসিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর