������������������������������
আবাসিক ভবনের রেস্তোরাঁ বন্ধের দাবিতে রিট
বেইলি রোডসহ ঢাকার আবাসিক ভবনের সব রেস্তোরাঁ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন।
রিটে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মামলা জট কমাতে হলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে: প্রধান বিচারপতি
এদিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ বিল্ডিংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আরেকটি রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইসরাত জাহান সান্ত্বনা।
বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি করা হয়।
রিটে গণপূর্ত সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের বিবাদী করা হয়েছে।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: ৪ জনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইল রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। যাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
জানা গেছে, ভবনের প্রথম তলায় চায়ের চুমুক নামে একটি রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত। যা পরে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র এক মাস আগে ভবনটির নিচ তলায় এ রেস্টুরেন্টটি যাত্রা শুরু করে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে ৩ জন আটক
বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: ৪ জনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার ও চা চুমুকের দুই মালিকসহ চারজনের প্রত্যেকের দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার(২ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে আসামিদের আদালতে হাজির করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনছার মিলটন রিমান্ড আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকা হলো না পটুয়াখালীর জুয়েলের
আসামিরা হলেন- কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান, চা চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুল।
সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি এফবিসিসিআইয়ের
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে ৩ জন আটক
ঢাকার বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শুক্রবার ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
তারা হলেন- চা চুমুক রেস্টুরেন্টের মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন এবং কচ্চি ভাই-এর ম্যানেজার মো. জিসান।
সন্ধ্যায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মহিদ উদ্দিন বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মাহিদ বলেন, ব্যবসায়ীদের শুধু মুনাফার কথা চিন্তা করলে হবে না, মানুষের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবতে হবে।
ভবন মালিকদের কোনো গাফিলতি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় যারাই দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: ৪৬টির মধ্যে ৩৯টি মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর
তিনি সবাইকে 'সেফটি ফার্স্ট' নীতি মেনে কার্যক্রম পরিচালনার অনুরোধ জানান।
তিনি জানান, ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ২০ জন পুরুষ, ১৮ নারী ও ৮ শিশুসহ মোট ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। ৩৯ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুইজনের মরদেহ মর্গের ফ্রিজে রাখা হয়েছে।
বাকিদের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন ছিল বেইলি রোডের আগুনে নিহত বৃষ্টির
মামলা জট কমাতে হলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান জানিয়েছেন, মামলা জোট কমাতে হলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে পরিমাণ বিচারক থাকা দরকার সেই পরিমাণ বিচারক নেই, তাই মামলার জট থাকবেই।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত প্রাঙ্গণে আসা বিচার প্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলগুলোকে সহনশীল হওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
তিনি বলেন, দেশে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার মানুষের জন্য মাত্র একজন বিচারক। এছাড়া সরকারকে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
বিচাপতি আরও বলেন, মানুষ সামান্য বিষয়েও কারণে-অকারণে আদালতে মামলা করে, যা বাড়িতে বসেই সামাজিকভাবে সমাধান করা সম্ভব।
তিনি বলেন, মামলার জট কমাতে হলে আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক বিচার বা সালিশে জোর দিতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানসহ বিচারক ও আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় ফখরুলের জামিন আবেদন খারিজ
চাঁদপুরে ৪ ভাইয়ের বসতঘর পুড়ে ছাই, দগ্ধ ৬
চাঁদপুর শহরতলীতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ চার ভাইয়ের চারটি বসতঘর পুড়ে গেছে। এসময় আগুন নেভাতে গিয়ে ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ৮টার দিকে (১৩ নম্বর ওয়ার্ড) খলিশাঢুলী বরকন্দাজ বাড়িতে রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মুদি দোকানে আগুনে পুড়ে কিশোর নিহত, দগ্ধ-২
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- সোহেল, রুবেল ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দুই ভাই মোতালেব, আলমগীর।
দমকল কর্মকর্তা মোহাম্মদ সানাউল্লাহ জানান, আগুন লাগার মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট এসে এক ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ টাকা হবে বলে প্রাথমিক হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে।
