������������������������������
সুপ্রিম কোর্ট বারের ভোটগ্রহণ শুরু
দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২০২৫ সালের কার্যনির্বাহী কমিটির দু’দিনব্যাপী নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।
বুধবার(৬ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে শুরু হয়েছে। চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল ১০টায়। এদিনও বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচনে ভোট দেবেন ৭ হাজার ৮৮৩ জন আইনজীবী।
কাযর্করী কমিটির সভাপতি পদে একটি, সহ-সভাপতি পদে দুটি, সম্পাদক পদে একটি, কোষাধ্যক্ষ পদে একটি, সহ-সম্পাদক পদে দুটি এবং কার্যকরী কমিটির সদস্য পদে সাতটিসহ মোট ১৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
নির্বাচনে সাধারণত সরকার-সমর্থক (সাদা) ও বিরোধীদের (নীল) প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়ে থাকে। কিন্তু এবার সরকার-সমর্থকদের প্যানেলের সিদ্ধান্তের বাইরে সভাপতি ও সম্পাদক পদে আরও দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও ট্রেজারার পদে রয়েছেন একজন।
নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের বলেন, ‘একটি স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এটার অর্থ এই নয় যে আগের ইলেকশনগুলো স্বচ্ছ ছিল না। আমরা সুন্দর আলোকিত দিনের প্রত্যাশায় কাজ করছি। এজন্য প্রার্থী, প্রধান বিচারপতি, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীসহ সবার সহযোগিতা লাগবে।’
তিনি আরও বলেন, সকাল ১০টার পরপরই ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুরে এক ঘণ্টা (১টা থেকে ২টা পর্যন্ত) বিরতি দিয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। দুই দিনব্যাপী এ নির্বাচনে বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ শেষ হবে। এরপর ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন আয়োজন নিয়ে পিটিআইয়ের আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট
এবারের নির্বাচনে সরকারি দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন আইনজীবীদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ (সাদা প্যানেল হিসেবে পরিচিত) মনোনীত প্যানেলে সভাপতি পদে আবু সাঈদ সাগর, সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক, সহ-সভাপতি পদে রমজান আলী শিকদার ও দেওয়ান মো. আবু ওবাঈদ হোসেন সেতু, কোষাধ্যক্ষ পদে মোহাম্মদ নুরুল হুদা আনসারী, সহ-সম্পাদক পদে মো. হুমায়ুন কবির ও মোহাম্মদ হুমায়ন কবির প্রার্থী হয়েছেন। সাতটি সদস্যপদে প্রার্থী হয়েছেন- মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূইয়া, মাহমুদা আফরোজ, মো. বেলাল হোসেন, খালেদ মোশাররফ, মো. রায়হান রনি, সৌমিত্র সরদার ও রাশেদুল হক খোকন।
বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল হিসেবে পরিচিত) প্রার্থীরা হচ্ছেন- সভাপতি পদে এ এম মাহবুব উদ্দিন (খোকন), সম্পাদক পদে মো. রুহুল কুদ্দুস, সহ-সভাপতি পদে মো. হুমায়ুন কবির ও সরকার তাহমিনা বেগম, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. রেজাউল করিম, সহ-সম্পাদক পদে মাহফুজুর রহমান ও মো. আব্দুল করিম প্রার্থী হয়েছেন।
সাতটি সদস্য পদে ফাতিমা আক্তার, সৈয়দ ফজলে এলাহী, মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, মো. রাসেল আহমেদ, মো. আশিকুজ্জামান নজরুল, মহিউদ্দিন হানিফ ও মো. ইব্রাহিম খলিল প্রার্থী হয়েছেন। দুই প্যানেলের বাইরে সভাপতি পদে মো. ইউনুছ আলী আকন্দ ও মো. খলিলুর রহমান বাবলু (এম কে রহমান)। সম্পাদক পদে নাহিদ সুলতানা যুথী ও ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভুইয়া এবং মো. সাইফুল ইসলাম কোষাধ্যক্ষ পদে প্রার্থী হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি শিশুদের রক্ষায় জাতিসংঘ মহাসচিবকে সুপ্রিম কোর্টের চাইল্ড রাইটস কমিটির চিঠি
রাজধানীর ৫৫ রেস্তোরাঁ থেকে ১২টি ত্রুটিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার, আটক ৫৭
রাজধানীর ওয়ারী ও কামরাঙ্গীচর এলাকা থেকে ১২টি ত্রুটিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার জব্দসহ ৫৭ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার(৪ মার্চ) দিবাগত রাতে এই অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি-ওয়ারী জোন) মাসুদুর রহমান মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বলেন, ওয়ারী এলাকার ৩১টি রেস্তোরাঁ ও হোটেলে এ অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে ৩ জন আটক
রেস্তোরাঁগুলোর বহির্গমন গেট আছে কি না এবং গ্যাস সিলিন্ডারগুলো সুরক্ষিত কি না তা তারা পরীক্ষা করে দেখেন।
আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এডিসি (ওয়ারী জোন)।
ডিএমপির লালবাগ জোনের সহকারী কমিশনার মো. ইমরান হোসেন মোল্লা জানান, কামরাঙ্গীচর এলাকার রসুলপুর, আশরাফাবাদ, লোহার ব্রিজসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, রেস্তোরাঁর মালিকরা দাহ্য পদার্থ ব্যবহারে সচেতন কি না, তা দেখতে ২৪টি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে অস্ত্রসহ ‘কিশোর গ্যাং’য়ের ৯ সদস্য আটক
সিরাজগঞ্জে মেডিকেল শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় মামলা
সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আরাফাত আশিক তমালকে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত সেই শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (৪ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার দিকে আহত শিক্ষার্থী তমালের বাবা আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আরাফাত আশিক তমাল শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: মামলা জট কমাতে হলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে: প্রধান বিচারপতি
রায়হান শরীফ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক। তিনি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে এবং শহরের দত্তবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা।
এদিকে এ ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
এ বিষয়ে ওই কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিরুল হোসেন চৌধুরীকে বার বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, সোমবার রাতে আহত শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে শিক্ষককে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ২ শিশুকে ধর্ষণ মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন
দুর্নীতির মামলায় ড. ইউনূসসহ ৮ জনের জামিন
আত্মসমর্পণ করে কারাগারে বিএনপির ৭ নেতা-কর্মী
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় জামিন নিতে গিয়ে কারাগারে গেলেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের সাত নেতা-কর্মী।
তারা সবাই হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে আবার জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ।
বিএনপির সাত নেতা-কর্মীরা হলেন- রাণীনগর উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুজ্জামান, মোশাররফ হোসেন ও ফরহাদ আলী মন্ডল, উপজেলা বিএনপির সদস্য নয়ন খান, উপজেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাক্কির হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মাহবুব হাছান ও বড়গাছা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক একলাস আলী মন্ডল।
আসামিদের আইনজীবী সাব্বির হোসেন বলেন, আদালত তাদের সবাইকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আমরা পরবর্তীকালে আবার জামিন চাইব।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা হাফিজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
যৌন হয়রানির মামলায় ভিকারুননিসার শিক্ষক কারাগারে
বিএনপি নেতা হাফিজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
গুলশান থানার নাশকতার মামলায় ২১ মাসের সাজা পাওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে উপস্থিত হয়ে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা কারাগারে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার: রিজভী
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশের কাজে বাধা ও ভাঙচুরের অভিযোগে আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ তিনজনকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হলেন- সাবেক বিএনপি নেতা মো. হানিফ।
তবে এ মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী।
তবে মেজর হাফিজ শারীরিক অসুস্থতার জন্য দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন থাকায় এতদিন আদালতে উপস্থিত হননি।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ মামলায় দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় এ কারাদণ্ড প্রদান করেন।
তাদের দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় তিনমাস ও ৪৩৫ ধারায় দেড় বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তাদের বয়স বিবেচনায় এ কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির মামলায় ভিকারুননিসার শিক্ষক কারাগারে
ঝিনাইদহে কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
অবৈধ মজুত করলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী
অবৈধ মজুত করে কেউ যদি বাজার ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করে তাহলে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪ এর তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মুক্তিযুদ্ধ, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে তিনি এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, ডিসিরা কিছু সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করেছেন এবং আমাদের আইন সচিব সেসব প্রশ্নের জবাবে দিয়েছেন।
মামলা জট নিরসনের জন্য ডিসিদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, যেসব মাল জব্দ করা হয়, সেসব মাল নিষ্পত্তির বিষয়ে কী করা উচিত এবং আধুনিকায়নের বিষয়ে কিছু প্রস্তাব এসেছে আমরা ই-জুডিশিয়ালের কথা বলেছি। সেখানে কতটুকু সুবিধা হবে সে কথা বলেছি।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার বক্তব্যের প্রথমে ডিসিদের কাছে মামলা জটের বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছি। মামলা জট নিরসনের জন্য তারা যেন সহযোগিতা করে।’
মন্ত্রী বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের বিরুদ্ধে একটা মামলা আছে। সেটা নিষ্পত্তি করার জন্য আমরা ত্বরিত পদক্ষেপ নেব এবং একটা বিষয়ে স্পষ্টকরণ করা হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, অনেক সময় হাইকোর্ট বিভাগে কেউ যদি মামলা করে তখন হাইকোর্ট আবেদন নিষ্পত্তির জন্য একটা আদেশ দেন। সেক্ষেত্রে অনেক সময় জটিলতা দেখা দেয়, যে হাইকোর্টের আদেশ না বুঝে অনেক দেরি করা হয়। সে বিষয়ে স্পষ্টকরণ করে দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেল, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং আমি বলেছি- আবেদনটি ডিসপোজ করা বা সম্ভব হলে গ্রহণ করা। আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে একটা জবাব দিয়ে এ ব্যাপারটা নিষ্পত্তি করে দেওয়া। সে বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু ছিল না।
আইনমন্ত্রী বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলার বিষয়ে আমি নিজেই তুলেছিলাম এবং বলেছি আমরা একটা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সুষ্ঠু নিষ্পত্তি চাই।
বাজার ব্যবস্থায় যদি কেউ অস্থিতিশীল করে বা মজুদ করে তাহলে তাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন- সে বিষয়ে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ রকম কাজ করলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বার বার অগ্নিকাণ্ড ঘটার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, তদন্ত শেষ হয়ে যদি আদালতের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন আসে এবং সেখানে যদি মামলা শুরু করা হয়, এ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য আমাদের প্রসিকিউশনকে যে নির্দেশনা দেওয়া দরকার সেটি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আন্দোলন জমাতে আগুন লাগাতে পারে বিএনপি: আইনমন্ত্রী
এআই বিষয়ক আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: আইনমন্ত্রী
ফেনীতে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য
ফেনী শহরের অলিগলিতে, উপজেলার গ্রামাঞ্চলে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে। হত্যা, চুরি, ছিনতাই, স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা, যৌন হয়রানিসহ নানা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে উঠতি বয়সী এসব কিশোররা।
এদের অনেকের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক ছত্রছায়া ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। ‘বড় ভাইয়েরা’এলাকায় প্রভাব বিস্তার, বিপক্ষের নেতা-কর্মীকে ধমকানো-শাসানো, জমিজমা বাগিয়ে নেওয়াসহ নানা স্বার্থ উদ্ধারে কিশোর গ্যাং লালন করা হয় বলে জানা গেছে। ফলে পরিবার বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে চেষ্টা করেও তাদের ফেরানো যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফেনী জেলায় অন্তত ১০টি কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। ‘বড় ভাইদের’ আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তারা এখন বেপরোয়া, ভয়ংকর। এদের রাজত্ব জেলা শহর থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত। বড় বড় হাটবাজার ঘিরেও এদের প্রভাব। মাদকের জগতেও রয়েছে বিচরণ। সংঘবদ্ধ হয়ে ছিনতাই, নারী উত্ত্যক্ত, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, হানাহানি থেকে শুরু করে খুনোখুনিতেও জড়িয়ে পড়েছে এরা।
আরও পড়ুন: যশোরে অস্ত্রসহ ‘কিশোর গ্যাং’য়ের ৯ সদস্য আটক
কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেতাদের পাল্লা ভারী করতেই মূলত কিশোর গ্যাং সদস্যদের ডাকা হয়। ফেনীতে ‘কসাই’, ‘হিমিল’, ‘শান্ত’, ‘জেকে’, ‘পিটু’, ‘চাকমা জাবেদ’সহ একাধিক কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতার কথা শোনা যায়। উঠতি বয়সী তরুনদের এ ভয়ংকর রূপ ভাবিয়ে তুলেছে অভিভাবক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।
