������������������������������
লাশ হয়ে ফেরা ৭১৪ নারী অভিবাসী শ্রমিকের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট
লাশ হয়ে ফেরা ৭১৪ অভিবাসী নারী শ্রমিকের পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিবাসী নারী শ্রমিকের মৃত্যুর কারণ তদন্ত, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চে থেকে অনুমতি নিয়ে রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আঞ্জুমান আরা লিমা।
রিট আবেদনের সঙ্গে ‘লাশ হয়ে ফিরলেন ৭১৪ নারী’- শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়েছে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, বিএমইটির মহাপরিচালক ও পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ১২ জনকে। চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
এই রিটে বিদেশে নারী শ্রমিকের অমানবিক নির্যাতন বন্ধ, তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং নিরাপদে দেশে ফেরার নিশ্চয়তা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রবাসে মৃত্যুবরণ করা শ্রমিকদের মৃত্যুর কারণ তদন্ত করে যথাযথভাবে জানানোর পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তা চাওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে মালিক পক্ষের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার নির্দেশনাও এই রিটে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজ
‘লাশ হয়ে ফিরলেন ৭১৪ নারী’- শিরোনামে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছরে ৪০৪ জন নারী শ্রমিকের লাশ দেশে এসেছে। তাদের মধ্যে ২২৭ জনের ক্ষেত্রে ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’লেখা ছিল।
আর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের তথ্য বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সাত বছরে ৭১৪ নারী শ্রমিকের লাশ দেশে এসেছে। তাদের মধ্যে ‘স্বাভাবিক’ মৃত্যুর সনদ লেখা লাশের সংখ্যা ২৬২। আর ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৩ বছরে ৩১৯ নারী শ্রমিকের লাশ দেশে আসে। যাদের মধ্যে ২২০ জনের ক্ষেত্রে লেখা ছিল ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’।
অন্যদিকে ব্র্যাকের গত সাত বছরের পরিসংখ্যান বলছে, এই সময়ে যেসব নারী শ্রমিকের লাশ দেশে এসেছে তাদের মধ্যে ১৩৮ জনের মৃত্যুর কারণ লেখা ছিল ‘স্ট্রোক’; ১১৬ জনের ক্ষেত্রে ‘আত্মহত্যা’; ১০৮ জনের ক্ষেত্রে ‘দুর্ঘটনা’; ১৬ জনের ক্ষেত্রে ‘হত্যা’ এবং এর বাইরে করোনা, ক্যান্সার, অজানা রোগ বা কোনো কারণ উল্লেখ না করেই দেশে নারী শ্রমিকের লাশ পাঠানোর ঘটনা ঘটেছিল।
অভিবাসন নিয়ে কাজ করা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) ২০১৭ সাল থেকে দেশে আসা ৫৪৮ নারী শ্রমিকের মৃত্যুর কারণ ও করণীয় বিষয়ে একটি গবেষণা করেছে।
‘ডেথ অব ফিমেল মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স ইন ডেস্টিনেশন কান্ট্রিজ’- শিরোনামের সেই গবেষণায় সনদে থাকা মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, ৬৯ শতাংশ নারী শ্রমিকের ‘স্বাভাবিক’ ও ৩১ শতাংশের ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানের দাবিতে রিট
ফখরুল ও আব্বাসের কারাগারে ডিভিশন চেয়ে হাইকোর্টে রিট
ফারদিনের মৃত্যু: বুশরার অব্যাহতি চেয়ে ডিবি’র চূড়ান্ত প্রতিবেদন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর মামলায় বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরা জড়িত নয় মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেছে ডিবি পুলিশ।
সোমবার রামপুরা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় বুশরার অব্যাহতি চেয়ে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটির ধার্য তারিখ রয়েছে। ওইদিন প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান আদালতের রামপুরা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সেলিম রেজা।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিনদিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত ৭ নভেম্বর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। পরে ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন।
মামলায় নিহতের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বুশরাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১০ নভেম্বর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৬ নভেম্বর রিমান্ড শেষে জামিন নামঞ্জুর করে বুশরাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ৮ জানুয়ারি জামিন পান বুশরা।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন ১৪ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর মামলায় বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরা জড়িত নয় মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেছে ডিবি পুলিশ।
সোমবার রামপুরা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় বুশরার অব্যাহতি চেয়ে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটির ধার্য তারিখ রয়েছে। ওইদিন প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান আদালতের রামপুরা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সেলিম রেজা।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিনদিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত ৭ নভেম্বর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। পরে ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন।
মামলায় নিহতের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বুশরাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১০ নভেম্বর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৬ নভেম্বর রিমান্ড শেষে জামিন নামঞ্জুর করে বুশরা কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ৮ জানুয়ারি জামিন পান বুশরা।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা: ২ মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বুশরা
ফারদিনের মৃত্যু: জামিন পেলেন বুশরা
বরিশালে নার্সিং শিক্ষার্থীকে শ্লীলতহানির চেষ্টা, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বরখাস্ত
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং কলেজের এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পড়ে ওই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। পাশাপাশি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪ এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ইফাত সনত হাসপাতালের ৪ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা জানায়, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী সকালে মেডিসিন ওয়ার্ডে ডাক্তার দেখাতে গেলে ডাক্তারের সহকারি চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইফাত সনত ওই ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পরে ওই ছাত্রীর আইডি কার্ডের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেয় এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এই ঘটনার বিচার দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেডিকেল কলেজ হাপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ছাত্রীকে শারীরিকভাবে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, চিকিৎসা নিতে মেডিসিন বিভাগে গেলে সেখানে থাকা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইফাত সনত আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে এবং গায়ে হাত দেয়। এ ছাড়াও ওই ব্যক্তি আমার আইডি কার্ডের ছবি তুলে সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। এমনকি এই ঘটনার পরে আমি ক্যান্টিনের সামনে দিয়ে আসার সময় বাজে মন্তব্য করে। আজ আমার সঙ্গে ঘটেছে, পরবর্তীতে যে এমনটা হবে না অন্য কারো সঙ্গে তার নিশ্চয়তা কে দিবে? আমি এর সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাই।
এই বিষয়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত ইফাত সন্যামতকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তকে স্থায়ী বহিস্কার করা হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত, পুলিশে সোপর্দ
যৌন হয়রানির অভিযোগে খুবির আরেক শিক্ষক বরখাস্ত
প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না: মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন
নিবন্ধিত চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধ করে ওষুধ ও প্রসাধনী আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘খসড়া আইন অনুযায়ী, কোনো নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি করা যাবে না এবং এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।’
তিনি বলেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি করলে ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
আরও পড়ুন: ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের বিষয়গুলো প্রস্তাবিত আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, কারণ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) প্রতিরোধ এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
মাদক আইন, ১৯৪০ এবং ওষুধ (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৮২- হলো দুটি মাদক আইন।
কিন্তু দুটি আইন শুধুমাত্র ওষুধের বিষয়কে কেন্দ্র করে, প্রসাধনী নয়।
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনে প্রসাধনীর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
প্রস্তাবিত আইনে প্রায় ৩০ ধরনের অপরাধের উল্লেখ করা হয়েছে এবং নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরির পাশাপাশি ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরির মতো বিভিন্ন অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, খসড়া আইনে ওষুধ, ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা ডিভাইসের উন্নয়নসহ কিছু নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন যে ওষুধের সমস্যার ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে।
মাহবুব বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী কিছু ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে সরকার।
বৈঠকে পাইরেসি রোধে শাস্তিমূলক বিধান রেখে কপিরাইট আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোগীর প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
খসড়া আইন অনুমোদন: ওষুধ সংক্রান্ত অনিয়মে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড
‘পুলিশ হেফাজতে’ ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ১৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
আট বছর আগে ‘পুলিশ হেফাজতে’ খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনির মৃত্যুর অভিযোগে সাবেক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ১৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
জনির বাবা ইয়াকুব আলী সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ আবেদন করেন বলে রিটকারীর আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া জানান।
বিচারক মো. আসাদুজ্জামান অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করে বলেন, তিনি এ বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন।
আসামিদের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ
মামলায় যাদের আসামি করার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন- চট্টগ্রামের বর্তমান পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডিবির রমনা জোনের এসআই দীপক কুমার দাস, ডিবির রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাত, মো. জাহিদুল হক তালুকদার, ডিবির পুলিশ পরিদর্শক ফজলুর রহমান, ওহিদুজ্জামান, এসএম শাহরিয়ার হাসান, ডিবির এসআই শিহাব উদ্দিন, বাহাউদ্দিন ফারুকী, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ডিবির কনস্টেবল মো. সোলাইমান, আবু সায়েদ, মো. লুৎফর রহমান ও খিলগাঁও থানার এসআই মো. আলাউদ্দিন।
জনির মৃত্যুর ঘটনার সময় তারা সবাই ঢাকার মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়ার জোড়পুকুরমাঠ এলাকায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে কথিত 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হন নুরুজ্জামান জনি (৩০)।
খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জনি বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ৫ ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ে বাবাকে খুন করে থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ!
ঠাকুরগাঁওয়ে বাবাকে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে তার ছেলে। রবিবার দিবাগত রাত ৩টায় পৌর শহরের শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ছেলের নাম গোলাম আজম (২৯)। তার বাবার নাম ফজলে হক (৬৯)।
পুলিশ জানায়, ওই মহল্লার গোলাম আজম রাতে থানায় গিয়ে জানায় যে সে তার বাবা ফজলে হককে কুপিয়ে হত্যা করেছে। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনালে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরে গোলাম আজমকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়। পরিবারের লোকজন দূরে থাকায় হত্যার ঘটনাটি কেউ জানতে পারেননি বলে জানায় গোলাম আজম।
প্রতিবেশীরা জানায়, গোলাম আজম রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশুনা শেষ করেছেন। পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে মাঝে মধ্যে বাকবিতণ্ডা হতো। এরই ধারাবাহিকতায় ঘরের ভেতরে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা তাদের।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে কুড়ালের কোপে প্রাণ গেল ধান ব্যবসায়ীর