খবর পেয়ে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন স্বামীর আগুনে দগ্ধ চিকিৎসকের খোঁজ নিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দগ্ধ ৯
সাজার মেয়াদ শেষে ১৫৭ বিদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ
দেশের কারাগারগুলোতে বিভিন্ন অপরাধে সাজা খাটা শেষে প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় থাকা ১৫৭ জন বিদেশিকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত ২১ জানুয়ারি কারা মহাপরিদর্শকের কার্যালয়ে দাখিল করা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বিভূতি তরফদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও কারা মহাপরিদর্শককে এ নির্দেশনা পালন করতে বলা হয়েছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত জানান, এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য হাইকোর্ট ২৮ মে দিন ধার্য করেছেন। এর আগে গত ২১ জানুয়ারি প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের কারাগারগুলোতে বিভিন্ন অপরাধে সাজা খাটা শেষে প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় রয়েছেন ১৫৭ জন বিদেশি। আটকদের মধ্যে ১৫০ জন ভারতের, পাঁচজন মিয়ানমারের ও একজন করে পাকিস্তান ও নেপালের নাগরিক রয়েছেন। ১৫৭ জনের মধ্যে ১৯ জন নারী। উচ্চ আদালতের আদেশের পর কারা অধিদপ্তর এই প্রতিবেদন পাঠায়।
কারাবন্দি এসব বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে দি কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট, ১৯৫২, পাসপোর্ট আইন, ১৯৫২ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা ছিল।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলা থেকেই অব্যাহতি পেলেন জবি শিক্ষার্থী খাদিজা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে নিউমার্কেট থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) আরেকটি মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ১৪ মাস পর গত বছরের নভেম্বরে কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
অভিযোগ গঠনের মতো কোনো উপাদান না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলা থেকেই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তবে মামলার অপর আসামি অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে খাদিজাতুল কুবরাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২০২০ সালের অক্টোবরে 'সরকারবিরোধী প্রচারণা ও বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করার' অভিযোগে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় দুটি মামলা করে পুলিশ। ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অবশেষে ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন খাদিজা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, খাদিজা ও দেলোয়ার দেশের বৈধ প্রশাসনকে উৎখাত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও ঊর্ধ্বতন রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর প্রচারণা চালানোর ষড়যন্ত্র করেছেন। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, বিদ্বেষ ও বিভেদ সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চান তারা।
২০২০ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাগুলো করার সময় খাদিজার বয়স ছিল ১৭ বছর, কিন্তু তাকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে মামলা করা হয় বলে তার আইনজীবী জানিয়েছেন।
কিডনি রোগ থাকা সত্ত্বেও ঢাকার একটি আদালত বারবার খাদিজার জামিন আবেদন নাকচ করে আসছিলেন।
যৌন হয়রানির মামলায় ভিকারুননিসার শিক্ষক কারাগারে
যৌন হয়রানির মামলায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর ক্যাম্পাসের গণিতের শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম।
একইসঙ্গে আসামিপক্ষের আইনজীবী চিকিৎসার আবেদন করলে কারাবিধি মোতাবেক তার চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর কলাবাগানের বাসা থেকে মুরাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার রাতে ভিকারুননিসা স্কুলের গভর্নিং বডির জরুরি সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে অধ্যক্ষ বরাবর অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের একাংশ ও তাদের অভিভাবকদের আন্দোলনের মুখে গত শনিবার স্কুল কর্তৃপক্ষ এই শিক্ষককে প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করে।
পরদিন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্কুল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
মৌলিক আইন বাংলায় অনুবাদ করতে কমিটি গঠনের নির্দেশ
দেশের প্রচলিত মৌলিক আইনের বাংলায় অনূদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ (অথেনটিক টেক্সট) প্রণয়ন ও প্রকাশে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ কমিটিকে অবিলম্বে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আদেশে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ অ্যান্ড ড্রাফটিং উইংয়ের একজন, বাংলা একাডেমির একজন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বাংলা বিভাগ থেকে একজন করে এবং আইন কমিশনের একজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে আইন মন্ত্রণালয়কে এ কমিটি করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ছয় মাসের মধ্যে এই কমিটিকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২৯ আগস্ট এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর করা রিটের শুনানি শেষে এই আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শিশির মোহাম্মদ মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