বৃহস্পতিবার ফেনী পৌরসভার মধ্যম রামপুর এলাকা থেকে এসডিকে গ্রুপের প্রধান মো. রাব্বি, মো. তৌহিদুল ওরফে সাগর, মো. ফখরুলকে আটক করা হয়। ফেনী জেলার বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ হয়ে মারামারি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিলেন তারা।
তারা প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে স্থানীয় এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, নিজেদের মধ্যে মারামারি, অন্য সাধারণ কিশোরদের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন এবং মাদক সেবন করে বলে জানা গেছে। আটকের সংখ্যা বেশি হলেও কয়েকজন পরীক্ষার্থী হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসডিকে গ্রুপের এক সদস্য জানান, ‘নেতাদের কোনো প্রয়োজন হলে তারা বড় ভাইদের বলেন। আর বড় ভাইরা আমাদের নিয়ে অপারেশন কমপ্লিট করেন। এক্ষেত্রে সদস্যরা কিছু টাকা পায়।’
কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের আটক করা হলে তাদের ছাড়ানোর জন্য বড়ভাই বা নেতাদের কল আসে বলে জানান এক পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের ৩৭ সদস্য গ্রেপ্তার
ফেনী গার্লস স্কুল এবং মহিলা কলেজের সামনে ছাত্রীকে একদল বখাটে উত্ত্যক্ত করে। অপরদিকে, ফেনীর জিয়া মহিলা কলেজ, ফেনী সরকারি কলেজ, মহিপাল সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের প্রতিনিয়তই কিছু বখাটে কিশোর দাঁড়িয়ে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। এসব কিশোর গ্যাং ধরতে ইতোমধ্যে ফেনী জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
সম্প্রতি ফেনীতে ঘটে যাওয়া বখাটেদের কয়েকটি ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচগাছিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা কর্তৃক ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা; ফালাহিয়ায় সহিংসতা।
এদিকে, কিশোর গ্যাংয়ের আঘাতে কিছুদিন আগে জায়লস্কর ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর গ্রামে সজীব নামে এক ছেলে মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া শহরতলির আল জামিয়াতুল কামিল মাদরাসায় একদল বখাটে কিশোর তাণ্ডব চালায়। এ সময় পুলিশ খবর পেয়ে মাদরাসায় অভিযান পরিচালনা করলে তারা পালিয়ে যায়।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হায়দার ক্লিনিকের পাশে খালি জায়গায় কিশোর গ্যাং ‘এফসিবি’ মারামারির একটি দৃশ্য ভাইরাল হয়। ভিডিও ফুটেজে ফেনী মডেল হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র আমিরুল হুদা মুবিনকে পিটিয়ে আহত ও পা ধরে ক্ষমা চাওয়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। রাতে নির্যাতনের শিকার কিশোরের মা পারভিন আক্তার বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ কিশোরকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় পিকনিকের বাস থেকে কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্য আটক
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফেনীর এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ফেনী শহরের স্কুলগুলোতে ও পাড়াকেন্দ্রিক সক্রিয় রয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের একাধিক গ্রুপ। এরা শহরের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী। এক গ্রুপের সদস্যকে মারধরের ঘটনা ঘটলে প্রতিশোধ নিতে কালক্ষেপণ করে না অন্য গ্রুপের সদস্যরা। এদের স্কুলব্যাগে চাপাতি, পকেটে থাকে ক্ষুর। আধিপত্য বিস্তার, ছোট ভাই-বড় ভাই ও প্রেম-সংক্রান্ত বিষয়সহ ছোটখাটো বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি হলেই মারামারিতে লিপ্ত হয়। এরা স্কুল-কলেজগামী ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে।’
ফেনী পুলিশ কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা ওয়াজি উল্লাহ জানান, ‘প্রকাশ্যে চলে সিগারেট, মদ-গাঁজা সেবনসহ নানান অপকর্ম। তাদের দৌরাত্ম্যে বন্ধ থাকে মার্কেটের বেশিরভাগ দোকান। ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না দোকান মালিকরা। কিশোর গ্যাংয়ের কারণে দোকান মালিকরা অতিষ্ঠ। দিন দিন কাস্টমার কমে যাচ্ছে। সকাল-বিকাল প্রতিদিন মারামারি স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিকাল থেকে রাতের ১০টা পর্যন্ত তাদের আসর জমে।’
ফেনী জেলা পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, ‘শিশু ও কিশোর অপরাধ এবং কিশোর গ্যাং দমনে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে সমাজকে আরও সচেতন হতে হবে। অভিভাবকদেরও শিশু-কিশোরদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সবসময় কাজ করছে। বিভিন্ন স্কুল-কলেজ শেষে সন্ধ্যার পর শিক্ষার্থীদের রাস্তাঘাটে আড্ডা না দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ২ কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষ: গ্রেপ্তার ১৬, অস্ত্র-ককটেল জব্দ
