������������������������������
বাবার মামলা খারিজ, দুই সন্তান থাকবে জাপানি মায়ের কাছে
সেই দুই শিশু তাদের বাংলাদেশি বাবার কাছে নয়, জাপানি মা নাকানো এরিকোর জিম্মায় থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার বিকালে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান বাবা ইমরান শরীফের করা মামলা খারিজ করে এ আদেশ দেন।
এদিকে, রায় শুনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মা জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকো। এছাড়া, বড় মেয়ে নাকানো জেসমিন মালিকাও এ রায়ে খুশি।
আরও পড়ুন: দুই সন্তান জাপানি মায়ের কাছে থাকবে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
২২ জানুয়ারি দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে একই আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
জাপানি মা নাকানো এরিকোর আইনজীবী শিশির মনির বলেন, বাংলাদেশি বাবা প্রকৌশলী ইমরান শরীফ দুই সন্তান নিজ হেফাজতে রাখার যে মামলা করেছেন তা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
ফলে দুই শিশু মায়ের কাছেই থাকছে।
আদালত মনে করছেন, মায়ের জিম্মায় থাকলে শিশুদের মঙ্গল হবে। তাই দুই শিশুকে জিম্মায় নিতে বাবা যে আবেদন করেছিলেন তা খারিজ করে দেন আদালত।
রায়ে আদালত আরও জানান, মেয়েদের নিয়ে জাপান যেতে পারবেন তাদের মা। এছাড়া দুই শিশুর বাবা ইমরান শরীফ যে মামলা করেছিলেন তাও খারিজ করে দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, নাবালক বা নাবালিকা-তাদের হেফাজত নির্ণয়ে সবচেয়ে বেশি মঙ্গল যেটি তা গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক, মানসিক ও পারিপার্শ্বিক তথা সব কিছু বিবেচনায় রেখে মামলা নিষ্পত্তিতে গুরুত্ব দেয়া হয়।
এছাড়া বাবার কাছে থাকলে মেয়ে দুটির মঙ্গল হবে কিনা তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের বাবা।
আরও পড়ুন: দুই শিশুকে বিদেশে নিতে জাপানি মায়ের আবেদন খারিজ
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক আরও বলেন, নাবালিকা দুই শিশুর বসবাসের স্থান জাপান। তাদের মা জাপানের চিকিৎসক। তাই মায়ের হেফাজতে তাদের শারীরিক-মানসিক নিরাপত্তা থাকবে বলে মনে করেন আদালত।
জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর আইনজীবী শিশির মনির বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী রায়। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
এদিকে ইমরান শরীফের আইনজীবী নাসিমা আক্তার লাভলী বলেন, এই আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করবো।
মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দুই সন্তানের বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই।
জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে।
দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের শুরুতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো।
এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান।
মেয়েদের জিম্মা পেতে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে আসেন এ জাপানি নারী। তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে তাদের সমঝোতায় আসতে বলেন বিচারক। তবে ওই দম্পতি সমঝোতায় না আসায় কয়েক মাস ধরে শুনানির পর হাইকোর্ট দুই সন্তানকে বাবার হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত দেন। পাশাপাশি মা যাতে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বাবাকে খরচ দিতে বলা হয়।
হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শিশুদের মা নাকানো এরিকো। পরে আপিল বিভাগ এক আদেশে শিশু দুটিকে মায়ের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দিলেও বাবা সেটা না মানায় বিচারকরা উষ্মা প্রকাশ করেন।
পরে আদালত শিশু দুটিকে বাবার হেফাজত থেকে এনে তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরে মায়ের হেফাজতে দেয়ার আদেশ দেন।
এরপর গত বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়ে কার জিম্মায় থাকবে, তার নিষ্পত্তি পারিবারিক আদালতে হবে এবং তার আগ পর্যন্ত দুই শিশু তাদের মায়ের কাছেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত দেন আপিল বিভাগ।
এরপর আপিল বিভাগ থেকে মামলাটি পারিবারিক আদালতে আসে।
এদিকে, গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে দুই সন্তান নিয়ে জাপানে যাওয়ার জন্য ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান এরিকো নাকানো।
আরও পড়ুন: জাপানি মায়ের কাছে থাকবে দুই শিশু, পারিবারিক আদালতে নিষ্পত্তির নির্দেশ
আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে সন্তানদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাকে বিমানবন্দর থেকে পুলিশ ফিরিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ২৯ ডিসেম্বর বাবা ইমরান শরিফ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে মামলা করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
স্বল্প সময়ে বিচারকাজ সম্পন্ন করা বিচারক ও আইনজীবীদের দায়িত্ব: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, বিচারকদের সহযোগিতা করতে হবে আইনজীবীদের। এছাড়া স্বল্প সময়ে বিচারকাজ সম্পন্ন করা বিচারক ও আইনজীবীদের দায়িত্ব।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালত চত্বরে জেলা আইনজীবী সমিতির শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিচারপ্রার্থীদের আদালতের বারান্দা থেকে দ্রুত বাড়ি ফেরানোর নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
তিনি বলেন, আদালতের দ্বারে ঘুরতে থাকা সন্তানহারা, বাবা ও অসহায় নিরীহ নির্যাতিতদেরকে উভয়পক্ষই সহযোগিতা করবেন। একটি মামলার জন্য বছরের পর বছর আদালতের দ্বারে ঘুরতে থাকা ব্যক্তিদের স্বস্তি দেবেন।
এছাড়া আদালতে ঘুরতে ঘুরতে তাদের অবস্থার কথা অনুভব করবেন। তাদের জায়গায় নিজেকে ভেবে উভয়পক্ষ বিচারকাজ পরিচালনা করবেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জবদুল হক।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা ও দায়রা জজ মোহা. আদীব আলী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার, জেলা প্রশাসক এমকেএম গালিভ খান, পুলিশ সুপার এএইচএম আব্দুর রকিব, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল ইসলাম কনকসহ জেলা ও দায়রা জজ এবং চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ও আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক শক্তি যেনো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে: প্রধান বিচারপতি
গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়ে আদালতের নিরাপত্তায় ১১ দফা নির্দেশনা প্রধান বিচারপতির
ফেনীতে জামায়াতের ১২ নেতাকর্মী আটক
ফেনীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১২ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে ফেনী জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে একটি বৈঠক থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, মোহাম্মদ শফিউল্যাহ(৫৩), মোস্তফা আজিম(৪০), মোহাম্মদ শাহ আলম(৪৮), আবু তাহের(৫৪), আব্দুল মতিন(৪৪), মো. সালাউদ্দিন(৩২), আলমগীর(৪০), জাকির হোসেন(৩৫), আব্দুল মোতালেব(৩৮), মনির হোসেন(৪১), মো. মহিউদ্দিন(৩৪), মো. ইসরাফিল(১৮)।
আরও পড়ুন: ডিএমপি’র মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৬০
আটককৃত প্রত্যেকের বাড়ি ফেনী জেলায় বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সকালে ফেনী শহরের শান্তি কোম্পানি রোড়স্থ জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এসময় নাশকতার পরিকল্পনাকালে ৫টি ককটেল ও জিহাদী বইসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, আটকরা ওই কার্যালয়ে বসে গোপন বৈঠক করে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে ফেনী জেলা জামায়াতের আমির মাস্টার শামসুদ্দীন পুলিশের দেয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে জানান, সেখানে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের একটি সভা ছিল। সেখানে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ কাল্পনিক ও বানোয়াট। অবিলম্বে আটকদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ববিতে হলে ঢুকে শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম: আটক ৪
চসিকের সার্ভার হ্যাক করে জন্মনিবন্ধন সনদ উত্তোলন, আটক ৪
ঢাকায় ৫ ‘হুজি জঙ্গি’, ১ ‘আল কায়েদা সদস্য’ গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাত-উল-জিহাদ আল-ইসলামির (হুজি) সন্দেহভাজন পাঁচ সদস্য এবং আল কায়েদার একজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: জামায়াতের আমির নতুন জঙ্গি সংগঠন তৈরিতে জড়িত: সিটিটিসি প্রধান
ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাছ থেকে নয়টি মোবাইল ফোন সেট জব্দ করেছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন- ফখরুল ইসলাম (৫৮), সাইফুল ইসলাম (২৪), সুরুজ্জামান (৪৫), আবদুল্লাহ আল মামুন(৪৬), দীন ইসলাম(২৫) ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন(৪৬)।
ফখরুল গাজীপুরের তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসায় নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। তিনি ১৯৮৮ সালে পাকিস্তানে যান। সেখানে তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আল-কায়েদা কমান্ডার মুফতি জাকির হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন।
পরে ফখরুল মুফতি জাকিরের সঙ্গে বেশ কয়েকবার আফগানিস্তানে গিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন বলে জানান তিনি।
প্রশিক্ষণে ফখরুল একে-৪৭, এলএমজি, রকেট লঞ্চারসহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার শিখেছেন।
এরপর তিনি আল-কায়েদা নেতা মোল্লা ওমর এবং ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে দেখা করেন বলে জানান সিটিটিসি প্রধান।
আফগানিস্তানে জিহাদি প্রশিক্ষণ শেষ করে তিনি পাকিস্তানের করাচিতে ফিরে আসেন। করাচি থেকে তিনি ১৯৯৫ সালে ইরানের রাজধানী তেহরানে যান এবং সেখানে প্রায় তিন বছর থাকার পর করাচিতে ফিরে আসেন। ১৯৯৮ সালে ফখরুল বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
এছাড়া হাফেজ মো. আবদুল্লাহ আল মামুন নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য এনক্রিপ্টেড অ্যাপ ব্যবহার করে একটি সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ চালাতেন বলে জানান আসাদুজ্জামান।
মো. আসাদুজ্জামান ব্রিফিংয়ে বলেন, তিনি একটি ইউটিউব চ্যানেলও তৈরি করেছেন যেখানে তিনি অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বোমা তৈরির ম্যানুয়াল এবং ভিডিও সহ চরমপন্থা-উস্কানিমূলক বিষয়বস্তু শেয়ার করেছেন।
গ্রেপ্তাকৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে আল কায়েদা অনুপ্রাণিত ৬ জঙ্গি গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
জামায়াতের আমির জানতেন তার ছেলে জঙ্গি সংগঠনের সদস্য: সিটিটিসি প্রধান
সাম্প্রদায়িক শক্তি যেনো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে: প্রধান বিচারপতি
দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি যেনো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে ব্যাপারে সব ধর্মের মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, আমরা বাঙালি। এর মধ্যে কেউ মুসলিম, কেউ হিন্দু, কেউ বৌদ্ধ, কেউ খ্রিষ্টান। ধর্ম নয়, আমাদের একমাত্র পরিচয় হওয়া উচিত আমরা বাঙালি।’
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত সরস্বতী পূজার বাণী অর্চনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই দেশের প্রকৃতি কেমন হবে তা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে নির্ধারণ হয়ে গেছে। এটা বাঙালিদের দেশ, এটা বাংলাদেশিদের দেশ। এই দেশের মানুষ ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে। এটা কারও করুণা নয়।’
সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষতার গ্যারান্টি দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আইন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি কেমন হবে সেটা আমাদের সংবিধানে উল্লেখ আছে। কার স্ট্যাটাস কেমন হবে সেটাও উল্লেখ আছে। আমরা কেউ মেজরিটি না আবার কেউ মাইনরিটিও না। সবাই আমরা এদেশের নাগরিক। সবার পরিচয় আমরা বাঙালি। কেউ নিজেকে মাইনরিটি কমিউনিটির লোক হিসেবে ভাববেন না। এটা কখনও ভাবার কোনো অবকাশ নেই।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা যদি বাংলাদেশের সংবিধানকে মানি, তাহলে আমাদের বিশ্বাস করতে হবে এদেশের সবাই বাঙালি। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান বলে যার যার ধর্ম আমরা পালন করব। আমাদের ইসলামের নবী বিদায় হজের ভাষণে বলে গেছেন, ধর্ম নিয়ে তোমরা বাড়াবাড়ি করো না। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারণে অনেক জাতি ধবংস হয়ে গেছে। আসুন ধর্মের বাণী ধারণ করে আমরা সৎ থাকব, আমরা দুর্নীতির কাছে যাব না, আমরা মানিলন্ডারিং করব না। আমরা সব ধর্মের মানুষ মিলে এই দেশকে গড়ে তুলব। কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আমরা মাথা উচু করে দাঁড়াতে দেব না।’
আরও পড়ুন: বিচারপ্রার্থীদের আদালতের বারান্দা থেকে দ্রুত বাড়ি ফেরানোর নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে সবাইকে শক্ত অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘দুর্নীতির অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। যারা মানিলন্ডারিং করে তাদের খুঁজে বেড় করে আইনের আওতায় আনতে হবে।’
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে ব্যয় সংকোচন করে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা ব্যয় সংকোচন নীতি অনুসরণ করব। আমরা মিত্যবায়ী হব।’
অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়ে আদালতের নিরাপত্তায় ১১ দফা নির্দেশনা প্রধান বিচারপতির
সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ডিসিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে ডিসিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, যেটা দেশবাসী চাচ্ছে, সারা বিশ্বও সেভাবে তাকিয়ে আছে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য আপনাদের (ডিসি) ভূমিকাই মুখ্য হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের ষষ্ঠ অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডিসিদের এই কার্য-অধিবেশন হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা বলেছি আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এখন যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। তাদের দেশপ্রেম, তাদের অভিজ্ঞতা, তাদের দক্ষতা...তারা এখন পরিপূর্ণ। কাজেই নির্বাচনের সময় যা প্রয়োজন, তাদের অভিজ্ঞতা ও তাদের দক্ষতা দিয়ে যেকোনো পরিস্থিতি তারা মোকাবিলা করতে পারবে।'
তিনি বলেন, 'বস্তুত সেই সময় তো আমাদের করণীয় কিছু থাকবে না। মন্ত্রণালয় শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবে। মূল দায়িত্বে থাকবে ইলেকশন কমিশন। নিরাপত্তা বাহিনী তাদের কাছেই ন্যস্ত হবে।'
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ২ উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তাই আমরা বলেছি একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যেটা দেশবাসী চাচ্ছে। সারা বিশ্বও সেইভাবে তাকিয়ে আছে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য আপনাদের ভূমিকাই মুখ্য হবে। সেজন্য আপনারা তৈরি থাকুন, যাতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারেন।'
তিনি বলেন, 'মাদক নিয়ে কথা বলেছি। এটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। মাদকের প্রতিরোধে আমরা তিন ভাগে ভাগ করে কাজ করছি। প্রথমে আমাদের চাহিদা কমাতে হবে। এ বিষয়ে তারা (ডিসি) মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
আমরা বলেছি, স্কুল, কলেজ, মসজিদ মাদরাসায় সব জায়গায় যেন জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সবসময় খেয়াল রাখেন। মাদকের চাহিদা কমানোর জন্য তারা যাতে কাজ করেন সেই কথা বলেছি। এটা না করতে পারলে আমাদের যে স্বপ্ন ২০৪১, ২০৩০; হয়তো অসম্পূর্ণ থেকে যাবে যদি আমরা এই জায়গাটিতে কাজ না করি।'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের টলারেন্স নীতির কথা তাদের বলেছি। পাসপোর্ট ইমিগ্রেশনে আমরা আধুনিক জগতে চলে গেছি। ই-পাসপোর্ট ই-ভিসা ই-গেট এগুলোতে আমরা চলে গেছি সেগুলোর কথা আমি বলেছি।'