আরও পড়ুন: আসামিদের গণহারে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো যাবে না: হাইকোর্ট
আদেশের পর শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, যেসব মৌলিক আইনের ওপর ভিত্তি করে আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থা দাঁড়িয়ে আছে, সেগুলোর নির্ভরযোগ্য কোনো বাংলা পাঠ প্রণয়ন নেই। যা কিছু আছে সবই ব্রিটিশ আমলে প্রণীত ইংরেজিতে।
তিনি বলেন, ইদানিং রায় বাংলায় লেখার কথা বলা হচ্ছে। আদালতের কার্যক্রম বাংলায় পরিচালনার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু মৌলিক আইনসমূহের তো কোনো বাংলা নেই। ফলে বাংলায় রায় লিখতে গিয়ে একেক জন একেক সময় একেকটি শব্দ ব্যবহার করছেন। যা রায় ব্যাখ্যা করতে গেলে অসঙ্গতি ও অসামঞ্জ্যতা দেখা যাচ্ছে। এজন্য মৌলিক আইনের বাংলা প্রণয়ন হলে নতুন দিগন্তের সূচনা হতে পারে। আদালত বলেছেন, এটা একটা ঐতিহাসিক কাজ। এটা অনেক বড় ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আদালতের নির্দেশনার মাধ্যমে এটা শুরু করছি। বাকিটা সময়ে সময়ে কমিটির অগ্রগতি রিপোর্টের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে।
এর আগে ২০২২ সালের ১৪ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর করা রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়েছিলেন। রুলে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনায় অর্থবহভাবে বাস্তবায়ন করতে দেশের প্রচলিত মৌলিক আইনের বাংলায় অনূদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছিলেন।
রিটের আগে এই ১০ আইনজীবী নোটিশ দিয়েছিলেন। নোটিশে বলা হয়, আদালতের যাবতীয় কার্যাবলি আইনের আলোকে পরিচালিত হয়। আদালতের কার্যক্রমসংক্রান্ত মৌলিক আইনগুলো হলো— দণ্ডবিধি- ১৮৬০, সাক্ষ্য আইন- ১৯৭২, চুক্তি আইন-১৮৭২, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন-১৮৭৭, সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট-১৮৮৭, সম্পত্তি হস্তান্তর আইন-১৮৮২, ফৌজদারি কার্যবিধি-১৮৯৮ দেওয়ানি কার্যবিধি-১৯০৮ এবং তামাদি আইন-১৯০৮।
আরও পড়ুন: হাত হারানো শিশুকে ৩০ লাখ টাকা ডিপোজিট করে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট (আপিল বিভাগ) রুলস-১৯৮৮, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট (হাইকোর্ট বিভাগ) রুলস-১৯৭৩, ক্রিমিনাল রুলস এ- অর্ডারস-২০০৯, সিভিল রুলস এ- অর্ডারস। অধিকাংশ আইন ব্রিটিশ আমলে এবং ইংরেজি ভাষায় প্রণীত।
নোটিশে আরও বলা হয়, আদালতে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এসব আইনের গুরুত্ব ও ব্যবহার সর্বাধিক। এ আইনগুলোর বাংলায় অনূদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশ ব্যতীত আদালতের সর্বস্তরে বাংলা ভাষা ব্যবহারের আইনি বিধান সম্পূর্ণ অর্থহীন এবং অযৌক্তিক। এখন পর্যন্ত এসব মৌলিক আইনের কোনো নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ প্রণয়ন করা হয়নি। সর্বস্তরে বিশেষত আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের স্বার্থে উক্ত মৌলিক আইন সমূহের বাংলায় অনূদিত নির্ভরযোগ্য পাঠপ্রকাশ অত্যাবশ্যক।
এমতাবস্থায় মৌলিক আইনগুলোর বাংলায় অনূদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ (অথেনটিক টেক্সট) প্রকাশে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে নোটিশে অনুরোধ জানানো হয়।
রিটকারী আইনজীবীরা হলেন— মোস্তাফিজুর রহমান, মীর ওসমান বিন নাসিম, মো.আসাদ উদ্দিন, মোহা. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জোবায়েদুর রহমান, মো. আব্দুস সবুর দেওয়ান, আল রেজা মো. আমির, আব্দুল্লাহ হিল মারুফ ফাহিম, জি এম মুজাহিদুর রহমান ও মো. জহিরুল ইসলাম। এরপর নোটিশের জবাব না পেয়ে ২০২২ সালে হাইকোর্টে রিট করেন তারা।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সাজা স্থগিত আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন
নরসিংদীতে মাদরাসা শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
নরসিংদীর শিবপুরে চাঞ্চল্যকর মাদরাসা ছাত্র আবুল বাশার ওরফে বাদশা হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।
একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১ এর বিচারক শামিমা পারভিন এই রায় ঘোষনা করেন।
আসামি রায়হান শিবপুরের সৈয়দনগর পাঁচভাগ গ্রামের বাচ্চু মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেরপুরের ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা যায়, বাদশা স্থানীয় একটি মাদরাসায় লেখা পড়া করতেন। ২০০৬ সালের ১৮ জুলাই টাকার প্রয়োজনে বাদশা বাড়িতে আসে। ওই সময় বাশার তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে লাগানো কলা খেত থেকে কলার ছড়ি কাটতে যায়। এতে বাধা দেয় প্রতিবেশী বাচ্চু মোল্লা, তার ছেলে রায়হান মোল্লা ও তার পরিবারের সদস্যরা।
তাদের কথা উপেক্ষা করে কলার ছড়ি কাটার জেরে প্রতিপক্ষ বাচ্চু মোল্লার নির্দেশে তার ছেলে রায়হান মোল্লা পেছন থেকে বাদশাকে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার একদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে নিহতের দাদা নুরুল ইসলাম মৃধা বাদী হয়ে রায়হান মোল্লাসহ চারজনকে আসামি করে শিবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে এ রায় প্রদান করেন।
নরসিংদী জজকোর্টের আইনজীবী ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আইনজীবী আসাদ্দুজ্জামান ওরফে জামান বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় রায়হানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। বাকি আসামিদের বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে স্বামীকে হত্যার ঘটনায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন