কৃষি
জাপানে ইয়ানমারের কারখানা পরিদর্শন কৃষিমন্ত্রীর, বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
কৃষিযন্ত্র তৈরির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ইয়ানমার-এর কারখানা পরিদর্শন ও প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে জাপান সফররত কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
শুক্রবার সকালে টোকিও থেকে ওকায়ামার ইনামিতে ইয়ানমার এগ্রিবিজনেস কারখানায় পৌঁছান কৃষিমন্ত্রী। সেখানে তিনি কম্বাইন হারভেস্টার, ট্রাক্টর, ট্র্যান্সপ্লান্টারসহ বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র তৈরির কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
এছাড়া, গ্রিনহাউজে বিশেষায়িত ফসল যেমন আম, পেঁপে, স্ট্রবেরি প্রভৃতির গবেষণার বায়ো-ল্যাব কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
ইয়ানমারকে বাংলাদেশে কৃষিযন্ত্র তৈরির আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে শ্রমিক সংকট আরও বাড়বে, একইসঙ্গে কৃষিযন্ত্রের চাহিদাও বাড়বে এবং বিশাল বাজার তৈরি হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ইয়ানমারের কৃষিযন্ত্রের সুনাম আছে, চাহিদাও। কাজেই, ইয়ানমার বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে,কারখানা স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র তৈরি করলে অনেক লাভবান হতে পারবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ রয়েছে এবং সরকার সবরকম সহযোগিতা প্রদান করবে।
আরও পড়ুন: তরুণরাই বাংলাদেশে ‘স্মার্ট এগ্রিকালচারের’ নেতৃত্ব দেবে: কৃষিমন্ত্রী
ইয়ানমারের প্রেসিডেন্ট মাসাদা স্যান এ সময় জানান, বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। সামনের বছর থেকে এসিআই’র সহযোগিতায় বাংলাদেশে কম্বাইন হারভেস্টার ও রাইস ট্র্যান্সপ্লান্টার তৈরির কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এছাড়া, বাংলাদেশে স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ইয়ানমারের স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি দিয়ে সহযোগিতার বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হবে জানায় ইয়ানমার কর্তৃপক্ষ।
এ সময় ইয়ানমারের প্রেসিডেন্ট মাসাদা স্যান, গ্লোবাল মার্কেটিং পরিচালক উয়েদা স্যান, শিমিগ স্যানসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা, এসিআই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ দৌলা, এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট এফএইচ আনসারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ুসহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কালবৈশাখীর কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে শার্শার আম চাষীরা
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) কালবৈশাখীর আঘাতে যশোরের শার্শা উপজেলার আম চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
ঝড়ের কারণে ওই এলাকার আমের বাগান সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ আম মাটিতে পড়ে যায়।
জানা গেছে, উপজেলায় ৯ হাজার হেক্টর আমের বাগানের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ১৪০টি ছোট-বড় আম বাগান রয়েছে এবং প্রায় সব বাগানই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আম চাষিরা এখন এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছেন, কেউ কেউ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতির কথা জানিয়েছেন।
আম চাষি জাফর শেখ কালবৈশাখীর কারণে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতির কথা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে বাগুড়ি গ্রামের দিলবার জানান, এ বছর আমের ভালো দাম পাওয়ার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে।
আরও পড়ুন: ভুরুঙ্গামারীতে কালবৈশাখীর তান্ডবে দুই শতাধিক বসতবাড়ি লন্ডভন্ড
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মন্ডল এলাকার আম চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, চাষিদের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ণয় করা যায়নি বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই এলাকায় কালবৈশাখী আঘাত হানে। ঝরে পড়া আম বাগানগুলোকে কার্পেটের মতো ঢেকে দিয়েছে।
ফলে বেশিরভাগ বাগানই উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় কিশোর নিহত
খুলনার দাকোপে ২৮৩ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি
শস্য ভান্ডার খ্যাত খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলা। গেল বছরের তুলনায় এখানে এ বছর কম জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। তবে তরমুজের ফলন কম হলেও দামে খুশি কৃষকরা। এখানকার তরমুজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে।
তরমুজের সঙ্গে অন্যান্য ফসল আবাদ করে বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
দাকোপে এ পর্যন্ত ২৮৩ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। ফলে এলাকার হাজারো কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে বেড়েছে খুলনার দাকোপের তরমুজের চাহিদা
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার গড় হিসাব মতে ২৮৩ কোটি ১৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রির সম্ভবনা। এ তরমুজ খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাজারজাত করা হচ্ছে।
দাকোপ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ২০ হাজার ৮৮৩ হেক্টর চাষাবাদযোগ্য জমি রয়েছে। এর মধ্যে চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ছয় হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। গত বছর চাষ হয়েছিল সাত হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে।
এছাড়া বোরো ধান ৩৪০ হেক্টর, সূর্যমুখী ৩০৮ হেক্টর, ভুট্টা ২৮ হেক্টর, বাঙ্গি ২০ হেক্টর, তিল ৭ হেক্টর, মুগডাল ৮ হেক্টর, পাট এক হেক্টর, আদা ৪ হেক্টর, হলুদ ৮ হেক্টর ও অন্যান্য শাক-সবজি ২০৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। আর পতিত রয়েছে ১৩ হাজার ৬৪১ হেক্টর জমি।
তবে প্রচণ্ড খরা ও বৃষ্টি না হওয়ায় পানির উৎস খাল ও পুকুরগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় তরমুজ খেতে চরম সেচ সংকটে পড়েন এলাকার কৃষক।
চাষের মাঝের দিকে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় সেচ সংকট কিছুটা লাঘব হয়। এতে অল্প সংখ্যক কৃষকের লোকসান হলেও অধিকাংশই বাম্পার দাম পেয়ে হয়েছেন লাভবান।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে দুর্গম চরাঞ্চলে তরমুজ চাষ, ভাগ্য পরিবর্তনের আশা
কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় দালাল, ফড়িয়া ও পরিবহন সিন্ডিকেট, ফেরীঘাটে যানযটে ট্রাকের দীর্ঘ লাইন এবং ঘাটে অতিরিক্ত টোল আদায় না হলে আরও দাম বৃদ্ধি হতো বলে অনেকে মনে করেন।
কৈলাশগঞ্জ এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য কৃষক সিন্ধু রায় বলেন, তিনি ৯ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এতে তার প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু তরমুজ চাষ শুরুর আগে এলাকার কতিপয় ব্যক্তি রাতের আঁধারে কয়েকটি সুইচ গেট দিয়ে লবণ পানি তুলে দেয়।
তিনি আরও বলেন, এতে জলাশয়গুলো লবণ-পানিতে সয়লাব হয়। ফলে মিষ্টি পানির অভাবে তিনি খেতে সেচ সংকটে পড়েন। পরবর্তীতে চাষের মাঝের দিকে বৃষ্টি হলে সেচ সমস্যা কিছুটা লাঘব হয়। যার কারণে তার খেতে তরমুজের ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে এবং মোট পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে তিনি অনেক লাভবান হয়েছেন।
তবে বীজে অতিরিক্ত ভেজালের কারণে এবার তরমুজের আকার অনেক ছোট হয়েছে বলে তিনি জানান।
বটবুনিয়া এলাকার কৃষক প্রণব কবিরাজ জানান, তিনি ১৮ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেন। এতে তার সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকা খরচ হয়। সেচের চরম সংকট এবং ভাইরাস লেগে সব গাছ মারা যায়।
কৃষি কর্মকর্তার মরামর্শ নিয়েও একটি গাছও বাঁচাতে পারেনি। তিনি এবার ব্যাপকভাবে লোকসানে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে.এম. মাকসুদুন্নবী বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার তরমুজের ফলন অনেক কম হয়েছে। কিন্তু সেচের মিষ্টি পানির সংকট থাকলেও এলাকার কৃষকরা দাম পেয়েছেন ভালো। তরমুজ বিক্রিও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
তিনি আরও বলেন, তবে এ বছর আকার ছোট হলেও গড় হিসাব অনুযায়ী ২০ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার কেজি তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। গড়ে ১৪ টাকা কেজি ধরা হলে ২৮৩ কোটি ১৩ লক্ষ ৬০ হাজার আর বিঘা প্রতি ৬৫ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ইউটিউব দেখে ব্লাকবেরি তরমুজ চাষ করে সফল মনিরুল
দাম ভালো থাকলেও তাপদাহে চিন্তিত ঠাকুরগাঁওয়ের মিষ্টিকুমড়া চাষীরা
উত্তরের কৃষি প্রধান এবং কৃষিতে স্বনির্ভর জেলা ঠাকুরগাঁও। আশেপাশের অন্য জেলাগুলোর তুলনায় এ জেলায় সব ধরনের ফসল ও সবজির চাষ হয় অনেক ভালো। মিষ্টিকুমড়ার চাষের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনা। এ জেলার মিষ্টিকুমড়া আকারে বড় ও সুস্বাদু হওয়ায় এখানকার মিষ্টি কুমড়ার চাহিদা রয়েছে সারা দেশব্যাপী।
তবে চলতি মৌসুমে তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে মিষ্টিকুমড়া চাষ। দাম ভাল থাকলেও গাছের পাতা ও গাছ হলদে বর্ণ ধারণ করায় আশাতীত ফলন নিয়ে ভাবছেন কৃষকেরা। চলমান তাপদাহে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার মিষ্টিকুমড়া কৃষকেরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রমতে, এ বছর জেলায় মোট ৩ হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যার মধ্যে শুধু মিষ্টিকুমড়ার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমি। রবি জাতের মিষ্টি কুমড়ার আবাদ শেষে বর্তমানে খরিপ-১ জাতের মিষ্টি কুমড়ার আবাদ চলমান রয়েছে। গত বছরে ১ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে খরিপ-১ জাতের মিষ্টি কুমড়ার চাষ করা হয়েছিল। এ জেলায় প্রধানত দুই ধরনের মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়ে থাকে। এরমধ্যে রবি জাতের কুমড়া ইতোমধ্যে বাজারজাত হয়ে গেছে। বর্তমানে খরিপ-১ জাতের মিষ্টি কুমড়া খেতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: হাওরে ৭০ ভাগ বোরো ধান কাটা হয়ে গেছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন কহরপাড়া এলাকার সফল চাষি ময়নুল ইসলাম জানান, গত মৌসুমের শুরুর দিকে ভাল ফলন ও দাম পাওয়ায় এ বছর মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন তিনি। এ মৌসুমে ৩০ একর জমিতে কুমড়া লাগিয়েছেন তিনি। আর প্রায় এক মাসের মধ্যে মিষ্টিকুমড়া বিক্রি শুরু হবে। বর্তমানে বাজারে মণপ্রতি মিষ্টি কুমড়া সাতশ’ টাকা থেকে নয়শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সদর উপজেলার গড়েয়া এলাকার কৃষক মজিবর বলেন, পাঁচ বিঘা জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছি। গাছে ফুল এসেছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার ফলে কিছু কিছু গাছ হলুদ বর্ণের হয়ে গেছে। কৃষি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য। আশা করছি, ফলন ভাল হলে ন্যায্য মূল্য পাব।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ জেলায় মিষ্টিকুমড়ার ভাল ফলন হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে খরিপ-১ জাতের মিষ্টিকুমড়ার আবাদ চলমান রয়েছে। বাজারে দামও ভাল রয়েছে। কৃষকদের মাঝে চলমান তাপদাহ নিয়ে সৃষ্ট নানা সমস্যা নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে বেড়েছে খুলনার দাকোপের তরমুজের চাহিদা
ঠাকুরগাঁওয়ে গমের আবাদ কমেছে, বেড়েছে ভুট্টা চাষ
হাওরে ৭০ ভাগ বোরো ধান কাটা হয়ে গেছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
এখন পর্যন্ত হাওরে ৭০ ভাগ বোরো ধান কাটা হয়ে গেছে। এর মধ্যে সিলেটে ৫৫ ভাগ, মৌলভীবাজারে ৭০ ভাগ, হবিগঞ্জে ৬৭ ভাগ, সুনামগঞ্জে ৭৩ ভাগ, কিশোরগঞ্জে ৫৮ ভাগ, নেত্রকোণায় ৭৭ ভাগ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬৭ ভাগ ধান কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
সাতটি জেলার হাওরে এ বছর বোরো আবাদ হয়েছে চার লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে। আর হাওর ও হাওরের বাইরে উঁচু জমি মিলে মোট বোরো আবাদ হয়েছে ৯ লাখ ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪০ লাখ টন চাল।
সম্প্রতি ঈদের আগে সুনামগঞ্জের হাওরে বোরো ধান কর্তন উৎসবে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ও সময়মতো ধান ঘরে তুলতে পারলে এ বছর বোরো উৎপাদনে রেকর্ড হবে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ১৬ লাখ টন বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ করবে সরকার
শুধু সুনামগঞ্জেই এক হাজার কম্বাইন হারভেস্টারে ধান কাটা চলছে জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এবার ধান কাটায় কোনো সমস্যা হবে না।
উল্লেখ্য, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে এ বছর সারাদেশে ৫০ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে, আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা দুই কোটি ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল।
গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বোরো ধান আবাদ হয়েছিল ৪৮ লাখ ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে, উৎপাদন হয়েছিল প্রায় দুই কোটি দুই লাখ টন চাল।
আরও পড়ুন: হাওরের ৯০% বোরো ধান কাটা শেষ
বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা অনুসরণে দেশে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চীনে ও জাপানে গিয়েছিলেন। তখন তিনি চীন ও জাপানে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ দেখে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমাদের দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সেই পরিকল্পনা আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করছেন।
আরও পড়ুন: দেশকে শব্দদূষণমুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ভর্তুকি মূল্যে ৩টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ১০টি পাওয়ার থ্রেশার বিতরণ করা হয়।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এখন আর কৃষকরা গরু দিয়ে হাল চাষ ও মাড়াই করেন না। তারা যান্ত্রিক পদ্ধতিতে হাল চাষ ও মাড়াই করছেন। এজন্য বর্তমান সরকার দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করছে।
উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন এবং উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ প্রমুখ।
পরে মন্ত্রী হাকালুকি হাওরে কৃষকের উৎপাদিত বোরো ধান দেখতে যান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাঘ সংরক্ষণে ভারতের সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
দেশকে দূষণমুক্ত করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
তীব্র গরমে বেড়েছে খুলনার দাকোপের তরমুজের চাহিদা
তীব্র তাপদাহের কারণে হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে খুলনার দাকোপের তরমুজের চাহিদা। আর তাই দামও বেড়ে গেছে। শেষ সময়ে এসে তরমুজ বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে খুলনার কৃষকেরা।
জানা যায়, অন্যান্য জেলার তরমুজ এর আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। এখন দাকোপ উপজেলার তরমুজই ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। গরমে চাহিদা বাড়ায় তাই সবাই তাকিয়ে আছে দাকোপের তরমুজের দিকে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা অনেকেই দাকোপে গিয়ে তরমুজ কিনে আনছেন।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর খুলনায় ১২ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দাকোপ উপজেলাতেই চাষ হয়েছে ছয় হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে।
তবে কৃষকদের অভিযোগ, চার মাস রোদে পুড়ে হাড় ভাঙা খাটুনি করে তারা যে মুনাফা করছে, তার থেকে তিনগুণ মুনাফা করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা।
নগরীর কদমতলা মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, সোমবার মাঝারি সাইজের তরমুজ গড়ে বিক্রি হয়েছে (১০০ পিস) ছয় হাজার টাকায়। অর্থাৎ ছোট-বড় সব তরমুজের গড় মূল্য প্রতি পিস ৬০ টাকা।
আরও পড়ুন: খুলনায় লবণাক্ত এলাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন
মাত্র এক কিলোমিটার দূরে নগরীর ময়লাপোতা মোড়ে ভ্যান ও ফলের দোকানে সেই তরমুজ বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।
কৃষকরা জানান, দুইভাবে তরমুজ বিক্রি হয়। ঢাকা থেকে ব্যবসায়ীরা দাকোপে এসে মাঠ থেকে সরাসরি তরমুজ কেনেন। তারাই ট্রাকে করে তরমুজ নিয়ে যান। চলতি সপ্তাহে ছোট আকারের তরমুজ (তিন থেকে পাঁচ কেজি) প্রতি বিঘা বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। একই তরমুজ গত বছর বিক্রি হয়েছে ৩০/৩৫ হাজার টাকা।
এছাড়া বড় আকারের (আট কেজির ওপরে) তরমুজ বিক্রি হচ্ছে এক লাখ টাকায়।
এছাড়া কিছু কৃষক নিজেই তরমুজ নিয়ে খুলনার কদমতলায় পাইকারি বিক্রি করেন। পাইকারি তরমুজ বিক্রি হয় পিস হিসেবে। ছোট আকারের তরমুজ (তিন থেকে পাঁচ কেজি) প্রতি বিক্রি সোমবার বিক্রি হয়েছে ৫০/৬০ টাকা পিস। এছাড়া বড় তরমুজ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা পিস।
দাকোপ উপজেলার পানখালী ইউনিয়নের কৃষক আজগর হোসেন জানান, শুরুতে প্রতি বিঘা ৪০/৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হবে বলে তারা আশা করেছিলেন। কিন্তু এখন দাম ৭০ হাজারের ওপর। এতে কৃষকেরা খুশি।
দাকোপ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম মাকসুদুন্নবী জানান, ‘সোমবার পর্যন্ত আড়াই হাজার হেক্টর জমির তরমুজ বিক্রি হয়েছে। প্রতিদিন ৫০০/৬০০ হেক্টর জমির তরমুজ সংগ্রহ হচ্ছে। বেশিরভাগ তরমুজই ঢাকায় যাচ্ছে। ঈদের আগেই ৮৫ শতাংশ তরমুজ বিক্রি করা হবে।’
কৃষকদের অভিযোগ, তরমুজ বিক্রিতে বড় বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে পরিবহনে চাঁদাবাজি। প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক তরমুজ পরিবহনের জন্য দাকোপ থেকে বিভিন্ন রুটে যাচ্ছে। প্রায় মোড়ে তারা চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন: তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও খুলনার চাষিরা হতাশ
খুলনায় তরমুজের বাম্পার ফলন, কৃষকের চোখে সোনালী স্বপ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ে গমের আবাদ কমেছে, বেড়েছে ভুট্টা চাষ
দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে এক সময় ব্যাপকহারে গম চাষ হলেও বর্তমানে অন্যান্য ফসলের তুলনায় গমের ফলন ও লাভ কম হওয়ায় গম চাষে কৃষকরা দিন দিন উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। এতে জেলায় গমের আবাদ কমে যাচ্ছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের মাটি ভালো হওয়ায় ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গমের আবাদ ভালো হলেও, গমের তুলনায় ভুট্টার ফলন এবং দাম বেশি পাওয়ায় বেশি করে ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় লবণাক্ত পানির পতিত জমিতে ভুট্টা চাষে সাফল্য
চলতি বছরে দেখা যায় যে জেলার যে জমিগুলোতে অন্যান্যবার গম চাষ হয়েছিল, সেই জমিগুলোর অধিকাংশে এবার চাষ করা হয়েছে ভুট্টা।
জেলা কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালে জেলায় গম চাষ হয়েছিল ৫০ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে, উৎপাদন হয়েছিল দুই লাখ ৭ হাজার ৬৮৫ মেট্রিক টন এবং ২০২২ সালে চাষ হয়েছিল ৪৫ হাজার ১৯২ হেক্টর জমিতে আর উৎপাদন হয়েছিল এক লাখ ৯৪ হাজার ৭১ মেট্রিক টন।
তা কমে এবছর ২০২৩ সালে চাষ হয়েছে ৩৬ হাজার ৬৫৭ হেক্টর জমিতে ও উৎপাদন হয়েছে এক লাখ ৪৩ হাজার ৬৭৯ মেট্রিক টন গম।
সিরাজগঞ্জে কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
সিরাজগঞ্জের যমুনার চরাঞ্চলসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে এবার কাঁচা মরিচ চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। সেইসঙ্গে বাজার মূল্য ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
বিশেষ করে যমুনার চরাঞ্চলে উৎপাদিত মরিচ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৪৫৬ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষাবাদ করা হয়েছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলে এ লাভজনক মরিচের চাষ বেশি হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২০৫ মেট্রিক টন। ফলন ভাল হওয়ায় ও দাম ভালো পাওয়ায় এ মরিচ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকেরা।
যমুনা নদীর তীরবর্তী কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী, শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে এ মরিচ চাষাবাদ বেশি হয়েছে।
চরাঞ্চলের কৃষকেরা বলছেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরবর্তীতে চরাঞ্চলগুলোতে মরিচের চাষ শুরু করা হয়। পলিমাটির উর্বরতার কারণে কম খরচে মরিচ চাষাবাদে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ফলন ভালো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ধরলার বুকে নতুন স্বপ্ন জাগিয়েছে পটল চাষ
তারা জানান, ঈদকে সামনে রেখে এ মরিচ উত্তোলনে নারী-পুরুষেরা ব্যস্ত সময় পার করছে এবং খেত থেকেই ব্যবসায়ীরা ট্রাকে করে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি এ মরিচ কিনে নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে। আর বর্তমানে স্থানীয় হাট-বাজারে এ মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় এবং এ কাঁচা মরিচের দাম ওঠা-নামা করলেও লোকসান নেই কৃষকের। চরাঞ্চলের হাটবারের দিনগুলোতে কৃষক ও ব্যবসায়ীর অবস্থান জমজমাট। দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসিও ফুটেছে।
বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মরিচ ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও মরিচের ব্যবসা করতে চরাঞ্চলে এসেছেন তারা। মরিচের বাজার মূল্য এখন ভালো থাকায় কৃষকের পাশাপাশি তারাও লাভবান হচ্ছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সুত্রধর বলেন, সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের পরামর্শে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এবার ১ হাজার ৪৫৬ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষাবাদ করা হয়েছে। এ চাষাবাদ চরাঞ্চলে বেশি হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২০৫ মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচ চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। মরিচের বাজার মূল্য ভালো থাকায় কৃষকের মুখেও হাসি ফুটেছে।
আগামীতে এ লাভজনক চাষাবাদে কৃষকেরা ঝুঁকে পড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে দুর্গম চরাঞ্চলে তরমুজ চাষ, ভাগ্য পরিবর্তনের আশা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে
এগ্রি-টেক স্টার্টআপ ফসল ১০ লাখ ডলারের প্রাক-বীজ বিনিয়োগ নিশ্চিত করেছে
এগ্রি-টেক স্টার্টআপ ফসল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে এটি কৃষকদের বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত করতে এবং সাপ্লাই চেইন কার্যকর করার লক্ষ্যে প্রাক-বীজ তহবিলে ১০ লাখ ডলার সংগ্রহ করেছে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এটি সাউথ এশিয়া টেক পার্টনারস (এসওএসভি) এবং ফুডপান্ডার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আম্বারিন রেজা এবং ফুডপান্ডার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুবায়ের সিদ্দিকীর মতো বিনিয়োগকারীদের থেকে তহবিল গঠন করেছে।
ফসল সাপ্লাই চেইনের একাধিক স্তরের মধ্যস্বত্বভোগীদের নির্মূল করতে কাজ করছে এবং কৃষকদের সরাসরি বাজারে প্রবেশাধিকার এবং নিবেদিত ফসল কৃষক কেন্দ্রের মাধ্যমে ঝামেলামুক্ত লেনদেন প্রদান করছে।
২০২০ সালে সাকিব হোসেন এবং মামুনুর রশিদের প্রতিষ্ঠিত ফসল সাপ্লাই চেইন কার্যকর করার জন্য প্রযুক্তি তৈরি করতে এবং কৃষক থেকে খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে নির্বিঘ্ন লেনদেনের জন্য অটোমেশন নিয়ে আসার জন্য সাম্প্রতিক বিনিয়োগগুলো ব্যবহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: তরুণরাই বাংলাদেশে ‘স্মার্ট এগ্রিকালচারের’ নেতৃত্ব দেবে: কৃষিমন্ত্রী