পুলিশি হেফাজতে নেয়ার আগে সাংবাদিকেরা হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম আজম বলেন, আমার নামের সমস্যা। নাম গোলাম আজম হওয়ায় কোথায় চাকরি হয়নি। সবখানেই নাম পরিবর্তন করতে বললে বিষয়টি আমার বাবাকে বারবার জানালেও তিনি নাম পরিবর্তন করতে দেননি। রাজশাহীতে ছাত্র থাকাবস্থায় নামের কারণে ২ বার জেল হাজতেও যেতে হয়েছে। আমি সুস্থ, আমাকে মানসিক রোগী বানিয়ে বিভিন্ন অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে। আমি মানসিক রোগী নই; বিষয়টি বারবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও আমার বাবা বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। এ অবস্থায় ৩ মাসের শিশু নিয়ে আমার স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যায়। সবকিছু মিলিয়ে আমি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, গোলাম আজম নিজেই তার বাবাকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে গোলাম আজমের মা রমিশা বানু বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের মূল বিষয় জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে এসএসসিতে ফেল করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা
ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
রাজধানীর ফ্লাইওভারগুলো থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে দেয়াল লিখন ও পোস্টার অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের
রাজধানীর ফ্লাইওভারগুলো থেকে দেয়াল লিখন ও পোস্টার আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সেইসঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১২ এর ৬ ধারা অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া আগামী ৭ দিনের মধ্যে একটা মনিটরিং টিম করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যে টিম ফ্লাইওভারগুলোতে দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো নিয়ন্ত্রণ করবে।
রাজধানীর ফ্লাইওভারগুলোতে দেয়াল লিখন ও পোস্টার অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আদালত তার রুলে, ফ্লাইওভারগুলোতে দেয়াল লিখন ও পোস্টার অপসারণের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালতে রিটের পক্ষের শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে এডভোকেট মো. সরওয়ার আহাদ ও অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ই গত বৃহস্পতিবার রিটটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণ থেকে মানুষকে বাঁচান: পরিবেশ অধিদপ্তরকে হাইকোর্ট
রিটে স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।
রিটে বলা হয়, দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী ‘নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোনও স্থানে দেয়াল লিখন বা পোস্ট লাগানো যাবে না।
আইনে বলা হয়েছে, ‘কোনও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দেয়াল লিখন বা পোস্টার লাগাবার জন্য প্রশাসনিক আদেশ দ্বারা স্থান নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবে এবং উক্তরূপে নির্ধারিত স্থানে দেয়াল লিখন বা পোস্টার লাগানো যাইবে। তবে শর্ত থাকে যে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে, উল্লিখিত নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোনও স্থানে বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে এবং নির্দিষ্ট ফি প্রদান সাপেক্ষে দেওয়াল লিখন বা পোস্টার লাগানো যাইবে। কোনও ব্যক্তি এই বিধান লঙ্ঘন করিলে এই আইনের অধীন অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে।’
আরও পড়ুন: জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই: হাইকোর্ট
ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
বায়ু দূষণ থেকে মানুষকে বাঁচান: পরিবেশ অধিদপ্তরকে হাইকোর্ট
বায়ু দূষণ রোধে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘দূষণের মাধ্যমে মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে। বায়ু দূষণের হাত থেকে মানুষকে বাঁচান।’
রবিবার এ বিষয়ে শুনানিকালে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে এ মন্তব্য করেন।
আদালত বলেন, উচ্চ আদালত বায়ু দূষণ রোধে যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তার ছিটেফোঁটাও বাস্তবায়ন হয়নি। অবৈধ ইটভাটাও বন্ধ করা হয়নি। দূষণের মাধ্যমে মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে। অনেকে বিদেশে থাকেন, তাদের ছেলে মেয়েরাও বিদেশে থাকে। ঢাকার বায়ু দূষণে তাদের কিছু আসে যায় না। কিন্তু আমরা তো এ দেশেই থাকি। এ দেশেই থাকতে হবে। বায়ু দূষণের হাত থেকে মানুষকে বাঁচান।