ধানমন্ডির দুটি বহুতল ভবনকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' ঘোষণা
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) যৌথ অভিযানে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার দুটি বহুতল ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া ফায়ার লাইসেন্স না নেওয়ায় এবং ফায়ার লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করায় চারটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার বিকেলে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। ভবন দুটির একটি জিগাতলার কেয়ারি ক্রিসেন্ট বিল্ডিং এবং অপরটি সাত মসজিদ রোডের রূপায়ন জেড আর প্লাজা।
অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অগ্নিনিরাপত্তা না থাকায় কেয়ারি ক্রিসেন্ট ভবন সিলগালা এবং একই কারণে 'ভিসা ওয়ার্ল্ডওয়াইড' নামে একটি ছাত্র পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়া রূপায়ন জেডআর প্লাজার ভেতরে বুফে লাউঞ্জ ও বুফে প্যারাডাইস রেস্টুরেন্টকে লাইসেন্সের শর্ত না মানায় ১ লাখ টাকা করে এবং অগ্নিনির্বাপণের লাইসেন্স না পাওয়ায় একই ভবনের ভেতরে থাকা বুফে এম্পায়ার রেস্টুরেন্টকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে এস আলম সুগার মিলে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ৮ ইউনিট
এছাড়া অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন ২০০৩ অনুযায়ী যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় ভবন দুটিকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' ঘোষণা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে ভবন দুটিতে 'ঝুঁকিপূর্ণ' ব্যানার লাগানো হয়। ভবন দুটির অধিকাংশ রেস্টুরেন্ট, শোরুম ও অফিস খালি পড়ে আছে।
অভিযানে ঢাকা-২ এর জোন কমান্ডার মো. তানহারুল ইসলাম, ওই এলাকার ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. গোলাম মোস্তফাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষ থেকে করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কোন কোন আদালতে লোহার খাঁচা রয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট
আদালতের রুলে বহুতল ভবন, কারখানা ও স্থাপনায় অগ্নিনিরোধক কক্ষ ও সিঁড়ি স্থাপনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং অগ্নিনির্বাপক প্রতিরোধ আইন ও বিল্ডিং কোড আইনে কেন এবিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া হাইকোর্ট তার আদেশে ২০২৩-২৪ বর্ষে বহুতল ভবনে কতটি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে এবং কী পরিমাণ প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে জানাতে রাজউক ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও ব্যারিস্টার অনিক আর হক।
এর আগে গত রবিবার জনস্বার্থে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া তানজিনা নওরিন এসার বড় ভাই ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজমুস সাকিব তুষ্টি রিট আবেদনটি দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ‘গ্রিন কেজি কটেজ’ ভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে। দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে রয়েছে। গতকাল তাদের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১৪ জনের মধ্যে বাসায় ফিরেছেন ১১ জন। এখনো ভর্তি আছেন তিনজন। আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও দুজন।
আরও পড়ুন: বিনোদনে হাতি ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন নুর
নাটোরের আদালতে জামিন পেয়েছেন বিএনপি নেতা চাঁদ
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার মামলায় নাটোরের আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ।
রবিবার (৩ মার্চ) দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওশন আলম ২৪ মার্চ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এ সময় চাঁদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সিএনজি ও মোটরসেইকেলের সংঘর্ষে ২ যুবক নিহত
চাঁদের আইনজীবী রুহুল আমিন টগর জানান, শুনানি শেষে বিচারক ২৪ মার্চ পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত চাদেঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনে আওয়ামী লীগ নেতারা।
এ অভিযোগে ওই বছরের ২২ মে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বাদি হয়ে আবু সাঈদ চাদেঁর বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল হক ভূঁইয়ার মৃত্যুতে তাপসের শোক
চাঁদপুরে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে পৌর বিএনপির সভাপতিসহ আটক ৯