বিজিবির আওতার আট কিলোমিটার বাইরে গুলি হলে সে বিষয়ে প্রশাসনের তদন্তসহ ডিসিদের অন্যান্য প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমাদের সিনিয়র সচিব সে বিষয়ে বলেছেন তিনি এই প্রস্তাবগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তিনি সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন।'
এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষ কোনদিনও জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়নি। বিদেশ থেকে নানা ধরনের ইঙ্গিত কিংবা ষড়যন্ত্র...আমাদের এখানে দেয়ার প্রচেষ্টা হচ্ছিল যেটা আমি সবসময় বলে আসছি। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের কাজটি সঠিকভাবে করতে পেরেছে। কাজেই জঙ্গি আমরা দমন করেছি। কিন্তু আমরা গোড়া থেকে উঠিয়ে দিতে পারিনি। এখনও মাঝে মাঝে দু-একটি ঘটনা ঘটছে। (জঙ্গিরা) আমাদের এখান থেকে চলে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের ওখানে যোগাযোগ করছে। সেই ঘাঁটিটাও আমরা সমূলে বিনষ্ট করে দিয়েছি।'
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক হলেন ৬ পুলিশ কর্মকর্তা
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমি তো সবসময় বলে আসছি, রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে, যদি তারা দীর্ঘদিন এখানে থাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘসহ সব জায়গায় আপিল করছেন।'
তিনি বলেন, 'এই জনগোষ্ঠী সবকিছু হারিয়ে, সবকিছু ফেলে এসেছে। কাজেই জঙ্গিরা এদের প্রলুব্ধ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী এটা ধারণা করতে পেরেছেন বলেই, তিনি তাদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য সব সময় চাপ দিয়ে আসছেন।'
রোহিঙ্গাদের একটি অংশ ইয়াবা পাচারসহ নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, 'আমাদের এপিবিএন, আমাদের সেনাবাহিনী, আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী সবাই সক্রিয় আছে আমার মনে হয় যা ঘটছে এর আর বিস্তার ঘটবে না।'
আরও পড়ুন: তথ্য সুরক্ষায় তথ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে: আইনমন্ত্রী
তথ্য সুরক্ষায় তথ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে তথ্য সুরক্ষা আইন তথ্য সুরক্ষার জন্য প্রণীত হবে, নিয়ন্ত্রণ করতে নয়।
তিনি বলেছেন, 'একটি আইন যেভাবে পাস হয় সেভাবে আমরা এটি জাতীয় সংসদে নেবো। তার মানে এই নয় যে, এ বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের কথা শোনা হবে না। এটা নিয়ে যখন সেমিনার হয় তখন আমি বলেছিলাম এটি কন্ট্রোল করার জন্য না এটা প্রটেক্ট করার জন্য। সেই নীতি অনুযায়ী ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট হবে।’
আরও পড়ুন: আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের সঙ্কট নিরসন
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের চতুর্থ অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সংসদে তথ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া উপস্থাপন করব। এর মানে এই নয় যে স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে পরামর্শ শোনা হবে না।’
এছাড়া সরকার বড়, মাঝারি ও ছোট এই তিন ক্যাটাগরিতে জেলাগুলোকে ভাগ করে সরকারি আইন কর্মকর্তাদের (পিপি ও জিপি) বেতন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডিসিদের এই কার্য-অধিবেশন হয়।
তিনি বলেন, আগে পিপি ও জিপিদের বেতন ছিল দুই হাজার ও তিন হাজার টাকা। এখন আমরা প্রস্তাব যেটা আছে সেটা হলো ৬৪ জেলাকে তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছি। বড় জেলা, মাঝারি জেলা ও ছোট জেলা। আমরা প্রস্তাব করেছি বড় জেলার যিনি পিপি হবেন, তার বেতন হবে ৫০ হাজার টাকা। মাঝারি জেলার পিপির বেতন হবে ৪৫ হাজার টাকা, ছোট জেলার ৪০ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, সহকারী পিপি, অতিরিক্ত পিপি ও অতিরিক্ত জিপি থাকবেন সেটাও নির্ণয় করা হবে, কী কী কোর্ট আছে সেটার ওপর নির্ভর করে। সেজন্য ২৬৭ কোটি টাকা আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে চেয়েছি, তারা বরাদ্দ দিতে রাজি হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, ‘আমার মনে হয় আগামী নির্বাচনের পর যে সরকারই আসুক না কেন, তারা এটা অবশ্যই বিবেচনা করবেন। কারণ জিপি-পিপিদের দায়িত্ববান হওয়ার জন্য এবং তাদের একটা সম্মানজনক অবস্থানে আনার জন্য এই বেতন কাটামো বদলানো অত্যন্ত প্রয়োজন।’
বহু আগে থেকেই রাজনৈতিক বিবেচনায় জিপি-পিপিদের নিয়োগ দেয়া হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরাই প্রথম পিপিদের বেতন বাড়িয়ে ১৫ হাজার ও ১২ হাজার টাকা করি। সেক্ষেত্রে আমরা একটি বিরাট পদক্ষেপ নিয়েছি। আমি এ ব্যাপারে একটু ধীর গতিতে যাচ্ছিলাম, কারণ আমার টার্গেট ছিল ৫০ হাজার টাকা। কারণ তখন বিজ্ঞ পিপিরা বলেছিলেন, এটাতেই রাজি হয়ে যেতে, তাই তখন আমি রাজি হয়ে গিয়েছিলাম।’
জিপি-পিপিদের বেতন বাড়ানোর কারণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিস চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছি। তবে সম্পূর্ণ পিপি সার্ভিসটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিস হবে না। ৩০ শতাংশ থাকবে ফর ডেজিগনেটেড পারপাজেস। বিশেষ বিশেষ কাজে তাদের নিয়োজিত করা হবে।’
‘সেটার নিয়োগ হবে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে। আমি এটা নিয়ে কমিশনের সঙ্গে কথা বলছি আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।'
এটা কি আগামী নির্বাচনের পরে করা হবে কি না- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, 'আমরা চেষ্টা করবো এখনই করার জন্য।’
‘জিপি-পিপিদের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে কিছুটা হলেও তাদের সম্মান রক্ষা ও তাদের কাছ থেকে দায়িত্ব আদায় যথেষ্ট হবে। বলছি না এটাই সবচেয়ে যথেষ্ট, ইট ইজ ভেরি গুড ফার্স্ট স্টেপ’ বলেন আনিসুল হক।
ডিসিদের সঙ্গে অধিবেশনে মামলাজট কমাতে সরকারের উদ্যোগগুলো তুলে ধরেছেন জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি, লিগ্যাল এইড সার্ভিস নিয়ে বলেছি। একটি বিষয় তুলে ধরেছি, সেটা হলো কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউরের কম্পাউন্ডেবল এবং নন কম্পাউন্ডেবল যে ধারাগুলো রয়েছে। কম্পাউন্টেবল ধারায় যে বিজ্ঞ বিচারকরা মামলা করতে আসবেন, তাদের উৎসাহিত করবেন, তারা যাতে আদালতের বাইরেই নিষ্পত্তি করে আসেন। এই নিষ্পত্তির ওপর আদালত যদি একটা অর্ডার দিয়ে দেন তবে সেটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই আইনে যাচাই করে যাতে মামলা নেয়া হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা না হয় সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। এ বিষয়ে বেস্ট প্র্যাকটিসের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের সঙ্গে কথা বলে একটি কমিটিও করে দিয়েছি। যদি প্রয়োজন হয় তবে অবশ্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আমরা সংশোধনও করতে পারি।’
আরও পড়ুন: ন্যায়বিচার ছাড়া মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারেনা: আইনমন্ত্রী
মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি: আইনমন্ত্রী
অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক হলেন ৬ পুলিশ কর্মকর্তা
পুলিশের চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।
একই দিনে দুই অতিরিক্ত আইজিপি গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সর্বশেষ পদোন্নতির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
আরও পড়ুন: পুলিশের ৭ ডিআইজিকে এআইজিপি পদে পদোন্নতি
পুলিশ সদর দপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) জামিল আহমেদ, পুলিশ স্টাফ কলেজের ডিআইজি মো. হুমায়ুন কবির, পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি ওয়াই এম বেলালুর রহমান এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলমকে অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি মো. কামরুল আহসান এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম গ্রেড-১ শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: পদোন্নতিপ্রাপ্ত ডিআইজিদের আইজিপি
চট্টগ্রামে ২ উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল মহাদেবপুর পাহাড়ি আদিবাসী পল্লীতে দুই ত্রিপুরা তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় আবুল হোসেন নামে এক আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক আলীমুল্লাহ এই রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় এ মামলায় বেখসুর খালাস পেয়েছে মো. মানিক নামে আরেক আসামি।
বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পোশাল পিপি অ্যাডভোকেট অশোক কুমার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, দুই উপজাতির তরুণীর পরিবার আশঙ্কা করেছিল তারা যেহেতু উপজাতি হয়তো সঠিক বিচার পাবে না। তাদের সে ভুল ভেঙ্গেছে রায়ের মধ্য দিয়ে। মামলার বাদী এবং দুই তরুণীর পরিবার বলেছে তারা ন্যায় বিচার পেয়েছে।
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৮ মে রাতে সীতাকুণ্ড উপজেলায় জঙ্গল মহাদেবপুর পাহাড়ি আদিবাসী পল্লী থেকে দুই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তারা হল- ত্রিপুরা আদিবাসী পল্লির বাসিন্দা ফলিন ত্রিপুরার কন্যা সুখলতি ত্রিপুরা (১৫) এবং সুমন ত্রিপুরার কন্যা ছবি রাণী ত্রিপুরার (১২)। একই ঘরের একটি কক্ষে একজনের লাশ ঝুলন্ত এবং অপরজনের লাশ অর্ধ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গিয়ে ধর্ষণের শিকার উপজাতি শিক্ষার্থী
এ ঘটনায় পরদিন সীতাকুণ্ড থানায় নিহত কিশোরী ছবি রানী ত্রিপুরার বাবা সুমন ত্রিপুরা বাদি হয়ে মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, দুই কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
অভিযোগ ছিল, বেশ কিছু দিন ধরে পার্শ্ববর্তী গ্রামের আবুল হোসেন দুই কিশোরীকে উত্যক্ত করে আসছিল। এই ঘটনায় তাকে প্রধান আসামি সহ তিনজনকে আসামি করা হয়।
তারা হলেন মো. রাজিব ও মো. মানিক।
অ্যাডভোকেট অশোক কুমার জানায়, মামলা চলাকালে আসামি রাজিব দুর্বৃত্তদের হাতে মারা যায়।
প্রধান আসামি আবুল হোসেন ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ মামলায় আবুল হোসেন ও মো. মানিক আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
আরও পড়ুন: বাসাইলের সাবেক ইউএনও মঞ্জুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
নাটোরে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় বৃদ্ধের ১০ বছরের কারাদণ্ড
না.গঞ্জে পাওয়ার প্লান্টের চীনা কর্মীদের আবাসস্থলে হামলা ও ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৫
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা গ্রুপের নির্মাণাধীন পাওয়ার প্লান্টে কর্মরত চীনা নাগরিকদের আবাসস্থলে হামলা ও ডাকাতির ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র, বেশ কিছু ডলার ও নগদ টাকা জব্দ করার দাবি করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকত দলের এই পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার জানান, মেঘনা গ্রুপের নির্মাণাধীন এনইপিসি পাওয়ার প্লান্ট-৩ প্রকল্পে কর্মরত তিন চীনা নাগরিকসহ আরও কয়েকজন কর্মচারী উপজেলার পিরোজপুর এলাকায় একটি জমি ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করছিলেন। গত ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তাদের আবাসস্থলে দশ থেকে বারোজনের একদল সশস্ত্র ডাকাত হানা দেয়। তারা তিন চীনা নাগরিকসহ পাঁচজনকে হাত পা বেঁধে মারধর করে ১১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা সমমানের ডলার ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ডিবি পরিচয়ে প্রবাসীর গাড়ি আটকে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ
এ ঘটনার পরদিন ২১ জানুয়ারি জমির মালিক বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা করলে থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ যৌথ অভিযান শুরু করে। মঙ্গলবার রাতে ডাকাত দলের মূল হোতা ওমর ফারুক ওরফে চাপাতি ফারুককে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ১০/১২ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তার দেয়া তথ্যমতে গ্রেপ্তার করা হয় ডাকাত দলের আরও চারজনকে।
অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশ সুপার।
আরও পড়ুন: এশিয়ান টিভির নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধির ওপর হামলা!
নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শকসহ আহত ২