আদালত পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা যদি বাস্তবায়ন না করা হয়, পানি ছিটানো না হয় তাহলে আমরা প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তলব করে ব্যাখ্যা চাইব।
পরে আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে বায়ু দূষণ রোধে হাইকোর্টের দেয়া ৯ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, পুলিশের আইজি, রাজউককে এই আদেশ বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় পরবর্তী আদেশের জন্য দার্য করা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করীম।
২০২০ সালে ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে উচ্চ আদালত যে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছিল তা বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়ে গত ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
ওইদিন তিনি বলেছিলেন, আপনারা জানেন কয়েক দিন ধরে রিপোর্ট হচ্ছে, বিশ্বের সর্বোচ্চ বায়ু দূষণকারী শহর হচ্ছে ঢাকা। বায়ু দূষণে ঢাকার এই অবস্থান ধারাবাহিকভাবে একইরকম হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। এটি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে যেন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। যেটা দিল্লিতে করা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের এখানে কারও কোনো খবর নেই। এখন পর্যন্ত ঢাকা শহর বায়ু দূষণে এক নম্বরে আছে, অথচ কেউ কোনো পাত্তা দিচ্ছেন না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত এ বিষয়ে বলে যাচ্ছেন। পরে শুনানির পর গত ৩১ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এর আগে ২০২০ সালে বায়ু দূষণ রোধে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত।
৯ দফা নির্দেশনায় বলা হয়- ১. ঢাকা শহরের মধ্যে বালি বা মাটি বহনকারী ট্রাকগুলোকে ঢেকে পরিবহন করতে হবে। ২. যেসব জায়গায় নির্মাণকাজ চলছে সেসব জায়গার কনট্রাকটররা তা ঢেকে রাখবেন। ৩. ঢাকার সড়কগুলোতে পানি ছিটানোর নির্দেশ ছিল, এখনো পানি ছিটানো হচ্ছে না, সব সড়কে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ৪. সড়কের মেগা প্রজেক্টের নির্মাণ কাজ এবং কার্পেটিংসহ যেসব কাজ চলছে, সেসব কাজ যেন আইন কানুন এবং চুক্তির টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন মেনে করা হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ৫. যেসব গাড়ি কালো ধোঁয়া ছাড়ে সেগুলো জব্দ করতে হবে। ৬. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির ইকোনমিক লাইফ নির্ধারণ করতে হবে এবং যেসব গাড়ি পুরাতন হয়ে গেছে সেগুলো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। ৭. যেসব ইটভাটা লাইসেন্সবিহীন চলছে, এর মধ্যে যেগুলো এখনো বন্ধ করা হয়নি, সেগুলো বন্ধ করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। ৮. পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া টায়ার পোড়ানো এবং ব্যাটারি রিসাইক্লিং বন্ধ করতে হবে। ৯. মার্কেট এবং দোকানের বর্জ্য প্যাকেট করে রাখতে হবে। এরপর মার্কেট ও দোকান বন্ধ হলে সিটি করপোরেশনকে ওই বর্জ্য অপসারণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশের অবনতি হয়েছে: সিপিডি
পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকেই দায়িত্ব নিতে হবে: মেয়র আতিক
যৌথ অভিযানে রুট পারমিটবিহীন ৩ বাস জব্দ, মাতুয়াইল ভাগাড়ে ডাম্পিং
রুট পারমিটবিহীন বাসের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি), বিআরটিএ ও ডিএমপি। অভিযানে রুট পারমিটবিহীন তিনটি বাস জব্দ এবং সেগুলোকে দক্ষিণ সিটির মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে ডাম্পিং করা হয়েছে।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রমনার ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ সংলগ্ন এলাকায়, শাহবাগ ও মাতুয়াইলের পুনম সিনেমা হলের বিপরীতে মাতুয়াইল মেডিকেল সংলগ্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দক্ষিণ সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিফা খান ও বিআরটিএ এর আদালত-৫ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.তরিকুল ইসলাম এই যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে সময় ট্রান্সপোর্ট লি. এর একটি বাস, রাফসান পরিবহনের একটি বাস এবং অনাবিল পরিবহনের একটি বাস জব্দ করে দক্ষিণ সিটির কেন্দ্রীয় মাতুয়াইল ভাগাড়ে ডাম্পিং এর জন্য পাঠানো হয়।
এছাড়াও রুট পারমিটের মেয়াদ উত্তীর্ণ, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, রুট ভায়োলেশন, সিট সংখ্যা বেশি থাকায় অভিযানে বসুমতি, শিকড়, শুভযাত্রা, ট্রান্স সিলভা, আল বারাকা, দিশারী, মেঘলা, বাহন, শৌমিতা ও সাভার পরিবহনের ১০টি বাসের বিরুদ্ধে ১০ মামলায় ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন নিশ্চিত করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
এদিকে দক্ষিণ সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এর নেতৃত্বে রবিবার সবুজবাগ থানার আওতাধীন ৫ নং ওয়ার্ডের বৌদ্ধ মন্দির এলাকায় ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ব্যাটারিচালিত ৯টি অবৈধ রিকশা আটক করা হয়। পরে সেসব রিকশাও মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে নিয়ে যাওয়া হয়।
তাছাড়া দক্ষিণ সিটির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান রবিবার ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানকালে ধানমন্ডি সোসাইটি কর্তৃক ফুটপাত ও মূলরাস্তায় ব্যারিকেড দেয়া এবং রাত ১২ টার পর বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে দিতে ব্যবহার হওয়া সকল প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা হয়।
পরে ডিএসসিসি সম্পত্তি কর্মকর্তা নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত নিউ মার্কেট (মেইন), নিউ সুপার মার্কেট, বনলতা মার্কেট, নিউ সুপার মার্কেট (উত্তর) ও চন্দ্রিমা মার্কেটে মাইকিং করে ফুটপাত ও প্যাসেজে কোন প্রকার দোকান না বসানোর জন্য মাইকিং করে সতর্ক করেন।
যৌথ অভিযান প্রসঙ্গে দক্ষিণ সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিফা খান বলেন, ‘রুট পারমিটবিহীন বাসের বিরুদ্ধে আজকের যৌথ অভিযানে তিনটি বাস জব্দ ও ডাম্পিং করা হয়েছে। পাশাপাশি সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ব্যত্যয় হওয়ায় ১০টি বাসের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা দায়ের ও ৩৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়েছে। এই অভিযান চলমান থাকবে।’
আরও পড়ুন: ডিএসসিসি’র প্রতিটি ওয়ার্ডেই ব্যায়ামাগার করা হবে: মেয়র তাপস
দোকান বরাদ্দে অনিয়ম রোধ করা হয়েছে: ডিএসসিসি মেয়র
চট্টগ্রামে ৫ লক্ষাধিক টাকার নকল প্রসাধনী ধ্বংস, ম্যানেজারের কারাদণ্ড
চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ এলাকায় ভেজাল বিরোধী অভিযানে নকল প্রসাধনী তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে একটি কারখানাকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় কারখানার ম্যানেজারকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া, কারখানাটিতে তৈরি ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ধ্বংস করা হয়েছে।
রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসনের একটি দল এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
কারদণ্ডপ্রাপ্ত ম্যানেজারের নাম মো. খায়রুজ্জামান রাজু।
জানা যায়, বিএসটিআই’র সহযোগিতায় পরিচালিত এ অভিযানকালে বায়েজিদ এলাকার শাহ হাবিবুল্লাহ রোডে জে বি কেয়ার বাংলাদেশ নামক এ ফ্যাক্টরি থেকে বিপুল পরিমাণ অনুমোদনহীন সাবান, শ্যাম্পু, ডিটারজেন্ট, গ্লিসারিন, ফেসওয়াস, সেক্সুয়াল ট্যাবলেট, ব্রেস্ট ক্রিম, ব্যাথ্যানাশক ক্রিমসহ বিভিন্ন ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের পাহাড়তলী কাঁচাবাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
এছাড়া, বিভিন্ন সাবানে বিএসটিআই এর অনুমতি ছাড়াই বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করতে দেখা গেছে। প্রচণ্ড নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদনহীনভাবে এসকল পণ্য তৈরির দায়ে কারখানাকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং কারখানার ম্যানেজার মো. খায়রুজ্জামান রাজুকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়া, ফ্যাক্টরিতে আটক তিনজন শ্রমিককে বয়স বিবেচনা করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে টাইলে জেলা প্রশাসন এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবার বা তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেবার ক্ষমতা মোবাইল কোর্টের নাই। আমরা যাকে হাতেনাতে আটক করেছি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। যেহেতু মালিককে এখানে পাওয়া যায়নি সেহেতু মালিকের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানা পুলিশ নিয়মিত মামলার ব্যবস্থা নেবে।
অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ভেজাল বিরোধী এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। রেয়াজ উদ্দীন বাজার সহ অন্যান্য যেসকল বাজারে এগুলো বিক্রি হয় সে সকল জায়গায় আমরা অভিযান চালাব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডিবি পুলিশের অভিযান: আসামির রহস্যজনক মৃত্যু
চট্টগ্রামে ৯ ঘন্টার মাথায় অপহৃত শিশু উদ্ধার, যুবক আটক